![]() বইমেলা হোক বা নাহোক চটপট নামিয়ে নিন রঙচঙে হাতে গরম গুরুর গাইড । |
Punyabrata Gun প্রদত্ত সর্বশেষ দু পয়সা

মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন, ২০১৮
প্রত্যেকটা রাজ্যে একটা করে মেডিক্যাল কাউন্সিল আছে আর একটা মেডিক্যাল কাউন্সিল আছে জাতীয় স্তরে। জাতীয় স্তরে যে মেডিক্যাল কাউন্সিল সেটাকে বলা হয় মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া আর প্রত্যেকটা রাজ্যে একটা করে স্টেট মেডিক্যাল কাউন্সিল থাকে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই স্টেট মেডিক্যাল কাউন্সিলের নাম হচ্ছে West Bengal Medical Council। স্টেট মেডিক্যাল কাউন্সিলের যে কাজ সেটা প্রধানত হচ্ছে যে MBBS বা আধুনিক চিকিৎসার অন্যান্য ডিগ্রি বা ডিপ্লোমাধারী যে ডাক্তাররা আছেন তাদের একটি রেজিস্টার মেন্টেন করা আর এছাড়া
৩১শে মে, ২০১৮ মহাবোধি সোসাইটি হলে অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত প্রস্তাব
সভ্যতার সূচনাপর্ব থেকে শিক্ষক ও চিকিৎসক সমাজে সবথেকে মান্য পেশা বলে পরিগণিত হয়ে এসেছে। যে কোনো সুসভ্য সমাজ এই দুই পেশাকে তাঁদের নিজেদের কাজ করতে দেয়, কেন না এঁদের কাজ ঠিকমতো না হলে সমাজেরই ক্ষতি।
অথচ, আজকের পশ্চিমবঙ্গে এই দুই পেশার মানুষ আক্রান্ত। বিগত প্রায় দু'বছর ধরে চিকিৎসকদের ওপর শারীরিক মানসিক নির্যাতন চলেছে। সাধারণ মানুষের জন্য সরকারি চিকিৎসাব্যবস্থা ক্রমেই অপ্রতুল হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে ঝাঁ-চকচকে নীল-সাদা বাড়ি বানিয়ে ও সহাস্যমুখের বিজ্ঞাপনে মানুষকে বলা হয়েছে, সরকারী হাসপাতালে সব ব্
অথচ, আজকের পশ্চিমবঙ্গে এই দুই পেশার মানুষ আক্রান্ত। বিগত প্রায় দু'বছর ধরে চিকিৎসকদের ওপর শারীরিক মানসিক নির্যাতন চলেছে। সাধারণ মানুষের জন্য সরকারি চিকিৎসাব্যবস্থা ক্রমেই অপ্রতুল হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে ঝাঁ-চকচকে নীল-সাদা বাড়ি বানিয়ে ও সহাস্যমুখের বিজ্ঞাপনে মানুষকে বলা হয়েছে, সরকারী হাসপাতালে সব ব্
শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগের পথ-চলাঃ শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ
১৯৯৮-এ আমি, অমিতাভ আর সুমিত ভাবলাম এবার একটা সংগঠন বানানো দরকার, সেই সংগঠন-শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ সোসাইটি হিসেবে রেজিস্টার্ড হয় ১৯৯৯-এর ডিসেম্বরে। আমরা তখন কাজ করি চেঙ্গাইলের শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। আমি ১৯৯৫ থেকে, অমিতাভ আর সুমিত যথাক্রমে ১৯৯৭ ও ১৯৯৮ থেকে।
৯০-এর দশকের গোড়ায় কানোরিয়ার শ্রমিক আন্দোলন যখন তুংগে তখন, শ্রমিকরা ঠিক করেন যে তারা ছত্তিশগড়ের শ্রমিকদের মত এক স্বাস্থ্য কর্মসূচী শুরু করবেন শহীদ হাসপাতালের ধাঁচে। ১৯৯৫-এর ২১শে মার্চ চেঙ্গাইলের বেলতলায় এক পরিত্যক্ত
৯০-এর দশকের গোড়ায় কানোরিয়ার শ্রমিক আন্দোলন যখন তুংগে তখন, শ্রমিকরা ঠিক করেন যে তারা ছত্তিশগড়ের শ্রমিকদের মত এক স্বাস্থ্য কর্মসূচী শুরু করবেন শহীদ হাসপাতালের ধাঁচে। ১৯৯৫-এর ২১শে মার্চ চেঙ্গাইলের বেলতলায় এক পরিত্যক্ত
আমার ভোপাল
মেডিকাল কলেজে হাউসস্টাফশিপ শেষ করে ভোপালের জন স্বাস্থ্য কেন্দ্র-এ কাজ শুরু করেছিলাম ১৯৮৫-র ২৫শে আগস্ট। ২৮শে আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে নির্দেশ দিলেন জন স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে থায়োসালফেট সরবরাহ করতে।
সায়ানাইড বিষের প্রতিষেধক সোডিয়াম থায়োসালফেট। ২-৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৪-র ভোপাল গ্যাস-কান্ডের পরপরই অনেক চিকিৎসাবিজ্ঞানী গ্যাস-পীড়িতদের শরীরে সায়ানাইড বিষের প্রমাণ পেয়ে জীবিত মানুষদের সোডিয়াম থায়োসালফেট লাগানোর সুপারিশ করেন। বিরোধিতা করেন ভোপালের সরকারী চিকিৎসকরা, নানাভাবে যাঁরা ইউনিয়ন কারবাইডের প্রস
সায়ানাইড বিষের প্রতিষেধক সোডিয়াম থায়োসালফেট। ২-৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৪-র ভোপাল গ্যাস-কান্ডের পরপরই অনেক চিকিৎসাবিজ্ঞানী গ্যাস-পীড়িতদের শরীরে সায়ানাইড বিষের প্রমাণ পেয়ে জীবিত মানুষদের সোডিয়াম থায়োসালফেট লাগানোর সুপারিশ করেন। বিরোধিতা করেন ভোপালের সরকারী চিকিৎসকরা, নানাভাবে যাঁরা ইউনিয়ন কারবাইডের প্রস
ওষুধের যুক্তিসঙ্গত ব্যবহারের সংগ্রামে
পেডিয়াট্রিক সার্জারীর সিনিয়ার হাউসস্টাফ তখন। আউটডোরে একটা টেবিলের তিনদিকে আমরা তিনজন বসতাম—স্যার ডা পি কে সরকার, আরএমও সুমিত্রদা (বিশ্বাস) আর আমি। স্যার রোগী দেখে প্রেসক্রিপশন ডিক্টেট করতেন, আমি লিখে নিতাম। একজন বাচ্চাকে দেখে স্যার যথাযথ মাত্রায় কোট্রাইমোক্সাজোল আর প্যারাসিটামল লিখতে বললেন, লিখলাম। তৃতীয় ওষুধ—একটা টনিক। আমি স্যারের দিকে প্রেসক্রিপশন এগিয়ে দিলাম—স্যার আমি এটা লিখতে পারবো না, আপনি লিখুন। স্যার আমার আপত্তির কারণ বুঝতে পারলেন। সেই রোগীকে টনিক লেখা হল না।
কেবল টনিকই নয়, কা
কেবল টনিকই নয়, কা
হাসপাতাল মানেই নরক গুলজার 'কথাশিল্প' থেকে প্রকাশিত 'পা মিলিয়ে পথচলা' থেকে
মেডিক্যাল কলেজে আমি ১৯৭৮-এর ব্যাচ। ক্লাস শুরু হয়েছিল ১৯৭৯-এর জানুয়ারীতে। শুরু থেকেই আমি মেডিক্যাল কলেজ ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস’ অ্যাসোশিয়েসনের সদস্য। এমসিডিএসএ ১৯৭৭-এ গড়ে উঠছিল আভ্যন্তরীণ জরুরী অবস্থার অবসানে, কলেজের গণতান্ত্রিক ও সমাজ-পরিবর্তনকামী ছাত্র-ছাত্রীরা এই সংগঠনের সদস্য। ’৭৭ থেকে ’৮৩ ছাত্র-সংসদ ছিল এমসিডিএসএ-র নেতৃত্বে। ’৭৯-এর এপ্রিলের ছাত্র-সংসদ নিরবাচনে জিতে আমি ক্লাসের পাঁচজন শ্রেণী-প্রতিনিধির মধ্যে একজন।
১৯৭৯-এর শেষার্ধে মেডিক্যাল কলেজ ছাত্র সংসদ ও এমসিডিএসএ-র উদ্যোগে হাস
১৯৭৯-এর শেষার্ধে মেডিক্যাল কলেজ ছাত্র সংসদ ও এমসিডিএসএ-র উদ্যোগে হাস
আমার ডাক্তার হওয়া সদ্য কথাশিল্প থেকে প্রকাশিত 'পা মিলিয়ে পথচলা' থেকে
ছোটো বেলায় থাকতাম মানিকতলা পোস্ট অফিসের কাছে। অসুখ-বিসুখে এলাকার মানুষের সম্বল ছিলেন ডা হরিসাধন বন্দোপাধ্যায়, তাঁর বিবেকানন্দ ফার্মেসি মানিকতলা মোড়ের কাছে, এখন যেখানে সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাংক তারই পাশে। বিশাল ডাক্তারখানা, একটা ঘরে রোগীরা বসে আছেন, অন্য ঘরে ডাক্তারবাবু রোগী দেখছেন, আরেকটা ঘরে কম্পাউন্ডাররা ওষুধ দিচ্ছেন—বড়ি, বড়ি গুঁড়িয়ে পুরিয়া, বড় ওষুধের বোতল থেকে ছোট কাঁচের বোতলে, বোতলের গায়ে কাগজে মাত্রা বোঝানো। জ্বর হলে অ্যালকালি মিকশ্চার, বদহজমে কার্মিনেটিভ মিক্সচার। আজ যেমন বুঝি, ডাক্তারবাবুর
এদিক সেদিক যা বলছেনঃ

কথাশিল্প থেকে প্রকাশিত "পায়ে পায়ে পথচলা' থেকে।

কথাশিল্প থেকে প্রকাশিত "পায়ে পায়ে পথচলা' থেকে।

ভোপালেই আমার চিকিৎসক জীবনের শুরু। এই লেখাটি সম্প্রতি কথাশিল্প থেকে 'পা মিলিয়ে পথচলা' বইয়ে প্রকাশ ...

সম্প্রতি কথাশিল্প থেকে 'পা মিলিয়ে পথচলা' বইয়ে প্রকাশিত। কথাশিল্প বইটার দাম করেছে ২০০ টাকা। তবে শ ...

কথাশিল্প বইটার দাম করেছে ২০০ টাকা। তবে শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পাবেন ১৩০ টাকায়।

অনেক দিন পরে ব্লগে ঢুকতে গিয়ে ঢুকতে পারছি না। সাহায্য চাই।