এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  ইতিহাস

  • সিরাজ: এক ভাগ্যবিড়ম্বিত নবাব - প্রথম পর্ব

    তোর্সা দে
    ধারাবাহিক | ইতিহাস | ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৬১৫ বার পঠিত

  • ছবি: রমিত


    সুবা বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার নানান দোষগুণ বহুল আলোচিত এবং এই নিয়ে প্রচুর লেখাও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ ইতিহাসের সহজলভ্য জনপ্রিয় সূত্রগুলি দেখলে, সেখানে সচরাচর তাঁকে নিয়ে একতরফা বিরূপ অভিমতই চোখে বেশি পড়ে, যেমন- সর্বসাধারণের তথ্য সংগ্রহের প্রধান উৎস উইকিপিডিয়া তে সিরাজ যে তথ্য পাওয়া যায় তা বাঙালির পক্ষে খুব স্বস্তিকর নয়। শুধু সিরাজ নয়, ওই শতকের বাংলার ইতিহাস আমরা সচরাচর যেভাবে পাই তা যেন বাংলা ও বাঙালির প্রতি একটু বেশিই বিরূপ। ইতিহাসের student হয়ে ইতিহাসচর্চা করতে গিয়ে জেনেছি ঐতিহাসিক বিবরণ লেখার প্রধান শর্ত হল নিরপেক্ষতা বা পক্ষপাতিত্ব ত্যাগ করা। সময় বা মহাকাল ও সেই নিয়ম মেনে চলে। তবে ওই অষ্টাদশ শতকের বর্ণনা একটি জাতির প্রতি কীভাবে এত বিরূপ হতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন জাগে, খটকা লাগে। এই লেখা সেই খটকা, সেই প্রশ্নের উত্তর সন্ধানের একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস।

    “The prince of misfortune” বলতে পাদশাহ হুমায়ুনকেই বোঝানো হয়, কিন্ত বাংলা সুবা-র নবাব সিরাজ বোধ হয় ছিলেন তার চেয়েও বেশি ভাগ্যবিড়ম্বনার শিকার। আজও Wikipedia তে নবাব সিরাজ সম্পর্কে search করলে তিনিই ভারতের পরাধীনতার জন্য দায়ী- এই তথ্যই দেখতে পাওয়া যায় যে ইতিহাস বিকৃতি আমাদের চরম অনুতাপের বিষয়। Wikipedia র বর্ণনা টি এইরূপ, “নবাব সিরাজউদ্দৌলা বা মির্জা মুহম্মদ সিরাজ-উদ-দৌলা (১৭৩২–১৭৫৭) ছিলেন বাংলা-বিহার-ওড়িশার শেষ স্বাধীন নবাব। বাংলা ইতিহাসের এক প্রতিমূর্তি। পলাশির যুদ্ধে তাঁর পরাজয় ও মৃত্যুর পরই ভারতবর্ষে ১৯০ বছরের ইংরেজ শাসনের সূচনা হয়।" উইকিপিডিয়া নিবন্ধটি পড়ে ভারতবর্ষের ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের তথা ভারতের পরাধীনতার সূচনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে সিরাজ দায়ী এইরূপ ভাবমূর্তি নির্মিত হয় পাঠকের মনে।

    কে এই সিরাজ? কেনই বা ভারতের পরাধীনতার দায় তার উপর? এর উত্তর খুঁজতে ফিরে যেতে হবে অষ্টাদশ শতকের বাংলায়। হিন্দুস্থান তখন মোগল শাসনের পদানত, দিল্লিতে অধীশ্বর মোগল পাদশাহ আওরাঙ্গজেব ।যার দীর্ঘকালীন দাক্ষিণাত্য অভিযানের কারণে দেশ জুড়ে তৈরি হয়েছে অর্থনৈতিক সংকট, দুর্নীতি, ষড়যন্ত্রের পরিবেশ। এরই মাঝে আনুগত্যের নজির রাখলেন সামান্য এক সুবা-র কর্মচারী মুর্শিদকুলি খান এবং তার পুরস্কারস্বরূপ ১৭০০ সালে পেলেন সুবা বাংলার দেওয়ানি। বাংলার আর্থরাজনৈতিক ইতিহাসে শুরু হলো এক নতুন যুগের। ১৭০৪ সালে ঢাকা থেকে বাংলার রাজধানী নিয়ে গেলেন মুকসুদাবাদে, শুরু হলো বাংলা নবাবির । ১৭৪০ সালে ক্ষমতা দখল করেন আলিবর্দি খান হত্যা, ষড়যন্ত্রের চিরাচরিত রাজনৈতিক পদ্ধতির মধ্য দিয়ে। মির্জা মহম্মদ সিরাজ ছিলেন আলিবর্দি খানের তৃতীয় কন্যা আমিনা বেগম এবং আলিবর্দির ভাই হাজি আহমেদের পুত্র জৈনুদ্দিন আহমেদের পুত্র।

