ক্লাইভ তথা ইংরেজরা এত হিন্দুপ্রেমী যে বাংলায় আগে দুর্ভিক্ষ ছিল না, দুর্ভিক্ষ নিয়ে এল।সিরাজউদ্দৌলাকে প্রতারণা করে হারিয়ে খুন করার ১৩ বছরের মধ্যে দুর্ভিক্ষ হল।এবং তিন কোটির মধ্যে এক কোটি লোক না খেয়ে মারা গেলেন।সিরাজউদ্দৌলা হিন্দু বিরোধী তাই তাঁর প্রধানমন্ত্রী করেন হিন্দু মোহনলালকে। অর্থের দায়িত্ব দেন জগৎশেঠ ও তাঁর ভাই স্বরূপচাদঁকে। আর দাদুর শ্রাদ্ধে সংস্কৃত মন্ত্র পড়ান। হুগলির ফৌজদার হিন্দু নন্দকুমার, ঢাকায় দেওয়ান ... ...
জল থৈ থৈ ……. দুবাই!একেবারে সাতসকালেই আমাকে খবর দিয়েছিল নাটাই - আমার ভাইপো। বলরামের বাঁশি থুরি হুইসেলের আওয়াজ কানে ঢুকলেই সবাইকে ধড়মড়িয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে আসতে হয় ময়লার বালতি হাতে। একটু দেরি করার জো নেই! দেরি দেখলেই বলরাম হুইই হুইইই করে হুইসেল ফুঁকে হুলিয়া জারি করে দেবে! প্রতিদিন এই কাজটা আমাকে আর ভাইপো নাটাইকেই করতে হয়। রোজকার রুটিন মেনে আজকেও বাবাজীবন নাটাই বালতি হাতে ঘুমজড়ানো চোখে অত্যন্ত বিরক্তি নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে বলে উঠলো – “জ্যাজাই, আর ভাল্লাগেনা! এখানে বৃষ্টির ছিটেফোঁটাও নেই, সবাই রোদে পুড়ছে,আর ওদিকে মরুভূমির দেশ দুবাই বন্যায় ভাসছে। ষোলো জন মারা গেছে। কি হলো আমাদের পৃথিবীর!” ... ...
Post Truth: Relating to or denoting circumstances in which objective facts are less influential in shaping public opinion than appeals to emotion and personal belief. ৬ এপ্রিল তারিখে একটি জনপ্রিয় বাংলা সংবাদপত্রে একটি ছোট্ট কলাম চোখে পড়েছিল। তারা আবার ইংরেজী সংবাদপত্র থেকে জেনেছেন, স্কুলের সিলেবাস, বিশেষত, ইতিহাসের সিলেবাসে বেশ কিছু বড়োসড়ো রদবদল হচ্ছে, যা সত্য অর্থে আপত্তিকর। ১১ এপ্রিল তারিখ উক্ত সংবাদপত্রে হিন্দোল ভট্টাচার্য মহাশয়ের ... ...
“’অদ্বৈতসিদ্ধি’ গ্রন্থটি সে সমাপ্ত করিয়াছে। ইহার কঠোর যুক্তিজাল সে আজিকালি অধ্যাপনা করে। এইসব অন্ধকার রাত্রির গর্ভের ভিতর বসিয়া সংশয় আসে, কে তাহার গ্রন্থ মনে রাখিবে? শতাব্দী অতিক্রান্ত হইবার পর কেহ ইহা পড়িবে কি? অথবা, ইহা একটা নামমাত্র বাঁচিয়া রহিবে? এত কঠিন বিতর্কবিন্যাস ভাবীকালের মানবকের উপযোগীতাবাদী মস্তিষ্কে প্রবেশ করিতে পারিবে? অথবা, সে শুধু একটা কিংবদন্তী হইয়া বাঁচিয়া রহিবে? ইহার বেশি কিছু ... ...
এ যেন এক বালিকা ঘরের এক কোনে সূঁচ-সুতো নিয়ে বসেছে। খেলাচ্ছলে গৌরী বালিকা মালা তৈরী করছে শিব ঠাকুরের জন্য। পাশের ঝুড়িতে লাল-নীল-হলুদ হরেকরকমের ফুল। আপনমনে যে ফুল হাতের কাছে উঠছে তাই সূত্রাকারে গাঁথা হচ্ছে। তার কোন নির্দিষ্ট ছন্দ নেই, তাল নেই, লয় নেই। তবুও যে মালা গেঁথে সে শিব ঠাকুরের গলায় পরাল, তা অনিন্দ্যসুন্দর। তেমনই, কখনও সেকেন্ড পার্সন ন্যারেটিভে, কখনও ফার্স্ট পার্সন ন্যারেটিভে, কখনও থার্ড পার্সন ... ...
মুখোশ এক অদ্ভূত জিনিস তুমিও পরো, আমিও পরি ৷ ওটা সরিয়ে নিলে ধরা পরবো তুমিও জানো, আমিও জানি ৷ মুখোশের অন্তরালের বহুরূপতা তোমারও
গ্রীষ্মের উদাসী দুপুর মানুষকে তো খ্যাপাটে করেই ছাড়ে। চাঁদিফাটা রোদ্দুর আর বিনবিনিয়ে ঘামে তেলে মাখামাখি হয়ে প্রত্যেক মানুষের তখন বেশ রসালো অবস্থা (রস চ্যাটচ্যাটে)। কিন্তু যাই হোক প্রাণটা তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে! তাই গলায় গ্যালন গ্যালন ঠান্ডা জল আর বরফ ঢুকতে থাকে বিচিত্র রঙ, গন্ধ আর শোভায় পানীয়ের বোতলের মাধ্যমে আর আছে প্রাণজুড়ানো আইসক্রিম, কুলফি। তবে এখন এগুলো যতই সহজলভ্য ... ...
মাস্টারমশাইদের নিয়ে অনেকেরই অনেক স্মৃতি। আমারও বেশ কিছু স্মৃতি আছে। তার ওপর অনেককেই টিউশনি করতে দেখেছি। নিজেও করেছি তবে খুব বেশি নয়। সব মিলিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা এখানে লিখছি। আর হ্যাঁ, শব্দটার যথাযথ ইংরিজি উচ্চারণ টিউশন না বলে এই লেখায় আটপৌরে টিউশনিই বলব আমি। একটা সময় আমরা টবিন রোডের কাছাকাছি সরকারি কোয়ার্টারে থাকতাম। অনেক পরে বুঝেছি, আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় ওই সাড়ে এগারো বছর। তখন অবশ্য এই বোধ আসেনি। যাক গে, প্রসঙ্গে ঢুকি। "কোয়ার্টার বাস" এর সময় ... ...
এটা একটা স্মৃতিকথা। খুব সামান্য এক মানুষের যার নাম শুভশ্রী, পদবী রায়, ডাকনাম মৌ।বাড়িভাড়া, কলকাতায় থাকা এ সব নিয়ে ভয়াবহ স্মৃতি আছে আমার। আমার জন্ম দক্ষিণ কলকাতায়। গোলপার্কের ও দিকে একটা জায়গায়। মামারবাড়িটা ওখানেই ছিল।বাবার তো রাজ্য সরকারে বদলির চাকরি। আমার জ্ঞান হয় সোনামুখীতে। ওখানেই হেলথ সেন্টারে আমার বোনের জন্ম। দুই বোনের মধ্যে বয়সের তফাত দু' বছর আট মাস। যাই হোক, ওই সময়টায় মফস্বল শহরগুলোতে কম টাকায় ভালো বাড়ি পাওয়া যেত। সোনামুখীতে বেশ বড় একটা বাড়িতে থাকতাম আমরা। সেটার কথা বেশি মনে নেই। একটা টানা বারান্দা ছিল মনে পড়ে। পরে সেই বাড়িটা ছেড়ে আরেকটা বাড়িতে যাই। সেটার কথা অনেক বেশি ... ...
বাংলায়, ইন্ডিয়া জোটের নির্বাচনী ঐক্য হয়নি। ঠিক যেমন হয়নি কেরালাতে। তাহলে ইন্ডিয়া জোটের কোনও শরিক, যদি বাংলায় বা কেরালায়, এই শরিকদলের কোনও একটি দলকে ভোট দিতে না বলে, জনগণের বিচারবুদ্ধির ওপর ছেড়ে দিয়ে বলে বিজেপিকে হারান, কাকে হারানো উচিৎ, তা যদি জনগণের প্রজ্ঞার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে ভুল কোথায়? ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছে বিজেপিকে হারানোর উদ্দেশ্য নিয়ে। এই জোটে এ থেকে জেড ... ...
