দুনিয়া বৈষম্যে ভরা – অনেক সময়েই বোঝা যায় না কি কারণে একটা জিনিস অন্যের থেকে বেশী ফুটেজ খেয়ে চলে যায়! এই দেখুন না, ভিয়েতনামের এককালীন চেয়ারম্যান হো চি মিন-কে নিয়ে পাবলিক যেভাবে হৈ চৈ করে, ভিয়েতনামের খাবার নিয়ে কেউ সে রকম উতুপতু করে না! এটা কি ভিয়েতনামের খাবার প্রতি একপ্রকারের অবমাননা নয়? কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেবার মত আবার যখন দেখা যায় প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের কুজিনের নাম হো চি ... ...
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটা অধ্যায় শেষ হল। এমন একটা চরিত্রও যে দেশের রাজনীতিতে এত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকতে পারে তা না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল ছিল, এ এক বিরল ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে যুদ্ধ না করে কোন সামরিক অফিসার বাড়িতে ঘাপটি মেরে বসে ছিলেন আবার পরবর্তীতে ঘটনার ঘূর্ণিপাকে সেই দেশের প্রধান হয়ে দেশ চালিয়েছেন! এ কী সোজা কথা? দেশ চালিয়েছেন, স্বৈরশাসক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন, বিশ্ব বেহায়া খেতাব পেয়েছিলেন শিল্পী কামরুল হাসানের কাছ থেকে, জেল খেটেছেন, জেল থেকে বের হয়ে আবার রাজনীতিতে গুরুত্বপ ... ...
১৯৪০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘পদাতিক’। এর এক বিখ্যাত কবিতার প্রথম পংক্তিটি ছিল – “কমরেড আজ নবযুগ আনবে না ?” তার আগেই গোটা পৃথিবীতে কবিতার এক বাঁকবদল হয়েছে, বদলে গেছে বাংলা কবিতাও।মূলত বিশ্বযুদ্ধের প্রভাবে সভ্যতার অভূতপূর্ব সঙ্কট সামনে এসেছিল। সভ্যতার পীঠস্থানকে মনে হচ্ছিল ওয়েস্টল্যান্ড। এদেশে পরাধীনতা, সাম্প্রদায়িক বিষবাস্প, দুর্ভিক্ষ মৃত্যুমিছিল নিরাশাকরোজ্জ্বল চেতনায় আরো নতুন নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। এর বিপরীতে বড় ধরনের আশাবাদ সঞ্চারিত হয়েছিল বিশ্বযু ... ...
মৃণাল সেনের জন্ম ১৯২৩ সালের ১৪ মে, পূর্ববঙ্গে। কৈশোর কাটিয়ে চলে আসেন কোলকাতায়। স্কটিশ চার্চ কলেজ ও কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশুনো করেন। বামপন্থী রাজনীতির সাথে বরাবর জড়িয়ে থেকেছেন, অবশ্য কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন না।চলচ্চিত্র নির্মাণ পর্বের আগে চলচ্চিত্র নিয়ে তাত্ত্বিক পড়াশুনো ও লেখালেখি শুরু করেছিলেন। রুডলফ আর্নহেইমের ফিল্ম এসথেটিকস, নীলসনের সিনেমা অ্যাজ এ গ্রাফিক আর্ট এর মতো বই তাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।১৯৫৫ সালে তাঁর প্রথম ছ ... ...
সম্প্রতি চলে গেলেন বাংলার সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক অলোক রায়। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের শেষ দিক থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ছয় দশক জুড়ে তিনি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের বিভিন্ন দিক নিয়ে লেখালেখি করেছেন। এর মধ্যে বাংলা কথাসাহিত্য সম্পর্কে কয়েকটি বই পাঠকের চিন্তাকে বিশেষভাবে উশকে দিতে সক্ষম হলেও তাঁর গবেষণার প্রধান বিষয় ছিল উনিশ শতক। রাজেন্দ্রলাল মিত্রকে দিয়ে তিনি শুরু করেছিলেন তাঁর গবেষণাকর্ম। পরবর্তী ছয় দশক জুড়ে উনিশ শতকের বহু মনীষা ও প্রবণতা নিয়ে তিনি উল্লেখযোগ্য কাজ ... ...
ক্রিকেট মানেই যুদ্ধু। আর যুদ্ধু বলতে মনে পড়ে ষাটের দশক। এদিকে চীন, ওদিকে পাকিস্তান। কিন্তু মন পড়ে ক্রিকেট মাঠে। ১৯৬৬ সাল হবে। পাকিস্তানের গোটা দুয়েক ব্যাটেলিয়ন একা কচুকাটা করে একই সঙ্গে দুটো পরমবীর চক্র পেয়ে কলকাতায় ফিরেছি। সে চক্রদুটো অবশ্য আর নেই। পাড়ার "জগন্নাথঅ ফ্র্যায়েড স্ন্যাক্স" নামক তেলেভাজার দোকানে বাঁধা দিয়ে পাক্কা দুটি বছর মুড়ি-তেলেভাজা পেঁদিয়েছি। সে যাক, সেবার তোদের মনসুর পতৌদি এল সকালবেলা। সবে এজমালি বাথ্রুম ফাঁকা পেয়ে একটা বিড়ি নিয়ে ঢুকেছি অমনি দরজায় দুম-দুম। পতৌদি এসেছে। ... ...
আচ্ছা লাবণ্য তুমি কি করো?আমি গম্ভীর গলায় জবাব দিলাম, আমি চিন্তা করি। :কি চিন্তা করো?-অনেক গুরুত্বপূর্ণ চিন্তা করি। দেশের সব লেটেস্ট নিউজগুলো তো আমাকেই সবার আগে আগে ফেসবুকে আপডেট দিতে হয়! সেখান থেকে শেয়ার হয়ে ছড়িয়ে পড়ে।সদ্য বিসিএস ক্যাডার হওয়া অনিক অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালো।আমরা বসে আছি H20 রেস্টুরেন্টে। আজকাল নতুন একটা রীতি হয়েছে। কনে দেখাদেখি বাড়িতে না হয়ে রেস্টুরেন্টে হচ্ছে। আমার জন্য ভালো হয়েছে। মন খুলে আলাপ করা যাবে। ইদানিং আমার ... ...
২০১৭ সালের ১২-১৩ জুন রাতে শুরু হয় একের পর এক পাহাড় ধসের যজ্ঞ। এক সঙ্গে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে পাহাড় ধসে ব্যপক হতাহতের খবর চমকে ওঠে দেশ। এরমধ্যে রাঙামাটিই সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে বিপন্ন, লণ্ডভণ্ড হয় পার্বত্য জনপদ। সে সময় একজন পাহাড়ি বন্ধু ফেসবুকে মাটিচাপা পড়া দুটি নিস্পাপ শিশু ভাইবোনের কাদামাখা নিথর দেহের ছবি পোস্ট করেন। সঙ্গে সঙ্গে কেউ একজন মন্তব্য করেন এরকম, “ছবিটি কেউ সরাবেন প্লিজ? আমি আর নিতে পারছি না!“ ... ...
বারো-তেরো বছর বয়স হবে তখন। বাবার সঙ্গে শরৎকালে যাচ্ছিলুম আমাদের দ্যাশের বাড়ি। থার্টি আপ নামক ট্রেনটি, এখন যার নাম কুর্লা এক্সপ্রেস, টাটানগর থেকে হাওড়া যেতে সব স্টেশনে দাঁড়াতো।প্যাসেঞ্জারের অধম। তখনও গীতাঞ্জলিই শুরু হয়নি। জ্ঞানেশ্বরী, আজাদ হিন্দ, দুরন্ত সব তখন স্বপ্নে। বম্বে যেতে আসতে টোয়েন্টি নাইন ডাউন বা রাতে বম্বে মেল। আমরা দিনের বেলা খড়গপুর যেতে গেলে থার্টি আপ ধরতুম টাটানগর থেকে। সকালবেলা 'ভাতেভাত' খেয়ে সেই যাত্রা। খড়গপুরে নেমে ধরতে হতো গোমো প্যাসেঞ্জার। বিকেল বিকেল পৌঁছে দিতো আমাদের দ্যাশের ... ...
পোস্ট মডার্ণ বা উত্তর আধুনিককে বিদ্বজ্জনেরা সংক্ষেপে পোমো বলে থাকেন। অর্থাৎ পোমো কবিতা হল উত্তর আধুনিক কবিতা। সাহিত্যে, বিশেষতঃ বাংলা সাহিত্যে এই কবিতার এক অসামান্য অবদান রয়েছে – সেই নিয়েই আমাদের আজকের বিদগ্ধ আলোচনা। যারা বুদ্ধিজীবি নন বা এখনো সম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন নি – তারা এই আলোচনাকে এড়িয়ে যাবেন না – আপনাদের কিঞ্চিৎ জ্ঞানবৃদ্ধি না করতে পারলে আর এত বুদ্ধি নিয়ে করবটা কি বলুন – আজকাল আর কিডনিতেও ধরে না যে। অনেকে ভাবেন যেমন তেমন অর্থহীন কিছু পংক্তি লিখে গেলেই বোধ হয় পোমো কবিতা হয়ে যায় ... ...
'এই দুর্ভাগা দেশকে আপনার কণ্ঠমাধুরী ও কলাসিদ্ধির দ্বারা আনন্দিত করুন, সুস্থ করুন। বিশেষত যখন রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি শ্যামার কথা ভাবি তখন আমি অভিভূত হয়ে যাই। এই সূক্ষ্ম জটিল নানা বিপরীত অনুভূতির টানাপোড়েনে ক্ষতবিক্ষত নারীকে আপনি ছাড়া আর কে এমন সার্থক রূপ দিতে পারত? এই পাপিষ্ঠাকে রবীন্দ্রনাথ আশ্চর্জ ট্রাজিক মহিমা দান করেছেন। কিন্তু আমাদের ও কবির মাঝখানে একজন interpreter আবশ্যক ছ্ল। সেই সুযোগ্য interpreter কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনার কাছ থেকে আমরা অনেক পেয়েছি।' ... ...
মালপোয়াভোর থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। ঘুম ভেঙে গিয়েছিল তার অনেক আগেই। অন্ধকার ঘরটায় শুয়ে বৃষ্টির আওয়াজ শুনছিলেন ইন্দুবালা। অল্প অল্প বাতাসে দুলছিল জানলার হালকা পর্দা গুলো। তার ফাঁক দিয়ে উঁকি মারছিল একটু একটু করে ফর্সা হতে থাকা আকাশটা। একতলায় ভাতের হোটেলের ওপরে তাঁর ঘরটা ছোট্ট হলেও বেশ খোলামেলা। অন্তত এই বাড়ির অন্য ঘর গুলোর থেকে। ঘরের চারিদিক বরাবর বেশ কয়েকটা জানলা। সামনের দিকে এগিয়ে গেলে ছেনু মিত্তর লেন। হরেক মানুষ, গাড়ি ঘোড়ার যাতায়াত। আর পেছন দিকটা শাশুড়ির আমলের ছোট্ট বাগান। সিড় ... ...
চুয়াত্তর বার তাকে গুলি করা হয়েছিল। পেলেটের আঘাতে চোখদুটোও গেল শেষমেশ। বর্শার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করা হলো,রেহাই পায়নি তার বুক আঁকড়ে থাকা বাচ্চাটাও। কিন্তু কোথায়ই বা যেতে পারতো সে ! বনের পর বন উজাড় হয়ে গেছে,এক ফোঁটা খাবার নেই কোথাও। অন্যের ক্ষেত থেকে খাবার চুরি করবার অপরাধে এক রাতে তার কোলের বাচ্চাটাকে কেড়ে নেওয়া হয়। অন্ধেরও তো চোখের জল বাড়ন্ত হয়না। তাই খুব কাঁদলো সে,বোবা কান্না। কেউ শুনলো না,শুনলেও খুশি হতো,এতো কষ্টের ফসল তো আর অনাহুতদের জন্য নয়। বাচ্চাটাকে বিক্রি করবার জন্য একটা খুব ছোট ব ... ...
পঞ্চাশবার লিখতে হলে পঞ্চাশবারই লিখব, কিন্তু মোদ্দা কথা হল এন-আর-সি একটি বর্বর জিনিস। কেন বর্বর? ওপার বাংলা থেকে এপারে কি লোক আসেনি? আসেনা? একশবার এসেছে। কেন এসেছে? কারণ আমাদের ধেড়ে খোকা জাতীয়-নেতারা তেলের শিশির বদলে একটা জাতির মাঝখান থেকে একটা লাইন টেনে দিয়েছিলেন। তার ফলে অন্তত কোটিখানেক মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে যখন পাড়ি জমাচ্ছিলেন সীমান্তের একদিক থেকে অন্য দিকে, তখন আমাদের নেতারা কী করছিলেন? নেহরু এই মানুষগুলিকে উদ্বাস্তুর স্বীকৃতি অবধি দেননি, ওপারে ফিরে যাবার উপদেশ দিয়েই কর্তব্য শেষ করেছেন। কান ... ...
আমরা ষড়যন্ত্র ত্বতে খুব সহজে বিশ্বাস আনি। দীর্ঘ পরাধীনতা থেকেই সম্ভবত এই বিশেষ গুণ আমাদের জিনে বাসা করেছে। হোক না হোক আপনি একটা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বাজারে ছাড়ুন বিশ্বাস করার লোকের অভাব হবে না। একই সাথে সব কিছুতেই সন্দেহ এবং সহজে বিশ্বাস আনা সম্ভবত এই দুনিয়ায় আমরাই পারি। এই রোগ আমাদের গভীরে প্রোথিত হয়ে গেছে, এর আর নড়নচড়ন নাই। আমরা বিশ্বাস করি আমরা বাদে বাকি দুনিয়া আমাদের কে ধ্বংস করার জন্য সকালে উঠে নাস্তা না করেই, চোখে মুখে পানি দিয়েই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা শুরু করে। ষড়যন্ত্র করেই ... ...
স্বর্গ সারথি কলেজ স্ট্রীট ক্রশিঙে বিচ্ছিরি জ্যামে ফেঁসে গেলো। সামনে বাসের পর বাস কাতার দিয়ে দাঁড়িয়ে, যেন সৈন্যদল। অঘোরবাবু খিস্তি করলেন। তার খিস্তি কেউ শুনতে পেলো না। স্বাভাবিক। স্বর্গ সারথির ভেতরে যারা শুয়ে থাকে, তাদের আর্তনাদ বা উল্লাস করার দিন ফুরিয়েছে বলেই ধরে নেওয়া হয়। অঘোরবাবু এই রুটেই যাতায়াত করেছেন অটোয় চেপে, বাসে চেপে। খিস্তিটা তাই অভ্যাস বশত চলে এলো। বিড়ি খাবেন বলে হাতড়ালেন প্যান্টের পকেট। বিড়ি নেই। প্যান্টই নেই, তার জায়গায় খড়খড়ে একটা ধুতি। আর কিছুক্ষন পরে তিনি নিজেই বিড়ির মতো ... ...
আজ মঙ্গলবার। ভাব সম্প্রসারণের দিন। খগেনবাবু দ্রুত রোলকল সারিয়া, গলা খাঁকারিকরত, ছাত্রদের ভাব সম্প্রসারণ করিতে দিলেন। বলিলেন: 'ল্যাখো'। খগেনবাবুর উচ্চারণের বিশেষত্ব আছে। তিনি হেমন্তকে হ্যামন্ত বলেন, অথচ, লজ্জাকে, লোজ্জা উচ্চারণ করিতেই তিনি অভ্যস্ত। অতঃপর খগেনকন্ঠে উচ্চারিত হইল: "কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে, দুঃখ বিনা সুখলাভ হয় কি মহীতে?" ... ...
ছোটবেলা থেকেই আমি ছেলেদের সাথে মিশতে খুব ভয় পাই। যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি একটা বখাটে ছেলে আমাকে লাভ লেটার পাঠিয়েছিলো। দুর্ভাগ্যবশত সেটা আমার হাতে না পড়ে আব্বুর হাতে পড়েছিল। সেই চিঠিতে কি লেখা ছিলো আমি আজো জানি না। তবে তার কারণে আমাকে প্রচুর মার খেতে হয়েছিলো। সেই মার আমি আজো ভুলিনি। এরপর ক্রমে ক্রমে আমি বড় হলাম। ক্লাস টেনে উঠতেই আরেকটা ছেলে আমার হাতে তার ফোন নাম্বার ধরিয়ে দিয়ে গেল। আম্মুর মোবাইল চুরি করে সেই নাম্বারে ফোন দিয়ে কয়েকদিন গল্প করতে না করতেই আপুর কাছে ধরা পড়ে গেলাম। ... ...
আমারে তুমি অশেষ করেছো....পার্থ দাশগুপ্ত নামে একজন তন্নিষ্ঠ রবীন্দ্রসঙ্গীতপ্রেমী'র লেখায় একটা মন্তব্য পেয়েছিলুম। "....রবীন্দ্রনাথের গানের সর্বকালের সফলতম অনুবাদক হিসেবে আমি যাকে মনে করি, তাঁর নাম সুবিনয় রায়। বুজুর্গরাও বলেন, যদি রবীন্দ্রনাথের গানের শুদ্ধতা আর অন্তর্নিহিত ভাবের হরগৌরী মিলনের সঠিক সুলকসন্ধান পেতে চাও, তাহলে সুবিনয় রায়ের গান শোনো। " পার্থ নিজেকে একযোগে রবীন্দ্রখ্যাপা, হেমন্তখ্যাপা ও সুবিনয়খ্যাপা হিসেবেও ঘোষণা করেছিলেন। উক্তিটা আমি ... ...
ডাক্তার সাহেব গম্ভীর গলায় বললেন, আপনার ছেলের সমস্যা কি?আমি চিন্তিত গলায় বললাম, আমার ছেলে একটু ইন্ট্রোভার্ট টাইপের। কোনোকিছুতেই রিয়াক্ট করে না। এই ধরেন কোথাও ব্যাথা পেল,কিছু হারিয়ে গেলো,অসুস্থ হলো অথবা ধরেন জন্মদিনে প্রচুর গিফট পেয়েছে,পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করেছে বা ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশ জিতেছে কোনোকিছু নিয়েই ফেসবুকে পোস্ট দেয় না। ওর জন্মদিন উপলক্ষে কতবড় পার্টি করলাম একটাও সেলফি তোলে নাই। ইন্সটাগ্রাম,ট্যুইটার,ফেসবুকেও ওর কোন আগ্রহ নাই। ঈদের সময় কাউকে 'ঈদ মোবারক' মেসেজ পর্যন্ত ... ...