    বৈদেশিক বাণিজ্যিক যোগাযোগ এর সুবাদে বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ইউরোপীয় ঐতিহাসিকদের দ্বারা আলোচিত হয়েছে। বাংলার নবাবদের সম্পর্কে ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডো-র মন্তব্য এইরূপ, “বাংলার নবাবরা দেশের নাড়ি নক্ষত্র ভালোভাবে জানতেন,ফলে তারা শাসনযন্ত্রের মাধ্যমে অত্যাচারী বা নিপীড়ণকারী হয়ে ওঠেননি। তারা জানতেন তাদের নিজেদের ক্ষমতা ও শক্তির উৎস হলো প্রজারা,তাদের সমৃদ্ধি ও হিতাহিতের ওপরই নির্ভর করে আছে নবাব দের অস্তিত্ব”।* (পলাশির অজানা কাহিনী, সুশীল চৌধুরী) এমনকি ১৭৪২ থেকে ১৭৫১ সাল পর্যন্ত বার্ষিক অনুষ্ঠানের মত বাংলাই সংগঠিত হয়েছে বর্গি আক্রমন, তা সত্ত্বেও বাংলার অবস্থা ছিল স্থিতিশীল। এর প্রমাণ পাওয়া যায় একটি ব্রিটিশ প্রতিবেদনে যাতে বলা হয়েছে, “সারা ভারতবর্ষের মধ্যে বাংলাই যে সবচেয়ে সস্তাগন্ডার দেশ তাই নয়, সারা ভারতের মধ্যে এটাই সবচেয়ে প্রাচুর্যে ভরা”।

    উক্ত দুটি মন্তব্য থেকে তৎকালীন বাংলার নবাব দের রাজনৈতিক আদর্শ সম্পর্কে ধারনা করা যায়। সিরাজের জন্মের পর ই আলিবর্দি খান উচ্চপদে আরোহন করায় নাতি ছিল তার কাছে অধিক স্নেহের পাত্র এবং তিনি নিজে হাতে ধরে তাঁকে সকল শিক্ষা প্রদান করেছিলেন। ১৭৫২ সালে অসুস্থ হয়ে পরলে সিরাজকেই তিনি নিজ উত্তরাধিকারী ঘোষনা করেন। ১৭৫৬ সালের ১০ ই এপ্রিল আলিবর্দি খানের মৃত্যু হলে ১৫ এপ্রিল সিরাজ বাংলা সুবার নবাব হন।

    আমরা জানি ইতিহাস লেখা হয় উপাদানের ওপর নির্ভর করে, নবাব সিরাজউদ্দৌলা সম্পর্কে যে সকল লিখিত তথ্য পাওয়া যায় সেগুলি বিশ্লেষণ করা যাক। নবাব সম্পর্কে বহুলচর্চিত উপাদানগুলির একটি হলো ফার্সি গোলাম হোসেন খান রচিত “সায়র-উল-মুতাক্ষরিণ”, এখানে লেখক নবাবের বদমেজাজি স্বভাব ও দুশ্চরিত্রের বর্ণনা দিয়েছেন। এই গোলাম হোসেন ছিলেন নবাবের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী শওকত জং-এর অনুগত। গোলাম হোসেন তার লেখায় নবাবকেই পলাশির যুদ্ধের জন্য দায়ী করেছেন। তাঁর কথায়, “সেনাপতিদের সাথে আলোচনা করে অতি অল্প কথায় এই বিরোধের নিষ্পত্তি করা যেত, যুদ্ধের কোনো প্রয়োজন হত না”। (পলাশির অজানা কাহিনী, সুশীল চৌধুরী) অপর একটি উপাদান হলো গোলাম হোসেন সালিম রচিত “রিয়াজ উস সালাতিন” ১৭৮৬ সালে প্রকাশিত গ্রন্থে তিনি নবাব এর ব্যাপক সমালোচনা করেন। ইনি মুলত গ্রন্থটি রচনা করেছিলেন তার ইংরেজ প্রভু George Udni র পৃষ্ঠপোষকতায়। করম আলি তার “মুজাফফরনামা” তে সিরাজকে উপস্থাপন করেছেন স্নেহান্ধ নবাবের বেয়াদব নাতি হিসেবে। কাশিমবাজার এর ফরাসি কুঠিয়াল Jean Law তার “Memoir” এ সিরাজ কে নিষ্ঠুর ও জঘন্য চরিত্রের এক লম্পট যুবক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। মূলত বাণিজ্যিক সুবিধা আদায়ে নিজ ব্যর্থতাকে সান্ত্বনা দেওয়ার একটি প্রয়াস করেছেন তিনি। সিরাজ এর সমালোচনায় একদা জনপ্রিয় নাম ছিল John Holwell । তিনি নির্মাণ করেন অন্ধকূপ হত্যার তত্ত্ব, যেটিকে ইংরেজ কুঠিয়াল William watts, Mathew collet “spacious fable” বলে চিহ্নিত করেছেন এবং কালক্রমে সেই তত্ত্ব পরিত্যক্ত হয়েছে। ইংরেজ কুঠিয়াল William Watts এর ভাষায় সিরাজ ছিলেন “ঐশ্বর্য ও শক্তির গর্বে মত্ত” যুবক। অপর কুঠিয়াল Luke Scrafton লিখেছেন নবাব সর্বদাই সুরায় নিমজ্জিত থাকতেন। তার “কথাবার্তা, আচরণ বদমেজাজী ও হিংস্র ধরনের এবং তিনি ছিলেন নির্দয়, লোভী ও উচ্চাকাঙ্খী”।* (পলাশির অজানা কাহিনী, সুশীল চৌধুরী) ইংরেজ কুঠিয়ালদের এই সকল বর্ণনা যে তাদের ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ তা প্রমাণ হয় যখন ব্রিটিশ পরিচালক সমিতি নবাবের ভালো ব্যবহার ও বদান্যতার সুযোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে চিঠি দেন ফোর্ট উইলিয়াম-এ। এছাড়াও তিনি নবাব হওয়ার পর কূটনৈতিকভাবে দরবারি ষড়যন্ত্রের সমাধানে দক্ষতার পরিচয় দেন।

