এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কৌশিক ঘোষ | ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:১৩492432
  • সে
    এবার ঠিকঠাক হলো।
    ভদ্রতাবোধে বাধছিলো বলে আগে বলিনি, আগের দু'পার্টে বড্ড কলমকিপটেমি করেছিলেন।
    এবারে ব‍্যাপক লাগলো পড়তে।
  • যদুবাবু | ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:০৩492431
  • এ কি! অর্ধেক গেলো কেন? 
     
    কিন্তু হ্যাঁ, সর্ষের তেল ইন নোজ এন্ড নোজ ইন সর্ষের তেল। laugh
  • যদুবাবু | ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:০২492430
  • :D সর্ষের তেল ইন
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:5c0:c51:f340:7eb | ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:২৮492429
  • তৃতীয় কিস্তি
     
    এটা ভ্রমণকাহিনী নয়। গোড়াতেই যেটা বলেছিলাম সেটাই, ভ্রমণ করতে গিয়ে বাঙালিদের থেকে সাহায্য পাবার ঘটনা।
    হারউইচে ফেরি থেকে নেমে লাইনে দাঁড়িয়ে ইমিগ্রেশনের ফর্ম ভর্তি করতে গিয়ে মুশকিলে পড়লাম, ঠিকানা লিখতে হবে। লম্বা  লাইন পাশাপাশি দুটো। সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই খশখশ করে ফর্ম ফিলাপ করছে। পেন নেই আমার। পাশের লাইনের একজন ছেলের কাছে পেন চাইলাম, ফর্ম ভর্তি করতে গিয়ে তাকে বললাম— আমার তো ঠিকানা এখানে কিছু নেই, কী লিখব এখানে?
    সে স্থিরভাবে বলল, তাহলে তুমি যেতে চাচ্ছো কোথায়?
    — লন্ডন।
    — লন্ডনে যেখানে গিয়ে উঠবে সেখানকার ঠিকানা লিখে দাও।
    — সেসব তো এখনও ঠিক নেই...
    ছেলেটা বিরক্ত হয়ে বলল, তাহলে আমি জানি না।
    লাইন সামনের দিকে এগোচ্ছে। ঝপ করে তার ফর্মে সে যা ঠিকানা লিখেছে সেটা দেখে নিয়ে যতটা মনে রাখতে পেরেছি নিজের ফর্মেও সেটা তাড়াতাড়ি লিখে নিয়ে তাকে কলমটা ফেরত দিলাম।
    ইমিগ্রেশন কিছুই সেভাবে খুঁটিয়ে দেখেনি। ফেরিঘাট থেকে ফের ট্রেন, সেখান থেকে লন্ডনের লিভারপুল স্ট্রিট পৌঁছতে পৌঁছতে রাত আটটা সাড়ে আটটা। আমার পিঠব্যাগটা অসম্ভব ভারি, তাতে রয়েছে খাবার, জলের গোটা পাঁচ ছয় বোতল এবং দুসেট সালোয়ার কামিজ। এই অবধিই আমার টিকিট কাটা ছিল। এখন বাসস্থান খুঁজতে হবে। গ্রীষ্মকাল, তাই শীতবস্ত্রের দরকার নেই, কিন্তু সূর্য অস্তমিত। 
    সিনিয়রদের কাছে শুনতাম তাদের লন্ডনে আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব কিছুই নেই, তবু তারা বেড়াতে যেত, যদিও তারা সবাই পুরুষ। মেয়ে সিনিয়র কেউ ছিল না তাই মেয়েদের অভিজ্ঞতা আমার জানা নেই।
    মস্কোয় যে হোটেলে থেকেছিলাম ভিসা নেবার সময়টায়, সেখানে রোজই নানানজনের সঙ্গে আলাপ হতো। একজন বাংলাদেশি ছেলের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। সিনিয়র। আগেও দুবার লন্ডন গেছে। এবার যাবে কম্পিউটার কিনতে। পারসোনাল কম্পিউটার বলে একটা জিনিস বেরিয়েছে যেটা নাকি এমনি ছোটখাট কম্পিউটারের চেয়ে দামে বেশি এবং দেখতে শুনতেও খুব ভাল। মাইক্রোসফট বলে একটা কোম্পানীর অপারেটিং  সিস্টেমে ওটা চলে। লন্ডন কি সিংগাপুর থেকে কিনে এনে সোভিয়েত বাজারে বেচতে পারলে বিরাট লাভ। সবাই কিনতে পারে না, প্রচুর দাম, বেশ ওজনও আছে। 
    আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কম্পিউটার কিনতে কত পাউন্ড লাগে? তাতে সে যে সংখ্যাটা বলেছিল তেমন টাকা আমাকে বেচে ফেললেও পাওয়া যাবে না। তার নিজেরও অত পুঁজি নেই॥ যাদের অনেক পুঁজি আছে তারা এরকম ছেলেদের কিছু পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এবং যাতায়াত-খাবারদাবারের খরচ  টরচ দিয়ে কম্পিউটার আনানোর কাজ করে। মাথাপিছু একটা কম্পিউটার আনলে কাস্টমসে ট্যাক্স দিতে হয় না। যারা অন্যের পুঁজি নিয়ে কম্পিউটার আনতে যায় তাদের নাম "পাইলট"। এই সিনিয়র ভাইটিও একজন পাইলট।
    আমার মাথায় প্রশ্ন খেলে গেছল, তাই সরাসরি সেই ছেলেটিকে বলেছিলাম— আমিও পাইলট হতে চাই।
    — আপনি?
    ভুরু কুঁচকে আমার দিকে একটু তাকিয়েই সে আর হাসি চাপতে পারে নি।
    — হাসছেন কেন? 
    — আপনি কী করে পাইলট হবেন?
    — আপনার চেনা কেউ থাকলে তাকে একটু বলুন না, এই ট্রিরে তার জন্য কম্পিউটার এনে দেব। 
    সে আবারও হাসতে থাকে।
    — কী যে কন আপনি!
    — কেন? এতে হাসির কী আছে? টাকা নিয়ে তো আমি পালাবো না, আমাকে তো ফিরে আসতে হবেই এখানে লেখাপড়া শেষ করতে!
    — মাইয়া মানুষ পাইলট। নাঃ। কেউ রাজি হবে না।
     
    (ক্রমশঃ)
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০২:৩৯492428
  • আই মেন্ট পরশু। তাপ্পর কি ঘুমুচ্চ্ছিলেন উইথ সরষের তেল ইন নোস?
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০২:৩৮492427
  • জালি করবেন না, গোপন সূত্রে প্রকাশ আপনি কাল দুপুর বারোটার আগেই অ্যাণ্ডি ভোলকারবাবুকে সব জিনিস বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।
  • যদুবাবু | ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০২:৩৪492426
  • @অ্যাণ্ডরঃ আর বলবেন না, বছরের এই সময়টায় একেবারে দক্ষযজ্ঞ লেগে যায়, একে ফাইন্যালের গ্রেডিং তার উপরে এনেসেফের গ্র্যান্ট প্রোপোজালের ডেডলাইন, একদম টেইল ইন কাউডাং আর কাউডাং ইন টেইল। 

    তবে ছবিও এঁকেছি অঙ্কখাতার লাস্ট পাতায়। এই নিনঃ 

  • একক | ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০০:৫৭492425
  • @জয়
    অত কিছু ও না ঃ)) রিকোয়ারমেন্ট আর বিজনেস কেস নিয়ে ভেবে ভেবে চিন্তাভাবনার ধরন ই অমন হয়ে গ্যাচে ঃ) অনেকে বিরক্ত হন। 
  • সিএস | 49.37.32.64 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ২১:৪৬492424
  • হ্যাঁ, দেখেছি। শেষ বইমেলা থেকে দু - তিনটে বই কিনেছিলাম, ভাষাবন্ধনের স্টলে বই রেখেছিল । কেনা বইয়ের মধ্যে একটা ছিল দেবেশ রায়ের ভাইয়ের কবিতা, আত্মহত্যা করেছিলেন। জয়দেব বসুর একটা বইও কিনেছিলাম। তখন যা ছিল, তারপরে আরো টাইটেল ছাপবে সেরকম দেখেছিলাম। কাজগুলো, বইগুলো ভাল লেগেছিল।
  • bodhisattvagc dasgupta | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ২১:১১492423
  • সি এস, তুয়ি স্পার্ক‌ বাংলা বই বস্তুটা দেখেছো নাকি। আমি কাল দেখলাম। 
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ২০:৫০492422
  • বাবু শুনে মনে পড়ল যদুবাবু মনে হয় ছবি আঁকায় ও অন্যান্য নানা কাজে ব্যস্ত, ভাটিয়া৯ তে দেখতে পাচ্ছি না।
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ২০:৪৮492421
  • @b, এই 'জেনুইন সোমরস ওয়াইন শপ'- এটা কোথায়? ঃ-)
  • জয় | 82.1.126.236 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৯:০৩492420
  • সে
    আপ্লুত। তবে কৌশিকের সঙ্গে একমত। সময় নিয়ে বিস্তারিতভাবেই লিখুন  সবার জন্য। দারুন শুরুয়াৎ। 
