সমকামিতাকে কিভাবে ডারউইনীয় বিবর্তনের কাঠামোয় রাখা যায়? সমকামিতা কি বিশুদ্ধ প্রেমেরই একটা রূপ যেখানে সন্তানধারণের তাগিদের থেকে বৃহত্তর কোনো উদ্দেশ্য কাজ করে? ... ...
সমকামিতাকে কিভাবে ডারউইনীয় বিবর্তনের কাঠামোয় রাখা যায়? সমকামীদের মস্তিষ্ক কি আর সবার থেকে আলাদা? ... ...
১৯৭৪। এপিডিআর থেকে মিছিল করে এসেছি এসপ্ল্যানেড ইস্টে, রাজনৈতিক বন্দিমুক্তির দাবিতে। মনে আছে, হাওড়ার ছেলে, বনবিহারীবাবুদের গ্রুপে ছিল সঞ্জীবদা, একটা বাসের মাথায় চড়ে বক্তৃতা করছিল। আমি আর জয় কৌটো ঝাঁকিয়ে পয়সা তুলছিলাম। সেদিন ওখানে ওয়েবকিউটার জমায়েতও ছিল। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম মনোভাবাপন্ন মাস্টারমশাইরা ওঁদের নানান দাবি দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। আমিই প্রথম দেখি আমাদের কলেজের সলিলদা (ইংরাজি পড়াতেন) আর হিতেনদা (বাংলা পড়াতেন) দাঁড়িয়ে আছেন। সদ্য কৈশোরের অ্যাডভেঞ্চার পোকা নেচে উঠল। জয়কে বললাম - চল যাই। ওঁরা সেই আমলে দশ টাকা দিয়েছিলেন। আর সলিলদা বলেছিলেন কলেজে দেখা করতে। ... ...
এই পঞ্চতন্ত্র রচনার পেছনেও সেই একই গল্প। আজ ভাইস প্রিন্সিপাল হতে চাইছে, কাল প্রিন্সিপাল হতে আবদার করবে। তার জন্যে পরিচালন সমিতির মেম্বারদের হাত করবে। মাস্টারদের মধ্যে নিজের একটা দল বানাবে। ছাত্রদের মারপিট করতে উসকে দেবে। উপর মহলে নালিশ করবে। ব্যাটা বজ্জাত হাড় বজ্জাত হবে। ... ...
পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের কোলকাতার ছবির কোলাজ, ব্যক্তিগত স্মৃতির টুকরো। ইতিহাস হওয়ার দায় নেই। ... ...
গপ্পো ... ...
জ্বরজারি, পেটখারাপ ও ডাক্তারবাবুরা; ক্যাপসুল বিপ্লব ও স্লাইস ব্রেড দাদুর দস্তানায় রায় পরিবারের এত জন সদস্য, কিন্তু সে হিসেবে অসুখ বিসুখ হত কম। সময়ে হামাদেওয়া শিশু এবং টলটল করে হাঁটা বাচ্চা প্রথমে দুই, পরে তিন হল। কয়েক বছর পরে আরো এক এবং দুই। কিন্তু ততদিনে পৃথিবী বিশেষ বদলায় নি। বাচ্চাদের হত জ্বর ও পেট খারাপ। বড়দের জ্বর; সম্ভবতঃ ওঁরা পৈটিক সমস্যা হলে নিজেরাই সমাধান খুঁজে নিতেন। ... ...
সাংবাদিক রোজিনা নিশ্চয়ই বীরের বেশে বেরিয়ে এসে আবারো নির্ভিকভাবে ঝড় তুলবেন কি-বোর্ডে, একের পর এক চোখা সব প্রতিবেদনে উন্মোচন করবেন দুর্নীতিবাজদের মাস্কের আড়ালের কুৎসিত মুখ। পেশাগত কারণে দেশজুড়ে তিনি যেমন অনেক সহকর্মী-শুভানুধ্যায়ী ও পাঠককে বন্ধু হিসেবে পাশে পাচ্ছেন, তেমনি শত্রুও তো কম তৈরি করেননি। এ ঘটনায় রাষ্ট্র যেন “ঝিকে মেরে বৌকে শিক্ষা” দেওয়ার পন্থাই নিল, যে গণমাধ্যম আসলে গণতন্ত্রেরই নাকি পঞ্চম স্তম্ভ! নতুন করে আবারো মনে পড়ছে, সম্প্রতি পুলিশ হেফাজতে নিহত লেখক মুশতাক আহমেদের কথা। ব্যাঙ্গচিত্র আঁকার অভিযোগে কিছুদিন আগেই কার্টুনিস্ট কিশোর অপহরণ, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন হওয়ার কথা। তারও কিছুদিন আগে নির্যাতনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়ে লেখক মুশতাক কারাবন্দী অবস্থায় মারা যান। ফেসবুকে লেখালেখির দায়ে তাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ রিমান্ডে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, হৃদরোগে মারা গেছেন তিনি। জামিনে মুক্ত কার্টুনিস্ট সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি যখন ডিবি পুলিশের রিমান্ডে ছিলেন, সেখানে রিমান্ডের আসামি লেখক মুশতাকের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল। তখন সম্পূর্ণ উলঙ্গ মুশতাকের সারা শরীর ছিল মলমূত্র মাখানো। সে অবস্থাতেই সুযোগ বুঝে তিনি একফাঁকে কার্টুনিষ্ট কিশোরের কাছে এসে বলেছিলেন, “ভয় পাস ক্যান বেটা? আমরা কী অন্যায় কিছু করেছি?” ... ...
নেতি, একটি অবস্থান। যা দার্শনিকও বটে। কখনও কখনও তা অতি জরুরি অবস্থান, ও রাজনৈতিক ভাবে যথাযথ। কেবলমাত্র বিরোধিতার মধ্যে সুপ্ত থাকে অসংখ্য ইতিবাচক সম্ভাবনার ইঙ্গিত। সেই সম্ভাবনাগুলিকে ছুঁয়ে থাকার জন্য রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি থাকা প্রয়োজন। অতিক্রম করতে হয় ক্ষুদ্রতর প্রেক্ষিতের সীমানা। ... ...
“আপনাকে বলছি স্যার” – ফিরে দেখাহালিসহর সভাসেই সভায় আলোচনার বিবরণ। প্রায় সম্পাদনা না করে। এটা প্রথম অংশ। আরো আসবে। আমরা অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম এই নিয়ে। “আপনাকে বলছি স্যার” বইটা তো বহুকাল আগেই বেরিয়েছে, অনেক মানুষ পড়েওছেন বইটা, কিন্তু বইটা সম্পর্কে কতগুলো ভুল ধারনাও তৈরি হয়ে আছে, আর কতগুলো জিনিস পরিস্কার করারও দরকার আছে বলে আমার মনে হয়েছে বারবার। সেই আলোচনাটা কলকাতায় করার কথা ভাবা হয়েছিল, তার আগেই এখানে হল। আমার আশা, এই আলোচনাটা হয়ত কলকাতাতে আমরা আরেকবার করব। সেখানে অন ... ...
পশ্চিমবঙ্গের সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের মসনদ ধর্মান্ধ হিংস্র মৌলবাদী শক্তির হাতে চলে যেতে পারে, এমন সম্ভাবনায় আতঙ্কিত ছিলেন এ রাজ্যের গণতন্ত্র-প্রিয় মানুষ। ফলপ্রকাশের পর যখন দেখা গেল যে তা ঘটেনি, তখন তাঁরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও, উঠে এসেছে এক অস্বস্তিকর প্রশ্ন। এ রাজ্যের পূর্বতন ক্ষমতাসীন বাম শক্তি, বিশেষত তার বড় শরিক সিপিএম, কি মৌলবাদী শক্তিকে গোপনে সাহায্য করেছে? অর্থাৎ, তাদেরকে ক্ষমতা থেকে যারা হঠিয়েছে, সেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি ক্রোধ ও প্রতিহিংসা বশত তাদের কর্মী ও সমর্থকেরা কি বিজেপি-কে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনতে চেষ্টা করেছিলেন? নির্বাচনের আগে থেকেই এ হেন সম্ভাবনার কথা হাওয়ায় ভাসছিল কোনও কোনও মহলে, এবং নির্বাচনের পর তার ‘প্রমাণ’ মিলেছে বলে দাবি করছেন কেউ কেউ। প্রশ্ন হচ্ছে, নির্বাচনী ফলাফল থেকে সত্যিই এমন ইঙ্গিত মেলে কি? সেটাই আজ আমরা এখানে পর্যালোচনা করে দেখব। ... ...
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পার্কসার্কাসের ধাঙড় বাজারের সার্কাস হোটেল। সামনের ফুটপাথে একটা হাইড্রেন, তার থেকে মুখ খুলে হোসপাইপ লাগিয়ে কর্পোরেশনের লোক রোজ ভোরে রাস্তা ধুয়ে দেয়। সময়টা যে পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি। তোড়ে যে জল বেরিয়ে আসে তা কিন্তু গঙ্গার ঘোলা জল, আর ফুটপাথে থেকে তিন ধাপ সিঁড়ি ভেঙে বারান্দায় উঠলেই খোলা উনুন বসানো। সেখানে ঝকঝকে শিকে গেঁথে পোড়ানো হচ্ছে মশলা মাখা লালচে হলুদ রঙের মাংসের টুকরো। তৈরি হচ্ছে শিককাবাব। তার পাশেই দু'জন ময়দা মেখে লেচি বানিয়ে সেঁকছে রুমালি রুটি আর ভেজে তুলছে পরোটা। ... ...
সুচিত্রা সেনকে নিয়ে আমারো বেশ আগ্রহ আছে। তাঁর সিনেমা আমার ঠাকুরদা শেষবেলায় দেখেছেন। বলেছিলেন, বাহ, এই মাইয়াডা দেখি অভিনয় জানে! তাঁকে বাবাও পছন্দ করতেন। আমার ভাতিজা ভাগ্নেভাগ্নিনীরাও করে। সমগ্র বাঙালিরই প্রিয় প্রিয় নায়িকা সুচিত্রা সেন। আমি এই সুচিত্রা সেনকে নিয়ে একটি গল্প লিখেছি। যা হয় আরকি। আমি যেহেতু কোনো পত্র পত্রিকায়, বলা যায়, লিখি না। এক বৈঠকে লিখি না। ইচ্ছে হলে লিখি। ইচ্ছে হলে লিখি না। একটু একটু করে লিখি। শব্দ সংখ্যার ধারধারিনা। তাই গল্প বড়ো হয়ে যায়। গোপনে বলি আপনাকে, আমার ঠাকুরদা সুচিত্রা সেনকে কিডন্যাপ করেছিলেন। এটা সত্যি মনে করে মজা পাই। আরেকটা কথা। আমার গল্পের অনেক চরিত্র বাস্তব। আবার আমার পরিচিতিদের নামধামও অবলীলায় বসিয়ে দেই গল্পে। অনেকে এজন্য গোস্যা করেন। অনেকে খুশি হন। সে যাই হোক না কেনো যারা পড়বেন এটাকে গল্প হিসেবেই পড়বেন। এই গল্পের রবি ঠাকুরও একবার চরিত্র হয়ে এসেছেন। সুচিত্রার জন্য না এসে পারেননি। সুচিত্রা সেন বলে কথা। ... ...
ছ্যাঁচড়াকোন এক বর্ষার সকালে জন্ম হয়েছিল ইন্দুবালার। কোন এক মাঘের কুয়াশা ভরা ধান ক্ষেতের আল দিয়ে হেঁটে বাবার হাত ধরে স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। শুধু এইটুক মনে আছে ফুল ফুল ছাপ একটা ফ্রক পড়েছিলেন। গায়ে ছিল মায়ের বোনা সোয়েটার। মাথায় উলের টুপি। ঠাম্মার কাছে শোনা রূপকথার রানী বলে মনে হচ্ছিল সেদিন নিজেকে। ঠাকুরদার টোলটা তখনও চলছে টিম টিম করে। সেই টোলে বর্ণপরিচয়, ধারাপাত এইসব টুকটাক শিখতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু বেশি দিন সেখানে পড়া হলো না। আমের গাছে মুকুল ভরিয়ে, সরস্বতী পুজোয় হাতে খড়ি দিয়ে দাদুর বড্ড তাড় ... ...
ফেলিক্স হপ্পে-সেলার ( Felix Hoppe-Seyler ), যাঁকে আধুনিক বায়োকেমিস্ট্রির জনক বলা যায়, ক’বছর পরেই ১৮৬৪ সালে হিমোগ্লোবিন নামটি দিলেন। দেখালেন যে হিমোগ্লোবিন আর অক্সিজেন মিলে তৈরি করে অক্সিহিমোগ্লোবিন। কিছুদিন আগেই ১৮৬০ সালে আবিষ্কার হয়েছে স্পেকট্রোস্কোপ। সেই যন্ত্র দিয়ে রক্তের মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে আসা বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো বিশ্লেষণ করে ফেলিক্স দেখালেন যে লাল রং এর আলোর ক্ষেত্রে অক্সিহিমোগ্লোবিন, ডিঅক্সিহিমোগ্লোবিনের মানে যে হিমোগ্লোবিনে অক্সিজেন নেই তার তুলনায়, আলো শোষণ করে অনেক কম। অথচ ইনফ্রারেড আলোর ক্ষেত্রে কতটা আলো শোষণ করবে তা রক্তে কতটা অক্সিজেন আছে বা নেই তার উপর ততটা নির্ভর করে না। ... ...