রঙের খেলা, কথার মেলা ওদের কলমে, পেনসিলে। লেখার মুন্সীয়ানা হার মানাবে যে কোনও চন্ডালকে, আমাদের সাধ্যি কি তাতে কলম চালাই? আমরা শুধু লাইন টেনে দিতে পারি, আর পারি সব্বাইকে পড়ে শোনাতে। ... ...
"আমাদের প্রয়োজন শ্যামাকে নিয়ে। নজরুল ইসলাম হঠাৎ কেন শ্যামাসঙ্গীত লিখতে-গাইতে গেলেন, তার রহস্য আমাদেরকে জানতে হবে। আমরা বুঝতে চাই, তাঁর এই আচরণের যাথার্থ্য কী? ‘শ্যামা’ ধারণার উদ্ভব ও তার ঐতিহাসিক বিকাশধারার বিশেষ এক ক্ষণে, আমরা কেন দেখছি যে, সেই ধারণা নজরুলের মতো একজন কবির মনের মণিকোঠা জুড়ে বসে গেল এবং শ্যামাসঙ্গীত হয়ে প্রকাশিত হল তাঁর মাধ্যমে? নজরুলই বা কেন তাঁকে মনের মণিকোঠায় লালন করে তৃপ্তি পান, সৃষ্টির আনন্দ পান? ঐ বিশেষ কালখণ্ডে, কোন অমোঘ নিয়মে, নজরুল ও শ্যামাসঙ্গীত যথাক্রমে আধার-আধেয় হবার ভবিতব্য এড়াতে অক্ষম হয়? আর সেজন্যেই, আমাদের সর্বাগ্রে জানতে হবে শ্যামাকে। কিন্তু জানতে হলে তো ভারতের ইতিহাস পড়তে হয়। প্রশ্ন হল : ভারতের ইতিহাস কোনটি এবং কীভাবে তা পাঠ করা হবে? সেটি নির্ণয় করে নিয়ে তবেই আমরা ইতিহাসের পাতা থেকে শ্যামাকে উদ্ধার করতে পারি। ... ...
সেদিন আমাদের সামনে, আমাদের তিন আপা—রিজিয়া, ফরিদা আর আমেনা খবরটি পেয়ে ঠিক উড়ে যাওয়ার মত করে ছুটে গিয়েছিল মডেল স্কুলের পুকুরের দিকে। তখন ভরা বর্ষা। জল থৈ থৈ করছে। আর মাঝখানে পদ্ম ফুটেছে। পদ্মের গায়ে ফড়িং উড়ছে। হাল্কা হাওয়ায় জল নড়ছে। এর মধ্যে কোথাও বাছেদ ভাই নেই। তিন বোনে সেই পুকুর পাড়ে বসে হাহাকার করে বাছেদ ভাইয়ে নাম ধরে ডেকে ডেকে ফিরল। সেই আর্তনাদে জলের মধ্যে একটা আলোড়ণ উঠল। একটি হাওয়াও ছুটে এলো দক্ষিণ থেকে। আর কারা কারা মিছিল নিয়ে ছুটে যাচ্ছিল—তোমার আমার ঠিকানা/ পদ্মা-মেঘনা-যমুনা। এবং আরো কয়েকটি লোক রাঁতে ইঁদুর ধরতে পারেনি বলে হায় হায় করছিল আর মাঝে কপাল চাপড়াচ্ছিল, এর মধ্যে কে জন বলছিল, আজি রজনীতে দীপালী অপেরায় অভিনীত হইবে একটি পয়সা দাও। মূল ভূমিকায় অভিনয় করিবেন—নট সম্রাট অমলেন্দু বিশ্বাস। আর কিছু ডানাকাটা পরী। এই পরী শব্দটার সঙ্গে সঙ্গে জলের নীচ থেকে বাছেদ ভাই উঠে এলো। একটা বড় সড়ো মাছের মত। মাথাটি উপর দিকে। দুহাত দুদিকে তখনো ছড়ানো। ঠিক এই ভাবেই গাছ থেকে লাফ দিয়ে পড়ে গিয়েছিল। পড়তে পড়তে বলেছিল—আমি উড়ছি। ... ...
সৌমিত্র, এম ডি-র লোক। এম ডি অফিসে ডিরেক্টরদের লোক আছে এটা পছন্দ করেনা। নিজেও স্বস্তিতে থাকেনা। প্রচুর গরমিল থাকে হিসেবে তাদের। সময় মতো কোনো ডাটা এক্সেল শিট-এ ওঠেনা। ভাউচারে সই হয়ে যায় কিন্তু সেই ভাউচার হারিয়ে যায় আবার। অডিট এসে ধরলে বলে আসলে খুচরো মাছ বিক্রি করে যে টাকা হয় তার বিল আর কে দেবে! অথচ কোটি কোটি টাকা মাছের বিক্রিতে নাকি আসে। এমন সব গল্পের মধ্যে বেশ কিছু টাকা চলে যায় এম ডি-র পকেটে। তার লোকদের খেয়ে-খাইয়েও তার ভালই থাকে। কিছু করার নেই। কোম্পানিটাই জালি। ব্রিটিশ একটা কোম্পানির এক বড় মাথা আছে এই কোম্পানির বোর্ডে। তার মামাশ্বশুর আছেন ব্রিটিশ কোম্পানিটিতে। তারা কেউ কারোর সঙ্গে এমনিতে ব্যবসা করেনা, অথচ দুই কোম্পানির দুই বড় মাথা পরস্পরের কোম্পানির বোর্ডে আছে। কি হয়? দুজনে দুজনের জন্য ঘুরিয়ে টাকা কামায়। এখানকার বাজারে সরকার চাষের জন্য যে মাল কেনে, যেমন বীজ,সার ইত্যাদি, সেই মাল কেনা প্রভাবিত করে মামাশ্বশুর। মন্ত্রী-সান্ত্রী নেতাদের সঙ্গে তার ভালই যোগাযোগ। আবার ওখান থেকে সমাজসেবার জন্য ফান্ড আসে মামাশ্বশুরের এন জি ও-তে। কোটি কোটি টাকা আসে। মাঝে মাঝে পাঁচড়া, তালদি, ধুবুলিয়াতে পোলিও শিবির, এইডস সচেতনতা, হুইলচেয়ার দানের আসর বসে। ব্যাস্! দুপক্ষই আরামে আছে। এম ডি এসব সামলায়। তাই তাকে সরায় না মামাশ্বশুর। ইদানীং হাতের বাইরে যেতে পারে বলে কৌশিককে বসিয়ে রেখে চাপ সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। তাছাড়া এম ডি-র যে পার্সোনাল সেক্রেটারি, কৌশিকের বৌ বলেছে সেটাও মামাশ্বশুরের ফিট করে দেওয়া। এম ডি তাকে নিয়ে এখানে ওখানে লীলা করে, সে সব রেকর্ড করা থাকে। এম ডি আবার এই বোর্ডের একজন ডিরেক্টরের জামাই এবং বর। মানে তার শ্বশুর এবং বৌ দুজনেই আছে বোর্ডে। লে ক্যাচাল! ... ...
গাঙ্গুলি বাড়ির বৌ হয়ে যেদিন প্রথম এসেছিল সৌদামিনী, শাশুড়িমা থুতনি ধরে চুমু খেয়ে বলেছিলেন, তোমার নামটা বাছা আমি একটু বদলে দেব। একে অতবড় নাম ধরে ডাকাও যায়না, তাছাড়া আর একটা সমস্যাও আছে। তোমার কোনও ডাক নাম নেই? সৌদামিনী বলল, হ্যাঁ আছে তো, মিনু। উনি বললেন, তাহলে আজ থেকে সবাই মিনু বলেই ডাকবে তোমায়। সবাই আর কে, বাড়িতে তো আর মোটে তিন জন, কত্তা, গিন্নী আর সৌদামিনীর বর মহাদেব। সৌদামিনী তবুও জিজ্ঞেস করল, সমস্যা কী একটা আছে বলছিলেন মা? গাঙ্গুলি গিন্নী বললেন, আসলে আমাদের বাড়িতে যে কাজের মেয়ে, তার নামও সৌদামিনী। অবশ্য তাকে আমরা সদু বলে ডাকি। এ নামটা তো আমার মায়ের আমলের, এই আধুনিক যুগেও এমন নামে দু-দুজন? যাক, সমস্যা আর থাকল না। ... ...
আসলে হাওয়ার রাত ছিল সেদিন। ফুলশয্যার খাটে ঘন নীল মশারি ফুলে ফুলে উঠছিল। তখন নীলকমলকে হাতির গল্পটা বলেছিল স্বপ্না। নীলকমল হাসিমুখ করে শুনছিল তারপর বলেছিল -ধ্যাত, সরু গলিতে হাতি ঢুকবেই না। হাতি বিষয়ে নীলকমল সবই জানে-এরকমই মনে হয়েছিল তার নতুন বৌয়ের। তখন স্বপ্না অন্য গল্প বলবে ভাবছিল- বিরাট উঠোনে জ্যোৎস্নায় লক্ষ্মীপ্যাঁচা নামত, সেই গল্প। নীলকমল ততক্ষণে সুকুমারের গল্প শুরু করেছিল। চাঁদ আর জ্যোৎস্না দিয়েই শুরু করেছিল নীলকমল। বলেছিল সুকুমারের আশ্চর্য বাড়ির কথা। বলেছিল, চাঁদ উঠলে সুকুমারের বাড়ির সামনের রাস্তায় আইসক্রীম ট্রাক আসে। লাল নীল আলো জ্বলে,ঘন্টা বাজায়। নীলকমল বলেছিল সুকুমার আইসক্রীম ভালোবাসে। স্বপ্নারও একটা গল্প ছিল আইসক্রীমের। প্রাচীন এক আইসক্রীমের রেসিপির- যা ও এক মেমসাহেবের থেকে পেয়েছিল কুচবিহারে-ওর বাপের বাড়ির পাড়ায়। জীর্ণ এক বাড়িতে থাকত সেই মেম আর তার অন্ধ কুকুর। স্বপ্না অবশ্য সে গল্প বলে নি তখন। সুকুমারের গল্প শুনেছিল চুপ করে। এক বছর শুনেছিল সুকুমারের গল্প। তারপর বছর ঘুরতেই কুচবিহার গিয়ে রুফাসকে নিয়ে এসেছিল। বলেছিল বাপের বাড়ির কুকুর। বলেছিল ছোটোবেলায় ও ইংরিজি শিখেছিল এক মেমের কাছে। ইংরিজি শিখত আর রান্না। রুফাস আর রান্নার বই এনেছিল কুচবিহার থেকে। বলেছিল মেম দিয়েছে। নীলকমল রান্নার বই উল্টে দেখেছিল। সমস্ত উপকরণ, মাপামাপির হিসেব অচেনা ঠেকেছিল নীলকমলের। বলেছিল -এসব এদিকের বাজারে পাওয়া যায় না। বলেছিল - সুকুমারকে বলে দেব, দেশে এলে নিয়ে আসবে। স্বপ্না সে বই তুলে রেখেছিল। রুফাস তখন ছোটো। স্বপ্না বলেছিল মেমের অন্ধ কুকুরের নাতি রুফাস। মেমই নাম রেখেছে। পরে একদিন তুমুল ঝড় জলে শিয়ালদায় স্বপ্নার পিসতুতো দাদার সঙ্গে নীলকমলের দেখা হয়েছিল। দার্জিলিং মেল ধরার কথা দুজনেরই। ট্রেন লেট ছিল সেদিন। অনেকক্ষণ গল্প করেছিল ওরা। মেমের কথা কিছু জানে না স্বপ্নার পিসতুতো দাদা, বরং, সেদিন সে রুপুর কথা বলেছিল আচমকা। বলেছিল, রুপু স্বপ্নার প্রেমিক ছিল কুচবিহারে। বাড়ি ফিরে স্বপ্নাকে সে সব কিছু বলে নি নীলকমল। প্রথম ইন্টার্ভিউ দিতে গিয়ে সুকুমারের ট্রেন আটকে পড়েছিল পাটনায়-সে গল্প বলেছিল। ... ...
নাহ্...আর ভাবিবে না দুলালী বেওয়া! আর কিছু মনে করিবে না! টোকানি তখন ছয় বছরের। টোকানির হাত ধরে সে, রঞ্জিতা মুর্মু আর ধিরতুর বউ শান্তি কুমারী বর্মন মিলে ছুটেছিল চোদ্দ মাইল মূল সড়কের সামনে। সেখানে তার বড় বেটি কুড়ানী যে ছিল। ভ্যানগাড়ির উপর হাত-পা মেলে। মুখে রক্ত। টোকানি হাতে তালি দিয়ে বলেছিল, ‘বুবু- বুবু এ্যাংকা ঘুমায় রছে, মাও!’ আর তখন মেয়ের সদ্য ওঠা দুই কিশোরী বুকের মাঝে মুখ গুঁজে সে যেমন চিৎকার করেছিল, তেমন চিৎকারই কি ভেসে আসছে বর্মন পাড়া থেকে? কার্তিকের দুপুরে চিল ছানা হারিয়ে ফেলা সোনালী রঙা মা চিলের আর্তনাদের মত? টোকানি ঘুমে কাদা। মেয়েকে ঘুম থেকে তুলে মা-মেয়ে এক সাথে ছুটবে নাকি দুলালী একাই যাবে? আল্লা চাহে ত’ টোকানির কোন ক্ষতি হবে না। কোন বাঘডাঁশ এসে তার এই হাঁসের ছানার মত মেয়ের পালকে কামড় দেবে না! আল্লাহ চাহে তো? বাইরে থেকে শেকল তুলে দিয়ে সেই মাঝ রাতে সে ছুটেছিল শান্তি-ধিরতুদের বাড়ি। শান্তি দুলালীর ছোট বেলার সই। মাটির শিব গড়ে ভাল বরের পূজা করতে করতেই ধিরতুকে তার ভাল লেগেছিল। শান্তির বিবাহ ঠিক হয়েছিল অংপুর শহরে ‘নিউ লক্ষ্মী বস্ত্রভান্ডার’-এর আড়তদার লক্ষ্মীনারায়ণ বর্মনের সাথে। কিন্তু অন্ধ হলেও দারুণ ফর্সা ধিরতুর কম্পনহীন সবুজাভ-নীলচে চোখের মণি, একহারা দীর্ঘ গড়ন টেনেছিল শান্তিকে। গায়ে হলুদের সন্ধ্যায় হবু শাশুড়ি সন্ধ্যামালতী মাসীর পায়ে পড়ে সে কেঁদেছিল। পাজি দুলালীরা এ নিয়ে শান্তি কুমারীকেও কম কথা শুনায় নি, ‘তুই এ্যালা গান্ধারির মতো চোখে একখান কাপড় বান্ধিব্যি শান্তি? তোর বরের যে চক্ষু নাই! গান্ধারির মত একশ’ চ্যাংড়ার মা হবি?’ শান্তি কুমারী এ কথার উত্তরে হাত জোড়া করে কপালের কাছে নমস্কার করে বলতো, ‘ওনারা স্বর্গের দেবী।’ ... ...
অতএব ভয়ংকর জরিটরি দেয়া বিকটদর্শন সব লাল বেনারসী ধুপধাপ পড়তে লাগল আর তালপাতার সেপাই সেলসম্যানটি নানা ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে সেগুলো গায়ে ফেলে দেখাতে লাগল।জেঠিমার সবগুলোই পছন্দ, কেবলীর কোনটাই না, বাকীদের মধ্যেও মতের মিল নেই। প্রায় হাতাহাতি হতে যাচ্ছে এমন অবস্থায় বুদ্ধিমতী পটলদি হাল ধরেন - "লাল নয়, কাছাকাছি কিছু দেখান"। তেমন-লাল-নয় অর্থাৎ ম্যাজেন্টা, মেরুন, গাঢ় গোলাপী ইত্যাদি বেনারসীর একটি পাহাড় জমা হল, এবার পটলদি নিজের গায়ে ফেলে ফেলে দেখাতে লাগলেন, সকলেরই মোটামুটি পছন্দ এমন কয়েকটি কেনাও হয়ে গেল, ফাঁকতালে পটলদিরও হয়ে গেল একটা। ... ...
ও চোখ দুটো বন্ধ করল। খুব আবছা হাসির টুকরো ঠোঁটের কোণে। মেনে নেওয়ার হাসি। একেবারে নিজস্ব। আর ঠিক তখনই আমার মনে ঝিলিক দিয়ে গেল, ও যা কিছুর জন্য অপেক্ষা করছে... এই মুহূর্তে তা আমাদের দু'জনের। দু'জনকেই ভাগ করে নিতে হবে। তা না হলে এই যে আলো ..দোদুল্যমান আলো .. আমাদের যাপনে এখন...তা নিভে যাবে। ফুসমন্তরে । আলো -আঁধারিতে দেখি ওর চোখের পাতা কেমন তিরতির করে কাঁপছে। নিজেকেই বুঝি স্তোক দিয়ে যাই, হয়ত অনেক করে চাওয়া এক দু'কণা সুখের কুচি এখনও পড়ে আছে কোথাও। ওর মনের কোণের বাইরে। মাথাটা একটু নামিয়ে একটা চুমু খেলাম । ওর বন্ধ চোখের পাতায়। ... ...
“কেউ যায় না/ শুধু জায়গা বদলে বদলে/ সব কিছুই/ জায়গা বদলে বদলে/ সকলেই/ থাকে।“ আমাদের পুবদিকের জানলা দিয়ে নিচের দিকে তাকালে যে টালিছাদ বাড়িটা দেখা যায়, তার ইটের দেয়ালে গতকাল সকাল থেকে নীল রঙের প্রলেপ লাগতে শুরু করেছে। নতুন নীল রং। যেন আশ্বিনের আকাশ। ওই বাড়িটার মানুষজনের সাথে আমার ব্যাক্তিগত চেনাশোনা নেই। কেবল সকালে-রাতে একগুচ্ছ সম্পর্ক লক্ষ্য করি। সবুজ হাওয়াই চটি, বেতের চুপড়ি, ছেঁড়া টেডি বিয়ার, কালো চশমা, হাতল ভাঙা চেয়ার, বেগুনি কামিজ – এসবের দৈনন্দিনতায় আঁচ করে নিতে চাই টালিছাদের নিচে বসবাসকারী নারীপুরুষদের, যেমনটা চিনতে চেয়েছিলাম সেই ইমরান নামের কিশোরকে, যার জন্য দিদি জাসমিন ক্যামকর্ডারে গুছিয়ে রাখছিল সুখ-দুঃখ, যেমনটা বুঝে নিচ্ছিলাম ওই দেশপান্ডে আন্টিকে, যে যত্নে লালন করে নিঃসঙ্গ ইলার ভালো থাকা-খারাপ থাকা। লাঞ্চবক্স দেখে এলাম। দু’বছর আগে, সম্পর্ক নিয়ে তৈরী হওয়া আরেকটা ছবির কথা খুব মনে পড়ছে। ধোবিঘাট। ... ...
কিছুদিন পর, ২০০৬ সালে তাঁরা নিজেরাই তৈরি করলেন বহিষ্কৃত হিতকারী সংগঠন – বিএইচএস। উচ্চবর্গ একে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিল। ‘নিচুজাত’-এর ওপর কর্তৃত্ব করবার ‘অধিকার’ এর ওপর হস্তক্ষেপ যেন। শুরু হল তান্ডব। হত্যালীলা। সঞ্জীবকে রুখবার জন্য, ভয় দেখাবার জন্য খুন করা হল ওঁর ভাইকে। সঞ্জীব এলাকা ছাড়তে বাধ্য হলেন। এলাকাটিতে মাওবাদী প্রভাব ছিল। মাওবাদীরাও ভাবল সঞ্জীবের কাজের জন্য এলাকায় তাঁদের গুরুত্ব কমে আসবে, সংগঠনে যোগ দিতে আসা দলিত ছেলেমেয়েদের সংখ্যা কমবে। চাপ এল সেদিক দিয়েও। কিন্তু বিএইচএস টিকে রইল। সদস্যসংখ্যা দশহাজার এবং ঊর্ধ্বগামী। ডোম-রা যাতে আস্তাকুড় ঘেঁটে খাবার না খান, তার জন্য প্রচার শুরু হল। লেখাপড়াও চলতে থাকল পাশাপাশি। বেশ কিছু ডোম ছেলেমেয়ে স্কুলে ভর্তি হল – অনেকেই তাদের পরিবারে প্রথমবার। কিন্তু চলার পথ সহজ নয়। উচ্চবর্গ ছেলেমেয়েদের পরিবার নিম্নবর্গের একই স্কুলে যাওয়া, মেলামেশা মেনে নিতে পারছিল না। শিক্ষক-শিক্ষিকারাও অনেকে ডোম পড়ুয়াদের উপেক্ষা করতেন। ... ...
ওঁরা বলছেন, এর বাইরে গিয়ে ভাবতে হবে। বলছেন আমরা স্বাস্থ্যকে পণ্য হিসেবে দেখে ‘ওয়াল স্ট্রীট হেলথ কেয়ার’ চাইনা । স্বাস্থ্য ও একটি মানবিক অধিকার, এই অধিকারের জায়গা থেকে পরিষেবা চাই। বলছেন, চালু করতে হবে জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা (ন্যাশানাল হেলথ প্রোগ্রাম)। একজনের কাছ থেকেই সব খরচ আসবে - ‘সিঙ্গল পেয়ার বিমা’, আর এই একজন হবে সরকার। কানাডার মডেলে। সোজা কথায়, দেশে ইতিমধ্যেই বৃদ্ধদের জন্য যে ‘মেডিকেয়ার’ চালু আছে, সেটাই দেশের সবার জন্য চালু করতে বলা হচ্ছে। দেশের জনগণের উপর ২% ট্যাক্স বা চাকুরিদাতাদের উপর ৭% পে-রোল ট্যাক্স বসালেই এই ব্যবস্থার টাকা উঠে আসবে। প্রোগ্রেসিভ পেরোল ট্যাক্সের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এই টাকার পরিমাণটা এখনকার প্রদেয় প্রিমিয়াম বা কো পে র খরচের চেয়ে অনেক কম। আর এর ফলে আসবে প্রকৃত সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা। এই ব্যবস্থার দাবি অনেকদিনের। একাধিক স্টাডিতে দেখানো হয়েছে, বেসরকারি বিমা উঠিয়ে একটামাত্র জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা করলে শুধু পরিচালনাখাতে খরচ কমানো যাবে প্রতি বছরে ৪০০ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ স্বাস্থ্যখাতে খরচের এক-চতুর্থাংশ জমানো যাবে। এটা সবার জন্য স্বাস্থ্যের খাতে ব্যয় করা যেতে পারে। এছাড়া তো আছেই মুনাফাজনিত লাভ কমানো। ... ...
আমাদের বক্তব্য কী? ১) যে কেউ অভিযোগ করতেই পারে তাকে র্যাগিং করা হয়েছে,কিন্তু প্রকৃতই র্যাগিং হয়েছে কিনা,তার সঠিক অনুসন্ধান হওয়া উচিত। ২) গোটা ঘটনায় মানিক এর দোষ অবৈধভাবে রুম-এ ছাত্র রাখার ঘটনা সুপার-এর নজরে আনা! অনুপমের দোষ উত্যক্ত কথাকাটাকাটি মধ্যে চড় মেরে বসা,যেটা আবার নিজে মিটিয়েও ফেলে। বাকি ঘটনাগুলো কারা করেছে প্রমাণিত নয়, তাহলে কি করে এই দুজনকে র্যাগিং এর শাস্তি দেওয়া হচ্ছে? ৩) Fact Finding Committee এভাবে লুকিয়ে অনুসন্ধান চালানো কেন? এমনকি Anti Ragging Committee-এর মেম্বারও জানতে পারলো না! ... ...
এই বাধ্যতামূলক বিমা প্রকল্প নিয়ে আপত্তি উঠেছে অন্যান্য অংশ থেকেও, তবে সেটি সম্পূর্ণ অন্য কারণে। রিপাব্লিকান দলের আপত্তির উলটো কারণেও বলা চলে। বেসরকারিকরণ আরো বেশি করে হোক, এমনটিই চান রিপাব্লিকানরা। সরকারি মেডিকেইড, মেডিকেয়ার নিয়েও তাঁদের বিস্তর আপত্তি, কেননা রিপাব্লিকান দলের মতে এসব ক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপ কমানো দরকার, ওবামা-সরকার সেটাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। রিপাব্লিকান পথের ঠিক উল্টোমুখের যাত্রী, আমেরিকা দেশের কিছু র্যামডিকাল অংশও বাধ্যতামূলক বিমা প্রকল্প নিয়ে আপত্তি তুলেছে, কেননা তা বেসরকারি বিমাকোম্পানির অংশগ্রহণ বাড়াবে। PNHP, মানে Physicians for a National Health Program, আমেরিকার প্রায় ১৮০০০ ডাক্তারদের অ্যাসোসিয়েশন এর ঘোর বিরোধী। এঁরা বহুদিন ধরে বলে আসছেন, এই অ্যাক্ট আমেরিকান স্বাস্থ্যব্যবস্থার অসুখের চিকিৎসার সঠিক প্রেসক্রিপশন নয়। বা, বড়জোর, ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য মরফিন গোত্রীয়। কেন? এক তো এটা দিয়ে এর পরেও সমস্ত মানুষকে চিকিৎসার নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না। র্যাডিকল-রা হিসেব করে দেখিয়েছেন, আড়াই-তিন কোটি মানুষ এর পরেও স্বাস্থ্যবিমার আওতার বাইরে থেকে যাবেন। আর এতে করে আমেরিকান স্বাস্থ্যব্যবস্থার অন্য যে মুখ্য সমস্যা, ক্রমবর্ধমান খরচ, তারও বিশেষ সুরাহা হবেনা। কেউ কেউ এও বলছেন, শুধু সুরাহা হবে না, তাই নয়, এতে করে কিছু ক্ষেত্রে আরো বিপদকেই ডেকে আনা হল। ... ...
এমনকি এই যে আমাকে আর ভাইকে নিয়ে ছড়া লিখেছে কত , কিন্তু মনেই পড়ে না , বাবার কাছে বসে ছড়া শুনছি ঘরে বসে | আর এমনিতে যদি কবিতা পাঠের কথা বল ,সে তো অজস্র | কবিতার আসর , সাহিত্যবাসর লেগেই থাকত | অনেক কবিতা পড়ত সেখানে | শুনে শুনে আমার যে কত কবিতাই মুখস্থ ! -- ছড়া ? বা: ! আচ্ছা, কবিতায় ছন্দ নিয়ে কিছু বিশেষ মতামত ছিল ? --অবশ্যই ! বাবা প্রায়ই লিখেছে , ‘ ছন্দে লেখো আগে | পরে ছন্দ ভাঙার খেলা’ | এই যে সবাই কবিতা লেখে ; ছন্দের ছাঁকনি খুব দরকার | ওই ছাঁকনি ব্যবহার করলেই অ-কবি রয়ে যাবে ছাঁকনিতে আর কবিরা স্বতন্ত্র হয়ে বিরাজ করবেন | তখন সেই সব কবিদের মধ্যে আবার মূল্য নির্ণয়ন করা যাবে…কে কত উজ্জ্বল | এই তো, শান্তিনিকেতনে হয়েছিল ..কবিতা লেখার ক্লাস | সে কী উত্তেজনা | ছেলেপুলেরা লিখছে , বাবাকে দেখাচ্ছে, পড়ে শোনাচ্ছে | বাবা মাত্রা মেপে ঠিকঠাক করে শিখিয়ে দিচ্ছে | বাবা বলত , ' ছন্দ গড়তে শেখার পর…. বুঝতে পারবে | ওই যে সেই খুব চেনা কথা ক'টি ….বাবাই লিখেছিল , ' ভাঙা ….গড়ার চেয়েও মূল্যবান কখনো সখনো ' .. | ... ...
বিগত আড়াই দশক ধরে এই রাজ্যে সরকারের ভ্রান্ত নীতি আর ব্যবসায়িক পুঁজির যুগলবন্দীতে সরকারি স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থাকে ক্রমশ পঙ্গু করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রমরমা হয়েছে। বলা বাহুল্য, তাতে পৌরহিত্য করেছে সংবাদমাধ্যমের একাংশ, সমাজের বিপুল অংশের মানুষের মধ্যে এই ব্যাপারে সহমত নির্মাণ করেছে। (তাতে পুরোহিতের ছাঁদার যোগান নিশ্চিত হয়েছে, সেটা বিজ্ঞাপনের পাতায় চোখ রাখলেই টের পাওয়া যায়।) মধ্যবিত্ত তো বটেই, নিম্ন আয়ের মানুষেরাও আজ এক প্রকার বাধ্য হয়েছেন এই বেসরকারি ব্যবস্থার কাছে যেতে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে দানা বেঁধে উঠছে অনিশ্চয়তা, স্নায়ুচাপ, ক্ষোভ। দমদমে ক্রাইস্ট চার্চ স্কুলের ঘটনা এই জটিল পরিস্থিতির ইঙ্গিতবাহী। যে চা-দোকানি মেয়েকে সরকারি অবৈতনিক স্কুলে না পাঠিয়ে আয়ের সিংহভাগ খরচ করে পাড়ার নামজাদা মিশনারি প্রতিষ্ঠানে পড়তে পাঠাচ্ছেন, আর যে মাংসবিক্রেতা টাকার অভাবে ভাইঝিকে পাঠাতে পারলেন না, যে মধ্যবিত্ত গৃহবধূ স্কুলের দিদিমণির কাছে মেয়েকে টিউশন পড়তে পাঠিয়েছেন “স্পেশাল কোচিং” – এর আশায়, আর যে বস্ত্র ব্যবসায়ী ফি বছর স্কুলে মোটা টাকা ডোনেশান দেন মেয়েকে “স্পেশাল অ্যাটেনশন” -এর লোভে, যে অভিভাবক সেটা দিতে পারেন না, আর যে ছোকরা বিপিও কর্মচারী চোখ শানিয়েছে স্কুল ছুটির পর স্কার্টের নীচে কিশোরী হাঁটু দেখে ... এরা সকলেই ভেতরে এক-একটি কালো চোরা স্রোত পুষে অপেক্ষা করে থাকে, আর একদিন একটি মর্মান্তিক ঘটনা, সেই ঘটনাকে ঘিরে রটনা, এই সব স্রোতগুলোকে মিলিয়ে দেয়। আর সবাই ইটপাটকেল নিয়ে জড়ো হয় দিনভর লাইভ সম্প্রচারিত উন্মত্ত জনগণেশের পুজোয়। ... ...
তিনি এইখানে বলেছিলেন ঘুড়ি ওড়ানোর খেলার কথা। ঘুড়ির চল এলো এই বাংলাতে। যে ঘুড়ি আসলে এক অপদেবতা। সেই অপদেবতাকে সুতোয় বেঁধে ওড়ানোর উৎসব হল বৌদ্ধদের। প্রথমে প্রকাশ্যে, তারপরে গোপনে। ব্রাহ্মণ্যবাদ এবং বৈষ্ণবভাবধারার সঙ্গে তখন তুমুল বিবাদ। যে কারণে চর্যার উদ্ভব সান্ধ্য ভাষায়, সেই একই কারণে বৌদ্ধদের ঘুড়ি ওড়ানো বন্ধ। কিন্তু এ ঘুড়ি ওড়ানোর যে মজা তা তো ছাড়া যাবে না! অতএব ঘুড়ির কারিগরী মাথায় রেখে বিশ্বকর্ম্মার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল তাকে। মাটিতে তুমি অনেক কিছুই করতে পার। কিন্তু আকাশে না পারলে আর পারলে কি? ওটাই তো আসল কেদ্দানি! সে কেদ্দানির জন্যই বাছা হল স্থপতিগুরুর পূজোর দিনকে। বৌদ্ধদের ঘুড়ি ওড়া এদেশে থেমে গেলেও, বিশ্বকর্ম্মার শ্রমশীল ভক্তদের ঘুড়ি উড়তেই থাকলো।। ... ...
১৯৪৮ এ যখন সাড়ে সাত লাখ প্যালেস্তিনীয় বাস্তুহারা হন,তখন এই অর্কেস্ট্রা তাদের ‘যাতায়াতের জন্য ইজরায়েল সরকারের সাঁজোয়া গাড়ি ব্যবহার করত’।১৯৭৬ তে ইজরায়েলী দখলদারী চলাকালীন(যে অংশ ১৯৪৮ এ দখল হয়নি) জুবিন মেহতা ‘ইউরোপ থেকে একটি অস্ত্রবোঝাই বিমানে করে এসে পৌঁছান’ । ‘১৯৬৭ সালে যুদ্ধ চলাকালীন এই অর্কেস্ট্রা ইজরায়েলী সৈন্যদের সামনেও অনুষ্ঠান করে’ । এবং এই সমস্ত তথ্য কোনো প্রতিবাদী লিফলেট থেকে নয়,বরং ইজরায়েল ফিলার্মোনিক অর্কেস্ট্রার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া। এবং ফিলার্মোনিক অর্কেস্ট্রা কখনোই প্রকাশ্যভাবে ইজরায়েলের প্যালেস্তাইন নীতির সমালোচনা করেনি।প্যালেস্তিনীয় মানুষদের সপক্ষে কোনো বিবৃতি দেয়নি।বিরোধিতা করেনি ‘ব্র্যান্ড ইজরায়েল’ এর।বরং ইজরায়েলী সেনাবাহিনীর সামনে অনুষ্ঠান করার কথা গর্বিতভাবেই ঘোষনা করেছে(এই তথ্যও ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যায়)। ... ...
ব্লগ সাইটটির নির্মাতা ও আমারব্লগ লিমিটেডের পরিচালক সুশান্ত দাসগুপ্ত এক সংবাদ বিবৃতিতে জানান, আমারব্লগ ডটকম বাংলাদেশের কিছু কিছু আইআইজি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত সংবাদ পাওয়া গিয়েছে। গত ছয় মাসে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মত বাংলাদেশে আমারব্লগ ডটকম বন্ধ করা হলো। গত দুবারের মতো এবারও আমারব্লগ ডটকম কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোন সরকারি কিংবা আনুষ্ঠানিক চিঠি পায়নি। ব্লগ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানাতে পেরেছে যে বেসরকারি এবং সরকারি ইন্টারনেট প্রভাইডারকে আমারব্লগ ডটকম সম্পূর্ণভাবে ব্লক করবার সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ... ...
একবার আমি সৌগতর সাথে কলেজ থেকে গেছি বিয়েবাড়িতে খেতে - দুপুরের খাওয়া মিস দিয়েছি যথারীতি ভালো করে সাঁটাবো বলে। গেলুম বিয়েবাড়িতে - সবাই হাই-হ্যালো বলে আর খেতে যায়। সৌগত দেখি নড়েই না। ওর আবার হাত তুলে নমস্কার করার একটা ব্যাপার আছে - যেখানে জোড়া হাতটা ঘাড় আর বাম কাঁধের মধ্যের সমকোণটার মাঝামাঝি (অর্থাৎ ৪৫ ডিগ্রী কোণে) উঠবে। সেটা নাকি আদি/অকৃত্রিম কংগ্রেসী স্টাইল! তো যাই হোক আমি খোঁচা মারি সৌগতকে খেতে যাবার জন্য। যতই হোক বিয়েবাড়িতে আসা ওর চেনাশোনার সূত্র ধরেই। তো ঘন্টা দুই পর আমার মাথায় বাজ ফেলে সৌগত ঘোষণা করল - হ্যাংলার মত খেতে যাব মানে? আমরা নাকি জাষ্ট জলযোগ করব! মিষ্টির প্লেট এলে ও একটা মিষ্টি ডাইরেক্ট টাকরায় (ঠোঁটে লিপষ্টিক না থাকা সত্ত্বেও) চালান করে ঘোষণা করল - বাকিগুলো ফেরত নিয়ে যান মাসিমা। বাইরে বেরিয়ে এসে সৌগত আমাকে নিয়ে রেষ্টুরান্টের দিকে রওনা দিল - সেখানে খেয়েই পেট শান্ত করলাম - কারণ বিয়েবাড়িতে খাওয়া সৌগত মতে নাকি প্রায়শই ভালগার। ... ...