  • কৌশিক ঘোষ | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:৪২492419
  • সে
    অফিসের কাজের চাপ থাকলে সময় করে নিয়ে গুছিয়ে লিখুন। যেভাবে লিখছেন তাতে খিদে মিটছে না। দু' কিস্তি পড়ে মনে হচ্ছে বেশ জমজমাট ভ্রমণকাহিনী হতে চলেছে।
    আপাতত ফেরিঘাটে গালে হাত দিয়ে বসে আপনার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর উপায় দেখছি না।
    জয়ের জন‍্য লিখুন, কিন্তু যেকোনো সুন্দর জিনিসে রসগ্রাহী মাত্রেরই অধিকার।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:7cf8:24d9:59b4:1578 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:০৩492418
  • দীর্ঘ রেলযাত্রার খুঁটিনাটি এই লেখার প্রতিপাদ্য নয়, প্রাথমিক ঝটকায় ভয়টয় কাটিয়ে দুরাত ট্রেনে কাটিয়ে তৃতীয় দিন দুপুরে যখন ফেরিঘাটে এসে ট্রেন থামল তখন আবার ভয় ভয় অনুভূতিটা ফিরে এলো। বেশ কয়েকঘন্টা পরে ফেরি যখন ভিড়বে ইংল্যান্ডের বন্দরে, তখন যাবোটা কোথায়?
    আমার তো কোনও ঠিকানা নেই!
     
    (এই লেখাটা জয়ের জন্য। পরে লিখছি। অফিসের কাজে আজ একটু চাপ রয়েছে)
  • দীপ | 2402:3a80:a5c:b40a:695f:52e2:325:3b54 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:০৯492417
  • ত্রিধা শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ তিনভাগে বিভক্ত (স্ত্রীলিঙ্গ)।
    এর অর্থ গঙ্গা হতে পারে, তিন দেবীমূর্তির সমন্বয় হতে পারে।
    যেমন ত্রিধামূর্তি= ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর
     
    চণ্ডীর টীকা অনুযায়ী ত্রিধা মাত্রাত্মিকার অর্থ তিন‌ প্রকার উচ্চারণের মাত্রা (হ্রস্ব-দীর্ঘ-প্লুত)। অথবা অ-উ-ম অর্থাৎ ওঁ।‌ অর্থাৎ দেবী প্রণবস্বরূপিণী।
  • সে | 194.56.48.119 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:৫৫492416
  • তখনও গোটা ইয়োরোপে দেশের সংখ্যা এখনকার চেয়ে ডজনখানেক কম, এশিয়ার দেশের সংখ্যাও বেশ কম। ইউরোস্টার রেলপথ তৈরিই হয়ে ওঠেনি, তবে সেটা তৈরি হলে যে খরচ যেমনই হোক না কেন মানবসভ্যতার ইতিহাসে একটা মাইলফলক সৃষ্টি হবে এরকম আলোচনা টুকটাক হয়। ইয়োরোপ তখনও দ্বিধাবিভক্ত এবং দ্বিধাগ্রস্থ।
    সোভিয়েত দেশে তখন স্ট্রাকচারাল পরিবর্তনের কথা পাবলিককে বুঝিয়ে দিয়ে তলে তলে সিস্টেমিক পরিবর্তনের সওদা হচ্ছে, কেও কিচ্ছুটি জানে না। এইরকম একটা টাইমে বয়ফ্রেন্ডের হাতে রেগুলার নিগৃহীত হতে হতে, মধ্য এশিয়ার একটা মরূদ্যান শহরে কিন্তু আমার মনের মধ্যে ঘটে গেল সিস্টেমিক পরিবর্তন।
