এই থ্রেডে 'গুরু'দের মধ্যে আড্ডা জমুক 'ইউরো ২০২০' নিয়ে? যাঁরা আজ রাত থেকে বসছেন ম্যাচ দেখতে, স্বাগতম আমার এই থ্রেডে আপনাদের সকলকে। মতামত, ফেভারিট, প্রেডিকশন, বিশ্লেষণ চলতে পারে আমাদের মধ্যে।আমার মত নিচে জানাচ্ছি।এবারের টুর্নামেন্টে তেমন কোনও ফেভারিট নেই আমার। আগে থেকে guess ও করতে চাইছি না কে জিততে পারে। নির্ভেজাল আনন্দ নেব ম্যাচগুলো দেখে। প্রতিটা গ্ৰুপ থেকে যে যে দেশগুলোর উপর আমার নজর থাকবে --A: ইতালি, তুরস্কB: বেলজিয়ামC: অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডD: ক্রোয়েশিয়া, ইংল্যান্ডE: স্পেনF: পর্তুগাল, ফ্রান্স আজ প্রথম ম্যাচ: ইতালি বনাম তুরস্কআমার প্রেডিকশন: Draw (1-1) ... ...
#পুরোনো লেখাআজ সক্কালবেলা বেরিয়ে কাজে যাওয়ার পথে দেখলাম, রাস্তায় কিছু কিছু জায়গায় ম্যালা পুলিশ। ঊর্দি পরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অটোদের কেস দিচ্ছে, কিন্তু দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে সেটা তাদের আজকের কাজ নয়। ভাবলাম কিছু মিছিল টিছিল আছে বোধ হয় আজ গরু সংক্রান্ত, তাই বিশেষ ব্যবস্থা। কে একজন বললেন, "আজ এইচ এসের রেজাল্ট!" মনে মনে ভাবলাম, হ্যাঁ আয়, দু বছর পর থেকে রেজাল্টের দিন কার্ফু জারি করা হবে এরপর!পুলিশের কি হল জানি না, তবে আমার এই উদ্ভট ধারণাপোষণকারী বড়ভাইটি আমার স্মৃতির ঝাঁপি খুলে দিলেন। এইচ এস, মানে সায়েন্স, মানে পরীক্ষায় গোল্লা পেয়ে হাবু ফেরেন বাড়ি। মানুষ গতজন্মে পাপ করলে ইহজন্মে পশুপাখি হয়ে ... ...
আস্তে আস্তে সমস্ত পোশাক খুলে রাখবো একদিন। সব আবরণ একে একে ছেড়ে বেরিয়ে আসবো। এই পরিচয়ের ঢ্যারা বয়ে বেড়ানো অসম্ভব ক্লান্তিকর। যা কিছু দিয়ে দাগিয়ে নিচ্ছি নিজেকে, বা আশেপাশের মানুষ চিনে নিচ্ছে আমায়, আমি আসলে তা নই মোটেই। হলেও, শুধু সেটুকুই নই। এই যে পড়ি, পড়াই, লিখি, এর কোনোকিছুতেই নিজেকে পুরো খুঁজে পাই না। আমি যে আছি, নিজের কাছে এগুলো তার প্রমাণমাত্র। আমি নই। এর বাইরে, একে ছাড়িয়ে আমার মাথার উপর প্রবহমান আকাশ, তার মেঘ আমার পরিচয়ের একাংশ। সেই অংশের ভিতরে আবার গ্রীষ্ম-বর্ষা-শরৎ এমনভাবে আরও পরিচয়, তারও মধ্যে শুধু বর্ষাতেই হাজারখানেক পরিচয় আমার জড়িয়ে আছে মেঘের অবস্থানে, উপস্থিতিতে। একইভাবে, সূর্য, চাঁদ, ... ...
প্রতি রোববারের রেডিও-বাণী-টাণী বাদ দিন। ও'সব যে আসলে মন কি বাত না গেঁটে বাত, সে আমিও জানি আপনিও জানেন। তার চেয়ে বরং --- পশ্চিমবঙ্গের 'গুরু'দের উদ্দেশ্যে বলা, অতিমারীর সময়ে আমরা অনেকেই মানসিক নানা বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছি। অনেকে তার সঙ্গে সমঝোতা করতে পারছি নিজেরাই; কিন্তু অনেকে পেরে উঠছি না একা হাতে, মনে হচ্ছে একজন কেউ যদি সাহায্যের হাত বাড়াতেন, বা অন্ততপক্ষে আমাদের সমস্যার কথা যদি তাঁর সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারতাম... 'দোসর'-এর প্রয়াস 'আলাপন' আপনার পাশে আছে। প্রশিক্ষিত মানসিক স্বাস্থ্যকর্মীরা আপনার জন্য উপস্থিত থাকছেন প্রতিদিন, বিকেল পাঁচটা থেকে আটটা খোলা থাকছে আলাপনের হেল্পলাইন। মনের যে কোনও দ্বিধা, আশঙ্কা, ভয় ও অসহায়তার কথা বলুন, সংশয় ... ...
[২০১৬ সালে, ভ্যালেন্টাইন'স ডে-র প্রাক্কালে লিখেছিলাম। এখন বেনামে এই লেখা ফেবুতে মাঝেমাঝে দেখা থাকবেন অনেকে; whatsapp এ ফরোয়ার্ডও করে থাকবেন। এই প্রমাণ রেখে গেলুম গুরুর কাছে, এর রচয়িতা আসলে শ্রীশুভংকরঘোরাচৌ (আসল)।] ১। অঙ্কের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় রাম আর শ্যামের মাধ্যমে। দুজনেই গোপালের চেয়েও বেশি সুবোধ বালক। রাম চারটে লজেন্স নিয়ে খই ভাজছিল, শ্যাম এসে আরও পাঁচটা লজেন্স দিল তাকে। সব মিলিয়ে কটা হল? ৯টা। বন্ধুপ্রীতি দেখে আমার চোখে জলও এসে গেল। অঙ্কও মিলল। ২। একটু বড় হলাম। রাম-শ্যামও। এখন তারা আর অতো সহজ সরল নয়। সামান্য বালখিল্য দুষ্টুমি এসে জুটেছে। মার্বেল চুরি করা, তিনের পাঁচ অংশ পরোটা খেয়ে বাকিটা ফেলে দেওয়া, মাটির ... ...
কবি ও চিন্তক শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণের এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেল। আর সব কিছুর মতোই, আমরা এই শূন্যতার সঙ্গেও অভ্যস্ত হয়ে যাব। কিন্তু ২১শে এপ্রিল ভাবার চেষ্টা করছিলাম, এই মানুষটি নিজের সঙ্গে বাঙালির আর কী কী নিয়ে গেলেন! সেই সূত্রে আমার একটি ছোট্ট লেখা প্রকাশিত হয়েছিল আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকের পাতায়। গুরুদের সঙ্গেও ভাগ করে নিলাম এখানে। মতামত পেলে ভালো লাগবে। ... ...
ঋতুপর্ণ ঘোষের মৃত্যুদিনে ..."জানা হবে না নিজের মৃত্যুদিন" : স্মরণে ঋতুপর্ণ ঘোষ -- লিখেছেন শুভংকর ঘোষ রায় চৌধুরীতাঁর চলে যাওয়ার দিনে, আজ, মনে আছে শহরে বৃষ্টি হয়েছিল খুব। মনে আছে, যে গাড়িতে শায়িত ছিলেন তিনি, জলের ধারা গড়িয়ে পড়ছিল তার কাঁচ বেয়ে। যেমনটা নিজেই লিখেছিলেন, নিজের মৃত্যুদিন জেনে যেতে পারেন নি তিনি; পারে না কেউই। কারণ, মৃত্যু তো আসলে তাঁদের যারা রয়ে গেল সেই খবর শোনার জন্য। পুরোটা পড়ুন ... ...
গুরুচণ্ডা৯-র পালবংশের এই হরিদাসের পাতা (শুদ্ধ বাংলায় ব্লগ যাকে বলে) আজ ল্যান্ড করছে সন্ধে নাগাদ। আজ থেকে প্রতি রোববার সে পাতায় ঝুড়ি সাজানো থাকবে, হরেকরকম স্বাদ-গন্ধ নিয়ে। কী কী পাবেন ঝুড়িতে? বই-সিনেমা-নাটকের কথা (ট্যান যাবে না, গ্যারান্টিড্)বেড়াতে যাওয়ার গপ্পো (সবসময় কিন্তু দূরপাল্লার চাপাতে পারবো না; কলকাতার রাস্তাঘাটে বেড়ানোর গুস্তাখিও নিজগুণে মাফ করে দেবেন)অনুবাদ (মূলের ভাব অণু পরিমাণ বাদ গেলেও, যা থাকবে তা নেহাৎ মন্দ নয়, প্রমিস!)নির্ভেজাল স্মৃতিলেখা (প্রয়োজনমতো একটু এলোমেলোড্রামা মেশানো থাকবে। দুপুর আড়াইটে থেকে পাঁচটার মধ্যে পড়া সবচেয়ে উপাদেয়; মনকেমন দীর্ঘায়ু হয়!)হাহা-হিহি-হুম (মোটকথা, রম্যরচনা। এটা অনেকটা গুরু-র বিবিধ সেগমেন্টের মতো। বাঙালির সঙ্গে বাথটাবের সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা থাকতে পারে, উৎপল দত্তের মতো 'দাঁতক্যালানে বাঞ্ছারাম' মর্মে স্যাটায়ারও থাকতে ... ...
প্রতিপদ পেরিয়ে গেল, তবু বহু জায়গায় এখনও জল নামেনি সামান্যও। ঘরের ভিতরে অব্দি জোয়ার-ভাটা খেলছে। সুন্দরবনে যাঁদের পাকা বাড়ি, তাঁরা রীতিমতো privileged দের পর্যায় পড়ছেন এই মুহূর্তে, কারণ সে-সব বাড়ি আংশিকভাবে বিপন্ন হচ্ছে শুধু। মাটির বাড়ি গলে, ভেসে যাচ্ছে।যাঁরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণকার্যে যাচ্ছেন, একটিই পরামর্শ --- survey করে ত্রাণে নামুন। সাহায্য যাঁদের প্রয়োজন, তাঁদের হিসেবে আমাদেরই সাধ্য সীমিত। কাজেই, সেই প্রতিবন্ধকতা মেনে নিয়েই যা করার করতে হবে। গতবার আমফানের পর রায়দিঘি সংলগ্ন একটি গ্রামে ত্রাণকার্যে গিয়েছিলাম, সে সময় আমাদের কিছু প্রাক্তন ছাত্ররা দু' দিন আগে থেকে survey করে একটা নীল-নকশা বানিয়েছিল ত্রাণের। যে জায়গায় যাচ্ছেন, সেখানে পরিচিত কেউ থাকলে ভালো, ... ...