বগটুই গণহত্যাকাণ্ডের অব্যবহিত পরে কবি জয় গোস্বামীর লেখা কবিতা নিয়ে ‘দগ্ধ’ নামে একটি পুস্তিকা আমরা প্রকাশ করেছিলাম। বগটুই এবং তার পরবর্তীকালে আরও কয়েকটি নারীনির্যাতন, ধর্ষণ এবং হত্যার প্রতিক্রিয়ায় জয় গোস্বামী আরও কিছু কবিতা লিখেছিলেন। সেই সবকটি লেখা নিয়ে আমরা প্রকাশ করতে চলেছি আরেকটি বই – ‘নিজের বিরুদ্ধে’। পার্টি-প্রশাসন-পুলিশের হাতে আক্রান্ত অসহায় নির্যাতিতা এবং তার পরিজনদের দুরবস্থার এক দলিল হয়ে থাকবে এই কবিতাগুলি। এই লেখাগুলির প্রেক্ষিত সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা হলেও, পরিসর আরও ব্যাপ্ত। যে শাসনকাঠামোয় আমরা জীবন কাটাচ্ছি, তার সুযোগ-সুবিধাগুলি নিয়ে দুধেভাতে সংসার প্রতিপালন করছি, সেই কাঠামোর নৃশংসতা নিশ্চিতভাবে আমাদের নিজেদের দিকেও আঙুল তুলে দেয়- এই উপলব্ধির আয়না আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন কবি। ... ...
করোনা অতিমারীর আতঙ্কের মধ্যেই আরেকটা পুজো এসে গেল। বিগত পুজোয় আমরা দেখতে পেয়েছি লকডাউনের আঘাত কাটিয়ে সাধারণ পেশাজীবী মানুষের উঠে দাঁড়ানোর অসামান্য উদ্যম। এইবারেও পুজোর দিকে তাকিয়ে বসে আছেন অজস্র পেশার মানুষ, দুর্গা এলে যাঁদের ঘরে লক্ষ্মী আসবে। আমরা জানতে চাই, প্রকাশ করতে চাই সেই সকল পেশার কথা, কারিগর ও ব্যবসায়ীদের কথা, যাঁদের কর্মযজ্ঞে প্রাণ পায় আমাদের উৎসব। আর তার সাথে সেই উৎসবের আলো ছড়িয়ে দিতে চাই তাদের কাছেও, যাদের পুজো কাটবে নির্জন পরবাসে অথবা ভিড়ের থেকে বহুদূর নিভৃতবাসে। পুজোর গন্ধমাখা যা কিছু রাঙিয়ে দিতে পারে আমাদের এই দিনগুলো, হোক সে পুজোর গান, পূজাবার্ষিকী, পুজোর রিলিজ সিনেমা কি পুজোর নাটক। এমন সবকিছু, যার উপলক্ষ পুজো। এমন সবকিছু, যার গায়ে পুজোর গন্ধ মাখা। ৯ তারিখের মধ্যে [email protected]এ পাঠিয়ে দিন আপনার প্রবন্ধ- থিমঃ সব উৎসবেরই জন্যে। ... ...
জয়ন্তী অধিকারী, তথা কুমুদি গুরুচণ্ডালির সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন ওতঃপ্রোতভাবে। তিনি এখন স্মৃতি। তবু স্মৃতিস্তম্ভের স্থবিরতাকে ভালবাসিনি আমরা। চাইছি স্মৃতির চলমানতা। আমরা চাইছি, বাংলা অক্ষর বেয়ে বেয়ে পরের প্রজন্মেও পৌঁছে যান কুমুদি। তারা আমাদের কুমুদিকে চিনুক, ভালবাসুক, লেখা পড়ুক, পড়াক বন্ধুদের। কুমুদিও তাদের চিনতে চাইবেন -- বলাই বাহুল্য। এইসব অলীক চেনাজানাকে বাস্তব করতে গুরুচণ্ডা৯ শুরু করেছে বার্ষিক 'কুমুদি পুরস্কার' -- কিশোর কিশোরীদের বাংলা গল্প লেখার প্রতিযোগিতায়। ... ...
টেকনিকালি উদ্ধৃতির মধ্যের বক্তব্যের সরাসরি কোনো দায় নেবার প্রয়োজন না থাকলেও (যিনি বলেছেন, সেটা তাঁর দায়), নৈতিক দায়িত্বের কিছুটা নিশ্চয়ই লেখক এবং সম্পাদকের উপর বর্তায়। সে দায়, অবশ্যই স্বীকার করা দরকার। করছিও। ভবিষ্যতে, আশা করি, যুদ্ধপরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না, হলে, অবশ্যই এই শিক্ষা কাজে লাগবে। কিন্তু একই সঙ্গে এটুকুও মাথায় রাখতে হবে, যে, পরিস্থিতিটি যুদ্ধক্ষেত্রেরই ছিল। ক্ষয়ক্ষতি, খুন-জখম, মানবিকতার বিরুদ্ধে অপরাধ, সব মিলিয়েই। যে সরকারি দল যুদ্ধক্ষেত্রের হত্যালীলার মধ্যে ঠেলে দিয়েছিল নিজের রাজ্যের অধিবাসীদের, তারও সেই ভয়াবহ অপরাধ স্বীকার করার সময় হয়েছে। এই লেখাটির যাঁরা সমালোচনা করেছেন, তাঁরা এই প্রসঙ্গটি পুনরুত্থাপন করেছেন যখন, তখন আশা করি, এই বিষয়টিও মাথায় রাখবেন। ... ...