পথের শেষ কোথায়? কী আছে শেষে, পথের? পথ নিয়ে আমাদের কৌতূহল বেড়েছে বই কমেনি। কিন্তু পথ দীর্ঘ হয়েছে আরও ... ...
এলেবেলে সিরিজের দ্বিতীয় লেখা 'ডাকনাম' প্রকাশিত গুরুচণ্ডা৯ ব্লগে। ... ...
নেটফ্লিক্স এবং সত্যজিৎ - বিগত এক সপ্তাহে আড্ডার গণপরিসরে বাঙালির একমাত্র আলোচ্য বিষয়। হাজার হোক, রায়মশাইয়ের দীর্ঘ ছায়ায় পালিত আমাদের কৈশোর, তাঁর গল্পের প্রতি আমাদের আলাদা শ্রদ্ধা! কিন্তু শ্রদ্ধার ফুল দিতে গিয়ে মানুষটা ঢেকে যাচ্ছেন না তো? তাই তাঁর কাজ নিয়ে অন্যরকম কিছু হলে, রিভিউ নয়, চাই আলোচনা। সত্যজিৎ রায় ১৯৯২ সালে প্রয়াত হওয়ার পর থেকে কি আমরা আদৌ জানি, ওঁর লিখিত সাহিত্য থেকে যখন সিনেমা তৈরি হয়, তখন আমরা ঠিক কী চাই?প্রশ্নগুলো সহজ নয় মোটেই। ... ...
এটা সে সময়ের কথা, যখন আমি কলেজে পার্ট-টাইমার, আর ছুটির দিনে বাড়িতে প্রাইভেট টিউটর। প্রাইভেট টিউটর কিসের – না ইংরাজি অনার্সের। অর্থাৎ কিনা, চসারও জানি, চাটনিফিকেশনও জানি। সে এক আশ্চর্য সময়, সে এক দুঃসহ সময়।এমনই এক সন্ধেয়, কলেজের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে সবে হাতমুখ ধুয়ে বসেছি, হাল্কা একটা গান চালিয়েছি আপনমনে অ্যারিস্টোক্র্যাটিক ফুর্তি করবো বলে, এমন সময় ফোন।-হ্যালো?-“Hello, is this Suvankar Sir? Me ………… Banerjee!”, নারীকণ্ঠ।-বলছি।-You teach in private? এমনিতেই বাঙালী সাহেব-মেমরা ফোন করে ইংরাজি ঝাড়লে প্রচণ্ড মাথা গরম হয়। আমি উল্টে সাধারণ ইংরাজি কথাগুলোকেও বাংলা করে বলতে শুরু করি। বললাম, “হ্যাঁ, আমি বাড়িতে পড়াই।” “আমাকে পড়াবেন please?”, বলেই সে বলল যে ... ...
১। প্রথমেই মনে রাখতে হবে, বাঙালী শপিং করে না। তারা মার্কেটে যায় 'মার্কেটিং' করতে। আর দোকানদার শপ্ খুলে বসে থাকে, তাই সে করে শপিং। গ্রামার আর ইকনমির হাতে হ্যারিকেন, বাঙালীর জয়।২। দ্বিতীয়ত, বাঙালী দোকানে জিনিস কিনতে যায় -- কে বলেছে আপনাকে? তারা যায় দোকানদারের রিয়ালিটি চেক করাতে। প্রতিটা প্রোডাক্টেই প্রায় রে-রে করে তেড়ে যাওয়া -- কি বললি? ওইটা পাশের দোকানে (পাশে কোনো দোকান নেই, 'পাশের দোকান' হল ঈশ্বরের মতো অ্যাবসেন্ট প্রেজেন্স) তিরিশ টাকা বলল, আর তুই দেড় টাকা বাড়িয়ে বলছিস কেন? ইত্যাদি অন্তে দোকানদারের মুখে ফেনা তুলিয়ে জিনিসটা পঁচিশ টাকায় নামিয়ে না কিনে চলে যাওয়া (দাঁড়া পাশের দোকানে দেখে আসি)।৩। ... ...
আমার হাইট পাঁচ পাঁচ। আমার নামের হাইট ছয় চার। শুধু নামটাকে যদি ধরা হয়, সত্যজিৎ রায়ের মতো প্রেজেন্স। তারপর তো আমি এলাম, যাক গে, সে অন্য ব্যাপার। ছোটবেলায় কথা বলতে শেখার পর প্রবল উৎসাহে কেউ জানতে চাইলেই নিজের নাম বলতাম। কিন্তু ছোটরা খুব উৎসাহ নিয়ে কিছু করলে বড়দের উদ্ভট আচরণ করার স্বভাব প্রথাগত। তাই, আমি নাম বললেই দেখতাম স্বাভাবিক কথা বলতে পারা মানুষেরা হঠাৎ আউ-আউ করে আধো-আধো বোলে "বাব্বা কত্তো বয়ো নাম" বলে তালি দিচ্ছেন। আমার ভালো লাগতো না। বরাবরই, মানুষ যাতে কম কথা বলে, আমি সেই চেষ্টা করি। তাই তারপর থেকে কেউ নাম জানতে চাইলে বহুদিন অব্দি বলতাম "শুভংকর ঘোষ ... ...
গত ৬ই জুন আবাপ-তে মৈত্রীশ ঘটকের লেখা 'সমাজমাধ্যমের সাগরতীরে' নিবন্ধ প্রসঙ্গে আমার একটি চিঠি আজকের আবাপ-তে প্রকাশিত হয়েছে। নিবন্ধে সমাজমাধ্যমের প্রভাব নিয়ে লেখকের মতামত ক্ষেত্রবিশেষে সরলীকৃত, এমন মনে হয়েছিল। তা নিয়েই লিখেছিলাম।যাঁরা মৈত্রীশ বাবুর নিবন্ধটি পড়েন নি আগে, তাঁদের জন্য লিঙ্ক এখানে দিলাম ... ...
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে ঘিরে কিছুটা এমনই স্মৃতি আমাদের অনেকেরই। ...হেমন্তচর্চা: কিছু গান, কিছু স্মৃতি -- লিখেছেন শুভংকর ঘোষ রায় চৌধুরীআমাদের অনেকের বাড়িতেই টেপ রেকর্ডারে বেজে গেছে হেমন্তের গান, একের পর এক। কখনও ঘোরের মধ্যে শুনেছি, কখনও বহুদিন পর, কখনও কিছুদিনের তফাতে। কিছুটা আলো-আঁধারের গান গেয়েছেন হেমন্ত; কখনই শোকে সম্পূর্ণ নিমজ্জন নেই সেই কণ্ঠে, আবার আনন্দের পাল তরতরিয়ে ছুটেছে, এমনও নয়। একটি একটি করে গান গাইতে গাইতে তিনি এগিয়েছেন, জড়িয়ে গেছে আশেপাশে কত নাম তাঁর সঙ্গে। সলিল চৌধুরী, নচিকেতা ঘোষ বললেই এঁদের মানিকজোড় নামটি হেমন্তের; এমনকি মহানায়ক উত্তমকুমার বললেও হেমন্তই মহানায়কের কণ্ঠ। পুরোটা পড়ুন ... ...
আগামীকাল অরুন্ধতী রায়ের 'The Pandemic is a Portal'- এর দ্বিতীয় পর্বের ভাষান্তর আসবে। তার আগে, প্রথম পর্বে লেখিকা যা যা আলোচনা করেছেন, একবার দেখে নেওয়া যেতে পারে।ভাষান্তর: প্যান্ডেমিক একটি পোর্টাল / অরুন্ধতী রায় (পর্ব - ১) -- লিখেছেন শুভংকর ঘোষ রায় চৌধুরীআমার দেশ, আমার আমির-গরীব দেশ, ফিউডালিজম আর ধর্মীয় মৌলবাদের মাঝে, শ্রেণীভেদ আর পুঁজিবাদের মাঝে কোনো একখানে ঝুলতে থাকা, অতি দক্ষিণপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদ-শাসিত ভারতবর্ষ -- তার কি খবর? পুরোটা পড়ুন ... ...
কোনার্ক থেকে ফিরছি। সারাদিনের ট্রেন। গায়ে ‘সুপারফাস্ট’ লেখা, কিন্তু কাজ করে না। চেয়ার-কার। পিঠ সোজা করে ঢুলুনি। রিজার্ভেশন ব্যাপারটা কারুর কাছেই খুব স্পষ্ট নয়। অনেকেই এসে ক্লেম করছে ২০ নং সিটটা তার, কিন্তু ওটা আসলে আমার। ফিরছি, আমি আর আমার বন্ধু।এমনিতেই দূরপাল্লার ট্রেনে বাঙালী সহযাত্রীর সান্নিধ্য আমি খুব একটা উপভোগ করি না, যদি না একেবারেই আত্মীয়-পরিজন গোত্রের হন তাঁরা। কারণ, বাঙালী মূলতঃ পরিবার-পালিত পশু। তাই, ট্রেনে করে দূরে যাওয়ার পথে, এবং দূর থেকে ট্রেনে করে ঘরে ফেরার পথে তাঁর মধ্যে একটা অবিশ্বাস্য সেন্ট্রিপেটাল ফোর্স কাজ করে পরিবারের প্রতি, ঘরের প্রতি। তখন, ট্রেনে, বাঙালী ভাষা দিয়ে পরিবার বিচার করে। আপনারা দু’জন ... ...