"ইনসাইড আস দেয়ার ইজ সামথিং দ্যাট হ্যাজ নো নেম,দ্যাট সামথিং ইজ হোয়াট উই আর। "হোসে সারামাগো, ব্লাইন্ডনেস ***হেলেন - ঘড়ির কাঁটাটাকে এক ঘন্টা বাঁয়ে হেলিয়ে দিলে, সৌম্য তখনও বসেছিলো শিখরের পাশে। বাইরে একটা ভ্যাপসা গরম ছাড়ছে। জানালার নিচে হানিসাকলের ভারি উগ্র মিষ্টি গন্ধ ফ্লাই স্ক্রিনের মিহি জালি ভেদ করে ঢুকতে চাইছে নাছোড়বান্দা। ধাপে ধাপে নিচে নেমে যাওয়া বুরিম অ্যাভেন্যুর ওদিকে চীৎকার করছে রোদ। এখান থেকে আকাশ দেখা যায় না । ... ...
পায়ের নিচে মাটি তোলপাড় হচ্ছিল প্রফুল্লর— ভূমিকম্পর মত। পৃথিবীর অভ্যন্তরে যেন কেউ আছাড়ি পিছাড়ি খাচ্ছে— সেই প্রচণ্ড কাঁপুনিতে ফাটল ধরছে পথঘাট, দোকানবাজার, বহুতলে। পাতাল থেকে গোঙানির আওয়াজ আসছিল। ঝোড়ো বাতাস বইছিল রেলব্রিজের দিক থেকে। প্রফুল্ল দোকান থেকে বেরিয়ে নেতাজি মূর্তির দিকে দৌড়ল। চশমা চোখে টুপি মাথায় ফ্যাটফ্যাটে সাদা নেতাজি সেই কবে থেকে চৌমাথার মোড়ে— হাত, পা, ঘোড়াবিহীন। ছোটবেলায় প্রফুল্ল আর হেমন্ত বাবার হাত ধরে মূর্তির সামনে পতাকা তোলা দেখত; উঠো গো ভারতলক্ষ্মী গান হত। পুনঃ কনক-কমল-ধন-ধান্যে গ ... ...
অনেকদিন পরে পুরনো পাড়ায় গেছিলাম। মাঝে মাঝে যাই। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়, আড্ডা হয়। বন্ধুদের মা-বাবা-পরিবারের সঙ্গে কথা হয়। ভাল লাগে। বেশ রিজুভিনেটিং। এবার অনেকদিন পরে গেলাম। এবার গিয়ে শুনলাম তপেস নাকি ব্যবসা করে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। একটু পরে তপেসও এল আড্ডায়। জিগেস করলাম, কী ব্যাপার কাকা? ্বেওসা করে লাল হয়ে গেছ শুনলাম এই কদিনে, ড্রাগ বেচছ নাকি?"আরে ড্রাগ ছাড়। পুজো-পুজো। আজকাল এই পুজো-টুজো কীরকম নুইসেন্স হয়েছে জানিস তো! তার ওপর জুটেছে থিম। কাগজ আর টিভির দৌলতে সব পুজোই এখন হিট পুজো। আম ... ...
সেকালে কাঁসাই নদীতে 'সুতি' নামের একটা খেলা প্রচলিত ছিল। মাছ ধরার অভিনব এক পদ্ধতি, বহু কাল ধরে যা চলে আসছে। আমাদের পাড়ার একাধিক লোক সুতি খেলাতে অংশ নিত। এই মৎস্যশিকার সার্বজনীন, হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ে জনপ্রিয়। মনে আছে ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় একদিন নদীর কাছে গিয়ে দেখি আমাদের পাড়ার প্রতিবেশী জনাব রাজা সুতিতে একটি মাঝারি রুই তুললেন। মাছটিকে খেলিয়ে টেনে তুলে এনে মাছের খাবি খাওয়া ঠোঁট মুখের কাছে নিয়ে কীসব অদ্ভুত মন্ত্র বিড়বিড় করে জপতে লাগলেন। এইসব লোকাচার খেলারই অঙ্গ।যাই হোক, এবার নবমী ... ...
আমার যে ঠাকুর-দেবতায় খুব একটা বিশ্বাস আছে, এমন নয়। শাশ্বত অবিনশ্বর আত্মাতেও নয়। এদিকে, আমার এই জীবন, এই বেঁচে থাকা, সবকিছু নিছকই জৈবরাসায়নিক ক্রিয়া, এমনটা সবসময় বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না - জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য-পরিণতি সব নিয়েই বেশ ঘেঁটে থাকি। সেদিক থেকে বরং তথাগত বুদ্ধের অনাত্মার ধারণা কিছুটা গ্রহণযোগ্য মনে হয়। কিন্তু, এলোমেলো সেসব ভাবনার দিকগুলো নিজের মনেই গুছিয়ে উঠতে পারিনি, কাজেই সাজিয়েগুজিয়ে বলে ওঠা মুশকিল।বরং বলতে পারি, এই দশমীর দুপুরে ঘরের ... ... ...
দেশের সবচেয়ে মেধাবীরা বুয়েটে পড়ার সুযোগ পায়। দেশের সবচেয়ে ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিঃসন্দেহে বুয়েট। সেই প্রতিষ্ঠানের একজন ছাত্রকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে মেরে ফেলল কিছু বরাহ নন্দন! কাওকে পিটিয়ে মেরে ফেলা কি খুব সহজ কাজ? কতটুকু জোরে মারতে হয়? একজন মানুষ পারে আরেকজন মানুষকে কিছু দিয়ে আঘাত দিয়ে দিয়ে মেরে ফেলতে? এত নীচ মানুষ হয় কীভাবে? মানুষ না সৃষ্টির সেরা জীব বলে গর্ব করে? আবরার ভারতের সাথে নতুন পানি চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে কিছু লিখেছে, এই কারনে তাকে শিবির সন্দেহে মহান ছাত্রলীগের সুমহান ছাত্ররা ত ... ...
চন্দ্রপুলিধনঞ্জয় বাজার থেকে এনেছে গোটা দশেক নারকেল। কিলোটাক খোয়া ক্ষীর। চিনি। ছোট এলাচ আনতে ভুলে গেছে। যত বয়েস বাড়ছে ধনঞ্জয়ের ভুল হচ্ছে ততো। এই নিয়ে সকালে ইন্দুবালার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। ছোট খাটো ঝগড়াও। পুজো এলেই ইন্দুবালার মন ভালো থাকে না। কেমন যেন খিটখিটে হয়ে যায়। পইপই করে ধনঞ্জয় বলেছিল মেয়ে ডাকছে এতো করে ঘুরে এসো। ইন্দুবালার ছোট মেয়ে থাকে ব্যাঙ্গালোরে। এবছরেই তাদের সেখানকার পাট উঠবে। জামাই চলে যাবে ইউক্রেনে। মেয়ে তার ছেলেপুলে নিয়ে এসে উঠবে দিল্লী। শ্বশুর বাড়িতে। তারপর সেখান থেক ... ...
আজকে সরাসরি গুল গল্পতে চলে যাই। যাবার আগে দুটো কথা। কেউ কেউ লিখছেন মুখার্জি কমিশনে কী বলা হয়েছিল? কোন আমেরিকান গ্রাফোলজিস্ট এর রিপোর্টে কী আছে দেখেছেন কিনা? ইত্যাদি কিছু প্রশ্ন। আমি আগেও বলেছি আবার বলছি যে আপাতত মেনেই নিচ্ছি, যে গুমনামি বাবা যিনি নিজেকে নেতাজী বলে দাবী করছেন বা গুমনামি বাবা যাকে অনুজ ধর নেতাজী বলছেন তিনিই নেতাজী, এবার সেই গুমনামি ওরফে নেতাজী ওরফে ভগবানজী বা মহাকাল নিজের মুখে যা যা বলে গেছেন, সেগুলো কতখানি বিশ্বাসযোগ্য সেটাই কেবল আলোচনা করছি। গতকালই ... ...
আজ শুরুতেই একটু ইতিহাস নিয়ে চর্চা হোক। গুমনামির গুল গল্পে পরে আসছি। কেউ একটা বই লিখে দিলেই সেটা ইতিহাস হয়ে যায় না। অযোধ্যায় রাস্তায় অনেক চটি বই পাওয়া যায়, সেখানে অমুক সন্ত তমুক মহারাজ রাম ঠিক কোন জায়গায়, কবে কোন মুহূর্তে জন্ম নিয়েছিল,তার বিবরণ আছে। অবশ্যি নানান বই তে নানান বিবরণ। তাতে কি? তাদের সবাই দাবী করেন যে ঘোড়ার মুখ থেকে বার করা তথ্য, এসব বলে গেছেন অমুক মহারাজ, তমুক মহারাজ। এদের আবার নিজেদের মধ্যেও রোজকার ক্যাঁচাল। যেমন ঝগড়া গুমনামির ফলোয়ারদের মধ্যেও। একদল বলে ... ...
CONUNDRUM বই এর একটা মজা হল গুজব, মিথ্যে আর মাঝে মধ্যে ইতিহাস বলার একটা ভনিতা কে বজায় রাখা। যেখানে গুমনামি বাবা বলছেন উনি হো চি মিন কে যুদ্ধ শেখাতে গিয়েছিলেন, তার পরেই বলা হচ্ছে কে কে কখন গুমনামিবাবা কে হ্যানয় এ দেখেছেন, এরকম কে কে রাশিয়া তে দেখেছেন তার কথা আছে, কে কে চীনে দেখেছেন সেই গল্পো আছে, কখন তাকে বাঙলাদেশে দেখা গেছে ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রমাণ করার চেষ্টা যে গুমনামি বাবা যা বলছেন তার কিছুটা হলেও সারবত্তা আছে। এবং এসব গুজব নতুন নয়। নেহেরুর শেষকৃত্যের সময় ইনি ... ...
কেউ কেউ প্রশ্ন করেছেন যে এই গুমনামি র সঙ্গে আর এস এস - বিজেপির সম্পর্ক টা কোথায়?তাহলে একটু ইতিহাস দেখে নেওয়া যাক। ২২ ডিসেম্বর ১৯৪৯, রাত ৩ টের সময় আযোধ্যার আকাশে বিদ্যুৎ চমকালো। এবং বিদ্যুতের চেয়েও বেশি বেগে খবর পৌঁছে গ্যালো "রামলালা নিজেই অবতীর্ণ হলেন তাঁর জন্মভূমীতে", বাবরি মসজিদ কে ঘিরে সেখানকার হিন্দু সাধুদের যে দাবি ছিল তা হয়ে উঠল আর এস এস হিন্দু মহাসভার দাবী। সেই থেকে শুরু মন্দির ওঁহি বানায়েংগের আন্দোলন। আসল ঘটনা জানার পর পরেরদিন ই অযোধ্যা থানার ... ...
গুমনামি = নেতাজী = মহাকাল = গুমনামি। আমি বলছিনা একথা বলেছেন অনুজ ধর এবং তাঁর বই এ একে একে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে উনিই নেতাজী । তর্কের খাতিরে আমি মেনে নিয়েছি যে উনিই নেতাজী। তারপর গুমনামি বাবা যা বলেছেন (অনুজ ধর এর বই তেই মাত্র যা আছে) তা নিয়ে আলোচনা করছি, সঙ্গে কোন পাতায় তা লেখা আছে সেটাও উল্লেখ করছি। বই এর শেষ অধ্যায় এ তিনি একটা escape route রেখেছেন এই বলে যে উনি Post Trauma Stress Disorder এর রোগি ছিলেন, তাই মাঝে মধ্যে hallucinate (ভুলভাল দেখা বা শোনা) ... ...
অনুজ ধর আবার বলেছেন যে গুমনামি বাবা নেতাজী। আমরাও আপাতত মেনে নিচ্ছি উনি নেতাজী। আমাদের প্রশ্ন কেবল এই যে নেতাজী কি এইসব উদ্ভট গালগল্প বলতে পারেন? পাঠকরা খেয়াল করুন বিরিঞ্চি বাবার মত বা আমার মতে তার চেয়েও বড় এই জোচ্চর এই গুমনামি ওরফে মহাকাল ওরফে নেতাজী এক জায়গায় বলছেন “তিনি মুক্তি বাহিনী তৈরি করতে চান, যে বাহিনীতে মুসলমান আর কমিউনিস্ট রা থাকবেনা!” (পাতা ৩৮৫-৩৮৬) মরে গেলেও এই কথা নেতাজীর মুখ দিয়ে বের হবে এ কথা কোনো বাঙালি বিশ্বাস করতে পারে বলে আমার মনে হয় না, যদি না ... ...
আগেই বলেছি যে CONUNDRUM বইতে অনুজ ধর যেভাবে, যা যা যুক্তি দিয়ে গুমনামি বাবা কে নেতাজী বলে প্রমাণ করতে চেয়েছেন, আপাতত তার সবটা মেনে নিয়ে ধরে নিচ্ছি যে গুমনামি বাবা নেতাজী, নেতাজী গুমনামি বাবা। এবার সেই নেতাজী ওরফে গুমনামি বাবা ঐ বই তেই যা যা বলেছেন পাতা ধরে ধরে সেটাই তুলে ধরছি এবং পাঠকদের জিজ্ঞেস করতে চাইছি যে এই অর্বাচীনের মত কথা বলা কি নেতাজীর পক্ষে সম্ভব? আমি মনে করি অত্যন্ত নিম্নস্তরের জোচ্চরের পক্ষেই এভাবে এই কথাগুলো বলা সম্ভব। গত অধ্যায়ে আমরা দেখেছিলাম ... ...
আগের পর্বে দেখেছিলাম গুমনামি ওরফে নেতাজী ১৯৪৯ সালে চীন চলে আসছেন। আসার আগে নিকিতা ক্রুশ্চেভ এর সঙ্গে বসে অপেরা দেখে ফেলছেন (পাতা ৭৪০)। দেখে “দাশভাদানিয়া” মানে বিদায় বন্ধু বলে চীন চলে গেলেন। সেই বছরেই পয়লা অক্টোবর পিপলস লিবারেশন আর্মি মাও এর নেতৃত্বে চীনের ক্ষমতায়। তো ঠিক সেই সময়েই মাও এর সঙ্গে মোলাকাৎ হয়েছিল কিনা তা কিন্তু গুমনামি বাবা বলেন নি। অবশ্য নিকিতা র কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তিনি চীনে গেলে মাও এর কাছেই তো যাবেন। মোদ্দা কথা হল, দারুণ বন্ধুত্ব হয়ে গেল। উনি মা ... ...
যদিও সরকারি ডিএনএ আর হাতের লেখা পরীক্ষায় ডাহা ফেল, কমিশনের রিপোর্টে clinching evidence নেই বলে পরিস্কার জানানো হয়েছে, যদিও নেতাজী পরিবারের অধিকাংশ সদশ্য বিরোধিতা করেছেন, যদিও আই এন এ র প্রায় কেউই মেনে নেন নি, যদিও ফরোয়ার্ড ব্লক দলের কেউই মেনে নেন নি তবুও আসুন তর্কের খাতিরে মেনে নিই যে CONUNDRUM বই এর লেখক যা প্রমাণ করতে চেয়েছেন তা সঠিক। অর্থাৎ নেতাজীই গুমনামি বাবা অথবা গুমনামি বাবাই নেতাজী। তাহলে এই বই এ সবথেকে সত্যি কথাগুলো কী ? কমিশন, প্রমাণ, তথ্য, এসব বাদ দি ... ...
রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর বউদির সঙ্গে প্রেম আর নেতাজী ফিরে আসবেন, বেঁচে আছেন, বিয়ে করেছেন কিনা, এই দুটো বিষয় নিয়ে যত অখাদ্য বই লেখা হোক না কেন, পাবলিশারতো জুটে যাবেই, বিক্রি বাট্টাও কম হয় না। সেটা অনেকে বুঝেছেন, বুঝেছেন অনুজ ধর ও। কাজেই নেতাজী নিয়ে প্রায় একই গাল গল্প ছাপিয়েই যাচ্ছেন। একবার বাংলা তে, একটু পালটে নিয়ে সেটাই আবার ইংরিজি তে। তো ওনার ‘নেতাজী ফিরেছিলেন’ আর CONUNDRUM বই দুটো পড়ে এই লেখা। একটা পুরো দস্তুর জোচ্চর হামবাগ নিম্ন স্তরের ফেরেব্বাজ কে ... ...
অনেকদিন আগে একবার দিন সাতেকের জন্যে ভূটান বেড়াতে যাব ঠিক করেছিলাম। কলেজ থেকে বেরিয়ে তদ্দিনে বছরখানেক চাকরি করা হয়ে গেছে। পুজোর সপ্তমীর দিন আমি, অভিজিৎ আর শুভায়ু দার্জিলিং মেল ধরলাম। শিলিগুড়ি অব্দি ট্রেন, সেখান থেকে বাসে ফুন্টসলিং। ফুন্টসলিঙে এক রাত্তির থাকব। পরের দিন পারোর পার্মিট নিয়ে বাসে করে পারো হয়ে থিম্পু। এই হল প্ল্যান। প্রথমেই গর্দিশ। আমাদের পারো যাবার পার্মিট দিলনা। কাজেই সোজা থিম্পু। থিম্পুতে নেবেই মালুম হল এখানে সাতদিন কেন, তিনদিনও থাকা যাবেনা। করার মতন কিচ্ছু নেই। দ্বিতীয়দিন ... ...
বোধন হয়ে গেছে গতকাল। আজ ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ, সন্ধ্যাবেলায় আমন্ত্রণ ও অধিবাস। তবে আমবাঙালির মতো, আমারও এসব স্পেশিয়ালাইজড শিডিউল নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই তেমন - ছেলেবেলা থেকে আমি বুঝি দুগ্গা এসে গেছে, খুব আনন্দ হবে - এটুকুই।তা এখানে সেই আকাশ আজ। গভীর নীল - পেঁজা তুলোর মতো মেঘ - সোনা রোদে ধুয়ে যাচ্ছে চরাচর। শুধু আনন্দ টাই নেই। মস্তিষ্কের ভিতরে শিরা ও ধমনীতে মহাকালের অশনি সংকেতের মতো অমোঘ ঢাক গুড়গুড় করে ওঠে যেন প্রলয়ের গর্জন - বোধনের আগেই এবারে বিসর্জন হয়ে গেছে আমার, যেতে পারিনি সেই শহরে। সিস্ ... ...
আমার চোখে আধুনিক ভারতের যত সমস্যা তার সবকটির মূলেই দায়ী আছে ব্রিটিশ শাসন। উদাহরণ, হাতে গরম এন আর সি নিন, প্রাক ব্রিটিশ ভারতে এরকম কোনও ইস্যুই ভাবা যেতো না। কিম্বা হিন্দু-মুসলমান, জাতিভেদ, আর্থিক বৈষম্য, জনস্ফীতি, গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থার অভাব, শিক্ষার অভাব সব কিছুই ব্রিটিশ শাসনের ফলে এমন এক রূপে আমরা দেখছি যা আগয়ে অভাবনীয় ছিল। এর মধ্যে কয়েকটি জিনিস নিয়ে বিতর্ক আসতে পারে, যেমন হিন্দু-মুসলমান। কিন্তু, আমি যা সূত্র পাচ্ছি তা আজকের ক্ল্যাশ অফ সিভিলাইজেশনের বদলে দুটি গোষ্ঠীর আন্তর্সম্পর্ক বই কিছু ছিল না ... ...