না। না। আমি জানি সবারই দু’টো করে নাম হয়! আমার খুব ইচ্ছে আমারও দু'টো নাম থাকুক। দু’টো করে নাম? হ্যাঁ। ডাকনাম আর ভালোনাম।
পঞ্চমীর মা-র মেঘে মেঘে অনেক বেলা হয়ে গেল। তা একষট্টি বাষট্টি বছর হবে। তার স্বামী ভূপেন দাস রান্নাঘর এবং শৌচাগার সমেত একটা ঘর করে রেখে গিয়েছিল বেথুন কলেজের পিছন দিকটায়। করে গিয়েছিল তাই রক্ষা। নইলে তো পঞ্চমীর মা-র, মানে পদ্মার কোন মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকত না। ভূপেন মারা গেছে ভারত স্বাধীন হবার আগে, মোটামুটি বিশ বছর আগে। কপাল যাকে মারে তাকে কি সব দিক দিয়ে ... ...
১৫ই আগস্ট, ১৯৪৭। প্রায় দুশো বছর ইংরেজ শাসনের পর ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করলো। মধ্যরাতে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু দেশের সংসদভবনে সেই ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন - "Long years ago we made a tryst with destiny ...."। বাস্তবে সেই সময়ে যখন একদিকে দেশে উচ্ছাস, আনন্দ উদযাপন চলছে স্বাধীনতার, তখন দেশের পূর্বপ্রান্তে মানে আমার আপনার বাংলায় এক ভিন্নপ্রকারের ... ...
মিলি আপেল গাছের নীচে বসে পাহাড়ের উপর দিয়ে বৃষ্টির মেঘের ঝলক দেখতে পেয়েছিল। কি ভেজা দিন! তিনি একটি আপেল খেয়েছিলেন এবং বৃষ্টি থামার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। শীঘ্রই এটি করা। আকাশ আবার নীল হয়ে গেল, এবং সূর্য উজ্জ্বল, উষ্ণ এবং সোনালী। তারপরে সে রংধনু দেখেছিল। এটি মেঘের উঁচু আলোর বিস্ফোরণ হিসাবে শুরু হয়েছিল। চকচকে রঙে আকাশটি ভরা: নীল, কমলা, সবুজ এবং বেগুনি। তারপরে রামধনুর উভয় প্রান্তই ... ...
জীবনের প্রথম ছবি যেটি দেখেছি সে হল গুপি গাইন বাঘা বাইন। তারপর তাঁর ছবি দেখতে দেখতেই বড় হয়ে ওঠা। পাশাপাশি যখন অন্যান্য দেশি, বিদেশি পরিচালকদের কাজ দেখতে শুরু করলাম, তখনও তাঁর স্থানচ্যুতি ঘটেনি। ক্রমে প্রত্যাশা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই ক্রিটিক্যাল চোখ তৈরি হয়েছে। তাও সত্যজিত রায়ের অবদান বেশ কিছুটা। ছবি দেখতে দেখতে শেখা। মানে দেখতে শেখা। ভাবতে শেখা। কিছু কথা উঠেই আসে। তাঁকে প্রগাঢ় সম্মান জানিয়েই উঠে আসে। ... ...
অ্যানিমাল আমি দেখিনি। কিন্তু নানা সমালোচনা পড়লাম। একজন সমালোচক লিখেছেন, "আপনার আলফা মেল আপনার কাছেই রাখুন"। আরেকজন সমালোচক লিখেছেন "দর্শককেই স্থির করতে হবে তাঁরা বিনোদনের নামে কী দেখতে চান"।দর্শক বেছেবুছে দেখছে বলেই সিনেমা চলছে, কাজেই দায় নিশ্চয়ই দর্শকেরই। খুব খাঁটি কথা। কিন্তু বাকিরা কী করছে? আমি কৌতুহলী হয়ে গুগলে একটু সার্চ দিয়ে দেখি, বাংলার দুই সর্ববৃহৎ ... ...
মার্কন্ডেয় কাটজু বাঙালীদের অপমান করে বেশ ভালো ফুটেজ পাচ্ছে কয়েকদিন ধরে। লোকটা রসিকতার ছলে আরামসে এবেলা ওবেলা গা জ্বালানি পোস্ট দিচ্ছে। কিছু মুষ্টিমেয় লোকজন প্রতিবাদ করছে, পেজ রিপোর্ট করছে। কিন্তু বাঙালী জনমানসে যতটা আলোড়ন ওঠা উচিত, তার সিকিভাগও দেখলাম না। অথচ আমাদের পূর্বপুরুষরাই নাকি ভাষা আন্দোলন করেছিলেন?ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে কত কত মানুষ! ভাবা যায়! ... ...
গোবলয়ে বিজেপির কাছে কংগ্রেস যে হেরে ভূত হল, তার কারণ খুব সোজা। গোবলয়ে বিজেপি মস্তিষ্ক প্রক্ষালন প্রায় সম্পূর্ণ করেছে, ওসব জায়গায় বিজেপির গরম হিন্দুত্বের সঙ্গে কংগ্রেসের নরম ধর্মীয় নীতির বিশেষ তফাতও চোখে পড়েনা, ফলে স্রেফ কংগ্রেস-বনাম-বিজেপি লড়াই হলে বিজেপিই জিতবে। একমাত্র উল্টো কিছু হতে পারত, যদি বিজেপি কীভাবে দেশকে ফ্যসিবাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে, এবার সাড়ে-সব্বোনাশ করে ... ...
আম পাতা জোড়া জোড়া তৎকালে লোকে প্রেমকে লাইন বলিতো। আমাদিগকে বলা হইয়াছিলো, ইহা ভালো নয়। ভাবেসাবে আমরা বুঝিয়াছিলাম, লাইন একটি বখাটেপনা, সামাজিক অপরাধ বিশেষ। …এই ঢাকা তখন সেই ঢাকা ছিলো না। ফুলবাড়িয়াতে ছিলো রেল স্টেশন। রিকশাই ছিলো সর্বত্র জনপ্রিয় বাহন। ইপিআরটিসি’র লাল দোতলা বাস বিআরটিসি হইয়াছে মাত্র। বাবার হাত ধরিয়া সেই দোতলা বাসে চাপিয়া মিরপুর-ফুলবাড়িয়া ভ্রমন করিয়া জীবনকে মনে হইয়াছিলো সার্থক। রমনা পার্কের দোলনায় আবার কবে চড়িবো, সেই ভাবনায় ছোট্ট শিশু মন কতই না রঙিন স্বপ্ন আঁকিয়াছিলো। …কিন্তু ‘ছেলেধরা’ নামক আতঙ্কে আমাদের ঘরে বন্দি থাকিতে হইতো। গ্রাম হইতে আসা ‘কামলা’ অমুক ভাইয়ের হাত ধরিয়া ইস্কুল-বাসা-দোতলা বাসার ছাদ অবধি ছিলো আমাদের দৌরাত্ন।আমরা ... ...
সেই হল শুরু। দিনের বেলা যখন তখন কারণে অকারণে জানলার ধারে আমি। ঐ জঙ্গলের শাল, ইউক্যালিপটাস, মহুয়া, আসান ছাড়া বাকি সবই অচেনা। ভরা বর্ষায় টানা পাঁচ ছ দিন বৃষ্টি চলছেই। বর্ষাস্নাত প্রকৃতির রূপ, লাবণ্য বর্ণনা করবার ক্ষমতা আমার নেই। সবুজ যে কতরকমের হয়, তা ঐ জানলায় দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে দেখি। দেখি, শুধু দেখি। আশ মেটে না আর। কিন্তু তার দেখা পাওয়া ভার।মাঝে দুদিন ধরে বেশ গুমোট গরম। সেদিন সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। একটু জলো বাতাস বইতে শুরু করেছে। বৃষ্টি আসবে বোঝাই গেল। কাজের ফাঁকে গেলাম একবার ছাদে। আশায় ছিলাম তার দেখা পাওয়ার। বাতাসের জোর বাড়ছে। জঙ্গলে সাড়া পড়েছে। সড়সড়, মড়মড়..... যেন নেশায় মজেছে শাল, মহুয়া, আসান, পলাশ! পাখিরাও ব্যস্ত যার যার ... ...
আমার না-মানুষী সহবাসীরা - ৩(মাননীয় পাঠক, আপনি কি শহরতলির বাসিন্দা? আপনার বাড়িতে কি এক চিলতে জমি বা বাগান আছে? সেখানে আপনার যত্নে বা অযত্নে ডালপালা মেলে বেড়ে ওঠা ঝোপঝাড় আর গাছগাছালিও নিশ্চয়ই আছে? তাহলে আপনি অশেষ ভাগ্যবান। ভাবছেন, কেন বলছি এমন কথা, তাইতো? এমনটা যদি সত্যি হয়, জানবেন আপনি জীববিজ্ঞানের এক আশ্চর্য প্রয়োগশালার কর্মমুখর পর্যবেক্ষক তথা ... ...
ভাদর-এর বাদলমেলা গেছে আকাশ পারে, / এসেছে আশ্বিনের শান্ত উৎসবের বেলা। / সোনালি রোদ্দুর-আলোর অলঙ্কার পরে / করছে আকাশ মেঘের সাথে খেলা।
সংযুক্তা শাড়িটা আপনার কাছে দিয়ে যেতে বলেছে। শাড়ির ব্যাবসা করে সংসার চালাতে পারবি? শাড়ি আজকাল প্রতিদিনের জন্য অনেকেই পরেনা। কি করবো কাকু? লকডাউনে আমাদের দুজনের চাকরিই চলে গেল। আমার বর তো ডিপ ডিপ্রেশনে ডুবে গেছে। অগত্যা আমাকেই শেষ সম্বলটুকু নিয়ে শাড়ির ব্যবসায় নামতে হল। তোর নাচের স্কুল – অনুষ্ঠানে আয় হয় না? কোভিডের ভয়ে সবই বন্ধ......সবাই তো আজকাল অনলাইনে শেখাচ্ছে... হাতে কলমে যা শেখার তা অনলাইনে শেখানো যায় বলে আমি মনে করি না। আমার বাবা যে ভাবে হাতে ধরে আমায় শিখিয়েছেন সেই ভাবে ছাড়া আমি শেখাতে পারবো না। শাড়ির ব্যবসাটা আমি ভালোবাসি না। নাচ আমি ভালোবাসি। আমি ভালোবাসা বিলোতে পারবো বিক্রি করতে পারবো না। ... ...
( তৃতীয় ও শেষ পর্ব ) আমহার্স্ট স্ট্রীট চোরবাগান লেনে সন্ধে নেমে এসেছে। প্রাচীন বাড়ির দোতলার পাথুরে বারান্দার পাথুরে কার্নিশ। বারান্দার সামনেই একটা সপ্তপর্ণী গাছ। অন্ধকারে একা একা দাঁড়িয়ে আছে। রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের আলো পড়েছে গাছের পাতায়।আমহার্স্ট স্ট্রীটে গাড়ির জ্যাম লেগে গেল হঠাৎ। সম্বুদ্ধ সিংহরায় দোতলার ঘরে বসে জানলা দিয়ে রাস্তার জ্যামের দিকে তাকিয়ে ছিলেন আনমনা হয়ে। তার মনে ক্ষণে ক্ষণে ভেসে উঠছে উড়ন্ত শ্বেত বলাকার মতো বাতাসে ভেসে আসা এক পেসার । বলটা অফস্টাম্পের একফুট বাইরে থেকে হাওয়ায় ডানদিকে বাঁক খেয়ে ... ...
কালো বিড়ালটা কথা বলতে পারতো, হয়তো অবিশ্বাস্য শোনাচ্ছে, অথচ আমার দেখা শ্রেষ্ঠ গল্পকথক আমি ওকেই বলবোও আমার বিছানায় ঘুমোতো, রান্নাঘরে ঢুকতো না পারতপক্ষে, খাবার টেবিল ছিলো ওর অন্যতম পছন্দের জায়গাবাজার থেকে আনা ভালো মাংসটুকু ও-ই নিতো, জড়তাহীন ভঙ্গি একেবারে, যেন আমি নই, ও-ই হচ্ছে পরিবারের সর্বেসর্বা, কর্তাপ্রধান কিংবা নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারীর মতো, ভাজা ইলিশের টুকরো খুব কম দিনই কপালে জুটেছে আমার, ... ...
পলাশ কয়েকদিন ধরে ভাবছে এবার কী লেখা যায়। এতদিন ধরে যা লিখলো, প্রায় অধিকাংশই নিজের স্মৃতির ভান্ডার উজাড় করে লেখা। পলাশ কিন্তু কোনো লেখক নয়, লেখে নিজের খুশিতে - আনন্দে - বিলিয়ে দিতে সবার মধ্যে। পলাশের স্মৃতি জুড়ে বসে আছে তার শৈশবের অমূল্য সম্পদ, যতই খরচা করে আবার যেন ভরে ওঠে। ভাবুলতা যখন আঁকড়ে ধরে পলাশকে - বারাসাতের বাগান বাড়ি, পুকুর, মণ্ডপ, গাছ-গাছালি আষ্টে-পিষ্টে জাপটিয়ে ধরে তাকে, কী করবে সে ! চোখ বুজলেই নিজেকে দেখতে পায় - মণ্ডপের সামনের প্রাঙ্গণে ক্রিকেট খেলছে শৈশবের পাড়ার বন্ধুদের সাথে, লিচু-জামরুল-টগর-ঝোপ-জঙ্গলের পিছনে খেলছে চোর-পুলিশ মশার কামড় সহ্য করে, ... ...
আজ আকাশ মেঘলা । প্রায় সারাক্ষণ টিপটিপ করে বৃষ্টি হচ্ছে । দূরে কোথাও জোরালো বর্ষা হচ্ছে । জোলো হাওয়া ভেসে আসছে থেকে থেকে । কলতান ডেবোনেয়ারে ঢুকল বেলা ঠিক একটার সময় । সাড়ে বারোটায় সুগত সেনকে ফোন করে নিয়েছিল । নীচের কাউন্টারে স্লিপ জমা দিয়ে বসে রইল। একজন মাঝবয়সী অ্যাংলো ইন্ডিয়ান মহিলা বসে আছেন রিসেপশান কাউন্টারে । ডোবোনেয়ার একসময়ে পুরোদস্তুর ব্রিটিশ কোম্পানি ছিল ।কলতানের ডাক এল মিনিট পাঁচেকের মধ্যে । রিসেপশনিস্ট ভদ্রমহিলা ইন্টারকম কানে দিয়ে কিছু শুনে নিয়ে 'ওকে স্যার' বলে নামিয়ে রাখলেন। ভদ্রমহিলা উল্টোদিকে বসা কলতানের দিকে তাকিয়ে বললেন , ' ইউ প্লিজ গো আপস্টেয়ার .... সেকেন্ড রুম অন দা লেফট ... ...
চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে —————————সুপ্রিয়া চৌধুরী—————————চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে নবাগত অতিথি তোমার দ্বারে !বিস্ময়ে জাগে বিশ্ববাসী, সাক্ষী হতে এ মাহেন্দ্রক্ষণে, ভারত নব ইতিহাস গড়ে ।অভিনন্দন তোমায় চন্দ্রযান “বিক্রম”তুমি প্রথম ছুঁয়েছো চাঁদের দখিন মেরু !ধন্য “ইসরোর” বিজ্ঞানীরা ! তাঁদের সফল পরিশ্রমেই হয়েছে এ যাত্রাপথের শুরু। এবার খুলে দাও দ্বার,ওগো “বিক্রম” !বেরিয়ে আসুক “প্রজ্ঞান”-কত অজানার সন্ধান দেবে,-দেবে কত মহাজাগতিক জ্ঞান। ঐতিহাসিক,অবিস্মরণীয়, এই মুহুর্তপ্রতিটি ভারতবাসীর সম্মান,উচ্চৈঃস্বরে বলো তাই আজ“মেরা ভারত মহান”। —————————
আকবরের আমল থেকে মোঘল দরবারে ব্রাহ্মণ পণ্ডিতরা বা কায়স্থরাও উচ্চ পদে বসতে শুরু করে। শাজাহানের সময়ও অনেকে ছিলেন তাঁদের মধ্যে মুন্সি- সেক্রেটারি চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ খুবই বিখ্যাত ফার্সি কবিও বটে। ইতিহাসকার রাজীব কিনরা ওনার ওপর বড়োসড়ো কাজ করেছেন। বইটার নাম ''রাইটিং সেলফ, রাইটিং এম্পায়ার'' - ''নিজেকে নিয়ে, সালতানাতকে নিয়েও লেখা'', এক বিচিত্র বই বটে! চন্দ্রভানের সময়কার গোটা সাংষ্কৃতিক জগতের ইতিহাস উঠে আসছে। আশ্চর্যের ব্যাপার হল চন্দ্রভানের পেননেম -ছদ্ম নাম ছিল ব্রাহ্মণ। বোঝা যাচ্ছে, শাহী মহলের সঙ্গে সায় দিতে পারলে হিন্দু পরিচয় দরবারি স্বীকৃতির বাধা হতো না শুধু তাই নয় উচ্চকোটির পারসিক সাংস্কৃতিক মহলেও সমাদৃত হতো। কবি হিসেবে চন্দ্রভানের পরিচয় মোঘল সালতানাতের সীমা ... ...
মোটাসোটা হলে কী হবে, ছোটবেলায় সারা বছরে অজস্রবার জ্বর হতো আমার। তার মধ্যে দুটি দিন অবশ্যম্ভাবী ছিল। একবার এই ষষ্ঠীর দিনে, আর একবার আমার জন্মদিনে। বোধহয় এতবেশি প্ল্যান করতাম বন্ধুরা আসবে, সবাই মিলে কী কী মজা করবো, সেই জন্যই। নিজেরই নজর লেগে যেতো! বাবা বলতেন, সিজ়ন চেঞ্জ। সর্বপল্লীর পুজোমন্ডপের বাঁশের কাঠামো চোখে পড়তেই আর পড়াশুনোয় মন বসতোনা তেমন। অঙ্কের বইখাতা খুলে উদাস হয়ে বসে থাকতাম। বাইরে নীল আকাশ, সবুজ গাছপালা কে যেন সোনার জলে ধুয়ে দিয়েছে। কার কটা জামা হলো পাড়ায় বন্ধুদের বাড়িতে গিয়ে দেখা। আমাদের কাপড় কিনে দর্জি দিয়ে জামা বানানো হতো, রাঙা টেলার্সে। কখনোই সেগুলি ষষ্ঠীর আগে হাতে ... ...