কবিতায় পেম পেম ভাব ... ...
মাঝে মাঝে মন খারাপ হয় ... ...
কিনে পড়লে টের পাবেন ... ...
সোফায় পা গুটিয়ে বসে গুছিয়ে ভাট শুনবেন যাঁদের এমন বাঙালী আইকনিক আঁতেল এখন বিলুপ্তপ্রায়। কিন্তু আঁতেল আইকন সামনে না থাকলে কি নিয়ে দিন কাটবে সেই চিন্তা থেকে ঋতুদা চলে যাবার পর চন্দ্রিলের আশ্রয়ে ছিলাম। তবে সেবারে ‘ক্যালকাটা লিটারেরী ফেষ্টিভ্যাল’ না কিসে যেন একটা চন্দ্রিলের বক্তৃতায় গোদার, বার্তোলুচি, বেলা লুচি, ফালুদা, ভারমিচিলি কি সব ঢুকে যাবার পর বুঝতে পারলাম চন্দ্রিল-দা আমার নাগাল ছাড়িয়ে এগিয়ে গেল – মধ্যবিত্ত আঁতেল থেকে উচ্চবিত্ত আঁতেল পর্যায়ে উন্নিত হয়েছেন দাদা। ফলে আমি আবার মধ্যবিত্ত আইকন খুঁজতে বসলাম – মার্কেটের অবস্থা খুব খারাপ। শেষে স্মরণাপন্ন হতে হলে শান্তনু মৈত্র মানে আমাদের সবার প্রিয় জি বাংলা সা রে গা মা পা-র শান্তনু-দা। তো শান্তনু-দাকে ফলো করেই আমার সেই কনফারেন্স কাঁপানো - ... ...
শেষ লাইনে বলা আছে ... ...
ক্রমে মাসুরি প্রেমে পড়ে যায় লাঙ্কাভির এক যোদ্ধার – এবং ভালোবেসে তাদের বিবাহও সম্পন্ন হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় ভালোবাসার সেই সংসার বেশী দিন করার আগেই যুদ্ধ লেগে যায় লাঙ্কাভির লোকেদের সাথে সিয়ামীজ-দের (থাইল্যান্ডের দক্ষিণ প্রদেশের লোক)। মাসুরির স্বামীকে যুদ্ধে যেতে হয় মাসুরিকে গ্রামে একা রেখে – অনেক দিন ধরে যুদ্ধ চলতে থাকে – আর সেই সমস্ত সময়টাতেই মাসুরিকে একা একাই কাটাতে হয়। এমন সময় একদিন গ্রামে এক কথক আসে – আমাদের দেশের মতই এই কথকরাও যাযাবরের মত এই গ্রাম সেই গ্রাম ঘুরে বেড়াতো। খুব ভালো কথা বলতে পারত বলে কথকের গল্প শুনে গ্রামের সবাই মন্ত্রমুদ্ধ হয়ে গেল। তাকে রিকোয়েষ্ট করা হল আর কিছু দিন এই গ্রামে থেকে যাও। কিন্তু সে থাকবে কোথায়? মাসুরি নিজেও তার গল্প শুনে মুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল আর তার বেশী জটিল কিছু না ভেবে বলল, তাহলে তুমি আমার বাড়িতে থেকে যাও। ... ...
প্রশ্নটা খুব সোজা হতে পারত – “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পুজো করা কি ঠিক?” নেহাতই নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন। হ্যাঁ বা না বলে কাটিয়ে দেওয়া যেত, যদি না আরও নানা রঙের প্রশ্ন এসে পড়ত সামনে – ... ...
নিজের জীবন থেকে তুলে এনেছি কতো যে ঘটনা ... ...
লাইব্রেরি ... ...
প্রেম ... ...
কাজেই এখন, রাত পোহালে যখন খেলা শুরু হয়ে যাবে তখন বিশ্বকাপ বাতিল করার মত কথা বলার যুক্তি নাই। আমার চাওয়া কী? খুব ছোট্ট চাওয়া। আমি চাই উম্মাদনায় ভেসে যাওয়ার সময় মনে রাখুন ওই ক্রংক্রিটের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য যা আমরা দেখছি তার প্রতি পরতে পরতে রক্ত লেগে আছে আমার দেশের ভাইদের। মানুষের রক্ত লেগে আছে, ঘাম মিশে আছে, যার ন্যায্য মূল্য দেয়নি অসভ্য কাতার সরকার। আমরা মনে রাখি শ্রমিকদের কথা, কাতার একটা রক্তচোষা দেশ, এইটা যেন আমরা মনে রাখি। ব্রাজিল আর্জেন্টিনা, জার্মান ফ্রান্স, বেলজিয়াম প্রেমে ভুলে যেন না যাই যে আমরা এই আয়োজনে হেরে যাওয়া দল। আমাদের ভাইদের হারিয়ে দিয়েছে জোর করে। রক্ত দিয়েও জিততে পারেনি তাঁরা। ... ...
তিস্তা, দীপন বা অদিতিরা এমনই। ওরা সর্বার্থেই ভালো, মানে যাদের আজকালকার টার্মে 'পাগল' বলা হয়। ওরা সেইসব পাগল, যারা নিজেদের ভালোবাসা, সাহস, স্বপ্ন, সদিচ্ছা আর শ্রমের হাতিয়ারে রোজ একটু একটু করে পূতিগন্ধময় পাব্লিকে ভরা এই দুনিয়াটাকে একটা সুন্দরতর জায়গায় বদলে দিচ্ছে। ... ...
শনিবার সকালে কলকাতার একটি ইংরেজি কাগজের ভাঁজ খুলতেই পাতাজোড়া রঙিন ঝকঝকে বিজ্ঞাপন দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। উত্তরবঙ্গের অরণ্যময় ডুয়ার্সের লাটাগুড়িতে উচ্চবিত্ত শহুরে নাগরিকদের ভোগবাদকে উস্কে দিতে ২০ একর জমিতে বিলাসবহুল আবাসন তৈরি হচ্ছে। দুপুরে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস কাগজের অনলাইন এডিশনে দেখলাম, ফরিদাবাদের বনভূমিতে বন কেটে বসত তৈরির উদ্যোগ নেওয়ায় ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এন জি টি) সেই রিয়ালটারকে ১০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে। অসাধু ব্যবসায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাঁচ একর জমিতে অন্তত ৫০০ গাছ কেটে ফেলেছে। প্রতিটি গাছ কাটার জরিমানা দু' লাখ টাকা। ফরিদাবাদের ঘটনায় এন জি টি-র নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে স্মরণ করা যেতে পারে, প্রাচীন ভারতীয় শাস্ত্রে প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্ব প্রচার করা হয়েছিল। সনাতন হিন্দু ধর্মে বৃক্ষ ও প্রকৃতি বন্দনার প্রশস্তির প্রকৃত লক্ষ্য হল, মানুষের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা জাগিয়ে তোলা। আমাদের পূর্বপুরুষেরা গাছ রক্ষা করা তাঁদের আবশ্যিক কর্তব্য বলে বিবেচনা করতেন। আর সে কারণেই প্রতিটি গাছের প্রতি তাঁরা আরোপ করতেন ধর্মীয় পবিত্রতা। তাই সমাজে খুব সহজেই গাছ হয়ে উঠেছিল ধর্মীয় আরাধনার বস্তু। এর দৃষ্টান্ত রয়েছে লোকাচারেও। নগরায়ণের বেপরোয়া দাপটে বোঝা যায়, প্রকৃতিকে লালন করার যে সহজাত নীতিবোধ অতীতে ছিল তা থেকে বর্তমান সমাজ পুরোপুরি বিচ্যুত। ... ...
বুড়ো বয়সে নখ কাটার হ্যাপা ... ...
মঞ্জুদিদি তারপরেও অনেকদিন, যতদিন না ওর বিয়ে ঠিক হয়, আমাদের বাড়িতেই ছিল। বেশ কিছুদিন আমার সাথে সরাসরি কথা বলত না, আমিও না। পরে আর মঞ্জুদিদির সাথে কখনো যোগাযোগ হয় নি। এখন বুঝি সেই সময় জিজির যা অবস্থা তাতে চার পাঁচশো টাকা হারানো কতটা তার জন্যও ভয়ানক ছিল। আমার অন্যায়টা- It was wrong on so many levels...। এই অন্যায়টার কথা কেউ জানে না, ভাইও না। আজ এখানে লিখে রাখলাম। শুধু মঞ্জুদিদির কাছে ক্ষমা চাইবার একটা সুযোগ যদি পেতাম। ... ...
লোকে যা যাই বলুক ... ...