    আমার হাতে তখন মোট দুটো অপশন, মার খাও অথবা পালাও। আমি সেকেন্ডটা চুজ করলাম। গত শতাব্দীর আশির দশকে ভারতীয় মেয়েরা ভীতু হতে শুরু করেছিল (কারন অনেক থাকতে পারে, কিন্তু এটা অবজারভেশন) এবং নো ওয়ান্ডার আমিও সেই দলেই ছিলাম। কথায় কথায় ভয় পাওয়াটা একটা নেশার মতো আচ্ছন্ন করে রাখে। নিজেকে দুর্বল ভাবতে ভাবতে মানসিক ভাবে পরনির্ভরশীলতা গড়ে ওঠে, যেটা প্রথমদিকে আরামদায়ক, কিছুটা রোম্যান্টিক হলেও, দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় আচ্ছন্ন করে রাখে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে এক ঝটকায় বের হতে হয়, অ্যাটলিস্ট আমাকে বের হতে হয়েছিল এক ঝটকাতেই। সেই প্রসেসটাতে কয়েক ঘন্টার ভেতর ডিসিশন নিয়ে ফেলি যে, বেড়াতে যাবো। একা। এর আগে অনেক ছুটিতে অনেকবার দেশে গিয়েছি, সেসবে কর্তব্য দায়িত্ববোধ সামাজিকতা সেন্টিমেন্ট এইসব অঙ্গঙীভাবে জড়িয়ে মড়িয় একাকার হয় থাকত। এবার সেসব বাহুল্য বাদ দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম একা, সম্পূর্ণ অজানার দিকে।
    প্রশ্ন উঠতে পারে, ল্ন্ডন কেন? হোয়াই? বেড়ানোর জায়গা কি কম পড়েছে?
    তা ঠিক কম পড়ে নি, কিন্তু অনেকটা দূরে যাওয়ার মধ্যে নিজেকে বেশি নম্বর দেবার প্রবণতা থাকে, আশেপাশে অনেককেই দেখতাম লন্ডন ফেরৎ হয়ে খুব গর্ববোধ করতে, তাই কঠিন টার্গেটটাই সেট করলাম নিজের জন্য।
    প্রথমে হেঁটে, তারপর ট্রলিবাসে, তারপর এরোপ্লেনে চেপে মস্কো পৌঁছে বিশাল সব লাইন টাইনে দাঁড়িয়ে গোটাপাঁচেক দেশের ভিসা নেবার লম্বা প্রসেস অতিক্রম করতেই প্রায় দুসপ্তাহ লেগে গেছল। দু রাত তিনদিনের জার্নি, কিছুটা জলপথে, অধিকাংশটাই রেলপথে। শুরু হলো যাত্রা দুপুরবেলা। মস্কোর একটা রেলস্টেশন থেকে।
    (বাকিটা পরে লিখছি)
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:৫১492415
  • দৃদিঙ্গা । এই নাম শুনে একজন প্রশ্ন করলেন, এটা কি মাদলজাতীয় কোনো বাজনা? দৃদিম দৃদিম করে বাজে? ঃ-)
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:৪০492414
  • হয়তো যুদ্ধ দিয়েই শুরু করেছিলেন। মূল ঘটনা, উত্তেজক ঘটনা, মধ্যবর্তী ঘটনা। তারপরে ডাইনে বাঁয়ে অন্য কাহিনি বুনতে লাগলেন, কারণ ফিকশনের জগৎও তো কন্সিস্টেন্ট হতে হবে। যুদ্ধের আগে কী? কারা ? কেন যুদ্ধ? তারপরে ও তাই। যুদ্ধের পরে কী? কারা বেঁচে রইল? কেমন রইল? এইসব। এই কাহিনি ব্যাসেরই। ফিক্শনজগতের যুক্তি হিসেবেই। হয়তো সংগ্রহ করেছেন লোককথা কিংবদন্তী মিথ লেজেন্ড ইত্যাদি থেকে।
    বিক্ষিপ্ত উপকাহিনি পরে অনেক ঢুকেছে, অন্য কথাকারেরা ঢুকিয়েছেন।
    এই ব্যাসই আবার ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঘন্ট পাকিয়ে থাকা বেদকে গুছিয়ে সম্পাদনা করে চারভাগে ভাগ করেছেন। সেই থেকেই তাঁর নাম হয়েছে বেদব্যাস। এটা তো প্রায় ম্যাক্সওয়েলের মতন কাজ, সমগ্র ইলেক্ট্রিসিটি ম্যাগনেটিজমকে চারটি সমীকরণে তুলে ধরা।
  • জয় | 82.1.126.236 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:৩৪492413
  • একক
    সুন্দর বলেছেন। নির্মোহ ভাবে (আপনার এই স্টাইলটা আমার দারুন লাগে) অন লাইন/ অফ লাইন/ সিস্টেম রেকোয়ারমেন্ট/ কাস্টমার পার্টিসিপেশন! 
