এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ – ১৬

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৯ মে ২০২৪ | ৫১ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ পর্ব – ১৬

    রজতের মামা রণজয় লেখাপড়াতে খারাপ ছিল না। বিএসসিতে ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে পাশ করার পর এমএসসি পড়ার জন্য ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হল। কলেজে পড়ার সময় থেকেই রণজয় অনেক টিউশনি করত। বড় হওয়ার পর থেকে বাবার উপদেশ আর পরামর্শ যেমন সে সচরাচর নিত না তেমনি বাবার কাছ থেকে কোন অনুদানও সে নিত না। টিউশনিতে যা আয় হত তা ওর নিজের খরচ চলার পক্ষে যথেষ্ট ছিল। ছেলের অধিকাংশ কার্যকলাপ দিগ্বিজয়ের পছন্দ হত না। তাঁর ছেলে হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিউশনি করে রোজগার করছে, এ জিনিস ভাবা যায়! এতবড় ঢ্যাঁটা ছেলে, মাকে বলেছে, এখন বড় হয়ে গেছে, বাবার কাছে টাকা নিতে নাকি সংকোচ হয়। তবে ছেলের পরীক্ষার ফলাফলে তিনি ভেতরে ভেতরে বেশ খুশি হয়েছিলেন। যদিও তা বাইরে প্রকাশ করে তিনি তাঁর ব্যক্তিত্বের অবমাননা করেননি।

    রণজয় অংকের মাষ্টার, রাশি নিয়ে তার পড়াশোনা। পড়াতে পড়াতে একসময় এই রাশিতেই আবিষ্ট হয়ে পড়ল। তখন সবে এমএসসি তে ভর্তি হয়েছে। বিএসসির রেজাল্ট বেশ ভাল হওয়ায় টিউশনির ফ্লোও অনেক বেড়ে গেছে। ছাত্রছাত্রী বেড়ে যাওয়ায় পড়ানর জন্য পাশেই একটা ঘর ভাড়া নিয়েছে। ওখানে রমরমিয়ে ওর কোচিং চলছে। নিজের বাড়িতে ঘরের অভাব নেই, কিন্তু বাড়িতে ও কোনদিনই পড়ায়নি। বাবাকে কিছু বলার সুযোগ দিতে ও রাজি নয়। পুরনো দু একটা ছেলেমেয়ে ছাড়া বাড়িবাড়ি গিয়ে তখন খুব কমই পড়ায়। একদিন বন্ধু অমর এসে জানাল যে নির্মাল্য কাকু একবার ওনার বাড়িতে যেতে বলেছেন। কি কারণে দেখা করতে বলেছেন তা ওর বন্ধু বলতে পারেনি। তবে বলেছিল যে চিন্তার কিছু নেই, কাকু শারীরিক দিক থেকে ভালই আছেন। রণজয় অমরকে বলেছিল কাকুকে জানিয়ে দিতে যে ও পরদিন সন্ধেবেলা যাবে। মার কাছে শুনেছে, নির্মাল্য কাকু এককালে বাবার বন্ধু ছিলেন। বিত্তের সোপানে ধাপে ধাপে উঠতে উঠতে পুরনো অনেক কিছুকেই দিগ্বিজয় বিসর্জন দিয়েছেন। সেই তালিকার প্রথম দিকেই ছিল নির্মাল্যর মত কয়েকজন সহচর, বিত্ত বৈভবের দৌড়ে যারা পাল্লা দিতে পারেনি বা হয়ত চায়নি। নির্মাল্য বারুইপুর হাই স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক ছিলেন। বছর কয়েক হল অবসর নিয়েছেন। ভদ্র আর মেধাবি ছাত্র হিসেবে রণজয়কে পছন্দ করতেন। এছাড়া বন্ধুর ছেলে হিসেবে আলাদা একটা টান তো ছিলই। অংকের ছাত্র হলেও রণজয়ের ইংরেজিতে বেশ দখল আছে। ওর ইংরেজির ভিতটা তৈরি করে দিয়েছিলেন নির্মাল্য কাকু। অনেকদিন নির্মাল্য কাকুর কোন খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি এটা ভেবে রণজয়ের একটু খারাপ লাগল। পরের দিন ইউনিভার্সিটি থেকে ফিরে বাড়ি না গিয়ে সরাসরি চলে গেল নির্মাল্য কাকুর বাড়ি। কাকু বাড়িতেই ছিলেন। প্রনাম করতে অনেক আশীর্বাদ করে বসতে বললেন।

