এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • খেলার আশ্চর্য স্মৃতিচারণ

    Netai
    অন্যান্য | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১১ | ১০৬২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Netai | 121.241.98.225 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৩:৪৫491034
  • name:nyaramail:country:

    IPAddress:122.167.174.22Date:01Sep2011 -- 10:25PM

    ছেলেগুলো মেসি-মেসি করেই গেল। দেখিসনি তো খেলা আমাদের সময়ের। সে ছিল সামাদ। বল ছুঁতো না, সেন্টার লাইনে বল যেমন-কে-যেমন রাখা আছে আর সামাদ বলের ওপর ছুরির মতন পা চালচ্ছে। বল ছুঁচ্ছে না কিন্তু। একটা করে পা চালাচ্ছে আর একটা করে ডিফেন্ডার পড়ে যাচ্ছে। শেষ পা চালাল আর পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে থাকা স্টপারটা পড়ে গেল। সমাদ তখন গদাইলস্কর চালে হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে বলটা গোলে ঢুলিয়ে আবার হাত দিয়ে তুলে এসে সেন্টারে বসিয়ে দিলে।

    name:nyaramail:country:

    IPAddress:122.167.174.22Date:01Sep2011 -- 10:28PM

    তারপর ধর আমাদের আমেদ, আমেদ খাঁ। খুব অলস আর গা বাঁচান প্লেয়ার। কৃশাণু অনেকটা ঐ স্টাইলের ছিল। রাইট আউটের কাছে দাঁড়িয়ে আছে যেন খেলতে ভাল লাগছে না। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গ্যালারি দেখছে। পাশ দিয়ে ভেঙ্কটেশ বল নিয়ে উঠতে উঠতে আমেদকে জমা করে গেল। ব্যস। আমেদ একা সাতটাকে ভাঁজ মেরে, গোলিটাকে বডি সোয়ার্ভে শুয়ে গোল করে এল। পারবে, মেসি?

    name:nyaramail:country:

    IPAddress:122.167.174.22Date:01Sep2011 -- 10:37PM

    আর চুণী? ও জিনিস কি আর হবে? স্বার্থপর টাইপের খেলত, বল ছাড়ত না। নিজের গোল করবে। অবশ্য মাঝে মাঝে মনে হত বলই ওকে ছাড়ছে না। সেবার খেলা হচ্ছে বেঙ্গল আর ইস্টার্ন রেল। ইস্টার্ন রেলের দুর্দান্ত টিম। পিকে আর অরুণ ঘোষ একেবারে জান কবুল করে খেলছে। খেলা শেষের দিকে, তখনও গোল হয়নি। চুণী নিজেদের হাফ লাইনে বল পেয়ে উঠতে শুরু করেছে। একজনকে কাটাল, দুজনকে কাটাল, তিনজনকে কাটাল। সবকটা রেলের ছেলে তখন চুণীর দিকে ছুটেছে। আর এদিকে প্যারালালি একেবারে ফাঁকা জমিতে তরতর করে অরুময় উঠে আসছে। কেউ নেই। অরুময় চেঁচিয়ে বল চেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কে কার কথা শোনে ! চুণী তখনও ভাঁজ মেরে যাচ্ছে। পেনাল্টি বক্সের কোণে যখন, চারটে রেলের প্লেয়ার ঘিরে ফেলেছে তখনও চুণী বল ছাড়েনি। অরুময় ওখানে ধুত্তেরি বলে খিস্তি করতে করতে নেবে গেল। চুণী ভাঁজ মারতে মারতে গোল লাইনে গিয়ে একটি মাইনাস করল। ও:, সে যদি দেখতি! ওখানে অরুময় কেন অরুময়ের ঠাকুমা থাকলেও গোল হয়। স্রেফ একটি টোকা। কিন্তু তখন কোথায় অরুময়! সে তখন সেন্টার লাইনে দাঁড়িয়ে গজগজ করছে।

    তাই বলছি, ওসব মেসি-টেসি দেখাসনি।

    name:akamail:country:

    IPAddress:168.26.215.13Date:01Sep2011 -- 10:54PM

    তবে এসবই কিনা কলকাত্তাইয়া খেলা। কলকাতার ফুটবলকে যারা ধরে রেখেছিল সেই মফস্বলের প্লেয়ারদের কথা আর কেই বা জানে। যেমন ধরুন তারকদা। তখন তারকদার কতই বা বয়স বোধহয় ১৬ হবে। তরুণ সংঘ আর সবুজ সংঘের খেলা। সবুজ সংঘের টিমটা শুনুন ডিফেন্সে বাবলুদা মানে আপনাদের সুব্রত ভটচায, মিডফিল্ডে তিনে কাকু মানে আপনাদের অশোকলাল, গোলে শান্ত কাকু মানে আপনাদের প্রশান্ত মিত্র আর কোচ হল মুরারী দা মানে মুরারী শূর। তারকদা তরুণ সংঘের হয়ে খেলছে। খেলা তখন মাঝপথে তারকদা বল নিয়ে উঠছে আর শরীরের দোলায় কেটে যাচ্ছে এক এক করে মহারথীরা। শেষে গোলপোস্টের কাছে এসে একা শান্ত কাকু আর তারকদা। বলটা একটু নাচিয়ে মাথায় নিয়ে তারকদা দাঁড়িয়ে রইল শান্ত কাকু একটা লাফ দিল তারকদা শুধু একটু সরে গেল, বল রইল সেই মাথায়। সামনে শুধু ফাঁকা গোল। গোল লাইনে বল মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে তারকদা। দৌড়ে আসছে কলকাতার বড় বড় ক্লাবের মহারথীরা। আর শরীরের আলতো দোলায় কেটে যাচ্ছে কখনো বাবলুদা কখনো তিনে কাকু। এরকম করে যখন এগারো জনই মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে তখন তারকদা বলটা একটু নাচিয়ে একটা ব্যাকভলি করে গোল দিল।

    শুধু চোলাই আর খৈনি খেয়েই শেষ হয়ে গেল, কলকাতার লোক আর তারকদার খেলা দেখতে পেল না। তাই এখন চুণী, সামাদা, কৃশাণু, সুরজিৎ, এসব নিয়ে নাচে।

    name:akamail:country:

    IPAddress:168.26.215.13Date:01Sep2011 -- 11:33PM

    তারপর ধরুন মুরারী দার কথা। সবাই জানে মুরারী দা ভালো কোচ। যখন ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখতাম তখন মুরারী দা আমাদের একবার ট্রেনিং করিয়েছিল। দাদারে দশ মিনিটে লাং খুলে হাতে চলে এসেছিল। তারপর মুরারী দাকে দেখলেই আমাদের পড়া থাকত। কলকাতার লোকেও মুরারী শূরকে চেনে ভালো কোচ হিসেবে কিন্তু জানে না মুরারী দা ভালো গোলকিপারও ছিল। ওদিকে সুব্রত ভট্টাচার্য্যকে সবাই চেনে ভালো ডিফেন্ডার হিসেবে কিন্তু জানে না ভালো যে বাবলুদা ডেড বল সিচুয়েশনে মাস্টার। একবার মুরারী দা আর বাবলুদার মধ্যে চ্যালেঞ্জ হল যে বাবলুদা মুরারী দাকে পেনাল্টিতে গোল দেবে। প্রথম শট - গোল, দ্বিতীয় শট - গোল, তৃতীয় শট - মুরারীদা ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দেখল বল বাঁদিকে, অদ্ভূত কায়দায় শূন্যে শরীর বাঁকিয়ে বাঁদিকে গিয়ে বল সেভ করল মুরারী দা। পরের শট, বাবলুদা জানত এবারে মুরারীদাকে বিট করা অসম্ভব তাই ট্রিক করেছিল বল মারবে বারে, রিটার্ণ বলে আবার মেরে গোল করবে, কিন্তু বল বারে লেগে ফিরে আসার পরে দেখল মুরারীদা সেই বল কিপ করার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। পঞ্চম শটে কি হয়েছিল সে কথা এরপরে শুধুই ডিটেল।

    এইভাবেই মেসির আড়ালে চূণী, চূণীর আড়ালে তারকদা, কলকাতার আড়ালে মাফস্বল আর শাইনিং ইণ্ডিয়ার নীচে কালো অন্ধকার ঢাকা পড়ে যায় - যা কিনা একমাত্র অনিবার্য্যতা।

    name:nyaramail:country:

    IPAddress:122.167.174.22Date:02Sep2011 -- 12:04AM

    মান্নার কথা আর কীই বা বলব। ও তো লেজেন্ড। এমনি খেলা ছেড়েই দে, ফ্রিকিক ধর। পেনাল্টি বক্সের কুড়ি গজের মধ্যে ফ্রিকিক তো হয়ে গেল। মান্না দশটায় সাতটা ঢোকাবেই। তো একবার ওরকম পেনাল্টি বক্সের লেফট কর্ণারে মান্না ফ্রিকিক পেয়েছে। আর বুঝলি, তখন তো ভালভে হাওয়া-দেওয়া বল আসেনি, খেলা হত দড়ি বাঁধা বলে। মানে হাওয়া ভরে দড়ি বেঁধে দেওয়া হয়। আর ওটাই ছিল মান্নার ওয়াটার অফ ইন্ডিয়া। তো ফ্রিকিক। তখন অমন ছ-সাতজনের ওয়াল হত না। দুজন ওয়াল করেছে। বাকি দু চারটে এদিকে ওদিক ম্যান-মার্কিং করছে। আর বাকি ছ-সাতটা একবারে বারের তলায় লাইনে গিয়ে গোলির পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বল ডোকার জায়গা নেই। সবাই দেখে মান্না গোলের দিকে নয়, বল মারতে যাচ্ছে একদম লেফট উইং-এর বাইরে। দড়ির মুখটা কিন্তু গোলের দিকে। তো মান্না ছুটে এসে আউটস্টেপ দিয়ে মারলে গাঁতিয়ে। কোথায় বলত। একেবারে লেফট উইং-এর লাইন্সম্যানকে লক্ষ্য করে। আর লাইন্সম্যান ব্যাটা ঐ বল আসতে দেখে তো মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছে। বললে বিশ্বাস করবি না বলটা সোজা লাইন্সম্যানের দিকে গেল গজ দশেক। তারপরে কী হল বল তো? বেবাক গোঁত্তা খেয়ে প্রায় একটা সত্তর ডিগ্রি কার্ভ করে গোলের দিকে। ওদিকে ডিফেন্ডারগুলো বল বাইরে যাচ্ছে দেখে কেউ হোজ ঠিক করছে, কেউ বি* চুলকোচ্ছে, কেউ কোমরে হাত দিয়ে দাঁত ক্যালাচ্ছে। হঠাৎ দেখে বলটা সোয়ার্ভ করে গোলের দিকে আসছে। সব পড়িমরি করে হেড দিতে গিয়ে মাথা ঠোকাঠুকি করে মরল আর বলটা তাদের হ্যালো, হাউ ডু ইউ ডু বলতে বলতে গোলে গিয়ে ঢুকল।

    তোরা আবার ব্যানানা কিকের গপ্প শোনাস।

  • nyara | 203.110.238.17 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৪:৫০491045
  • বোঝা গেল নেতাই ইস্টবেঙ্গলের সাপোর্টার । তাই এই গপ্পটা বাদ দিয়েছে । ফর কমপ্লিটনেস দিয়ে দিলাম । বলাই বাহুল্য, এগুলো একদম গাঁজাড়ু গপ্প, কোন মাথামুন্ডু নেই । আকার গুলূ তাই মনে হয় ।

    ---------
    name:nyaramail:country:

    IPAddress:122.167.174.22Date:02Sep2011 -- 12:27AM

    তবে স্কিল দিয়ে সব হয় না। যেমন ধর মিহির বোস। স্কিল-ফিল নেই। কিন্তু কুত্তার মতন টেনাসিটি আর গোলের খিদে। কোন্নগরের ছেলে। ওর কোচটাকে চিনতাম। মিহির যখন ওর কাছে ঢোকে তখনই গাঁট, মাথায় কিছু নেই। তার ওপর কোচটা ওকে একটা ইঁটের দেয়ালের সামনে দাঁড় করিয়ে বলত, ওদিকে গোল আছে। আর বলে বলটা দেয়ালের অন্যদিকে ছুঁড়ে দিত। আর মিহির ষাঁড়ের মতন গিয়ে দেয়ালে ঢুঁশো মারত। এই করে করে মাথা যখন একদম নিরেট হয়ে গেল, ইস্টবেঙ্গল ওকে নিয়ে নিল। ওদের খেলায় মাথা লাগে না।
  • saikat | 202.54.74.119 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৫:০১491048
  • সাইড লাইনের ওপর দিয়ে বিদেশ বোসের দৌড় নিয়ে কিছু হবে না?
  • Netai | 121.241.98.225 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৫:০২491049
  • না না। বাদ দিই নি। মিস করে গেছিলাম। :)
    বিটিডব্লিউ, আমি মোহনবাগান
  • de | 203.199.33.2 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৫:২৬491050
  • :)))))
  • ppn | 216.52.215.232 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৫:৩৮491051
  • দে, বেচারাদের নিয়ে অত হাসা ঠিক না। এ পাতায় ঘটিরা আগেও সেমসাইড করেছে, ভবিষ্যতেও করবে। :)
  • siki | 123.242.248.130 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৬:০৪491052
  • :)
  • pingo | 173.253.130.61 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:৩২491053
  • পুরো ঘনাদা।
  • de | 120.62.171.153 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:২২491054
  • হক্কথা অপ্পন! ওঁদের খেলাতে আবার শুধুই মাথা লাগে -- পা লাগেই না :)))
  • ranjan roy | 122.173.178.213 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৪:৪৫491035
  • কিন্তু আগে কখনো মেসি আসুক কি রুনি আসুক, আমি আর মাঠে যাচ্ছিনে, বোকাবাক্সোতেই দেখবো।
    আমাদের কচিকাঁচা নিয়ে আটজনের টিকিট, দুটো মেয়ে আর পুঁচকেটা মেসি জার্সি, আমি আর কলেজের ছোঁড়া ভেনেজুয়েলার লাল। দুই সিনিয়র সিম্পল।
    তিন নম্বর আর চার নম্বর গেটের পাশাপাশি লাইন। পোনে পাঁচটায় গিয়ে লাইনের ল্যাজা দেখবো বলে আমরি'র সামনে থেকে হাঁটতে শুরু করলাম। চারের লাইন শেষ, কিন্তু তিনের শেষ খুঁজতে গিয়ে সেই বাইপাসের ফুটপাথে প্রায় একনম্বর গেটের কাছে পৌঁছে গেলাম। সোয়া ছ'টা অব্দি লাইন নড়লো না, একটুও না। শেষে দলের দুই সাংবাদিক পুলিশের খোঁজে বেরুলো। এখানে ওখানে ফোন করলো , কারণ আমাদের পেছনে লাইন আরো দু'কিলোমিটার লম্বা হয়ে গেছে। মেসির প্র্যাকটিস দেখা চুলোয় গেল, খেলা দেখতে পাবো কিনা কে জানে!
    তারপর হটাৎ লাইন ভেঙে পাবলিক দৌড়তে শুরু করলো, আমরাও। নতুন গিজপিজ লাইন হলো। এদিকে বাচ্চাদের বন্ধুরা (কেউকেউ মুম্বাই থেকে এসেছে মেসির জন্যে) অন্য গেটের টিকিট পেয়ে অনেক আগে ভেতরে ঢুকে বসে আছে, প্র্যাকটিসও দেখতে পাচ্ছে।
    লাইন আবার ভাঙে, আবার দৌড়ই। এমনি সাতবার হওয়ার পর গেটের কাছে যখন পৌঁছুলাম তখন ঠিক সাতটা, আর আমি দলছাড়া। টিকিট আমার ভাইয়ের কাছে। মোবাইল কাজ করছে না, মেসেজ আসছে--- শুধু এমার্জেন্সিতে। শালা! ঘেমেনেয়ে হাঁপিয়ে--।
    গেটে পুলিশ আটকালো, আমি কিছু এদিক ওদিক বলে ঢুকে পুলিশের পাশে দাঁড়ালাম। একজন জানালেন আপনার ভাই এখান থেকে ফোন করছিলেন। কিন্তু সে শ্যালক কোথায়! শেষে পুলিশকে চুক্কি দিয়ে ভেতরে সতেরো নম্বর র‌্যাম্পের সামনে দাঁড়িয়ে ফোন করছি-- এদিকে মাঠের ভেতর থেকে পাব্লিকের সমুদ্রগর্জনের ঢেউ ভেসে আসছে।
    ওরা পাগলের মত বলছে-- দাদা, লাইন ছেড়ে গেটের কাছে পুলিশের কর্ডনের পাশে আয়। আমরা কচিদের ঢুকিয়ে তোর জন্যে অপেক্ষা করছি।
    আমি যত বলি-- ভেতরে ঢুকে গেছি, র‌্যাম্প অব্দি, টিকিট ছাড়াই, তোরা আয়,-- ওরা বিশ্বাসই করে না।
    শেষে পারস্পরিক গালাগালির পর যখন শেষ তিনজন হাঁপাতে হাঁপাতে সিঁড়িতে হোঁচট খেতে খেতে স্টেডিয়ামের সবচেয়ে উঁচু ধাপে বসতে পারলাম, দেখি ছাত থেকে আমার গায়ে টিপ টিপ করে জল পড়ছে।
    কিন্তু ওসব থোড়াই কেয়ার করি। তখন যে সেন্টারে বল বসানো, চারটে ফরোয়ার্ড দাঁড়িয়ে আর রেফারি ঘড়ি দেখছে।
    খেলা যা হল-- পয়সা উশুল!
  • aka | 75.76.118.96 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:৩২491036
  • অবশ্যই আমার গুলো গুল্প। নামগুলো আসল। একটু ভুল হয়েছিল প্রশান্ত মিত্রকে আমরা ডাকতাম মিলন কাকু বলে।

    আসলে মফস্বলে এরকম প্রচূর প্রতিভা ছিল যারা আমার ধারণা ওয়ার্ল্ড ক্লাস, ইনফ্রাস্ট্রাকচার না থাকার জন্য, টাকা পয়সা না থাকার জন্য কোথায় হারিয়ে গেল।
  • Du | 117.194.198.52 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:৪১491037
  • গেটেরটা বাদ দিয়ে আমাদের এক্সপিরিয়েন্সও রঞ্জনদার মতই, মনে হয় আমরা একটু আগে পরেই দাঁড়িয়েছিলাম তিন নম্বরের লাইনে।

    আমি অবশ্য লাইন থেকেই বাড়ি ফিরেছি - ছেলের বর্ণনার একটি লাইন হল - messi has this bursts of magic
  • dukhe | 117.194.238.51 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৮:২১491038
  • ন্যাড়া আর আকাকে সবুজ মেরুন সেলাম ।
  • ranjan roy | 122.173.178.213 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৮:২৭491039
  • সেকি, দু! আপনি খেলা না দেখেই বাড়ি গেলেন নাকি? অবশ্যি আমিও আর একটু হলে তাই করছিলাম।
  • b | 203.199.255.110 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১১:৩৩491040
  • পছন্দ হল টই-টা।
    গুরুতে অনেক দিন আগে একটি টইতে মোহন-ইস্টের ৭০ দশকের খেলোয়াড়দের ডিটেল বিশ্লেষণ ছিল। দারুণ লাগতো।
    ইসে, কৃশানুর খেলা আমি দ্যাখসি। বিশেষ করে পি এস ভি এইন্ডহোভেন বনাম আই এফ এ একাদশ। একটি ভাঁজে দু তিনটি গাম্বাট সাইজের ডাচ একেবারে কুমড়ো গড়ান দিছিল। অবশ্য তাতেও ৪-০ তে হার ঠেকানো যায় নি।

    (এবার মনে হচ্ছে আমিও anecdotage-এ আক্রান্ত হলাম।)
  • prateek | 180.151.34.130 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৩:১৯491041
  • বেশীক্ষন মাঠে ছিলনা তো,মিনিট ২৫ বোধয়।
  • Netai | 122.176.171.212 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:৫১491042
  • name:Timmail:country:

    IPAddress:128.173.176.151Date:22Sep2011 -- 10:45PM

    এইসবের থেকে হটকে, দাদির ফিল্ডিং। আলাদা ঘানা। ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপের ফাইনাল সম্ভবত। সইদ আনোয়ার মেরে ফাটিয়ে দিচ্ছে। ১৯৬ মত করে বোধয় একটা ক্যাচ উঠলো। দেখা গেল সবাই প্রবল অনিচ্ছায় ইতিউতি দেখছে। দাদি ইনিশিয়ালি দাঁড়িয়েই ছিলো। আরেকটা চার বা ছয় হবে, এতে আর করারই বা কি আছে। কিন্তু তারপর সম্ভবত উইকেটকিপার চিল্লিয়ে কিছু একটা বলায় দাদি পেছনের দিকে দৌড়োতে শুরু কল্লো। দৌড়োচ্ছে দৌড়োচ্ছে, ঘন্টায় আট দশ গজ, মোটামুটি এইরকম স্পিড, বল হাওয়ায় কাঁপছে সাথে দাদিও একবার পাক খেয়ে নিলো কিন্তু বল আর পড়েই না। শেষে নাকি একটা চিলের পেটে গোত্তা খেয়ে সেই বল পড়তে শুরু করে। অন্তত বার পঁচিশেক জিগজ্যাগ করে সেই বল যখন ট্রাপিজের নাইকার মত ফাঁকি মেরে বেরিয়ে যাচ্ছে, দাদি ডিগবাজি খেয়ে নিমাইঠাকুরের স্টাইলে উদ্বাহু হয়ে সেটা ধরে ফেল্লো। আনোয়ার অবশ্য ততক্ষণে প্যাভিলিয়নে বসে কফি খাচ্চে।

    name:akamail:country:

    IPAddress:168.26.215.13Date:22Sep2011 -- 10:30PM

    সে যদি বলো ল্যারি কনস্ট্যানটাইন। বোলিং আর ব্যাটিং তো ছিলই। সাথে ছিল চিতাবাঘের খিপ্রতা, বাজ পাখির মতন চোখ, আর বেতালের মতন অ্যান্টিসিপেশন। বল করে কনস্ট্যানটাইন যখন রানাপে ফিরে যেত তখন ফিল্ডাররা বল ছুঁড়ত ল্যারির পেছনে। ল্যারি তখন সামনের দিকে তাকিয়ে হাঁটছে। কেউ কোনদিনও সেই ক্যাচ ল্যারিকে মিস করতে দেখে নি। একবার ল্যারি স্কোয়ার লেগে ফিল্ডিং করছে। ফাইন লেগে কেউ নেই। ব্যাটসম্যান ব্যাট করার আগে জায়গাটা দেখে নিল। সাথে সাথে ল্যারিও প্ল্যান ছকে নিল। বল ডেলিভারি হওয়ার সাথে সাথে ল্যারি দৌড় শুরু করল ব্যাটসম্যান অবধারিত সুইপ করল, এমনিতে চার হওয়া উচিত। কিন্তু সবাই অবাক হয়ে দেখল সেখানে দেওয়ালের মতন ল্যারি দাঁড়িয়ে। সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে প্রায় মাটিতে মিশে যাওয়া বলকে ল্যারি বাজ পাখির মতন তুলে নিল।

    এই হল দেশী আর বিদেশী ফিল্ডারের পার্থক্য।

    name:Timmail:country:

    IPAddress:128.173.176.151Date:22Sep2011 -- 10:25PM

    তারপর ধরো ফিল্ডিং এর দক্ষিণ ভারতীয় ঘরানা। প্রাচীন ঐতিহ্য ও প্রবল হিন্দুয়ানা আক্রান্ত ফিল্ডিং স্টাইল। কুম্বলে বা শ্রীনাথের আউটফিল্ডে ফিল্ডিং ছিলো গৃহদেবতাকে প্রণাম করার মত। হাঁটু ভেঙে বসে, তারপর আরেক ধাপে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করার মত করে বল তুলে নেওয়া। অবিশ্যি মাঠ এবরোখেবরো হলে বলের গতিপথ বদলাবে, তখন আবার কষ্ট করে ( এই জায়গাটায় পুরোনো সাদাকালো সিনেমার বাতে কষ্ট পাচ্ছেন এমন বর্ষীয়সী এবং সম্ভবত শোকস্তব্ধ মহিলাদের মনে পড়বে) রিভার্স স্টেপ ফলো করে উঠে দাঁড়িয়ে বাউন্ডারির দিকে যাওয়া। তবে বলবয় যদি তেমন তেমন দায়িত্বশীল হতো তো পরের কষ্টটা থেকে অনেকেই রেহাই পেতেন।

    name:Timmail:country:

    IPAddress:128.173.176.151Date:22Sep2011 -- 10:17PM

    ভারতীয় ফিল্ডিং চিরকালই ঐতিহ্যবাহী। বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান। তবে নবাবীয়ানা বজায় রাখার চেষ্টা আমরা অজয় জাদেজা বা মহারাজের মধ্যে দেখিচি। একবার, ইডেনে কার সঙ্গে যেন খেলা মনে নেই। জাদেজা লং অফে। কপিলের বলে লোপ্পা ক্যাচ উঠলো। বল টঙে। ক্যামেরায় ধরা হলে দেখা গেল, জাদেজা কয়েকজন লাস্যময়ী যুবতীকে অটোগ্রাফ দিচ্ছে। ক্যাচটা মিস হবে অবধারিত, এমন সময় কপিল পাজি তেড়ে খিস্তি কল্লেন। সে এমন খিস্তি, যে শোনা যায় জামনগরের তাপমাত্রা দুডিগ্রি বেড়ে গিয়েছিলো। সে জা হোক, গালাগাল শুনে সুন্দরীরা কানে হাত দিয়ে লাল হয়ে পালিয়ে গেলেন, আর অমনি অটোগ্রাপের খাতাপেন ফেলে জাদেজার দৌড় শুরু। তবে শুধু দৌড়ে কি আর ঐ ক্যাচ হয়? শেষটা অন দ্য রান সামনে ঝাঁপিয়ে বলটা যখন পেলো তখন ঘাসের ডগা থেকে সিম আধ সেমি দূরে। তখন ক্যাচটা নিয়েই এমন লাপালাপি হলো যে খিস্তির কথাটা ধামাচাপা পড়ে যায়।

    name:nyaramail:country:

    IPAddress:203.83.248.37Date:22Sep2011 -- 09:59PM

    বুঝলি, ঐ পাতৌদি। কী ছিল লোকটা। ক্লাব হাউসে বসে আছে। বেয়ারা চা এনে ঢেলে দিল। কিন্তু কাপটা তুলতে পারছে না। আমি দেখছি। একটা চোখ পাথরের তো। বাইনাকুলার ভিশনটা চলে গেছে। সব প্যারাল্যাক্স হচ্ছে। কাপের আঙটায় আঙুল ঢোকাতে যাচ্ছে, দু ইঞ্চি পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। ভাব একবার। এই পাতৌদিই ঐ পাথরের চোখে তাবড় তাবড় সব ফাস্ট বোলারদের খোলা পিচে খেলে দিল।

    তারপর আউটফিল্ডে ফিল্ডিং! তোরা আজহার, আজহার করিস। ঠিকই, আজহার অত্যন্ত অ্যাথলেটিক। কিন্তু পাতৌদি অন্য ঘরানা। নবাবের বাচ্চা তো। অদ্ভুত রকম আন্দাজ। এক্সট্রা কভারে দাঁড়িয়ে আছে। একদম অলসভাবে। কিন্তু বোলারের হাত থেকে বল বেরোনো মাত্র আন্দাজ করের ফেলল যে কভার ড্রাইভ আসছে। আর একটু সরে জায়গা নিয়ে নিল। এ জিনিস তোদের আজহার কেন জন্টি রোডসও দেখাতে পারেনি। আর ছিল বলের পেসের আন্দাজ। যদি কোন বলের পেছনে পতৌদি ছুটত, আমরা জানতাম বল বাইন্ডারি পেরোবে না, তার আগে নবাব ধরে ফেলবে। আর যে বল বুঝত ছুটে ধরা যাবে না, ছোটার চেষ্টাই করত না। অন্য কোন ফিল্ডারকে ইশারা করত, সে গিয়ে বাউন্ডারি থেকে বল নিয়ে আসত। নবাবের বাচ্চা, ওরা কি আর বাউন্ডারিতে বল কুড়োতে পারে!

    এ জিনিস আর হবে না। তারপর তো ক্রিকেট চলে গেল বম্বের মধ্যবিত্তদের হাতে। ওয়াডেকর থেকে তেন্ডুলকর।
  • Netai | 122.176.171.212 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:৫৫491043
  • name:akamail:country:

    IPAddress:168.26.215.13Date:22Sep2011 -- 11:00PM

    ফিল্ডিংয়ের কথা বললে বেদির কথা বলতেই হবে। বেদি খুব মানব দরদী ক্রিকেটার ছিলেন। উনি সব সময়ে বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং দিতেন, কেন? না ওনার হাতে সব সময়েই একটা চ্যানেল করা থাকত কারুর রক্ত দরকার পড়লেই মাঠের মধ্যেই ব্লাড দেবার বন্দোবস্ত হত। সেই কয়েক ওভার বেদির জায়গায় প্রসন্ন বল করত। এই নিয়ে ওনাদের নিজেদের মধ্যে বেশ আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল। কিন্তু ফিল্ডিংটা ওনাকে দিতেই হত, এমনি কিছু না বলটা বাউন্ডারি চলে যাবার পরে একটু দৌড়ে কুড়িয়ে এনে বোলারকে ছুঁড়ে দিতে হত। তখনকার দিনে তো আর বলবয় পাওয়া যেত না। আর যখন ব্লাড দেওয়া চলত তখন যে রোগী সেই কুড়িয়ে দিত কৃতজ্ঞতায়, একে তো ব্লাড পাচ্ছে, দ্বিতীয়ত টেস্ট ক্রিকেটে ফিল্ডিং করার অনুভুতি। ভেবেই দেখুন কি মহানুভব ক্রিকেটার ও ফিল্ডার ছিলেন বেদি, আজকের দিনের পয়সা সর্বস্ব ছেলেপুলেদের মতন নয়।

    name:Timmail:country:

    IPAddress:128.173.176.151Date:22Sep2011 -- 11:04PM

    না, ঘুনসি পরার সময় তো আরো আগে। সেই যখন আউটফিল্ডে উৎকৃষ্ট ব্যালে দেখা যেত। বল ধরে দু হাত স্ট্রেচ করে টুং করে একটা আবাজ। অত:পর হাত পাকিয়ে প্রবল জোরে থ্রো। সেই বল তিন ড্রপে উইকেটকিপারের হাতে যেত।
    অবশ্য তাতে খুব বেশি ক্ষতি হতো না। রান নেওয়ার সময় হাঁপিয়ে গেলে তখন অনেক ব্যাটসম্যান মাঝপথে থেমে একটু আলোচনা করে নিতেন। প্যাড ঠিক করে নিতেন। কেউ হাপ সেঞ্চুরিতে পৌঁছলে দর্শকদের গ্রিট করে নিতেন টুপি খুলে।

    name:Timmail:country:

    IPAddress:128.173.176.151Date:22Sep2011 -- 11:12PM

    বেদীর কথা বললে আর রজার বিনির কথা ভুলে গেলে? রজার বিনির বলের যেমন ছিলো জোর তেমনি একহাত করে সুইং করাতেন। কত বল যে আম্পায়ার ওয়াইড ডেকে দেওয়ার পর বাঁক খেয়ে উইকেট ভেঙে দিয়েছে ইয়ত্তা নেই। আর ফিল্ডিং এর কথা কি বলবো! মাঠের মধ্যে তো বটেই বিনি একেক সময় স্টেডিয়ামের লাগোয়া ছাদ থেকেও নাকি বল ছুঁড়ে উইকেট ভেঙে দিতো। তো, হলো কি, ভারত বিনির হাত ধরে জগ্‌ৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন নিয়েই ফেলেছে, এমন সময় সাম্রাজ্যবাদী ক্যাপ্টেনরা একটা ছক কষলো। এমাইটির বাঘা বাঘা সাইন্টিস্ট মিলে বের করলো ফিউচারিস্টিক বল। ব্যাটে লাগার তিরিশ সেকেন্ড পরেই সেই বল থেকে নানা শেপের ব্লেড বেরিয়ে ফিল্ডারের হাত ক্ষতবিক্ষত করে দেবে। তারপরেই ভাগ্যের চাকা ঘুরে গ্যালো। প্রতি ম্যাচেই দেখা গেল প্রথম দু ওভারের পরেই বিনির হাত রক্তাক্ত। এমন টেকনোলজি, যে আর কারুর হাত কাটনো না। হু হুঁ বাওয়া, সায়েবদের ব্যাপারই আলাদা।
    name:nyaramail:country:

    IPAddress:203.83.248.37Date:22Sep2011 -- 11:19PM

    বলের জোরে মদনলালকে কেউ টেক্কা দিতে পারবে না। খুব জোরে ছুটে আসত বল করতে। হাত থেকে বেরোনো বলের থেকে নিজের ছোটার গতি বেশি ছিল। কত ব্যাটসম্যান যে চুক্কি খেয়ে আউট হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। বাঁই করে মদনলাল হাত ঘোরাল, ব্যাটসম্যান জোর বল আন্দাজ করে সাপটে হাঁকড়াল। ফলো থ্রু-তে স্ট্যাচু হয়ে দঁড়িয়ে দেখল বল মর্নিং ওয়াক করতে করতে ঢুকে স্ট্যাম্প ভেঙে দিল।

    এর আর একটা উপযোগিতা ছিল। মদনলালের পরে চন্দ্রশেখর এল বল করতে। ব্যাটসম্যান ভাবলে পেসারেরই যদি বলের ঐ গতি হয়, স্পিনারের বল আসতে আসতে তো সন্ধ্যে হয়ে যাবে। এই ভেবে গার্ড নিয়ে হালকা আমেজে দাঁড়াল। চন্দ্রর বল বোলতার মতন গোঁ গোঁ করতে করতে ঢুকে বোল্ড করে দিল।
    name:akamail:country:

    IPAddress:168.26.215.13Date:22Sep2011 -- 11:24PM

    রমেশ কৃষ্ণণের সার্ভিস নিয়ে লেণ্ডল একবার বলেছিল। ও সার্ভিস করতে গেলে আমি একটু ঘুমিয়ে পড়ি, স্বপ্ন টপ্ন দেখা শেষ করে জেগে দেখি বলটা তখন সবে নেট পেরচ্ছে। তাই রমেশ খুব ভালো খেলা সঙ্কেÄও আমাকে হারাতে পারে না। কারণ সব সময়েই আমার এনার্জি অক্ষত থাকে।

    name:nyaramail:country:

    IPAddress:203.83.248.37Date:22Sep2011 -- 11:26PM

    মহিন্দার যে ভাবে বল করতে ছুটে আসত তাতে আদৌ যে বল করার ইচ্ছে আছে বা কোনদিন বোলিং ক্রিজে পৌঁছে উঠতে পারবে বলে মনেই হত না। সেই তুলনায় বল তো পুরো ঝোড়ো গতিতে হত।
    name:ppnmail:country:

    IPAddress:122.252.231.10Date:22Sep2011 -- 11:27PM

    ন্যারেটিভ রচনা করতে গিয়ে মহিন্দর অমরনাথ আর প্রভিন কুমারকে ভুলে যাচ্ছেন কমরেড ন্যাড়া।

    এদের সাথে একটারই তুলনা হয়। রমেশ কৃষ্ণনের ফার্স্ট সার্ভিস।
    name:Timmail:country:

    IPAddress:128.173.176.151Date:22Sep2011 -- 11:31PM

    সে বল্লে চেতন শর্মাকে নিয়ে দুপয়সা দিতে হয়। কপিলের কোমরের থেকে একটু লম্বা ফাস্ট বোলার। চিতাবাঘের থেকেও ক্ষিপ্র আর প্রবল ফাইটিং স্পিরিট। আর তার থেকেও বেশি বিশ্বাসী। শোনা যায় কপিলের কথায় চেতন শর্মা একবার এক বিলিতি সাংবাদিকের হাতে কামড়ে দিয়েছিলো।
    সে যাহোক, চেতন শর্মা পপিং ক্রিজের কাছে এসে একতা ম্যাজিক করতো। হাতদুটো বারকতক বাঁইবাই করে ঘুরিয়ে লাফিয়ে উঠে অদ্ভুৎ ডেলিভারি ( লাফের ফলে উচ্চতা হতো সাড়ে পাঁচ ফুটের একটু বেশি)। কিন্তু এত জোরে বল যে দেখাই যেতনা। হাইস্পিড ক্যামেরা লাগিয়েও কিস্যু হয়নি। পরের ফ্রেমেই দেখা যেত বল বাউন্ডারির বাইরে, বলবয়ের হাতে।

  • Netai | 122.176.171.212 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:২৪491044
  • name:Netaimail:country:

    IPAddress:122.176.171.212Date:23Sep2011 -- 12:21AM

    থেমে গেল?
    আমি একটা দি?

    গুল্প না। সত্যি সত্যি। নিজের কানে শোনা। গাভাসকার কত বড় ব্যাটসম্যান বোঝানো জন্য কেউ একজন বলছিল। ভারত পাকিস্তান টেস্ট শুরু হবে। ম্যাচের আগে প্রবল উত্তেজনা। গাভাসকার বলে রেখেছে এই ম্যাচে সেন্‌চুরি সে করবেই করবে। আর ইমরান খান বলে রেখেছে গাভাসকারকে আউট করা তারকাছে জলভাত।

    প্রথম ওভারেই ইমরান বল করছে। গুডলেন্থে বল। অফস্ট্যাম্প, অফস্ট্যাম্পের চার ইন্‌চ বাইরে বল পড়লো। গাভাসকার ব্যাটটা উপরে তুললো। আর নাবালৈ না। বুঝে গেছে বল বাইরে দিয়ে যাবে। হলও তাই। সিঙ্গাপুরি কলার মত বেঁকে বল চলে গেল কিপারের গ্লাভসে। নিখুত আউটসুইঙ্গার। তার পরের বলেও একই অ্যাকসন রিপ্লে। তৃতীয় বলেও। চতুর্থ বলও ইমরান সেই একই জায়গায় ফেলেছে। এবার কিন্তু গাভাসকার মিডলস্ট্যাম্প কভার করে ব্যাট নামালো। বুঝে ফেলেছে এটা ইনসুং করবে। বলটা গোঁত্তা খেয়ে ভেতরে ঢুকে ব্যাটে ধাক্কা খেলো তারপর গড়িয়ে গড়িয়ে সীমানার বাইরে। চার রান।

    name:drimail:country:

    IPAddress:117.194.239.50Date:23Sep2011 -- 12:31AM

    চেতন শর্মা।

    কলকাতায় টেস্ট খেলা। বিকেলবেলা। আমরা খেলা দেখব না খেলতে যাব ভাবছি। টিভি চালিয়ে দেখি চেতন শর্মা বল করতে আসছে।

    নো বল।

    চেতন শর্মা বিরক্ত। আম্পায়ারের দিকে তাকিয়ে কাঁধ ঝাঁকালো। একটু তর্ক করল।অআম্পায়ারকে বুঝিয়ে দিল পাটা কোথায় পড়েছিল। তারপর পরের বল করল।

    নো বল।

    এবার চেতন শর্মা চিন্তিত। মাথা নাড়ল। দাড়িতে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ ভাবল। বিরাট বিরাট পা ফেলে রান আপটা আরেকবার মাপল। রান আপ শুরুর মার্কারটা নিয়ে পেছনে ফেলল। পরের বল।

    আবার নো বল।

    টিভি বন্ধ করে আমরা খেলতে চলে গেলাম।

    name:Netaimail:country:

    IPAddress:122.176.171.212Date:23Sep2011 -- 01:05AM

    লেন হাটনের গল্পটায় হাটনের প্রথম ম্যাচের সারসংক্ষেপ দেওয়া ছিল। হাটন চান্স যখন পেয়েছেন তখন তিনি রীতিমত প্রতিশ্রুতিমান। তাও লোকজন কানাকানি করছে। এত কম বয়সে টেস্ট খেলানো কি ঠিক হচ্ছে? ফাস ক্লাসে খেলছে এই কি বড় নয়। তারপর তো প্রথম ইনিংসেই হাটন জিরো রানে আউট। লোকে ছ্যা চ্যা করছে। লজ্জায় হাটনের মাথা হেঁট। মন খারাপ কমাতে হাটন সিনেমা হলে গেছে সিনেমা দেখতে। সেখানূ লোকে উত্তাল টিটকিরি দিল। হাটন দৌড়ে পালিয়ে এলো ঘরে। আর চোয়ালটা শক্ত করল। আম আদমির মত ভেঙে না পড়ে। পরের ইনিংসে যা হল। একেবারে ধুন্ধুমার কান্ড। যাই বল পাচ্ছে প্যাট প্যাট করে ক্যালাচ্ছে। পেঁদিয়ে ছাল চামড়া তুলে যাকে বলে বাংলায় ঠিক তাই। চোয়াল একটু হালকা করতে যখন আউট হল ততক্ষনে দুশ রান হয়ে গেছে।

    name:akamail:country:

    IPAddress:168.26.215.13Date:23Sep2011 -- 01:14AM

    তাহলে সন্দীপ পাতিলের গপ্পোটা শোনো। ভারত অস্ট্রেলিয়া গেছে, পাতিল প্রথম ইনিংসে প্রথম বল হেলমেটে খেল, সে বরফ ঘষে, ইঞ্জেকশন নিয়ে, হসপিটালে এক্সরে টেক্সরে করিয়ে একসা অবস্থা। বোলার ছিল লিলি। তারপর ঘন্টা তিনেক পরে পাতিল ব্যাট ঘোরাতে ঘোরাতে মাঠে নামল - প্রথম বলেই বোল্ড, বোলার সেই লিলি। দ্বিতীয় ইনিংসে পাতিল আবার নেমেছে, বোলার আবার লিলি। লিলি রডনি মার্শকে বলল - ""মাইট ওর হাজব্যান্ড কি গ্যালারিতে বসে খেলা দেখছে? তাহলে ওকে একটু সহানুভূতি জানিয়ে এসো""। ফল হল পাতিল পেঁদিয়ে বলের চামড়া খুলে দিল - ১৪৬ বা ঐরকম কিছু করেছিল। এরপর ড্রেসিং রুমে ফিরে পাতিল বউকে বলল দেখো তোমাকে নিয়ে অসব্য কথা বলছিল আমি পেঁদিয়ে বলের চামড়া তুলে দিয়েছি। পাতিলের বউ চেঁচিয়ে বলল - ''কি লিলির চামড়ার বদলে বলের চামড়া তুলেছ, আচ্ছা স্পাইনলেস তো""। ব্যাস বউ ছেড়ে গেল আর পাতিলও বল পেঁদানো ছেড়ে দিল।

  • pi | 128.231.22.133 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:২৭491046
  • আর গুচর তপ্ত নি:শ্বাস কালেকশন?
  • Netai | 121.241.98.225 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৮:১৬491047
  • name:Timmail:country:

    IPAddress:198.82.25.116Date:23Sep2011 -- 01:43AM

    এমন দিনে বাংলার ক্রিকেটারদের কথাও বলতে হয়। বাংলার লাল, মানে কিনা অরুণ, সাকুল্যে দুজন। একজন তো টালিগঞ্জ ট্রামডিপোর মোড়ে দাঁড়িয়ে আছেন প্রস্তরব্‌ৎ, পায়ের তলা দিয়ে কত জল, থুড়ি পাওলি বয়ে গ্যালো। অন্যজন সলিড টেস্ট ব্যাট। অরুণলাল একমাত্র ক্রিকেটার, যে শুধু জল খেয়ে খেয়ে একটা ম্যাচ ড্র করে দিতে পারতেন। ড্রিংকস ব্রেকে সবাই যাচ্ছে, অরুণলাল প্রথমে ধীরে ধীরে হেলমেট, চেস্টগার্ড, গ্লাভস, থাইপ্যাড এইসব খুলে রেখে অলসভঙ্গীতে বসলেন। হালকা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে করতে দু ঢোঁক জলপান। ড্রিংকস ব্রেক শেষ, প্লেয়াররা গড়িমসি করছে, এ ওর প্যান্ট টেনে দিচ্ছে মজা করে, এমন সময় অরুণলালের হ্যামস্ট্রিং এ টান ধরতো। তখন প্যাড খুলবেন তিনি, অতি ধীরে, প্রায় বেতালের মত নি:শব্দে। অত:পর আরো মিনিট কয়েকের চেষ্টার পর মুখচোখ প্রচন্ড কুঁচকে আম্পায়ারকে ডাকবেন। ফিজিও চাই। এরপর আগে থেকে শিখিয়ে রাখা ফিজিও আসবে, বিশাল ভুঁড়ি নিয়ে দৌড়োনোর প্রাণপণ চেষ্টা করে। স্প্রে হবে। কিন্তু কাজ হবে না।
    তখন রানার চাওয়া হবে, অন্যদলের ক্যাপ্টেনের সাথে কথা কাটাকাটি হবে, আম্পায়ারের মধ্যস্থতায় আবার খেলা শুরু হবে।
    এরপর অসুস্থতার হেতু অরুণলাল প্রতি পনেরো মিনিট অন্তর জল খাবেন, ব্যাট বদলাবেন, গ্লাভস বদলাবেন ( ইডেনে বড্ড ঘাম হয়) এবং অল্প আলোর জন্য কিছু ওভার পরেই খেলা ফের বন্ধ হয়ে যাবে। নিশ্চিত হার থেকে ড্র। বিদেশীদের মধ্যে দেখান দিকি একজন এইরকম মাথা।

    name:Timmail:country:

    IPAddress:198.82.25.116Date:23Sep2011 -- 01:50AM

    শিবরামকৃষ্ণানের কথা না বললে অন্যায় হবে। প্রবল প্রতিভাবান লেগস্পিনার। সমস্ত অস্ত্রি হাতে মজুত। দেশের আনাচে কানাচে ফিসফাস, যাক আবার আগামী কয়েক দশক খাটাল পিচ বানিয়ে টেস্ট জিতবো। ওমা কোথায় কি! ছেলে প্‌র্‌যাক্টিসেই আসেনা। শেষে এমন অবস্থা হলো যে টিমে রাখা দায়। শোনা যায় সে সময় কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিলো, যে শিবাকে রোজ প্‌র্‌যাক্টিসে আসতে বাধ্য করতে পারবে তাকেই ভারতীয় দলের কোচ করা হবে। বলা বাহুল্য একটাও আবেদন জমা পড়েনি।

    name:anandaBmail:country:

    IPAddress:135.214.40.21Date:23Sep2011 -- 02:00AM

    কেনো সম্বরণ যে জুতোর ফিতে বেঁধে বেঁধে বাংলাকে রঞ্জি জিতিয়ে দিল?

    এইটা শুনুন, মাইরী বলছি সত্যি ঘটনা ...

    mostprobably ইডেনে খেলা হচ্ছে, রমন লাম্বা ব্যাট করছে আর বল করছে প্যাট্রিক প্যটারসন (যে আবার ওয়ান ডে খেলায় পুরো রান আপে বল করত না, এক একটা ডেলীভারি তে প্রচুর সময় চলে যেতো বলে)

    তো যাহক, দেখা গেল রমন লাম্বা বোল্ড, অথচ তাকে ব্যাট টা নাড়াতে অবধি দেখা যায় নি, যেরকম স্টান্স নিয়ে দাঁড়িয়েছিল সেরকমই আছে .... বেচারা ব্যাপক করুণ মুখে প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটা দিল

    আর ইদিকে আমি ইয়া: বলে খুশীতে চিৎকার করে উঠেছি ... ফলত বাবা অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে গুচ্ছের বকাবকি করে টিভি টাই বন্ধ করে দিল

    name:nyaramail:country:

    IPAddress:203.110.238.17Date:23Sep2011 -- 09:34AM

    শান্তিপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়ের কোন জুড়ি নেই। পেলে সম্বন্ধে লেখা (হুবহু নয়,, তবে এই ধরণের) -

    সন্ধ্যে হয়ে আসছে। পেলে তখনও ন্যাকড়ার বল নিয়ে রেললাইনের পাশের মাঠে একা একা প্‌র্‌যাকটিস করে যচ্ছে। পেলের মার সন্ধ্যে দেওয়া হয়ে গেল। ঘরে ঘরে শাঁখ বেজে গেছে, তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বলে গেছে। তখনও পেলে ফেরেনি। পেলের মা 'পেলে, পেলে' বলে ডাকতে ডাকতে বেরিয়ে দেখলেন অন্ধকার মাঠে পেলে তখনও খেলে যাচ্ছে। মায়ের বকুনিতে বাড়ি ফিরল। কিন্তু দরিদ্র পেলের ঘর। পুষ্টিকর খাবার মিলত না সবসময়ে। পেলে জল দিয়ে মুড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন