সঠিক সংজ্ঞা গুলি মেনে নিলে আধুনিক সভ্যতার ইতিহাসে প্রথম গণহত্যার কৃতিত্ব জার্মানদের প্রাপ্য। স্থান জার্মান দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকা, আজকের নামিবিয়া, কাল ১৯০৪। হেরেরো নামের স্থানীয় উপজাতির বিরোধিতায় ক্ষিপ্ত জার্মান সেনাপতি লোথার ফন ত্রথা নামের এক সেনাপতি লিখিত আদেশ দেন – "হেরেরো জাতিকে সমূলে বিনাশ করতে হবে, শুধু বন্দুকের গুলিতে নয়, তাদের ঠেলে পাঠাতে হবে এমন অঞ্চলে যেখানে জল নেই। "আশি হাজার হেরেরো নিধনের সা পরে জার্মান কাইজারকে লিখলেন, "যেসব পুরুষ নারী ও শিশুকে পেয়েছি তাঁদের নির্মমভাবে (গ্নাদেনলোস) হত্যা করেছি। এদের কারো কাছে অস্ত্র ছিল না।" ফিল্ড মার্শাল আলফ্রেড ফন শ্লিফেন সমর্থনে বলেন, "একটা জাতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই – তাদের বিনাশ আমাদের লক্ষ"। হিটলারের বয়েস তখন পনেরো, গোয়েরিঙের এগারো, দুনিয়ার আলো দেখতে আইখমানের দু বছর বাকি। ... ...
অতএব প্রতি বছরের নিয়মিত পরিযায়ী জীবন ছেড়ে আদিম মানুষ এখন হয়ে উঠছে গ্রামবাসী। তাদের ঘরবাড়ি-বাসা এখন আর আগের মতো অস্থায়ী নয়। কাঠের কাঠামো আর মাটির দেওয়াল, বড়ো পাতা, লম্বা লম্বা শুকনো ঘাসের ছাউনি দিয়ে তারা মোটামুটি পোক্ত বাড়ি বানাতে শিখে গেছে। শিকারী-সংগ্রাহীদের যাযাবর জীবন এখন ধীরে ধীরে গৃহস্থী হয়ে উঠছে। এতদিনের যে জীবনযাত্রায় তাদের ছিল ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা, সারল্য এবং কঠোর বাস্তবতা, এখন তাদের জীবনে আসছে কিছু কিছু বিলাসিতা, কিছু আড়ম্বর এবং কিছু কিছু শিল্পকলাও! ... ...
কৈশোর থেকে যৌবনের উড়াল। বদলে যায় পরিবেশ। বদলে যায় স্বজন-বান্ধব-পরিচিতি। বদলে যায় সময়। বদলে যায় জীবন, পুর্ব-লালিত ধ্যান ধারণা। সবার নয়, কারোর কারোর। এ বদলের ছাপ আবার সবসময় বাইরে পড়ে না। তাই আশেপাশের অজান্তেই ঘটে যায় অদল-বদল। আর কখনো কখনো এই বদলের কেন্দ্রে থাকে একটি জড়বস্তু। একটি শিক্ষাস্থান। খিড়কী থেকে সিংহদুয়ারের জীবনে খোলা হাওয়া। বদলের ক্যাটালিস্টও। জীবনে বদলই ধ্রুব। জ্ঞানীরা তাই বলেন। তবু কতটা সহজ হয় এই অন্তর-যাত্রা? কতটা মূল্য দিতে হয়? ... ...
অমরদার পুরস্কার তো আমাদেরই পুরস্কার। যখন রিয়েলিটি শোতে ঢেকে যাচ্ছে দুনিয়া, লেখা-টেখা যা হচ্ছে, তাও বেশিরভাগই ভূত-প্রেত-তন্ত্র-মন্ত্র, যখন বিকট উচ্চকিত আলোর দুনিয়ায় শিল্পীরা ক্রমশ ব্রাত্য হয়ে যাচ্ছেন, তখন যেকোনো সৃষ্টিশীল মানুষ স্বীকৃতি পেলেই মনে হয়, নিজেদের স্বীকৃতি। তার উপর এ তো অমরদা। এই তো সেদিনই গুটিগুটি স্টলে এসে চেয়ারে বসলেন, দুচারটি বাক্যবিনিময় হল। ফিল্মফেয়ার পাওয়া শিল্পী এলে ভিড় জমে যেত, অকাদেমী পাওয়া লেখক হলে, তেমন হয়না, কী আর করা যাবে। বুকার-টুকার পেলে হয়। অরুন্ধতী রায় কি ঝুম্পা লাহিড়ি এলে ভিড়ের সঙ্গে দুচাট্টি ক্যামেরাও কি আসতনা? এবার অমরদা এলেও হবে নির্ঘাত। তাতে যে অমরদার দুটি নতুন হাত গজাবে তা নয়। উনি যা লিখেছেন, তা তো আর একটা পুরস্কারে বদলে যাবেনা। এবং এ মোটেই আনন্দের ব্যাপারও না, যে বিদেশী পুরস্কার পেলে তবেই আমরা টের পাব ঘ্যাম কিছু একটা হচ্ছিল বটে। কিন্তু ও আমাদের ঐতিহ্য। রবীন্দ্রনাথও, শুনেছি, বিশ্বভারতীর খাটা-পায়খানার জন্য পয়সা তুলতে কলকাতায় মুখের ফেনা তুলে ফেলেছিলেন, তারপর যেই নোবেল পেলেন, ট্রেন রিজার্ভ করে আস্ত কলকাতাই বোলপুরে হাজির। নোবেল বাবা, ইয়ার্কি না। ... ...
কর্পোরেট মিডিয়াতে বিশ্লেষণ থাকেনা। আমার সামান্য জ্ঞানবুদ্ধিতে যা মনে হলো, তাই লিখলাম। কারণ, আজ শ্রীলঙ্কা, কাল ভারত ও বাংলা। ... ...
মঙ্গলবার সকালে গাড়িতে পেট্রোল ভরলাম ১১৪ টাকা ২২ পয়সা দরে। আজ সকালে দেখলাম কলকাতায় পেট্রোলের লিটার আরও বেড়ে ১১৫ টাকা ১২ পয়সা। খবরের কাগজ বলছে, "এখনও পর্যন্ত এটাই তার সর্বোচ্চ দর"। এই পর্যবেক্ষণ বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে নেহাতই অসার। সংসদে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার গলা টিপে দেওয়া হচ্ছে। তবু এই পরিস্থিতেও জনজীবনে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সোচ্চার প্রতিবাদ টের পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যক্তিগত অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার মরীয়া তাগিদে বিনা প্রশ্নে, বিনা প্রতিবাদে, পরিস্থিতির সঙ্গে আপস করে সব কিছু মেনে নেওয়াই বোধ হয় ভবিতব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে বা যাঁরা এই পরিস্থিতির জাঁতাকলে পড়ে সহ্যের শেষ সীমায় চলে যাচ্ছেন, তাঁরা মর্মান্তিক ভাবে চরম পদক্ষেপ বেছে নিচ্ছেন। সস্তা-গন্ডার দিনকালের কথা পাওয়া যায় সুরসিক যম দত্তের রম্যরচনাতে -- "আশু মুখুজ্জে মহাশয় যখন ভীমনাগের দোকান হইতে রোজ রোজ করিয়া সন্দেশ খাইতে আরম্ভ করেন, তখন সন্দেশের সের চোদ্দ আনা দাঁড়ায় আর এখন?... " সন্দেশের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তিনি বাঙালির মেধা ও বুদ্ধিবৃত্তির চূড়ান্ত চাঞ্চল্যকর তুলনা করেছেন। তাঁর ভাষাতেই ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করা যাক -- "যখন সন্দেশের সের দুই আনা তিন আনা তখন দেশে রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত জন্মাইয়াছেন, যখন সন্দেশের দর চার আনা ছয় আনা তখন দেশে বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ জন্মাইলেন, যখন সন্দেশের সের এক টাকা, দেড় টাকা তখন দেশে সুনীতি চাটুজ্জে, সত্যেন বসু, মেঘনাদ সাহা জন্মাইয়াছেন; যখন সন্দেশের সের দুই টাকা, আড়াই টাকা তখন শ্যামাপ্রসাদ, সুভাষ বসু জন্মাইয়াছেন। আর এখন ছয়, সাত টাকা সের সন্দেশ কয়জনেই খাইবে?...বাঙালি মরিয়া গেল।" ... ...
কৈশোর থেকে যৌবনের উড়াল। বদলে যায় পরিবেশ। বদলে যায় স্বজন-বান্ধব-পরিচিতি। বদলে যায় সময়। বদলে যায় জীবন, পুর্ব-লালিত ধ্যান ধারণা। সবার নয়, কারোর কারোর। এ বদলের ছাপ আবার সবসময় বাইরে পড়ে না। তাই আশেপাশের অজান্তেই ঘটে যায় অদল-বদল। আর কখনো কখনো এই বদলের কেন্দ্রে থাকে একটি জড়বস্তু। একটি শিক্ষাস্থান। খিড়কী থেকে সিংহদুয়ারের জীবনে খোলা হাওয়া। বদলের ক্যাটালিস্টও। জীবনে বদলই ধ্রুব। জ্ঞানীরা তাই বলেন। তবু কতটা সহজ হয় এই অন্তর-যাত্রা? কতটা মূল্য দিতে হয়? ... ...
হোটেলের রেষ্টুরান্টের বোরিং মাপাজোপা খাবার খেতে খেতে ক্লান্ত হয়ে এই ভাবেই একদিন ধর্মতলার ছোলে-বাটোরা-র প্রেমে পড়ে গেল রাসেল। হয়েছে কি একদিন বিকেলে প্র্যাক্টিস থেকে ফিরে হোটেলের বাইরে একটু ঘুরতে বেরিয়েছে, একটা দোকানে দেখে লোকজন বিশাল ফুলো ফুলো বান্-এর মতন কি খাচ্ছে! ইন্টারেষ্ট লেগে গেল রাসেলের – জয় মা বলে ঢুকে পড়ল দোকানে, আঙুল দিয়ে দেখালো যে ওই খাবার তার চাই। দোকানে যে ক্যাশে বসেছিল সে অনেক কষ্টে ভাঙা ভাঙা ইংরাজীতে জানালো যে ওই খাবারের নাম “ছোলে-বাটোরে”। ব্যাস, সেই খাবার খেয়ে রাসেল ফিদা! নামটা মুখস্ত করে নিল কয়েকবার আউড়ে নিজের মনে মনেই। ... ...
সি ভিরুথাচলম। ১৯০৬- ১৯৪৮। অবশ্য এই নামে ওঁকে কম লোকই চেনে। ইনি বরং পরিচিত পুধুমাইপিঠান নামে। তামিল সাহিত্যের এক বিশিষ্ট লেখক। স্বল্পস্থায়ী জীবনে প্রায় শতখানেক ছোটগল্প লিখেছেন। সেই সঙ্গে প্রবন্ধ ইত্যাদি। সাহিত্য একাদেমি ওঁর ছোটগল্পের একটি সংকলন বার করেছে। সেটি দেখার সৌভাগ্য হয়নি। Saba Vimochana ওঁর লেখা একটি বিখ্যাত ছোটগল্প। ইন্টারনেটে এই গল্পের একটি K Sarvanan কৃত অনুবাদ পড়ে অসম্ভব মুগ্ধ হই। গল্পের জোরালো বক্তব্য ভাষার সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে এসেছে। সেই ইংরাজি অনুবাদের থেকে বাংলায় অনুবাদের চেষ্টা এই গল্প। দুধের স্বাদ অবশ্যই ঘোলে মেটে না। তাই এই অনুবাদের অনুবাদ পড়ে যদি কেউ এই লেখকের সৃষ্টি সম্বন্ধে উৎসুক হন সেটাই এই অনুবাদকের প্রাপ্তি হবে। ... ...
এক কালুয়া আর এক কালুয়াকে অস্কার হলিউডে চড় কষিয়েছে। সেই নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড। ছি ছি কী লজ্জা! ... ...
