বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে কিছু কথা মনে এসে গেল। ... ...
#পথ_চলিতে ১শরীরটা সুবিধার নয়। কিন্তু সে নিয়ে কাঁহাতক আর বিলাপ করা যায়। গতকাল এক অনুজপ্রতিম দার্শনিকের সান্নিধ্যে চমৎকার কেটেছে। তাঁর মা শক্তি কর ভৌমিক চমৎকার লেখেন। আমার প্রিয় দার্শনিক বলেন খুব সুন্দর। পুরো মাথা ঘুরিয়ে দেবেন, বিপরীত যুক্তি ও তথ্য দিয়ে। কিন্তু লেখা নৈব নৈব চ।আপাতত শুনেই মুক্তি।তবে একটা লাভ হয়েছে, চমৎকার সিঁদল খেয়েছি। বাড়তি পাওনা মনে রাখার মতো, এঁচোড় রান্না। গাছ পাঁঠা যে কেন বলা হয়, টের পেলুম। আজ সকালে একটা বৈঠক সেরে বিকেলে মানিকতলা খালপাড়ে। পড়াতে। ইচ্ছে ছিল প্রাচ্য নাট্যদলের 'পোস্টমাস্টার' দেখার। বন্ধু সুজন বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও অংশুমান ভৌমিক, অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায়দের আড্ডাটাও হলো না।তবে আজ পাঠশালায় মন ভরিয়ে দিল কয়েকজন।বহুদিনের ... ...
কমল অর্চনার চুলের মুঠি ধরে তাঁকে চেয়ার থেকে টেনে তোলে এবং তাঁর মাথা দেওয়ালের দিকে ছুড়ে দেয়। দেওয়ালে মাথা ধাক্কা লাগার ঠিক আগে চুল ধরে হ্যাঁচকা টান মেরে নিজের দিকে নিয়ে আসে। এই পদ্ধতিতে অত্যাচার চলে ১৫-২০ মিনিট ধরে। অর্চনা আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না। তাঁর মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। সারা শরীরে অসহনীয় যন্ত্রণা হচ্ছিল তখন অর্চনার। তাঁকে চেয়ারে বসতে বলা হল। কিছুক্ষণ পর আদিত্যকে রুণু নির্দেশ দিল অর্চনার চুল ধরে ঝুলিয়ে রাখতে। আদিত্য ঝাঁপিয়ে পড়ে অর্চনার চুল এত জোরে টানে যে তাঁর মাথার কিছু চুল ছিঁড়ে যায়। ... ...
যজ্ঞের সমস্ত উপচার, অনার্য দাসেরাই সংগ্রহ করে দেয়। যজ্ঞের বেদী নির্মাণ, বিপুল সমিধসম্ভার, তৈজসপত্র, ঘি, দুধ, শস্য, ফল-মূল সর্বত্র তাদেরই হাতের স্পর্শ। যজ্ঞ শেষে পুরোহিতরা দক্ষিণা হিসাবে তাদের ঘরে নিয়ে যায় যে বিপুল সম্পদ – সোনা, রূপো, সবৎসা-গাভী, অজস্র শস্য সম্ভার, ধাতব কিংবা মাটির পাত্র – সে সবই অনার্য বৈশ্য ও শূদ্রদের পরিশ্রমের উৎপাদন। অথচ তারা বুঝতেই পারে না, দেবতারা কারা। পুরোহিতরা কাদের জন্যে যজ্ঞ করছেন। যে মন্ত্র তাঁরা বলছেন, তার মধ্যে কোথাও কী আছে বিপুল এই অনার্য শ্রমের সামান্যতম স্বীকৃতি? কঠোর শ্রমের পরিবর্তে অসহায় তাৎপর্যহীন এই জীবন তাদের ঠেলে দিতে লাগল আরও নিরাশার দিকে। মনে মনে আকুল প্রার্থনায় তারা আরও বেশি করে মাথা কুটতে লাগল তাদের নিজস্ব দেবতাদের পায়ে। ... ...
থাপ্পড়ের রকম ফের ... ...
ধেড়েখোকার প্রত্যাবর্তনের পর কিছুদিন রগড়ারগড়ি চলবে। তৃণমূল বলবে ,ঘরের কার্তিক ঘরে ফিরে এল। বিজেপি বলবে ,দুষ্ট গরুর চেয়ে শূণ্য গোয়াল ভালো। তথাগত রায় প্রায় থ্রিলারের ভাষায় টুইট করবেন, কে এস ডি এ গ্যাং ( কৈলাশ আর দিলীপ ছাড়া গ্যাংয়ের বাকি দুই সদস্যের নাম আমার মনে থাকে না) মমতা ট্রোজান হর্স ঢুকিয়ে ছিল বিজেপিতে। তবে এসব দুদিন বাদে থেমে গেলেও একটা ব্যাপার নিশ্চিত বামপন্থীদের নিজেদের মধ্যে এই নিয়ে বেশ কিছুকাল কামড়া কামড়ি চলবে। ... ...
দেশদ্রোহ বিষয়ক আইনের ধারা ও সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ... ...
প্রথম উপন্যাসে প্রোজ্জ্বল কোনো দার্শনিক প্রস্তাবনা, ন্যারেটিভের জটিলতা , ব্যক্তিমনের অন্তর্লীন শুলুকসন্ধানে প্রবৃত্ত হন নি। একেবারে সোজাসাপটা গল্প বলতে চেয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর জোরের যে জায়গাটা সেটা হল এই কাজটুকু তিনি ভীষণ আন্তরিকতা আর সততার সঙ্গে করতে পেরেছেন। ... ...
