হরদিগছ স্টেশন থেকে নেমে কিলোমিটার চার পূব দিক পর যে চা বাগানগুলো, তার ঠিক শেষ বাগানটার নীচে মরালি বুড়ি রোজ বসে। ভিক্ষাতে। সারাদিনে রাস্তায় গোটা কুড়ি লোক চলে তাও আশায় বসে। কোন কোন দিন নিরাশ হয়, কোনদিন কিছু জুটে। চা কামিনরা কাজ সেরে ফেরার সময় বাঁচা কুচি দিয়ে যায়। তাই দিয়েই চলে কোনরকমে। আমি আবার বাউন্ডুলে। বউ সংসারের সব হওয়ার পর থেকেই বাউন্ডুলেপনা আরও বেড়েছে। পরিচয় হবার কথা নয়, কিন্ত হল। নিত্য দিন ও পথে মাছ মারার শখে যাবার পথে ক্ষণিক মগজে ধোঁয়া, সঙ্গী মরালি বুড়ি ... ...
aftab hossain আঁতেল হতে পারলেননা। তাঁর পড়ার উপযুক্ত বইঃ লজ্জাবতী লবঙ্গলতা ... ...
"চাপা স্বরে বললো সালা মাস্টার তুই ও খুব ধ্যামনা" ওপারে তেঁতুলিয়া, বাংলাদেশ। এপারে ফকিরপাড়া, ভারতবর্ষ। মাঝখানে মহানন্দা, বুক চিরে কাঁটাতার। ... ...
তখন মনে হয় সাত কি আট। লাভ জিহাদকে ঘোল খাওয়ানো চাচা বলল তুই সালা কাফের। তখন থেকেই বড্ড কাফের ভক্ত আমি। নীল সাদা প্রিয় ছিল তখন। পলিগ্যামীদের রঙ নয়। ভালবাসার রঙ, যে রঙে কোন পেনাল্টি নেই। ... ...
তখন মনে হয় সাত কি আট ।লাভ জিহাদকে ঘোল খাওয়ানো চাচা বলল তুই সালা কাফের । তখন থেকেই বড্ড কাফের ভক্ত আমি । নীল সাদা প্রিয় ছিল তখন । পলিগ্যামীদের রঙ নয় । ভালবাসার রঙ , যে রঙে কোন পেনাল্টি নেই । হাতে লাগলেও । সেই রঙেই জেদেই আব্বা কিনলো ইডিয়ট বক্স । মাতব্বর চাচা নাখুস । চাচার খুব জ্ঞান ধর্মে । রোজ টনসিল ফুলিয়ে ছাদের ওপরে উঠে উপরবালাকে ডাকে । ছাদে উঠলে জান্নাতের কাছে যান নাকি পাড়ার ওপরে বুঝিনি ।শুনতাম তারস্বরের কীর্তনের মুসলমান ভার্সন । কোন সুরায় তখনও নাকি সলমন খান এর কথা নেই । তাই কাফের হতেই হল । ইডিয়ট বক্স এর আরবি নাম কাফের বক্স কিনা কে জানে ... ...
কাজ নাই, দেখছিলাম... পাশের বাড়িতে ঢালাই হবে মনে হয়, খুব কাজের চাপ । মেয়েটা বস্তায় বালি ভরছে আর লোকটা মাথায় করে পৌঁছে আসছে হেড রাজমিস্ত্রির কাছে। দুপুরে দেখলাম একসঙ্গে খেতে বসেছে গাছের নিচে। উঁকি দিয়ে দেখলাম করলা ভাজা আর লাউ আলুর তরকারি। ... ...
চুর্নী...আমার পরিচিত ভালোবাসার একজন...ওর ছেলে রিভু আমার ছেলের বয়সী... আজ রিভুর জন্মদিন ছিল ।নার্সিং ড্রেসটা চেঞ্জ করেই হাসপাতালের স্টাফ কেবিনের বাইরে এসেই চূর্ণী ভিডিও কল করেছিল রিভু কে ।জন্মদিন এর উইশ করতে । ঠিক দুটো পাঁচ মিনিটে । ছোট্ট হাতে মা কে ফোনে কেক খাওয়াতে গিয়ে টাচ স্ক্রিনে হাত লেগে সেই যে ফোনটা কাটলো আর আর কানেক্টই করতে পারেনি চুর্নী । নেটওয়ার্কের দোষ, না কপালের কে জানে । হতাশা আর দুঃখে নিজের মনেই কাঁদতে কাঁদতে মেসেজ করেছিল আমাকে । ধমকে বলেছিলাম...তোর তো হাসপাতালের সামনেই বাড়ি । ডিউটি ছুটি নিয়ে বাড়ি গেলি না কেন । চুর্নী উত্তর দিল : দিনের আলোয় বাড়ি গেলে পাড়ার সবাই বলে ... ...
... মেয়েটার ২২ এ বিয়ে ...২৪ এ মা.. শুরু জীবন যুদ্ধ ।ছেলেটার ২৮ এ চাকরি ..৩০ এ বাবা .. জীবনভর কর্তব্যের বোঝা । মেয়েটা এখন ৫৪ ..প্রায় বুড়ি..স্বপ্নখুনি.. যুদ্ধ অর্ধেক শেষ । ছেলেটা ৬০.. সাদা চুলের বুড়ো..সাদা কালো জীবন ..বোঝার চাপে কুঁজো । একলা দুপুরে নদীর তীরে দুজন অনেকদিন পর হঠাৎ একা । লালপাড় আলুথালু সাদা শাড়িতে বুড়ির চিন্তা, এই বয়সে কি আর ওসব পারি ..লজ্জা হয় ভীষন ...যদি কেউ দেখে ... কাশবনের ফাঁকে ফোকলা দাঁতে আদ্যিকালের ক্যামেরার সাটার দেবে বুড়োর মুচকি হাসি .. বলে.. বুড়ি দূর্গার রূপ দেখে ফোকলা অসুর টা না আবার ঘায়েল হয় । বুড়ি লজ্জায় ...ধ্যাৎ..... বৃষ্টি নামলো বলে ❤️ ... ...
***কাস্টিং :- অক্ষয় কুমার কে দলিতের মেয়েটির আইনজীবির চরিত্রে দারুণ মানাবে। কঙ্গনা রানাওয়াত অত্যাচারিত মেয়েটি চরিত্রে বেস্ট চয়েস। অনুপম খের থাকবেন মেয়েটির বাবার রোলে। মা এর চরিত্রে কে হবেন এখনো খুঁজছি ।পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী ছাড়া এমন ছবি বানানো কঠিন। প্রসূন যোশীও ভালো বিকল্প। একটা দুঃখের গানে সোনু নিগম ভালো চয়েস । আর গাঁজাখোর দুস্টুর চরিত্রে সালমান বা রণবীর । ***লাইট ক্যামেরা একশন :- #টেক ওয়ান :- শুরুতেই দেখানো হবে একটা ধ্যারধ্যারে গোবিন্দপুর মার্কা গ্রাম যেখানে মেয়েদের রাস্তাঘাটে সেজেগুজে হট পোশাক পরে বেরোতে নেই । ( এই হট পোশাক কোনটা তার ক্লারিফিকাশন চাইবেন না ) সন্ধের আগে বাড়ি ঢুকে যেতে হয় বা বেরোলেও বাড়ির দাদা ... ...