- কোনো ক্রাইসিস পিরিয়ডে ঘুম থেকে উঠে, আগে ভাত আর ডাল বসিয়ে দিতে হয় জানোনা। তুমি তো অনেকক্ষণ উঠেছো। ডালটা সিটি দেওয়া থাকলে, তাতে ডুবিয়েও তো সবাই পাঁউরুটি খেতে পারতো। তিনটে অসুস্থ, দুটো সুস্থ মানুষ খাবে কী এখন। ঘড়িতে সকাল দশটা বাজতে যায়? কর্তা দেখলাম জুৎসই উত্তর হাতড়াচ্ছেন। এমন সময় রান্নার মেয়েটি ঘর থেকে বেরোলো, আর বাংলার পাঁচ, ছয়, সাত সবরকম মুখ করে চাল ধুতে শুরু করলো। সহোদরাও বেরিয়ে পড়লো। আমাদের ঘরে তো আর অ্যাটাচড বাথ নেই। আর পতিদেব সুযোগ বুঝে - 'ওরে বাবা, চারদিকে করোনা বেরিয়ে পড়েছে, মাস্ক আমার মা - স্ক' - এই বলে এক লাফে বেডরুমে ঢুকে পড়লেন। আমি দাঁত কিড়মিড় করে ঘরের দরজার ফাঁক দিয়ে দেখলাম, কর্তা একেবারে কম্বলের তলায় ঢুকে পড়েছে আর দুটো চোখ বার করে দেখছে, আমি তাকে দেখছি কিনা। যেই আমি তাকিয়েছি, দেখি মুখে একটা অসহায় হাসি, এদিকে কম্বল থেকে একটা পা বার করে নাচাচ্ছে - পা দেখিয়ে আমায় রাগাচ্ছে। কী আর করি। পাত্তা দিলাম না। কিন্তু বুঝলাম মাটন স্টুটা আমাকেই রাঁধতে হবে। একমনে মহা করোনাঞ্জয় মন্ত্র আওড়ালাম - "মাটোন আমার কাঁটোন সই উনুনের ঝিক। রাম করোনা বুকে আছে পারবো আমি ঠিক।" ... ...
নিউজফিড ঘাঁটতে ঘাঁটতে বর্তমানের ফেমাস সিঙ্গার, মেয়েদের ক্রাশ মাঈনুল আহসান নোবেলের একটা ছবি হঠাৎ সামনে চলে এলো। ছবিটা দেখামাত্র আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত একটা শিহরণ বয়ে গেল। ইউরেকা! পেয়েছি! আমার জীবনসঙ্গী,আমার বাচ্চার বাপ, আমার নাতি-পুতির দাদা। সেই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম অতীত,বর্তমান,ভুত ভবিষ্যত সব ভুলে গিয়ে আমি নোবেলকেই বিয়ে করবো। প্রথম প্রথম পরিবার মানবে না...ইয়ে মানে, নোবেলকে রাজি করানোটাও একটা সমস্যা! তবে ব্যাপার না! আমি রোমান্টিক রোমান্টিক কবিতা লিখে ওর পেজে মেসেজ করে দেবো। ... ...
গতকাল হাঙ্গেরিতে ভিকতর অরবান এবং সার্বিয়াতে আলেকজান্দার ভুচিচ যথাক্রমে প্রধান মন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হলেন। এই সেই অরবান যিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সকল আইনকে কলা দেখিয়ে আপন রাজনীতি করেন। আলেকজান্দার ভুচিচ রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোন স্যাঙ্কশনের বিরোধী , যদিও তিনি ইতিমধ্যে ই উ তে ভর্তি হবার দরখাস্ত করেছেন। তাঁর মতে এ দুটি স্বতন্ত্র ব্যাপার। এঁরা শ্রী পুতিনের প্রিয়জন - তিনি দুজনকেই আজ সকালে আশীর্বাদ জানিয়েছেন। তারতুর ক্রিসটা, কাউনাসের এভেলিনার কাছে শুনি আগামী মে মাসের ন তারিখে একটি সংঘর্ষের বিপুল সম্ভাবনা। সোভিয়েত আমল থেকে প্রতিবছর সেই দিনটি পালিত হয় মহান দেশপ্রেমিক জনযুদ্ধের বিজয় দিবস রূপে। ইউক্রেনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বালটিক দেশগুলির সরকার এই দিবসটিকে পূর্ণ সমারোহে উদযাপন করার অনুমতি নাও দিতে পারেন। তখন কি হবে? রাশিয়ানরা প্রবল বিক্রমে পথে নামবেন ইউক্রেনে যুদ্ধের সমর্থনে। এই জল তরঙ্গকে রুধিবে কে? ... ...
স্যাক্রামেন্টো আর শ্রীলঙ্কা ধরনের ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে। এখানে বন্দুকবাজি ও প্রকাশ্য রাস্তায় হত্যা। ওখানে অর্থনৈতিক মহাসঙ্কট এবং অদৃশ্য গণহত্যা। ... ...
চোখ বন্ধ করে ভাবি এই রাতের অন্ধকারে ট্রেন ভর্তি বাবা মায়েরা শিশুদের নিয়ে মুক্তির সন্ধানে দীর্ঘ যাত্রায় চলেছেন। লভিভ পৌঁছুলে বাবা ফিরে যাবেন পূব দিকের কোন শহরে গ্রামে যেখানে তাঁদের সুখের সংসার চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে আছে। ছোট মেয়ে হয়তো বলবে, বাবা কখন আসবে গো? ছটা একুশে? ... ...
আমাদের গ্রামে যে সব ইউক্রেনিয়ান পরিবারকে আশ্রয় দেওয়া হবে তাঁদের আজ এক লম্বা প্রশ্নোত্তরের ফর্ম ভর্তি করতে হচ্ছে – এই সব শিশু এবং তাঁদের মাতারা যে সন্ত্রাসবাদী বা অলিগারকের সন্ততি নন সেটি প্রথমে প্রমাণ করতে হবে। এই পদ্ধতির কেতাবি নাম ভেটিং। বিশ বছর আগে চেলসি ক্লাব এবং লন্ডন শহরে একাধিক অট্টালিকা কেনার সময়ে রোমান আব্রামোভিচকে ব্রিটেন কোন প্রশ্ন করে নি। আজ অন্তত মুখরক্ষার্থে ব্রিটিশ সরকার এইসব অপ্রিয় প্রশ্ন করছেন। মিখাইল ফ্রিডমান গত সপ্তাহে লন্ডনে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। তিনি নাকি সেই ডাক্তারের ২০০ পাউনডের ফি দিতে পারেন নি – সব টাকা আটকে আছে। ... ...
অথচ বুড়বুড়ি ওঠে। ওঠে তো নিগঘাত, কিন্তু ঠিক কেমনটি ওঠে, কোথায় ওঠে ঠিক ঠাহর করতে পারিনে। ঠিকঠাক ঠাহর করার জিনিসও নয় বটে। বুড়ি চাঁদ বিড়বিড়িয়ে বলে যায়। সুর কি দেখা যায় ?অথচ দেখব বলেই কি বসে নেই সেই কবে থেকে? অপার ফপার হয়ে নয়। অপার হয়ে বসে থাকা কাকে বলে তাই বলে বুঝলুম না আজ অব্দি। না বুঝেই পার পেয়ে গেলে বোঝাবুঝির বোঝা আর কেই বা বয়। তবে পার দেখব বলে বসে থাকা, এটুকু বলা যেতেই পারে।গানের ওপারে যা কিছু দাঁড়িয়ে বা শুয়েবসে। রসেবশে।অথচ রসটাই বশ হলনা ঠিকঠাক। তো, সে ঠিকঠাক আর কোন কাজটাই বা ঠিক করতে ... ...
ব্যতিক্রম বাদ দিলে মোটামুটি এই হলো আমেরিকা। "উই আর দ্য বেস্ট, এন্ড নো কোয়েশ্চেনস অ্যাস্ক্ড।" ... ...
পাহাড়ে শীতের আয়ু দীর্ঘ। আরও একমাস এই পাহাড় পর্বত জনপদ বরফে ঢাকা থাকবে। মঠের সন্ন্যাসী ফাদার সোকা ফাদার সোফিয়ান তাঁবু খাটিয়েছেন, ত্রাণ সামগ্রী যোগাড় করছেন। গিরজের উপাসনায় যোগ দিয়েছেন ইউক্রেনের নারী ও শিশু তাঁরাও অর্থোডক্স। তাঁদের মধ্যে একজন, ইরিনা বাবিচ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন। তবু বললেন আজ আমি গিরজেয় পুতিনের স্বাস্থ্য ও সুবিবেচনার আশায় প্রদীপ জ্বালিয়েছি। ... ...