     
    আমি আমার টেকটা বলতে গিয়ে একটু বেশী ফেনিয়ে ফেলেছি বোধহয়।
  • কৌশিক ঘোষ | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:৩২492412
  • ত্রিধা আদিতে মনে হয় তিনভাগে ভাগ, সব মিলে একটা, এইরকমই কিছু। ত্রিধামাত্রাত্মিকা স্থিতা থেকে সেরকমই মনে হয়।
    আজকাল দুর্লভ, সংস্কৃত শব্দ তুলে এনে বাচ্চাদের নাম দেবার চল হয়েছে। তার ফল। যেভাবে দিদৃঙ্গা, এক্ষান ইত্যাদি হয়েছে আর কি। দিদৃঙ্গা যদি আসলে দিদৃক্ষাই হয়, তাহলে তবু একটা মানে দাঁড়ায়।
  • কৌশিক ঘোষ | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:৩২492411
  • :|: 
    যা বললেন অতসীপুষ্পবর্ণাভাং থেকে কুন্দেন্দুতুষারহারধবলা হয়ে করালবদনাং ঘোরাং পর্যন্ত, এখানে মনে হয় তিনটের রচনার সময়কাল এবং প্রচলনের সময়কাল একটা ফ‍্যাক্টর হবে।
    সমসময়ে রচিত এবং প্রচলিত না। তার সাথে অজস্র লেয়ার, কে কোনটা লিখলো, কারা কারা তার ওপরে কলম চালালো, সব মিলিয়ে  খড়ের গাদায় সুঁচ খোঁজা এবং ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়, দুই-ই হবে।
  • কৌশিক ঘোষ | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:৩১492410
  • দীপ
    বলেছেন আর্য কোনো জাতির নাম নয়, আদতে সব মালই ইন্দোইউরোপীয় ভাষাভাষীদের শাখা এবং আর্য শব্দের মানে gentleman. একদমই তাই।
    কিন্তু নিজেদের জেন্টলম‍্যান, পরিশীলিত প্রমাণের তাগিদ হিটলারের কয়েক হাজার বছর আগে থেকেই আছে। দেখুন, এর উল্টোদিকে আছে যারা আমাদের মতো নয়, তাদের রাক্ষস, অসুর, দস‍্যু, দাস ইত‍্যাদি বলা।
    অসুর শব্দ প্রয়োগের পলিটিক্স আরো পুরনো। ইরানের ওরা অসুর বললে সৎ, উজ্জ্বল, পুজ‍্য চরিত্র বোঝাতো। তাদেরই কাকাতুতো ভাইরা এখানে অসুর মানে দাঁড় করালো ঠিক উল্টো। আবার দেখুন 'ইরান' দেশনামের গোড়ায় আছে 'আইরিয়ানাম', সংস্কৃতে বললে 'আর্যানাম' হবে।
    '-নাম' হলো সংস্কৃতে '-দের' অর্থাৎ বহুবচনের পজেসিভ কেস। সম্রাট অশোকের খেতাব ছিলো 'দেবানামপিয়', দেবানাম = দেবগণের। আর্যানাম = আর্যগণের। মানে কোথায় বাস করো জিগালে তার উত্তর হবে যে দেশে আর্যরা বাস করে। আর্য অর্থাৎ gentleman, সুভদ্র, শীলযুক্ত। পরের দিকে আমাদের আর্যপুত্র সম্বোধনেও ঐরকম 'ও ভালো মানুষের পো' টাইপের একটা ব‍্যাপার আছে।
  • কৌশিক ঘোষ | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:২৮492409
  • &/ 
    মহাভারতে ব‍্যাসদেব নিজের কথা সাতকাহন করে বলেছেন কালো রঙের মানুষও ইম্পর্ট্যান্ট এরকম দ‍্যাখাতে গিয়ে, এটা হতেই পারে। কিন্তু এখানে সরাসরি ব‍্যাসদেবকে দোষ দেওয়া যাবে কি ?
