রুমকিনের ছনছন ছাপিয়ে পৃথিবী আজও কান পেত শোনে ইহুদী ঘেটোর সেই আর্তনাদ—‘গিভ মি ইওর চিলড্রেন’। সেই আর্তনাদ যেন মিশছে বস্ত্র শ্রমিকদের ফজরের নামাজে... এটা কি তামাশার লকডাউন? সাধারণ মানুষের মাথায় ঢোকে না। করোনা ভাইরাসের বিস্তার আটকাতে সরকার সব ধরণের চেষ্টা করছে অথচ রাস্তায় মানুষের ঢল। গার্মেন্টস মালিক সংগঠনের সভাপতি জানালেন- রপ্তানীমুখী যেসব প্রতিষ্ঠানে অর্ডার আছে এবং উৎপাদন চলছে, কারখানার মালিকরা সেসব শিল্প কলকারখানা চালু রাখতে পারে। অবশ্যই শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার সাপেক্ষে। এ বক্তব্য শুনে তীব্র ক্ষোভ দানা বাঁধে সাধারণ মানুষের মনে। নানা প্রতিক্রিয়া, মত-অমতে ফেসবুকের নিউজফীড উপচে পড়ে। জল্পনা কল্পনার কারুকাজ চলতে থাকে টিভির টক শো আর নিউজে। ... ...
স্রোংচান গামপো রাজা হয়ে যখন প্রায় সমস্ত উপজাতিকে নিজের অধীনে এনে এক সার্বভৌম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করলেন তখন অ্যাডমিনস্ট্রেশন প্রয়োজনীয় হল। আগের কাঠের গায়ে দাগ কেটে হিসাবের সময় ফুরল। বহির্দেশের সাথে শুরু হল কূটনৈতিক যোগাযোগ। এবং এই সমস্ত কিছু সঠিক ভাবে অর্গানাইজড ভাবে করার জন্য দরকার হয়ে পড়ল ‘লিপি’। আর ei লিপি তৈরির ভার পড়ল মন্ত্রী তোনমি সম্ভোটের উপর ... ...
খ্রীষ্টপূর্ব দেড় হাজার বছর আগে থেকে খ্রীষ্টের জন্মের পরে প্রায় আরো এক হাজার বছর পর্যন্ত ভারতের লোহা এবং তার বানানোর জ্ঞান-জন্মি একদম স্টেট অব্ দ্যা আর্ট ছিল। অনেক বিষয়ে ভারতে সেই সব পৃথিবীতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল। মিশরের পাবলিক যে সব মন্দির, পিরামিড এই সব বানিয়ে তাতে হেয়ারোগ্লিফিক্স নাকি কি সব দিয়ে ঢেকে দিয়েছিল, সেই সব বানাতে যে যন্ত্রপাতি ইত্যাদি লেগেছিল তা বানাতে নাকি ব্যবহার করা হয়েছিল ভারতীয় ইস্পাত। বলা হয়ে থাকে যে সেই সময়ে ভারত ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোন সভ্যতায় এমন লিখিত প্রমাণ পাওয়া যায় নি যে তারা ভারতের মতন এত উন্নত মানের ইস্পাত তৈরী করতে পারত। সেই সময়কার গ্রীক এবং ল্যাটিন লেখা লিখি পড়লে এটা বোঝা যায় যে এই লোহা-ইস্পাত ইত্যাদির ডিটেলস্ সম্পর্কে তারা বেশ অজ্ঞই ছিল। অবশ্যই তারা জানত কি ভাবে লোহা-ইস্পাত ব্যবহার করতে হয়, কিন্তু কি ভাবে লৌহ আকরিক থেকে লোহা নিষ্কাষণ করে তার থেকে ইস্পাত ইত্যাদি বানাতে হয় সেই সম্পর্কে তারা তেমন কিছু জানত না। ... ...
তোমার সুরের ধারা ঝরে যেথায়...আসলে যে কোনও শিল্প উপভোগ করতে পারার একটা বিজ্ঞান আছে। কারণ যাবতীয় পারফর্মিং আর্টের প্রাসাদ পদার্থবিদ্যার সশক্ত স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। পদার্থবিদ্যার শর্তগুলি পূরণ হলেই তবে মনন ও অনুভূতির পর্যায় শুরু হয়। যেমন কণ্ঠ বা যন্ত্র যদি সঠিক কম্পাংকে না বাজে বা রঙের দুনিয়ায় পরস্পর পরিপূর্ত বর্ণিকাবিভঙ্গ বিষয়ে যদি আঁকিয়ের ধারণা না থাকে, তবে তো প্রথম বেড়াটিই পেরোনো যাবেনা। যে সব শিল্পীদের সিদ্ধিলাভ হয়ে গেছে, তাঁদের শিল্প পরিবেশন, পদার্থবিদ্যা কেন, মননেরও প্রাথমিক ... ...
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। সংক্রমণে ধরাশায়ী ইউরোপ ও আমেরিকা। জনস্বাস্থ্যে জনযুদ্ধ ঘোষণা করে সফলভাবে সামাল দিল চীন। ইউরোপের পাশে ছোট্ট দেশ কিউবার চিকিৎসকেরা। মহামারি বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন ব্যর্থ মহাশক্তিধর আমেরিকা ও ইউরোপ? কেন এত মৃত্যু আটকাতে পারল না দুনিয়ার দেশে দেশে সামরিক হামলা চালানো শক্তি? ব্যর্থতা কোথায়? সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা হয়েছে এই নিবন্ধে। ... ...
লকডাউনের আড়ালে কী? ... ...
এরপরের ব্যাপার তো ইতিহাস! বিগত দুশো বছরে শ্যাম্পেনের ডিমান্ড এবং প্রোডাকশন বেড়েছে চড়চড় করে। যেমন ১৮০০ সালে বছরে শ্যাম্পেন উৎপাদন হত বছরে তিন লক্ষ বোতলের মত। ১৮৫০ সালের সেটা বেড়ে দাঁড়ায় বছরে দু-কোটি বোতলের মত। আর ২০০৭ সালের হিসেব অনুযায়ী বছরে ৩৪ কোটি বোতল উৎপাদন হয় শ্যাম্পেন। ... ...
আজ ই-ম্যাগ দাপিয়ে বেড়ানো সুপ্রিয় পাখি সেন -এর ইন্টারভিউ নিতে হবে তাই রোব্বার হলেও চটপট উঠে গেল জয়ন্ত। গত ক বছরে যার চেহারা কেউ দেখেনি, সে কেমনটি হতে পারে ভেবে জল্পনা চলত প্রচুর। উনি ফর্সা না কালো, লম্বা না বেঁটে আর বয়সটা! বেট লাগালেও শিওর হওয়া হত না। উনি তো একেবারে হাওয়া, কোনও ফটো-টটোও নেই। তাই ছেলেরা আন্তাবরি বকত ... ...
সপ্তম শতাব্দীর প্রথমভাগ। পরিব্রাজক হিউএন সাং বা জুয়্যাং জ্যাং পা রাখলেন ভারতের মাটিতে। এদিকে নালন্দার নাম যশ সারা পৃথিবী জুড়ে। বাংলায় রাজা শশাঙ্ক। কামরূপে ভাস্করবর্মন। ওদিকে কান্যকুব্জে শিলাদিত্য হর্ষবর্ধন। আর দক্ষিণে নর্মদার নীচে চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশী। সবাই নিজের নিজের রাজ্য বিস্তারে ব্যস্ত। আর মাথার ওপরের হিমালয় পার হলেই তিব্বত। সেখানেও আর এক প্রবল পরাক্রমশালী রাজা স্রোংচান গামপো। বিস্তার করে চলেছেন তিব্বত সাম্রাজ্যের। শুধু তো সাম্রাজ্য বিস্তার নয় - শিক্ষা এবং জ্ঞানের আলো নিয়ে আসছেন নিরক্ষর তিব্বতি মানুষদের মাঝে... ... ...
শত ব্যস্ততা, নিত্যকর্ম, আর কর্পোরেট কার্টিসির ব্যুহ ভেদ করে বার বার মনের গহিনে গোপনে হানা দেয় পাহাড়ের গণহত্যা, গণধর্ষন, ত্রিপুরার শরণার্থী শিবির, কল্পনা চাকমা অপহরণ, মেশিন গানের গুলির ভেতর পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মিছিল-- আরো অসংখ্য রক্তাক্ত অতীত স্মৃতি… কেউ জানে না সে এক গোপন হরর থ্রিলার যাত্রা, ব্যাং ব্যাং ক্লাবের একই কেভিন-যন্ত্রণা! আর ঘুমের ঘোরে এখনো ফিরে ফিরে আসে বাঘাইছড়ির সেই আশ্চর্য দেবশিশুর দল।... ... ...
বর্তমান করোনা সংক্রমণের বিষয়টি মানবসমাজের সামনে এক জটিল সমস্যা হিসাবে হাজির হয়েছে! 'লকডাউন' করলে লক্ষ লক্ষ মানুষের রুটি-রুজি, দেশের কৃষি, শিল্প, অর্থনীতি... সবকিছুই ভয়ঙ্কর ক্ষতির সম্মুখীন; আবার লকডাউন না-করলে ১৩০-কোটি নাগরিকের দেশটির সামনে বিপুল সংক্রমণের বিপদ! অভূতপূর্ব সামাজিক অস্থিরতা ও বিপর্যয় যেন অবশ্যম্ভাবী! এই পরিস্থিতিতে, নৃতত্ত্বের হোলিস্টিক সহযোগিতা ছাড়া ভারতবর্ষ নামক রাষ্ট্রটির উদ্ধার পাবার আশা নেহাতই দুরাশা মাত্র। ... ...
নিউ ইয়র্ক নিবাসী ডঃ পার্থ ব্যানার্জী বিগত একমাস ধরে লিখে চলেছেন নিউ ইয়র্কে ঘটে চলা ভয়াবহ করোনা সংকটকে তিনি কীভাবে দেখছেন - সেই অভিজ্ঞতা। সঙ্গে রয়েছে এই বিপর্যয়ের কার্যকারণ প্রসঙ্গে তাঁর বিশ্লেষণ। তাঁর অনুমতি নিয়ে লেখাটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে। এটি দ্বিতীয় কিস্তি। এখানে রইল ওনার লেখার পর্ব ৫-৮। ... ...
"....মাথায় এক ছটাক ঘিলু থাকলেই এটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর নামে কী ভয়াবহ রাষ্ট্রীয় নজরদারি নেমে আসতে পারে। সরকার এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কাছে থাকা প্রত্যেক ভারতবাসীর তথ্য নিয়ে আধার যোগ করে ন্যাশনাল সোশ্যাল রেজিস্ট্রি বানানোর কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হওয়ার মুখে; যা ভয়াবহ রাষ্ট্রীয় নজরদারির প্রচেষ্টা ছাড়া কিছু নয়। এই অ্যাপ থেকে সংগৃহীত তথ্য ন্যাশনাল সোশ্যাল রেজিস্ট্রি তৈরিতে ব্যবহৃত হবে না তো?...." ... ...
তিব্বতের প্রাচীন ধর্ম-বিশ্বাস ছিল 'বোন'। রাজারাও মেনে চলতেন। তারপর একদিন আকাশ থেকে এক স্বর্ণপেটিকা নেমে এলো রাজপ্রাসাদের ছাদে। তার মধ্যে 'ওঁ মনি পদ্মে হুঁ' মন্ত্র। রাজা ল্হাথো থোরি ঞাংচান নিরক্ষর। কী লেখা উদ্ধারই করতে পারলেন না। কিন্তু তিব্বতভূমে সেইদিনই প্রথম পা রাখলেন তথাগত... ... ...
আপনার নির্বাচিত সরকার। আপনার দ্বারা, আপনার জন্য আপনার সরকার। আপনি আমি আলাদা কেউ নই, ভীড়ের একজন মাত্র। দায় কি নেব আমরা? ... ...