![]() বইমেলা হোক বা নাহোক চটপট নামিয়ে নিন রঙচঙে হাতে গরম গুরুর গাইড । |
শুধু পদ্ধতিগত ত্রুটি?
দেশকাল ভাবনা
সম্পাদকীয় (আগস্ট সংখ্যা)
নানা ধর্ম, নানা বর্ণ, নানা ভাষা, নানা সংস্কৃতির দেশ ভারতবর্ষকে এক রাষ্ট্র এক নিশান-এর মধ্যে ঐক্যবদ্ধ রাখার পূর্বশর্ত হল সকলের স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে এক বহুত্ববাদী গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শাসন কাঠামোর নিশ্চয়তা প্রদান। এই রাষ্ট্রের অবয়ব যাঁরা গড়েছেন তারা যে এটা বুঝেছিলেন, এ দেশের সংবিধানের ছত্রে ছত্রে তার প্রমাণ আছে। তারা অবাস্তব কোনো কিছু অর্জন করার জন্য তাদের মেধা ও মনন প্রয়োগ করেছিলেন, যে উদ্ধত, অপরিণামদর্শী স্বল্প মেধার টুইট-নির্ভর ইনটেলেকচুয়াল গুন্ডারা আজ এ কথা বলেন, তারা ভুলে যান যে আমাদের সংবিধান প্রণেতাদের চোখে স্বাধীন ভারতরাষ্ট্রের এই অবয়বটি স্পষ্ট হয়েছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এক জাতি হিসেবে ভারতবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করতে গিয়ে অনেক মূল্য দিয়ে এই বোধটি তাদের অর্জন করতে হয়েছিল। এক ফুৎকারে তাদের বহু সাধনার বহু অভিজ্ঞতার অর্জনকে উড়িয়ে দিয়ে অন্য এক ভারত ভাবনার কথা বলেন এই টুইট-বিশারদরা, যে ভারতের ধর্ম একটাই— হিন্দুধর্ম, একটাই ভাষা হিন্দি ভাষা, একটাই সংস্কৃতি হিন্দু ধর্ম-নির্ভর সংস্কৃতি। বলা উচিত, এই ভারত ভাবনার যাঁরা জনক, যাঁদের ভারত ভাবনার মূলে এঁরা সার-জলের যোগান দিয়ে চলেছেন, এক জাতি হিসেবে ভারতবাসীকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করার লড়াই-এ তাঁদের কোনো ভূমিকা ছিল না, থাকা সম্ভবও ছিল না সম্ভাব্য যে ভূমিকা থাকতে পারতো এই আদি হিন্দুত্ববাদীদের, বাস্তবে সেটাই ঘটেছিল। সাভারকার বা গোলওয়ালকারের ব্রিটিশ বিরোধিতার দৌড় কতটা ছিল, স্বাধীনতা ইতিহাসের পাতায় কালি ঢেলেও তা ঢাকা যাবে না। আমাদের সংবিধান প্রণেতারা এই গোত্রের মানুষ ছিলেন না। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এক জাতি হিসেবে ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করার সংগ্রামের অভিজ্ঞতায় তারা বুঝেছিলেন, যে শাসন কাঠামো স্বাধীন ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করে রাখতে পারে, বহুত্ববাদের স্বীকৃতির ওপরই তাকে দাঁড়াতে হবে।
সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করার সাম্প্রতিক ঘটনাটিকে দেখতে হবে এই দৃষ্টিকোণ থেকে। আঘাতটা মামুলি আঘাত নয়। গোলওয়ালকরের উত্তরসূরিরা আঘাত নামিয়েছে সংবিধান প্রণেতাদের ভারত ভাবনার ভিত্তি মূলেই। কী থাকে এরপর? থাকে কাশ্মীরের মানুষের ক্রমবর্ধমান ভারত বিদ্বেষ, আর তার প্রতিক্রিয়ায় হিন্দি-হিন্দু বলয়ে মুসলমান বিদ্বেষ, ঘৃতাহুতি পড়ে বর্ধমান অসহিষ্ণুতায়, উগ্রতা ও হিংস্রতার ভাষা ছাড়া অন্য ভাষা বিলুপ্ত হয় সমাজ থেকে। পরিস্থিতি স্বৈরাচারী নিপীড়নের ন্যায্যতা নির্মাণ করে, সীমিত হয়ে আসে মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো। রাষ্ট্র রূপান্তরিত হয় ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে। এ পথেই রচিত হবে গোলওয়ালকরের ভারতবর্ষ। ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে এটাই হতে পারে নীতিগত অবস্থান বিষয়টা পদ্ধতিগত অসংগতির বিষয় নয়, বিষয়টা সংবিধানের মূল স্পিরিট রক্ষার বিষয়। ৩৭০ ধারা রদের বিষয়টি নিয়ে সংসদে রাজনৈতিক দলগুলি যে ভূমিকা পালন করলো, তার মধ্যে কুৎসিততম হল তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা। এই দলটির যিনি জন্মদাত্রী, কী ভারত আমরা চাই, সেসব নিয়ে কঠিন চিন্তায় প্রবেশ করার ক্ষমতা তার নেই। তার আছে সহজাত ধূর্তামি। সেই ধূর্তামি তাঁকে যা শিখিয়েছে, তার নির্যাস হল, এই ধরনের সম্মুখযুদ্ধে কৌশলে পালিয়ে যাবার রাস্তা খোঁজা। রাস্তা যা পাওয়া গেল তার সার কথা, সংবিধানের এই ধারাটি রদ করার বিষয়ে তাঁর নীতিগত আপত্তি নেই, আছে পদ্ধতিগত বিরোধিতা। এই বিরোধিতার মাত্রা আবার কতটা সংযত, সংসদে তার প্রমাণও থেকে গেল। তার দলটি ৩৭০ ধারা রদের প্রশ্নে যে খসড়া আইন (বিল) সংসদের অনুমোদনের জন্য পেশ করা হ’ল, তার বিরুদ্ধে দিদির দল ভোট দেয়নি, ‘ওয়াক আউট’ করে বিল-এর বিরুদ্ধে ভোট দেবার দায় থেকে অব্যবহতি নিয়েছে দলটি। তুলনামূলক বিচারে অনেক স্বচ্ছ অবস্থান ছিল বামপন্থীদের। সংসদে তাদের ক্ষমতা সীমিত। কিন্তু সীমিত ক্ষমতা নিয়েই সংসদীয় বামপন্থীরা শেষ পর্যন্ত বিরোধিতা করে গেছে এই আক্রমণের। প্রাণপণে তারা চেষ্টা করেছেন। ভারতবর্ষের সংবিধানের যে স্পিরিট, বহুত্ববাদী ভারত রক্ষার স্পিরিট, সেটিকে রক্ষা করার। প্রশ্ন হ’ল তৃণমূল কংগ্রেস এই কান্ডটা করলো কেন? পশ্চিমবঙ্গে যাঁদের বিজেপি বিরোধিতায় মুগ্ধ একদল নকশালপন্থী এখন তৃণমূলের ছাতার তলায় আশ্রয় নিয়ে বিজেপি’র আগ্রাসন রোধ করার চিন্তা করছেন, এই প্রশ্নটি তাদের কি তাড়িত করে? উত্তর সম্ভবতঃ নেতিবাচক। তৃণমূল কেন এই কাণ্ডটা করলো এটা বুঝতে হলে তাদের আগে বুঝতে হবে যে বাম বিদ্বেষজাত এই রাজনৈতিক শক্তিটির সঙ্গে বিজেপি’র মানসিক দূরত্ব নেই। ভিন্ন মতাদর্শে যতটা আস্থা থাকলে কায়মনোবাক্যে বিজেপি বিরোধিতা করা যায়, তৃণমূল সে জাতের দলই নয়। পদ্ধতিগত ত্রুটির ভেলা অবলম্বন করে হিন্দুত্ববাদের বিপুল জোয়ারের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার ভন্ডামি তাকে করতে হয়েছে এই কারণে। নকশালপন্থীদের যে অংশটি এখন তৃণমূলের ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে আগ্রাসী হিন্দুত্বর প্রবল প্লাবন থেকে রক্ষা পাবার চেষ্টা করছেন, তারা এটা বুঝবেন না, যতদিন তারা বামফ্রন্ট বিদ্বেষ থেকে মুক্ত না হবেন।
গোলওয়ালকরের ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে বহুত্ববাদী গণতান্ত্রিক ভারতের ধ্বজা উড্ডীন রাখার দায়িত্ব এখন বামপন্থীদের। এই দায়িত্ব পালনের সুযোগ আরও সীমিত হবে ভারতের সংসদে। সে কারণে হতাশ হবার প্রয়োজন নেই। সংসদের মধ্যে লড়াই-এর সঙ্গে আছে বিশাল ভারতবর্ষের নগরে প্রান্তরে লড়াই প্রসারিত করার শপথ। সে শপথে দৃঢ়বদ্ধ থাকলে বাকি ইতিহাস রচিত হবে অন্য ভাষায়, ভারতবাসীর সহজাত বহুত্ববাদী ভাষায়।
[সংখ্যাটি পাওয়া যাচ্ছে কলেজস্ট্রীটে পাতিরাম, এনবিএ, বুকমার্ক, মণীষা, ধ্যানবিন্দুতে। এছাড়াও রাসবিহারীতে প্রোগ্রেসিভ, উল্টোডাঙা, সোনারপুর স্টেশন প্ল্যাটফর্ম নং ২ (দাদুর দোকান) এবং আরও অন্যান্য জায়গায়।
মূল্যঃ ২০ টাকা]
নানা ধর্ম, নানা বর্ণ, নানা ভাষা, নানা সংস্কৃতির দেশ ভারতবর্ষকে এক রাষ্ট্র এক নিশান-এর মধ্যে ঐক্যবদ্ধ রাখার পূর্বশর্ত হল সকলের স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে এক বহুত্ববাদী গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শাসন কাঠামোর নিশ্চয়তা প্রদান। এই রাষ্ট্রের অবয়ব যাঁরা গড়েছেন তারা যে এটা বুঝেছিলেন, এ দেশের সংবিধানের ছত্রে ছত্রে তার প্রমাণ আছে। তারা অবাস্তব কোনো কিছু অর্জন করার জন্য তাদের মেধা ও মনন প্রয়োগ করেছিলেন, যে উদ্ধত, অপরিণামদর্শী স্বল্প মেধার টুইট-নির্ভর ইনটেলেকচুয়াল গুন্ডারা আজ এ কথা বলেন, তারা ভুলে যান যে আমাদের সংবিধান প্রণেতাদের চোখে স্বাধীন ভারতরাষ্ট্রের এই অবয়বটি স্পষ্ট হয়েছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এক জাতি হিসেবে ভারতবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করতে গিয়ে অনেক মূল্য দিয়ে এই বোধটি তাদের অর্জন করতে হয়েছিল। এক ফুৎকারে তাদের বহু সাধনার বহু অভিজ্ঞতার অর্জনকে উড়িয়ে দিয়ে অন্য এক ভারত ভাবনার কথা বলেন এই টুইট-বিশারদরা, যে ভারতের ধর্ম একটাই— হিন্দুধর্ম, একটাই ভাষা হিন্দি ভাষা, একটাই সংস্কৃতি হিন্দু ধর্ম-নির্ভর সংস্কৃতি। বলা উচিত, এই ভারত ভাবনার যাঁরা জনক, যাঁদের ভারত ভাবনার মূলে এঁরা সার-জলের যোগান দিয়ে চলেছেন, এক জাতি হিসেবে ভারতবাসীকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করার লড়াই-এ তাঁদের কোনো ভূমিকা ছিল না, থাকা সম্ভবও ছিল না সম্ভাব্য যে ভূমিকা থাকতে পারতো এই আদি হিন্দুত্ববাদীদের, বাস্তবে সেটাই ঘটেছিল। সাভারকার বা গোলওয়ালকারের ব্রিটিশ বিরোধিতার দৌড় কতটা ছিল, স্বাধীনতা ইতিহাসের পাতায় কালি ঢেলেও তা ঢাকা যাবে না। আমাদের সংবিধান প্রণেতারা এই গোত্রের মানুষ ছিলেন না। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এক জাতি হিসেবে ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করার সংগ্রামের অভিজ্ঞতায় তারা বুঝেছিলেন, যে শাসন কাঠামো স্বাধীন ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করে রাখতে পারে, বহুত্ববাদের স্বীকৃতির ওপরই তাকে দাঁড়াতে হবে।
সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করার সাম্প্রতিক ঘটনাটিকে দেখতে হবে এই দৃষ্টিকোণ থেকে। আঘাতটা মামুলি আঘাত নয়। গোলওয়ালকরের উত্তরসূরিরা আঘাত নামিয়েছে সংবিধান প্রণেতাদের ভারত ভাবনার ভিত্তি মূলেই। কী থাকে এরপর? থাকে কাশ্মীরের মানুষের ক্রমবর্ধমান ভারত বিদ্বেষ, আর তার প্রতিক্রিয়ায় হিন্দি-হিন্দু বলয়ে মুসলমান বিদ্বেষ, ঘৃতাহুতি পড়ে বর্ধমান অসহিষ্ণুতায়, উগ্রতা ও হিংস্রতার ভাষা ছাড়া অন্য ভাষা বিলুপ্ত হয় সমাজ থেকে। পরিস্থিতি স্বৈরাচারী নিপীড়নের ন্যায্যতা নির্মাণ করে, সীমিত হয়ে আসে মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো। রাষ্ট্র রূপান্তরিত হয় ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে। এ পথেই রচিত হবে গোলওয়ালকরের ভারতবর্ষ। ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে এটাই হতে পারে নীতিগত অবস্থান বিষয়টা পদ্ধতিগত অসংগতির বিষয় নয়, বিষয়টা সংবিধানের মূল স্পিরিট রক্ষার বিষয়। ৩৭০ ধারা রদের বিষয়টি নিয়ে সংসদে রাজনৈতিক দলগুলি যে ভূমিকা পালন করলো, তার মধ্যে কুৎসিততম হল তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা। এই দলটির যিনি জন্মদাত্রী, কী ভারত আমরা চাই, সেসব নিয়ে কঠিন চিন্তায় প্রবেশ করার ক্ষমতা তার নেই। তার আছে সহজাত ধূর্তামি। সেই ধূর্তামি তাঁকে যা শিখিয়েছে, তার নির্যাস হল, এই ধরনের সম্মুখযুদ্ধে কৌশলে পালিয়ে যাবার রাস্তা খোঁজা। রাস্তা যা পাওয়া গেল তার সার কথা, সংবিধানের এই ধারাটি রদ করার বিষয়ে তাঁর নীতিগত আপত্তি নেই, আছে পদ্ধতিগত বিরোধিতা। এই বিরোধিতার মাত্রা আবার কতটা সংযত, সংসদে তার প্রমাণও থেকে গেল। তার দলটি ৩৭০ ধারা রদের প্রশ্নে যে খসড়া আইন (বিল) সংসদের অনুমোদনের জন্য পেশ করা হ’ল, তার বিরুদ্ধে দিদির দল ভোট দেয়নি, ‘ওয়াক আউট’ করে বিল-এর বিরুদ্ধে ভোট দেবার দায় থেকে অব্যবহতি নিয়েছে দলটি। তুলনামূলক বিচারে অনেক স্বচ্ছ অবস্থান ছিল বামপন্থীদের। সংসদে তাদের ক্ষমতা সীমিত। কিন্তু সীমিত ক্ষমতা নিয়েই সংসদীয় বামপন্থীরা শেষ পর্যন্ত বিরোধিতা করে গেছে এই আক্রমণের। প্রাণপণে তারা চেষ্টা করেছেন। ভারতবর্ষের সংবিধানের যে স্পিরিট, বহুত্ববাদী ভারত রক্ষার স্পিরিট, সেটিকে রক্ষা করার। প্রশ্ন হ’ল তৃণমূল কংগ্রেস এই কান্ডটা করলো কেন? পশ্চিমবঙ্গে যাঁদের বিজেপি বিরোধিতায় মুগ্ধ একদল নকশালপন্থী এখন তৃণমূলের ছাতার তলায় আশ্রয় নিয়ে বিজেপি’র আগ্রাসন রোধ করার চিন্তা করছেন, এই প্রশ্নটি তাদের কি তাড়িত করে? উত্তর সম্ভবতঃ নেতিবাচক। তৃণমূল কেন এই কাণ্ডটা করলো এটা বুঝতে হলে তাদের আগে বুঝতে হবে যে বাম বিদ্বেষজাত এই রাজনৈতিক শক্তিটির সঙ্গে বিজেপি’র মানসিক দূরত্ব নেই। ভিন্ন মতাদর্শে যতটা আস্থা থাকলে কায়মনোবাক্যে বিজেপি বিরোধিতা করা যায়, তৃণমূল সে জাতের দলই নয়। পদ্ধতিগত ত্রুটির ভেলা অবলম্বন করে হিন্দুত্ববাদের বিপুল জোয়ারের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার ভন্ডামি তাকে করতে হয়েছে এই কারণে। নকশালপন্থীদের যে অংশটি এখন তৃণমূলের ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে আগ্রাসী হিন্দুত্বর প্রবল প্লাবন থেকে রক্ষা পাবার চেষ্টা করছেন, তারা এটা বুঝবেন না, যতদিন তারা বামফ্রন্ট বিদ্বেষ থেকে মুক্ত না হবেন।
গোলওয়ালকরের ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে বহুত্ববাদী গণতান্ত্রিক ভারতের ধ্বজা উড্ডীন রাখার দায়িত্ব এখন বামপন্থীদের। এই দায়িত্ব পালনের সুযোগ আরও সীমিত হবে ভারতের সংসদে। সে কারণে হতাশ হবার প্রয়োজন নেই। সংসদের মধ্যে লড়াই-এর সঙ্গে আছে বিশাল ভারতবর্ষের নগরে প্রান্তরে লড়াই প্রসারিত করার শপথ। সে শপথে দৃঢ়বদ্ধ থাকলে বাকি ইতিহাস রচিত হবে অন্য ভাষায়, ভারতবাসীর সহজাত বহুত্ববাদী ভাষায়।
[সংখ্যাটি পাওয়া যাচ্ছে কলেজস্ট্রীটে পাতিরাম, এনবিএ, বুকমার্ক, মণীষা, ধ্যানবিন্দুতে। এছাড়াও রাসবিহারীতে প্রোগ্রেসিভ, উল্টোডাঙা, সোনারপুর স্টেশন প্ল্যাটফর্ম নং ২ (দাদুর দোকান) এবং আরও অন্যান্য জায়গায়।
মূল্যঃ ২০ টাকা]
315
বার পঠিত (সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে)
শেয়ার করুন |

Re: শুধু পদ্ধতিগত ত্রুটি?
https://indianexpress.com/article/opinion/editorials/nrc-final-list-re
leased-assam-illegal-migrants-5957218/
Nation’s orphans
NRC fails to bring closure in Assam.
Flaw may lie in the idea, not just the process.
খ
leased-assam-illegal-migrants-5957218/
Nation’s orphans
NRC fails to bring closure in Assam.
Flaw may lie in the idea, not just the process.
খ

Re: শুধু পদ্ধতিগত ত্রুটি?
হ্যাঁ, লিখে দিলে হত। ঠিকই। আসলে লিটল ম্যাগরা চাইলে তাদের ম্যাগের জন্য একটা ব্লগ অ্যাক্সেস তৈরী করে দেওয়া হচ্ছে, যাতে তাদের ইস্যুর কোনো বাছাই লেখা তারা তাদের ম্যাগের ব্লগে রাখতে পারে। সাথে ইস্যুর দাম, প্রাপ্তিস্থল, এগুলোও। মেনলি পাঠকদের ইস্যু সম্বন্ধে আগ্রহ তৈরীর জন্য। এবার কোন লেখা রাখবে সেটা তাদের চয়েস।
আপনার মতামত দেবার জন্য নিচের যেকোনো একটি লিংকে ক্লিক করুন