(আমার এ রচনা বিভিন্ন সিঁড়ি নিয়েই। হঠাৎ করেই একদিন অন্যমনায় ছিলাম। সে সময়ে মাথার মধ্যে ছোটবেলার আমাদের বাড়ির এক প্রাচীন আমলের সিঁড়ির নানান ঘটনা ভেসে উঠল অতর্কিতেই। ভাবলাম লিখেই ফেলি। এই নিয়ে গুগুল মামার শরণাপন্ন হতেই দেখলাম - ওরে বাবা, এই সিঁড়ি নিয়েই হয়তো একটা বিরাট রচনা নামিয়ে ফেলা যায়। সারা বিশ্বের নানান সিঁড়ি, সেগুলোর ইতিহাস, সবচেয়ে বড় কথা সেই আদিম যুগ থেকে কতই না পরিবর্তন হয়ে আজকের গতিমান লিফট থেকে এস্ক্যালেটর। আমারই চোখে দেখা কত কিছুই। স্মৃতির মননে ছোট বেলা থেকে কলেজ জীবন পেরিয়ে চাকরি জীবন। সব কিছুর সাথেই জড়িয়ে আছে এই সিঁড়ি।) ... ...
রূপকথা, আজকের দিনের। মিতুলের অভিযান। অভি তারার আলো বুকে নিয়ে বিপদ থেকে উদ্ধার। আগে প্রকাশিত। এখানে তুলে আনলাম। ... ...
ইউরোপের দার্শনিকরা হয়ে ওঠার পরামর্শ দিয়েছিলেন ... ...
প্রিয় কবিকে নিয়ে লেখা পুরনো কবিতা। ... ...
এখনও মার্কিন তরুণ কবিরা খোঁজ করেন ... ...
রবীন্দ্রনাথের সারমর্ম ? হাসালেন ! ... ...
প্রেমের কবিতায় শুধু প্রেমই থাকে ... ...
পুরনো কবিতা, পুরনো দিনের কবিতা ... ...
সব মিলিয়ে এ এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। শাসকের বিরুদ্ধে লিখলে, শাসক ক্ষেপে যায়, কখনও উপেক্ষা করে, এ দেখা জিনিস। অনেকবার দেখেছি। শাসক প্রতিবাদের প্রকরণও নির্ধারণ করে দিতে চায়, সেও দেখেছি। কিন্তু বিরোধী, প্রতিবাদ যাদের পক্ষে যাবার কথা, আঙুল উঁচিয়ে, "এইভাবে লিখুন বলছি, চোপ!" বলে চোখ রাঙাচ্ছে, এ জিনিস দেখা একেবারে নতুন। হয় কায়েমী কোনো স্বার্থ, কিংবা নিছক নির্বুদ্ধিতা, কিংবা দুটোই না থাকলে, এ জিনিস হওয়া কঠিন। এর মধ্যে কোনটা ছিল, বলতে পারবনা। কিন্তু এইসবের চক্করে ফাঁকতালে যেটা হল, সেটা হল, বগটুই কান্ডটাই কোথায় যেন হাওয়া হয়ে গেল। বছর খানেক পরে, সে নিয়ে আর কোনো আলোচনা নেই। সিবিআই 'মূল অভিযুক্ত'কে গ্রেপ্তার করেছিল, তিনি হেফাজতেই রহস্যজনকভাবে মারা গেছেন। সে নিয়েও বিশেষ কথাবার্তা দেখিনা। শাসক-বিরোধী কোনো দিকেই। ... ...
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কতটা মানবিক, কতটা যান্ত্রিক? ... ...
মৌসুমি ব্যবসা এক নিশ্চিত ভবিষ্যতের হাতছানিতে জন্মলাভ করে। অথচ ইতিহাসের সব থেকে যন্ত্রণাদায়ক সত্যগুলোর একটি হল, ভবিষ্যৎ সবসময়ই আমাদের বিষ্মিত করবে, সবসময় অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটবে। বাজার সব থেকে নিষ্ঠুরভাবে তাদেরকেই চমকে দেয়, যারা সব থেকে বেশী নিশ্চিত থাকে যে, তাদের ভবিষ্যৎ অনুমানটি সঠিক হবে। ব্রিটিশ প্রাবন্ধিক জি কে চেস্টারটন একদা বলেছিলেন, "সেই লোকই আশির্বাদপুষ্ট যে কোন কিছুই প্রত্যাশা করে না, কারণ সে তাহলে আর হতাশ হবে না।" ... ...
আমার দ্বিতীয় কবিতার বই গাবলু ও সুপারম্যান প্রকাশিত হয়েছিল এবারের বইমেলায়, ধানসিড়ি থেকে। আমি যেহেতু আর কোন সমাজমাধ্যমে বিশেষ সক্রিয় নই, তাই গুরুই আমার কথা জানানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম । সাধারণ ভাবে লেখকরা বই রিভিউ করানোর চেষ্টা করেন, যেখানে বিশেষজ্ঞরা বলে দেন কোন বই ভালো না খারাপ। আমি বিশেষজ্ঞদের থেকে পাঠকের ওপর ভরসা রাখি বেশি। তাছাড়া এককালে আমি বাংলা কবিতার জগৎটাকে কিছুটা কাছ থেকেই দেখে ফেলেছিলাম। তাই রিভিউ-টিভিউ-এর পেছনে কী ধরনের তদ্বির তদারক লাগে তার একটা সম্যক ধারণা আছে। সেটা অল্প বয়সে যখন পেরে উঠিনি, তখন এই বয়সে আর পেরে উঠবো বলে মনে হয় না। আমার বই থেকে তিনটি কবিতা দিলাম এখানে। পাঠকের ভাল লাগলে বইটা সংগ্রহ করে দেখতে পারেন। প্রাপ্তিস্থানঃ ধানসিড়ি বইঘর, সূর্য সেন স্ট্রীট, কলকাতা কর্পোরেশনের পাশের গলি। ... ...
‘ইয়াদ’ মানে স্মৃতি নিয়ে গাদা গাদা লেখা আছে (তাদের মধ্যে এক পিস আপনি এই মুহূর্তে পড়ছেন), হেব্বি ভাল ভাল কথা আছে (কে যেন বলেছিল – সময় বয়ে যায় এক দিকে, আর স্মৃতি হেঁটে চলে উলটো পথে), স্মৃতি হারানো এবং/অথবা ফিরে পাওয়া নিয়ে দারুণ দারুণ সিনেমা আছে (‘হারানো সুর’, ‘সদমা’, ‘মেমেন্টো’ যার থেকে হিন্দিতে হয়েছিল ‘গজনি’)। আর এই সবের বাইরে রয়েছে একটা কোটেবল কোট, যা নাকি বলেছিলেন অ্যাব্রাহাম লিঙ্কন – ‘কোনও পুরুষ মানুষেরই এত ভাল স্মৃতিশক্তি নেই যাতে সে একজন সফল মিথ্যেবাদী হিসেবে গণ্য হতে পারে’। ... ...
বার বার নিজেকে বোঝাই, আজীবন সারথি জয়ীকেও একই কথা বলি, মার মৃত্যুর জন্য ভেতরে ভেতরে আমরা প্রত্যেক ভাইবোন প্রস্তুত ছিলাম, জীবনের মতো মৃত্যুও অনিবার্য! তবু চোখ মুছলেও যেন কান্না মোছে না।... ... ...
ভুললে চলবে না ... ...