‘কেন? আমরা ভাষাটা, হেসে ছেড়ে দেবো?যে ভাষা চাপাবে, চাপে শিখে নেবো?আমি কি ময়না?যে ভাষা শেখাবে শিখে শোভা হবো পিঞ্জরের?’ — করুণারঞ্জন ভট্টাচার্য স্বাধীনতা-পূর্ব সরকারি লোকগণনা অনুযায়ী অসমের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাষাভাষী মানুষ ছিলেন বাঙালি। দেশভাগের পরেও অসমে বাঙালি ছিলেন মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ। স্বাভাবিক কারণেই সেই সময় অসমিয়া প্রধান সরকারি ভাষা ঘোষিত হলেও সমগ্র অসমে সরকারি স্তরে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে চালু ছিল বাংলা। কিন্তু তার পর শুরু হয় ঠান্ডা মাথায় ছক কষার কাজ। অসমের প্র ... ...
দুইবার এসএসসি ফেইল আর ইন্টারে ইংরেজি আর আইসিটিতে পরপর তিনবার ফেইল করার পর আব্বু হাল ছেড়ে দিয়ে বললেন, "এই মেয়ে আমার চোখে মরে গেছে।" আত্নীয় স্বজন,পাড়া প্রতিবেশী,বন্ধুবান্ধব সবাই একএক করে ধিক্কার জানিয়ে বলে গেল, তোর জীবনে কি হবে? তোর ভবিষ্যত অন্ধকার! সমবয়সী কাউকেই তাদের বাবা-মা আমার সাথে মিশতে দেয় না। বলে, ঐ গাধার সাথে মিশলে ওর মতো হয়ে যাবি। বড়বোনের বাচ্চা হবে। সে একদিন আমাকে কঠিন গলায় বললো, তুই আমার আশেপাশে আসবি না। বাচ্চা পেটে থাকতে মা যার সংস্পর্শে বেশী ... ...
সে ছিল এক দিন আমাদের যৌবনে কলকাতা, যখন, শিক্ষিত ভদ্রজনের এক বড় অংশের মনের ভেতরে লুকোনো সাম্প্রদায়িকতা পোষা থাকত বটে, কিন্তু তাঁরা জানতেন যে সেটা খুব একটা গর্বের বস্তু নয় । সর্বসমক্ষে সে মনোভাব প্রকাশ করতে তাঁরা কিঞ্চিৎ অস্বস্তি বোধ করতেন । ভাল জামাকাপড় পরা শিক্ষিত লোক, তার হাতে জ্যোতিষের আংটি, জামার হাতার তলায় লুকোনো মাদুলি, কথাবার্তার অসতর্ক মুহূর্তে বেরিয়ে পড়া সাম্প্রদায়িকতার ইঙ্গিত, এইসব দেখলেই তাকে নিয়ে আমরা খুব হাসাহাসি করতাম । ওই যে তখন সুমন ‘এমনি আর ওমনির গান’-এর এক পংক্তিতে লিখেছিলেন --- ... ...
কয়েকদিন আগে বন্ধুদের মধ্যে প্রেম নিয়ে এক আলোচনায় জন্ম নেয় এ লেখার বীজ। সেই আলোচনায় একটি কথা আমাকে ভাবায়, প্রেম্ মানে সমর্পণ। মনে পড়ে যায় বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের এক প্রেমপত্রের কথা – “...আমি বেশ কিছু ভালো জিনিস নিয়ে আসার চেষ্টা করব, যা কিছু সম্ভব আমার পক্ষে আর তারপর তুমি ডাকলেই আমি ছুটে যাব পরের ট্রেন ধরেই, যে অবস্থায় থাকব সেই অবস্থাতেই। কিন্তু এটাকে আমার দুর্বল নম্রতা ভেবো না, আমি নম্র খুব একটা নই। এ আমার গর্বিত সমর্পণ। এভাবে আমি সবার সঙ্গে মিশি না।““গর্বিত সমর্পণ”...কি বোঝাতে চেয়েছি ... ...
হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান আদতে একই প্রকল্পের অংশ। আজকের সরকারি হিন্দি একটি অর্বাচীন ভাষা, তথাকথিত নব্য হিন্দুত্বের হাত ধরেই তার জন্ম। দেশভাগের আগে একটি-পৃথক-ভাষা হিসেবে হিন্দির কোনো অস্তিত্ব ছিলনা। ১৯৩৮ সালে হরিপুরা কংগ্রেসের ভাষণে সুভাষচন্দ্র বসু অখণ্ড ভারতবর্ষের যোগাযোগরক্ষাকারী হিসেবে প্রস্তাব করেছিলেন 'হিন্দুস্তানি'কে, হিন্দি নয়। হিন্দি বা উর্দু নামের আলাদা কোনো ভাষা সে সময় ছিলনা। শব্দদুটো ছিল, তারা লিপির পার্থক্য বোঝাতে হিন্দুস্তানির প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হত মাত্র। আর এই হিন্দুস্তানি কোন ... ...
"লাবণ্য! লাবণ্য!! লাবণ্য!!! আমি মা হতে চলেছি!"নীরা আপুর কথায় আঁতকে উঠলাম। নীরা আপু আমার ফুপাতো বোন। এখনো বিয়ে হয়নি তার। সেই মেয়ে মা হতে চলেছে আর সেটা এত আনন্দের সাথে বলছে!আমি ভীতু গলায় বললাম, কি বলো এইসব তুমি! তোমার এখনো বিয়ে হয়নি আর তুমি এই আকাম করে এসেছো! ছিঃ আপু ছিঃ!নীরা আপু ঠাস করে আমার গালে একটা চড় কসিয়ে দিয়ে বললেন, বাচ্চা হতে বিয়ে হওয়া লাগে? বাচ্চা হতে যদি বিয়ে হওয়া লাগতো তাহলে বিয়ের আগে বাচ্চা হওয়ার সিস্টেমই থাকতো না। এইসব সমাজের অন্ধ কা ... ...
বেশ কিছুদিন আগে একটি খুব জরুরী মিটিং-এ আমার এক সহযোগী একটু দেরী করে আসায় বকেছিলাম। দিনটা ছিল রাম নবমী। সে আমাকে তার দেরী করার কারণে যে ঘটনার কথা বলেছিল আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম শুনে। যাদবপুরের সুলেখার মোড়ে রাম নবমীর বিশাল মিছিল বের করেছিল গেরুয়া শিবির। যাঁরা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন গাড়ি করে বা বাসে করে, পায়ে হেঁটে তাদের সবাইকে জোর করে সেই মিছিলে হাঁটতে বাধ্য করা হচ্ছিল। সহযোগী বলছিলেন, তাদের চেহারা...হুঙ্কার দেখে বোঝার উপায় নেই এরা পশ্চিমবঙ্গের কোন প্রান্তের বাসিন্দা। সে কোন রকমে চিৎকার করে সেখা ... ...
বিদ্যেসাগরের মাথা কাটা গ্যাছে। তাই নিয়ে জোর শোরগোল। আপামর বাঙালীর নাকি মাথা কাটা গ্যাছে। তা বেশ! কথায় বলে, মাথা নেই, তার মাথাব্যথা। রামকৃষ্ণদেব নাকি ঈশ্বরচন্দ্রকে বলেছিলেন, তুমি তো বাবা এমনিতেই সিদ্ধ। সিদ্ধ হলে কী হয়। নরম হয়। তা, বাবা, তোমার মনটি তো গরীব-দুঃখীর দুখে কাঁদে, এমনই নরম। তুমি যদি সিদ্ধ না হও, তাহলে সিদ্ধপুরুষ কে!! তা গদাধরবাবুর জানা ছিল না, শুধু সিদ্ধ হয়েই নরম হয় না, মাছ নরম হয় পচলে। এই যে বাঙালী ঝাঁকের ... ...
মাঝরাতে চিপস খেয়ে জানালা দিয়ে খালি প্যাকেট ফেলতে গিয়ে দেখি গাছতলায় এক ছায়ামূর্তি বসে বসে মাথার চুল ছিঁড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই আমি ভয়ে শিউরে উঠলাম। এত রাতে আমি ছাড়া এই অঞ্চলে আর কারোরই জেগে থাকার কথা না। নাইট গার্ডের অলিখিত চাকরিটা শুধুই আমার। নিজেকে সামলাতে না পেরে আমি চাপা গলায় চিৎকার করে উঠলাম, কে ওখানে? কে? কে? -আহ! একবার বললেই তো হয় নাকি? তিনবার কে কে বলে চিল্লানোর দরকারটা কি? কানে কালা নাকি আমি? গলাটা শুনে কিছুটা ধাতস্থ হলাম। গলাটা আমার ... ...
"নির্দ্বিধায় বলুন, আপনার সমস্যা কি?" সাইক্রিয়াটিস্টের কথায় নড়েচড়ে বসলাম। কি উত্তর দেবো ভেবে পাচ্ছি না। আমি পাগল নই। তারপরেও আমার বাড়ির লোক জোর করে ধরে আমাকে সাইক্রিয়াটিস্টের কাছে নিয়ে এসেছে।আমার দোষ একটাই আমি লেখিকা। নতুন নতুন গল্প লেখা শুরু করেছি। মাথার ভেতর সারাক্ষণ খালি গল্প ঘোরে। ঘুমাতে না পেরে ছটফট করি আর উঠে উঠে গল্প লিখি। প্রায়ই বাড়ির লোককে জোর করে ধরে গল্প পড়ে শোনাই। দেখা যাচ্ছে ভাবী রান্না করছে। আমি ট্যাব নিয়ে ভাবীর সামনে গিয়ে বলি, একটা গল্প ... ...
ভোট বুথে দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় না। বুথে। বুথ, একটা ঘেরা ঘর, সেখানে। ঘরে একটা যন্ত্র থাকে, যন্ত্রে বোতাম। খুব সাধারন যন্ত্র, গ্ল্যামার নেই, যন্ত্রে মিম বানানো যায়না, কারো বানানো মিম রিগ্রেসিভ না প্রোগ্রেসিভ তা নিয়ে তুমুল আলোচনাও করা যায়না। শুধু যন্ত্রের বোতাম টেপা যায়। টিপে, ক্ষমতাকে উল্টে দেওয়া যায়। মিম বানিয়ে, মিম নিয়ে পলিটিক্যাল কারেক্টনেস সংক্রান্ত আলাপ আলোচনা করে, কমেন্ট লিখে, বানী দিয়ে যা করা যায়না। করতে গেলে বোতাম টিপতে হবে।বোতাম টিপবেন। বুথে গিয়ে। ফেসবুকে নয়। বুথ, একটা ঘেরা ঘর, ... ...
('আরেক রকম' পত্রিকার ১৬-২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সংখ্যায় নিবন্ধটি প্রকাশিত) সন্তপ্ত কুসুম ফুটে পুনরায় ক্ষোভে ঝরে যায়। (১)দেখে কবিকুল এত ক্লেশ পায়, অথচ হে তরু, (২)তুমি নিজে নির্বিকার, এই প্রিয় বেদনা বোঝো না। (৩)কে কোথায় নিভে গেছে তার গুপ্ত কাহিনী জানি না। (৪)নিজের অন্তর দেখি, কবিতার কোনো পংক্তি আর (৫)মনে নেই গোধূলিতে ; ভালবাসা অবশিষ্ট নেই। (৬) ... ...
বিজয় কাকুদের বাড়িতে প্রকান্ড একটা জামরুল গাছ ছিল। তার গুঁড়িটা এতো মোটা ছিল যে সেখানে ভর দিয়ে ওঠা দুঃসাধ্য। পাড়ার কেউ কেউ ছিল যারা অনায়াসেই সেই দুঃসাহসের কাজটা করে ফেলতে পারতো। গরমের ছুটি পড়লে আমাদের খেলার জায়গাটা ছিল ওই জামরুল গাছের তলায়। চক্কোত্তিদের পুকুরের পাশে। রাঙার আম গাছের ছায়ায়। কাজেই আমের বোল আসা থেকে শুরু করে জামরুলের প্রথম ফুল, ছোট ছোট সবজেটে কচুরিপানার নীচে তেলাপিয়াদের ঝাঁক এই দেখে গরমের ছুটি দিব্বি কেটে যেত। ভরা কোটাল আর মরা কোটাল উপেক্ষা করে গঙ্গায় ঝাঁপানো চলতে থাকতো নিয়ম মতো। যতক্ ... ...
ভার্সিটি পড়ুয়া কাজিন শেলু আপার হঠাৎ করে বিয়ে হয়ে গেছে এক বড়লোক ব্যবসায়ীর সাথে। শেলু আপা ব্যাপক পরিমাণে স্মার্ট একটা মেয়ে। স্টাইলিশ, সুন্দরী,চুল প্রায় কোমর ছুঁইছুঁই। ইন্টার পাশ করতেই না করতেই শখানেক লাভ লেটার ডাস্টবিনে ফেলা হয়ে গেছে। বাড়ির সামনে ছেলেদের লাইন। রোজই একটা না একটা বিয়ের প্রস্তাব আসে যেগুলো তিনি নিজেই রিজেক্ট করে দেন। তাহলে এতকিছু ছেড়ে পড়ালেখার মাঝখানেই এই ব্যবসায়ীকে বিয়ে করার মানে কি? কারণ জানতে ছুটে গেলাম। যা জানলাম তা এখনকার জামানায় খুব স্বাভাবিক। ধনকুব ... ...
ঘরে ঢুকে দেখি নীচু হয়ে পায়ের পাতায় কী একটা লাগাচ্ছেন। সামনে হোমিওপ্যাথির বাক্স খোলা। জিগেস কল্লাম, "পায়ে কী হল?"- আর বোলোনা। কাল জন্মদিন ছিল। এত লোক এসে প্রণাম করেছে যে পায়ের পাতা ছড়ে গেছে। ওষুধ লাগাচ্ছি।- কেক খেলেন জন্মদিনে?- কেক? না না। কেক-টেক নয়। বউমা পায়েস করেছিল, তাই একটু খেয়েছি।- আর কে এল?- কে এলনা সেটা জিগেস কর।আমি ইতস্ততঃ করছিলাম। একশ সাতান্ন বছর তো পূর্ণ করলেন, বয়েসে অনেকটাই বড়। কী বলে ডাকব? দাদু? কীরকম যেন চ্যাংড়া চ্যাংড়া শোনায়। গুরুদেব? বললেই ... ...
রমজানের মাসের ইফতারিকে ঐতিহ্যে পরিণত করেছে পুরান ঢাকা। চারশো বছরের ঢাকা শহরে অনেকের দাবী অনুযায়ী ইফতার বিক্রির ঐতিহ্যও চারশো বছরের মতই। চকবাজার কে ঘিরেই মূলত এই আয়োজন। চকবাজার শাহি মসজিদের জন্ম ১৬৭৬ সালে। অনেকের মতে এর আগে থেকেই এখানে বাজার ছিল।কেউ বলে মসজিদ হওয়ার পর মসজিদের সামনে থেকে ইফতারের বাজার শুরু। তখন নাম ছিল বাদশাহি চকবাজার । পুরান ঢাকার বড় পুরাতন বাজারই হচ্ছে বাদশাহি চকবাজার, রায়সাহেব বাজার ও নাজিরাবাজার। তবে ইফতারির মূল বাজার এখনো চকবাজারই।আগে ইফতার নাম ছিল না বা মানুষ ইফতার ... ...
জেনারেশনগুলো নিয়ে কয়েকজনের সাথে আলোচনা হচ্ছিল। যাদের বয়স ৩০ বা তার চেয়েও বেশি তাদের জীবনে অতীত বর্তমান জীবনের বিশ্লেষণে এনালগ জীবন ও ডিজিটাল জীবনের কম্পারিজনটাই বেশি আসবে, আধুনিকতা কিভাবে জীবনকে পরিবর্তন করেছে সেসব আসবে। কিন্তু আমার মত যাদের জন্ম ৯০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে বা তারও পরে। তাদের জীবনের এই বিশ্লেষণে এনালগ-ডিজিটাল জীবনের তুলনাটা সেভাবে আসে না, কিন্তু তারপরও আমাদের জীবনে অন্যরকম একটা দ্বন্দ্ব রয়েছে, যার ভেতর দিয়ে আমাদেরকে ছোটবেলা থেকেই যেতে হয়েছে। এই দ্বন্দ্বটাই আমাদের জেনারেশনের লোকেদের জ ... ...
সেই বাল্যকালে কবে থেকে গান গাইতে শুরু করলাম তা আমার মনেও নেই-- গান গাইছি-তো-গাইছি-তো-গাইছি। কোনো ওস্তাদ অথবা শিক্ষকের কাছে নাড়া বেঁধে বা রীতিমতো লেখাপড়া শেখার মতো করে গান আমি কখনও শিখিনি। ছোটবেলার দিনগুলি থেকে শুরু করে, বড় হয়েও শুধু গান শুনেছি আর গেয়েছি। কোনো সঙ্গীত-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গান শিখবার সৌভাগ্য আমার অদৃষ্টে কখনও জোটেনি।'' ১৯১১ সালে 'রবিবাবুর গান' শোনার সুযোগ যাঁরা পেতেন, তাঁরা আলো ... ...
- খামোখা ঝগড়া করলে। এত রাগ করতে আছে?- আমি তো ঝগড়া করিনি, বরং একটা ভালো কথা বোঝাতে চেয়েছিলাম।- ভারি তো বোঝানো হলো, মাঝখান থেকে রাগারাগি করে খাওয়া ছেড়ে উঠে গেলে- আমাকে এরকম করতে দেখেছো কখনো?- তুমি এখন আর সেই ছোটোটি নেই, বড় হচ্ছো, গত মাসে ৯ পুরো করে ১০ এ পা দিয়েছ- তাতে কি?- বড় হলে বুঝদার হতে হয়।- তা তুমি বুঝি খুব বুঝদার?- বুঝদার বটেই তো, তোমার মত কি খাওয়া ছেড়ে উঠে যাই আমি?- তা যাওনা, কিন্তু দুপুর বেলা একা একা জানলার ধারে বসে কাপড়ের খুঁটে চোখ মোছো।- ... ...
শুরুতেই বলেছি, আমি অর্থনীতি বুঝি না। তাই কত টাকা কোথায় গেল বুঝতে আমার ভরসা গুগুল। কোন ঋণখেলাপি আমার কত টাকা খেয়ে গেল সেটা গুগুল করতে গিয়ে আরেকটা মজার জিনিষ পেলাম। জানলাম, রাজ্যসভায় এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রকের ছোটমন্ত্রী শিবপ্রসাদ শুক্লা গত বছর জুলাই মাসে জানিয়েছেন, রিজার্ভ ব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী ভারতবর্ষের ব্যাংকিং সেক্টরে মোট এনপিএ-র পরিমান যা মার্চ ২০১৪তে ছিল আড়াই লক্ষ কোটি, তা ৩১শে মার্চ ২০১৮-তে বেড়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে নয় লক্ষ বাষট্টি হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ভারতের শিক্ষা বাজেটের দশগুন ও ... ...