    ব‍্যাসদেব যে বইটা লিখেছিলেন সে কেবল আঠারো দিনের যুদ্ধ নিয়ে, চটি বাই, নাম জয়নামইতিহাস (জায়ানামাইতিহাসা। বা ঐরকমই কিছু, হিন্দি/সংস্কৃত উচ্চারণে)। পরে হাজারো লোকের লেখনীচালনায় হাজারো সাবপ্লট ঢুকে প্লট বদলে যাবার জোগাড়।
    এরকম অবশ‍্য হতে পারে, যেমন আপনি বলেছেন, সাবপ্লট লেখকদের প্রায় সবাই কালো বলে ঐ কালো রঙের মানুষ ব‍্যাসদেবের গুরুত্ব দ‍্যাখানো হয়েছে।
  • জয় | 82.1.126.236 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:২৪492408
  • ক্রিকেট এখানে ব্রাত্য কিনা জানিনা! 
    ব্যাক গ্রাউন্ডে বিবিসি রেডিও কমেন্টারি টেস্টম্যাচ স্পেশাল শুনছি।
    অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডকে নিদারুন ভাবে পাউন্ডিং করছে। ইংল্যান্ড এর জন্য গত দুবছর ধরে প্রিপেরেশন নিচ্ছিল?!
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:7cf8:24d9:59b4:1578 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:২১492407
  • আরে না না! জিনিসটা হাল্কাভাবেই নিয়েছি।
    দাঁড়ান, কালকের গল্পটা লিখে ফেলি। ভুলেই যাচ্ছিলাম আরেকটু হলে।
  • একক | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:২১492406
  • বেঁচে আছি কিনা বোঝা , পরিষেবা দিতে গেলে দরকার। পুরো সিস্টেম টা অনলাইন হলে ; যে একাউন্টে সরকারি টাকা যাচ্ছে কিন্তু লং টাইম ডেবিট হচ্চে না,  তার এগেইন্সট এলারম রেইজ করা জরুরি। কোন ভাবে কমিউনিকেট করতে হবে। তার ই অফ্লাইন ভারশন টা বয়স্ক মানুষেরা খেটেখুটে বজায় রাখেন। দিব্যি সিস্টেম ঃ)
  • জয় | 82.1.126.236 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:১৫492405
  • সে
    গভীর সমস্যার কথা বললেন! জানিনা যাঁরা ভুক্তভোগী তাঁদের উপায় কি? 
     
    আমি বয়ষ্কদের টেকনোফোবিয়া নিয়ে মস্করা করতে লেখাটা লিখিনি! আমার খুব সুরিয়াল লেগেছিল- এই প্রমান করার ব্যাপারটাঃ বেঁচে আছি। সরকারের কাছে। হয়ত নিজের কাছেও।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:7cf8:24d9:59b4:1578 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:৫৯492404
  • জয়,
    গুড মর্নিং।
    অবসর গ্রহণের পরে প্রত্যেক বছর বেঁচে থাকার প্রমাণ সব পেনশনভোগী নাগরিককেই দিতে হয় সব দেশেই।
    কিন্তু সেই পদ্ধতি সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সহজতর হওয়া দরকার।
    ভারতে সেই ব্যবস্থা নেই। যিনি মোটামুটি শয্যাশায়ী বা হাঁটতে পারেন না বা সব কিছু গুছিয়ে করবার ক্ষমতা হ্রাসপ্রাপ্ত, তিনি কী করবেন? বা মনে করুন দীর্ঘকাল ধরে চিকিৎসাধীন, বাড়িতে তেমন কেউ নেই দেখাশুনো করবার জন্য।
    এঁদের দেখাশোনা করবার জন্য সরকারকে পাশে থাকতে হয়। সক্রিয়ভাবে। বাড়িতে সরকারী স্বাস্থ্যকর্মীরা গিয়ে দেখা করে খবরাখবর নেবেন এমন ব্যবস্থা নেই। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত