এ লেখা সাহিত্য না। ছাত্রবন্ধুর নোট। LaTex নামের এক ‘লেখা সাজানোর কল’ ব্যবহার করে কীভাবে বই বানানো যায় — তাই নিয়ে পাঁচ-সাত প্যাঁচানো। যাদের কাজে লাগবে না, নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিন। ... ...
কার্টুন সমস্ত এক জায়গায় ডাঁই করছি। ... ...
এ বছরে রেস্ত কম ছিল। কিন্তু মনে মনে 'বাজেট বইমেলা' 'বাজেট বইমেলা' জপতে জপতেও তিনদিনের বইমেলা সফর শেষে দেখলাম কিনে ফেলেছি সাড়ে চোদ্দ খানা বই, অর্থাৎ চোদ্দটি আস্ত পুস্তক আর একটি দুআনি পুস্তিকা। কিন্তু ইসস... আর যাওয়া হবে না। আবার আসছে বছর! বইমেলার শেষ তিনদিন দেখতে পাবো না! কেমন যেন নেশা ধরে ... ...
আমার গায়ে হুগলি পাড়ের রক্ত মাংস পূঁজ সবই আছে স্যার ... ...
গুরুর লোকেরা তো ভয় দেখাচ্ছেই ... ...
ফিরে এলেন চোদ্দোপুরুষেরা ... ...
সেই একই জীবনরঙ্গ মরবার আগে ... ...
এরপর চলল আফজলের কাঁচি। এক এক পার্ট করে কাটছে আর মাঝে মধ্যে ক্লিপ গুঁজে দিচ্ছে মাথায়, সেও এক বিশাল কায়দার ক্লিপ একেবারে কাঠঠোকরার ঠোঁটের মত ব্যাঁকানো। এরপর গানের তালে তালে চুলে কাঁচির আওয়াজ আরও জোরে হলো। ... ...
স্বামীজীর ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে তাঁর সদ্য পাওয়া একটি চীনাকাঁচের উপহার ভেঙে ফেলেছে পরিচারক; চোখে পড়েছে এক প্রবীণ মহারাজের। রাগে শুধু পরিচারকের গায়ে হাত ওঠা বাকি, উদয় হলেন নরেন্দ্র। "কী হয়েছে দাদা?" "আপনার পাওয়া ওই কাঁচের জিনিসটা ভেঙে দিল বলদটা! বিকেলে রাজা মহারাজ ফিরুন, তারপর হচ্ছে ওর! আপনার অত সুন্দর কাঁচের স্মারক...", মহারাজের দুঃখ আর যাচ্ছে না। "আচ্ছা আপদ তো! কাঁচের জিনিস তো ও'ভাবেই যায় দাদা; ও কী আমাদের মতো যক্ষ্মা-কলেরায় যাবে নাকি?" ... ...
চাইলেই গেরুয়া পরা যায় না। রামকৃষ্ণ মিশনে পড়ার সুবাদে দেখেছি প্রথম স্তরে ব্রহ্মচারীরা সাদা পরতেন। সেখান থেকে গেরুয়ায় উত্তরণের জন্য পরিশ্রম করতে হত। ঐতিহাসিকভাবে গেরুয়া বসনের উৎস যেটুকু শুনেছি তা হল- সংসারত্যাগী সন্ন্যাসী বা ভিক্ষুরা কোনো মূল্যবান বস্তু এমনকি সাধারণ বস্ত্রও উপহার নিতে পারতেন না গৃহীদের কাছ থেকে। পরিত্যক্ত বস্ত্র সংগ্রহ করে মাটি দিয়ে রঙ করে পরতে হত। সেখান থেকেই গৈরিক রঙের জন্ম। গিরিমাটির রঙকে গৈরিক বলা হত। ... ...
মহাকালের এই সাময়িক বিচ্যুতির সুযোগে লিপযিগ গ্যালাক্সির ষষ্ঠ গ্রহের এক বনে একটা হাওয়া পাক দিয়ে উঠল। ঝোড়ো নয়, হালকা হাওয়া। এই হাওয়া কিন্তু গল্পের শুরু নয়, শেষও নয়। কিন্তু একে একরকমের শুরু বলাই যেতে পারে। হাওয়া পাক দিল ঘন বনের পাশ দিয়ে, উপলখণ্ডের উপর দিয়ে, খেত খামার ছাড়িয়ে – এক ছোট্ট বাড়ির উঠোনে। এই পরিবারের জীবনে এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিন বোধহয় আর কখনো আসেনি... ... ...
ভালো লাগবে না এরকম কবিতা সবাই লিখতে পারে না ... ...
ফিকশন নয় এটা। নিজের কিছু ভাবনাকে ফ্যানটাসটিক আদল দিয়ে বলার চেষ্টা। তাই, সেই অর্থে যুক্তিনিষ্ঠ প্রবন্ধ নয়। সাহিত্য-গান-নাটক-বোধ সব মিলিয়ে এক জাতীয় স্বগতোক্তি বলা যেতে পারে বোধহয় এই লেখাকে। ... ...
হায়, আমি শিক্ষকের চাকরি পাইনি ... ...
নায়কদেরও লোকে ভুলে যায় ... ...
বৈশম্পায়ন কহিলেন, হে নরবর! আমি সেই কূটবুদ্ধি, পানভোজনকুশলী নেতাগণকে আখ্যাত করিব, আপনি শ্রবণ করুন। আমি সেই চেন অলংকৃত, অদ্ভুতচরিত্র, বহুভাষী, বাইট-প্রিয় নেতাদিগের চরিত্র কীর্তিত করিতেছি, আপনি শ্রবণ করুন। হে রাজন, যাঁহারা পাঞ্জাবি-পাজামাবৃত, মোবাইলকর্ণগত, গ্রহরত্নখচিত অঙ্গুরিয়শোভিত, এবং রোদচসমা পরিহিত, তাঁহারাই নেতা। ... ...
সে অনেকদিন আগেকার কথা – ঠাকুরের দেহরক্ষার পর যখন তরুণ পরিব্রাজকরূপে তিনি ছুটে চলেছেন সারা দেশে, তখনই কোনও একটা সময়ে এসে ক'দিন আলোয়ারেও ছিলেন। সেই সময়ে দু'বেলা পেট চলে ভিক্ষার অন্নে। যেদিন কিছুই জোটে না ভিক্ষায়, সেদিন সন্ন্যাসীর জঠরাগ্নির জ্বালা কমায় এলাকার আরেক ভিখারিনি – বুড়িমা। পথের ধারে তাঁর জরাজীর্ণ কুঁড়ে ঘর; দিনশেষে ক্লান্ত, অবসন্ন, ক্ষুধার্ত সেই তরুণ এসে বসলে বুড়ি আস্তে আস্তে কিছুটা বজরার আটা বার করে – ভিক্ষারই ধন সে সব। তারপর সে আটা মেখে, হাতের চাপে চ্যাপ্টা করে, আগুনে পুড়িয়ে খানকতক রুটি বানিয়ে সন্ন্যাসীর দিকে এগিয়ে দেয়, "এ নে, খা রে লালা।" ... ...
উক্তির সারমর্ম ইশকুলে লিখে স্ট্যাণ্ড আপ অন দি বেঞ্চ হয়েছিলুম ... ...
পেণ্ডুলাম ... ...