রবীন্দ্রনাথের সারমর্ম ? হাসালেন ! ... ...
প্রেমের কবিতায় শুধু প্রেমই থাকে ... ...
পুরনো কবিতা, পুরনো দিনের কবিতা ... ...
সব মিলিয়ে এ এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। শাসকের বিরুদ্ধে লিখলে, শাসক ক্ষেপে যায়, কখনও উপেক্ষা করে, এ দেখা জিনিস। অনেকবার দেখেছি। শাসক প্রতিবাদের প্রকরণও নির্ধারণ করে দিতে চায়, সেও দেখেছি। কিন্তু বিরোধী, প্রতিবাদ যাদের পক্ষে যাবার কথা, আঙুল উঁচিয়ে, "এইভাবে লিখুন বলছি, চোপ!" বলে চোখ রাঙাচ্ছে, এ জিনিস দেখা একেবারে নতুন। হয় কায়েমী কোনো স্বার্থ, কিংবা নিছক নির্বুদ্ধিতা, কিংবা দুটোই না থাকলে, এ জিনিস হওয়া কঠিন। এর মধ্যে কোনটা ছিল, বলতে পারবনা। কিন্তু এইসবের চক্করে ফাঁকতালে যেটা হল, সেটা হল, বগটুই কান্ডটাই কোথায় যেন হাওয়া হয়ে গেল। বছর খানেক পরে, সে নিয়ে আর কোনো আলোচনা নেই। সিবিআই 'মূল অভিযুক্ত'কে গ্রেপ্তার করেছিল, তিনি হেফাজতেই রহস্যজনকভাবে মারা গেছেন। সে নিয়েও বিশেষ কথাবার্তা দেখিনা। শাসক-বিরোধী কোনো দিকেই। ... ...
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কতটা মানবিক, কতটা যান্ত্রিক? ... ...
মৌসুমি ব্যবসা এক নিশ্চিত ভবিষ্যতের হাতছানিতে জন্মলাভ করে। অথচ ইতিহাসের সব থেকে যন্ত্রণাদায়ক সত্যগুলোর একটি হল, ভবিষ্যৎ সবসময়ই আমাদের বিষ্মিত করবে, সবসময় অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটবে। বাজার সব থেকে নিষ্ঠুরভাবে তাদেরকেই চমকে দেয়, যারা সব থেকে বেশী নিশ্চিত থাকে যে, তাদের ভবিষ্যৎ অনুমানটি সঠিক হবে। ব্রিটিশ প্রাবন্ধিক জি কে চেস্টারটন একদা বলেছিলেন, "সেই লোকই আশির্বাদপুষ্ট যে কোন কিছুই প্রত্যাশা করে না, কারণ সে তাহলে আর হতাশ হবে না।" ... ...
আমার দ্বিতীয় কবিতার বই গাবলু ও সুপারম্যান প্রকাশিত হয়েছিল এবারের বইমেলায়, ধানসিড়ি থেকে। আমি যেহেতু আর কোন সমাজমাধ্যমে বিশেষ সক্রিয় নই, তাই গুরুই আমার কথা জানানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম । সাধারণ ভাবে লেখকরা বই রিভিউ করানোর চেষ্টা করেন, যেখানে বিশেষজ্ঞরা বলে দেন কোন বই ভালো না খারাপ। আমি বিশেষজ্ঞদের থেকে পাঠকের ওপর ভরসা রাখি বেশি। তাছাড়া এককালে আমি বাংলা কবিতার জগৎটাকে কিছুটা কাছ থেকেই দেখে ফেলেছিলাম। তাই রিভিউ-টিভিউ-এর পেছনে কী ধরনের তদ্বির তদারক লাগে তার একটা সম্যক ধারণা আছে। সেটা অল্প বয়সে যখন পেরে উঠিনি, তখন এই বয়সে আর পেরে উঠবো বলে মনে হয় না। আমার বই থেকে তিনটি কবিতা দিলাম এখানে। পাঠকের ভাল লাগলে বইটা সংগ্রহ করে দেখতে পারেন। প্রাপ্তিস্থানঃ ধানসিড়ি বইঘর, সূর্য সেন স্ট্রীট, কলকাতা কর্পোরেশনের পাশের গলি। ... ...
‘ইয়াদ’ মানে স্মৃতি নিয়ে গাদা গাদা লেখা আছে (তাদের মধ্যে এক পিস আপনি এই মুহূর্তে পড়ছেন), হেব্বি ভাল ভাল কথা আছে (কে যেন বলেছিল – সময় বয়ে যায় এক দিকে, আর স্মৃতি হেঁটে চলে উলটো পথে), স্মৃতি হারানো এবং/অথবা ফিরে পাওয়া নিয়ে দারুণ দারুণ সিনেমা আছে (‘হারানো সুর’, ‘সদমা’, ‘মেমেন্টো’ যার থেকে হিন্দিতে হয়েছিল ‘গজনি’)। আর এই সবের বাইরে রয়েছে একটা কোটেবল কোট, যা নাকি বলেছিলেন অ্যাব্রাহাম লিঙ্কন – ‘কোনও পুরুষ মানুষেরই এত ভাল স্মৃতিশক্তি নেই যাতে সে একজন সফল মিথ্যেবাদী হিসেবে গণ্য হতে পারে’। ... ...
বার বার নিজেকে বোঝাই, আজীবন সারথি জয়ীকেও একই কথা বলি, মার মৃত্যুর জন্য ভেতরে ভেতরে আমরা প্রত্যেক ভাইবোন প্রস্তুত ছিলাম, জীবনের মতো মৃত্যুও অনিবার্য! তবু চোখ মুছলেও যেন কান্না মোছে না।... ... ...
ভুললে চলবে না ... ...
হেনকালে একজন ব্যবসায়ী ,রাজনীতিক এবং আইনজ্ঞ মানুষ মঞ্চে অবতীর্ণ হলেন – জুরিখের নিকটবর্তী এঙ্গে গ্রামে তাঁর জন্ম, জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়েছেন ( বন ও বার্লিনে কিছু সেমেস্তার সহ ) : তাঁর সকল বিদ্যা বুদ্ধি জানাশুনো এবং লবির জোরে সুইস কনফেডারেশনের কাছে আবেদন জানালেন- রেল ব্যবস্থাকে দ্রুত উন্নত করতে গেলে সে কাজটি দেওয়া হোক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে , ইঞ্জিনিয়ারিং বিদ্যা শেখানোর স্কুল খোলা হোক ( যা আজকের ফেডারাল পলিটেকনিক ইনসটিটুট ; আইদগেনোশিসে টেখনিশে হখশুলে – ETH)। সে সব না হয় হলো, কিন্তু টাকা ? সে মানুষটি বললেন , ভাবনা করো না, রেল পত্তন এবং বিস্তারের জন্য আমরা একটি ব্যাঙ্ক স্থাপন করব । লাগে টাকা দেবে সে ব্যাঙ্ক ! তিরিশ লক্ষ ফ্রাঙ্কের শেয়ার ছেড়ে তার দশগুণ অর্থ পেলেন – সবাই উন্মুখ । প্রতিষ্ঠা করলেন প্রথম সুইস ব্যাঙ্ক – ১৮৫৬ ।( দু বছর বাদে ইকনমিসট পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার জেমস উইলসনের চার্টার্ড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অস্ট্রেলিয়া এন্ড চায়না তার প্রথম শাখা খুলবে কলকাতায়, আজকের এন এস রোডে , দশ বছর বাদে হংকং সাংহাই ব্যাঙ্ক – যথাক্রমে হংকং এবং সাংহাইতে ) । ... ...
সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের সমস্যা অন্য রকম। মাত্র চল্লিশ বছরের পুরনো এই ব্যাঙ্কে আপনার আমার মতন সাধারণ নাগরিক খুব সামান্য টাকা রেখেছিলেন, মোট অঙ্কের দশ শতাংশও নয়। সেখানে যারা বৃহৎ অঙ্কের ডলার জমা রেখেছেন তাঁরা ব্যাংকিং জগতে হালে আবির্ভূত এক প্রজন্ম – এঁরা উদ্যোগী মূলধনের সরবরাহকারি – ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট। টাকার প্রকাণ্ড পোঁটলা নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন, আপনার আমার পাড়ায় নয়, সেই সিলিকন ভ্যালিতে যেখানে টেক জগতের অনেক উজ্জ্বল তারকা কিছু না কিছু নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন – তাঁদের মাথায় বুদ্ধি আছে, একটা দুর্দান্ত কিছু বানানোর পুরো ব্লু প্রিন্ট আছে। নেই শুধু অর্থ। তাঁদের মধ্যে কেউ না কেউ একদিন বিল গেটস হয়ে উঠবেন – এই উদ্যোগী মূলধনের মালিক আজকে তাঁদের শেয়ার সস্তায় কিনে নিয়ে অগ্রিম অর্থ সাপ্লাই করছেন। আশা রাখেন এই টেক তারকারা একদিন এমন কেরামতি দেখাবেন যে সে শেয়ারের দাম লক্ষ ডলার হবে। অবশ্যই দশ জন উদ্ভাবকের মধ্যে দু চার জন এলিজাবেথ হোমসের মতন টোটাল ফ্রড হবেন (উনিশ বছরে স্ট্যানফোরডের ড্রপ আউট এই বালিকা নয় বিলিয়ন ডলার মূল্যের কোম্পানি বানিয়ে ফেলেছিলেন - এক ফোঁটা রক্ত থেকে ১৮০ রকমের টেস্ট করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে - এখন হাওয়ালাতে আছেন) তাতে কি? জুয়ার সব দান সমান হয় না, তাহলে তো সব খিলাড়ি রকিফেলার হয়ে যেত ... ...
লিটল ম্যাগাজিন ... ...
এবার আমাদের কী হবে ? ... ...
কে যেন ভেতর থেকে গেয়ে উঠল, ‘’তুমি সুখ যদি নাহি পাও, / যাও, সুখের সন্ধানে যাও।‘’ চলে গেলাম সন্ধান করতে, একা নই অবশ্য, তথাগতও সাথে ছিল। সোজা গিয়ে এক গাদা গোলগাপ্পা দিয়ে ডিনার সেরে ফেললাম, আর মাইরি বলছি, বিস্তর সুখ পেলাম। দিব্যি গালার এই ‘মাইরি’ শব্দটা কিন্তু মোটেই জল অচল নয়। ইঞ্জিরি ভাষায় ‘বাই মেরি’ থেকে এসেছে। যাই হোক, গোলগাপ্পা খেয়ে মনে নবীন আশার সঞ্চার হল, প্রাণে ফের পুলক জাগল, আর শরীরে বেশ বল পেলাম। মনে হল গোলগাপ্পার ওপরে একটা কবিতা লেখা উচিত। সুতরাং আমার কলম দিয়ে বেরিয়ে এল - ... ...
একজিট নিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলাম শুনশান গলিতে। এফ এম বন্ধ করে দিলে এখন শুধু মেটাল বডি আর জলের ঠোকাঠুকি, ওয়াইপারের সুইশ সোয়াশ, সুইশ সোয়াশ আর রেনওয়াটার পাইপ থেকে গবগব করে জল বেরোনোর ননস্টপ আওয়াজ। লাল, হলুদ, নীল, সবুজ একতলা, দোতলা, তিনতলা বাড়ির দেওয়াল বেয়ে জল নামছিল নিঃশব্দে, গড়ানো ঢালের গলি বেয়ে বড় রাস্তায় পড়ছিল। ওদিকের দেওয়াল ঘেঁষে একটা শেড, তার পাশে আগাগোড়া প্লাস্টিক ঢাকা ঠ্যালাগাড়ি- ট্রেনে কাটা পড়া ডেডবডি যেন। শিউলিদের গলির কথা মনে হ'ল। ... ...