মহাকাশ বিজ্ঞান বা গবেষণা নিয়ে ফেসবুকে বিশেষ আগ্রহ দেখি না। কয়েকজন অবশ্য নিয়মিত পোস্ট করেন, ভালো ছবি-টবি থাকলে অনেকে সেই পোস্টে লাইক করে এগিয়ে যান। অথচ এখন প্রায় প্রতি সপ্তাহে, প্রতি মাসে, যুগান্তকারী সব আবিষ্কার হচ্ছে। হাবল টেলিস্কোপের নতুন নতুন ছবি আসছে, ইন্টারস্টেলার স্পেস থেকে ভয়েজর-১ আর ভয়েজর-২ এমন সব তথ্য পাঠাচ্ছে যে মহাকাশবিজ্ঞানীরা নড়েচড়ে বসেছে।ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইন্সটিটিউট অফ অ্যাস্ট্রনমিতে Coryn A.L. Bailer-Jones কয়েকদিন আগে ইন্টারস্টেলার নেভিগেশন নিয়ে একটা পেপার সাবমিট করেছেন, সেটা নিয়ে হইচই পড়ে গেছে। প্রসঙ্গত বলা ভালো ব্যাপারটা নতুন কিছু নয়, ভয়েজরের পাশাপাশি নিউ হরাইজনও 'হেলিওপজ' বা সোলার সিস্টেমের সীমানা অতিক্রম করে কিছুদিন পর আন্তনক্ষত্র মহাকাশে পৌঁছে ... ...
আন্দালুসিয়ার শহরে একটা বইয়ের দোকানে ঢুকে কয়েকটা বই নজরে পড়েছিল। ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে পর্তুগিজদের ভারতবর্ষে আসা নিয়ে লেখা, বিশেষত বাংলা ও বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের নানা দেশ আর রাজ্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করার কাহিনী। মুর রাজাদের জাহাজ ব্যবহার করে পর্তুগিজ ব্যবসায়ীরা ভারতে পাড়ি দিয়েছিল, এদের মধ্যে অনেকেই পরবর্তী সময়ে কুখ্যাত হয়ে উঠেছিল জলদস্যু হিসেবে। স্বাভাবিকভাবেই বইগুলো ছিল স্প্যানিশ ও পর্তুগিজ ভাষায় লেখা।যাই হোক, বাংলার এই ইতিহাস নিয়ে স্পেনের দোকানে সারি সারি বই দেখে আমি বেশ অবাকই হয়েছিলাম। সেই যুগের ইতিহাস ও পর্তুগিজ শাসকদের বাংলা ঔপনিবেশবাদ গড়ে তোলা নিয়ে বাংলায় খুব কম লেখাই চোখে পড়েছে। ... ...
গৃহবন্দী এবং কয়েকটি মুখোশ, মুখোশ -না মুখোশ দেখে ভাববেন না যে আমি সরকারি হাসপাতালের সমস্ত কর্মীদের মুখে বাঁধা একফালি ন্যাকড়ার কথা বলছি অথবা মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর সঙ্গী সাথীদের মুখে বাঁধা, N 95 লেখা মুখোশের কথা বলছি।এ অন্য মুখোশ,তার কথা পরে হবে, আগে খুব ছোটবেলায় পড়া একটি গল্প শুনুন। গল্পটা মজার।ধরা যাক সেটা আঠারোশো শতাব্দীর ইংল্যান্ড অথবা ইউরোপের যে কোন শহর হতে পারে।চার যুবক বন্ধু এক সরাইখানায় আড্ডা দিচ্ছে। হাতে পানীয়ের পাত্র। চার বন্ধুর আর্থিক অবস্থায় তারতম্য আছে। একজন অর্থনৈতিক ভাবে যথেষ্ট দুর্বল, আর একজন ধনী ব্যবসায়ী পুত্র। বিস্তর অর্থের মালিক। বিত্ত বৈভবে সে সকলকে টেক্কা দিতে পারে। আচরণেও তার বেশ ভালোরকম ... ...
সাগরের খাড়ির ধারে ও-ই মস্ত উঁচু টাওয়ারে পতাকাটা শনশনিয়ে পাক খাচ্ছে কদিন ধরে। ঘোলাটে আকাশ । বাতাসে ভিজে ঢেউ। জব্বর একটা ঝড় আসছে নাকি। ম্যানগ্রোভের সংসারে যেন কিসের শংকা। কড়াক লড়াইয়ের প্রস্তুতি। ঝরঝর ঝরঝর করে বেপরোয়া ডাকাবুকো হাওয়া জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে দৌড়োদৌড়ি করছে যুদ্ধবাজের মতো।
)হেদুয়া পার্ক এর ঠিক উল্টোদিকে, একদিকে চার্চ – পাশে বেথুন স্কুলকলেজ, আর এক দিকে বৈকুণ্ঠ বুক হাউসের মাঝখান দিয়ে শুরু হয়েছে রামদুলাল সরকার স্ট্রীট। একটু এগোলে বাঁদিকে গাড়িবারান্দাওলা বাড়ি। তলায় সেই গিরীশ চন্দ্র ঘোষ আর নকুড় চন্দ্র নন্দী’র প্রাচীন মিষ্টির দোকান। আরো একটু এগিয়ে যে রাস্তাটা সোজা বিবেকানন্দ রোড অব্দি চলে গেছে সেই রাস্তার মুখেই ডানহাতি প্রাক্তন মেয়র গোবিন্দ চন্দ্র দে’র বাড়ি। আর একটু এগোলেই বাঁহাতে গেলেই গৌর মোহন মুখার্জী লেন। স্বামী বিবেকানন্দের পৈত্রিক ভিটে। মান্না দে’র কাকা কৃষ্ণ চন্দ্র দে’র ও বাড়ী এই গলিতেই। সিমলে পাড়া। আমার ছোটোবেলা। গোবিন্দ দে’র বাড়ীর ঠিক উল্টোদিকেই ছিল ‘চলন্তিকা বোর্ডিং হাউস’। ... ...
তোলেদো। তাগুস নদীর কিনারায় অবস্থিত প্রাচীন পার্বত্য নগরী। শহর না বলে গ্রাম বলাই ঠিক। তবে একরত্তি একলা গ্রাম নয়, বেশ জমাটি 'ভিলেজ টাউন'। স্পেনের এই এক চিলতে জায়গায় কী জাদু কে জানে, হাজার বছর ধরে অনুপ্রবেশকারীরা তোলেদো দখল করবে বলে হাপিত্যেশ করে বসে থেকেছে। রোমান, মুর, ভিসিগথ-- নতুন প্রজন্মের সঙ্গে নতুন নতুন ইতিহাসের পাতা যোগ হয়েছে তোলেদোতে কিন্তু পুরোনো পাতাগুলো মুছে যায়নি কোনোদিনই, বরং সময়ের সাথে সাথে তাদের অস্তিত্ব আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। সেই শহরে গিয়ে পৌঁছেছি সেইবার। রূপকথার রাজ্য, কিন্তু সে রাজ্য পাথর দিয়ে গড়া। লোরকার ভাষায় স্পেন হল জ্যান্ত ভূতের দেশ, বর্তমান এখানে গৌণ। ভুল বলেননি। এখানকার ভুগোল, ইতিহাস, ... ...
পান্নালাল দাশগুপ্তর "গান্ধী গবেষণা" বইতে গান্ধীজিকে অন্যভাবে দেখতে ও দেখাতে চেয়েছিলেন৷ সেই বইটাই পড়া গেল৷
একটি ননসেন্স ও অ্যাবসার্ড লেখা। আপনাদের মনে পড়ে, সেই যে সেই জানলাটা খোলা ছিল না? যে জন্য মাছিটা বেরোতে পেরেছিল, সেই জানলাটা খোলাই ছিল। ঐ খোলা জানলাটুকু দিয়েই লোকে শুনতে পেল, কয়েকটা কণ্ঠস্বর একযোগে বলে চলেছে, ক্যাট ব্যাট ওয়াটার ডগ ফিশ
সঘন বরষা করিল মগন প্রেয়সী রহিল দূরে বিরহী মরম ভুলিয়া ধরম গাহিছে বেহাগী সুরে।কতযুগ যেন হইল বিগত নয়ন তাহারে যাচে মুষ্টিফোনের কথোপকথনে মনের ময়ূর নাচে।মকমকি সহ বারিধারা ঐ রঙ্গ করিছে অনঙ্গকতকাল সহে মনের প্রবোধ মুষ্টিফোনের সঙ্গ।
কতোটা টানবে, শ্বাস / কতোটা ধরে রাখবে / এসব মন্ত্রী ঠিক করবে / তাছাড়া কারা যেন বলে
সেভাবে ভাবিনি একদিনও / চোয়াল শক্ত রাখতে হবে
যে খাতে জীবন বইছে, টুকরো টুকরো আনন্দগুলোর আর কোনও জায়গা নেই। একদিন এই টুকরো আনন্দের টানে সারাদিন ঘরছাড়া থাকতাম। কত গ্রীষ্মের প্রখর দুপুর, কত বৃষ্টিভেজা মেঘলা দুপুর। মনে হতো, এটাই জীবন। তার বৃত্তের বাইরে সবই তুচ্ছ। এই সব পাকামিতেই থার্ড ইয়ারে ইংরেজি অনার্স কেটে গেল। তাতেও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। প্রফুল্লদের বাঁশ ঝাড় থেকে বাঁশ কেটে মাচা তৈরি। মাথার উপর খড়ের চাল। বৈশাখ, জৈষ্ঠের দুপুরটা বেশ কাটত। মেয়েদের স্কুলের পিছনে শান্তিকাকুদের বাগান। সেখান গিয়ে আম চুরি। গালাগালি না খেলে আমচুরির মজাই নেই। বিকেল গড়ালে ভাগাড়ের মাঠে ক্রিকেট। তবে দুপুর আর সন্ধে তাসের আড্ডায় মন বুঁদ হয়ে থাকত আমাদের। আর থাকত গড়ের ... ...
এখন বাড়িতে কম খরচায় ১ কিলো ওয়াট এর উপর সোলার প্ল্যাণ্ট বসিয়ে অন গ্রীড পরিষেবা নেওয়া যাবে। এই পরিষেবায় ইলেক্ট্রিক বিল অনেক কমে যাবে। ইচ্ছুক ব্যক্তিরা আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমার দূরাভাষ - ৮০১৭৩৫৩৮২২। এই নম্বরে হোয়াটস আ্যাপ ও আছে।
করোনাক্রান্তিতে এপারে বাংলাদেশের আদিবাসী পাহাড়ি অধ্যুষিত পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎসব ম্লান, নাই প্রাণের উচ্ছাস, নতুন সাজ পোষাকে শিশুদের শোভাযাত্রা, মেলা ঘিরে বর্ণিল আয়োজন, ফানুসের আলো। তবু কোথায় যেন বিঝু পাখি ডাকছে, "হাত্তোল পাগোক, বিঝু এজোক" (কাঁঠাল পাকবে, বিঝু আসবে)।.... কোকিলের কুহু কুহু সুর ১৪টি পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠির চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষ বরণের উৎসব বিঝু,বৈসু, বিহু, বিষু, সাংগ্রাই, চাংক্রানের আগমনী বার্তা জানিয়ে দেয়।দিকে দিকে পাহাড়-জংগল আলো করে ছড়িয়েছে হলুদের শোভা, "পদক পাইন" অর্থাৎ পদক ফুল। মায়ানমারের জাতীয় ফুল বা বৈসাবি ফুল। ইংরেজিতে "রোজউড"।সবাইকে বৈসাবি, চৈত্রসংক্রান্তি ও নববর্ষের শুভেচ্ছা।সকলে নিরাপদে থাকুন, সুস্থ থাকুন। ... ...
পর পর দুটো জন্মের মাঝে যে চিকন ফাটল / তা দিয়ে ঝুপ করে একটা নদী ঢুকে পড়ে
আমার লেখালিখির মধ্যে / তোমার সঙ্গে সেক্স করার চাহিদাটা আছেই / ওটা কথায় কথায় ফিসফিসিয়ে না জানান দিয়ে / লেখা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উপায় নেই ৷