![]() বইমেলা হোক বা নাহোক চটপট নামিয়ে নিন রঙচঙে হাতে গরম গুরুর গাইড । |
সূর্যগ্রহণ ও ছেঁড়া পরোটা
Anirban Dutta Choudhury
কিছু কিছু মানুষ বিজ্ঞানের প্রতি নিবেদিত প্রাণ হন। স্কুলের স্যারেরা পড়তে বলেছেন বলেই সায়েন্স পড়েছেন অথবা মাধ্যমিকে বেশী নম্বর পেয়েছেন বলেই বিজ্ঞানমনস্ক হয়েছেন এরকম নন। মাধ্যমিক ব্যাপার’টা অবশ্য উঠে যাচ্ছে (বা গেছে)।
এরকম একজন মানুষ হলেন আমার বাবা। আমার বাবা বৈজ্ঞানিক নন, কিন্তু নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার কিনে ফেলা এবং অত্যন্ত উৎসাহের সাথে ঘাঁটাঘাঁটি করা আমার বাবার স্বভাব। বহুদিনের স্বভাব।
ক্লাস সিক্সের আমি একজোড়া ওয়াকিটকির একটা নিয়ে ডক্টর’স কোয়ার্টারের সামনের মাঠ পেরিয়ে একদম শ
এরকম একজন মানুষ হলেন আমার বাবা। আমার বাবা বৈজ্ঞানিক নন, কিন্তু নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার কিনে ফেলা এবং অত্যন্ত উৎসাহের সাথে ঘাঁটাঘাঁটি করা আমার বাবার স্বভাব। বহুদিনের স্বভাব।
ক্লাস সিক্সের আমি একজোড়া ওয়াকিটকির একটা নিয়ে ডক্টর’স কোয়ার্টারের সামনের মাঠ পেরিয়ে একদম শ
সূর্যমুখীর এরোপ্লেন
ইন্দ্রাণী
সূর্যমুখীকে অনেকদিন পরে এয়ারহস্টেসের মতো দেখাচ্ছে আবার। লম্বা গর্বিত গ্রীবা, কনুই অবধি ব্লাউজের হাতা, চোয়ালের কাছে মৃদু টেনশন— যেন একটু পরেই টেক্ অফ্, আর এই স্বল্প সময়ে ওভারহেড লকার বন্ধ করা, সেফটি ব্রিফিং এইসব কত কী হাসিমুখে সেরে ফেলতে হবে। সূর্যমুখীর পায়ের কাছে হ্যান্ডব্যাগ, হাতে একটা নীলচে রুমাল— আলতো ক’রে কপাল মুছে নিতে দেখলাম একটু আগে। আসলে, কলকাতার হাসপাতালে অঙ্কোলজিস্টের চেম্বারে বসে শাশুড়ির দিকে তাকিয়ে আছি। আমার পাশেই সূর্যমুখী, আমার শাশুড়ি। সামনে ডাক্তার কথা বলছেন অনর্গল— মাঝে মাঝে ল
নেশা
জান্নাতুল ফেরদৌস লাবণ্য
আমি আর আমার খালাতো বোন মিলে জীবনের প্রথম এবং শেষ ড্রিংক যেদিন করেছিলাম (অবাক হবেন না! একটু টেস্ট করে দেখেছিলাম,কমদামীটা না, imported টা 😐) সেদিন ছিল শুক্রবার। বাড়িতে বসে বেশ আয়োজন করে বরফ-টরফ দিয়ে দুইজন তিনবোতল গলায় ঢেলে দিয়েছিলাম। অতঃপর খানিকক্ষণ ধরে বসে বসে চিন্তা করছি, কি ব্যাপার? নেশা হয়না ক্যান?
বিজ্ঞানের অ(নেক?)-ক্ষমতা # পর্ব-২
Ashoke Mukhopadhyay
[২] তুমি আর আমি . . .
তাহলে, যুক্তিতর্ক এবং ইতিহাসের সাক্ষ্য, দুদিক থেকেই বোঝা গেল—কোনটা শেষ হলে কোনটা শুরু হয়। সুতরাং ধর্ম ঈশ্বর আত্মা ইত্যাদিকে আর বিজ্ঞানের উপরে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। থাকতে হলে পেছনেই অপেক্ষা করতে হবে। যে সমস্ত দূরদর্শী ধর্ম দার্শনিক এটা বুঝে ফেলেছেন, তাঁরা এর পর থেকে একটা নতুন বাণী শোনাতে লাগলেন: বিজ্ঞান আর ধর্মের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। বিজ্ঞান মানুষের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ইহজাগতিক বাস্তব জগতের শরীরের চাহিদা মেটায়; সুখ শান্তি এনে দেয়। জীবনকে উপভোগ্য করে তোলে। আর ধর্ম মানুষ
তাহলে, যুক্তিতর্ক এবং ইতিহাসের সাক্ষ্য, দুদিক থেকেই বোঝা গেল—কোনটা শেষ হলে কোনটা শুরু হয়। সুতরাং ধর্ম ঈশ্বর আত্মা ইত্যাদিকে আর বিজ্ঞানের উপরে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। থাকতে হলে পেছনেই অপেক্ষা করতে হবে। যে সমস্ত দূরদর্শী ধর্ম দার্শনিক এটা বুঝে ফেলেছেন, তাঁরা এর পর থেকে একটা নতুন বাণী শোনাতে লাগলেন: বিজ্ঞান আর ধর্মের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। বিজ্ঞান মানুষের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ইহজাগতিক বাস্তব জগতের শরীরের চাহিদা মেটায়; সুখ শান্তি এনে দেয়। জীবনকে উপভোগ্য করে তোলে। আর ধর্ম মানুষ
টিউশন বিড়ম্বনা
জান্নাতুল ফেরদৌস লাবণ্য
শখের বশে জীবনে প্রথম একটা টিউশনি শুরু করেছিলাম। বাচ্চাটাকে পড়াতে গিয়ে আমার নাকের জল চোখের জল ক্রমাগত একাকার হয়।
তাকে শেখানো বিড়ম্বনার একটা নমুনা দিচ্ছি,
আমি তাকে শেখাচ্ছি,বলো আমি ভাত খাই-I eat rice
সে বলছে, বলো আমি ভাত খাই- i eat rice
আমি রেগে গিয়ে বললাম, আমি 'বলো' বলছি বলে তুমিও বলবা?
আমি 'বলো' বলছি বলে তুমিও বলবা?
রাফিন,শাট আপ!😡
রাফিন,শাট আপ 😡
হাল ছেড়ে দিয়ে আমি মাথায় হাত দিয়ে বসে আছি,সেও মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।আরও পড়ুন...
তাকে শেখানো বিড়ম্বনার একটা নমুনা দিচ্ছি,
আমি তাকে শেখাচ্ছি,বলো আমি ভাত খাই-I eat rice
সে বলছে, বলো আমি ভাত খাই- i eat rice
আমি রেগে গিয়ে বললাম, আমি 'বলো' বলছি বলে তুমিও বলবা?
আমি 'বলো' বলছি বলে তুমিও বলবা?
রাফিন,শাট আপ!😡
রাফিন,শাট আপ 😡
হাল ছেড়ে দিয়ে আমি মাথায় হাত দিয়ে বসে আছি,সেও মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।আরও পড়ুন...
হোমসিয়ানা
ন্যাড়া
ক্রিস্টোফার প্লামারকে মনে আছে? "সাউন্ড অফ মিউজিক" ছবির ক্যাপ্টেন? সেই ক্রিস্টোফার প্লামার সত্তরের দশকে একটি ছবিতে শার্লক হোমস সেজেছিলেন। যদিও সে গল্প কোনান ডয়েলের নয়।
আমাদের মতন যারা আশির দশকে কলকাতায় বড় হয়েছি, তাদের কাছে অবশ্য হোমস মানেই জেরেমি ব্রেট। ইংল্যান্ডের গ্র্যানাডা টেলিভিশন ১৯৮৪ সালে মনস্থ করেন যে তারা হোমসের ওপর আরও একটি টিভি সিরিজ করবেন। জেরেমি ব্রেট হবেন হোমস, ডেভিড বার্ক ওয়াটসন। এর আগে অনেক ছবি হয়েছে হোমসকে নিয়ে। হয়েছে টেলিভিশন সিরিজ। কিছু বেশ ভাল, দর্শকদের মনে চিরস্থায়ী দ
আমাদের মতন যারা আশির দশকে কলকাতায় বড় হয়েছি, তাদের কাছে অবশ্য হোমস মানেই জেরেমি ব্রেট। ইংল্যান্ডের গ্র্যানাডা টেলিভিশন ১৯৮৪ সালে মনস্থ করেন যে তারা হোমসের ওপর আরও একটি টিভি সিরিজ করবেন। জেরেমি ব্রেট হবেন হোমস, ডেভিড বার্ক ওয়াটসন। এর আগে অনেক ছবি হয়েছে হোমসকে নিয়ে। হয়েছে টেলিভিশন সিরিজ। কিছু বেশ ভাল, দর্শকদের মনে চিরস্থায়ী দ
জোড়াসাঁকো জংশন ও জেনএক্স রকেটপ্যাড
শিবাংশু
জোড়াসাঁকো জংশন থেকে যখন গাড়িটি প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে এগিয়ে গিয়েছিলো তখন কি মায়া কেটে গিয়েছিলো তার? দক্ষিণের বারান্দার মৃদু বসন্ত বাতাস অথবা জ্যোতিদাদার ছাতবাগানের জুঁইফুল ভাসাভাসি সন্ধের বিলোল আমেজ কি ছেড়ে গিয়েছিলো তা'কে? অনেক দীর্ঘ পথ অপেক্ষা করে আছে, এমন কোনও প্রতীতি হয়েছিলো কি? জোড়াসাঁকো থেকে জালিয়াঁওয়ালা বাগ, সুরুলকুঠি থেকে সুইডিশ আকাদেমি, শিলাইদহ থেকে সান ইসিদ্রো...
ক্লান্তিহীন যাত্রাপথের গান, শুধু কি আনন্দে? নাহ, মানুষের যাবতীয় ভাবনার শ্রমসংহিতা, সবাইকে জায়গা করে দেওয়ার অলিখিত ঈশ্বরী দায়
ক্লান্তিহীন যাত্রাপথের গান, শুধু কি আনন্দে? নাহ, মানুষের যাবতীয় ভাবনার শ্রমসংহিতা, সবাইকে জায়গা করে দেওয়ার অলিখিত ঈশ্বরী দায়
নায়ক
জান্নাতুল ফেরদৌস লাবণ্য
আমার দুঃসম্পর্কের ভাগ্নেটা হঠাৎ করে নায়ক হয়ে গেছে। ওর চালচলন,হাবভাব,বেশভুষায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আগে ছোটখাটো কাজে ওকে ডাকা যেত, এখন আর যায়না। একদিন মেসেজ দিয়ে বলেছিলাম,আমাকে একটু ফুচকা এনে দিতে পারবি? ওর রিপ্লাই ছিল, I'm busy in shooting..will talk later..
এখন আর ও স্বাভাবিকভাবে হাঁটতেও পারে না। কেমন হেলিয়ে দুলিয়ে হাঁটে। মাঝেমধ্যে মাসল দেখায়। ভয়ঙ্কর ব্যাপারস্যাপার।
একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলে স্থানীয় কয়েকটা ছেলে মেয়েকে নিয়ে কয়েকটা শর্টফিল্ম বানিয়ে ফেলেছে সে। শর্টফিল
এখন আর ও স্বাভাবিকভাবে হাঁটতেও পারে না। কেমন হেলিয়ে দুলিয়ে হাঁটে। মাঝেমধ্যে মাসল দেখায়। ভয়ঙ্কর ব্যাপারস্যাপার।
একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলে স্থানীয় কয়েকটা ছেলে মেয়েকে নিয়ে কয়েকটা শর্টফিল্ম বানিয়ে ফেলেছে সে। শর্টফিল
বিয়ের মত
জান্নাতুল ফেরদৌস লাবণ্য
কয়েকদিন আগে খেতে বসে আব্বু আম্মুকে বলছিলেন, লাবণ্যর জন্য একটা ভালো ছেলের সন্ধান পাওয়া পাওয়া গেছে।
টেবিলে আরো কয়েকজন বসে ছিল। খালামনি,খালাত ভাই আর আমার ছোটবোন।
সবার সামনে ভাব নিয়ে বললাম, দেখো আব্বু! খবরদার আর বিয়েটিয়ের কথা এখন তুলবা না! আমি এখনো পড়ালেখা শেষ করিনি। এতই যদি বোঝা হয়ে যাই তোমাদের ওপর তাহলে বলে দিও,অন্য কোথাও চলে যাবো।
এইসবই হচ্ছে কথার কথা। একটা মেয়ের বিয়ের কথা হলে এইরকম বলতেই হয়। না বললে সবাই কি ভাববে?
আমি ভেবেছিলাম আমি এই কথাটা ব
টেবিলে আরো কয়েকজন বসে ছিল। খালামনি,খালাত ভাই আর আমার ছোটবোন।
সবার সামনে ভাব নিয়ে বললাম, দেখো আব্বু! খবরদার আর বিয়েটিয়ের কথা এখন তুলবা না! আমি এখনো পড়ালেখা শেষ করিনি। এতই যদি বোঝা হয়ে যাই তোমাদের ওপর তাহলে বলে দিও,অন্য কোথাও চলে যাবো।
এইসবই হচ্ছে কথার কথা। একটা মেয়ের বিয়ের কথা হলে এইরকম বলতেই হয়। না বললে সবাই কি ভাববে?
আমি ভেবেছিলাম আমি এই কথাটা ব
বিজ্ঞানের অ(নেক?)-ক্ষমতা # পর্ব-১
Ashoke Mukhopadhyay
১৯৫৬ সালে প্রখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী রিচার্ড ফাইনম্যান (১৯১৮-৮৮) ক্যালিফর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজি-তে খ্রিস্টধর্মাবলম্বী ছাত্রদের সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজনে মিলিত হয়ে একটি বক্তৃতায় বিজ্ঞানের সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক বিষয়ে একটি ভাষণ দিয়েছিলেন। [Feynman 1956]। ষাট বছর পেরিয়ে, সেটি সম্প্রতি বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়াতে খুব গুরুত্ব সহ ঘুরে বেড়াতে শুরু করেছে।
কেন? কেন??
ফাইনম্যান একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী। সেই যে ষাটের দশকে তিনি ক্যালটেকে স্নাতক ছাত্রদের পদার্থবিজ্ঞানের ক্লাশ নিতে গিয়ে একটা লেকচার-নো
কেন? কেন??
ফাইনম্যান একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী। সেই যে ষাটের দশকে তিনি ক্যালটেকে স্নাতক ছাত্রদের পদার্থবিজ্ঞানের ক্লাশ নিতে গিয়ে একটা লেকচার-নো
শিশু নির্যাতনের ফলে হয় মস্তিষ্কে পরিবর্তন, আর তার ফলে হয় তীব্র বিষণ্ণতার সমস্যা
Sumit Roy
বিজ্ঞানের অবদানের কারণে আমরা আজ জানি যে চাইল্ড এবিউজ বা শিশু নির্যাতন ব্যক্তির প্রাপ্তবয়স্ক জীবনেও বিভিন্ন খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এসম্পর্কে জানাচ্ছে আরও নতুন একটি তথ্য। এই গবেষণাটি আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে শিশু নির্যাতনের ফলে ভুক্তভোগীর মস্তিষ্কের কিছু পরিবর্তনকে (লিম্বিক স্কারস) যা তার পরবর্তী জীবনে বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশনের মাত্রা ও হার আরও বাড়িয়ে দেয়!
মুনস্টার বিশ্ববিদ্যালয় এর গবেষকগণ ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১১০ জনের মস্তিষ্ক স্ক্যান করেছেন এই গবেষণাটির জন্য। এই ১০০
মুনস্টার বিশ্ববিদ্যালয় এর গবেষকগণ ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১১০ জনের মস্তিষ্ক স্ক্যান করেছেন এই গবেষণাটির জন্য। এই ১০০
চিন্তাসূত্র-১
Sabyasachi Sengupta
চিন্তাসূত্র-১ ( জ্বরের আদর কোলে)
---------------------------------------
গলা খুসখুস করলেই আমার ঠাকুমার কথা মনে পড়ে যায়। মনে পড়ে যায়, ভর সন্ধ্যেবেলায় আমি পুজো প্যান্ডেলে না গিয়ে, ঠাকুমার কোলে শুয়ে আছি। আমার গলায় প্যাঁচানো এইয়া মোটকা একটা কুটকুটে মাফলার। এরকম মাফলার আমি এর পরে আর কোথ্থাও দেখি নি। ঠাকুমা বলতো আলপাকা। মসৃণ শরীরে গোল্লা গোল্লা উলের রোঁয়া। মাফলারটা ঠাকুমা একটু আগেই গরম করেছে হ্যারিকেনের আগুনে। তাইতে ঘুম ঘুম আরাম।
সারা বাড়িতে আর কেউ কোনোখানে নেই। শুধু, রুনু পিসি ঝাঁট দিচ্ছ
---------------------------------------
গলা খুসখুস করলেই আমার ঠাকুমার কথা মনে পড়ে যায়। মনে পড়ে যায়, ভর সন্ধ্যেবেলায় আমি পুজো প্যান্ডেলে না গিয়ে, ঠাকুমার কোলে শুয়ে আছি। আমার গলায় প্যাঁচানো এইয়া মোটকা একটা কুটকুটে মাফলার। এরকম মাফলার আমি এর পরে আর কোথ্থাও দেখি নি। ঠাকুমা বলতো আলপাকা। মসৃণ শরীরে গোল্লা গোল্লা উলের রোঁয়া। মাফলারটা ঠাকুমা একটু আগেই গরম করেছে হ্যারিকেনের আগুনে। তাইতে ঘুম ঘুম আরাম।
সারা বাড়িতে আর কেউ কোনোখানে নেই। শুধু, রুনু পিসি ঝাঁট দিচ্ছ
চিন্তাসূত্র-১
Sabyasachi Sengupta
চিন্তাসূত্র-১ ( জ্বরের আদর কোলে)
---------------------------------------
গলা খুসখুস করলেই আমার ঠাকুমার কথা মনে পড়ে যায়। মনে পড়ে যায়, ভর সন্ধ্যেবেলায় আমি পুজো প্যান্ডেলে না গিয়ে, ঠাকুমার কোলে শুয়ে আছি। আমার গলায় প্যাঁচানো এইয়া মোটকা একটা কুটকুটে মাফলার। এরকম মাফলার আমি এর পরে আর কোথ্থাও দেখি নি। ঠাকুমা বলতো আলপাকা। মসৃণ শরীরে গোল্লা গোল্লা উলের রোঁয়া। মাফলারটা ঠাকুমা একটু আগেই গরম করেছে হ্যারিকেনের আগুনে। তাইতে ঘুম ঘুম আরাম।
সারা বাড়িতে আর কেউ কোনোখানে নেই। শুধু, রুনু পিসি ঝাঁট দিচ্ছ
---------------------------------------
গলা খুসখুস করলেই আমার ঠাকুমার কথা মনে পড়ে যায়। মনে পড়ে যায়, ভর সন্ধ্যেবেলায় আমি পুজো প্যান্ডেলে না গিয়ে, ঠাকুমার কোলে শুয়ে আছি। আমার গলায় প্যাঁচানো এইয়া মোটকা একটা কুটকুটে মাফলার। এরকম মাফলার আমি এর পরে আর কোথ্থাও দেখি নি। ঠাকুমা বলতো আলপাকা। মসৃণ শরীরে গোল্লা গোল্লা উলের রোঁয়া। মাফলারটা ঠাকুমা একটু আগেই গরম করেছে হ্যারিকেনের আগুনে। তাইতে ঘুম ঘুম আরাম।
সারা বাড়িতে আর কেউ কোনোখানে নেই। শুধু, রুনু পিসি ঝাঁট দিচ্ছ
সরল ছেলে
জান্নাতুল ফেরদৌস লাবণ্য
তিনবছর ধরে চোখেচোখে দেখা, ভালোলাগা, ভালোবাসার পর নতুন রিলেশন শুরু করেছি। ছেলেটা একটু কেমন জানি। আমার এটা প্রথম প্রেম। আমি সঠিক জানিনা কিভাবে প্রেম করতে হয়। জ্ঞানার্জনের জন্য প্রেম করে বিয়ে করা বান্ধবীটাকে ফোন দিলাম। বললাম, তোদের প্রেম কিভাবে হয়েছিলো,কি কি করতে হয় আমাকে টিপস দে। আমাকেও শিখতে হবে কিভাবে প্রেম করে।
সে এক এক করে গুছিয়ে টিপস দিতে শুরু করলো,
-শোন, প্রতিদিন তিনবেলা খাওয়ার সময়ে তাকে ফোন দিয়ে শুনবি, বাবু খাইছো?
সে যদি না খায় তুইও কখনো খাবি না,ভুল করেও খাবি
সে এক এক করে গুছিয়ে টিপস দিতে শুরু করলো,
-শোন, প্রতিদিন তিনবেলা খাওয়ার সময়ে তাকে ফোন দিয়ে শুনবি, বাবু খাইছো?
সে যদি না খায় তুইও কখনো খাবি না,ভুল করেও খাবি
টালমাটাল টিনএজ
Suvendu Debnath
টালমাটাল টিনএজ
শুভেন্দু দেবনাথ
দশটি মেয়ে এবং ছ-টি ছেলে। ষোলো জন কিশোর কিশোরী জড়ো হয়েছিল ২৩ শে জুলাই এক বান্ধবীর জন্মদিনের পার্টিতে। সকলেই যে ঘনিষ্ঠ তা নয়। বেশির ভাগেরই পরিচয় স্বল্প দিনের। কেউ কেউ তো আবার অচেনাও। এদের মধ্যেই একজন আবেশ দাশগুপ্ত, যে নিমন্ত্রিতই ছিল না। একজন বন্ধুর সঙ্গে সে গিয়েছিল পার্টিতে। সন্ধ্যে ছটা নাগাদ আবেশ কে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়, যেখানে পার্টি হচ্ছিল সেই বাড়িরই বেসমেন্টে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় আবেশের। তদন্তে উঠে আসে এগারো বারো ক্লাসের
শুভেন্দু দেবনাথ
দশটি মেয়ে এবং ছ-টি ছেলে। ষোলো জন কিশোর কিশোরী জড়ো হয়েছিল ২৩ শে জুলাই এক বান্ধবীর জন্মদিনের পার্টিতে। সকলেই যে ঘনিষ্ঠ তা নয়। বেশির ভাগেরই পরিচয় স্বল্প দিনের। কেউ কেউ তো আবার অচেনাও। এদের মধ্যেই একজন আবেশ দাশগুপ্ত, যে নিমন্ত্রিতই ছিল না। একজন বন্ধুর সঙ্গে সে গিয়েছিল পার্টিতে। সন্ধ্যে ছটা নাগাদ আবেশ কে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়, যেখানে পার্টি হচ্ছিল সেই বাড়িরই বেসমেন্টে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় আবেশের। তদন্তে উঠে আসে এগারো বারো ক্লাসের
ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট
জান্নাতুল ফেরদৌস লাবণ্য
ভোরবেলা চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেল। কে যেন ষাঁড়ের মতো গলায় চিল্লাচ্ছে, জান্নাতুল ফেরদৌস, অই জান্নাতুল ফেরদৌসের বাচ্চা,বাইর হও। এক্ষুনি বাইর হও।
সদ্য ঘুম থেকে ওঠার পর আমার মাথা খানিকক্ষণ এলোমেলো হয়ে থাকে। আমি ও শুনতেছি, জামা নিবেন? অই জামা নিবেন!!? পাইড়ওয়ালা জামা...
তখনই আব্বু আমার দরজায় ধাক্কা দিয়ে রাগী গলায় বললেন, ভোরবেলা বাইরে দাঁড়িয়ে একটা ছেলে তোর নাম ধরে ডাকছে কেন? কি করেছিস ঠিক করে বল! তোকে তো আজ আমি......
আব্বুর কথা শুনে আমার হ্যাংওভার কে
সদ্য ঘুম থেকে ওঠার পর আমার মাথা খানিকক্ষণ এলোমেলো হয়ে থাকে। আমি ও শুনতেছি, জামা নিবেন? অই জামা নিবেন!!? পাইড়ওয়ালা জামা...
তখনই আব্বু আমার দরজায় ধাক্কা দিয়ে রাগী গলায় বললেন, ভোরবেলা বাইরে দাঁড়িয়ে একটা ছেলে তোর নাম ধরে ডাকছে কেন? কি করেছিস ঠিক করে বল! তোকে তো আজ আমি......
আব্বুর কথা শুনে আমার হ্যাংওভার কে
শিরোনামহীন
বিপ্লব রহমান
তত্কালে লোকে বিজ্ঞাপন বলিতে বুঝাইতো সংবাদপত্রের ভেতরের পাতায় শ্রেণীবদ্ধ সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞাপন, এক কলাম এক ইঞ্চি, সাদা-কালো খোপে ৫০ শব্দে লিখিত-- পাত্র-পাত্রী, বাড়িভাড়া, ক্রয়-বিক্রয়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, চলিতেছে (ঢাকাই ছবি), আসিতেছে (ঢাকাই ছবি), থিয়েটার (মঞ্চ নাটক, বেইলি রোড)-- ইত্যাদি।
আমরা যাহারা কচিকাঁচার দল, ইঁচড়ে পাকা বলিয়া খ্যাত, তাহাদের তখনো অক্ষরজ্ঞান হয় নাই। তাই বইপত্র গিলিবার কাল খানিকটা বিলম্বিত হইয়াছিল। মূদ্রিত বিজ্ঞাপনের বিজ্ঞানটুকু বয়ান করিব যথাসময়ে। ভূমিকাপর্বে সংক্ষ
Take love
জান্নাতুল ফেরদৌস লাবণ্য
জন্মদিনে সবার আগে যেটা হয় সেটা হচ্ছে টাইমলাইন আর ইনবক্স জুড়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছাগুলোর জবাব দিতে দিতে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। রিপ্লাই দিতে দিতে একপর্যায়ে নিজেকে মানসিক রোগী মনে হতে থাকে।
যাইহোক,সবাই ভালোবেসে শুভেচ্ছা জানায় জবাব না দেয়াটাও বেয়াদবি ভেবে আমি সবার আগে যেটা করি, many many thanks,take love... লিখে সেটা কপি করে রেখে দিই,সবাইকে একই রিপ্লাই দিয়ে দেয়া। এরকম করতে গিয়ে যে যে বিপদে পড়লাম তা নিম্নরূপ:
বাইরে আছি। আব্বু মেসেজ দিয়েছেন, কখন আসবি?
আমি মেসেজ না দেখেই
যাইহোক,সবাই ভালোবেসে শুভেচ্ছা জানায় জবাব না দেয়াটাও বেয়াদবি ভেবে আমি সবার আগে যেটা করি, many many thanks,take love... লিখে সেটা কপি করে রেখে দিই,সবাইকে একই রিপ্লাই দিয়ে দেয়া। এরকম করতে গিয়ে যে যে বিপদে পড়লাম তা নিম্নরূপ:
বাইরে আছি। আব্বু মেসেজ দিয়েছেন, কখন আসবি?
আমি মেসেজ না দেখেই
রাতের ঢাকা শহর
Muhammad Sadequzzaman Sharif
ঢাকা শহরের নানা সমস্যা। দুই একদিন আগে দেখলাম সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিয়ায় ওপরের দিকে নাম ঢাকা শহরের। যারা ঢাকা শহরে থাকে বা থেকেছে তারা জানে নাগরিক জীবনের নানা সমস্যা আষ্টেপিষ্টে জরিয়ে আছে। বাতাস শুধু দূষিত না এ শহরের, আরও কত কী যে দূষিত তার কোন হিসেব নেই। খাওয়ার পানিতে সমস্যা, হাঁটার মত ফুটপাথ নাই, নিরিবিলিতে সময় কাটানোর জন্য কোন জায়গা নাই, গন পরিবহনের অবস্থা কল্পনাও করা যায় না, নারী দিনে রাতে সমান ভাবে অনিরাপদ, কিছু এলাকায় আবর্জনা এত জমে থাকে যে সে মুখি হওয়াও যায় না। আরও আরও নানা রকমের সমস্যায় জ
মাইনাস তিন ডিগ্রি
Parthasarathi Giri
মাইনাস তিন ডিগ্রি
▶️
প্রতি সন্ধ্যায় শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে মাত্র কয়েক ফার্লং দূরে যশোর রোডের ডানদিকে দেড়তলা বাড়িটা অন্ধকারেই থাকে। রাত ন'টা নাগাদ পুট করে গেটের আলোটা জ্বলে ওঠে। কোলাপসিবল গেটে চাবি তালার খুট খুট ধাতব শব্দ। সিঁড়ির আলো জ্বলে। ডাইনিং প্লেস, বেডরুম, বাথরুমে যাবার প্যাসেজ এবং সবশেষে বাথরুমের আলোগুলো পরপর জ্বলে উঠতে থাকে।
আরামবাগের ফ্রোজেন চিকেন আরেকবার ডিপ ফ্রিজে ঢোকে। ব্রকোলি গাজর ক্যাপসিকাম স্টাফড্ মাশরুম হিমগর্ভে পরপর সজ্জিত হয়। বাথরুমের দরজার সাম
▶️
প্রতি সন্ধ্যায় শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে মাত্র কয়েক ফার্লং দূরে যশোর রোডের ডানদিকে দেড়তলা বাড়িটা অন্ধকারেই থাকে। রাত ন'টা নাগাদ পুট করে গেটের আলোটা জ্বলে ওঠে। কোলাপসিবল গেটে চাবি তালার খুট খুট ধাতব শব্দ। সিঁড়ির আলো জ্বলে। ডাইনিং প্লেস, বেডরুম, বাথরুমে যাবার প্যাসেজ এবং সবশেষে বাথরুমের আলোগুলো পরপর জ্বলে উঠতে থাকে।
আরামবাগের ফ্রোজেন চিকেন আরেকবার ডিপ ফ্রিজে ঢোকে। ব্রকোলি গাজর ক্যাপসিকাম স্টাফড্ মাশরুম হিমগর্ভে পরপর সজ্জিত হয়। বাথরুমের দরজার সাম
যে হাতে জ্বলেছিল আলোর শিখা - ডঃ বিভা চৌধুরী
স্বাতী রায়
বিভা চৌধুরীকে নিয়ে আমার আগ্রহ অনেক দিনের। আগ্রহের সুচনা কেন্দ্র অবশ্যই তাঁর বিজ্ঞানচর্চা । বৈজ্ঞানিককে তার বিজ্ঞান ছাড়া ধরা যায় না। তবে তিনি যখন বিজ্ঞান সাধনায় নামেন , তখন সে জগত এক অবিচ্ছিন্ন জ্ঞানের জগত, আমার বিজ্ঞানের যে সীমিত জ্ঞান তাই দিয়ে তাঁকে আবছা বোঝা গেলেও , পুরোটা ধরা মুশকিল-ই।
আগ্রহের শুরুটা একটু অদ্ভুত ভাবে। ফেমিনিজম নিয়ে পড়াশুনা করছিলাম। দেখলাম কট্টর নারীবাদীরা বলেন যে ক্লাসিক্যাল ফিজিক্স যেভাবে গোটা বিশ্ব ব্রহ্মান্ডকে objectifiable আর knowable বলে সেটাই নাকি গণ্ডগোলের। তু
আগ্রহের শুরুটা একটু অদ্ভুত ভাবে। ফেমিনিজম নিয়ে পড়াশুনা করছিলাম। দেখলাম কট্টর নারীবাদীরা বলেন যে ক্লাসিক্যাল ফিজিক্স যেভাবে গোটা বিশ্ব ব্রহ্মান্ডকে objectifiable আর knowable বলে সেটাই নাকি গণ্ডগোলের। তু
পৌরাণিক ঘরওয়াপ্সি ও হরে দরে কশ্যপ গোত্র
Sourav Mitra
পৌরাণিক ঘরওয়াপ্সি ও হরে দরে কশ্যপ গোত্র
সৌরভ মিত্র
ধরা যাক, অতি খাজা একখানা প্রবন্ধ পড়তে পড়তে মুখ থেকে অজান্তেই একটি শব্দ বেরিয়ে এল, -‘জঘন্য’। বেজায় সমস্যা এই তৎসম শব্দটিকে নিয়ে। এর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কিনা ‘জঘনভব’ বা ‘জঘনতুল্য’ [জঘন + য (যৎ)]। কিন্তু, সেই শব্দের অর্থ শেষ অবধি ‘নিকৃষ্ট’, ‘নিন্দনীয়’ বা ‘কুৎসিত’-এ দাঁড়াল কেন, - সে এক রহস্য! ‘জঘন’ শব্দটি বেদে ব্যবহৃত।[1] সেখানে বলা হয়েছে, –‘বুদ্ধিমান অশ্বের জঘনদেশে পুনঃ পুনঃ আঘাত করে
শুভায়ু শুক্রবার
বকলমে
প্রতিভা সরকার
দিল্লীর রাজপথে শিরদাঁড়া সোজা করে বসে আছে একদল বাচ্চা ছেলেমেয়ে। স্কুলে না গিয়ে তারা এইখানে। হাতে প্ল্যাকার্ড "স্কুলে যাইনি, বড়দের শেখাব বলে"। ব্যাঙালুরুতে কিশোররা গম্ভীর মুখ। হাতে লেখা "পিতৃতন্ত্র নয়, প্ল্যানেট বাঁচাও"। বার্লিনে বাচ্চারা লিখেছে "সিস্টেম পাল্টাও, ক্লাইমেট নয়"।
কি শেখাতে চায় ওরা সবজান্তা বুড়োদের ? কেন প্রত্যেক শুক্রবারের এই স্কুল-পালানো আন্দোলনের জয়জয়কার গোটা পৃথিবী জুড়েই?
গ্রেটা থানবার্গ নামে এক সুইডিশ স্কুলছাত্রী পর পর তিন শুক্রবার সেদেশের পার্লামে
দিল্লীর রাজপথে শিরদাঁড়া সোজা করে বসে আছে একদল বাচ্চা ছেলেমেয়ে। স্কুলে না গিয়ে তারা এইখানে। হাতে প্ল্যাকার্ড "স্কুলে যাইনি, বড়দের শেখাব বলে"। ব্যাঙালুরুতে কিশোররা গম্ভীর মুখ। হাতে লেখা "পিতৃতন্ত্র নয়, প্ল্যানেট বাঁচাও"। বার্লিনে বাচ্চারা লিখেছে "সিস্টেম পাল্টাও, ক্লাইমেট নয়"।
কি শেখাতে চায় ওরা সবজান্তা বুড়োদের ? কেন প্রত্যেক শুক্রবারের এই স্কুল-পালানো আন্দোলনের জয়জয়কার গোটা পৃথিবী জুড়েই?
গ্রেটা থানবার্গ নামে এক সুইডিশ স্কুলছাত্রী পর পর তিন শুক্রবার সেদেশের পার্লামে
নারীদের শ্রম-জীবন
বকলমে
লোপামুদ্রা সরকার
ভদ্রলোক ব্যস্ত মানুষ। উচ্চপদস্থ। তাঁকে প্ল্যান্টে নিয়ে যেতে কোয়ার্টারের সামনে গাড়ি আসে। তিনি সকালে উঠে, চা খেয়ে, কিঞ্চিৎ স্বাস্থ্যচর্চা করে, ব্রেকফাস্ট সেরে, পোশাক পরিচ্ছদ পরে তৈরি হয়ে প্ল্যান্টের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেন। এই সময় তাঁর হাতে থাকে খবরের কাগজ। হেডলাইনে চোখ বোলাতে বোলাতে তিনি গিন্নির দিকে তাকিয়ে বলেন, “রুমাল টা নিতে ভুলে গেছি , দাও তো”। কণ্ঠস্বরের আদেশের ঝাঁজটি হজম করে গৃহবধূ গিন্নি দোতলায় দৌড়ান। রুমাল নিয়ে নিচে নামতে নামতে পিক-আপ গাড়ি এসে পড়ে। কোনরকমে খবরের
ভদ্রলোক ব্যস্ত মানুষ। উচ্চপদস্থ। তাঁকে প্ল্যান্টে নিয়ে যেতে কোয়ার্টারের সামনে গাড়ি আসে। তিনি সকালে উঠে, চা খেয়ে, কিঞ্চিৎ স্বাস্থ্যচর্চা করে, ব্রেকফাস্ট সেরে, পোশাক পরিচ্ছদ পরে তৈরি হয়ে প্ল্যান্টের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেন। এই সময় তাঁর হাতে থাকে খবরের কাগজ। হেডলাইনে চোখ বোলাতে বোলাতে তিনি গিন্নির দিকে তাকিয়ে বলেন, “রুমাল টা নিতে ভুলে গেছি , দাও তো”। কণ্ঠস্বরের আদেশের ঝাঁজটি হজম করে গৃহবধূ গিন্নি দোতলায় দৌড়ান। রুমাল নিয়ে নিচে নামতে নামতে পিক-আপ গাড়ি এসে পড়ে। কোনরকমে খবরের
মেয়েবেলা
বকলমে
ইন্দ-রানী
একটি অতি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে কঠোর পুরুষতান্ত্রিক পরিকাঠামোয়, হাজার নিয়ম ও বাধা নিষেধের বেড়ার ভেতর যেমন মেয়েবেলা কাটতে পারে, তেমনি ছিল মেয়েটির ছোটবেলা। মেয়েবেলার কথা ভাবতে বসলে সত্যি বলতে তেমন আনন্দের কোন উপাখ্যান অথবা সুখস্মৃতি তার মনে পড়েনা-সেসব হয়ত ছিল কখনও কিন্তু এখন হাতড়ালে আর খুঁজে পাওয়া যায়না।
সে যে একটি মেয়ে, এবং তা যে আসলে বেশ আলাদা রকম কিছু, সেই বোধের সর্ব প্রথম উপলব্ধি তার হয়েছিল পাঁচ বছর বয়েসেরও আগে। এক নিকট আত্মীয়া তাকে খওয়াতে বসে গল্পের ছলে বলেছিলে
একটি অতি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে কঠোর পুরুষতান্ত্রিক পরিকাঠামোয়, হাজার নিয়ম ও বাধা নিষেধের বেড়ার ভেতর যেমন মেয়েবেলা কাটতে পারে, তেমনি ছিল মেয়েটির ছোটবেলা। মেয়েবেলার কথা ভাবতে বসলে সত্যি বলতে তেমন আনন্দের কোন উপাখ্যান অথবা সুখস্মৃতি তার মনে পড়েনা-সেসব হয়ত ছিল কখনও কিন্তু এখন হাতড়ালে আর খুঁজে পাওয়া যায়না।
সে যে একটি মেয়ে, এবং তা যে আসলে বেশ আলাদা রকম কিছু, সেই বোধের সর্ব প্রথম উপলব্ধি তার হয়েছিল পাঁচ বছর বয়েসেরও আগে। এক নিকট আত্মীয়া তাকে খওয়াতে বসে গল্পের ছলে বলেছিলে
#মারখা_মেমারিজ (পর্ব ৯)
Biswajit Hazra
কাং ইয়াৎজে বেসক্যাম্প (০৯.০৯.২০১৮)
___________________________
স্টেন্সিলের ডাকাডাকিতে যথারীতি ঘুম ভেঙেছে সকাল ছটায়। টেন্টের জিপার খুলে হাত বাড়িয়ে গরম চায়ের গেলাস নিতে নিতে রিফ্লেক্সে সবাই একবার ঘাড় তুলে তাকিয়েছে আকাশের দিকে। ওয়েদার কেমন? ক্লিয়ার হয়েছে? নাকি আরও ডাউন? নাঃ ... আরও ডাউন হয়েছে কিনা সেটা বোঝা গেলো না। কিন্তু ভালো কিছুও হয়নি। মেঘ। কুয়াশা। কেমন যেন একটা থম মেরে আছে চারদিকটা।
এই এক মুশকিল। দু’রাত্তির বেসক্যাম্পে বসে থেকে থেকে অলরেডি কেমন যেন ঝিম লাগতে শুরু করেছে।
___________________________
স্টেন্সিলের ডাকাডাকিতে যথারীতি ঘুম ভেঙেছে সকাল ছটায়। টেন্টের জিপার খুলে হাত বাড়িয়ে গরম চায়ের গেলাস নিতে নিতে রিফ্লেক্সে সবাই একবার ঘাড় তুলে তাকিয়েছে আকাশের দিকে। ওয়েদার কেমন? ক্লিয়ার হয়েছে? নাকি আরও ডাউন? নাঃ ... আরও ডাউন হয়েছে কিনা সেটা বোঝা গেলো না। কিন্তু ভালো কিছুও হয়নি। মেঘ। কুয়াশা। কেমন যেন একটা থম মেরে আছে চারদিকটা।
এই এক মুশকিল। দু’রাত্তির বেসক্যাম্পে বসে থেকে থেকে অলরেডি কেমন যেন ঝিম লাগতে শুরু করেছে।
আমাদের বর্ণ-বিদ্বেষ
Muhammad Sadequzzaman Sharif
নিউজিল্যান্ডে ঘটে যাওয়া ঘটনা আমাদের কে সুযোগ করে দিয়েছে প্রশ্ন করার। সুযোগ করে দিয়েছে গলা বাজি করে বলার যে খালি আমাদেরই সব দোষ? দেখ, তোমাদের ওখানেও কত রক্ত ঝরল! খুব করে বলার সুযোগ এসেছে জঙ্গিদের কোন দেশ ধর্ম জাত হয় না। আমরাও বলছিও এসব গলা উঁচু করে। বর্ণবৈষম্য নিয়ে জ্ঞানী জ্ঞানী কথা বলা হচ্ছে। সাদারা কালোদের এমন খারাপ ভাবে দেখে আমরা অবাক হওয়ার ভান করছি। আমরা বলছি ইস! এত খারাপ হয় কিভাবে মানুষ। বাংলাদেশের মত দেশে থেকেও আমরা প্রশ্ন তুলতে পারছি নিউজিল্যান্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। এ সবই করছি আমরা।
অলসের শাস্তি
Lilaboti Lb
গত কয়দিন বাড়িতে কোন লোক নেই। সবাই মিলে আত্নীয়ের বিয়েতে গেছে। আমার এ বিষয়ে এলার্জি আছে বিধায় চোখমুখ উল্টে অসুস্থ হওয়ার অভিনয় করে বেঁচে গেছি। আমাকে রেখেই সবাই চলে গেছে। কাজের মেয়েটা শেষ ভরসা ছিল বাড়ি ফাঁকা দেখে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে গিয়ে আর ফেরেনি। সম্ভবত বিয়ে করে সংসার পেতেছে। কাজের মেয়েকে ফোন দিলাম।বললাম,কোথায় তুমি কখন আসবা?
সে বলল,আপা আমার খুব পেটে বেদনা,পিঠ ফেটে যায়,ঘাড়ে ব্যাথা,বাতের ব্যাথা, হাঁটুর গিরায় গিরায় যন্ত্রণা ইত্যাদি ১২ আদার্স সমস্যার বিবরণ দিয়ে বলল,আপনি
সে বলল,আপা আমার খুব পেটে বেদনা,পিঠ ফেটে যায়,ঘাড়ে ব্যাথা,বাতের ব্যাথা, হাঁটুর গিরায় গিরায় যন্ত্রণা ইত্যাদি ১২ আদার্স সমস্যার বিবরণ দিয়ে বলল,আপনি
বোকা
Lilaboti Lb
আমি প্রচুর মাথামোটা। কতটা মাথামোটা উদাহরণ না দিলে সেটা বুঝবেন না।
ছোটবেলায় একবার সাপ দেখেছিলাম। সাপটা আমাদের নিচতলার বাসার ভাড়াটিয়াদের বাড়িতে উঠে এসেছিল। ওদের একটা বিড়াল ছিল। আমি বিড়ালটাকে তাড়া করতেই সেটা সোফার নিচে ঢুকে যায়। আমি সোফার পাশে বসে উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করছি বিড়ালটা কোথায় গেল এইসময় দেখি আমার একদম একহাত পাশে একটা সাপ।
সাপ দেখলে যে চিৎকার চেঁচামেচি করে দৌড় দিতে হবে সেটা আমার তখনও মাথায় আসেনি। আমি ওখানেই বসে সাপটার দিকে তাকিয়ে ভাবছি,এটা কি? সাপ! এখা
ছোটবেলায় একবার সাপ দেখেছিলাম। সাপটা আমাদের নিচতলার বাসার ভাড়াটিয়াদের বাড়িতে উঠে এসেছিল। ওদের একটা বিড়াল ছিল। আমি বিড়ালটাকে তাড়া করতেই সেটা সোফার নিচে ঢুকে যায়। আমি সোফার পাশে বসে উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করছি বিড়ালটা কোথায় গেল এইসময় দেখি আমার একদম একহাত পাশে একটা সাপ।
সাপ দেখলে যে চিৎকার চেঁচামেচি করে দৌড় দিতে হবে সেটা আমার তখনও মাথায় আসেনি। আমি ওখানেই বসে সাপটার দিকে তাকিয়ে ভাবছি,এটা কি? সাপ! এখা
খুনসুটি
Lilaboti Lb
সকালবেলা ঘুমিয়ে ছিলাম তখন আমার রুমে এসে আয়না খোঁজাখুঁজি করতে করতে একটা চিঠি হাতে পেয়েছে ছোটভাই ইমন। চিঠিটা পাশের বাসার ক্রাশকে উদ্দেশ্য করে লেখা,যদিও তাকে পাঠাবো এমন চিন্তাভাবনা কখনোই ছিল না। চিঠিটার ভেতরে ৯৯ লাইন "আমি আপনাকে ভালোবাসি" লিখে তার নাম উল্লেখ করা আছে।
ইমন আমাকে কিছুই জানাল না। আমারও চিঠির ব্যাপারে আর মনে নেই। দুই তিনদিন পরে একদিন আমি পড়তে বসেছি ও আমার সামনে এসে বসল।
-একটা পাঞ্জাবি দেখেছি অমুক দোকানে,কি যে সুন্দর বললে বিশ্বাস করবি না। লাল পাঞ্জাবী।পহেলা বৈশাখ
ইমন আমাকে কিছুই জানাল না। আমারও চিঠির ব্যাপারে আর মনে নেই। দুই তিনদিন পরে একদিন আমি পড়তে বসেছি ও আমার সামনে এসে বসল।
-একটা পাঞ্জাবি দেখেছি অমুক দোকানে,কি যে সুন্দর বললে বিশ্বাস করবি না। লাল পাঞ্জাবী।পহেলা বৈশাখ
গায়ক নোবেল
Lilaboti Lb
সদ্য জাতীয় ক্রাশ নোমিনেশন পাওয়া গায়ক নোবেল। সব মেয়েদেরই যখন ক্রাশ আমার হবে না কেন? আমিও তো মেয়ে এবং আমি যে মেয়ে এই বিষয়ে নিশ্চয়ই কোনো সন্দেহ নেই। সুতরাং ট্রেন্ড হিসেবে নোবেলের ওপর আমিও ব্যাপক হারে ক্রাশ খেলাম। আগে কখনো সারেগামাপা দেখতাম না। এখন নিয়মিত দেখি। ঘুমিয়ে থাকলেও নোবেলের কথা মনে পড়তেই লাফ দিয়ে উঠে পড়ি।
শুধু তাই না, আমার সাথে সাথে আমার ভাবী,ভাতিজা এরাও নোবেলের ভক্ত।
নোবেল যদি আমাদের বাড়ির জামাই হয় ও বেড়াতে আসলে ভাবী কি কি রান্না করবে তার লিস্টও দিয়ে দি
শুধু তাই না, আমার সাথে সাথে আমার ভাবী,ভাতিজা এরাও নোবেলের ভক্ত।
নোবেল যদি আমাদের বাড়ির জামাই হয় ও বেড়াতে আসলে ভাবী কি কি রান্না করবে তার লিস্টও দিয়ে দি
জুনিয়র
Lilaboti Lb
কয়দিন ধরে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়া একটা ছেলে খুব বিরক্ত করছিলো। প্রথমদিন যখন তার সাথে আমার দেখা হয়েছিল আমি তখন কলেজের মাঠে বসে ফেসবুক চালাচ্ছি। সে এসে আমার পাশে বসে বলল,
কেমন আছো?
-ভালো!
: তোমাকে দেখে মনেই হয় না তুমি ইন্টারে উঠে গেছ। বরং মনে হয় স্কুলে নাইন টেনে পড়ো।
আমি লাজুক হেসে বললাম,ঠিকই ধরেছেন, আমার বাবা-মা অল্প বয়সে আমাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন নাহলে এখন বেশী হলেও টেনে থাকতাম।
তোমার বয়স কিছুতেই সতেরোর বেশী না! আমারতো মনে হচ্ছে ষোল।
আরও পড়ুন...
কেমন আছো?
-ভালো!
: তোমাকে দেখে মনেই হয় না তুমি ইন্টারে উঠে গেছ। বরং মনে হয় স্কুলে নাইন টেনে পড়ো।
আমি লাজুক হেসে বললাম,ঠিকই ধরেছেন, আমার বাবা-মা অল্প বয়সে আমাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন নাহলে এখন বেশী হলেও টেনে থাকতাম।
তোমার বয়স কিছুতেই সতেরোর বেশী না! আমারতো মনে হচ্ছে ষোল।
আরও পড়ুন...
জুনিয়র
Lilaboti Lb
কয়দিন ধরে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়া একটা ছেলে খুব বিরক্ত করছিলো। প্রথমদিন যখন তার সাথে আমার দেখা হয়েছিল আমি তখন কলেজের মাঠে বসে ফেসবুক চালাচ্ছি। সে এসে আমার পাশে বসে বলল,
কেমন আছো?
-ভালো!
: তোমাকে দেখে মনেই হয় না তুমি ইন্টারে উঠে গেছ। বরং মনে হয় স্কুলে নাইন টেনে পড়ো।
আমি লাজুক হেসে বললাম,ঠিকই ধরেছেন, আমার বাবা-মা অল্প বয়সে আমাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন নাহলে এখন বেশী হলেও টেনে থাকতাম।
তোমার বয়স কিছুতেই সতেরোর বেশী না! আমারতো মনে হচ্ছে ষোল।
আরও পড়ুন...
কেমন আছো?
-ভালো!
: তোমাকে দেখে মনেই হয় না তুমি ইন্টারে উঠে গেছ। বরং মনে হয় স্কুলে নাইন টেনে পড়ো।
আমি লাজুক হেসে বললাম,ঠিকই ধরেছেন, আমার বাবা-মা অল্প বয়সে আমাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন নাহলে এখন বেশী হলেও টেনে থাকতাম।
তোমার বয়স কিছুতেই সতেরোর বেশী না! আমারতো মনে হচ্ছে ষোল।
আরও পড়ুন...
কলেজ লাইফ এবং
Lilaboti Lb
নতুন কলেজে ভর্তি হয়েছি। এরমধ্যে এক কান্ড হলো। কারা যেন ক্লাসের সবথেকে ভালো ছাত্র যে পড়ালেখা ছাড়া কিছুই বোঝে না তার সাথে আমার নাম লিখে দিলো দেয়ালে। আমি পরদিন কলেজে গিয়ে দেয়ালে দেখছি বড় বড় করে লেখা,
Labonno, I love you, Tanvir
একদল গবেষণা করে বলছে, তানভীর আমাকে ভালোবাসে তাই Labonno I love you লিখে নিজের নাম লিখেছে।
আরেকদল বলছে, আমি তানভীরকে ভালোবাসি তাই শুরুতে নিজের নাম লিখে, I love you Tanvir লিখেছি।
আমি সদ্য গার্লস স্কুল থেকে পড়ে বেরিয়েছি। এই জ
Labonno, I love you, Tanvir
একদল গবেষণা করে বলছে, তানভীর আমাকে ভালোবাসে তাই Labonno I love you লিখে নিজের নাম লিখেছে।
আরেকদল বলছে, আমি তানভীরকে ভালোবাসি তাই শুরুতে নিজের নাম লিখে, I love you Tanvir লিখেছি।
আমি সদ্য গার্লস স্কুল থেকে পড়ে বেরিয়েছি। এই জ
ছ্যাঁকা অতঃপর
Lilaboti Lb
ছেলেটাকে আমি ছোটবেলা থেকে ভালোবাসতাম। কখনো তাকে মনের কথা বলিনি। কারণ জানতাম রাজি হবে না। কি করে যেন বুঝে গিয়েছিলাম সে রাজি হবে না। সুতরাং বলে অপমানিত হওয়ার কোন অর্থ নাই ভেবে বলিনি। দেখা হলে ভাইয়া ডেকে কথা বলি। কিন্তু রাতে তার স্বপ্নে বিভোর হয়ে ঘুমাতে পারি না,পড়তে বসে ডায়েরি জুড়ে তার নাম লিখি,তার ছবি দেখে চোখের পানি ফেলি।
এভাবে অনেক বছর চলে গেল। তাকে ভালোবাসার কথা বলা হলো না।
***
প্রায় সাড়ে ছয় বছর পর সে একদিন আমাকে মেসেঞ্জারে কল দিল। তার কল দেখে আমার বুকের ভেতর এমন ব্
এভাবে অনেক বছর চলে গেল। তাকে ভালোবাসার কথা বলা হলো না।
***
প্রায় সাড়ে ছয় বছর পর সে একদিন আমাকে মেসেঞ্জারে কল দিল। তার কল দেখে আমার বুকের ভেতর এমন ব্
ছ্যাঁকা অতঃপর
Lilaboti Lb
ছেলেটাকে আমি ছোটবেলা থেকে ভালোবাসতাম। কখনো তাকে মনের কথা বলিনি। কারণ জানতাম রাজি হবে না। কি করে যেন বুঝে গিয়েছিলাম সে রাজি হবে না। সুতরাং বলে অপমানিত হওয়ার কোন অর্থ নাই ভেবে বলিনি। দেখা হলে ভাইয়া ডেকে কথা বলি। কিন্তু রাতে তার স্বপ্নে বিভোর হয়ে ঘুমাতে পারি না,পড়তে বসে ডায়েরি জুড়ে তার নাম লিখি,তার ছবি দেখে চোখের পানি ফেলি।
এভাবে অনেক বছর চলে গেল। তাকে ভালোবাসার কথা বলা হলো না।
***
প্রায় সাড়ে ছয় বছর পর সে একদিন আমাকে মেসেঞ্জারে কল দিল। তার কল দেখে আমার বুকের ভেতর এমন ব্
এভাবে অনেক বছর চলে গেল। তাকে ভালোবাসার কথা বলা হলো না।
***
প্রায় সাড়ে ছয় বছর পর সে একদিন আমাকে মেসেঞ্জারে কল দিল। তার কল দেখে আমার বুকের ভেতর এমন ব্
রাজনীতিভক্ত ভাড়াটিয়া
Lilaboti Lb
ইদানিং বাসা থেকে বের হতে ভয় লাগে। ভয় লাগার কারণ আছে। সামনের বাসায় নতুন ভাড়াটিয়া এসেছে। তাদের মধ্যে একজন বয়স্ক মানুষ আছেন যিনি সারাদিন ঐ বাসার বারান্দায় বসে থাকেন আর যাকেই দেখতে পান ডেকে নিয়ে বলেন,"বলোতো দেশের কি হাল?"
ওনার সামনে বসলে মিনিমাম দুই ঘন্টা দেশের হাল সম্পর্কে না চাইলেও শুনতে হবে। প্রতিটা মানুষকে দেশের সম্পর্কে জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে একজন পরিপূর্ণ আদর্শ নাগরিক বানানোর মিশনে নেমেছেন উনি।
ইদানিং আমার আবার পরীক্ষাও চলছে। ও বলা হয়নি, আমি পলিটিক্সের ছাত্রী। আমার বি
ওনার সামনে বসলে মিনিমাম দুই ঘন্টা দেশের হাল সম্পর্কে না চাইলেও শুনতে হবে। প্রতিটা মানুষকে দেশের সম্পর্কে জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে একজন পরিপূর্ণ আদর্শ নাগরিক বানানোর মিশনে নেমেছেন উনি।
ইদানিং আমার আবার পরীক্ষাও চলছে। ও বলা হয়নি, আমি পলিটিক্সের ছাত্রী। আমার বি
রাজনীতিভক্ত ভাড়াটিয়া
Lilaboti Lb
ইদানিং বাসা থেকে বের হতে ভয় লাগে। ভয় লাগার কারণ আছে। সামনের বাসায় নতুন ভাড়াটিয়া এসেছে। তাদের মধ্যে একজন বয়স্ক মানুষ আছেন যিনি সারাদিন ঐ বাসার বারান্দায় বসে থাকেন আর যাকেই দেখতে পান ডেকে নিয়ে বলেন,"বলোতো দেশের কি হাল?"
ওনার সামনে বসলে মিনিমাম দুই ঘন্টা দেশের হাল সম্পর্কে না চাইলেও শুনতে হবে। প্রতিটা মানুষকে দেশের সম্পর্কে জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে একজন পরিপূর্ণ আদর্শ নাগরিক বানানোর মিশনে নেমেছেন উনি।
ইদানিং আমার আবার পরীক্ষাও চলছে। ও বলা হয়নি, আমি পলিটিক্সের ছাত্রী। আমার বি
ওনার সামনে বসলে মিনিমাম দুই ঘন্টা দেশের হাল সম্পর্কে না চাইলেও শুনতে হবে। প্রতিটা মানুষকে দেশের সম্পর্কে জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে একজন পরিপূর্ণ আদর্শ নাগরিক বানানোর মিশনে নেমেছেন উনি।
ইদানিং আমার আবার পরীক্ষাও চলছে। ও বলা হয়নি, আমি পলিটিক্সের ছাত্রী। আমার বি
ঝালমুড়িওয়ালা
Lilaboti Lb
সালটা ২০১৩। মিলন নামের মানুষটি পার্কের সামনে ঝালমুড়ি বিক্রি করত। সারাদিন ঝালমুড়ি বিক্রি শেষে
মোটামুটি চারশ/পাঁচশ টাকা লাভ থাকত তার। বড় ছেলেটার পায়ে সমস্যা। বছরখানেক আগে এক্সিডেন্টের পর থেকে এক পা সম্পূর্ণ অচল তার। তার চিকিৎসার জন্য টাকা জমাতে হয়। তাই যত পারা যায় কম খরচ করেন তিনি। সারাদিন ঝালমুড়ি বিক্রি শেষে একমুঠো চাল-ডাল,মসলাপাতি কিনে নিয়ে গিয়ে বাসায় গিয়ে খিচুড়ি রান্না করেন। দিনে এই একবেলায়ই তারা শান্তি করে ভাত খায়।
মিলনের স্ত্রী সুলতানা একটা নামকরা টিভি সিরিয়ালে
মোটামুটি চারশ/পাঁচশ টাকা লাভ থাকত তার। বড় ছেলেটার পায়ে সমস্যা। বছরখানেক আগে এক্সিডেন্টের পর থেকে এক পা সম্পূর্ণ অচল তার। তার চিকিৎসার জন্য টাকা জমাতে হয়। তাই যত পারা যায় কম খরচ করেন তিনি। সারাদিন ঝালমুড়ি বিক্রি শেষে একমুঠো চাল-ডাল,মসলাপাতি কিনে নিয়ে গিয়ে বাসায় গিয়ে খিচুড়ি রান্না করেন। দিনে এই একবেলায়ই তারা শান্তি করে ভাত খায়।
মিলনের স্ত্রী সুলতানা একটা নামকরা টিভি সিরিয়ালে
ঝালমুড়িওয়ালা
Lilaboti Lb
সালটা ২০১৩। মিলন নামের মানুষটি পার্কের সামনে ঝালমুড়ি বিক্রি করত। সারাদিন ঝালমুড়ি বিক্রি শেষে
মোটামুটি চারশ/পাঁচশ টাকা লাভ থাকত তার। বড় ছেলেটার পায়ে সমস্যা। বছরখানেক আগে এক্সিডেন্টের পর থেকে এক পা সম্পূর্ণ অচল তার। তার চিকিৎসার জন্য টাকা জমাতে হয়। তাই যত পারা যায় কম খরচ করেন তিনি। সারাদিন ঝালমুড়ি বিক্রি শেষে একমুঠো চাল-ডাল,মসলাপাতি কিনে নিয়ে গিয়ে বাসায় গিয়ে খিচুড়ি রান্না করেন। দিনে এই একবেলায়ই তারা শান্তি করে ভাত খায়।
মিলনের স্ত্রী সুলতানা একটা নামকরা টিভি সিরিয়ালে
মোটামুটি চারশ/পাঁচশ টাকা লাভ থাকত তার। বড় ছেলেটার পায়ে সমস্যা। বছরখানেক আগে এক্সিডেন্টের পর থেকে এক পা সম্পূর্ণ অচল তার। তার চিকিৎসার জন্য টাকা জমাতে হয়। তাই যত পারা যায় কম খরচ করেন তিনি। সারাদিন ঝালমুড়ি বিক্রি শেষে একমুঠো চাল-ডাল,মসলাপাতি কিনে নিয়ে গিয়ে বাসায় গিয়ে খিচুড়ি রান্না করেন। দিনে এই একবেলায়ই তারা শান্তি করে ভাত খায়।
মিলনের স্ত্রী সুলতানা একটা নামকরা টিভি সিরিয়ালে
বাসররাত রম্য
Lilaboti Lb
বিয়ের রাতে বর বাসরঘরে ঢুকে আমতা আমতা করতে লাগল। আমি তখন লম্বা ঘোমটা টেনে বসে আছি। সে বেচারা কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছে না। আমার পাশে এসে বসল। বললো, দেখো,তুমিও এডাল্ট,আমিও এডাল্ট। আমি ঘোমটার ফাঁক দিয়ে তাকিয়ে বললাম,আমি এডাল্ট কে বলছে আপনারে?? আমার সার্টিফিকেটের বয়স সতেরো। সে আরো থতমত খেয়ে গেল। বললো, তোমাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখেছি,শুনবে?
আমি বললাম, আমার কবিতা পছন্দ না। তাও শোনাতে চাইলে তো আর কান বন্ধ করতে পারব না। সে সাথে সাথে শুরু করল,
দিন যায়, সন্ধ্যা আসিআসি,
ওগো নববধূ,তোমায় ভা
আমি বললাম, আমার কবিতা পছন্দ না। তাও শোনাতে চাইলে তো আর কান বন্ধ করতে পারব না। সে সাথে সাথে শুরু করল,
দিন যায়, সন্ধ্যা আসিআসি,
ওগো নববধূ,তোমায় ভা
পাগল জামাই
Lilaboti Lb
একটা পাগল ছেলের সাথে আমার বিয়ে প্রায় ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছিল। বিয়েও হয়ে যেত যদি না শেষ মুহূর্তে জানা যেত সে পাগল। প্রথমদিন তারা যখন আমাকে দেখতে এলো তখন একটা ঘটনা ঘটল। আমি বসে আছি। তারা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলছে এমন সময় ছেলে চিৎকার করে উঠল, চুপ,সবাই চুপ,হুসসসসস!!!
সবাই চমকে উঠলেও ছেলেপক্ষ কেন জানি বিষয়টা সামাল দিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করল। ছেলের মা হেসে উঠে বললেন, আপনাদের বাড়ির পেছন দিকে শব্দ হচ্ছে, আমার ছেলে সেইজন্য চুপ করতে বললো। দেখে আসেন চোর নাকি!!
এমনিতে ছেলেটা চুপচা
সবাই চমকে উঠলেও ছেলেপক্ষ কেন জানি বিষয়টা সামাল দিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করল। ছেলের মা হেসে উঠে বললেন, আপনাদের বাড়ির পেছন দিকে শব্দ হচ্ছে, আমার ছেলে সেইজন্য চুপ করতে বললো। দেখে আসেন চোর নাকি!!
এমনিতে ছেলেটা চুপচা
দাদীর নাতজামাই
Lilaboti Lb
মাঝরাতে ক্রাশের ছবির স্লাইড শো অন করে হেডফোন কানে দিয়ে ছবি দেখছিলাম। পাশে দাদী ঘুমাচ্ছে। মানে, ঘুমাচ্ছে বলেই আমি জানতাম। কিন্তু হঠাৎ করে এককানের হেডফোন সরিয়ে দাদী বলে উঠলেন,আগের ছবিখান আরেকবার দে, নীল শার্ট পরা ঐটা।
আতংকে অস্থির হয়ে আমি উঠে বসলাম। বললাম, তুমি ঘুমাওনি!
দাদী সে প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে অন্য প্রসঙ্গে চলে গেলেন, ছ্যামরা তো দেখতে সুন্দর,বয়স একটু বেশী। তোর সাথে যায় না, আমার সাথে মানায়।
নাউজুবিল্লাহ,এগুলা কি বলে? রাগী গলায় বললাম,দেখো, ওনার বয়স এমন বেশী না। আমার চেয়ে
আতংকে অস্থির হয়ে আমি উঠে বসলাম। বললাম, তুমি ঘুমাওনি!
দাদী সে প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে অন্য প্রসঙ্গে চলে গেলেন, ছ্যামরা তো দেখতে সুন্দর,বয়স একটু বেশী। তোর সাথে যায় না, আমার সাথে মানায়।
নাউজুবিল্লাহ,এগুলা কি বলে? রাগী গলায় বললাম,দেখো, ওনার বয়স এমন বেশী না। আমার চেয়ে
হিমু ভাই
Lilaboti Lb
গত তিনদিন ধরে আমার ছোটভাইটা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তা নিয়ে আব্বু-আম্মুর কোন মাথাব্যথাও নেই। যদিও আব্বুর মূল রাগ ওর ওপর কিন্তু ঘটনার মেইন ভিলেন আমি।
আসলে হয়েছে কি, একদিন ওর কাছে গিয়ে আমি আফসোস করে বলছিলাম, আমার কত শখ ছিল হিমু হবো! কিন্তু মেয়েরা হিমু হতে পারে না।
ও তখন পায়ের ওপর পা তুলে দিয়ে একটা ম্যাগাজিন পড়ছে। বললো, কেন? মেয়েরা আজকাল এভারেস্ট জয় করে আর তুই সামান্য হিমু হতে পারবি না!
আমি বললাম, হিমু হতে গেলে অনেক রাতে বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে হয়
আসলে হয়েছে কি, একদিন ওর কাছে গিয়ে আমি আফসোস করে বলছিলাম, আমার কত শখ ছিল হিমু হবো! কিন্তু মেয়েরা হিমু হতে পারে না।
ও তখন পায়ের ওপর পা তুলে দিয়ে একটা ম্যাগাজিন পড়ছে। বললো, কেন? মেয়েরা আজকাল এভারেস্ট জয় করে আর তুই সামান্য হিমু হতে পারবি না!
আমি বললাম, হিমু হতে গেলে অনেক রাতে বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে হয়
হিমু ভাই
Lilaboti Lb
গত তিনদিন ধরে আমার ছোটভাইটা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তা নিয়ে আব্বু-আম্মুর কোন মাথাব্যথাও নেই। যদিও আব্বুর মূল রাগ ওর ওপর কিন্তু ঘটনার মেইন ভিলেন আমি।
আসলে হয়েছে কি, একদিন ওর কাছে গিয়ে আমি আফসোস করে বলছিলাম, আমার কত শখ ছিল হিমু হবো! কিন্তু মেয়েরা হিমু হতে পারে না।
ও তখন পায়ের ওপর পা তুলে দিয়ে একটা ম্যাগাজিন পড়ছে। বললো, কেন? মেয়েরা আজকাল এভারেস্ট জয় করে আর তুই সামান্য হিমু হতে পারবি না!
আমি বললাম, হিমু হতে গেলে অনেক রাতে বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে হয়
আসলে হয়েছে কি, একদিন ওর কাছে গিয়ে আমি আফসোস করে বলছিলাম, আমার কত শখ ছিল হিমু হবো! কিন্তু মেয়েরা হিমু হতে পারে না।
ও তখন পায়ের ওপর পা তুলে দিয়ে একটা ম্যাগাজিন পড়ছে। বললো, কেন? মেয়েরা আজকাল এভারেস্ট জয় করে আর তুই সামান্য হিমু হতে পারবি না!
আমি বললাম, হিমু হতে গেলে অনেক রাতে বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে হয়
আমার খালু
Lilaboti Lb
বুড়োকালে আমার খালার আবার মেয়ে হয়েছে। আঁতুরঘরে খালা আমাকে লজ্জিত গলায় বললেন, জানিস তো, তোর খালুর একটা মেয়ের কত শখ। তোদের কত ভালোবাসে! আমারতো দুইটাই ছেলে।
আমি বললাম, যা হয়েছে খুবই ভালো হয়েছে খালা। অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে উঠে আমি একটা ছোটবোন পেয়েছি। ইন্টার পড়ার সময় বিয়ে হলে আমার ছেলেমেয়ে তোমার মেয়ের চেয়ে বড় হতো। হয়নি তাতে কি আমার ছোটবোন হলেও চলবে।
খালা একটু মাথামোটা বিধায় অনেকক্ষণ ধরে আমাকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলেন। আমি ঠাট্টা করছি না সিরিয়াসলি বলছি সেটাই ধরার চে
আমি বললাম, যা হয়েছে খুবই ভালো হয়েছে খালা। অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে উঠে আমি একটা ছোটবোন পেয়েছি। ইন্টার পড়ার সময় বিয়ে হলে আমার ছেলেমেয়ে তোমার মেয়ের চেয়ে বড় হতো। হয়নি তাতে কি আমার ছোটবোন হলেও চলবে।
খালা একটু মাথামোটা বিধায় অনেকক্ষণ ধরে আমাকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলেন। আমি ঠাট্টা করছি না সিরিয়াসলি বলছি সেটাই ধরার চে
বইপোকা বউ
Lilaboti Lb
বিয়ের রাতেই আমার বর আমাকে বলেছে, তুমি তোমার মতো থাকবা,আমি আমার মতো। আমি মনে মনে বলেছি, আলহামদুলিল্লাহ।
আসলে বিয়েতে আমার মত ছিল না। বাসা থেকে জোর করে বিয়ে দিয়েছে। পড়ালেখা, লেখালেখি এসবের প্রতিই আমার আগ্রহ বেশী। প্রিয় লেখকের বই পড়ে আমি এক জীবন কাটিয়ে দিতে পারি। আমি শুধু চাই নিরিবিলি একটা জীবন। যেটা আমার বর আমাকে দিল।
পুরো বাড়িতে আমরা তিনজন। সারাদিন সে অফিসে থাকে। বাসায় আমাকে কোনো কাজ করতে হয় না। কাজের মহিলা বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছি। সুতরাং আমি সারাদিন বই পড়া নিয
আসলে বিয়েতে আমার মত ছিল না। বাসা থেকে জোর করে বিয়ে দিয়েছে। পড়ালেখা, লেখালেখি এসবের প্রতিই আমার আগ্রহ বেশী। প্রিয় লেখকের বই পড়ে আমি এক জীবন কাটিয়ে দিতে পারি। আমি শুধু চাই নিরিবিলি একটা জীবন। যেটা আমার বর আমাকে দিল।
পুরো বাড়িতে আমরা তিনজন। সারাদিন সে অফিসে থাকে। বাসায় আমাকে কোনো কাজ করতে হয় না। কাজের মহিলা বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছি। সুতরাং আমি সারাদিন বই পড়া নিয
রিকশাওয়ালা
Lilaboti Lb
আব্বু কথা রেখেছেন। তিনবার ইন্টারমিডিয়েট ফেল করার পর আমার বোনের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন রিকশাওয়ালার সাথে। সব বাবাই যদিও এরকম কথা রাগ করে বলেন কিন্তু আমার আব্বু এক কথার মানুষ। বলেছেন এবং দিয়েছেন।
আমার রিকশাওয়ালা দুলাভাইকে নিয়ে আমি খুবই বিরক্ত। যখন তখন আমার সাথে এসে শালী শালী বলে ঢং করেন লোকের মধ্যে আমার খুবই বিরক্ত লাগে।
ভয়ে ভয়ে আমি ভালোভাবে পড়াশোনা করছি। আমি ফেল করতে চাইনা। আমি রিকশাওয়ালা বিয়ে করতে আগ্রহী নই।
দুলাভাইয়ের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড আমরা জানতাম
আমার রিকশাওয়ালা দুলাভাইকে নিয়ে আমি খুবই বিরক্ত। যখন তখন আমার সাথে এসে শালী শালী বলে ঢং করেন লোকের মধ্যে আমার খুবই বিরক্ত লাগে।
ভয়ে ভয়ে আমি ভালোভাবে পড়াশোনা করছি। আমি ফেল করতে চাইনা। আমি রিকশাওয়ালা বিয়ে করতে আগ্রহী নই।
দুলাভাইয়ের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড আমরা জানতাম
'হোক ইউনিয়ন'
বকলমে
কমল দাস
'রক্ত দেব জীবন দেব ইউনিয়ন দেব না' - ঝিলের উপরের লড়ঝড়ে ব্রিজটা থেকে পত পত করে উড়ছে লাল রঙে লেখা ফেস্টুন। বিজ্ঞান বিভাগকে বাঁদিকে রেখে একটু এগিয়ে গেলেই দেওয়াল জুড়ে ইউনিয়নের দাবীতে বড়ো বড়ো পোস্টার। মিলনদার ক্যান্টিনের সামনে ব্যানারে বড়ো বড়ো অক্ষরে লেখা - 'কাউন্সিল নয় ইউনিয়ন, আপোষ নয় সংগ্রাম'। বিশ্ববিদ্যালয় আনাচেকানাচে চোখ মেললেই বুঝতে অসুবিধা হয় না যে ছাত্র ইউনিয়ন ফিরিয়ে আনার দাবীতে পড়ুয়ারা কতটা মরিয়া। মিটিং-মিছিল-পোস্টারিং-দেওয়াল লিখনের পাশাপাশি চলছে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ। তবে এ
'রক্ত দেব জীবন দেব ইউনিয়ন দেব না' - ঝিলের উপরের লড়ঝড়ে ব্রিজটা থেকে পত পত করে উড়ছে লাল রঙে লেখা ফেস্টুন। বিজ্ঞান বিভাগকে বাঁদিকে রেখে একটু এগিয়ে গেলেই দেওয়াল জুড়ে ইউনিয়নের দাবীতে বড়ো বড়ো পোস্টার। মিলনদার ক্যান্টিনের সামনে ব্যানারে বড়ো বড়ো অক্ষরে লেখা - 'কাউন্সিল নয় ইউনিয়ন, আপোষ নয় সংগ্রাম'। বিশ্ববিদ্যালয় আনাচেকানাচে চোখ মেললেই বুঝতে অসুবিধা হয় না যে ছাত্র ইউনিয়ন ফিরিয়ে আনার দাবীতে পড়ুয়ারা কতটা মরিয়া। মিটিং-মিছিল-পোস্টারিং-দেওয়াল লিখনের পাশাপাশি চলছে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ। তবে এ
অশ্রুকুমার সিকদার এবং তাঁর সাহিত্য সমালোচনা
souvik ghoshal
সম্প্রতি চলে গেলেন বাংলা সাহিত্য সমালোচনা জগতের বিশিষ্ট লেখক ও অধ্যাপক অশ্রুকুমার সিকদার। সারা জীবন মূলত উত্তরঙ্গেই তিনি কাটিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক দশক অধ্যাপণা করেছেন এক দরদী জনপ্রিয় শিক্ষক হিসেবে এবং সেখানে বসেই সারস্বত সাধনায় নিমগ্ন থেকে আমাদের উপহার দিয়ে গেছেন একের পর এক অমূল্য গ্রন্থ। তাঁর উল্লেখযোগ্য বইগুলির মধ্যে আছে - আধুনিকতা ও বাংলা উপন্যাস, আধুনিক বাংলা কবিতার দিগবলয়, কবির কথা কবিতার কথা, হাজার বছরের বাংলা কবিতা, নবীন যদুর বংশ, বাক্যের সৃষ্টি : রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ ও
অধিকারের দাবীতে সংঘবদ্ধ শ্রমিকের আওয়াজ উঠল দিল্লীতে
বকলমে
বিশ্বজিৎ
পুলওয়ামার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি আর অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যখন শহীদ সেনাদের নিয়ে রাজনীতি করতে ব্যাস্ত, মেকি দেশপ্রেমীদের উগ্র জাতীয়তাবাদ উসকে দিয়ে বিজেপি যখন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় মগ্ন; তখন ৩রা মার্চ দিল্লীর রাজপথে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত হাজার হাজার শ্রমিকরা, নিজেদের অধিকারের দাবী তুললেন লাল পতাকা হাতে৷ রামলীলা ময়দান থেকে সংসদ মার্গ, পায়ে পা মেলালেন দেশের বঞ্চিত, শোষিত শ্রেণীর মানুষ; পায়ের ঘষায়, স্লোগানে স্লোগানে, লাল পতাকার ঢেউয়ে রাজধানী মুখরিত হলো তাঁদের অধিকারের শব্দে
ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন বম্বে
কুশান গুপ্ত
বেশ মনে পড়ে, 'অমর প্রেম' ও 'আনন্দ' ছবিদুটি ক্লাস নাইনের আনাড়ি হৃদয়ে দাগ কেটেছিল। 'অমর প্রেম' ছবিতে রাজেশ খান্না দিব্যি ধুতি-পাঞ্জাবি পরে শর্মিলার দরজায় 'এ পুষ্পা' ব'লে সান্ধ্যকালীন, নৈমিত্তিক, টোকা মারতেন। বারবনিতা শর্মিলা দেরাজ থেকে মদের বোতল খুলে সযত্নে গেলাসে ঢেলে দিতেন রঙিন পানীয়। ক্লীন শেভড খান্না-গালে একটি লালচে দর্শনীয় ব্রণ ছিল। ব্রণসম্বলিত সুপারস্টার গেলাসে মারিতেন আলতো সিপ। মধ্যে মধ্যে, অকস্মাৎ, চিত্রনাট্যের প্রয়োজনীয়তা মেনে, দার্শনিক হয়ে উঠতেন। গালে টোল পড়া প্রেমাভিলাষী শর্মিলা ঘনঘন
রক্তমাংস ও একটি মানুষের উৎসব
শিবাংশু
হোরি খেলত নন্দলাল, বিরজমেঁ। ব্রজভূমিতে হোরি খেলতে গেলে কানু ছাড়া গীত নাই। ইতিহাস বলছে কানুই অনার্যদের আদি নেতা। বহিরাগত আর্যদের সঙ্গে সমানে সমানে লড়ে কখনও জিতেছিলেন, কখনও বা পারেননি ভারতভূমির এই কৃষ্ণবর্ণ ব্যক্তিত্বটি। ইনি পুরাণবর্ণিত দ্বারকার ন'ন, মথুরার ন'ন, ন'ন মহাভারতের গীতাকথক। ব্রাহ্মণদের ছাঁচে ফেলা 'ভদ্রলোক' সভ্যতার যেসব উৎসব অনুষ্ঠান, তার সমান্তরালে নিম্নবর্গীয়দের প্রাণের উদযাপন, যার আবশ্যিক অঙ্গ বন্ধহীন শৃঙ্গাররসে উত্তাল, আসব নিমজ্জিত হোলিকা দহন ও প্রমত্ত ব্যসন, তাকে আশ্রয় দিতে কানু ছাড়
অসভ্যতার লাইসেন্স
ফরিদা
কোনটা ভাল কোনটা খারাপ - এই বোধ ব্যাক্তিবিশেষে আলাদা। মানুষ শুরুতে বাড়ির বড়দের থেকে শিখেছে, পরে ইস্কুল কলেজ পাড়ায় খেলতে গিয়ে বা পড়াশোনা করার সময়ে তার ধারণা কিছুটা বদলে গেল, অনেক নতুন পরিস্থিতি এল তারও ভাল-মন্দ সম্পর্কে ধারণা হল। আবার, ছাত্রাবস্থার শেষ ও পরবর্তী কাজের জায়গার শুরুর দিকে তারও বদল হয় বটে, কলেজ - বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখার ব্যাপ্তি ইস্কুলের চেয়ে স্বাভাবিক ভাবেও বড়, কিন্তু আদত মূল ব্যাপারটার খুব একটা পরিবর্তন হয় না।
এই মূল ভাল-মন্দের ধারণা, যা খানিকটা মূল্যবোধ বলব বা ইংরাজিতে “ভ্
এই মূল ভাল-মন্দের ধারণা, যা খানিকটা মূল্যবোধ বলব বা ইংরাজিতে “ভ্
প্রেমিক এজিদ
Samrat Amin
কথায় আছে Everything is fair in love and war. কথাখানি যার জীবনপ্রবাহের সঙ্গে পুরদস্তুর খাটে সে এজিদ। খ্রীষ্টীয় সপ্তম শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বছর তিনেক ( ৬৮০ - ৬৮৩ খ্রী:) মুসলিম উম্মার স্বঘোষিত খলিফা এজিদ ইবনে মাবিয়া। দামেস্কাধিপতি পিতা মাবিয়া ছিলেন নবী করিম (সাঃ) এর একনিষ্ঠ ভক্ত। আদর করে পুত্রের নাম রেখেছিলেন এজিদ। পুত্রের প্রতি অপত্য স্নেহে কখন যেন কালের ফেরে ভুলেই গেছিলেন নবী করিমের ভবিষ্যদ্বাণী - "তোমার পুত্রই হবে আমার কলিজার টুকরো, আমার নয়নের পুত্তলি আমার নাতিদ্বয় ইমাম হাসান ও ইমাম হোসেনের ঘাতক"।
কিছু মিথ, যা মিথই
Saikat Bandyopadhyay
১। বিশ্বের মোট কাজের ঘণ্টার ৬৬% করেন মেয়েরা, ৫০% খাদ্য উৎপাদন করেন মেয়েরা, কিন্তু ব্যক্তিগত আয়ের ১০% মেয়েদের, মোট সম্পত্তির ১%-এরও কমের ওপর মেয়েদের অধিকার।
বছরের পর বছর ধরে এই "তথ্য"টি আমরা শুনে আসছি। ২০১৪ সালে অক্সফ্যাম নারীদিবসের প্রাক্কালে এই মর্মে একটি টুইট করে। গেটস ফাউন্ডেশন একই জিনিস করে তার কদিন পরে। ২০১৩ তে ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলাপমেন্ট প্রোগ্রাম ফেসবুকে একটি পোস্ট করে। ইউনিসেফের সাইটে বিষয়টি আসে আরও ২ বছর আগে, অর্থাৎ ২০১১তে। এর কোনোটিতেই কোনো সমীক্ষার সূত্র নেই। গেটস কোট করেছে
বছরের পর বছর ধরে এই "তথ্য"টি আমরা শুনে আসছি। ২০১৪ সালে অক্সফ্যাম নারীদিবসের প্রাক্কালে এই মর্মে একটি টুইট করে। গেটস ফাউন্ডেশন একই জিনিস করে তার কদিন পরে। ২০১৩ তে ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলাপমেন্ট প্রোগ্রাম ফেসবুকে একটি পোস্ট করে। ইউনিসেফের সাইটে বিষয়টি আসে আরও ২ বছর আগে, অর্থাৎ ২০১১তে। এর কোনোটিতেই কোনো সমীক্ষার সূত্র নেই। গেটস কোট করেছে
বাপের কান্ধে থুইলাম মাথা ভাস্যা দিলাম নাও
পারমিতা দাস
তাতকুরা, ময়মনসিংহ - ১
-------------------------------
আস্তে আস্তে যেন একটা সময় আমার চোখের সামনে একটু একটু করে অবয়ব নিচ্ছে। একটা আনকোরা ক্যানভাসে একটু করে ছবির ফুটে ওঠা দেখতে অসুবিধা হচ্ছে না। যে সময়কে প্রশ্ন করা যায়, যে সময়কে খুব সহজে ছোঁয়া যায়। তাতকুরা আসলে আমার হাই মাইওপিয়া অতিক্রম করে ছুঁতে পারা সেই সময়।
আস্তে আস্তে যেন একটা গোটা গ্রামের ঘুম ভাঙছে আমার চোখের সামনে। সকালবেলা আড়মোড়া ভেঙে যে গতিবেগে বাইরবাড়ির থেকে জন বেরিয়ে চাষের খেতের দিকে গেল, আমি তার পাশাপাশি ঠিক সেই গতিবেগে
-------------------------------
আস্তে আস্তে যেন একটা সময় আমার চোখের সামনে একটু একটু করে অবয়ব নিচ্ছে। একটা আনকোরা ক্যানভাসে একটু করে ছবির ফুটে ওঠা দেখতে অসুবিধা হচ্ছে না। যে সময়কে প্রশ্ন করা যায়, যে সময়কে খুব সহজে ছোঁয়া যায়। তাতকুরা আসলে আমার হাই মাইওপিয়া অতিক্রম করে ছুঁতে পারা সেই সময়।
আস্তে আস্তে যেন একটা গোটা গ্রামের ঘুম ভাঙছে আমার চোখের সামনে। সকালবেলা আড়মোড়া ভেঙে যে গতিবেগে বাইরবাড়ির থেকে জন বেরিয়ে চাষের খেতের দিকে গেল, আমি তার পাশাপাশি ঠিক সেই গতিবেগে
প্রথম আলোর চরণধ্বনি - ২
সৈকত ভট্টাচার্য
বছরের এই সময় বরফের চাদর একটু একটু করে সরে গিয়ে তলা থেকে এতদিন সূর্যালোক-বঞ্চিত পীতাভ ঘাস গুল্মের দল মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে থাকে। এই এত মাসের আলোকতৃষ্ণা নিবৃত করে আবার একটু একটু করে চিরন্তন সবুজ রঙ ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় রত হয়ে ওঠে ওরা। অবশ্য সেই সঙ্গে গবাদি পশুদের খাদ্যে পরিণত হওয়ার মত আশঙ্কাও যে তাদের বুক জুড়ে বসে, তাও সত্যি। কিন্তু আলোর মুখ দেখতে হলে এসব ভয়কে তুচ্ছ মনে করে এগিয়ে চলার নামই বোধহয় জীবন।
ঠিক যেমন এই অঞ্চলের অধিবাসীরা। শীতের চাদরের তলাতেও তাদের জীবন রুদ্ধ করে রাখার উপায় নেই। পালিত
ঠিক যেমন এই অঞ্চলের অধিবাসীরা। শীতের চাদরের তলাতেও তাদের জীবন রুদ্ধ করে রাখার উপায় নেই। পালিত
বেনারসী বিবি
Suvendu Debnath
বেনারসী বিবি
শুভেন্দু দেবনাথ
এক
জেরুজালেম, কনস্তান্তিনোপল এবং অন্যান্য প্রাচীন শহরের সম্মিলিত কীর্তির চেয়েও এ-শহরের মহিমা বড়ো৷ এ-শহর কিংবদন্তির চেয়েও প্রাচীন৷ এমন ধারণা মার্ক টোয়েনের৷ গোটা দুনিয়া ঘুরে বেনারসের প্রেমে তিনি আক্রান্ত হন৷ উপায় ছিল না৷ এমন শহর আর নেই৷ তিন হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো এক জীবন্ত শহর৷ যে-শহরে গৌতম বুদ্ধ, মহাবীর, আদি শংকর হেঁটেছেন এবং যে-শহরে আধুনিকতার চাপের আড়ালে নিজের আদি স্বভাব লালন করে চলেছে৷ কী যেন আছে বেনারসে৷ সব পেয়েছির দেশ৷ তন্ত্র
পাতিহাঁস
অভিষেক ভট্টাচার্য্য
ছোটবেলা থেকেই ইতিহাসে আমার হেবি ভয় ছিল, চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশীর নাম শুনে ভাবতাম সিওর হয় ওর চুল ধরে কেউ টানত, নয় ও কারুর চুল ধরে টানত, তাই ঐরকম নাম। তার ওপরে বুদ্ধদেবের বংশপরিচয় আর সুকুমার রায় মাথায় মিলেমিশে এরকম একটা ছড়া হয়ে গেছিল -
শাক্যরাজা শুদ্ধোদন
সাতসকালে দিতেন ডন,
শ্যাম লাহিড়ী বনগ্রামের
কী যেন হয় গঙ্গারামের…
ইত্যাদি।
এর ওপরে আবার যখন জানলাম আমাদের ছবি বিশ্বাসের পূর্বপুরুষ ছিল গৌড়রাজ শশাঙ্ক, তখন পুরোই ঘেঁটে গেলাম। মানে 'সুদখোরের টাকায় আমার একমাত্র
শাক্যরাজা শুদ্ধোদন
সাতসকালে দিতেন ডন,
শ্যাম লাহিড়ী বনগ্রামের
কী যেন হয় গঙ্গারামের…
ইত্যাদি।
এর ওপরে আবার যখন জানলাম আমাদের ছবি বিশ্বাসের পূর্বপুরুষ ছিল গৌড়রাজ শশাঙ্ক, তখন পুরোই ঘেঁটে গেলাম। মানে 'সুদখোরের টাকায় আমার একমাত্র
নারীদিবস ও একটি ফুটো পাইপের গল্প
Aniket Pathik
হ্যাঁ আমি নারীদিবস পালনে বিশ্বাস করি। আরো নানারকম দিবসের পালনেও বিশ্বাস করি তবে সে কথায় পরে আসছি। আগে একটা গল্প বলি, একটা মেয়ের গল্প। জন্মসূত্রে মেয়েটি ভারতীয় নারী সমাজের সেই ‘ক্রিমি লেয়ার’ এর সদস্য যারা জন্ম ইস্তক পরিবারের সম্পদ হিসেবেই গণ্য হয়েছে, বোঝা নয়। যাদের ১৮, ২০, ২২ এমনকি ২৫ বছরেও শুধুমাত্র ‘বিয়ের জন্য’ অপেক্ষায় থাকতে হয় নি, যারা যদ্দুর সম্ভব যেমন ইচ্ছে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছে, আর্থিক ও পারমার্থিক (আহ্ সব কথা ধরতে হয় নাকি !) দিক থেকে স্বয়ম্ভর হবার সুযোগ পেয়েছে, এ হল সেই দলের মেয়ে।
হৃদয়ের শব্দহীন জোৎস্নার ভিতর...
Biplob Rahman
*এ কেমন রঙ্গযাদু?*
ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মলের আন্ডারগাউন্ডে গিজগিজে মানুষ। ইন্ডিয়ার ভিসা প্রার্থীদের দীর্ঘতর লাইন। হাতে হাতে সবুজ পাসপোর্ট। লাইনে নানা বয়সী পুরুষেরাই শুধু। মেয়েরা এখানে সংখ্যালঘু, তাদের লাইন নাই। মেডিকেল ভিসা প্রার্থীদের আবার আলাদা খাতির। মোডে মোডে ওয়াকিটকি হাতে নিরাপত্তা রক্ষী। ব্যাগ ভেতরে যাবে না, ব্যাগ জমা দিয়ে টোকেন নিন – নির্দেশ তাদের। বিশাল হল রুমে গোটা চল্লিশেক ডেস্ক। ওপাশে পেশাদার তরুণ-তরুণী। ভিসার ধরণ বুঝে টোকেন নিয়ে পাসপোর্ট জমা। স্লিপ হাতে নিতে না নিত
ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মলের আন্ডারগাউন্ডে গিজগিজে মানুষ। ইন্ডিয়ার ভিসা প্রার্থীদের দীর্ঘতর লাইন। হাতে হাতে সবুজ পাসপোর্ট। লাইনে নানা বয়সী পুরুষেরাই শুধু। মেয়েরা এখানে সংখ্যালঘু, তাদের লাইন নাই। মেডিকেল ভিসা প্রার্থীদের আবার আলাদা খাতির। মোডে মোডে ওয়াকিটকি হাতে নিরাপত্তা রক্ষী। ব্যাগ ভেতরে যাবে না, ব্যাগ জমা দিয়ে টোকেন নিন – নির্দেশ তাদের। বিশাল হল রুমে গোটা চল্লিশেক ডেস্ক। ওপাশে পেশাদার তরুণ-তরুণী। ভিসার ধরণ বুঝে টোকেন নিয়ে পাসপোর্ট জমা। স্লিপ হাতে নিতে না নিত
প্রথম আলোর চরণধ্বনি - ১
সৈকত ভট্টাচার্য
২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসের এক মঙ্গলবারের সকাল। কিংস ক্রস স্টেশন থেকে বের হয়ে এসে বরফে মোড়া লন্ডনের রাস্তাতে পা ফেললেন এক যুবক। শীতের চাদরে মোড়া কুয়াশার প্রলেপ কেটে শহরের ঘুম হয়ত ভেঙেছে। কিন্তু কর্মচঞ্চল হতে তখনও দেরী আছে। ঘড়ির কাঁটায় সবে আটটা বাজে। মাথার টুপিটি প্রায় চোখ অবধি নামিয়ে ঠাণ্ডা হাওয়ার হাত থেকে নিজের চোখ আর নাককে রক্ষা করার চেষ্টা করলেন তিনি। পরনের ওভারকোটের কলারটি মুখের প্রায় অর্ধেক ঢেকে রেখেছে। হাত দুখানি পকেটে ঢোকানো। যুবকটির চেহারা লম্বা ছিপছিপে। উন্নত নাসা, শ্বেত ত্বক তাঁর ইউরোপীয়
দুটি ছবি, একদল গিনিপিগ, ও পভার্টি পর্ণ
Panchali Kar
আজ সকালে বন্ধু ঋত্বিজা একটি আর্টিকল দেখালো, অস্কার বিজয়ী ফিল্ম "পিরিয়ড: এন্ড অফ্ সেন্টেন্স" ছবিটিতে ভুয়ো তথ্যের ব্যবহার সম্পর্কে। এর সাথে সাথে আর্টিকেলটিতে তুলে ধরা হয়েছে এই ছবির নির্মাণের পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে কী ভাবে নারীর এবং শিশুদের অধিকার খণ্ডিত হয়েছে, ও কনসেন্ট এবং পার্সোনাল স্পেসের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করা হয়েছে (ছবির নির্মাতাদের ইন্টারভিউ থেকেই তা স্পষ্ট)। আর্টিকলটা দেখে আমি একটুও হতবাক নই, বরং খানিক আস্বস্তই বোধ করেছি। ভারতীয় উপমহাদেশ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ কতটা পিছিয়ে পরা সেই স্ন্য
আর্টিস্টস ইউনাইট
Prativa Sarker
যে লালকেল্লার বিশাল তোরণ দ্বার দিয়ে বাহাদুর শা জাফরকে ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে গিয়েছিল লালমুখো বানিয়ারাজ, তারপর খুনী দরওয়াজার সামনে তার দুই ছেলেকে হত্যা করেছিল, সেই লালকেল্লার সামনের প্রশস্ত প্রাঙ্গণ আজ দেখলো দেশের দূর দূর গাঁও থেকে আসা লাল ঝান্ডাওয়ালাদের। তারা শুধু শ্লোগানেই দড় নয়, সুর করে গাইছে স্বৈরতন্ত্রের নিপাতনামা। দেহাতী সেই সুর একজন জোর জোরসে গাইলে অন্য মরদ আর আওরতরা ধুয়া ধরছে সঙ্গে সঙ্গে। গানবাজনার সাথেই চলছে বিশাল মিছিলের প্রস্তুতি। একেবারে আক্ষরিক অর্থে লাল ঝান্ডায় নিজেকে মুড়ে সে মিছিল চলল শহ
যে গল্প মহাভারতে লেখা নেই
Abhijit Majumder
সন্মুখে সম্ভাব্য মৃত্যুসমুদ্র দেখিয়া অর্জুন কম্পিতকন্ঠে কহিলেন, “হে কেশব। আমার হস্ত শিথিল হচ্ছে, আমি গান্ডীব ধরে রাখতে পারছি না। আমার শরীরে কম্পন অনুভব হচ্ছে, সর্বাঙ্গে স্বেদনি:সরণ হচ্ছে। এ যুদ্ধ আমার পক্ষে সম্ভব নয়, মধুসূদন। তুমি আমায় পথ দেখাও।”
অর্জুনের বিচলিত অবস্থা দেখিয়া বাসুদেব স্থিরকন্ঠে কহিলেন, “হে সখা, শান্ত হও। তোমার মত স্থিতধী পুরুষের এমন নার্ভাস ব্রেকডাউন সাজে না। যদি তুমি এই যুদ্ধে জয়লাভ কর তবে সসাগরা ধরিত্রীর অধীশ্বর হবে। আর যদি বীরগতি লাভ কর, তবে লোকে তোমার ছবি নিয়ে ভোট
অর্জুনের বিচলিত অবস্থা দেখিয়া বাসুদেব স্থিরকন্ঠে কহিলেন, “হে সখা, শান্ত হও। তোমার মত স্থিতধী পুরুষের এমন নার্ভাস ব্রেকডাউন সাজে না। যদি তুমি এই যুদ্ধে জয়লাভ কর তবে সসাগরা ধরিত্রীর অধীশ্বর হবে। আর যদি বীরগতি লাভ কর, তবে লোকে তোমার ছবি নিয়ে ভোট