    সিরাজের সমালোচনা শুধু তার চরিত্র বিশ্লেষণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। বলা যেতে পারে সিরাজ বিদ্বেষের এক নতুন ঘরানা নির্মান করেছিলেন S.C.Hill তার “Bengal in 1756-57” গ্রন্থে। পলাশির যুদ্ধের জন্য তিনি সিরাজের আত্মম্ভরিতা ও অর্থলিপ্সা কেই দায়ী করেছেন। যদিও আমরা জানি পলাশির যুদ্ধের আসল কারন ছিল কোম্পানির কর্মীদের দস্তকের অপব্যবহার, যার জন্য কোম্পানির পরিচালক সমিতি পর্যন্ত চিন্তিত ছিল। এছাড়াও ছিল নবাবের নির্দেশ অবমাননা ও শত্রুদের রাজনৈতিক আশ্রয় দানের মতো উস্কানিমূলক আচরণ। যাই হোক, S.C.Hill এক নতুন তত্ত্ব উপস্থাপনা করেছেন, তিনি ওই অষ্টাদশ শতকে বাংলায় আবিষ্কার করেছেন ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব, যার মূল কান্ডারি হিসেবে তুলে ধরেছেন সিরাজকেই। তার মতে নবাবদের নিপীড়ণে নির্যাতিত বাংলার হিন্দু প্রজা নিজেদের মুক্তিদাতা হিসেবে ইংরেজদের সাদরে গ্রহন করেছিল। Jean law এমন ও বলেছেন যে, “হিন্দু রাজারা মুসলমান শাসনকে ঘৃণার চোখে দেখত”।*(পলাশির অজানা কাহিনী, সুশীল চৌধুরী) তার মতে ইংরেজরা ত্রাণকর্তা হয়ে না এলে জগৎ শেঠরাই হিন্দু রাজত্ব কায়েম করত। কিন্তু এই সকল দাবিই ছিল ভ্রান্ত, আমরা দেখতে পাই নবাবের দরবারে বহু হিন্দু উচ্চ পদে আসীন ছিলেন। আমরা নবাবের একান্ত বিশ্বাসভাজন সেনাপতি হিসেবে মোহনলালের নাম আমরা সকলেই জানি। শুধু তাই নয় সমকালীন আঞ্চলিক সাহিত্যগুলিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছাপ স্পষ্ট। কবি ক্ষেমানন্দের মনসামঙ্গল কাব্যে মা মনসার হাত থেকে লখিন্দর এর প্রাণরক্ষায় পবিত্র কোরান কে বসরে রাখা হয়েছিল এইরূপ বর্ণনা রয়েছে।*(পলাশির অজানা কাহিনী, সুশীল চৌধুরী) আরো একটি কথা বারংবার ব্যবহৃত হয়েছে তা হলো “পলাশির বিপ্লব” এই শব্দটি দ্বারা এই ধারণা উঠে আসে যে এই পলাশির যুদ্ধের মধ্য দিয়েই যেন গোটা ভারতের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়, ভারত মধ্যযুগের অন্ধকার এর অবসান ঘটিয়ে ইউরোপীয় আলোক স্পর্শে আধুনিকতার দিকে যাত্রা শুরু করে। বলা বাহুল্য, এই ধারণা যে ব্রিটিশ প্রীতির ফসল তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

    নবাব সিরাজউদ্দৌলা সকল দোষের ঊর্ধ্বে একজন মহান ব্যক্তি ছিলেন এটা যেমন সত্য নয় ঠিক তেমনি তিনিই ছিলেন ভারতের পরাধীনতার কান্ডারি এমন ভাবাটাও ইতিহাসবিকৃতি ছাড়া আর কিছু নয়। কোনো এক সুপ্রাচীন কালে গৌড়াধিপতি যেভাবে ইতিহাসে এক নিষ্ঠুর ভিলেন হয়ে থেকে গিয়েছিলেন কয়েকশো বছর পরেও ভাগ্যের পরিহাসে বাংলার নবাবরাও পরাধীনতার দায় বহন করে চলেছেন।



    ক্রমশ...

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৬১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • গৌতম সরকার মালদা | 103.55.98.18 | ২৯ মার্চ ২০২৪ ২২:৩৮529961
  • সিরাজ উদ দৌলা নিয়ে আমরা অনেকেই আগ্ৰহী - চলুক। একটা অনুরোধ - তথ্যসূত্র দেবেন সম্ভব হলূ।
  • অভিভূষণ মজুমদার | 2001:4490:880:596::1 | ৩০ মার্চ ২০২৪ ০৬:৩১529964
  • ভাবনা এগিয়ে চলুক।
  • বিপ্লব রহমান | ৩১ মার্চ ২০২৪ ১৯:৫৩530070
  • শুভ সূচনা, কৌতুহল উদ্দীপক লেখা। পলাশীর যুদ্ধের কারণ নিয়ে আরো বিশদে লেখার অনুরোধ রইলো..
  • PRABIRJIT SARKAR | ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ১১:২৭530240
  • সিরাজ প্রাসাদ রাজনীতিতে গদি হারিয়েছিলেন। ইংরেজরা বিনা অনুমতিতে কলকাতায় দুর্গ তৈরি করেছিল আর নবাব হিসাবে তিনি সেই দুর্গ গুঁড়িয়ে দেন। তখন ইংরেজরা প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে যোগ দিল। পরিণামে সিরাজের পতন হল। এই খানে সিরাজের ব্যর্থতা। যারা সিরাজের পতন চেয়েছিল তাদের ও বিশ্বাসঘাতক বলা যায় না। সবই পলিটিক্সের অঙ্গ। ব্যক্তি স্বার্থে এরা কাজ করেছে। পরবর্তী কালে ভারত ব্রিটিশ শাসনে আসে। কেই বা জানত এমন হবে? সিরাজ ফরাসি সাহায্য নিয়ে ইংরেজদের মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছে।
  • upal mukhopadhyay | ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ১০:১৬530254
  • সিরাজ নিয়ে প্রাথমিক সূত্র নির্ভর বড় কাজের অপেক্ষায় ইতিহাস ।আসলে বাংলার নবাবরা হায়দারাবাদের নিজামরা আর মহীশূরের হায়দার -টিপু সুলতান সবাই পার্সিওনেট মোঘল ঐতিহ্যের প্রতীক ও পরবর্তী সমপ্রসারণ ।যাঁদের প্রত্যেকের  রাজভাষা ফার্সি ।রাষ্ট্রীয় মতাদর্শ ছিল ঈশ্বর আশীর্বাদপুষ্ট রাজতন্ত্র ও তার মাধ্যমে ন্যায় বিধানের নাসিরুদ্দিন তুসির আখলাক এ নাসিরি প্ৰভাবিত যা আবার এরিস্টটল অনুপ্রাণিত ।এই তিন রিয়াসাতের মধ্যে ইংরেজদের সঙ্গে সম্পর্কের নিরিখে সবচেয়ে সফল হল নিজামরা যারা মোঘল ইনসিগনিয়া নিয়ে মোঘল ৰাজবংশের নামে রাজত্ব করেছে ।কিন্তু জনমানসে সবচেয়ে লোকমান্য় হল সিরাজ -টিপু যাঁরা শহীদের মর্যাদা পান  ।এই  বৃটিশ বিরোধী সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ন্যারেটিভ ব্রিটিশপূর্ব ব্যবস্থাকে স্বাধীন ব্যবস্থা , তুলনায় ভালো ব্যবস্থা মনে করে যা হিন্দুত্ব ন্যারেটিভের ১২০০ বছরের গোলামির পরিপন্থী । এখানেই হিন্দুত্বের পরাজয়ের বীজ নিহিত আর তা হল ব্রিটিশ মাফিয়াদের বিরোধিতার বিরোধিতা করা ।আধুনিক হিন্দুস্থান এটা মানবে কেন ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন