এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  লিঙ্গরাজনীতি  অন্য যৌনতা

  • লিঙ্গ রাজনীতির লিপ-সার্ভিস 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    লিঙ্গরাজনীতি | অন্য যৌনতা | ১২ মার্চ ২০২৩ | ৯৩৪ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৩ জন)
  • আমার কস্মিনকালেও 'খুনে-মানসিকতা' বলে কিছু নাই। প্রচুর উদ্যম আছে, ছেলেবেলায় একবার পাড়া থেকে সব মশা তাড়াতে হবে বলে কোমর বেঁধে নেমেছিলাম, তক্কো করতে ভালোবাসি, কখনও সখনও ঝগড়াও, দায়ে পড়ে এক আধবার মারপিটও করেছি। কিন্তু 'খুনে-মানসিকতা', অর্থাৎ কিনা যেন-তেন-প্রকারেণ লক্ষ্যে পৌঁছতেই হবে, এই ব্যাপারটা কখনও রপ্ত হয়নি। প্রচুর উদ্যম দিলাম, হেবি বাওয়াল হল, তারপরে জিনিসটা নামলে ভালো, না নামলে আর কী করা যাবে, অন্য কিছু করব - এইরকম একটা প্রকরণে ভাবার অভ্যেস। এই অভ্যেস নিয়ে গুচ্ছের ঝামেলাও হয়েছে। ছোটোবেলায় পাড়ার ক্রিকেট ম্যাচে শেষ ওভার বল করছিলাম একবার। আট রান বোধহয় বাকি ছিল। প্রথম পাঁচ বলে দুই-তিন রান দিয়েছিলাম, এবং শেষ বলে একখানা ছক্কা খেয়ে ম্যাচ হেরে শেষ করি। তাতে কোনো সমস্যা ছিলনা। সমস্যা হল, হেরে যাবার পর সবাই যখন হায়হায় করছে, তখন আমি নির্বিকার মুখে বলেছিলাম, "আরে খেলাটা তো ভালো হয়েছে", এইরকম কিছু। ব্যস, লোকে ধরে নিয়েছিল, আমার খুনে-মানসিকতা নেই, অর্থাৎ কিনা খেলাটা খুবই হাল্কাভাবে নিয়েছিলাম। কিন্তু চন্দ্র-সূর্যের দিব্যি, কোনো ঢিলে আমি দিইনি। ওর চেয়ে ভালো বল করতে আমি পারিনা। নেহাৎই দক্ষতার বিচার ধরলে, আমার আরও আগেই ছক্কা খাবার কথা ছিল। কিন্তু সে আর কে বিশ্বাস করবে। তখন থেকেই খবরের কাগজে লেখা শুরু হয়ে গেছে, "খেলা আর খেলা নেই, যুদ্ধ"। 

    তো, এইটা গোটা জীবন ধরেই চলেছে। জগৎ মাত্রেই যে যুদ্ধ না, অ্যাড্রিনালিন এবং টেস্টোস্টেরনের প্রাবল্য ছাড়াও যে বাইরের জীবন চলে, এ কথা পৃথিবীর কেউ আর বিশ্বাস করে বলে মনে হয়না। যুদ্ধ করো, এবং খুব করে এসো, এই হল জগতের চালু নর্ম। বোঝাই যাচ্ছে, খুবই পুরুষালি ব্যাপার। কর্পোরেটে, বিশেষ করে ভারতীয় কর্পোরেটে, তো দেখি সব ট্রেনই শেষ ট্রেন। মানে, সব কাজই পারলে আগামী তিন মিনিটে শেষ করে ফেলতে হবে, নইলেই সর্বনাশ। সেই জন্যই চাই খুনে মানসিকতা। এইটা সম্পূর্ণতই পুরুষদের ব্যাপার। মহিলাদের টেস্টোস্টেরন কম থাকে, কর্মক্ষমতা কম না থাকলেও। সেই অভাব তাঁরা উদ্যম দিয়ে পূর্ণ করেন, কখনও নিষ্ঠুরতা দিয়ে। কারো-কারো বোধহয় টেস্টোস্টেরনের মাত্রাও বাড়ে। জৈবিকভাবে সেটা একটা সমস্যা। সমস্যাটা ক্রমবর্ধমান, কোথাও একটা পড়েছিলাম। মোদ্দা কথা, বহির্জগৎ চায় যোদ্ধা। তাদের "পুরুষের মতো" হওয়াই বাঞ্ছনীয়।  

    এটা খুব ইনফর্মাল ব্যাপার তা নয় কিন্তু। সত্যিকারের যুদ্ধই ধরুন। এই এখন একটা যুদ্ধ চলছে। রাশিয়া বনাম ইউক্রেন। সেখানে সৈন্যের অভাব বলে, উভয় পক্ষই প্রাপ্তবয়স্কদের ধরে বাধ্যতামূলকভাবে যুদ্ধে নামিয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক মানে, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ। মহিলা নয়। কারণ, যুদ্ধ হল সিরিয়াস বিজনেস, সত্যিকারের 'খুনে-মানসিকতা' চাই। সেখানে মেয়েদের জায়গা নেই। আমেরিকায় এই বাধ্যতামূলক যুদ্ধে নামানোর পদ্ধতিটাকে বলে ড্রাফট। যেই আঠারো বছর হল, সমস্ত ছেলেকে সেনাবাহিনীর কাছে নাম লেখাতে হবে, যাতে দরকার হলেই তারা ডেকে নিতে পারে। মেয়েদের এটা করতে হয়না। বিশ্বের যে কটি দেশে এই বাধ্যতামূলক ড্রাফট আছে, তার মধ্যে হাতে-গোণা এক-আধটিই মেয়েদের ডাকে। বাদবাকি পুরোটাই ব্যাটাছেলেদের রাজত্ব। সত্যিই যদি যুদ্ধ বাধে, যেমন বেধেছিল ভিয়েতনামে, আমার ছেলে যুদ্ধে যেতে বাধ্য হবে, ওমুকের মেয়ে হবেনা। 

    ব্রিটিশ আমলে ভারতীয় কিছু জাতিকে 'ঠগী' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। অর্থাৎ, এই জাতিগুলি খুনে। এ হল তার লিঙ্গগত সংস্করণ। অর্থাৎ, পুং মাত্রেই খুনে। তফাত একটাই এক্ষেত্রে খুনে হওয়া একটা গৌরব। এইটা শুধু রাষ্ট্র মনে করে তাই নয়, লিঙ্গ-আন্দোলনকারীদের একটা বড় অংশও মনে করেন। এই ধরুন, হিলারি ক্লিন্টন, যিনি মার্কিন রাষ্ট্রপতি হলে 'কাচের ছাদ' ভেঙে যেত বলে তিনি নিজে এবং সমস্ত মিডিয়া বলছিল, তাঁকে এই ড্রাফট নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যে, ওটায় কি মেয়েদের অন্তর্গত করা হবে, বা তুলে দেওয়া হবে? উনি স্পষ্ট জবাব দিয়েছিলেন, এরকম কিছু হবার সম্ভাবনা নেই। সেটা ছিল সৎ উত্তর। সত্যিই এরকম হবার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ, আজকের লিঙ্গ-রাজনীতি বহুলাংশেই একটা ফাঁকির উপর দাঁড়িয়ে আছে। তাঁরা হিংস্রতার ফলাফল নিয়ে কথা বলেন, কারণ নিয়ে না। সেটা সযত্নে এড়িয়ে যাওয়া হয়। পুংদের পরামর্শ দেওয়া হয়, "হিংস্র হবেন না" ইত্যাদি। খুবই সৎ পরামর্শ। কিন্তু আস্ত জগৎটাই তো উল্টো কথা বলছে। যুদ্ধ থেকে কর্পোরেট হয়ে খেলা অবধি। "যাও যুদ্ধ করো, মারো-মরো-জেতো"। অর্থাৎ কিনা, জয় টেস্টোস্টেরনের জয়। জয় অ্যাড্রিনালিনের জয়। বিশ্বব্যাপী তৈরি করা এই "সত্য"কে এড়িয়ে গিয়ে কি আর লিঙ্গ-রাজনীতি হয়?

    পুংদের উপদেশ না দিয়ে, যদি সত্যিই বাস্তবতার দিকে তাকান, দেখবেন, সাধ করে কেউ খুনে হতে চায়না। ইউক্রেনে এবং রাশিয়ায়, দুই জায়গাতেই ছেলেরা যুদ্ধে নাম লেখাতে হবে শুনেই পালায়। আমেরিকাতেও ড্রাফট অস্বীকার করেছিলেন মহম্মদ আলি। তিনি যুদ্ধে যাননি, কিন্তু বাকিদের যেতে হয়েছিল। তারা নায়ক হয়ে ফিরেছে। ইউক্রেন বা রাশিয়াতেও ফিরবে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর জার্মানিতেও, রেমার্ক লিখেছেন, যুদ্ধের সময় যারা ছেড়ে-দে-মা-কেঁদে-বাঁচি অবস্থায় ছিল, পরে তারাই নায়কোচিত গরিমা উদযাপন করতে থাকে। যুদ্ধ পুরুষকে নায়ক করে, মহিলারাও মাথায় তুলে নাচেন। আর খুনে-মানসিকতার অভাব পুরুষের 'পৌরুষ' কেড়ে নেয়। সবাই ছ্যাছ্যা করে। সর্বত্রই। পুং নার্স এখনও বিশেষ দেখা যায়না। আর গৃহকর্মনিপুণ সংসারপালক স্বামী তো সোনার পাথরবাটি। ছ্যাছ্যা করা পর্যন্তও যাবেনা, কারণ, কেউ বিয়েই করবেনা। ফলত মাচোপনাই বলুন, বা টেস্টোস্টেরন ফলানো, এ কোনো চয়েস নয়, বাধ্যবাধকতা। এই বাধ্যবাধকতাকে চোখে না দেখতে পেলে, খুবই অর্ধপক্ক বুলি-বিতরণ হয়। 

    কার্যকরী লিঙ্গ-রাজনীতি করতে হলে, লিঙ্গনির্ধারিত-ভূমিকাগুলোকে নিয়ে প্রশ্ন করা দরকার। জেলখানা ভরে যায় পুং অপরাধীতে আর সংসার ভরে যায় গৃহবধূতে, এ তো স্রেফ পুং বা নারীর হাতে নেই। এদের এগুলোর জন্য তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়াটাকে প্রশ্ন না করা হলে, স্রেফ নারীকে "আহা কী দুঃখী" বলে সহানুভূতি আর পুংকে "সংবেদনশীল হন" বলে লাভ কিছু নেই। প্রক্রিয়াটা অন্যরকম হলে, জগৎটাই হয়তো অন্যরকম হত। বস্তুত সংবেদনশীলতা যদি প্রয়োজন হয়, সেটা লিঙ্গ-রাজনীতিকদের দেখার ভঙ্গীতে। হিরো-ভিলেন - এই দৃষ্টিভঙ্গীর বাইরে না বেরোলে, খুনে-মানসিকতার গৌরবায়নের রাজনীতির ঠিক উল্টোদিকে না দাঁড়ালে, লিঙ্গ-রাজনীতি স্রেফ লিপ-সার্ভিস ছাড়া আর কিছু হয়ে থাকবেনা। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • লিঙ্গরাজনীতি | ১২ মার্চ ২০২৩ | ৯৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • স্বাতী রায় | 2402:3a80:1cd0:f70e:5501:70dd:cfb7:59b4 | ১২ মার্চ ২০২৩ ১২:১৪517307
  • লেখাটা খুবই ভাল একটা লেভেলে। কিন্তু সেই সঙ্গে একপাক্ষিক ও । মেয়ে জিনিসটা যেমন সমসত্ত্ব না , তেমনই লিঙ্গ রাজনীতি ও তো আর একমুখী নয়। তারও বিভিন্ন ধারা থাকে। পাওয়ারফুল নারী মানেই তিনি যে রাজনীতি করছেন সেটাকেই একমাত্র ধারা বলে মেনে নিতে হবে এমনটাও নয়। পূর্ব ভারতের মিলিটারির শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মেয়েদের সক্রিয় ভূমিকা আছে। আছে ন্যাশনাল ও আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন যুদ্ধবিরোধী মেজার নেওয়ার পিছনেও। কারণ টাও স্বার্থগত। যে কোন যুদ্ধে, যে কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মেয়েদের শরীরের উপর সব থেকে বেশি আঘাত নেমে আসে। মেয়েরা ইকোনমিক এবং সামাজিক সমস্যা গুলি ছেলেদের মতন করেই ফেস করে, এটা তার উপর শাকের আটি। নাদিয়া মুরাদ কিছুদিন আগেই নোবেল পুরষ্কার বক্তৃতায় রাষ্ট্রীয় নায়ক দের দুষেছেন কেন তারা একটি গোষ্ঠীর মুছে যাওয়া ঠেকাতে পারছেন না বলে।  
     
    ক্ষমতার একটা টক্সিক রূপ থাকে আর সেই রূপ টা পুরুষ নারী উভয়ের কাজেই ফুটে উঠতে পারে। হিলারির এই কথা যেমন। বা মমতার ও কিছু কিছু বাক্য থেকে সেটা ফুটে বেরোয়।  লিঙ্গ রাজনীতি সেটার দিকেও পয়েন্ট আউট করতে শেখায় বলেই জানি। হয়ত আসে পাশের নারীবাদী দের ব্যক্তিগত কর্মের পরিধিতে সেটা ধরা পড়ে না, কিন্তু সেটা তাঁদের প্রত্যক্ষ ইনফ্লুয়েন্স এর জায়গা নয় বলেই ধরা পরে না, তবু একটু খোঁজ খবর করলেই জানা যায়। 
  • Kuntala | ১২ মার্চ ২০২৩ ২০:০৮517325
  • লিঙ্গ  রাজনীতির  আরেকটি  দিক  হোলো  সব  কর্মক্ষেত্রে  পুরুষদেরও  আনা. অর্থাৎ বিষয়টাকে সীমিতভাবে  শুধু  মেয়েদের  অধিকার  না  ভেবে  যেসব  কর্মক্ষেত্রে  মেয়েরাই  এতদিন  কাজ  করে  এসেছেন , যেমন  ধরুন  নার্সিং, শিশু  পালন  ও  শিক্ষা, এগুলোতে পুরুষদের  কাজ  করতে  উৎসাহ  দেওয়া। 
     
  • | ১২ মার্চ ২০২৩ ২০:২৮517326
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন