পোস্ট মডার্ণ বা উত্তর আধুনিককে বিদ্বজ্জনেরা সংক্ষেপে পোমো বলে থাকেন। অর্থাৎ পোমো কবিতা হল উত্তর আধুনিক কবিতা। সাহিত্যে, বিশেষতঃ বাংলা সাহিত্যে এই কবিতার এক অসামান্য অবদান রয়েছে – সেই নিয়েই আমাদের আজকের বিদগ্ধ আলোচনা। যারা বুদ্ধিজীবি নন বা এখনো সম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন নি – তারা এই আলোচনাকে এড়িয়ে যাবেন না – আপনাদের কিঞ্চিৎ জ্ঞানবৃদ্ধি না করতে পারলে আর এত বুদ্ধি নিয়ে করবটা কি বলুন – আজকাল আর কিডনিতেও ধরে না যে। অনেকে ভাবেন যেমন তেমন অর্থহীন কিছু পংক্তি লিখে গেলেই বোধ হয় পোমো কবিতা হয়ে যায় ... ...
'এই দুর্ভাগা দেশকে আপনার কণ্ঠমাধুরী ও কলাসিদ্ধির দ্বারা আনন্দিত করুন, সুস্থ করুন। বিশেষত যখন রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি শ্যামার কথা ভাবি তখন আমি অভিভূত হয়ে যাই। এই সূক্ষ্ম জটিল নানা বিপরীত অনুভূতির টানাপোড়েনে ক্ষতবিক্ষত নারীকে আপনি ছাড়া আর কে এমন সার্থক রূপ দিতে পারত? এই পাপিষ্ঠাকে রবীন্দ্রনাথ আশ্চর্জ ট্রাজিক মহিমা দান করেছেন। কিন্তু আমাদের ও কবির মাঝখানে একজন interpreter আবশ্যক ছ্ল। সেই সুযোগ্য interpreter কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনার কাছ থেকে আমরা অনেক পেয়েছি।' ... ...
মালপোয়াভোর থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। ঘুম ভেঙে গিয়েছিল তার অনেক আগেই। অন্ধকার ঘরটায় শুয়ে বৃষ্টির আওয়াজ শুনছিলেন ইন্দুবালা। অল্প অল্প বাতাসে দুলছিল জানলার হালকা পর্দা গুলো। তার ফাঁক দিয়ে উঁকি মারছিল একটু একটু করে ফর্সা হতে থাকা আকাশটা। একতলায় ভাতের হোটেলের ওপরে তাঁর ঘরটা ছোট্ট হলেও বেশ খোলামেলা। অন্তত এই বাড়ির অন্য ঘর গুলোর থেকে। ঘরের চারিদিক বরাবর বেশ কয়েকটা জানলা। সামনের দিকে এগিয়ে গেলে ছেনু মিত্তর লেন। হরেক মানুষ, গাড়ি ঘোড়ার যাতায়াত। আর পেছন দিকটা শাশুড়ির আমলের ছোট্ট বাগান। সিড় ... ...
চুয়াত্তর বার তাকে গুলি করা হয়েছিল। পেলেটের আঘাতে চোখদুটোও গেল শেষমেশ। বর্শার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করা হলো,রেহাই পায়নি তার বুক আঁকড়ে থাকা বাচ্চাটাও। কিন্তু কোথায়ই বা যেতে পারতো সে ! বনের পর বন উজাড় হয়ে গেছে,এক ফোঁটা খাবার নেই কোথাও। অন্যের ক্ষেত থেকে খাবার চুরি করবার অপরাধে এক রাতে তার কোলের বাচ্চাটাকে কেড়ে নেওয়া হয়। অন্ধেরও তো চোখের জল বাড়ন্ত হয়না। তাই খুব কাঁদলো সে,বোবা কান্না। কেউ শুনলো না,শুনলেও খুশি হতো,এতো কষ্টের ফসল তো আর অনাহুতদের জন্য নয়। বাচ্চাটাকে বিক্রি করবার জন্য একটা খুব ছোট ব ... ...
পঞ্চাশবার লিখতে হলে পঞ্চাশবারই লিখব, কিন্তু মোদ্দা কথা হল এন-আর-সি একটি বর্বর জিনিস। কেন বর্বর? ওপার বাংলা থেকে এপারে কি লোক আসেনি? আসেনা? একশবার এসেছে। কেন এসেছে? কারণ আমাদের ধেড়ে খোকা জাতীয়-নেতারা তেলের শিশির বদলে একটা জাতির মাঝখান থেকে একটা লাইন টেনে দিয়েছিলেন। তার ফলে অন্তত কোটিখানেক মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে যখন পাড়ি জমাচ্ছিলেন সীমান্তের একদিক থেকে অন্য দিকে, তখন আমাদের নেতারা কী করছিলেন? নেহরু এই মানুষগুলিকে উদ্বাস্তুর স্বীকৃতি অবধি দেননি, ওপারে ফিরে যাবার উপদেশ দিয়েই কর্তব্য শেষ করেছেন। কান ... ...
আমরা ষড়যন্ত্র ত্বতে খুব সহজে বিশ্বাস আনি। দীর্ঘ পরাধীনতা থেকেই সম্ভবত এই বিশেষ গুণ আমাদের জিনে বাসা করেছে। হোক না হোক আপনি একটা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বাজারে ছাড়ুন বিশ্বাস করার লোকের অভাব হবে না। একই সাথে সব কিছুতেই সন্দেহ এবং সহজে বিশ্বাস আনা সম্ভবত এই দুনিয়ায় আমরাই পারি। এই রোগ আমাদের গভীরে প্রোথিত হয়ে গেছে, এর আর নড়নচড়ন নাই। আমরা বিশ্বাস করি আমরা বাদে বাকি দুনিয়া আমাদের কে ধ্বংস করার জন্য সকালে উঠে নাস্তা না করেই, চোখে মুখে পানি দিয়েই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা শুরু করে। ষড়যন্ত্র করেই ... ...
স্বর্গ সারথি কলেজ স্ট্রীট ক্রশিঙে বিচ্ছিরি জ্যামে ফেঁসে গেলো। সামনে বাসের পর বাস কাতার দিয়ে দাঁড়িয়ে, যেন সৈন্যদল। অঘোরবাবু খিস্তি করলেন। তার খিস্তি কেউ শুনতে পেলো না। স্বাভাবিক। স্বর্গ সারথির ভেতরে যারা শুয়ে থাকে, তাদের আর্তনাদ বা উল্লাস করার দিন ফুরিয়েছে বলেই ধরে নেওয়া হয়। অঘোরবাবু এই রুটেই যাতায়াত করেছেন অটোয় চেপে, বাসে চেপে। খিস্তিটা তাই অভ্যাস বশত চলে এলো। বিড়ি খাবেন বলে হাতড়ালেন প্যান্টের পকেট। বিড়ি নেই। প্যান্টই নেই, তার জায়গায় খড়খড়ে একটা ধুতি। আর কিছুক্ষন পরে তিনি নিজেই বিড়ির মতো ... ...
আজ মঙ্গলবার। ভাব সম্প্রসারণের দিন। খগেনবাবু দ্রুত রোলকল সারিয়া, গলা খাঁকারিকরত, ছাত্রদের ভাব সম্প্রসারণ করিতে দিলেন। বলিলেন: 'ল্যাখো'। খগেনবাবুর উচ্চারণের বিশেষত্ব আছে। তিনি হেমন্তকে হ্যামন্ত বলেন, অথচ, লজ্জাকে, লোজ্জা উচ্চারণ করিতেই তিনি অভ্যস্ত। অতঃপর খগেনকন্ঠে উচ্চারিত হইল: "কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে, দুঃখ বিনা সুখলাভ হয় কি মহীতে?" ... ...
ছোটবেলা থেকেই আমি ছেলেদের সাথে মিশতে খুব ভয় পাই। যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি একটা বখাটে ছেলে আমাকে লাভ লেটার পাঠিয়েছিলো। দুর্ভাগ্যবশত সেটা আমার হাতে না পড়ে আব্বুর হাতে পড়েছিল। সেই চিঠিতে কি লেখা ছিলো আমি আজো জানি না। তবে তার কারণে আমাকে প্রচুর মার খেতে হয়েছিলো। সেই মার আমি আজো ভুলিনি। এরপর ক্রমে ক্রমে আমি বড় হলাম। ক্লাস টেনে উঠতেই আরেকটা ছেলে আমার হাতে তার ফোন নাম্বার ধরিয়ে দিয়ে গেল। আম্মুর মোবাইল চুরি করে সেই নাম্বারে ফোন দিয়ে কয়েকদিন গল্প করতে না করতেই আপুর কাছে ধরা পড়ে গেলাম। ... ...
আমারে তুমি অশেষ করেছো....পার্থ দাশগুপ্ত নামে একজন তন্নিষ্ঠ রবীন্দ্রসঙ্গীতপ্রেমী'র লেখায় একটা মন্তব্য পেয়েছিলুম। "....রবীন্দ্রনাথের গানের সর্বকালের সফলতম অনুবাদক হিসেবে আমি যাকে মনে করি, তাঁর নাম সুবিনয় রায়। বুজুর্গরাও বলেন, যদি রবীন্দ্রনাথের গানের শুদ্ধতা আর অন্তর্নিহিত ভাবের হরগৌরী মিলনের সঠিক সুলকসন্ধান পেতে চাও, তাহলে সুবিনয় রায়ের গান শোনো। " পার্থ নিজেকে একযোগে রবীন্দ্রখ্যাপা, হেমন্তখ্যাপা ও সুবিনয়খ্যাপা হিসেবেও ঘোষণা করেছিলেন। উক্তিটা আমি ... ...
ডাক্তার সাহেব গম্ভীর গলায় বললেন, আপনার ছেলের সমস্যা কি?আমি চিন্তিত গলায় বললাম, আমার ছেলে একটু ইন্ট্রোভার্ট টাইপের। কোনোকিছুতেই রিয়াক্ট করে না। এই ধরেন কোথাও ব্যাথা পেল,কিছু হারিয়ে গেলো,অসুস্থ হলো অথবা ধরেন জন্মদিনে প্রচুর গিফট পেয়েছে,পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করেছে বা ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশ জিতেছে কোনোকিছু নিয়েই ফেসবুকে পোস্ট দেয় না। ওর জন্মদিন উপলক্ষে কতবড় পার্টি করলাম একটাও সেলফি তোলে নাই। ইন্সটাগ্রাম,ট্যুইটার,ফেসবুকেও ওর কোন আগ্রহ নাই। ঈদের সময় কাউকে 'ঈদ মোবারক' মেসেজ পর্যন্ত ... ...
মাঝরাতে ওয়াইফাইয়ের কানেকশন পাওয়ার জন্য ফোন এদিক ওদিক ঘোরাতে ঘোরাতে কখন যে ডাইনিং টেবিলের তলে ঢুকে গেছি নিজেও জানিনা। ওয়াইফাই পেয়ে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে কেবলমাত্র নোটিফিকেশনটা চেক করতে যাবো এমন সময় চাপা আর্তনাদ শুনলাম,-কে!কে ওখানে!!কে!!!আমি জবাব দিলাম না। তবে বুঝতে পারছি মানুষটা আমার খালা। গতকালই বেড়াতে এসেছেন আমাদের বাসায়।জবাব না পেয়ে ইতিমধ্যেই খালা আয়াতুল কুরসি পড়তে শুরু করেছেন। দোয়ার মাঝামাঝি পর্যায়েই ফিট হয়ে মেঝেতে পড়ে গেলেন। তারমধ্যেই টেবি ... ...
ডাক্তার সাহেব গম্ভীর গলায় বললেন, রাহাতের স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে গেছে। আমি একটা চিল্লানি দিয়ে বললাম, না! এ হতে পারে না। ডাক্তার সাহেব! বলে দেন যে এ মিথ্যা।ডাক্তার সাহেব গম্ভীর গলায় বললেন, মিথ্যা না। মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণে আপনার স্বামীর স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে গেছে। সরি! আমাদের আর কিছু করার নেই।আমি রাহাতের হাত ধরে বললাম, তুমি আমাকে চিনতে পারছো না! ভালো করে দেখো! মনের চোখ দিয়ে দেখো। আমাদের এতদিনের ভালোবাসা এতদিনের পাশে থাকা মিথ্যা হয়ে যেতে পারে না!রাহাত ... ...
পার্বত্য জেলা রাঙামাটির ঘাগড়ার দেবতাছড়ি গ্রামের কিশোরী সুমি তঞ্চঙ্গ্যা। দরিদ্র জুমচাষি মা-বাবার পঞ্চম সন্তান। অভাবের তাড়নায় অন্য ভাইবোনদের লেখাপড়া হয়নি। কিন্তু ব্যতিক্রম সুমি। লেখাপড়ায় তার প্রবল আগ্রহ। অগত্যা মা-বাবা তাকে বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছেন। কোনো রকমে মেয়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডিটুকু পার করাতে পেরেছেন। কিন্তু এরপর? চটপটে পাহাড়ি মেয়েটি এই লেখককে বলে, ‘আমি ভেবেছিলাম আমার লেখাপড়া এখানেই শেষ। এ সময় আমরা শুনতে পাই ‘মোনঘর শিশু সদন‘র কথা। সেখানে নাকি নামমাত্র বেতনে খুব ভালো লেখাপড়া হয়। এরপর আমি এই ... ...
১এই জল, তুমি তাকে লাবণ্য দিয়েছ বলেবাণিজ্যপোত নিয়ে বেরোতেই হ'লযতক্ষণ না ডাঙা ফিকে হয়ে আসে। ... ...
মোটরবাইক: ইহা একটি দ্বিচক্রী স্থলযান। পেট্রল ডিজেল জাতীয় জীবাশ্ম জ্বালানির সাহায্যে চলে। বিভিন্ন আকারের ও বিভিন্ন ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরবাইক আমরা দেখিতে পাই। কোন কোন বাইকের পাশে ক্যারিয়ার থাকে। শোলে বাইক আজকাল সেরকম দেখিতে পাওয়া যায়না। যানজট জনিত সমস্যায় বাইক অকুতোভয়, অত্যল্প জায়গার ভেতর দিয়েও ইহা নিষ্ক্রান্ত হইতে পারে। বাইকে চড়িবার পর হেলমেট পরিবার প্রয়োজন। অন্যথা ফেজ টুপি চলিতে পারে। ... ...
এন আর এস এর ঘটনাটি যে এতটা স্পর্শকাতর ইস্যু হয়ে উঠতে পারল এবং দেখিয়ে দিল হাসপাতালগুলির তথা স্বাস্থ্য পরিষেবার হতশ্রী দশা, নির্দিষ্ট ঘটনাটির পোস্টমর্টেম পেরিয়ে এবার সে নিয়ে নাগরিক সমাজে আলোচনা দরকার।কিন্তু এই আলোচনা কতটা হবে তাই নিয়ে সংশয় আছে। কারণ মধ্যবিত্ত শিক্ষিত সমাজ যারা এই আলোচনা করবেন, তারা তো মেডিক্লেম এর আওতায় প্রাইভেট হাসপাতালে চলে এসেছেন বেশ কিছুদিন হল।মেডিক্লেম পলিসির শর্তাবলী, রি ইমবার্সমেন্ট, ক্যাশলেস ট্রিটমেন্ট এর অ্যাপ্রুভাল - এসবই তো সেখানে মনযোগের বিষয় বস্তু। ... ...
হিংসার ঘটনা এই তো প্রথম নয়। ২০১৭ ফেব্রুয়ারীতে টাউনহল খাপ পঞ্চায়েত বসিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের ম্যানেজমেন্ট কে তুলোধোনা করার পর রাজ্যে ১ নতুন ক্লিনিক্যাল এস্তব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট চালু হয়েছিল। বলা হয়েছিল বেসরকারি হাসপাতাল গুলি র রোগী শোষণ বন্ধ করার জন্য, সেগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নাকি এই আইন। কিন্তু আইনের বলে যে রেগুলেটরি কমিশন তৈরি হলো তার শীর্ষে রইলেন বেসরকারি হাসপাতালে র ডাক্তাররা। আর বেসরকারি হাসপাতাল কে নিয়ন্ত্রণ করার বদলে কমিশন ভিক্টিমাইজ করতে লাগলো ব্যক্তি ডাক্তারদের। পাশাপাশি ডাক্তার ও চিকিৎসা কর্মীদের ওপর আক্রমণের ঘটনা কয়েকগুণ বেড়ে গেল। ডাক্তারদের যুক্ত মঞ্চ জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস পরিসংখ্যান বলে গত আড়াই বছরে হিংসার ঘটনা ঘটেছে প্রায় ২৩৫ টি। এর মধ্যে অধিকাংশই কিন্তু সরকারি হাসপাতালে। ... ...
ব্রুনাই-এর মত এত বেশী ভূতের আশে পাশে আমি অন্য কোন দেশে থাকি নি। দেশটা ছোট বা চারিদিকে ঘন বন ইত্যাদি আছে কিনা বলতে পারব না, তবে ব্রুনাই-য়ে ভূতের ঘনত্ব অন্যদেশের থেকে অনেক বেশী। নিমো গ্রাম ছাড়ার পর দীর্ঘদিন দেশের বা বিদেশের বড় বড় শহরে বাস করেছি, তেমন ভাবে ভূত নিয়ে ভাবিত হই নি। >ব্রুনাই-য়ে এসে আবার অনেক দিন পরে ভূতেদের সাথে মেলামেশা শুরু করলাম। এদিকে ঠাকুমার শেখানো বাংলা ভূত তাড়ানো মন্ত্র সব ভুলে গেছি ... ...
সবচেয়ে যে ভাল ছাত্র তাকেই অভিভাবকরা ডাক্তার বানাতে চায়। ছেলে বা মেয়ে মেধাবী বাবা মা স্বপ্ন দেখে বসে থাকল ডাক্তার বানানোর। ছেলে হয়ত প্রবল আগ্রহ নিয়ে বসে আছে ইঞ্জিনিয়ারিঙের কিন্তু বাবা মা জোর করে ডাক্তার বানিয়েছে এমন উদাহরণ খুঁজতে আমাকে বেশি দূর যেতে হবে না, অহরহ আছে এমন ঘটনা। আমার যেটা প্রশ্ন তা হচ্ছে প্রচণ্ড মেধাবী এরা ডাক্তারি পাশ করেই কী বদলে যায়? দেশের সিংহভাগ মানুষ ডাক্তার বলতেই কেন খুব কুৎসিত মনোভাব পোষণ করে? ডাক্তাররা ভাল না খারাপ সেই প্রসঙ্গে একটু পড়ে আসছি। আমরা কতটুকু ভাল মানুষ ... ...