ধরা যাক, নাম তার বিন্দিয়া তবে সে মোটেই ভারতীয় নয়। খাস সাদা সাহেব আমেরিকান বাবা ও ব্রিটিশ মায়ের সন্তান। সে নেহাৎ বেবীও নয় এখন। তার বাবা-মায়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সালের এপ্রিলে তার জন্ম। তার সৎ দাদা, বাবার আগের পক্ষের বড় ছেলে তার থেকে পনেরো বছরের বড়। বাবা, মা ও সৎ দাদার সঙ্গে সে ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকার দক্ষিণ দিকের একটি রাজ্যে থাকে। তবে সম্ভবত এখন তার সৎ ... ...
ছবি: রমিত চট্টোপাধ্যায়আজি নব বরষের শুভদিনে নব বরষে, নব হরষে, জাগিয়া উঠুক প্রাণ - এই আত্যন্তিক যাচনা নিয়েই নতুন বছরকে আহ্বান করে নেওয়া। চৈত্র শুক্লা প্রতিপদ তিথি থেকেই ভারতের নানান প্রান্তের মানুষ নতুন বছরকে সাদর আমন্ত্রণ জানানো শুরু করেছে। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের দাপটে একালে দেশীয় দিনপঞ্জিকাগুলো একরকম কোণঠাসা। তবুও এই একটা দিন নববর্ষ বরণের অজুহাতে ফেলে আসা সাবেকিয়ানাকে মান্যতা দেওয়া প্রায় হারিয়ে যেতে বসা সামাজিক সাংস্কৃতিক যাপনকে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করা।সুবিশাল ভারতবর্ষের নানান প্রান্তের মানুষ কীভাবে তাঁদের নতুন বছরকে বরণ করে নেয় সেকথা জানতে আমাদের আগ্রহ থাকাটা খুব স্বাভাবিক। ভৌগোলিক দূরত্বের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আচার অনুষ্ঠানের নিয়ম রীতিতে বিস্তর পার্থক্য ... ...
ছোটোবেলায় দোলের সময় পাড়ায় চুটিয়ে রঙ খেলেছ মধু। কৈশর পেরোতে পাড়ায় বিশেষ কাউকে - যাকে কেবল দেখেই গেছে বছরভর - কাছে গিয়ে কথা বলার মুরোদ হয়নি - তাদের বাড়ি গিয়ে মাসীমার পায়ে আবীর ছোঁয়ানোর ছলে তার গালেও একটু লাগিয়ে দিয়েছে। বিজয়াতে দলবেঁধে প্ল্যান করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভক্তি প্রকাশের ছলে মিষ্টিমুখ করার সে কী সুখ। সে সব একটা সময় ছিল - সশরীরে, মুখোমুখি আনন্দ উল্লাস ভাগ করে ... ...
ফেব্রুয়ারির একুশ এলেইকি জানি কোন ব্যাপার,ওই সকালেই ঘুম ভেঙে যায়যত লড়াই-ক্ষ্যাপার।তাদের দাবি বাংলা নামেরয়েছে যে এক ভাষা,তাতেই আছে সব ইমোশনসবটা ভালোবাসা।এই ভাষাতেই লিখত নাকিশক্তি, জীবন, মানিক,কারা এসব, জানতে নাহয়গুগল করো খানিক।এই ভাষাতে তর্জা চলেরোজ বিকেলের স্ক্রিনে,তাগড়া ছেলে হিন্দি বলে,বাংলাটা মিনমিনে।প্রাইভেট ব্যাংক, রেস্তোরাঁ বাগেলে শপিং মলে,আড্ডা, আলাপ, অর্ডার সবই অন্য ভাষায় চলে। ক্যাবলা ছেলে, নোংরা জামা বাংলা মিডিয়ামে ... ...
জোরালো অ্যান্টিবায়োটিকের জোরে সুখির ঘা অনেকটা শুকিয়ে এসেছে। এখন হেঁটে হেঁটে এখানে ওখানে যেতে পারে। সেদিন সুভাষ গিরির বাড়ির দাওয়ায় গিয়ে বসল সকালবেলায়। সুভাষবাবু তখন খবরের কাগজে চোখ বোলাচ্ছিলেন একটা পুরনো কাঠের চেয়ারে বসে। তিনি খবরের কাগজ কোলের ওপর রেখে সুখিকে বললেন, ‘ কিরে সুখি কেমন আছিস ? ‘ সুখি শালকাঠের খুঁটিতে হেলান দিয়ে ... ...
সদ্য ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে কিভাবে উত্তর প্রদেশের এক শিক্ষিকা ক্লাসের সব ছাত্রকে ডেকে একটি নির্দিষ্ট ছাত্রকে মার খাওয়াচ্ছেন। কি দোষ বাচ্চাটির ? না, সে ধর্মে মুসলিম। কোনো বাচ্চা সঠিক ভাবে তাকে প্রহার না করতে পারলে শিক্ষিকা উৎসাহ যোগাচ্ছেন, আরেক ঘা বসাতে। পাশের সহকর্মীর সাথে হেসে হেসে বলছেন, "এদের" এভাবেই তাড়াতে হয়। ভিডিওটি দেখে শিক্ষিকাটির প্রতি তীব্র ঘৃণা ও আশঙ্কায় শিউরে ... ...
একেক দিন সে ডাক দেয়। "সে" বলছি, সর্বনাম ব্যবহার করছি বটে তবে তার নাম জানি না। কে সে জানি না, জানতে চাই। অনেক দূর থেকে সে আসে হয়তো অথবা কাছাকাছি কোথাও তার বসবাস। সে আসে, ডাক দেয়। সেই ডাক আমার কানে পৌঁছয়, সাড়াও দিই কিন্তু সাড়া পাই না। মাস তিনেক আগে শীতকাল। ভোর চারটে নাগাৎ সে ডাক দিল। আমাদের ব্লকে নিচের গেটে সবসময় তালা বলে কলিংবেলগুলো একদম বাইরের লোকেদের হাতের কাছাকাছি থাকে। চারতলায় ফ্ল্যাট আমাদের। কলিং বেল শুনে ঘুম ভেঙে গেল আমার। তারপরে চোখে অনেক ঘুম নিয়ে মোবাইলটা নিয়ে সময় দেখলাম। ভোর চারটে বাজে। ভাবলাম, এই সময় কে বেল ... ...
ইঞ্চিজি জিন্দাবাদ সংসদে প্রণাম করেছিলেন। সংসদ ভবন তালাবন্ধ। পেটিএম নোটবন্দির পরদিন তাঁর ছবি দিয়ে। মার্চ থেকে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক বন্ধ। নোটবন্দির সুফল না পেলে ৫০ দিন পর জ্বালিয়ে দেবেন বলেছিলেন। দেশ জ্বলছে। ক্ষমতায় আসার একমাসের মধ্যে ২৫% করে জিনিসের দাম কমাবেন বলেছিলেন। জিনিসপত্রের দাম ৩০০-৫০০% বেড়েছে। বছরে ২কোটি করে চাকরির কথা বলেছিলেন। ১৪ কোটির চাকরি চলে গেছে। বিএসএনএলে এক লাখ ৯৭ হাজারের চাকরি ... ...
একটা পোল উঠে গেছে পৃথিবীর তলপেট থেকে, তাতে গুঁড়ি মেরে নুড়িপাথর, তাতে বাঁকুড়ার বাওয়াল-বাউল, গান গায়, তরঙ্গ তোলে। উজ্জ্বল ও প্রোটিনক্লান্ত হয় সবিশেষ। দীর্ঘ পোলের প্রান্ত থেকে বিলিরুবিন আলো, নিচে আমরা, সংক্রান্তির ধান ও আমাদের কালবৈশাখীর মতো ভালো, এখানে সেখানে আছড়ে ফেলা যায়। হৈ হৈ উল্লাস ওঠে.. গড়াগড়ি খায়, রৌদ্র গন্ধ, আমাদের শরীর হলুদ হয়ে যায়। ঢেঁকির জনশ্রুত পুষ্টিগুণ শুধু ... ...
আমাদের জীবন যাপনে দুই ধরণের জিনিস দরকার হয় – পণ্য ও পরিষেবা। প্রতিটি পণ্যের জন্য আমরা প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর (জল, স্থল, বাতাস) নির্ভরশীল। যেমন কাঠ, জ্বালানি বা ফসলের মতন সরাসরি ব্যবহার করার জিনিস আর নাহলে নানান খনিজ দ্রব্য যার থেকে তৈরী হয় আমাদের প্রয়োজনের জিনিস যেমন সিমেন্ট থেকে সেমিকন্ডাক্টর। প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার না করে কোনো পণ্য উৎপাদন সম্ভব নয়। পরিষেবার ... ...