নীলাভ আলোর ঝলকে প্রস্তরীভূত শরীরের ভেতর আদিম অন্ধকারের স্বাদ থেকে জেগে উঠে দেখলাম কোনো ব্যথা নেই, কোনো স্মৃতি পর্যন্ত নেই যে কবে শরীরের অনুভূতিসম্পন্ন স্নায়ুকোষগুলি একে একে নষ্ট হয়ে ঝরে গেছে। মৃত্যুর পরে সময়ের কোনো চেতনা অনুভব করিনি আর। তাই জানিনা কতদিন শুয়ে আছি এই গ্রহের মাটিতে প্রায় জীবাশ্ম হয়ে, পাথরের দৃঢ় শরীরে গেঁথে আছে আমার কঙ্কাল, তবু জেগে ওঠবার প্রেরণা সংগ্রহ করে নিতে হলো নীল আলোর বৃত্তটায় করোটির কোটরদুটো ধাঁধিয়ে যাবার ফলে। ... ...
প্রাণের মিত্র শিবরাম এসেছেন প্রেমেনের ( ভিয়েন সম্রাট বলতেন -- পেমেন) কালিঘাটের বাড়িতে। শিবরাম তখন চলেছেন নিদারুণ মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে। শরৎচন্দ্র - শিশির ভাদুড়ী মশাইয়ের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা করবেন ঠিক করেছেন.. ... ...
আমার শৈশবের অনেকখানি আর কৈশোর ছিল ভারী একলামত| আমি যখন আট নয় বছরের মেয়ে, তখনই আমাকে প্রায় পূর্ণবয়স্ক মানুষ হিসেবে গণ্য করা হত| প্রায় বললাম, কারণ পূর্ণবয়স্ক মানুষের মত আমার মতামত গ্রাহ্য করা হত না, কিন্তু কাজকর্মে, আচার আচরণে পূর্ণবয়স্ক মানুষের মত ব্যবহার আশা করা হত| আমি বুঝতে শুরু করেছিলাম ভাইয়ের আগে জন্মানোয় আমাদের প্রাচুর্য্যের সময়ের পুরোটা, আট বছর ধরে আমি ভোগ করেছি, কিন্তু ভাই মাত্র দুই বছর ----- তাই এখন আর আমার কিছুই প্রাপ্য নয়| নয় বছর বয়সেই আমার পাড়ার মাঠে খেলাধুলো একদম বন্ধ ক ... ...
আগামীকাল থেকে সমস্ত গার্মেন্টস খুলে দেওয়া হচ্ছে। এই ব্যাপারে সরকারের দায় আরও বেশি। এবং সেই দায় সরকার কোন ভাবেই এড়াতে পারে না। যদিও উভয় সঙ্কট পরিস্থিতি তবুও বিকল্প কোন পন্থা খুঁজে বের করা উচিত ছিল। যারা ক্রয়াদেশ বাতিল করেনি তারা তাদের পণ্য তৈরি চাইতেই পারে। সেক্ষেত্রে কারখানা খোলা রাখতে হবে। আবার বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন ভাবেই কারখানা চালু রাখার সুযোগ নাই। কিন্তু সরকার কাল থেকে কারখানা চালু করে দিচ্ছে এবং বিজিএমইএ কারখানা খুলে দিতে সম্মত হয়েছে। এতে যে এক দেশে দুই নীতি চালু হল তা কি কেউ খেয়াল করে দেখেছে? শ্রমিকদের জীবনের মূল্য নাই? সবাই নিরাপদ থাকার জন্য, নিরাপদ রাখার জন্য ঘরে বসে থাকার সুযোগ পাচ্ছে কিন্তু শ্রমিক নামক এই প্রাণীদের আজকে ঠেলে দিলাম আমরা জীবনের ঝুঁকি নিতে! বলা হচ্ছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে কারখানা চালু রাখবে! কীভাবে সম্ভব এই জিনিস? যারা বলছে তারা কোনদিন একটা তৈরি পোশাক কারখানা ঘুরে দেখেছে? কীভাবে কাজ করে আর কীভাবে খাওয়া দাওয়া করে? তারা কোনদিন শ্রমিকরা কে কীভাবে থাকে তা জানে বা জানার চেষ্টা করেছে কোনদিন? সম্ভবত না। যার কারনেই এমন জিনিস কল্পনা করে বলতেছে যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে কারখানা চালু করতে। স্বাভাবিক সময়েই আমাদের শ্রমিকরা কত ভাল থাকে তা আমরা জানি, এই দুঃসময়ে তারা খুব ভাল আর নিরাপদে থাকবে তেমন আশা করি কোন যুক্তিতে? ... ...
