ঠাকুরের কথা, "মানবগুরু মন্ত্র দেন কানে, জগৎগুরু মন্ত্র দেন প্রাণে।" সেই সকল মানুষ – যাঁদের মধ্য দিয়ে কথায়, লেখায়, সুরে, কাজে জগৎগুরু, পরম আমাদের প্রাণে সৃষ্টির বার্তা পাঠিয়ে চলেছেন – সব্বাইকে আমার শ্রদ্ধা জানাই আজকের দিনে। ... ...
ব্রজরাজ নন্দ, তাঁর দুই রাণি – রোহিণী ও যশোদা, বলরাম (যিনি বিষ্ণুর অংশ-অবতার) এবং ব্রজের সকল গোপ ও গোপীগণ স্বর্গ থেকে আবির্ভূত, তাঁরা কৃষ্ণের আগে জন্ম নিয়েছিলেন, শিশু ও বালক কৃষ্ণকে লালন-পালনের জন্য। রাজা কংসের চোখে ধুলো দিতে, কৃষ্ণের সঙ্গে একই সময়ে আবির্ভূতা হয়েছিলেন, দেবী যোগমায়া। দেবরাজ ইন্দ্র স্বর্গের এই সব সংবাদ কিছুই জানতেন না? কেমন দেবরাজ তিনি? নাকি পুরাণকারেরা কাহিনী কল্পনার সময়, এই দিকটি খেয়াল রাখেননি? নাকি অনার্য বা হিন্দু দেবতার কাছে বৈদিক দেবরাজের লাঞ্ছনার ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত ভাবেই উপস্থাপিত করেছেন? ... ...
এবার রাশিয়ান আক্রমণ প্রকট হলো দূর হতে নিক্ষিপ্ত রকেটের রূপে । তার কতগুলো ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবস্থানে আঘাত হেনেছে তা সঠিক জানা যায় নি । তবে নিরাপদ আস্তানায় বসে ছোঁড়া রাশিয়ান অনেক রকেট বাহী বোমা দেখা দিয়েছে অসামরিক মানুষের ঘরবাড়ির জানলায়, দরোজায়, হাসপাতালে, গোশালায় । প্রতিদিন, প্রতি রাতে সশব্দে সেই সব রকেট নাগরিকের প্রাণ ও শিশুর নিদ্রা হরণ করেছে। যুদ্ধের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কবিহীন কোনো প্রকারের সামরিক গুরুত্ব হতে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন সাধারণ নাগরিকের জীবন এবং জানলা চুরমার দ্বারা সামগ্রিক গণভীতি উৎপাদনে সক্ষম মহামতি পুতিন দেশছাড়া করেছেন বহু মানুষকে। অন্য কোন উদ্দেশ্য সাধিত হয়েছে কিনা সেটা তিনিই জানেন। অধিকন্তু ন দোষায় বিধে রাশিয়ান করদাতার অর্থে কেনা অজস্র লক্ষ্যভ্রষ্ট রকেট আছড়ে পড়েছে যেখানে সেখানে, গোয়ালে, স্কুলের মাঠে , হাইওয়েতে, বনে বাদাড়ে । ... ...
সেবারে ইংল্যান্ড এসে প্রশান্ত মহলানবীশ গেলেন রামানুজনের সাথে দেখা করতে কেমব্রীজে, তখন ১৯১৯ সালের শেষদিক। রামানুজনের স্বাস্থ্য তখন ভেঙে পড়েছে – শরীর খুব একটা সুবিধার নয়। পরের বছরেই মারা যাবেন তিনি। কিন্তু অঙ্ক নিয়ে মেতে থাকলেই তিনি ভালো থাকেন বলে ডাক্তারে সেই নিয়ে আর নিষেধ করেন নি। প্রশান্ত মহালনবিশও ভাবলেন হাওড়া ব্রীজের সমস্যাটা শুনিয়ে যদি রামানুজন-কে চিয়ার আপ করা যায় একটু। খুব মন দিয়ে শুনলেন ব্যাপারটা রামানুজন – বললেন, “আমাকে দুদিন সময় দাও প্রশান্ত। খুবই ইন্টারেষ্টিং এটা”। ... ...
স্বাধীনতা উৎসবে দেখলাম অনেক তরুণ উজ্জ্বল মুখ । তারা বাড়ির কাছে না হলেও স্থানীয় স্কুলে জায়গা পেয়েছে। গ্রীষ্মের ছুটি শেষ হলে পুরো দমে লেখা পড়া শুরু হবে, ইংরেজি শেখানোর স্পেশাল ব্যবস্থা সহ। ইতিমধ্যে কোন কোন স্কুল বা পৌর সভা তাদের নানান ক্যাম্পে নিয়ে গেছে – সমুদ্রের ধারে অথবা বনের ভেতরে সেখানে তারা এ দেশের ছেলে মেয়েদের সঙ্গে মেলা মেশা করার সুযোগ পায় বাধ্য হয় ইংরেজিতে বাক্যালাপ করতে । তারা ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে। মায়েরা সংসারের । এই কলরব মুখরিত হলঘরে , ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসের উৎসবে অনুপস্থিত পুরুষেরা । স্বামী বাবা ভাই কাকা ইউক্রেনের কোথাও অস্ত্র হাতে বনে বাদাড়ে শত্রুর মুখোমুখি হয়েছেন , কেউ ট্যাঙ্ক বা সাঁজোয়া গাড়ি চালাচ্ছেন। নিয়মিত খবর জোটে না। ... ...
#JusticeForAsifa ... ...
"মহর্ষি বেদব্যাস আরও বিষণ্ণ হলেন। তিনি চার বেদের সংকলন করেছেন, অজস্র শিষ্যকে বেদের পাঠ দিয়েছেন। শূদ্র এবং নারীদের বেদপাঠ নিষিদ্ধ বলে, তিনি পঞ্চম বেদস্বরূপ মহাভারত রচনা করে, সকলের কাছে বেদের জ্ঞান প্রকাশ করেছেন। তিনি উপলব্ধি করলেন, পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করা সত্ত্বেও, তিনি পূর্ণ ব্রহ্মলাভ করতে পারেননি। সামান্য অপ্সরাগণও তাঁর মতো জ্ঞানবৃদ্ধের দৃষ্টিতে সমদর্শন দেখতে না পেয়ে, লজ্জিতা হয়, তাঁকে সাধারণ মানুষ বলেই মনে করে! সেদিন সরস্বতী নদীর তীরে বসে, নির্জন গোধূলিতে তিনি চিন্তা করতে বসলেন, তবে কী আমার জ্ঞান অসম্পূর্ণ এবং অপরিণত?" ... ...
‘চরকসংহিতা’ অনুসারে ‘বলি’ শব্দের অর্থ ‘গুদাঙ্কুর’ বা ‘পায়ুদ্বারের (পিড়াদায়ক) অঙ্কুরাকার মাংসপিণ্ড’। ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ অনুসারে ‘গুদ্’ শব্দের অর্থ ‘ক্রীড়া’ (স্মর্তব্য: ‘কাতুকুতু’ অর্থে হিন্দি ‘গুদগুদি’ শব্দটি) ও ‘গুদ’ শব্দের অর্থ ‘যা কুঞ্চনাকুঞ্চন (সংকোচন-প্রসারণ) দ্বারা ক্রীড়া করে’ বা ‘মল নির্গমনের পথ’, এককথায় ‘পায়ু’। শ্রীকৃষ্ণমঙ্গল কাব্যে একটি পংক্তি আছে, ‘উলটি পালটি গুদ দেখাইয়া যায়’। আর বাংলা অপভাষায় যে নারীদেহের যৌনাঙ্গ বোঝাতে ‘গুদ’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়, -তা আভিধানিক নয়, লাক্ষণিক অর্থ।একই কথা ... ...
২৫০+২৫০ = ৫০০ কিমি পথ মাড়িয়ে তিনদিন পথে বা খোলা জায়গায় থেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করতে আসা। মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতার বিধাননগরে। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে। নারীর দল। পুরুষবিহীন। ১০-১২ জনের ছোটো ছোটো দল। নানা গ্রামের। ... ...
মুসলমান বা অন্য কোনো সম্প্রদায়গত পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতি দিয়ে হিন্দুত্ববাদকে পরাস্ত করা যাবে না। কেননা পরিচয়বাদী রাজনীতি একটা আরেকটাকে শক্তিশালী করে। হিন্দুত্ববাদকে পরাস্ত করতে পারে স্রেফ গণতান্ত্রিক রাজনীতি। ... ...
কিন্তু আসল সত্য হচ্ছে উপরে যে ভিডিওর কথা বললাম তা। আপনারা বাংলা সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করেন ইংরেজিতে! বাংলা আসলে কোথায় মারা যাচ্ছে তা বুঝতে রকেট সাইন্স জানতে হবে না, মাথাটা একটু নরম হলেই খুব বুঝতে পারতেন। ওই ভিডিওটা দেখার পরে আমি কল্পনা করার চেষ্টা করলাম যে ঢাকায় একুশে বই মেলা প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা হচ্ছে, বিষয় বাংলা সাহিত্য আর কোন এক বাঙালী বক্তা ইংরেজিতে কুস্তাকুস্তি করছেন! কল্পনা করে আমি শিউরে উঠেছি, বেশিদূর যেতে পারি নাই কল্পনাকে টেনে নিয়ে। ... ...
বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি খুব স্পষ্ট করে দেখিয়ে দেয়, যে, ধর্ষকরা পরিষ্কারভাবেই দুই গোত্রের। এক দল নির্ভয়াকান্ডের ধর্ষক, বা হায়দ্রাবাদ কান্ডের অভিযুক্ত, যারা নিন্দিত, ধিকৃত, দেশজুড়ে ঘৃণার পাত্র। জেলের কয়েদিরাও তাদের পিটিয়ে দেয়, পুলিশ পারলে এনকাউন্টার করে দেয়। পাবলিক রাস্তায় নামে, পারলে থুথু দেয়, এবং দেশজোড়া উল্লাসের মধ্যে ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, খুব এবং ধর্ষণে অভিযুক্তদের। আর আরেকটা গোত্র হল কাঠুয়াকান্ড বা বিলকিস বানোর ধর্ষকরা। তাদের সমর্থনে মিছিল হয়, পারলে বেকসুর খালাসই করে দেওয়া হত। কোনোক্রমে কারাগার অবধি পৌঁছলে সেখান থেকে কায়দা-কানুন করে ফিরিয়ে আনা হয় এবং ফিরলে ফুলমালা দিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। ... ...
আমি নিশ্চিত, তুমি এমন দু’জনকে চেনো, যাদের একজন ক্রিকেটের সমস্ত শুকনো সংখ্যাতত্ত্ব মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, আর একজনের সে সব শুনলেই ক্লান্তি আসে। কিন্তু কিছু কিছু প্রশ্ন এতটাই গভীর, এতই বিশাল তার পরিধি – যে তার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলেও ভিড় করে আসে আরও হাজারটা প্রশ্ন (কম করেও) – যারা নিজেরাও প্রায় ততটাই গভীর। সেইসব প্রশ্ন-পিতামহ তখন জন্ম দেয় এক-একটি গবেষণার বিষয়ের। ... ...
সুরকার হিসেবে হেমন্ত খুবই অল্পচর্চিত, এবং অনেকটাই আন্ডাররেটেড। অথচ হেমন্তর সুর যে কীরকমভাবে শ্রোতাদের মর্ম ছুঁতো তার প্রমাণ বাংলা ছবিতে সুরকার হেমন্তর সাম্রাজ্যবিস্তার - জীবনের একটা সময়ে প্রায় একচ্ছত্র। ... ...
স্বয়ং ধর্ম এবং ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠিরের আলোচনায় ধর্ম বলতে প্রচুর ঘৃতাহুতি ও বেদোচ্চারণ করে বিশাল যজ্ঞের অনুষ্ঠান এবং তারপর বিপুল দান-টান করে স্বর্গবাস সুনিশ্চিত করার প্রকরণ বলে মনে হল না। যজ্ঞ-টজ্ঞ নিয়ে দু চার কথা রয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেটা গৌণ, মুখ্যতঃ ধর্ম বলতে যা বুঝলাম, সংসার, সমাজ, প্রতিবেশী, গুরুজন, স্বজন-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব সকলের সঙ্গে সদাচরণ, সকলের সঙ্গে মিলেমিশে সদ্ভাব বজায় রেখে চলা। একথা ভগবান বুদ্ধ, সম্রাট অশোকও বলেছিলেন, তাঁদের আমরা “বুদ্ধু” বলেছি, বলেছি “নির্বোধ”। কারণ এই ধর্ম আচরণে সমাজের পুরোহিত বা ব্রাহ্মণ শ্রেণীর স্বার্থ সিদ্ধি হয় না। তাঁদের স্বার্থসিদ্ধির প্ররোচনায়, আমরাই “বুদ্ধু” এবং “নির্বোধ”-এর মত, ধর্ম নিয়ে প্রতিবেশী, সমাজ, বন্ধুজনের প্রতি আনৃশংস্যতার পরিবর্তে নৃশংস হয়ে উঠেছি বহুকাল। ধর্মের নামে আমরা কবেই খুইয়ে বসেছি আমাদের মানবধর্ম। ... ...
স্বামীজীর ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে তাঁর সদ্য পাওয়া একটি চীনাকাঁচের উপহার ভেঙে ফেলেছে পরিচারক; চোখে পড়েছে এক প্রবীণ মহারাজের। রাগে শুধু পরিচারকের গায়ে হাত ওঠা বাকি, উদয় হলেন নরেন্দ্র। "কী হয়েছে দাদা?" "আপনার পাওয়া ওই কাঁচের জিনিসটা ভেঙে দিল বলদটা! বিকেলে রাজা মহারাজ ফিরুন, তারপর হচ্ছে ওর! আপনার অত সুন্দর কাঁচের স্মারক...", মহারাজের দুঃখ আর যাচ্ছে না। "আচ্ছা আপদ তো! কাঁচের জিনিস তো ও'ভাবেই যায় দাদা; ও কী আমাদের মতো যক্ষ্মা-কলেরায় যাবে নাকি?" ... ...
সরকারেরও বুঝা উচিত সীমা যেন অতিক্রম না হয়। একটা পর্যায় গিয়ে হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে যাবে মানুষ। ভাবার, চিন্তা করার ক্ষমতা এমনেই কম আমাদের। সেই সময় আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে যাবে। ইউক্রেন যুদ্ধ, আমেরিকার রাজনীতি, চীনের কূটনীতি, মধ্যপ্রাচ্যের ধর্ম কোনকিছুই মানুষ বুঝবে না। মানুষকে নিঃশ্বাস নিতে দিতে হবে, বাঁচার রাস্তা দিতে হবে। অন্যথায় মানুষের স্বভাবের কারণেই মানুষ ঘুরে দাঁড়াবে এবং প্রলয় ঘটিয়ে থামবে। তখন আর রক্ষা পাওয়া যাবে না। ... ...
বাংলাদেশে আমার হিসাবে দুইটা শ্রমিক ইউনিয়ন খুব শক্তিশালী। এক মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন আরেক হচ্ছে গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়ন। এঁরা শক্ত করে দাবী আদায় করে বলে এঁদের নাম আমরা জানি। বাকিরা শ্রমিক না ধইঞ্চা তাও আমরা জানি না। আমার জীবনের খুব অল্প কিছুদিন স্পিনিং মিলে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি দেখছি এঁদের কোন সারা শব্দ পুরো দেশে কোথাও নেই। আওয়ামীলীগ সরকার যখন প্রথম দফায় গার্মেন্টসদের বেতন বৃদ্ধি করল সেই সময় আমি নারায়ণগঞ্জে একটা স্পিনিং মিলে চাকরি করি। আমি দেখলাম সেই বেতন বৃদ্ধি এঁদের জীবনে কোন প্রভাব ফেলল না। তখন সম্ভবত সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করা হয়েছিল ছয় হাজার টাকা। আমি আমার ফ্লোরে অদক্ষ শ্রমিককে বেতন নিতে দেখছি দুই হাজার টাকা, দেড় হাজার টাকা করে! এবং গার্মেন্টস যখন শিশু শ্রম থেকে মুক্ত হয়ে গেছে প্রায় তখন আমি দেখছি স্পিনিং মিলে দশ বারো বছরের শিশুদের দিয়ে কাজ করাচ্ছে, বেতন মাসে এক হাজার টাকা! শিশুদের রাতের শিফটে কাজ করানো আমার পক্ষে সম্ভব না, শুধু মাত্র এই কারণে আমি চাকরি ছেড়ে চলে আসছিলাম। আমি জানি না এখন স্পিনিং মিলের পরিবেশ ক্যামন। খুব একটা পরিবর্তন হয়ে গেছে বলে মনে হয় না আমার। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি কোনদিন কোথাও শুনি নাই স্পিনিং মিলের শ্রমিকেরা বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলনে নেমেছে। আর নামে নাই বলেই হয়ত আজও অন্ধ কুঠিরে সারাদিন কাজ করে বেতন পাচ্ছে তিন চার হাজার টাকা! কোনদিন এঁরা যদি রাস্তায় নামে আমি আশ্চর্য হব না। তবে আমি যেমন চা শ্রমিকদের কথা জেনে শিউরে উঠেছি, তেমনই তখনও অনেকেই আশ্চর্য হয়ে যাবে এঁদের জীবন কাহিনী শুনে। ... ...
ওড়িশার হেরিটেজ গ্রাম রঘুরাজপুরে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করে পটচিত্র তৈরী হয়। পুরানো কাপড়ের টুকরো তেতুলের বীজের গুঁড়ো ও কৎবেলের আঠার মিশ্রনের মাধ্যমে বিশেষ ভাবে তৈরী পাট্টার উপর প্রথমে চক এবং আঠার মিশ্রণে আঁকা হয় । ... ...
প্রশ্ন তুলেছেন মহামতি পুতিন। তাঁর এক সাম্প্রতিক ভাষণে তিনি বলেছেন: জার মহান পিটার যখন উত্তরের যুদ্ধে জয়ী হলেন, তিনি এমন কিছুর অধিকার নেন নি যা অন্যায্য ছিল । সেন্ট পিটারসবুরগ প্রতিষ্ঠার পরে বহু ইউরোপীয় শক্তি মনে করেছিল পিটার সুইডেনের অংশ দখল করেছেন । সেটি অসত্য । এই অঞ্চলে বহু বছর যাবত স্লাভিক মানুষ বসবাস করেছেন। এখন যদি প্রশ্ন ওঠে কেন মহান পিটার নারভা অভিযান করেন ? এর উত্তর সহজ। তিনি তারই দখল নিয়েছেন যা স্লাভিক যা একান্তই রাশিয়ার নিজভূমি ... ...