সাগরের খাড়ির ধারে ও-ই মস্ত উঁচু টাওয়ারে পতাকাটা শনশনিয়ে পাক খাচ্ছে কদিন ধরে। ঘোলাটে আকাশ । বাতাসে ভিজে ঢেউ। জব্বর একটা ঝড় আসছে নাকি। ম্যানগ্রোভের সংসারে যেন কিসের শংকা। কড়াক লড়াইয়ের প্রস্তুতি। ঝরঝর ঝরঝর করে বেপরোয়া ডাকাবুকো হাওয়া জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে দৌড়োদৌড়ি করছে যুদ্ধবাজের মতো।
“কালি, কলম, মন / লেখে তিনজন” …….. এই তিনজনের মধ্যে প্রথম দুজনের প্রভাব প্রতিপত্তি ক্রমশঃ পড়তির দিকে। মন এখন অনেকটাই কী বোর্ড নির্ভর, বিশেষ করে লেখালেখির জগতের সাথে যুক্ত মানুষজনদের, যাদের কাছে এখন পেনের থেকে অনেক কাছের মানুষ তাদের ল্যাপটপখানি। আমরা কেউই এর ব্যতিক্রম নই। ছাত্র ছাত্রীদের হাতে হাতে, লেখো এবং ফেলে দাও পেনের ছড়াছড়ি, রিফিল করা বা কালি ভরার ঝামেলা ... ...
যে সব কৃষ্ণ একা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে / জ্বলেছিল বিকেলে ভোরের ফুল হাতে নিয়ে, / তাদের কারুবাসনা নিয়ে কত নাকফুল / গেঁথেছি নাকে,আঁচড়েছি এলো চুল।
এই হপ্তাদুই আগ দিয়ে। পুতুলের বালিশ বানাতে দিয়েছিলুম এক বেহারি লেপকম্বলের দোকানে। কুড়ি ট্যাকা এডভান্স রীতিমতো। তো, পরেদ্দিন গেচি, দেকি দোকানি থুড়ি কারিগর ফুটপাতে দাঁড়িয়ে প্যাঁচাটে থোবড়া নিয়ে। জিগাতে বল্ল ঃ -- সাব ঘুসা সাব। -- ক্কি? কেয়া ঘুসা? -- সাঁআপ, সাঁপ ঘুসা। বুঝলুম, দোকানে সাপ ঢুকে লেপ কম্বলের ভেতর লুকিয়ে পড়েচে।
কপাল...কপাল ! যাক বাবা ইলেকট্রিক গ্রিডগুলো বসে যায়নি। সে কি আর এমনি এমনি। দিনভর রাতভর কি হয়রাণি কি হয়রাণি ।ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনীয়ারদের নাভিশ্বাস ওঠার যোগাড় । তবে যাই বলুন, কেমন মজা হল বলুন তো।
আসুন আজ কিছু নতুন বিষয় নিয়ে কথা বলি। নতুন ? না... খুব নতুন নয় , সেই একই গল্প। পুঁজির সর্বগ্রাসী লোভ, নিজেদের সম্পদের পাহাড় আরও বাড়িয়ে তোলার পৈশাচিক লালসা এবং তাদের লালসা চরিতার্থ করার জন্য তাদের দ্বারা পরিচালিত রাষ্ট্রযন্ত্রের শোষণ। শোষণ প্রকৃতির, শোষণ আদিবাসীদের, শোষণ সাধারণ মানুষদের। আমি দেখতে পাচ্ছি হয়তো আবার একটি নিয়মগিরি, বাস্তার উঠে আসবে ভারতের মানচিত্রে। ... ...
কাল কবিতা কয়ে গেল কথা / স্বপনে, / ভাষা ছন্দের তালবন্দি / করে রেখো ভাই ভাব সন্ধি
শারুকের নতুন রিলিজ হওয়া গান নিয়ে হেবি হইচই দেখে, হুজুগে বাঙালি, আমিও শুনতে গেলাম। গিয়ে দেখি প্রথমেই চমক। সূর্যকরোজ্জ্বল এক সমুদ্র সৈকতে সবাই ধাঁইধপাধাপ হেবি নাচছে। সঙ্গে স্প্যানিশ গান। "এন এস্তা নোচে লা ভেদা এস কমপ্লেতা"। অর্থাৎ কিনা, "এই রাতে জীবন হল সম্পূর্ণ"। সেটা ওঁরা গাইছেন ফটফটে দিনের আলোয়। ভাবুন একবার, মালা সিনহা ভরদুপুরে ছাদে উঠে সূর্যের দিকে তাকিয়ে গাইছেন, "নিশি রাত বাঁকা চাঁদ আকাশে"। কিংবা তাপস পাল, রোদে পুড়ে ঘামতে ঘামতে গান ধরেছেন, "আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে"। লোকে ধুইয়ে দিত একদম। কিন্তু এ হল বলিউডের সর্বশ্রী শারুক। তায় স্প্যানিশ। পুকুর চুরি, দিনকে রাত, সব চলবে।আর এই স্প্যানিশের ... ...
I wish to run away / Where the sun warms golden hay, / And down my feet , will lie the way / Filled with gravels,grasses and sunrays.
এই লেখার মাইরি বলছি কোনও সারমর্ম নেই। থাকলে আমি জানতেম।
আচমকা ধাক্কা। এক বুড়ো ট্যাক্সি। আধ ঘন্টার সফর। ক্যাসকেড থেকে তুলে আনা স্মৃতি।
সময়ের কুন্ডলী পাকিয়ে সাপ শিকার ধরতে চায়শিকার পালাবে কোথায় ?হয়ত তোমার ছায়ায় ?তুমি যদি সাপ না হও, তুমি হতে পার ছায়া,যদি মেলে দিতে পার ডানাওয়ালা হাতক্ষুধাতুর সাপ ও সূর্যালোকেযদি, মানুষের দৃষ্টিপাতে কাব্য ও ক্ষুধাআছে যুগপৎ; অস্বীকার না কর ।
বিছানায় এসে শুয়েছি তা প্রায় ঘণ্টাখানেক হল। কিছুতেই ঘুম আসছে না। বাইরে নিস্তব্ধ নিঝুম শীতের রাত। ঘরের নাইট ল্যাম্পটা নিভিয়ে দিয়েছি ইচ্ছে করেই। একটুও আলো সহ্য হচ্ছে না আর। যদিও এই মুহূর্তে কেবলি মনে হচ্ছে কেউ যেন একটা কালো রঙ ধেবড়ে দিয়েছে আমার শরীর জুড়ে। আমি কিছুতেই তা ঘষে মুছে তুলে ফেলতে পারছি না। মনের যে গোপন কুঠুরির মুখ সযত্নে এতদিন বন্ধ করে রেখেছিলাম। আজ সেই বন্ধ মুখের ঢাকনাটা সরে গিয়ে কত স্মৃতি গলগল করে বেরিয়ে আসছে। ... ...
হানসের কথা আমাদের অনেকেরই জানা। সমুদ্রের ধারে থাকা নেদারল্যান্ড দেশটার গড়ন অনেকটা চ্যাটালো। তাই সমুদ্রের জল কুল ছাপিয়ে ঢুকে পড়ে একেবারে দেশের ভেতরে। এরফলে উপকূল ঘেঁষে বসবাস করা মানুষজনের কাছে বিষয়টি খুব উদ্বেগের ও বিড়ম্বনার। কূলের ঠাঁই ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবার উপায় নেই , কারণ এখানে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে থাকা মানুষজনের অধিকাংশই হলো মেছুয়া। সমুদ্রের পশরা নিয়েই তাঁদের বেঁচে ... ...
কলতান এবং কুলচা সহ বালীগঞ্জ থানার দলবল মিসেস সিনহাকে নিয়ে থানায় এসে নামল ।কলতান বলেছিল, 'একটা ক্যাব বুক করে দিচ্ছি তুই বাড়ি ফিরে যা ...তোর তো এখন কোন কাজ নেই এখানে ... ' । কিন্তু কুলচা ফিরে যেতে রাজি হল না। সে আরও উত্তেজক নাটক দেখার লোভ সংবরণ করতে পারল না। কুলচাকে দেখে গৌতম রক্ষিত কলতানের দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচিয়ে ঠোঁট উল্টে মাথা ওপর নীচ করলেন । কলতান বলল, ' আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট... '----- ' ও আচ্ছা আচ্ছা .... গুড আফটারনুন ... ...
যাহা বলিব সত্য বলিব, সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না। মুরগিবৃত্তান্ত পড়ে তিনজন আমাকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছেন যে হাঁসকে পশু আর একই সাথে মুরগিকে পাখি মনে করা কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁদের মন ও মান রাখতে গেলে সত্যকে বিকৃত করতে হয়, শিক্ষক হয়ে সে কাজ করতে পারি না। আরো এইজন্য পারিনা যে আজকের ‘সত্য বৈ' শিক্ষকদের নিয়েই। শিক্ষকদের নিয়ে যে অজস্র কাহিনী প্রচলিত আছে, সেইসব লোককথায় শিক্ষকদের বেশ জটিল ও হিসেবি চরিত্র হিসেবে দেখানো হয়। আদপে শিক্ষকরা সরল মানুষ। যাকে তাঁরা সত্যবাদী বলে জানেন, তার হাত ছাড়েন না কখনো। আর যা তাঁরা সত্য বলে জানেন, তা অন্ধভাবে অনুসরণ করেন। একজন শিক্ষকই পারেন সত্যবাদী ... ...
কয়েক বছর আগের কথা। শীতশেষের বিকেল। শ্মশ্রুময় এক প্রখ্যাত কবির সঙ্গে কথা হচ্ছে। নেহাৎই কেজো কথা। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হবে-হবে, বিষণ্ণ যে সব সন্ধ্যায় কৈশোরের কথা মনে পড়ে যায়, হঠাৎই কবি বললেন, ওই গানটা একটু করুন তো। ওই পৌষ-ফাগুনের মেলা। উনি চিরকালই এভাবে দ্রুত প্রসঙ্গান্তরে যান। এছাড়াও আমাকে আপনি বলেন, কেন কে জানে। যা হোক, গান করতে আর কী আছে। আমি শুরু করে দিলাম, কান্না হাসির ... ...
আগের পর্বে অনেকটাই লিখেছি,কিন্ত নোটপ্যাডে টাইপ করে ফোনেই লিখি বলে একটা নোটে পুরো লেখাটা ধরছিল না,তাই এই পার্টটা আলাদা করে লিখলাম। তো যাইহোক ,এই শকটা থেকে যখন নিজের ভেতরে নিজে রিকভার করছি,একটা বাচ্চা যে নিজেকে ছোট থেকে জেনে এসেছে সেও একদিন খালি নিজের ইচ্ছাতে মেয়ে হয়ে জীবনযাপন করবে ভবিষ্যতে ,সে যদি জানতে পারে তার ভবিষ্যৎটা কোনদিনই তার স্বপ্নের মতো ,মনের মতো হবার কোন সুযোগই নেই (তখনো ট্রান্সজেন্ডার,সেক্স চেঞ্জ এসব সম্বন্ধে কিছুই জানি ,ক্লাস ফোর-ফাইভের মফস্বল বাসী একজন পড়ুয়ার পক্ষে অত জানা সম্ভব ও নয়, ... ...
১. জামাইয়ের নামে রন্ধন, গোরো গুষ্টি ভক্ষণ। ২. চতুরালি করে কয় জামায়ের ভূতে, চল সোয়ামী ঘরে যাই কাঁথার ভিতর শুতে। ৩. জামাইয়ের জন্য মারে হাঁস
দেবপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় আখর বন্দ্যোপাধ্যায় আগাম নিবেদনঃ এই লেখাটা মাগনা পড়ে যাঁরা আমাদের মতামতের সঙ্গে সহমত হবেন, তাঁদের কাছে একটাই অনুরোধঃ আমাদের এই লেখাটার জন্য খাটা-খাটনির মজদুরি মোতাবেক “বিনিময় মূল্য” (হায়, সবই শর্তাধীন বিনিময়ী বন্দোবস্ত) হিসেবে নিচের এই লিঙ্কটা টিপে পিটিশনে দয়া করে স্বাক্ষর দেবেন। এইটুকু প্রত্যাশা আমরা আপনাদের কাছে করতেই পারি এবং আপনারা সই করলে আমরা আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ ... ...