তিনটি বিষয়ঃ ১) ২০০০ সালের পরে যাদের জন্ম, সেই শিশুদের জন্ম- পঞ্জীকরণের সঠিক অবস্থা কি? কজন মা-বাবা যেতে পারেন শিশুর জন্মের পরে সার্টিফিকেট আনতে- যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব স্থির করবেন? , ২) গো-মাতা পূজন ও গো-মাতা পালন- নতুন CSR (কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ) !! কিভাবে কোম্পানীর কাজ হয় গরু পালন?? , ৩) বিচারব্যবস্থায় আস্থা হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু কেন? কিভাবে ধাপে ধাপে ভেঙ্গে পড়ছে গণতন্ত্রের তৃতীয় স্তম্ভ? ... ...
অনেক দিন ধরেই মনের ভেতর কিছু কথাবার্তা বুজগুরি কাটছিল। আজ এক বন্ধুর ফোন করে সোজা পথে হাঁটতে চাওয়ায় কি ভীষণ প্রতি পদে ঠোক্কর খেতে হয় তার রাগী রাগী উগরে দেওয়া অভিমান ভরা কথাগুলো ঠেলে গুতিয়ে আমাকে একটা কথাই বলিয়ে নিল, 'চলো অলক্ষ্মী হয়ে যাই'। ... ...
সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে মতামত। এই সিরিজে দুটো বা তিনটে সাময়িক বিষয়ের আলোচনা। ... ...
এই লেখাটি Age of Big Cats নামে একটি ডকুমেন্টারি সিরিজ এর ধারাবাহিক অনুবাদ। এখানে বিগ ক্যাটদের বা প্যান্থেরাদের, মানে বাঘ, সিংহ, জাগুয়ার, চিতা, স্নো লেপার্ড - এদের বিবর্তনীয় ইতিহাস বা উৎপত্তি, টিকে থাকার রহস্য, স্থলভাগকে ডোমিনেট করার রহস্য, আর আজকে এদের অবস্থা সম্পর্কিত তথ্য রয়েছে। ইভোল্যুশনারি বায়োলজি, নেচার, ওয়াইল্ড লাইফ, ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন নিয়ে যাদের ইন্টারেস্ট আছে, কিন্তু ডকুমেন্টারিটি এখনও দেখেননি, বা কখনও দেখা হবে না বলে মনে করছেন তারা পড়তে পারেন। ... ...
যে কোনও কিছুর শুরু আর শেষের মধ্যে একটা বর্ণময় আলো-আঁধারি থাকে। থাকে এক অনন্য প্রাপ্তি। অসীম নীলাকাশ। আর সীমাহীন বারিধি। যেখানে জীবন ঢ্যালা মাটির সাথে মণিমাণিক্যও কুড়িয়ে নেয়। রোদের কস্তূরী ভেঙে ভেঙে ঐরাবত মেঘগুলো ধেয়ে আসে বাঁধনের শিকল কেটে। মুক্তি। উল্লাস। চাওয়া পাওয়ার বাষ্প জমলেই ক্লান্তি নামবে বুকের পাঁজর ঘেঁষে। রোমকূপে বাসা বাঁধে তখন মন খারাপের ঢেউ। মহাবিশ্ব জুড়ে জমতে থাকে চাপ চাপ রক্তের মতো আলকাতরা অন্ধকার। হয়তো বা এটাই সেই উলঙ্গ সত্য। নির্মম বাস্তব। ... ...
এক এক সময় প্রবীর ঘোষ-কে আমার ওই রিচার্ড ডকিন্স টাইপের মনে হয়। বড় বেশী র্যাডিকাল কথাবার্তা বলে ফেলে কখনও কখনও – ফলে হয় কি, প্রচলিত অর্থে মৌলবাদের বিরুদ্ধে বলতে বা লিখতে গিয়ে এরা নিজেরাই অপ্রচলিত অর্থের মৌলবাদী হয়ে ওঠেন। সেই জন্যই বলাই বাহুল্য সব কথার সাথে একমত হওয়া যায় না। কিন্তু আজকাল যা শুরু হয়েছে – মনে হচ্ছে এর থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য সেই প্রবীর ঘোষের দাওয়াই-টাই ঠিক। সেই যে কি বলে না ইংরাজীতে – “ডেসপারেট টাইমস্ নীডস ডেসপারেট মেজারস্”, আমাদের দেশের সেই অবস্থা এসে গেছে মনে হয়। ... ...
সারমর্ম আবার কী? বাংলা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছি নাকি? ... ...
পৃথিবীর ভূতাত্বিক ইতিহাসে অনকবার স্থলভাগ ভেঙে গিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন মহাদেশ ৷ আগে স্থলভাগ ছিল একটাই ; সেটা ভেঙে তৈরি হয়েছিল ‘নতুন পৃথিবী’ বা আমেরিকা আর আন্টারটিকা ৷ আফ্রিকা ভেঙে ভারত চলে এসেছিল এশিয়ায় , আবার আমেরিকা ছিঁড়ে ব্রিটেন চলে এসেছিল ইউরোপে ৷ এইরকমই আরও একটা মহাদেশ ভাঙার কাজ চলছে ডালোলের ফাটলগুলোতে ; বলছে অনেক দূরের ভবিষ্যতের এক অন্য ভুগোলের রূপরেখা ৷ ... ...
খুনির আর ধর্ষকামীর মন, মানসিকতা একই পাড়াতে বাস করে সামান্য দূরত্বে দুটো আলাদা রাস্তায়। আত্মগোপন করে থাকতে থাকতে প্রায়ই এরা ভুলে যায় এদের আত্মপরিচয়। অথচ ভদ্রপাড়ায় বাস করবার জন্য যে পরিচয়েই এরা বাসা ভাড়া নিক না কেন, ফেক আত্মপরিচয় বহন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়ে এরা এমন কিছু করে বসে বা এমন কিছু বলে বসে যে একটু চেষ্টা করলেই এদের আইডেন্টিফাই করা যায়। এই বিশেষ মানসিক গঠনই সংখ্যাগুরু। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই, এরা অপোনেন্টকে রেপ করতে চায়, শেষ করে করে দিতে চায়। বিরাট এই সংখ্যাগুরু 'হতাশ' মানুষের দল, একদল সত্যিই ডিপ্রাইভড, আর অন্য এক দল, যাদের সেই অর্থে কোনো বিপক্ষকে চিহ্নিত না করতে পারাতেই হতাশ হয়ে সম্ভবত বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংখ্যালঘুকে বেছে নিয়ে এক কল্পিত যুদ্ধের অবতারণা করে, এবং সেই যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে চায়। ... ...
কাল একটা নাম প্রকাশ হতেই রে রে করে তেড়ে এসেছিল কিছু চাড্ডি, সে আসবেই জানা কথা। কেউ কেউ তো প্রমাণ না দিয়ে লিখেছি বলে পুলিশ টুলিশের ভয়ও দেখালো। তা সে দেখাক গে। কি আর করা যাবে। ধরে ফরে নিয়ে গেলে কদিন বিনি পয়সায় লপসি খাওয়া যাবে। কিন্তু একটা প্রশ্ন, নাম ভুল, নামের মধ্যে আমরা হিন্দুত্ব খোঁজার চেষ্টা করছি সেসব মেনে নিলাম। কিন্তু প্রশ্নটা হলো ঠিক নির্বাচনের পরপরই দিল্লির এই দাঙ্গা কেনো? আর দাঙ্গাই যদি হলো তাহলে বেছে বেছে ইস্ট দিল্লিতে কেনো? ইস্ট দিল্লির চেয়ে অনেক বেশি মুসলমান দিল্লির অন্যান্য অংশে আছে, সবচেয়ে বড়ো কথা শাহিনবাগেও হতে পারত দাঙ্গা, কিন্তু না হলো ইস্ট দিল্লিতেই। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, ভোট পরপরই দাঙ্গা কেন? দাঙ্গার কারণ আদৌ দিল্লি তো, দাঙ্গার মোড়কে আসল লক্ষ্যটা পশ্চিমবঙ্গ নয়ত? একটু খতিয়ে দেখা যাক না হয়। ... ...
এই সিনেমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য আমার মনে হয় যখন ক্যামেরাটা ঋ-এর কোমরের নিচে নেমে গিয়ে ওপাশে কাশ্মীরে গিয়ে উঠলো গোলাবারুদের শব্দের মধ্যে। দু'হাজার সাত। অথবা নয়। তখনও পিতৃতন্ত্র, রাষ্ট্র, ধর্ষক; এই শব্দগুলো খুব চট করে পাশাপাশি বসে পড়তো না। তখনও চিলি থেকে "দ্য রেপিস্ট ইজ ইউ, ইট'স দ্য কপ্স, দ্য জাজেস, দ্য স্টেট, দ্য প্রেসিডেন্ট" ভেসে আসতে দশ অথবা বারো বছর। এই ছবিটা এইখানে, মানে, কলকাতায় আর কাশ্মীরে তৈরী হয়েছিল। ... ...
কার হাতে আজ খুন হয় কে কে খুন করে কাকে এক জলমাটি এক আঙিনায় বেড়ে ওঠা সহোদর ... ...
দেশ এবার মুজিব জন্মশত বর্ষ পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুরো দেশ এই প্রস্তুতিতে অংশ নিয়েছে। ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে ১০ জানুয়ারি থেকে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস থেকে। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বিশেষ আয়োজন থাকবে এবার। ওই বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব৷ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ জায়েদ আল নাহিয়ান, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, ভারতের কংগ্রেস দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন-সহ অনেকেই থাকবেন সেদিনের অনুষ্ঠানে৷ এত এত বিশেষ ব্যক্তিত্বের ভিতরেও বাংলাদেশ সরকার ওই অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে রেখেছেন নরেন্দ্র মোদীকে। ভারতেরে প্রধানমন্ত্রীকে এই বিশেষ সম্মান সরকার দিচ্ছে। ... ...
পেটি বুর্জোয়ার সংসারে হাওয়া বাইরে থেকেই আসে। আজ ২৭ ফেব্রুয়ারির সকাল, দিনকয়েক বাদে রোদ উঠেছে। আলতো গরম, বসন্তের অপ্রত্যাশিত আগন্তুক অকালস্নান মুলতুবি আপাতত। অবেলার ছুটি নিয়ে বসে আছি, একান্ত। ... ...
এই যে বৈদিক সাহিত্যর কথা আমরা বলি, কি কি তার উপাদান? কবে রচিত হয়েছিল বিভিন্ন সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, উপনিষদ, বেদাঙ্গ, পুরাণ, তন্ত্রসাহিত্য ? মহাকাব্যগুলি কোন সময়ের রচনা আর ধ্রুপদী সংস্কৃত সাহিত্যের সূচনাই বা কবে ? ... ...
মৌলবাদের উত্সমুখ যতদিন বন্ধ না হবে, ততোদিন অসির বিরুদ্ধে মসির অসম লড়াই চলতেই থাকবে। অন্যদিকে, আমরাও মুক্তমনার সংগ্রাম এগিয়ে নিতে মরীয়া। মৌলবাদের ছুরির নীচে গলা পেতে দিতে সর্বদাই প্রস্তুত। আর নির্মম বাস্তবতা এই যে, শেষ পর্যন্ত হত্যা করে অভিজিতদের শেষ করা যায় না। কারণ আমরা আসলে একেকজন রক্তবীজের ঝাড়। যতোবারই হত্যা করো, ততোবারই আমরা জন্মাবো। অভিজিতের মরণ নাই। আমিই অভিজিৎ! ... ...
কিন্তু সমস্ত কিছু গা-সওয়া হয়ে যাবার পরও কিছু কিছু জিনিস তবুও চমকে দেয়। দিল্লির ঘটনা যেমন। স্রেফ এইজন্য নয়, যে, পুলিশ নৃশংসতা দেখাচ্ছে। এইজন্যও নয়, যে, হিন্দুত্ববাদীদের নারকীয় গুন্ডামি নতুন কিছু। কিন্তু যা এখানে চমকে দিচ্ছে, সেটা হল প্রকাশ্যে, ইন্টারনেট যুগে যে খুল্লামখুল্লাভাবে জিনিসটা ঘটানো হচ্ছে। সরাসরি হামলা, বোমা এবং অস্ত্রের অবাধ ব্যবহার, পুলিশের পক্ষপাতদুষ্ট সক্রিয়তা, অব্যর্থভাবেই মনে করিয়ে দেয় গুজরাতের নরমেধ যজ্ঞের কথা। পদ্ধতিটা সেই একই। এবং সেটা কোথায় ঘটানো হচ্ছে? ভারত রাষ্ট্রের রাজধানীতে। বছর দুই আগেও এ ঘটনা অবিশ্বাস্য মনে হত। কিন্তু আর হচ্ছে না। সুররিয়েল মনে হচ্ছে কেবল। ভিডিও গুলো দেখলে সকলেরই মনে হবে মনে হয়। ... ...
উত্তরপ্রদেশের এক স্কুলে কার্লা হার্প এবং প্রিয়াঙ্কা পান্ডে একটি বিশেষ সমীক্ষা করেন। সমীক্ষার জন্য গৃহিত স্থিতিমাপ গুলো ছিল ভিন্ন রকমের। বিশেষ এক শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের বুদ্ধ্যঙ্ক পরিমাপ করা হয়। পরিমাপের আগে কাউকেই মনে করিয়ে দেওয়া হয় নি কে ব্রাহ্মণ, কে অব্রাহ্মণ বা কে অন্ত্যজ। দেখা যায় জাত ও গোত্রধর্ম নির্বিশেষে সবার বুদ্ধ্যঙ্ক প্রায় সমমানের। অন্ততঃ পরিসংখ্যানগত কোন তফাৎ নেই। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঐ ছাত্রছাত্রীদের বার বার মনে করানো হয় তাদের জাতি ও গোত্রধর্ম পরিচিতি। আবার বুদ্ধ্যঙ্ক পরিমাপ করতে গিয়ে দেখা যায় অন্ত্যজদের গড় বুদ্ধ্যঙ্ক অনেকটা নীচে নেমে গেছে। এই সমীক্ষা থেকে যেটা উঠে আসছে যে আর্থসামাজিক বৈষম্যের পাশাপাশি ব্যক্তির দক্ষতার ঘাটতির ক্ষেত্রে অন্যতম বড় প্যারামিটার হল জাতি বৈষম্য এবং তদুপরি ব্যক্তির জাতিগত মনোসামাজিক অবস্থান। ... ...
গত ১৬ ই ফেব্রুয়ারি রায়গঞ্জ মধ্য মোহনবাটি গ্রন্থাগারে ছিল গল্প পাঠের আসর। পঠিত গল্পগুলি নিয়ে আলোচনা করলেন আলোচক পুরুষোত্তম সিংহ ... ...
আধুনিক বৃহৎ প্রযুক্তি-নির্ভর চিকিৎসা বিজ্ঞান জনসাধারনের জীবনের বিনিময়ে এর পরিধিকে ক্রম-বিস্তৃত, ক্রম-প্রসারিত করতে চাইছে। পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র medicalized হয়ে উঠছে অর্থাৎ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, রোগা হওয়া থেকে মোটা হওয়া, বিবাহ থেকে সন্তান ধারণ করা সবকিছুই চলে আসবে মেডিসিনের নজরদারিতে – সবকিছুর শেষ কথা হবে মেডিক্যাল ওপিনিওন, পরিচালজের স্থানে থাকবে মেডিসিন। কিভাবে ঘটে এই medicalization? সে এক মর্মন্তুদ, অতি আগ্রাসী যুদ্ধ – বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিগুলোর তরফে। অতি বিস্তৃত এর জাল – পৃথিবীর প্রতিটি দেশে, ব্যতিক্রমহীনভাবে। ... ...