এসব খবর-অপখবরের মধ্যে নিউজ পোর্টালের এপে সকাল হয় সবুজ। এখনো এই প্রাচীন নগরে টিকে থাকা কৃষ্ণচূড়ার কোটরে বাসা বাঁধে টিয়ে। বৃষ্টিতে হয় তার সবুজ স্নান। মনে পড়ে প্রাথমিকের সেই গান : একদিন সূর্যের ভোর, একদিন স্বপ্নের ভোর, একদিন সত্যের ভোর আসবে, এই মনে আছে বিশ্বাস, আমরা করি বিশ্বাস, সত্যের ভোর আসবে একদিন...। ... ...
এটি নিজের বোধ থেকে জাত কোনো এক চিঠির আকারে তুলে ধরা অস্তিত্বের টান।আমি চাইছি এই নামে একটি বিভাগ হোক যেখানে চিঠির আকারে একটি সাইকোলজিক্যাল স্তর উঠে আসুক প্রতিটি মানুষের। ... ...
প্রশ্নটা উঠতে দেখেছিলুম যখন বাংলা ১৪০০ সন এসে দুয়ারে কড়া নাড়ছিল। সিকি শতাব্দী আগে। তখন আমরা মত্ত ছিলুম কুসুমচয়নে। নব নব অনুষ্ঠান চারিদিকে। সঙ্গীত-সাহিত্য-ইতিহাস-পরিবেশ থেকে খুঁজে নিচ্ছিলুম ‘বাঙালিয়ানা’র সূত্রগুলি নতুন করে। কবি ভেবেছিলেন ১৪০০ সনে তাঁর লেখা সবাই ভুলে যাবে। দেখা গেল তাঁর লেখার কথা অনেকটা ভুলে গেলেও নামটাকে কেউ ভোলেনি। বাঙালিদের মতো কে আর মানে, ‘কলৌ নামৈব কেবলম।’ সবাই খোঁজে নিজের শিকড়। কিন্তু বাঙালিদের মতো আত্মপরিচয় খুঁজতে ব্যাকুল জাতি আমি ভারতবর্ষে আর দেখিনি। আসলে আমাদের পূর্বপুরুষ ... ...
ফুলকে নিয়ে মানুষ বড় বেশী মিথ্যা বলায় বলেই" এখন আমার পছন্দ "আগুনের ফুলকি"। আমি প্রতিটি শব্দের হাতে ধরাতে চাই প্রতিবাদের মশাল, প্রতিটি লাইনে ছড়াতে চাই বিদ্রোহের আগুন। হয়তবা সেই শপথ রক্তে ধ্বনিত হয়,আমরা কাউকে যেন কথা দিয়েছিলাম "এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য" করে যাওয়ার বলেই... হয়তবা.... ... ...
করোনা সংক্রান্ত একপ্রকার বিষন্নতা এবং করোনার আগে থেকেই বসে থাকা চাপা বিষন্নতার ডালপালা রয়েছে এই লেখা জুড়ে। ... ...
কিছু শোনা, কিছু কল্পনা ... ...
পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানে শঙ্খ নদের দুপাড়ে বসবাসকারী অধিকাংশই মারমা ও ম্রো জাতিগোষ্ঠির পাহাড়ি মানুষ। তাদের অধিকাংশের পেশা জুম চাষ (পাহাড়ের ঢালে বিশেষ এক ধরণের ঐতিহ্যবাহী চাষাবাদের নাম - জুম)।... অবাক হওয়ার মতো কথা, এই নদটির নাম বাংলায় ‘শঙ্খ‘ কেন, তার কোনো ঐতিহাসিক তথ্য নেই। তবে অনেকে মনে করেন, সেই ব্রিটিশ আমলে বাঙালি আমলারা গেজেটিয়ার করার সময় এটিকে ‘শঙ্খ‘ নদ’ হিসেবে নথিভূক্ত করেন। যদিও শঙ্খ বা শাঁখ বলতে যে ধরণের সাদা সামূদ্রিক শামুকের কথা বোঝায়, নদের দুপাড়ে কখনোই এমন শঙ্খের অস্তিত্ব ছিল না। [*ছোটদের জন্য লেখা] ... ...
নিউ ইয়র্ক নিবাসী ডঃ পার্থ ব্যানার্জী বিগত দু'সপ্তাহ ধরে লিখে চলেছেন নিউ ইয়র্কে ঘটে চলা ভয়াবহ করোনা সংকটকে তিনি কীভাবে দেখছেন - সেই অভিজ্ঞতা। সঙ্গে রয়েছে এই বিপর্যয়ের কার্যকারণ প্রসঙ্গে তাঁর বিশ্লেষণ। তাঁর অনুমতি নিয়ে লেখাটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে। রইল প্রথম চারটি পর্ব। ... ...
রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের প্রায় ৮% এই কোমর্বিড ব্যক্তিসমূহ। মৃত্যুকালে তাঁদের প্রতিরোধক্ষমতা কম হওয়ায় তাঁরা সহজে সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন হয় তো, কিন্তু বীজাণুর বাহুল্য ব্যতিরকে এই সংক্রমণ সম্ভব হত না। সরকারি হাসপাতালগুলি অপরিচ্ছন্নতার জন্য ইতিহাসখ্যাত, এই রাজ্যের বেসরকারি স্বাস্থ্যব্যবসার আড়তগুলিও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসম্মত পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে খুব এগিয়ে নেই, তা এদের শৌচাগারে গেলেই টের পাওয়া যায়। আমরা বাড়িতে রোগির কাছে যেতে যতটুকু স্বাস্থ্যবিধি মানি তার অর্ধেকও সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে মানা হয় কী না সন্দেহ। ... ...
এইটা একটা পাঁচ পর্বের গল্পের প্রথমটা। ... ...
‘একাত্তরের কথা কেউ মনে রেখেছে না কি? আর তাছাড়া আমি তো যুদ্ধ শুরু করেছিলাম মাত্র, শেষ করতে পারি নি। আমার যুদ্ধ ভারতীয় সেনারাই তো শেষ করে দিল’!…কথোপকথনে প্রয়াত পপসম্রাট, ১৯৭১ এর গেরিলা কমান্ডার আজম খান। ... ...
একটা অদ্ভুত মাথা ধরা নিয়ে ঘুম ভাঙ্গল গোপাল বাবুর। মাঝে মাঝে এমনটা হয়। আগে কম হত। আজকাল একটু বেশিই যেন হচ্ছে। ভাবেন এর পর শহরে ছেলের কাছে গেলে একটা ভাল ডাক্তার দেখাতে হবে। এখানে, মানে এই মফস্বল শহর শালদুয়ারির পাঁচ কিলোমিটার দূরের গ্রামে তার উপায় নেই। তবে দিন বাড়লে এটা নিজেই কমে যাবে জানেন উনি। তাছাড়া শরীরকে বেশী পাত্তাও দিতে চান না। গোপালবাবুর বাবা বলতেন “শরীরের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাই সয়”, তাই উনি আজ অবধি সেটাই মেনে চলেন। ... ...
শোনা যাচ্ছে এক ভারত লড়ছে 'কোভিড ১৯' এর বিরুদ্ধে। আর দেখা যাচ্ছে আরেক ভারত লড়ছে খাদ্য সংকটএর সাথে... ... ...
যেদিন সুনীল জলধি হইতে হিমালয় পর্বত মাথা চাড়া দিয়েছিল, সেদিন তার সাথে জন্ম তিব্বত মালভূমিরও। এই বিস্তৃত মালভূমির চারিদিকে বিশাল বিশাল পর্বতমালা। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। শনশন করে হাড় কাঁপানো হাওয়া বয়। কেমন করে ওখানে জীবন ধারণ করে মানুষেরা? কেমন করে শুরু হয়েছিল সভ্যতার? ... ...
চোতমারানির পোলারা চুদতেও পারে না। আক্রোশটা খিস্তিখেউড়ে পরিণত হয়ে ঝনঝন করে ভেঙে পড়ছিল। ঘটনাটার ফলাফল তখন সবেমাত্র সে টের পায়। তলপেট থেকে যখন টক জলের ঘূর্ণি গা কাঁপিয়ে বাইরে এসে পড়ে। কলতলায় যাবার সু্যোগ দেয় না। দরজার বাইরে বসে সে হাঁপায় আর শরীরের সমস্ত শক্তি একাট্টা করে গালি দেয়। ... ...