এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  দেখেছি পথে যেতে

  • মুক্ত বন্দীশালায় কিছুক্ষণ

    সমরেশ মুখার্জী লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | দেখেছি পথে যেতে | ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ২৯২ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • কেল্লায় দেখা অভয়ের সাথে



    সূরজনগর শহর থেকে দুরে একান্তে তার অবস্থান। প্রচারের অভাব। এসব কারণেই হয়তো দু পাশে নদী বেষ্টিত অনুচ্চ লম্বাটে টিলার ওপর দ্বাদশ শতাব্দী‌র এই পেল্লায় কেল্লায় পর্যটক সমাগম খুব কম। জানুয়ারি‌র এক আমুদে শীতের সকালে গিয়ে সেখানে ঘন্টা পাঁচেক কাটিয়েছি‌লাম। সেদিন কোনো দূরাগত পর্যটক দেখিনি। কয়েকটি অল্পবয়সী স্থানীয় ছেলে এসেছি‌ল। আমার মতো ধীর লয়ে কেল্লার সবদিকে হেঁটে, সৌধের ভেতরে ঢুকে, আনাচে কানাচে ঘুরে, ছাদে উঠে চারদিক দেখে, কোথাও খানিক চুপ করে বসে, কিছুক্ষণ একজায়গায় প্লাস্টিক বিছিয়ে শুয়ে - সর্বতোভাবে এই প্রাচীন নির্জন কেল্লার ঝিমঝিমে মৌতাত সত্তায় শুষে নিতে তারা আসেনি। হয়তো আগেও এসেছে তারা। তাই কলবল করে দ্রুত পায়ে এদিক ওদিক খানিক ঘুরে জনা ছয়েকের সেই দলটি চলে যেতেই সেই বিশাল কেল্লা আবার ডুবে গেল নিঝুম স্তব্ধতা‌য়।

    চুপ করে একটি পাথরের বেঞ্চে বসে তাকিয়ে ছিলাম দুরে, নীচে নদীর দিকে। এমন শান্ত দৃশ‍্যে মন শান্তি‌তে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। মগ্ন‌তা ক্ষুন্ন হয় পিছন থেকে আসা প্রশ্নে:

     - বাবুজী, ওদিকে আর কিছু দেখা‌র আছে?

    একটি স্থানীয় লোক। ভুবন সোম সিনেমায় শেখর চ‍্যাটার্জী রাজস্থানী স্টাইলে সাদা কুর্তা, পাজামা, পাগড়ি পরা এক গাড়োয়ানের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এ লোকটি‌র‌ও প্রায় তেমন‌ই পোষাক। ক্ষীণকায় চেহারা। বয়স পঞ্চাশের নীচে‌ই হবে হয়তো। সাথে একটি বছর সতেরোর ছেলে।  

    - হ‍্যাঁ আছে তো, বড়া বুরুজ - ওটা দেখার মতো জায়গা।

    - আপনি দেখে এসেছে‌ন?

    - না, একটু বাদে যাবো। ওটাই কেল্লার শেষ প্রান্ত। এই যে নদী‌টা দেখছেন - কেল্লার বাঁদিক থেকে এসে নদী‌টা ওখানে কেল্লা‌কে বেড় দিয়ে চলে গেছে ডানদিকে। খুব সুন্দর দৃশ‍্য - দেখে আসুন, ভালো লাগবে।

    - আপনি তো এখনো ওদিকে যান নি বললেন, কী করে জানলেন?

    মৃদু হেসে বলি - দুর থেকে বেড়াতে আসি এসব জায়গায়, তাই আসার আগে ম‍্যাপে একটু দেখে নি।

    - আপনি কোথা থেকে আসছেন?

    - কলকাতা।

    - ক ল কা ত্তা! শুনা হ‍্যায় বহুত দুর - বংগাল মূলক মে - অতো দুর থেকে এসেছে‌ন এই  কেল্লা দেখতে! 

    - হ‍্যাঁ, আর আপনি? সঙ্গে‌র ছেলেটি কে?

    - আমি তো থাকি সূরজনগরে‌ই। এ আমার ছেলে, চন্দ্রপুর গাঁও থেকে কদিনের জন‍্য বেড়াতে এসেছে আমার কাছে। ওকে এই কেল্লা দেখাতে‌ই এসেছি এখানে। আচ্ছা, বাবুজী, সুক্রিয়া, চল নির্মল, চলতে হ‍্যয় উধর - বলে লোকটি চলে যায়।

    আমি তাকিয়ে থাকি ওদের যাওয়া‌র দিকে। লোকটি‌র মুখের ফিচার একটু অন‍্যরকম - লম্বা‌টে মুখে চোখে পড়ার মতো দীর্ঘ চিবুক - চোখ দুটি‌ সবাক। অল্পবয়সী ছেলেটি বয়স অনুপাতে অত‍্যন্ত গম্ভীর। গাঁও থেকে বাবার কাছে বেড়াতে এসেছে। তার মানে হয়তো তার বাবা সূরজনগরেই কোথাও কাজ করে - তাই চন্দ্রপুর গাঁয়ের বাড়ি, পরিবার ছেড়ে এখানে থাকে।
     
    মুক্ত বন্দী‌শালা


    সেবার একাকী ভ্রমণপথে রাজস্থানের রতনপুর গিয়ে কদিন ছিলাম। সূরজনগর থেকে আরো দশ কিমি দুরে রতনপুর। সেদিন কেল্লা দেখে সন্ধ্যায় ফিরে গেছি‌লাম রতনপুর। পরদিন আবার গেছি সূরজনগর। এদিন শহরের মধ‍্যে একটি প্রাচীন প‍্যালেস, তার মধ‍্যে সংগ্ৰহালয় এই সব দেখার ইচ্ছা। সূরজনগর বাসস্ট্যান্ডে নেমে এপাশ ওপাশ দেখতে দেখতে প্রাচীন শহরের পথ ধরে যাচ্ছি।


     
    - বাবুজী! আপ ইধর?
     
    একটি হলুদ দোতলা বাড়ি। দেওয়ালে চার জায়গায় ছাদ থেকে বৃষ্টি‌র জল নামার কালচে ছোপ। সামনে বড় টানা উঠোন। পাঁচিলে লোহার মেন গেটে তালা। পাশে লোক চলাচলের ছোট অর্ধবৃত্তাকার গেট খোলা। ওখানে দাঁড়িয়ে‌ই হাঁক দিয়েছে গতকাল কেল্লায় দেখা লোকটি। বাড়ি‌র দেওয়ালে ও পাঁচিলে একটি আয়তক্ষেত্র লাল/নীল ত্রিভুজে বিভক্ত। পুলিশের চিহ্ন। তাতে সাদা অক্ষরে লেখা “মুক্ত বন্দীশালা - সূরজনগর”। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ছবিতে দুটি জায়গা‌তেই লাল মাস্কিং করে দিয়েছি।  

    - আরে! আপনি? এখানে?

    - আমি তো চার বছর ধরে এখানেই আছি।

    - এই মুক্ত বন্দী‌শালায়! তার মানে? আপনি কি মুক্ত না বন্দী? গতকাল কেল্লা‌য় ঘুরে বেড়াচ্ছি‌লেন যে!

    আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে‌ই কথা বলছি‌লাম। লোকটি বলে,
    - বাবুজী আপনার তাড়া না থাকলে, আসুন না ভিতরে, একটু গপসপ করা যাক।

    আমার তো এমন কিছু অভিজ্ঞতা সেবনের জন‍্য মন প্রাণ উন্মুখ হয়ে‌ই থাকে। পত্রপাঠ চলে যাই ভিতরে। তারপর যে বাস্তব জীবননাট‍্যর মুখবন্ধ দেখলাম, প্রাচীন সংগ্ৰহালয় দেখা‌র তুলনায় তা‌ও কম আকর্ষণীয় নয়।

    জানলুম তার নাম - অভয় রাজ গুর্জর। ওটি বাস্তবিক একটি মুক্ত বন্দী‌শালা বা Open Prison. অভয়ের সাথে কথা বলে জানলাম ওটা রেগুলার প্রিজন নয়। ওখানে মুষ্টিমেয় কয়েকজন বন্দী‌ই আছেন। তাদের সবার ক্ষেত্রে কয়েকটি ব‍্যাপার প্রায় এক‌ই রকম:

    ১. তারা সকলেই নরহত্যা‌র অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত।

    ২. কেউ‌ই টাকাপয়সার জন‍্য, পরিকল্পনা করে, নৃশংসভাবে বা বহু খুন করেনি। অর্থাৎ তারা কেউ‌ই পেশাদার খুনি নয়। একটা‌ই খুন করে ফেলেছে দীর্ঘদিনের ছাইচাপা বঞ্চনা, রাগ বা হতাশার তাড়নায় আকস্মিক উত্তেজনার বশে। তাদের মধ‍্যে কেউ খুন করে পালিয়ে যায়নি। হয় থানায় আত্মসমর্পণ করেছে বা ধরা পড়ে আদালতে অপরাধ স্বীকার করেছে। তার ফলে অবশ‍্য তাদের অপরাধ মাফ হয়নি। দফা ৩০২ মাফ করার মতো গুনাহ নয়। কিন্তু তাদের অপরাধ Rarest of the rare crime বলেও গণ‍্য হয়নি। তাই তাদের মৃত‍্যুদণ্ডের বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয়েছে।

    ৩. তাদের সবার কারাবাস‌কালে আচরণ ছিল শান্ত, ভদ্র। সশ্রম কারাদণ্ড বলে, যা কাজ করতে বলা হয়েছে মন দিয়ে করেছে। জেলের মধ‍্যে কখনো কোনো উটকো ঝামেলায় জড়ায় নি। ক্ষণিকের উত্তেজনা‌য় নরহত্যা‌র মতো মারাত্মক অপরাধ করে ফেলে তাদের অনেকের মধ‍্যে পরে দেখা গেছে অনুশোচনা। 

    ৪. ১০ বছর জেলে কাটানোর পর এদের সবাই সরকারের কাছে ক্ষমাভিক্ষার আবেদন করেছে। আবেদন করলে‌ই মঞ্জুর হবে তার কোনো মানে নেই। তবে এদের ক্ষেত্রে মঞ্জুর হ‌ওয়া‌তেই পুরোদস্তুর জেল থেকে এরা এই মুক্ত বন্দী‌শালায় স্থানান্তরিত হয়েছে। পুরোপুরি মুক্তি পাওয়ার আগে এখানে‌ও তাদের চার পাঁচ বছর থাকতে হবে। দেখা হবে তাদের সাজা মাফ করে দেওয়া যায় কিনা। এসব সময়সাপেক্ষ ব‍্যাপার। 

    আদর্শ কারাগার
    নীতি‌গতভাবে বিচারব্যবস্থা‌র উদ্দেশ্য শাস্তি যেন অপরাধের সমানুপাতিক হয়। তেমনি কারাগারে‌র উদ্দেশ্য‌ও হ‌ওয়া উচিত অপরাধীর চিত্তশুদ্ধি করে তাকে পরিবার ও সমাজের মূল স্রোতে ফেরৎ পাঠানো। কিছু ব‍্যতিক্রমী পরিস্থিতি ছাড়া তাকে আমৃত্যু বন্দী করে রাখাটা সরকারের উদ্দেশ্য হ‌ওয়া উচিত নয়। রাষ্ট্র কর্তৃক অপরাধীর স্বাধীনতা হরণ‌ই যথেষ্ট শাস্তি। তার ওপর নানা উপায়ে কারাগার যেন শাস্তি‌প্রদাণের উপায় না হয়ে দাঁড়ায়। বরং সেটি হ‌ওয়া উচিত সংশোধনাগার। মেয়াদ অন্তে মুক্তি পেয়ে সে তার অভিজ্ঞতা অন‍্যদের সাথে ভাগ করলে তারা হয়তো উপলব্ধি করতে পারে যে প্রিয়জনের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, স্বাধীন‌ভাবে চলাফেরার অধিকার হারিয়ে দীর্ঘ বন্দীজীবন কাটানোর যন্ত্রণা। হয়তো তার অভিজ্ঞতার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অন‍্যেরা এমন অপরাধ করার আগে দুবার ভাববে, সংযত হতে পারে। 

    তবে এমন আশাবাদী ভাবনা বাস্তবায়িত নাও হতে পারে। কারণ কিছু মানুষ অন‍্যের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সংযত আচরণ করে। কেউ ঠেকে শেখে। তবে অধিকাংশ মানুষ পরিচিতজনের বা নিজের - কারুর ভুল থেকেই শেখে না। তাই সমাজে এক‌ই ভুলের পুনরাবৃত্তি হয়ে চলে। সাধারণ মানুষের নরহত্যা‌র মতো অপরাধ করে ফেলা‌র ক্ষেত্রে বড় কারণ দীর্ঘ‌দিনের অবরুদ্ধ আবেগের তাৎক্ষণিক উত্তেজনা। তা ভেবে চিন্তে হয় না। তাই ক্ষণিকের গুরুতর অপরাধে‌ও তাকে আমৃত্যু জেলে আটকে রাখা উচিত নয়। মাঝে প‍্যারোলে কদিন ছাড়া পেয়ে পালিয়ে না গেলে বা ছাড়া পেয়ে আবার অপরাধ না করলে বেশ কিছু বছর বন্দী‌জীবন কাটানোর পর তাদের মুক্তি দেওয়া যেতে‌ই পারে। 

    পৃথিবীর কিছু দেশে কারাবন্দী‌দের দাম্পত্য সাক্ষাৎ‌কারের (conjugal visit) ব‍্যবস্থা আছে। দীর্ঘ কারাবাসে দণ্ডিত অপরাধীরা নির্দিষ্ট সময় অন্তর তাদের আইনত স্ত্রী বা স্বামী‌র সাথে দুই থেকে তিন দিনের জন‍্য (কোথাও আবার এক সপ্তাহ অবধি) একান্তে মিলিত হতে পারে। তার জন‍্য জেলের মধ‍্যে‌ বা বাইরে আছে নির্ধারিত ঘর। দুজনের জন‍্য সেখানে থাকবে ছোট কিচেন ও রেশন যাতে তারা নিজেরাই কিছু বানিয়ে খেতে পারে। ফলে ঐ কদিন খাবার দেওয়ার কর্মচারী‌ও তাদের প্রাইভেসি‌ ডিসটার্ব করবে না। ঘরে থাকবে পরিপাটি বিছানা, চাদর, তোয়ালে, সাবান, লুব্রিকেন্ট এবং অবশ্যই কনডোম। শেষোক্ত বস্তু দুটি মিলিত হতে আসা সঙ্গী বা সঙ্গিনী‌ও তাদের পছন্দ মতো আনতে পারে। 

    মেক্সিকো, কানাডা, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ফ্রান্স, ডেনমার্কের মতো দেশ - যেখানে মানুষের কিছু মৌলিক মানবাধিকার স্বীকার ও সম্মান করা হয় - সেখানে বিবাহিত বন্দীর এটি মৌলিক অধিকার। অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকায় সমগ্ৰ  দেশে না হলেও কিছু প্রদেশে তা অনুমোদিত। আবার ইউকে, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, জাপানের মতো দেশে বন্দী‌দের দাম্পত্য সাক্ষাৎ‌কার অনুমোদিত নয়। তাদের ধারণা যখন কেউ অপরাধ করে জেলে আসে সে বাকি নাগরিকদের মতো মৌলিক অধিকার হারায়।

    বিপজ্জনক অপরাধীর কথা আলাদা

    তবে অপরাধী মানসিকতা‌র (Criminal mindset), স্বভাব অপরাধী (Habitual offender) বা অপরিণামদর্শী প্রতিক্রিয়া‌প্রবণ অপরাধীরা (Highly impulsive, psychotic mentality) এবং যাদের মনে অনুশোচনা‌র (Remorseful) কোনো ভাবনা‌ই আসে না তারা সমাজের পক্ষে বিপজ্জনক। এমন অপরাধীদের ক্ষেত্রে আজীবন কারাবাস‌ই প্রযোজ্য। 

    তিনটি উদাহরণ নেওয়া যাক।

    (ক্রমশ)

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ২৯২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • হীরেন সিংহরায় | ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৪২531084
  • ওপেন প্রিজনের কথা শুনেছি প্রত্যক্ষ দর্শীর অভিজ্ঞতার বর্ণনা এই প্রথম পড়লাম 
     
    সাধু ! সাধু !
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৫৫531085
  • এটায় থেমেছি ক্রমশ দিয়ে - এই প্রসঙ্গে আরো কিছু আসবে..
  • Kishore Ghosal | ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ২১:১৫531093
  • বাঃ ভারতের মতো দেশেও মুক্ত কারাগার আছে...সত্যিই কিসুই দেখা হয় নাই ...তোমার চোখ দিয়েই দেখি। 
  • kk | 172.58.190.241 | ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ২১:২৫531096
  • ইন্টারেস্টিং। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি।
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৩৩531106
  • আপাততঃ হীরেনদা, কিশোর‌দা ও kk লানকে ধন‍্যবাদ জানাই। আশ্বস্ত করছি - এ লেখাটির ক্ষেত্রে "দু নৌকায় পা" গপ্পোর মতো পরবর্তী পর্বে ছন্দপতন হবে না। তাছাড়া এটা গপ্পো‌ও নয় - বাস্তব জীবনের আখ‍্যান।
     
    আমার "উত্তরণ" গপ্পো‌টা পড়ে গুরুর এক ভেটারেন শুভাকাঙ্ক্ষী আমায় পরামর্শ দিয়েছিলেন - বড় লেখা একসাথে দেবেন না - লোকের পড়ার ধৈর্য্য থাকে না।
     
    তারপর থেকে ২৫০০ শব্দের বেশী হলে আমি পর্ব ভাগ করে পোষ্ট করি। 
     
    অচিরেই আসবে পরবর্তী পর্ব। 
  • অরিন | 119.224.61.73 | ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ০১:৩৯531110
  • এই ছোট ছোট আকারে লেখার ব্যাপারটা ভাল লাগল। আপনার লেখা সচরাচর তথ্যসমৃদ্ধ হয় এবং তার সঙ্গে বেশ কিছুটা আবেগ মিশে থাকে, প্লাস ছবি, ফলে অনেকটা টেকসট ছবি টবি একসঙ্গে পড়ার চেয়ে ছোট আকারে বারে বারে দিলে পড়তে সুবিধে হয়।
    কনযুগাল ভিসিটের ব্যাপারে, নিউজিল্যাণ্ডে এখনও অবৈধ, যদিও এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই বিস্তর কথা ওঠে। আমাদের এখনকার ন্যাশনাল পারটি অনুমোদন করবে না, তবে আবার লেবার পারটি ক্ষমতায় এলে দেখা যেতে পারে। আমি যতদূর জানি অস্ট্রেলিয়ায় শুধু ভিকটোরিয়া স্টেট কনযুগাল ভিসিট অ্যালাও করে। আপনার লেখা পড়ে মনে হল আরো অনেক স্টেট বুঝি অনুমতি দেয় না তাদের নাম টাম লেখেন নি যদিও।‌
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:১৩531118
  • @ অরিন লান 

    বিন্দুতে সিন্ধু দর্শানোর মতো আঁটসাঁট লেখার শৈলী আমার নয়। পারিও না অমন লিখতে। আমার ঢিমে আঁচে বিরিয়ানি রান্নার মতো খেলিয়ে লিখতে ভালো লাগে। kk লান একবার যথার্থ মন্তব্য করেছেন - আমার লেখা‌য় granular level details থাকে‌। তাই লেখা‌ বড় হয়ে যায়।

    গুরুর সেই অভিজ্ঞ শুভাকাঙ্ক্ষী‌র শলা মেনে এবার থেকে বড় লেখা হলে ছোট ছোট পর্বে ভেঙে দেবো তবে এতো ছোট নয় যাতে সেই পর্বের তৃষ্ণা‌টুকু‌ও না মেটে। পুরোটা লিখে তারপর আমি পর্ব ভাগ করি। যেমন প্রায় ২৮ হাজার শব্দের একটা লেখা ঘোরের মধ‍্যে একটা‌না লিখে গেছি‌লাম বছর তিনেক আগে। কিছুদিন আগে ওটা সংশোধন, পরিমার্জন করে "দোলজ‍্যোৎস্নায় শুশুনিয়ায়" শিরোনামে ধারাবাহিক হিসেবে গুরুতে পোষ্ট করছি। বহু প্রসঙ্গ - অনুভব - মিথস্ক্রিয়া আসবে ওতে। শেষ হবে ২২ পর্বে। 

    মাসিক 'বিচিত্রা' পত্রিকার সম্পাদক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ভাগলপুরে থাকতে তখন অপরিচিত, অনভিজ্ঞ, নিজের লেখ‍্য ক্ষমতা সম্পর্কে উদাসীন সংশয়ী  বিভূতিভূষণ‌কে উপন্যাস লেখা‌র ক্ষেত্রে কীভাবে পর্ব ভাগ করতে হয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁর সমসাময়িক অনেকে বলেছেন (যেমন নীরদচন্দ্র চৌধুরী, তারাশঙ্কর, উপেন্দ্রনাথ) লেখকসত্তার থেকেও বিভূতিভূষণ মানুষ হিসেবে ছিলেন অনেক উঁচু‌মার্গের। আমি তাঁর লেখকসত্তার নখের যোগ্য‌ও ন‌ই। তবু বড় লেখা‌র পর্ব ভাগ করতে গিয়ে তাঁকে দেওয়া উপেন্দ্রনাথ মহাশয়ের পরামর্শ মনে পড়ে।
     
    ঠিক ধরেছেন, Conjugal Visit প্রসঙ্গে কয়েকটি মাত্র দেশের উল্লেখ করেছি  কারা এ্যালাও করে আর কারা করেনা সেটার একটু ধারণা দিতে। অর্থাৎ that info is only indicative not complete. যে উইকি এনট্রি থেকে এই তথ‍্য নিয়েছি সেটা রাখলাম। চাইলে দেখতে পারেন। ব্রাজিলের ব‍্যাপার‌টা বেশ বাজে‌। ওখানে পুরুষ বন্দী‌দের ক্ষেত্রে দাম্পত্য সাক্ষাৎকার অনুমোদিত - সমলিঙ্গের সঙ্গী হলেও অসুবিধা নেই। কিন্তু মহিলা বন্দী‌দের ক্ষেত্রে  অনুমোদন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত - এটা ভালো লাগেনি।
     
     
    @ অমিতাভ - উৎসাহ দানের জন‍্য ধন্যবাদ।
     
     
  • অরিন | ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৪৬531119
  • "বহু প্রসঙ্গ - অনুভব - মিথস্ক্রিয়া আসবে ওতে। শেষ হবে ২২ পর্বে। "
    হোক। 
    এবং সেই কারণেই আপনি অনন্য। 
    গুরুতে যারা লেখে কিন্তু "মিথষ্ক্রিয়া" করে না, তাদের লেখা, আমি অন্তত কাটিয়ে দিই |
    এখানে ব্লক করার অপশন থাকলে করতাম। 
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১২:১২531126
  • যারা লেখাটি ভালো লেগেছে বলে জানিয়েছেন তাদের জন‍্য র‌ইলো একটা উপহার - বিগত কয়েক বছরে ব-হু-উ উ উ বার দেখা একটা মিউজিক ভিডিও। নাম তার বিষন্নতা হলেও শেষটায় প্রতি‌বার আনন্দে উদ্বেল হয় মন - যেমন পাখিগুলি আনন্দে চান করে জলে - আর মনে হয় আগামী শীতে কোথায় যাবো একাকী ভ্রমণে smiley
     
  • Kuntala | ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:০৩531144
  •  আসলে ন্যায় ও বিচার নিয়ে এই ধরণের নতুন কাজ অন্যান্য দেশে অনেক হচ্ছে। ভারতেও কিরণ বেদী জের সংস্কার শুরু করেন কয়েক দশক আগে। অস্ট্রেলিয়ার যেখানে আমি থাকি, ক্যানবেরায়, কানেকশন সেন্টারে নেশাগ্রস্ত বন্দীদের নেশার দ্রব্য দেওয়া ও সিরিন্জ না শেয়ার করার বন্দোবস্ত আছে, কনজুগাল বা ডি ফ্যাকটৌ পার্টনার দের দেখা করার যথেষ্ট সুযোগ আছে।
    আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন ব্রেথওয়েট একটা নতুন ভাবনা, restorative justice এর সূচনা করেন। 
    এই নিয়ে সম্প্রতি একটি ফরাসি ছবি দেখলাম  -  All your faces, মনে হয় নাম। ঠিক মনে পড়ছে না। পেলে দেখে নিতে পারেন। অসাধারণ ছবি। এছাড়া মার্থা নাসবমের সাম্প্রতিক বই Anger and Forgiveness পড়তে পারেন। এতে উনি বলছেন transactional justice থেকে আমাদের বেরিয়ে যেতে হবে, এবং ভিকটিম ও পারপিট্রেটর এই দুই পক্ষের মধ্যেই সমঝোতা তৈরি করতে হবে।
    যে দেশে পুলিশ অপরাধীকে পিটিয়ে মারলে লোকে হাততালি দেয়, সেখানে এই মুক্ত জেলখানা খুব সুন্দর একটা প্রচেষ্টা।
    তবে নাম লুকোনোর কারণ পরিস্কার হোল না।
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪৪531148
  • @ কুন্তলা লান,
     
    "নাম লুকোনোর কারণ পরিস্কার হোল না।"
     
    On principle আমার কোনো লেখা‌তেই কোনো বাস্তব চরিত্রের আসল নাম উল্লেখ করিনা যদি না তারা পাবলিক ফিগার হন। 
     
    এই লেখাটির ক্ষেত্রে কারণ অন‍্য -  সঙ্গে থাকলে তৃতীয়/শেষ পর্বে  জানতে পারবেন। জানাবেন রঘুবীর মীনা। তা আপনার যৌক্তিক মনে হবে কিনা জানি না। আমি কেবল তাঁর অনুরোধকে সম্মান জানিয়েছি। 
     
    বিশদে, সুচিন্তিত মন্তব্য করার জন‍্য ধন্যবাদ।
  • রঞ্জন | 110.227.67.54 | ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৫৮531152
  • সমরেশ ভাই, 
    টুপি খুললাম। 
    ছোটবেলায় ভি শান্তারামের "দো আঁখে বারহ্ হাথ" সিনেমায় প্রথম মুক্ত কারাগারের ধারণার সঙ্গে পরিচিত হই।
    ভাবতাম-- এমন দিন কি হবে তারা!
    পরে কিরণ বেদীর তিহার জেলে রিফর্মের কথা শুনলাম।
    ভেবেছিলাম ওটা খুব একটা  সফল হয়নি।
    আপনি আরও বিস্তারিত লিখুন,  অপেক্ষায় আছি।
  • সমরেশ মুখার্জী | ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:০৬531243
  • রঞ্জনদা,

    অপরাধ দমন, মাদকাসক্ত‌দের পুনর্বাসন এবং তিহার প্রিজন রিফর্মস - এই সব উল্লেখযোগ্য কাজের জন‍্য ১৯৯৪ সালে কিরণ বেদী রামন ম‍্যাগসেসাই পুরস্কার পেয়েছি‌লেন। 

    ভারতীয় জেলের Notorious Reputation (!) বিজয় মাল‍্যকে ভারতে না পাঠানো‌র কারণের একটা। সাতমণ তেল পুড়িয়ে‌ও শেষবেষ রাধা নাচিল না। 

    এই গুরুতেই জনৈক বর্গীয়-জ মেরী টাইলারের তিক্ত স্মৃতি‌চারণ - My years in an Indian Prison পুস্তকের অনুবাদ করেছেন। 

    নাগপুর জেলের খতরনাক আন্ডা সেল-এর কথা তো ছেড়ে‌ই দিলাম যেখানে দীর্ঘ সময় বন্দী ছিলেন জি এন সাইবাবা, গৌতম নবলাখা, প্রশান্ত রাহী….

    মূখ‍্য ভূমিকা‌য় উর্মিলা মাতণ্ডকরের “এক হাসিনা থী” এবং মাধূরী দীক্ষিতের “অঞ্জাম” দেখেছি। ঐ দুটি সিনেমায় বহুলাংশে আছে তিক্ত, ভয়ংকর কারাবাসে‌র অভিজ্ঞতা কীভাবে দুই মহিলা বন্দী‌র মানসিকতা বদলে দিলো। আর সত‍্য ঘটনা আধারিত, রিংগো ল‍্যাম পরিচালিত, মূখ‍্য ভূমিকা‌য় ভ‍্যান ড‍্যাম অভিনীত ২০০৩ সালের ছবি In Hell (তিনবার দেখেছি) তো বাস্তবিক জীবন্ত নরক! 

    সিনেমা বাস্তবের প্রতিফলন। তাই আরো নানা সিনেমার কথা ছেড়ে দিলেও ঐ তিনটে  সিনেমা, মেরী টাইলারের স্মৃতি‌চারণ, প্রশান্ত রাহীর সাক্ষাৎ‌কার (নীচে লিংক র‌ইলো) … ইত‍্যাদি বাস্তব প্রেক্ষাপটে “মুক্ত বন্দীশালা”  নিবন্ধ লেখা‌র সময় মনে এসেছে। মনে হয়েছে মানুষের মুক্ত বিচরণের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে তাকে বছরের পর বছর চার দেওয়ালের মাঝে আটকে রাখা‌ই বড় শাস্তি। এর বেশী শাস্তি বোঝার ওপর কয়লার বস্তা। তাই মুক্ত বন্দী‌শালার মানবিক দিক আমায় এই লেখাটি লিখতে গিয়ে একটু বেশী‌ই আবেগতাড়িত করে ফেলেছি‌ল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন