গত জুন মাস থেকে জল-জঙ্গল-জমিন এর পক্ষ থেকে ‘বর্ষামঙ্গল’ কর্মসূচির সূচনা করে। কেষ্টপুর খালের এক অংশ পরিষ্কার করে, তার পাশে গাছ বসানো হয়। এবং আবর্জনার বেশিরভাগটাই প্লাস্টিক। তারপর প্রত্যেক সপ্তাহে আহিড়ীটোলা ঘাট পরিষ্কার করা। রানাঘাটের চূর্ণী নদীর যা বেহাল অবস্থা , তার একটা অংশ সংস্কার করা হয়। উল্টোডাঙ্গার মুরারিপুকুর এর একটা অংশ পরিষ্কার করা হয়। বাঁকুড়াতে এক জমিতে নতুন গাছ বসানো হয়। এবং গ্রামে গ্রামে কর্মশালা করা হয়। উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা, অশোকনগর অঞ্চলে ১২টি স্কুলে একটা অঙ্গীকারপত্র নিয়ে যাওয়া হয় , যার বক্তব্য গুলি হল, সাইকেল চালানোর অভ্যাস বাড়ানো, প্লাস্টিক, থার্মোকল, রাংতা ব্যবহার না করা, পরিবর্তে চটের ব্যাগ ব্যবহার করা, ব্যাগে টিফিন বক্স রাখা, যেকোনো অনুষ্ঠানে গাছের চারা উপহার দেওয়া, এসি ব্যবহার না করার চেষ্টা করা, ডাস্টবিন ছাড়া অন্য কোথাও আবর্জনা না ফেলা, কষ্ট হলেও শৌচালয় ব্যবহার করা। এছাড়াও স্কুলে সেমিনার করা হয়। হুগলির এবং মুর্শিদাবাদের কিছু স্কুলে আগস্টে সেমিনারের ডেট ফিক্স করা হয়েছে। ... ...
ডেভিড লিভিংস্টোন। আফ্রিকায় বেপাত্তা। কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা পৌঁছেছেন মার্কিন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। জাঞ্জিবার থেকে শুরু হল আফ্রিকার গভীরে অভিযান। প্রথম লক্ষ্য বাগামোয়ো শহরে পৌঁছে পাক্কা দেড় মাস আটকে সেখান থেকে একে একে রওনা হয়েছে অভিযানের মোট পাঁচটি কাফেলা। চলছে অভিযানের মূল কাহিনি। স্ট্যানলের সেই বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’।এই প্রথম বাংলায়। এ অধ্যায়ে উন্যাময়েজি অঞ্চল, যেখানে বর্তমান টাবোরা শহর, তার কাছে রুবুগা নামের জনপদে পৌঁছনর কথা। তরজমা স্বাতী রায় ... ...
প্রতিবাদে বাবাও বোধহয় কাঁসার থালাতেই খেতেন। 'হিন্দু' বাড়িতে কাঁসার থালা সম্মানসূচক হলেও আমাদের বাড়িতে যতদিন ঠাকুমার শাসন ছিল, কাঁসার থালা ছিল সংরক্ষিত। গেলাম। খেলাম। কাঁসার থালায় চুড়ো করে ভাত। পাশে আলু ভাজা, একটা সব্জি, ডাল আর হাঁসের মাংস। হাঁসের মাংস ততো মশলাদার নয়। খেলাম তো বটে, মনে মনে খচখচ করতে লাগল, ভাতটা কি পাথর হয়ে পেটে থেকে যাবে। রাত কাটলে, দিব্যি সব, পায়খানা হয়ে বেরিয়ে গেল। তা অনেকেই বোধহয়, এখনো আমার ঠাকুমার মতো হয়ে আছেন। ... ...
মিরোনা খাতুন নামে এক উজ্জ্বল মশালের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। পুরুষদের পেশাদার ফুটবল দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন মিরোনা খাতুন। বহির্বিশ্বে এমন নজির দেখা গেলেও ভারতীয় উপমহাদেশে এই দৃষ্টান্ত এটাই প্রথম।বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন লিগে ঢাকা সিটি এএফসি ক্লাবের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়ে দেশের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে গেছেন মিরোনা। কোন প্রকার দয়া বা কারো করুণায় এই দায়িত্ব পাননি মিরোনা। এএফসি বি লাইসেন্স প্রাপ্ত কোচ তিনি।কোচিংয়ের যাবতীয় শর্ত মেনেই মিরোনাকে দেওয়া হয়েছে ঢাকা সিটির দায়িত্ব। নিজে ছিলেন দীর্ঘদিন জাতীয় দলের খেলোয়াড়।জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে নৌ বাহিনীতে এথলেট হিসেবে খেলেছেন কিছুদিন। তারপরেই করেন এএফসি বি লাইসেন্সের কোর্স। ফলাফল পেশাদার গোটা একটা ফুটবল দলের প্রধান কোচ এখন তিনি। মিরোনার অবশ্য এখানেই থেমে যাওয়ার ইচ্ছা নাই ... ...
ভার্চুয়াল ক্লাসরুম বা আপিসঘরে দৃশ্যমানতা কিঞ্চিৎ উচ্চস্তরের, মানে পর্দার ক্যামেরার নজর ব্যক্তির উর্ধাঙ্গটুকুতেই সীমাবদ্ধ। ‘বিলো দ্য বেল্ট’ ইনফরমাল হলে সমস্যা নেই। বাঁকুড়ার গামছার সঙ্গে শার্ট-টাই-ব্লেজার পরে উচ্চপর্যায়ের মিটিং চলছে দেখলে অতএব ভিরমি খাওয়া নিষ্প্রয়োজন। মিটিং-ধারী দাঁত খিচিয়ে বলবেন, "তাতে কোন মহাভারতটা অশুদ্ধ হচ্ছে ,শুনি! আমি তো আর এই পোশাকে সমুদ্রসৈকতে সেলফি তুলতে যাচ্ছিনা।" ক্যামেরা চালু করা যে ক্লাসে জরুরি নয়, তার ড্রেস কোডে আবার রংচটা, ফুটোফাটা ভেন্টিলেটেড গেঞ্জিও নাকি চলতে পারে। তা বলে পরীক্ষার দিনেও? দইয়ের ফোঁটা অবসোলিট হয় হোক, পাটভাঙা জামাটুকু তো অন্তত পরবে! ... ...
আমার তাজ্জব লাগে আমাদের উপমহাদেশের যারা নব্য-অভিবাসী আমেরিকান হয়েছেন, যাদের অনেকেই দেশে খুব "বাম' ও "প্রগতিশীল' হিসেবে গর্বিত ছিলেন, এমন কী স্বদেশী আদিবাসীদের অধিকার আদায়েও শৌখিন সমর্থক, তারাও অবলীলায় ঘটা করে "থ্যাঙ্কসগিভিং' পালন করেন এবং ফেসবুক, ইয়াহূতে এর মহিমা কীর্তন করে সুখ লাভ করেন। সেদিন ফেসবুকে দেখলাম একজন মাঝারিগোছের সুপরিচিত লেখিকা নসিহত করেছেন আমাদের দেশেও "থ্যাঙ্কসগিভিং ডে'র মত এওকটা গিভিং-টিভিং দিন আবিষ্কার করে তা পালন করার জন্য। এটা মানুফ্যাকচারেড "আমেরিকান কালচার' "আমেরিকান ড্রিম'-এর সংক্রামক মাহাত্ম্যই বটে। হাজার হোক ইউরোপীয়দের মত আমাদের নব্য-আমেরিকান বেরাদারেনরাও তো বহিরাগত সেটেলারই বটেন! ... ...
গত বছর ১৯ এপ্রিল দুপুরে রাঙামাটির নান্যাচর কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী রমেল চাকমা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে ৫ এপ্রিল সকালে নান্যাচরে সেনাবাহিনী কর্তৃক আটক ও অমানুষিক নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়েছিলেন রমেল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকী, শান্তিচুক্তি বিরোধী পাহাড়িদের গ্রুপ ইউপিডিএফের চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী ছিলেন! মানবাধিকার কর্মীরা সে সময়েই প্রশ্ন তোলেন, রমেল চাকমা সন্ত্রাসী হলে তাকে পুলিশে হস্তান্তর করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হল না কেন? তাকে সেনা হেফাজতে পিটিয়ে মেরে ফেলতে হবে কেন? নিহত রমেল ছিলেন নান্যাচর উপজেলার পূর্ব হাতিমারা গ্রামের কান্তি চাকমার ছেলে। তিনি ডানচোখে দেখতে পেতেন না। মারা যাওয়ার আগে গুরুতর আহত অবস্খায় রমেল সেনা নজরদারি ও পুলিশের পাহারায় দু’সপ্তাহ ধরে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পড়ে তার লাশটিও পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে সেনা হেফাজতে পুড়িয়ে দেওয়া হয় অভিযোগে প্রকাশ। ... ...
সোশাল ডিসটেনসিং-এর প্রকৃত উদ্দেশ্য এবং তার গূঢ় অর্থ সরলীকরণ না করে নির্বিচারে এই শব্দ-বন্ধ ব্যবহার করলে অচিরেই করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে এক সামাজিক দূরত্ব তৈরি হবে। খেয়াল করুন মধ্যপ্রদেশে করোনা মোকাবিলায় কমিউনিটি ভিজিটে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের শারীরিক নিগ্রহের শিকার হওয়া, বিভিন্ন রাজ্যে করোনা সন্দেহে আক্রান্তদের প্রতি সামাজিক বৈষম্যমূলক আচরণ, করোনা সন্দেহদের কোয়ারান্টাইন ভেঙে আইন হাতে নেওয়া এইসব ঘটনা পরোক্ষ ভাবে সামাজিক দূরত্বের বার্তা বহন করে না কি? উত্তর দিচ্ছে সম্প্রতি এই রাজ্যের ঝাড়্গ্রাম জেলার সাকরাইল অঞ্চলের এক ঘটনা। ... ...
গ্রামের যে রাস্তাটা উড়িষ্যার দিকে চলে গেছে সেই পথ দিয়ে ওরা হাঁটছিল।আমরা ওদের থামালাম।জিজ্ঞেস করলাম,কোথা থেকে এসেছে আর কোথায়ই বা যাবে! লোকগুলো কথা বলতে ভয় পাচ্ছিল।একটু থেমে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে চারিদিক দেখতে লাগল।কাঁদতে কাঁদতে ফের চলতে লাগল কোনো জবাব না দিয়ে।আমরা আবার আটকালাম।জানতে চাইলাম একই কথা।কোথা থেকে আসছে ওরা?ওদের মধ্যে একজন বলল,মূর্শিদাবাদে বাড়ি।ওরা হেঁটে জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছে।ভিন কোনো রাজ্যে কাজে গেছিল! এমন সময় দেখলাম পেছনে লোকাল পুলিশের গাড়ি।ওরা কোনোরকমে বলল পুলিশ ওদের বর্ডার পার করে দিতে চাইছে।কিন্তু ওরা তো বাংলার মানুষ!! ... ...
কোভিড ১৯ পরীক্ষা করানো এখন অনেক সহজ হয়েছে। কয়েকদিন আগেও আমরা যারা বেসরকারি চিকিৎসক, চাইলেই করোনা পরীক্ষা করাতে পারতাম না। পরীক্ষা হতো খুব অল্প জায়গায়। আর খরচও লাগতো প্রায় আড়াই হাজার টাকা। লকডাউনের মধ্যে অধিকাংশ মানুষেরই সঞ্চয় তলানিতে। তাই আড়াই হাজার টাকার পরীক্ষা লেখার আগে অনেক ভাবনা চিন্তা করতে হতো। চারদিকে কি বিপুল অপচয়। রাস্তাঘাট, বাড়ি- ঘর স্যানিটাইজেশনের নামে জল, অর্থ ও লোকবলের অপচয় হচ্ছে। মাঝে মধ্যে আকস্মিক লকডাউন করে করোনাকে কতদূর ঠেকানো যাবে, তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। বরঞ্চ স্বাভাবিক জীবনে যত দ্রুত সম্ভব ফেরার চেষ্টা করা উচিত। মানুষদের কিভাবে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, সেটা প্রতিদিনই দেখতে পাচ্ছি। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার একমাত্র হাতিয়ার হতে পারে মাস্ক। একটা থ্রি লেয়ার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা গেলে মহামারী ছড়ানোর গতিকে আমরা অনেক শ্লথ করে দিতে পারব। কিন্তু সেটুকু করার বদলে বাদবাকি যাবতীয় কিছু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। লোকজন করোনার ভয়ে স্বাস্থ্যকর্মীকে আবাসন ছাড়া করছেন। আর নিজে মাস্ক গলায় ঝুলিয়ে ভিড়ের মধ্যে চা- সিগারেট খাচ্ছেন। ... ...
শিলচর শহরে ১৮ জুন মধ্যরাত থেকে জল ঢুকতে শুরু করে। কাছাড় জেলা প্রশাসন তার আগে একটা বিবৃতি দেন, সংবাদ মাধ্যমে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সেটা ছিল এরকম, "এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, প্রশাসনের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী বেতুকান্দি বাঁধটি কিছু দুষ্কৃতী নষ্ট করে দিয়েছে, বাঁধের ওই ক্ষতিগ্রস্ত অংশটুকু মেরামত করার চেষ্টা চালান সত্ত্বেও নদীর জল শিলচর শহরের নিচু এলাকা ও বেতুকান্দির আশপাশের এলাকাগুলোতে ঢুকে পড়তে পারে।" আস্তে আস্তে বরাক নদীর জল পুরো শিলচর শহরকে ভাসিয়ে দেয়। গরীবের কুঁড়ে ঘর থেকে বড় অট্টালিকা কিছুই আর বাদ যায় না। অনেক বাড়ীর জানালার উপর পর্যন্ত বান ভাসি হয়ে যায়। বিপন্ন মানুষ অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। ... ...
মাওরীদের হাতে টাসমানের বেশ কয়েকজন সঙ্গী নিহত হন। এই ঘটনার পর টাসমান আর সে দেশে পা রাখেন নি, ফিরে যান। যে দ্বীপটি তিনি আবিষ্কার করেন তার নাম পরে পরিবর্তিত করে রাখা হয় নিউ জিল্যাণ্ড। এর পর একশো বছরের ওপর এই দ্বীপে ইউরোপীয়দের পা পড়েনি। একশো আঠাশ বছর পর ১৭৭০ সালে ইংরেজ নাবিক ক্যাপটেন কুক আসবেন নিউজিল্যাণ্ডে, শুরু হবে সে দেশের এক কলোনিয়াল ইতিহাসের দীর্ঘ অধ্যায়। ... ...
বাংলা লিখিত সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদের যুগ থেকে কোম্পানি-রাজের পত্তন পর্যন্ত রচিত নানা বাংলা গাথা চর্ব্যচোষ্যলেহ্যপেয়র রঙিন বিবরণে ভরপুর। উঠে আসে বাঙালির রসনা-সংস্কৃতির বিবর্তনের ছবি। এ কিস্তিতে রইল যাকে বলে মৎস মারিব খাইব সুখে! আর সে রন্ধন মাতোয়ারা করে রেখেছে জলের ঈশ্বর! লিখছেন ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। ... ...
ব্লগ সাইটটির নির্মাতা ও আমারব্লগ লিমিটেডের পরিচালক সুশান্ত দাসগুপ্ত এক সংবাদ বিবৃতিতে জানান, আমারব্লগ ডটকম বাংলাদেশের কিছু কিছু আইআইজি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত সংবাদ পাওয়া গিয়েছে। গত ছয় মাসে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মত বাংলাদেশে আমারব্লগ ডটকম বন্ধ করা হলো। গত দুবারের মতো এবারও আমারব্লগ ডটকম কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোন সরকারি কিংবা আনুষ্ঠানিক চিঠি পায়নি। ব্লগ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানাতে পেরেছে যে বেসরকারি এবং সরকারি ইন্টারনেট প্রভাইডারকে আমারব্লগ ডটকম সম্পূর্ণভাবে ব্লক করবার সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ... ...
যেমন ধরেন ওই নোটবন্দী খেলা — পারবে? কোনও সুস্থ মাথার লোক (গাঁজা ফাঁজা না খেয়ে) ভাবতেও পারবে না যে এভাবেও টাইট দেওয়া যায় নিজের দেশের জনতাকে। আর যা কারণ ঠাউরালেন তাতে হেসে খুন হই আর কি। গোলাপী খেলনা নোটের ভেতর থেকে মাইক্রোচিপ অবধি খুঁজে পেল টিভি অ্যাঙ্কর (এমন অ্যাঙ্কর থাকলে ১৯১১ সালে হিমশৈল অবধি দৌড়ে পালাত, টাইটানিক দেখে, ধাক্কা মারা তো দূরস্থান)। আর সেই সরল গোলগাল ফুচকার মতো যুক্তি, যা কিনা ফুটো না করিলে তাতে হায় মশলা আলু বা টকজল কিছুই ঢোকে না, এমন দুর্দম, অনমনীয়। কী? না এতে জাল নোট আটকাবে - পাড়ার রঙিন ফোটোকপি দোকানদার অবধি হেসে খুন, এই নোট আবার জাল করতে হয় নাকি? এ তো এমিনিই এত জ্যালজ্যালে। আবার ধরেন, এতে নাকি টেরোরিজম চুপসে এই অ্যাত্তটুকুন হয়ে যাবে। তা তো কই… ... ...
শুধু এদেশে বলে নয়, সারা পৃথিবীতেই টাকা থাকলে আইন আদালত ন্যায়বিচার সবই কেনা যায় কোন না কোন পর্যায়ে। সে গল্প আমাদের খুব একটা অজানা এমন নয়। কিন্তু দিনের শেষে আমরা – যাদের হাড্ডি এখনো পিলপিলায়ে যায়নি সবটা, আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে থাকি? নেতাজী তো ফিরবেন না – জ্যোতিবাবুও না, তাহলে বিপ্লব কবে কখন, কোথায় হবে? আমরা কি অপেক্ষা করব কবে সেই মহামানব আসবেন, বিপ্লবের ভ্যানগার্ড, আমরা তাঁর পিছনে ছুটে যাব হ্যামলিনের ইঁদুরদের মত – বিপ্লবকে কুলোর বাতাস দিয়ে বরণ করে আনতে? নাকি আমরা ফিরে যাব সেই সব মানুষের কাছে, যারা প্রতিনিয়ত লড়াইটা লড়ছেন? মার খাচ্ছেন, কখনো পাঁচকুল্লার রাস্তায় তো কখনো সিঙ্গুরের মাটিতে, কখনো ভাঙরের জমিতে কখনো বস্তারের জঙ্গলে? মার খাচ্ছেন, গুলি খাচ্ছেন, আবার আরো হাজারে হাজারে লড়ে যাচ্ছেন, তাঁদের কাছে? আরে দাদা এত ঘাবড়াবেন না – আমাদের কাছে বেছে নেবার জন্য রাস্তা আছে তো। পিঠে বেঁধেছি কুলো, কানে গুঁজেছি তুলো, এখন কত কিলোবি, কিলো – এমনি করে যায় যদি দিন যাক না। চলতে থাকুক – ততদিন পর্যন্ত, যতদিন না আমার সন্তানকে নিয়ে যেতে আসে ওরা। ... ...