দ্য বার্ডস ব্রিটিশ লেখক মুরিয়েরের ১৯৫২ সালে লেখা দি আপেল কালেকশনের একটি বড় গল্প। গল্পটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে লেখকের নিজ বাসভূমি কর্নওয়ালের একটি ছোট্ট গ্রামের প্রেক্ষাপটে লেখা ।.যুদ্ধাহত সৈনিক ও পার্টটাইম খামারী ন্যাট কোহেন তার বাড়ি ও উপদ্বীপের আশেপাশে পাখিদের অস্বাভাবিকভাবে জড়ো হতে দেখে ধারণা করে শীতের দ্রুত আগমনের ফলেই পাখিরা এরকম অস্বাভাবিক আচরণ করছে।.সেই রাতে ন্যাট তার জানালায় শব্দ শুনে পাল্লা খুলতেই একটি পাখি তার হাতে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। রাত গভীর হতে ন্যাট তার বাড়ির আশেপাশে আরও পাখির আনাগোনা লক্ষ্য করে। কিন্তু তারা সকালে চলে যায়। ন্যাট তার স্ত্রীকে আশ্বস্ত করে দ্রুত শীতের আগমনই পাখিদের এরকম অস্থিরতার কারণ।.পরের ... ...
2010 সালে ইজরায়েল সমুদ্রপথে হামাসকে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে এই অজুহাত তুলে গাজায় ন্যাভাল ব্লকেড দেয়। স্থলপথের করিডোরগুলো আগেই বন্ধ থাকায় এই ন্যাভাল ব্লকেডের ফলে গাজায় খাদ্য সংকট চরমে ওঠে।.এই ন্যাভাল ব্লকেডের প্রতিবাদে ইজরায়েল , আমেরিকা , জার্মানী , ব্রিটেন থেকে বেশ কয়েকজন সমাজকর্মী একত্রিত হয়ে একটি নৌকায় কিছু জরুরী সাহায্য নিয়ে সাইপ্রাস থেকে গাজার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।.এই সমাজকর্মীদের মধ্যে রুভেন মস্কোভিত্স নামে 82 বছর বয়স্ক একজন হলোকাস্ট সারভাইভার ছিলেন। তিনি খুব পরিষ্কার করেই বলেন........"একজন হলোকাস্ট সার্ভাইভার হিসাবে গাজার অধিবাসীদের উপর ইসরাইলি নিপীড়নের প্রতিবাদ করা আমার পবিত্র দায়িত্ব। নাৎসি ক্যাম্পগুলোতে আমাদের সাথে যে ব্যবহার করা হয়েছে সেই একই ব্যবহার আমরা ... ...
আমেরিকান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী গ্রাহাম টি এলিসন 2017 সালে Destined For War: Can America and China escape Thucydides's Trap? নামে একটি বই লেখেন। ওই বইতে তিনি 'থুসিডাইডিস ট্র্যাপ' নামে একটি শব্দ বহুল ব্যবহারে জনপ্রিয় করে তোলেন।.বিশ্ব ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য নিয়ে কোন উদীয়মান পরাশক্তি ও বর্তমান পরাশক্তির মধ্যে যে উত্তেজনা ও ছায়া যুদ্ধ চলে তাকে বর্ণনা করতে তিনি থুসিডাইডিস ট্র্যাপ শব্দটি ব্যবহার করেন।.দুটি পরা শক্তির ভেতরের উত্তেজনা এইভাবে প্রথম ব্যাখ্যা করেন গ্রিক জেনারেল ও দার্শনিক থুসিডাইসিস। ইতিহাসখ্যাত পেলোপনেশিয়ান যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল গ্রীসের দুটি পরাশক্তি এথেন্স এবং স্পার্টার মধ্যে। তখন স্পার্টা ছিল ডমিনেন্ট পাওয়া এবং এথেন্স ছিল রাইজিং পাওয়ার।.অর্থনৈতিক, সামরিক ও রাজনৈতিকভাবে এথেন্সের ... ...
১৯৫৫ সালের ২৮শে আগস্ট এমেট টিল নামে ১৪ বছরের এক আফ্রো-আমেরিকান ছেলে মিসিসিপিতে শ্বেতাঙ্গদের লিন্চিং এর শিকার হয়। ক্যারোলিন ব্র্যায়ান্ট নামে এক শ্বেতাঙ্গ মহিলা টিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে যে সে তাকে উদ্দেশ্য করে শিস বাজিয়েছে ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছে।.এই অভিযোগের পর ক্যারোলিনের স্বামী ও ভাই সশস্ত্র হয়ে টিলকে বাসা থেকে অপহরণ করে। পরে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যা করার পর তার লাশ নিকটস্থ তালাহাসি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।.তিনদিন পরে লাশটি ভেসে উঠলে উদ্ধার করা হয়। তার দেহ পিটুনি ও গুলির আঘাতে এতই বিকৃত হয়ে গিয়েছিল যে লাশ চিহ্নিত করতে খুব কষ্ট হয়। টিলের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে ... ...
চীন আর ব্রিটেনের মধ্যে ১৮৩৯ থেকে ১৮৪২ সাল পর্যন্ত সংঘটিত হয়েছিল প্রথম আফিম যুদ্ধ বা ফার্স্ট ওপিয়াম ওয়ার। সপ্তদশ-অষ্টাদশ শতাব্দীতে চীন ছিল কৃষিপ্রধান স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। ফলে আমদানিতে তাদের ছিল প্রবল অনাগ্রহ।.তারা শুধু সোনা, রুপা আর আফিম আমদানি করত। সে সময় আফিম যে মাদক হিসেবে ব্যবহার করা যায়, তা জানত না চীনারা। তারা আফিম ব্যবহার করত ছোটখাটো রোগের চিকিৎসার ওষুধ হিসেব। এই আফিম আসত মূলত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে।.এদিকে ব্রিটিশ বণিকদের কাছে চীনের চা, সিল্ক এবং চিনামাটির বাসন অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা ছিল। কিন্তু চীনারা কেবল রৌপ্যের বিনিময়ে তাদের পণ্য বিক্রি করত। ফলে ব্রিটেনের প্রচুর রুপা চীনের কাছে চলে যায়।.এটা বন্ধ করার ... ...
তিরিশের দশকে স্টালিন সোভিয়েত ইউনিয়নকে আমূল বদলে দিয়েছিলেন, তেমনই একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখতেন কম্যুনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান মাও। তারই সূত্র ধরে চীনে শুরু হয় ‘গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড’ নামের এক বিরাট আন্দোলন। যার শুরু মাওয়ের পরিকল্পনা মাফিক হলেও পরিণতি ছিল তার নাগালের বাইরে।.মাও বিশ্বাস করতেন চীনের বিপুল জনশক্তিকে ঢেলে সাজিয়ে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এবং যৌথ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করানো গেলে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পর বাড়তি ফসল থেকে যে বিপুল আয় হবে, তা থেকেই শুরু হবে দেশের শিল্প বিপ্লব।.যার ফলাফল হিসেবে চীনজুড়ে স্থাপিত হবে প্রচুর কলকারখানা এবং লৌহ প্রস্তুত শিল্প। দেং জিয়াও পিং, ঝৌ এন লাই থেকে শুরু করে পার্টির ... ...
হাজার বছর আগে মানুষ যখন খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মেটাতে পশুপালন শুরু করে তখন থেকেই আফ্রিকায় চারণ ক্ষেত্রে সিংহের উৎপাত একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বড় বড় খামারিরা এই সমস্যা মেটাতে শিকারি ও প্রশিক্ষিত কুকুরের পাল ব্যবহার করে থাকে।.কিন্তু সমস্যা হয় ছোট খামারিদের। শিকারি ভাড়া করার সামর্থ্য তাদের নেই। ডালপালা ও ঝোপঝাড় দিয়ে তৈরি অস্থায়ী ঘরেই পশু রাখতে হয়। মাঝে মাঝে নিজেকেই শুধু লাঠি বা বর্শা হাতে সিংহের মোকাবেলা করতে হয়। বতসোয়ানার আইনে সিংহ মারা নিষেধ থাকায় সম্প্রতি তাদের সংখ্যা বেশি বেড়ে গিয়েছে।.এই সমস্যা নিয়ে বতসোয়ানার প্রকৃতিবিজ্ঞানী নেইল জর্ডান বেশ কয়েক বছর ধরেই মাথা ঘামাচ্ছিলেন। এক ফিল্ড ট্রিপে নেইল খেয়াল করেন ... ...
জর্জ কোহেন লিখিত এই নামে একটি উপন্যাস থেকে 2008 সালে হলিউডে একই নামে একটি ছবি তৈরি হয়। ছবির নায়ক কোহেনের আজীবনের স্বপ্ন স্কুল শিক্ষক হওয়ার।.কিন্তু একটি শারীরিক ত্রুটি তার এই স্বপ্নপূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোহেন ছোটবেলা থেকেই টুরেট সিনড্রোম নামে একটি দুরারোগ্য স্নায়বিক ব্যাধিতে আক্রান্ত।.1885 সালের ডা. জর্জ জিল ডে লা টুরেট নামে একজন ফরাসি চিকিৎসক ও নিউরোলজিস্ট সর্বপ্রথম তার 9 জন রোগীর মধ্যে এ ধরনের ব্যতিক্রমী আচরণের লক্ষণ খুঁজে পান। তাঁর নামানুসারে এই সিনড্রোমের নামকরণ করা হয় টুরেট সিনড্রোম।.এই সিনড্রোমের মূল সমস্যা হলো বিভিন্ন ধরনের Tics বা মাংসপেশির অনিয়ন্ত্রিত বিক্ষোভ। এর ফলে আক্রান্ত ব্যাক্তি ঘন ঘন কাশি দেয় ... ...
“কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন” এটা বলার চেয়ে কলম্বাস আমেরিকাকে পশ্চিম ইউরোপের সাথে পরিচিত করিয়ে দিয়েছিলেন” বলাটাই আরও বেশি যুক্তিযুক্ত।.কারণ ১৪৯২ থেকে ১৫০২ সাল পর্যন্ত তার বিখ্যাত চারটি অভিযানের পথ ধরেই কানাডার উত্তর প্রান্ত থেকে চিলির দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত সব জায়গাতেই নিজেদের উপনিবেশ স্থাপন করেছে স্প্যানিশ-পর্তুগিজ-ডাচ-ব্রিটিশ-ফ্রেঞ্চরা।.জেনোয়ার এই অনুসন্ধানকারীর অনেক আগেই যে মানুষ আমেরিকায় পা রেখেছিল তা এখন সর্বজনবিদিত। কিন্তু মূল প্রশ্নটি থেকেই যায়, “আমেরিকার প্রথম আবিষ্কারক কে বা কারা” ? এব্যপারে বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক দাবী রয়েছে।.পলিনেশিয়ান --পলিনেশিয়ানরা আমেরিকায় সত্যিই পা দিয়েছিল কিনা তার একেবারে নিখুঁত প্রমাণ না মিললেও আমেরিকায় যে তাদের নিয়ে আসা অনেক কিছুর প্রমাণ মিলেছে তা বলাই বাহুল্য। যেমন ... ...
ফ্রান্স ১৮৩০ সালে কিছু ভুয়া ঔপনিবেশিক কারণ দেখিয়ে আলজেরিয়া আক্রমণ করে আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় দেশটি দখল করে নেয়।.এভাবে আলজেরিয়াতে ফ্রান্সের প্রায় শতাব্দীকাল ব্যাপী শোষণ শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আলজেরিয়াতে স্বাধীনতা আন্দোলন দানা বেঁধে ওঠে এবং প্রায় 10 বছর ব্যাপী গেরিলাযুদ্ধ ও 10 লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে 1962 সালে আলজেরিয়া স্বাধীন হয়।.এই স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী অনেক গেরিলা যোদ্ধার মরদেহ পরে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেকের মরদেহ ফ্রান্স চালাকি করে আলজিরিয়া থেকে নিজেদের দেশে ট্রফি হিসেবে নিয়ে যায়।.এইরকম নিখোঁজ হওয়া প্রায় চব্বিশটি মরদেহের খুলি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট শেষ পর্যন্ত আলজেরিয়ায় ফেরত পাঠাচ্ছেন।.এই উদাহরণ থেকে অনুমান করা যায় আলজেরিয়ার স্বাধীনতাকামীদের প্রতি ফ্রান্সের আচরণ কেমন ... ...