অনুজ ধর আবার বলেছেন যে গুমনামি বাবা নেতাজী। আমরাও আপাতত মেনে নিচ্ছি উনি নেতাজী। আমাদের প্রশ্ন কেবল এই যে নেতাজী কি এইসব উদ্ভট গালগল্প বলতে পারেন? পাঠকরা খেয়াল করুন বিরিঞ্চি বাবার মত বা আমার মতে তার চেয়েও বড় এই জোচ্চর এই গুমনামি ওরফে মহাকাল ওরফে নেতাজী এক জায়গায় বলছেন “তিনি মুক্তি বাহিনী তৈরি করতে চান, যে বাহিনীতে মুসলমান আর কমিউনিস্ট রা থাকবেনা!” (পাতা ৩৮৫-৩৮৬) মরে গেলেও এই কথা নেতাজীর মুখ দিয়ে বের হবে এ কথা কোনো বাঙালি বিশ্বাস করতে পারে বলে আমার মনে হয় না, যদি না ... ...
আগেই বলেছি যে CONUNDRUM বইতে অনুজ ধর যেভাবে, যা যা যুক্তি দিয়ে গুমনামি বাবা কে নেতাজী বলে প্রমাণ করতে চেয়েছেন, আপাতত তার সবটা মেনে নিয়ে ধরে নিচ্ছি যে গুমনামি বাবা নেতাজী, নেতাজী গুমনামি বাবা। এবার সেই নেতাজী ওরফে গুমনামি বাবা ঐ বই তেই যা যা বলেছেন পাতা ধরে ধরে সেটাই তুলে ধরছি এবং পাঠকদের জিজ্ঞেস করতে চাইছি যে এই অর্বাচীনের মত কথা বলা কি নেতাজীর পক্ষে সম্ভব? আমি মনে করি অত্যন্ত নিম্নস্তরের জোচ্চরের পক্ষেই এভাবে এই কথাগুলো বলা সম্ভব। গত অধ্যায়ে আমরা দেখেছিলাম ... ...
আগের পর্বে দেখেছিলাম গুমনামি ওরফে নেতাজী ১৯৪৯ সালে চীন চলে আসছেন। আসার আগে নিকিতা ক্রুশ্চেভ এর সঙ্গে বসে অপেরা দেখে ফেলছেন (পাতা ৭৪০)। দেখে “দাশভাদানিয়া” মানে বিদায় বন্ধু বলে চীন চলে গেলেন। সেই বছরেই পয়লা অক্টোবর পিপলস লিবারেশন আর্মি মাও এর নেতৃত্বে চীনের ক্ষমতায়। তো ঠিক সেই সময়েই মাও এর সঙ্গে মোলাকাৎ হয়েছিল কিনা তা কিন্তু গুমনামি বাবা বলেন নি। অবশ্য নিকিতা র কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তিনি চীনে গেলে মাও এর কাছেই তো যাবেন। মোদ্দা কথা হল, দারুণ বন্ধুত্ব হয়ে গেল। উনি মা ... ...
যদিও সরকারি ডিএনএ আর হাতের লেখা পরীক্ষায় ডাহা ফেল, কমিশনের রিপোর্টে clinching evidence নেই বলে পরিস্কার জানানো হয়েছে, যদিও নেতাজী পরিবারের অধিকাংশ সদশ্য বিরোধিতা করেছেন, যদিও আই এন এ র প্রায় কেউই মেনে নেন নি, যদিও ফরোয়ার্ড ব্লক দলের কেউই মেনে নেন নি তবুও আসুন তর্কের খাতিরে মেনে নিই যে CONUNDRUM বই এর লেখক যা প্রমাণ করতে চেয়েছেন তা সঠিক। অর্থাৎ নেতাজীই গুমনামি বাবা অথবা গুমনামি বাবাই নেতাজী। তাহলে এই বই এ সবথেকে সত্যি কথাগুলো কী ? কমিশন, প্রমাণ, তথ্য, এসব বাদ দি ... ...
রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর বউদির সঙ্গে প্রেম আর নেতাজী ফিরে আসবেন, বেঁচে আছেন, বিয়ে করেছেন কিনা, এই দুটো বিষয় নিয়ে যত অখাদ্য বই লেখা হোক না কেন, পাবলিশারতো জুটে যাবেই, বিক্রি বাট্টাও কম হয় না। সেটা অনেকে বুঝেছেন, বুঝেছেন অনুজ ধর ও। কাজেই নেতাজী নিয়ে প্রায় একই গাল গল্প ছাপিয়েই যাচ্ছেন। একবার বাংলা তে, একটু পালটে নিয়ে সেটাই আবার ইংরিজি তে। তো ওনার ‘নেতাজী ফিরেছিলেন’ আর CONUNDRUM বই দুটো পড়ে এই লেখা। একটা পুরো দস্তুর জোচ্চর হামবাগ নিম্ন স্তরের ফেরেব্বাজ কে ... ...
অনেকদিন আগে একবার দিন সাতেকের জন্যে ভূটান বেড়াতে যাব ঠিক করেছিলাম। কলেজ থেকে বেরিয়ে তদ্দিনে বছরখানেক চাকরি করা হয়ে গেছে। পুজোর সপ্তমীর দিন আমি, অভিজিৎ আর শুভায়ু দার্জিলিং মেল ধরলাম। শিলিগুড়ি অব্দি ট্রেন, সেখান থেকে বাসে ফুন্টসলিং। ফুন্টসলিঙে এক রাত্তির থাকব। পরের দিন পারোর পার্মিট নিয়ে বাসে করে পারো হয়ে থিম্পু। এই হল প্ল্যান। প্রথমেই গর্দিশ। আমাদের পারো যাবার পার্মিট দিলনা। কাজেই সোজা থিম্পু। থিম্পুতে নেবেই মালুম হল এখানে সাতদিন কেন, তিনদিনও থাকা যাবেনা। করার মতন কিচ্ছু নেই। দ্বিতীয়দিন ... ...
বোধন হয়ে গেছে গতকাল। আজ ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ, সন্ধ্যাবেলায় আমন্ত্রণ ও অধিবাস। তবে আমবাঙালির মতো, আমারও এসব স্পেশিয়ালাইজড শিডিউল নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই তেমন - ছেলেবেলা থেকে আমি বুঝি দুগ্গা এসে গেছে, খুব আনন্দ হবে - এটুকুই।তা এখানে সেই আকাশ আজ। গভীর নীল - পেঁজা তুলোর মতো মেঘ - সোনা রোদে ধুয়ে যাচ্ছে চরাচর। শুধু আনন্দ টাই নেই। মস্তিষ্কের ভিতরে শিরা ও ধমনীতে মহাকালের অশনি সংকেতের মতো অমোঘ ঢাক গুড়গুড় করে ওঠে যেন প্রলয়ের গর্জন - বোধনের আগেই এবারে বিসর্জন হয়ে গেছে আমার, যেতে পারিনি সেই শহরে। সিস্ ... ...
আমার চোখে আধুনিক ভারতের যত সমস্যা তার সবকটির মূলেই দায়ী আছে ব্রিটিশ শাসন। উদাহরণ, হাতে গরম এন আর সি নিন, প্রাক ব্রিটিশ ভারতে এরকম কোনও ইস্যুই ভাবা যেতো না। কিম্বা হিন্দু-মুসলমান, জাতিভেদ, আর্থিক বৈষম্য, জনস্ফীতি, গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থার অভাব, শিক্ষার অভাব সব কিছুই ব্রিটিশ শাসনের ফলে এমন এক রূপে আমরা দেখছি যা আগয়ে অভাবনীয় ছিল। এর মধ্যে কয়েকটি জিনিস নিয়ে বিতর্ক আসতে পারে, যেমন হিন্দু-মুসলমান। কিন্তু, আমি যা সূত্র পাচ্ছি তা আজকের ক্ল্যাশ অফ সিভিলাইজেশনের বদলে দুটি গোষ্ঠীর আন্তর্সম্পর্ক বই কিছু ছিল না ... ...
কথামুখ — প্রথমেই স্বীকার করে নেওয়া ভালো, আমার ইতিহাসের প্রথাগত পাঠ মাধ্যমিক অবধি। তবুও অ্যাকাডেমিক পরিসরের বাইরে নিছকই কৌতূহল থেকে গান্ধী বিষয়ক লেখাপত্তর পড়তে গিয়ে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এই অবিসংবাদী নেতাটি সম্পর্কে যে ধারণা লাভ করেছি আমি, তা আর পাঁচজনের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাওয়ার ইচ্ছে থেকেই এই দুরূহ কাজে হাত দেওয়া। মূল লেখা শুরু করার আগে কিছু প্রাথমিক কথা বলে নিতে চাই। প্রথমত, পড়ার ছন্দ ও গতি অব্যাহত রাখতে লেখার ফাঁকে ফাঁকে কেবলমাত্র গান্ধীর নিজের লেখাপত্র ছাড়া অন্য রেফারেন্স ... ...
কয়েক হপ্তা আগেও রাত নামলে যে সড়ক অন্ধকারে মুখ লুকিয়েছে, সেখানে হঠাৎ বিশ-পঁচিশ পা অন্তর অন্তর তিন মানুষ উঁচু উঁচু খাম্বা আর আলোর বহর দেখে আরও একবার নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে হারু। একখানা ভাঙার চেষ্টায় হাতের শেষ ঢিলটি ফসকে গেলে অনেকটা যেন প্রতিবর্ত ক্রিয়ার মতো অস্ফুটে গালাগাল বেরিয়ে আসে ভেতর থেকে, ‘ধুর শালা, এত উঁচুতে কেউ লাইট লাগায়!’- গুলতি আনলে হয় না হারুদা?- তোর যেমন বুদ্ধি! খোলার কাচখানা কি মোটকা দেখছিস? তার ওপরে আবার লোহার জালি, - গুলতির নুড়িতে আঁচড়ও ধরবে না।- মেলা ফ ... ...
কিছুদিন আগে মার্কিন মুলুকে একটি নারী রোবট তৈরি হয়েছে। সোফিয়া। ওয়াহাবিদের দেশ সৌদি আরব সোফিয়াকে প্রথম নাগরিকত্ব দিয়েছে। সোফিয়া ন্যাড়া, মাথায় চুল নেই। হিজাব নেই। বেগানা বেপর্দা নারী রোবট। তবুও ওয়াহাবিরা তাঁকে নাগরিকত্ব দিয়েছে। আবেগঘন বন্ধুত্বের দোহাই । সৌদিতে তাই যেকোন মার্কিন প্রোডাক্টই জায়েজ। এমনকি হলিউডের সিনেমাও। সে যাকগে, মোদ্দা কথাই আসি। তো এই যে সোফিয়া, আপনারা কি ভাবছেন ভারতীয় পূরাণের অনুপ্রেরনা ছাড়াই সেটা মার্কিনীরা বানিয়ে ফেলল ? সেটা আদৌ সম্ভব ? ধৃতরাষ্ট্রের পার্সোনাল পাইলট সঞ্জয়ের দিব্যদ ... ...
শহরে হেমন্ত আসে না। আসতে আসতে দু'দুটো ঢাউস জোড়া ব্রিজের মুখে সে কর্পুরের মতো উবে যায়। বিকেল নাগাদ একটা অজানা ঠাণ্ডা গন্ধ ছড়ায়। কারোর হঠাৎ মন কেমন করে। প্রয়োজনীয় কথার ফাঁকে ফাঁকে অকারণ ক্ষণবিরতি। এক মুহূর্তের কিছু বা বিস্মরণ। কোথাও কি যাবার ছিল? কেউ আসবে? কী জানি। পথচলতি লোকজন অকস্মাৎ একেকবার চোখ তুলে অকারণ আকাশ দেখে নেয়। কী দেখল কেন দেখল, জিজ্ঞেস করলে বলতে পারবে না। ... ...
ফার্স্ট ইয়ারে ফাইলের ওপরে লিখেছিলাম "ইউনিভার্সিটি অফ যাদবপুর"। এদিকে প্রতিবাদী বামপন্থী। কিন্তু বিক্ষুব্ধ। মানে কোন দলে নেই। ইন্ডিপেন্ডেন্ট। কী করে যেন তালেগোলে আমি ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ মানে সিআর ক্যান্ডিডেট হয়ে গেলাম। কাগজের ভাষায় ডিএসএফ সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দী এসএফয়াই-এর হয়ে দাঁড়ান আশিস দাস। অসম্ভব ম্যাড়ুম্যাড়ে ব্যাপার-স্যাপার। আমি আর আশিস গাছতলায় বসে কাউন্টার করে সিগারেট খাচ্ছিলাম আর জীবনের সুখ-দুঃখের গল্প করছিলাম। মেন বিল্ডিং-এ ব্যালট গোনা হচ্ছে। আমরা দুজন ... ...
ভারত আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র - মিল কতটুকু?একটি দেশ যদি বিশ্বের সবচাইতে শক্তিশালী অর্থনীতি হয়, আরেকটির হাল বেশ নড়বড়ে - মানুষের হাতে কাজ নেই, আদ্ধেক মানুষের পেটে খাবার নেই, মাথার ওপরে ছাদ নেই, অসুস্থ হলে চিকিৎসার বন্দোবস্ত নেই। অবশ্য দুর্জনেরা বলেন, প্রথম দেশটিরও হাল সুবিধের নয় - গরীব-বড়লোকের মধ্যে বিভাজন বাড়ছে সেদেশেও, কাজ হারাচ্ছেন সেদেশেও হাজারে হাজারে মানুষ, চিকিৎসা করাতে না পেরে অসুস্থতা-হতাশায় ভুগছেন বিশ্বের সবচাইতে শক্তিশালী অর্থনীতির অজস্র নাগরিক।কিন্তু, সে তো গেল আজকের ... ...
গরু বাগদির মর্মরহস্য - মাঝে কেবল একটি একক বাঁশের সাঁকো। তার দোসর আরেকটি ধরার বাঁশ লম্বালম্বি। সাঁকোর নিচে অতিদূর জ্বরের মতো পাতলা একটি খাল নিজের গায়ে কচুরিপানার চাদর জড়িয়ে রুগ্ন বহুকাল। খালটি জলনিকাশির। ঘোর বর্ষায় ফুলে ফেঁপে ওঠে পচা লাশের মতো। যেহেতু এই খালে চার চারটি রাইস মিলের ধানসেদ্ধ জল পড়ে, তাই লোকমুখে নাম পচুয়াখাল। খালটি মাতলায় গিয়ে পড়েছে। গরু বাগদির কথা কেউ কখনও শোনে না। অথচ সে বোবা, এমন নয়। অপ্রয়োজনীয় কথা বলে না। ... ...
বাংলায় শেষমেস এনআরসি হবে, না হবে না, জানি না। তবে গ্রামের সাধারণ নিরক্ষর মানুষের মনে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আজ ব্লক অফিসে গেছিলাম। দেখে তাজ্জব! এত এত মানু্ষের রেশন কার্ডে ভুল! কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানলাম প্রায় সবার ভোটারেও ভুল। সব আইকার্ড নির্ভুল আছে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই দুস্কর। অন্যের ভুলের দায় সাধারন মানুষ গুলোকে পোহাতে হচ্ছে। লাল্টু সেখ, ফরিদা বিবি, লক্ষীরানী বাউরি, গোবিন্দ বায়েনদের লম্বা লাইন সাপের মতো চলে গেছে। কাউন্টার থেকে অফিসের প্রধান দরজা পেরিয়ে রোড অব্দি। ঘন্টার পর ঘন্টা এভ ... ...
(১)বিপিন বাবু সোদপুর থেকে ডি এন ৪৬ ধরবেন। প্রতিদিন’ই ধরেন। গত তিন-চার বছর ধরে এটাই বিপিন’বাবুর অফিস যাওয়ার রুট। হিতাচি এসি কোম্পানীর সিনিয়র টেকনিশিয়ন, বয়েস আটান্ন। এত বেশী বয়েসে বাড়ি বাড়ি ঘুরে এসি সার্ভিসিং করা, ইন্সটল করা একটু চাপ।ভুল বললাম, অনেকটাই চাপ। সাধারণত: কেউ করে না। এই বয়েসে ম্যাক্সিমাম অফিসে বসে হাল্কা ডেস্ক ওয়ার্ক। খুব বেশী কায়িক পরিশ্রমের কাজ হলে কর্পোরেট অফিসে টানা সেন্ট্রাল এসি বসানোর কাজের দেখভাল। ওসব প্রোজেক্টে অনেক জুনিয়র ছেলে কাজ করে, তাদেরকে দিয়ে ঠিকঠ ... ...
গত তিন বছর ধরে ছেলের খুব ঘুড়ি ওড়ানোর শখ। গত দুবার আমাকে দিয়ে ঘুড়ি লাটাই কিনিয়েছে কিন্তু ওড়াতে পারেনা - কায়দা করার আগেই ঘুড়ি ছিঁড়ে যায়। গত বছর আমাকে নিয়ে ছাদে গেছিল কিন্তু এই ব্যপারে আমিও তথৈবচ - ছোটবেলায় মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল ঘুড়ি ওড়ানো "বদ ছেলে" দের কাজ - অতএব গ্রাম / মফস্বলে ছেলেবেলা কাটিয়েও আমার ঘুড়ি ওড়ানো হয়নি - অন্যরা ওড়াতো, আমি সতৃষ্ণ নয়নে চেয়ে দেখে বোঝার চেষ্টা করতাম কেন এটা খারাপ কাজ। সে বোধ আজও হলনি আমার - এদিকে যারা এসব বলত, তারা দেখি কবে যেন পালটি খেয়ে গেছে - ঘুড়ি ওড়ানো নাকি খুবই ... ...
১৯৮৩ সনের মাঝামাঝি অকস্মাৎ আমাদের বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ(ক) শ্রেণী দুই দলে বিভক্ত হইয়া গেল।এতদিন ক্লাসে নিরঙ্কুশ তথা একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করিয়া ছিল কুচু। কুচুর ভাল নাম কচ কুমার অধিকারী। সে ক্লাসে স্বীয় মহিমায় প্রভূত জনপ্রিয়তা অর্জন করিয়াছিল। একটি গান অবিকল কিশোরের স্টাইলে গাহিবার অব্যবহিত পরেই সে মহম্মদ রফির স্টাইলে পরবর্তী গান গাহিত। এছাড়া মিঠুনের কোন সিনেমা রিলিজ করিল, 'তেরি মেহেরবানিয়া'র স্টোরি কীরূপে অভিনব, দলবদলে ইস্টবেঙ্গল কীরূপ কৌশলে মোহনবাগানের হাতে হ্যারিকেন ধরাইল, এইসব বিষয়েও তা ... ...
ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম ও কর্পোরেট পুঁজির স্বার্থে, দীর্ঘসংগ্রামে অর্জিত অধিকার সমূহকে মোদী সরকার হরণ করছে— আলোচনা করলেন রতন গায়েন। দেশে নয়া উদারবাদী অর্থনীতি লাগু হওয়ার পর থেকেই দক্ষিণপন্থার সুদিন সূচিত হয়েছে। তথাপি ১৯৯০-২০১৪-র মধ্যবর্তী সময়ে দক্ষিণপন্থার দাপট বাম ও আঞ্চলিক শক্তির প্রভাবের কারণে কিছু পরিমাণে প্রশমিত ছিল। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি’র একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ চরম দক্ষিণপন্থার জন্ম দেয়। ২০১৯-র নির্বাচনে আরো বেশি গরিষ্ঠতা লাভকে মোদী দক্ষিণপন্থার পক্ষে এ ... ...