    -- তুমি তো বাবা এই বুড়ো কাকুটার আর কোন খোঁজ খবরই নাও না।

    প্রত্যাশিত প্রশ্ন। রণজয় মাথা নিচু করে বলল—হ্যাঁ কাকু, অনেকদিন এদিকে আসা হয়নি। আসলে সকাল সন্ধে টিউশনি করি আর বাকি সময়টা ইউনিভার্সিটিতে কাটে, অবশ্য এটা কোন অজুহাত নয়। আপনারা সকলে ভাল আছেন তো?

    -- তা ঠাকুরের দয়ায় সকলে ঠিকঠাকই আছি। তোমাকে একটা বিশেষ কারণে আমি ডেকেছি। তোমার কাছে আমার একটা অনুরোধ আছে।

    -- ওভাবে বলছেন কেন কাকু? কি করতে হবে আদেশ করুন।

    -- বোস বোস সব বলছি। তোমার তাড়া নেই ত!

    -- না না কোন তাড়া নেই।

    হতে থাকল অনেক কথা, যার অনেকটা জুড়ে ছিল স্মৃতি রোমন্থন। কথার মাঝে কাকিমা খাবারের থালা হাতে ঘরে ঢুকলেন।

    -- রণজয় কতদিন বাদে এলে, তাও কাকু ডাকল বলে। আমাদের একেবারে ভুলেই গেলে বাবা!

    -- আপনাদের কখনো ভুলতে পারি কাকিমা?

    খাবারের থালাটা সামনের টেবিলে রেখে কাকিমা বললেন—খেতে খেতে গল্প কর। গরম গরম ভেজে এনেছি, ঠান্ডা হয়ে গেলে ভাল লাগবে না।

    -- এতগুলো লুচি আমি পারব না কাকিমা।

    -- বাচ্চা ছেলে, খেতে পারবেনা আবার কি! সোনা ছেলের মত খেয়ে নাও। আমি চা করছি।

    রণজয় ইউনিভার্সিটি থেকে সরাসরি এখানে চলে এসেছে, স্বাভাবিকভাবে খিদে ভালই পেয়েছে। একটু না বললে খারাপ দেখায় তাই বলেছে, আর কোন কথার মধ্যে না গিয়ে খাওয়ায় মন দিল। প্রায় বছর ছয়েক বাদে রণজয় এই বাড়িতে এল। বাইরের ঘরটা একই রকম আছে, একটুও পাল্টায়নি। খাবারের থালা খালি হতে বেশিসময় লাগেনি। কাকিমা আরো লুচি এনেছিলেন, কিন্তু ব্যাপারটা হাঘরের মত হয়ে যায় বলে রণজয় আর নেয়নি। একটু পরে একজন সদ্য তরুণী দুটো চায়ের কাপ নিয়ে ঘর ঢুকল। একটা কাপ রণজয়ের টেবিলে রেখে অন্যটি নির্মাল্য কাকুর হাতে দিল। নির্মাল্য ইশারায় মেয়েটিকে একটু দাঁড়াতে বললেন।

    নির্মাল্য মেয়েটিকে দেখিয়ে বললেন— এ আমারদের মেয়ে রাশি, এর জন্য তোমায় ডেকেছি।

    কথাটা বলে নির্মাল্য একটু থামলেন।

    সুন্দরী একটা মেয়ে হাসিমুখে ওর দিকে চেয়ে রয়েছে, রণজয়ের একটু অস্বস্তি হল। কাকু কি বিয়ের সম্বন্ধ করতে ডেকেছেন নাকি, কে জানে বাবা! বেকার ছেলের সাথে কেউ মেয়ের বিয়ে দেয় নাকি!

    পজ থেকে নির্মাল্য প্লেতে গেলেন—রাশি এই বছর হায়ার সেকেন্ডারি পাশ করে কলেজে ঢুকেছে। অংকে অনার্স নিয়েছে, তোমার সাবজেক্ট। ভাবলাম, তুমি যদি ওকে পড়াও খুব উপকার হয়।

    রণজয় চুপ করে রয়েছে দেখে নির্মাল্য বললেন—আমি তোমায় কোন জোর করছি না, কেবল অনুরোধ করেছি। অসুবিধে থাকলে স্বচ্ছন্দে বলতে পার।

    -- আপনার কথা রাখব না এ কখনো হয়! আমার কোন সময়টা ফাঁকা আছে সেটা চিন্তা করছিলাম। অন্য কেউ হলে ওকে আমার কোচিং এ চলে আসতে বলতাম। কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে সেটা চাই না।

    -- আমারও ইচ্ছে তুমি আলাদা করে দেখিয়ে দাও। আসলে আমার মেয়েটা বড্ড ফাঁকিবাজ, কোচিংএ গেলে কিছুই শিখবে না। তোমাদের বাড়িতেই পাঠিয়ে দিতাম, কিন্তু তুমি তো শুনেছি বাড়িতে পড়াও না। তাই বাবা খুব অসুবিধে না হলে, তোমার যখন সুবিধে হবে আমাদের বাড়িতে এসে রাশিকে পড়াশোনায় একটু গাইড কোরো।

    রণজয় সম্মতি জানিয়েছিল। ফাঁকা সময় রণজয়ের ছিল না বললেই চলে। সারা সপ্তাহে কেবল রবিবার সকালটা ও ফ্রি রেখেছিল সামাজিক যোগাযোগ, আড্ডা ইত্যাদির জন্য। ঐখান থেকে কিছুটা সময় নির্মাল্য কাকুর মেয়ের জন্য বরাদ্দ হল।

    এক মাস পূর্ণ হলে নির্মাল্য একটা খাম রণজয়ের দিকে বাড়িয়ে বললেন—এটা রাখ।

    -- এটা কি কাকু?

    -- সামান্য সম্মান দক্ষিণা।

    -- আপনি আমার শিক্ষক ছিলেন। আপনার সাথে কি আমার অর্থের সম্পর্ক?

    -- তুমি কষ্ট করে বাড়িতে এসে পড়াচ্ছ, এটা না নিলে আমার খুব খারাপ লাগবে।

    -- মেয়েকে পড়ানর বিনিময়ে আপনার থেকে অর্থ নিলে আমি নিজের কাছে ছোট হয়ে যাব। ওটি আমার পক্ষে কোন অবস্থাতেই নেওয়া সম্ভব নয়।

    এরপর নির্মাল্য আর জোর করেননি। খুশি হয়েছিলেন ছাত্রের মানসিকতায়।

    মেয়েটি লেখা পড়ায় ভাল। ভাল ছাত্রছাত্রী হলে পড়িয়েও আনন্দ আছে। রণজয় খুব আন্তরিকভাবে পড়াত। অংকের রাশির ক্রিয়াকলাপ শেখাতে শেখাতে আন্তরিকতার আধিক্যে একসময় ছাত্রী রাশি রণজয়ের মনে অনেকটা জায়গা দখল করে নিল। শুরুটা রাশির দিক থেকেই হয়েছিল। ছোটবেলায় কয়েকবার দেখা বাবার ছাত্রটিকে এতকাল পরে দেখে বেশ লেগেছিল। এই ছেলেটিই ওকে পড়াবে জেনে খুব খুশি হয়েছিল। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকত রবিবার সকালের জন্য। পঠন পাঠনের সময় রাশির পাঠ বহির্ভূত কিছু আচরণে রণজয় প্রথমদিকে একটু বিব্রত হত। পরে তা ভাল লাগতে লাগল। ভাললাগাটা একসময় ভালবাসায় রূপান্তরিত হয়ে গেল। ব্যাপারটা চোরাগোপ্তাই চলছিল। কিছু সময় পরে মেয়ের কেমন কেমন আচরণে নির্মাল্যর স্ত্রীর একটু সন্দেহ হত। মেয়েকে একান্তে বসিয়ে ধারাবাহিক জিজ্ঞাসাবাদের পর নিশ্চিত হলেন। স্বামীকে মেয়ের ভালবাসার কথা জানালে, নির্মাল্য একই সাথে খুশি এবং চিন্তিত হলেন। রণজয়ের মত ছেলে মেয়ের জীবন সঙ্গী হতে চলেছে এটা জেনে খুশি হলেন। চিন্তিত হলেন রনজয়ের বাবা দিগ্বিজয়ের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে।

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন