কলেজ স্ট্রিট এলাকার সাড়ে চার দশকের নানা আখ্যান ও স্মৃতি বিষয়ক রচনা ... ...
কলেজ স্ট্রিট এলাকা নিয়ে গত সাড়ে চার দশকের স্মৃতি-আখ্যান ... ...
আগের পর্ব ঃ পর্ব - ১ পর্ব - ২ সকাল ৬ টায় উঠে দেখি বাইরে ততক্ষণে রোদ উঠে গেছে বেশ, আলোয় আলোকময় চারদিক! তার সঙ্গে ভয়ানক ঠান্ডা, সুতরাং স্নানের প্রশ্ন-ই নেই। তখন কি আর জানি যে পরের তিন দিন হাতে জল দিলেও ইলেকট্রিক শকের অনুভূতি হবে, স্নান তো দূর অস্ত! ফুলহাতা টিশার্টের উপর একটা হালকা উইন্ড চিটার চাপিয়ে নিলাম, কারণ যতই ঠান্ডা থাক বাইরে, ছোটোখাটো ট্রেকের অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে এরপরেই পাহাড়ে ওঠা শুরু হলে গরম হবেই আর রোদ-ও বেরিয়েছে বেশ তেড়ে-ফুঁড়ে। এখানে বলে দিই, আমরা আসার দিন পনেরো আগে থেকে আবহাওয়ার খবর রাখছিলাম সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানের, তাতে মোটামুট সব দিন-ই দেখাচ্ছিল ... ...
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আসলে কে দায়ী? এইটা আসলেই রয়ের মাস্টার প্ল্যান ছিল? পাকিস্তান সদলবলে ঢুকে পড়েছিল রয়ের চালে? রয়ের নীল নকশা হলে মকবুল বাটের সমর্থনের যুক্তি কী? তিনি খুবই সুপরিচিত নেতা ছিলেন। ১৯৭৬ সালে কাশ্মীরে ঢোকার সময় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। আট বছর ধরে বিচার চলে, তিহার জেলে ফাঁসি হয় মকবুল বাটের। কাশ্মীরিদের কাছে মকবুল বাট এখনও শ্রদ্ধেয়, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত নাম। কাজেই এই দিক দিয়েও আসলে প্রমাণ করার উপায় নাই যে এইটা রয়ের পরিকল্পনা। পরবর্তীতে কেউ কেউ বলেন যে হাসিম কুরেশি মূলত ডাবল এজেন্ট, তিনি মকবুলের সাথে বিমান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে ভারতে প্রবেশ করে এবং ধরা খান। তিনি তখন দল বদল করে ভরতের পক্ষে কাজ করে। এবং রয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী গঙ্গার মত পুরান একটা বিমান নিয়ে লাহোর নামে। এখানে প্রশ্ন থাকে যে তখন হাসিম কুরেশির বয়স কত? ১৬/১৭ বছরের একটা বাচ্চা ছেলের উপরে রয়ের মত গোয়েন্দা সংস্থা নির্ভর করবে? বিশ্বাসযোগ্য না। আবার রয়ের বেশ কিছু সাবেক কর্মকর্তা পরবর্তীতে দাবী করেছেন পুরোটাই তাদের পরিকল্পনায় হয়েছে, পাকিস্তানকে ঘোল খাইয়েছে বলে দাবী করে! পাকিস্তান তাদেরকে রয়ের সদস্য বলে বিচার করলেও একজনকে শাস্তি দিয়ে বাকিদের ছেড়ে দেয় কেন জানা যায় না, একজনকেও কয়দিন পরে কেন ছেড়ে দিল কেন তারও কোন উত্তর নাই। দেশদ্রোহীদের এত সহজে কেউ মুক্তি দেয়? তাহলে সত্য কী? কোন দাবীই আসলে নিরঙ্কুশ ভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায় না। ... ...
গুরুরা সর্বত্র বিরাজমান ... ...
#একাকী_ভ্রমি_বিস্ময়ে ... ...
ওই যে ভাইপো আর কাকতাড়ুয়াবাবু জন্মদিন ছড়িয়েছেন পোস্টারে ... ...
আগের পর্ব ঃ পর্ব - ১ নভেম্বরের ৪ তারিখ শুক্রবার, রাত ১১ টার পরে ট্রেন, পদাতিক এক্সপ্রেস, শিয়ালদা থেকে। সুতরাং পুরোদমে দিনভ’র আপিস করে, ব্যাগপত্র গুছিয়ে রাতের খাওয়া সেরে স্টেশন, বলাই ছিল সবাইকে ন’নম্বর প্ল্যাটফর্মেই সবাই মিলিত হব, সেই মত দেখা সাক্ষাৎ হল। ট্রেনে উঠে গুছিয়ে বসতে না বসতেই ট্রেন ছাড়ল একেবারে ঘড়ি ধরে। যাত্রা শুরু! ভোরবেলা ঘুম ভাঙতেই জানলার বাইরে তাকিয়ে প্রথম যেটা মনে হল, আকাশ আশ্চর্য রকম পরিষ্কার। হয়ত কলকাতার ঘোলাটে আকাশ দিন-রাত দেখেই এই অবস্থা। তখন-ও জানি না আমাদের জন্যে কি অপেক্ষা করে আছে! কিষাণগঞ্জ থেকে ট্রেন একটু ঢিমেতালেই চলছিল। রাঙাপানি পার হতেই দূর থেকে পাহাড়ের সারি চোখে পড়ছিল। হঠাৎ মনে ... ...
আত্মজীবনী কি গল্প ? উপন্যাস ? গল্প-উপন্যাস তাহলে কী ? ... ...
রাস্তাই রাস্তা ... ...
আমরা ভারতীয়রা সত্যিই লজ্জাজনকভাবে আত্মবিস্মৃত। কোন দিবস-টিবসের ছলেও আজ ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম মুসলমান শিক্ষিকা ফাতিমা শেখের ১৯২ তম জন্মদিনটিতে একবারও তাঁকে মনে করিনি আমরা। তার ওপর এদেশের গুগলে ফাতিমা শেখকে খুঁজলে গত ক'বছর ধরে সত্যিই অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখের ঠিকুজিকুষ্ঠী বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু ব্যবসার তাগিদে হলেও উপভোক্তা দেশগুলোর ঐতিহ্য আর ইতিহাসকে ভুললে চলেনা মাল্টিন্যাশনাল জায়ান্টদের। তাই গতবছর ফাতিমা শেখের ১৯১তম জন্মদিনে তাঁর এক ডুডল ছবি তৈরি করে এই প্রাতঃস্মরণীয়াকে সম্মান জানিয়েছিল মার্কিনি গুগল। তেমন আজও মার্কিন ফেসবুকই আমায় তাঁর জন্মদিনটি মনে করিয়ে দিল। আর এক ব্যস্ত-শীতল ৯জানুয়ারিতে নতুন করে প্রণম্যা ফাতিমা শেখ ফিরে এলেন আমার কাছে ... ...
একাকী ভ্রমি বিস্ময়ে ... ...
হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। তেমন যুৎসই শৈল্পিক ভাব আর ভাষার ভাঁড়ার আমার নেই। তবু এই ধুলোমাটির আসল মানুষ সোমনাথ মাইতিদের অমৃত্সমান কথা বলতে ইচ্ছে হলে, আত্মমগ্ন স্বচ্ছল মধ্যবিত্তকে জানানোর ইচ্ছে হলে, কিই বা উপায় করব আর? এঁদের সক্রিয়তাগুলি এতই হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। তেমন যুৎসই শৈল্পিক ভাব আর ভাষার ভাঁড়ার আমার নেই। তবু এই ধুলোমাটির আসল মানুষ, ''উদ্যোক্তা কৃষক'' সোমনাথ মাইতিদের কথা বলতে ইচ্ছে হলে, আত্মমগ্ন স্বচ্ছল মধ্যবিত্তকে জানানোর ইচ্ছে হলে, কিই বা উপায় করব আর? এঁদের সক্রিয়তাগুলো এতই বহুধাবিস্তৃত যে, প্রায় সবকথা না বলতেই লেখাখান বেশ লম্বা হয়ে গেল। অবিশ্যি আমি কে এমন হরিদাস পাল যে পাঠক এমন দীর্ঘ লেখা ধৈর্য ধরে পড়বেন! সত্যিই জানিনা। তবু এঁদের কথা লেখাটা, এঁদের যাবতীয় উদ্যোগকে সমাজের সমুখে আনাটা খুব জরুরি, সেই তাগিদ থেকেই এমন লেখা জারি থাকবে আজ আর আগামীতেও!! ... ...
পাণ্ডুলিপি তো অনেকগুলো হয়ে গেল। পাবলিশার পাই না। ... ...
চব্বিশ ঘন্টায় টাকা ডবল, ওফ্ফ্ ভাবা যায় না...ব্যাংকে টাকা না পচিয়ে... ... ...
“…এখন আমি একটা পাহাড় কিনতে চাই।সেই পাহাড়ের পায়ের কাছে থাকবে গহন অরণ্য,আমি সেই অরণ্য পার হয়ে যাবো,তারপর শুধু রুক্ষ কঠিন পাহাড়।একেবারে চূড়ায়, মাথার খুব কাছে আকাশের নিচে বিপুলা পৃথিবী, চরাচরে তীব্র নির্জনতা।…”– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়নাহ, পাহাড় কিনতে চাই না বটে, তবে বাকিটুকু খাপে খাপ। পাহাড়ী পথে পায়ে হেঁটে মাইলের পর মাইল চলে যাওয়া, দুপাশে সবুজ অথবা ধূসর চড়াই-উৎরাই, খাদের গহীনতা অথবা আকাশ ফুঁড়ে উঠে যাওয়া বরফে ঢাকা শৃঙ্গ – সেসব অবশ্য-ই চাই, এবং অতি অবশ্যই নির্জনতা, নৈঃশব্দ্য! তা এতদিন ছোটোখাটো কিছু হাঁটার অভিজ্ঞতা ছিল বটে, তবে সে’সব বড়জোর এক বা দু’দিনের খেল। দেশে ফেরার পর থেকে পায়ে হেঁটে ভ্রমণের ব্যাপারটা মাথায় ... ...
জানি না কেন বাংলাদেশের কবি বাংলাদেশেই স্বীকৃত নন ... ...
বলতে গেলে যা বলতে হয় তা বলা যায় ... ...