জ্ঞানী ব্যক্তিরা বলেন খেলাধুলোর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই, থাকা উচিত নয়। কিন্তু এটাও তো সত্যি যুদ্ধ বাধানোর অপরাধে জার্মানি ১৯২৪, ১৯২৮, পশ্চিম জার্মানি ১৯৪৮ সালে, জাপান ১৯৪৮ সালে অলিম্পিকে যোগদানের অনুমতি পায় নি ; একই কারণে ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে জার্মানির দ্বার রুদ্ধ ছিল – একমাত্র বিশ্বকাপ যেখানে জার্মানি খেলেনি। রাশিয়ার আফঘানিস্তান দখলের প্রতিবাদে ১৯৮০র মস্কো অলিম্পিক বয়কট করে পশ্চিমের কিছু দেশ ; বদলা নিতে ওয়ারশ চুক্তির দেশ গুলি (ব্যতিক্রম রোমানিয়া) লস এঞ্জেলস অলিম্পিক বয়কট করে। ... ...
এই পরিপ্রেক্ষিতে ১৮২৩-২৪ সালে দেশে কলের সুতো এল। হাতে বোনা সুতোর থেকে তার দাম কম। ধীরে ধীরে বাজার ছেয়ে গেল কলের সুতোয়। টিঁকে রইল শুধু খুব মিহি সুতো আর খুব মোটা সুতো, যা পরে দেশের গরীরগুর্বোরা। সেই সময়ে ১৮২৮ সালের সমাচার দর্পনে এক সুতাকাটুনির দুঃখভরা চিঠি বেরোল, তিনি দৈনিক দুই তোলা সুতো কেটে দিনে এক টাকা আয় করতেন। এই কাজ করে তিনি সাত গন্ডা টাকা দিয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন, এগার গন্ডা টাকা দিয়ে শ্বশুরের শ্রাদ্ধ করেছেন, ভাত কাপড়ের কোন চিন্তা ছিল না। কিন্তু কলের সুতো এসে তার আয়ের উপায় কেড়ে নিয়েছে। তাঁর দৈনিক কাটা সুতোর পরিমাণ আর আয়ের হিসেব দেখে অবশ্য একটু অবাকই লাগে। কারণ ১৮২২-২৩ সালেও নাকি ক্ষীরপাই, রাধানগরে কোম্পানির কাটুনিদের মাসিক আয় ছিল ৩ টাকা আর মালদহে ২টাকা ৮ আনা। অসামান্য দক্ষতা ছাড়া এই আয় সম্ভব না। তাই আমরা ব্যক্তির দুঃখে দুঃখিত হই, কিন্তু সামগ্রিক ভাবে বিজ্ঞানের অগ্রগতির জয়গান গাইব নাকি মেয়েদের আয়-হরণের দুঃখে কাতর হব তা ঠিক বুঝে উঠি না। ... ...
[ আমার চোখে দেখা আর হৃদয়ে্র অনুভবে জারিত এই ছোট্ট ছোট্ট চিকিৎসা সংক্রান্ত ঘটনাগুলি এখনো মোছেনি আমার মাথার স্মৃতিকোষগুলোর থেকে। তার থেকে তুলে আনা এই মণি-কাঞ্চনগুলোয় যেমন পেয়েছি সাক্ষাৎ ভগবানদের, তেমনি কিছু কিছু সাংঘাতিক ঘটনা নেহাৎ-ই সহ্য করেছি উপায়ান্তরহীন যাপনে। ক্রোধে ফেটে পড়েছি মননে। রক্তচাপ বাড়িয়েছি বারংবার – মধ্যবিত্ত মনোভাবনায়। পেয়েছি আচম্বিত বাড়ানো হাত - অকাতর অকৃপন স্পর্শে। কৃতজ্ঞতাও হয়তো অব্যক্ত ছিল আমার পক্ষে সে সময়। তো এইসব ছিন্নবিচ্ছিন্ন ঘটনার কিছু রেশ গ্রন্থিত করছি প্রাণের আনন্দে। এখনো বেঁচে আছি, বেঁচে আছে আমার প্রজন্ম। তাই ভগবানের নামকীর্তন যেমন করেছি অক্লেশে, আবার সেই ‘আতঙ্ক’ চলচিত্রের মতো যেন কিছুই দেখিনি আমি হয়ে পাল্টেছি চরিত্র কিম্বা স্থান-নাম। মহাবীর-বুদ্ধ-নানক-রামকৃষ্ণের পুণ্যভুমিতে আজ হিংসা পৌনঃপুনিকতায় ছড়াচ্ছে বিদ্বেষের লাল আগুন। যে আগুন শুধুই ভস্ম-জন্ম আহ্বান করে। নিরুপায় আমি করজোড়ে মার্জনা চাইছি আমার এটুকু অপৌরুষেয়তার।] ... ...
রেমডেসিভির বিষয়ক দু-একটি কথা। দেখা যাচ্ছে যে ধরণের প্রমাণের ভিত্তিতে রেমডেসিভিরকে আমেরিকার এফ ডি এ ছাড়পত্র দিয়েছেন, সেই সমস্ত প্রমাণ খুব জোরালো নয়। এতৎসত্ত্বেও ভারতে রেমডেসিভির নিয়ে এক ধরণের উন্মাদনা তৈরী হয়েছে কি? ... ...
কুলদা রায়ের সাহিত্য নিয়ে একটি লাইভ আলোচনায় আমন্ত্রিত হয়ে কিছু কথা বলার সুযোগ হয়েছিল স্বয়ং লেখকের উপস্থিতিতে। তার থেকে অনেক বেশি কথা না বলা থেকে গিয়েছিল, সময় সংক্ষেপের কারণে । সেই বলা এবং না বলা কথা, যা ছিল ঐ আলোচনার একটি প্রস্তুতি পর্বের নোট ,পাঠকের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম। ... ...