আচ্ছা, এই হাতে হ্যারিকেন ধরিয়ে দেওয়াতে ক'টা কথা মনে হল। মোদীজির সবই মাস্টারস্ট্রোক, তাই তেনার অসীম ক্ষেমতায় মেরা দিমাগ কি বাত্তি জ্বল হি গ্যয়া। ... ...
কিঞ্চিৎ চিন্তাগ্রস্তই ছিলেন শিবু, ওরফে শিবানন্দ। যামিনী গতপ্রায়, পূর্ব দিগন্ত হইতে চন্দ্রকলাখানি পাড়িয়া, ঝাড়িয়া ঝুড়িয়া নিজের জটায় লাগাইয়া দিলেন। যাক, অদ্যকার মতো কাজ শেষ। এবং সেখানেই প্রকৃত ভাবনার আরম্ভ। সামনে এক্কেবারে আস্ত একটি দিন পড়িয়া আছে, অথচ করিবার কিছু নাই। সে এক কাল ছিল বটে। ছিলিমে সুখটান দিতে দিতে আর আকুল ভক্তগণের প্রার্থনা শুনিতে শুনিতে সময় যে কোথা হইতে মাখনের ন্যায় গলিয়া যাইত। ... ...
দীপাঞ্জন খয়েরি টাই বেঁধে দিল ঝড়ের বেগে, আর মুখ চালাল আরও স্পিডে। এই রকম বোতামওয়ালা সোয়েটার নাকি বয়স্ক লোকেরা পাঞ্জাবির সঙ্গে পরে, ইয়ং ছেলেরা ইন্টারভিউ দিতে গেলে পরে না, আর টাই-এর সঙ্গে তো নয়ই, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিছু করার নেই, মুখের ভেতর থেকে কথা আর বাড়ির ভেতর থেকে সোয়েটার একবার বেরিয়ে গেলে আর পালটানো যায় না। আয়নায় এক ঝলক নিজের “স্মার্ট” চেহারাখানার দিকে তাকালাম, খুব একটা ইম্প্রেসিভ লাগল না। সত্যিই ওই সোয়েটারের সাথে টাইটা ম্যাচ করছে না। মোদ্দা কথা হল, বুঝে গেলাম চাকরি যদি আমার না হয় তা হলে ওই সোয়েটারের জন্যই হবে না। ... ...
দেশ এবার মুজিব জন্মশত বর্ষ পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুরো দেশ এই প্রস্তুতিতে অংশ নিয়েছে। ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে ১০ জানুয়ারি থেকে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস থেকে। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বিশেষ আয়োজন থাকবে এবার। ওই বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব৷ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ জায়েদ আল নাহিয়ান, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, ভারতের কংগ্রেস দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন-সহ অনেকেই থাকবেন সেদিনের অনুষ্ঠানে৷ এত এত বিশেষ ব্যক্তিত্বের ভিতরেও বাংলাদেশ সরকার ওই অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে রেখেছেন নরেন্দ্র মোদীকে। ভারতেরে প্রধানমন্ত্রীকে এই বিশেষ সম্মান সরকার দিচ্ছে। ... ...
গত পঞ্চায়েৎ নির্বাচনে স্বৈরাচারী কাজকর্মের চূড়ায় পৌঁছে গেছিলো শাসকদল হিসাবে তৃণমূল। বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েৎ-এর কদর্য ভাবনায় বিরোধীদের মনোনয়ন না দিতে দেওয়া থেকে বিরোধী সন্দেহে মানুষকে ভোট দিতে না দেওয়া, ছাপ্পাভোট, বুথ দখল এইসব কাজের ফলে সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ জমে উঠেছিলো। সেই সাথে আমফান ত্রান ও তার আগেকার নানান দুর্নীতি তো ছিলোই। কাজেই প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া ছিলোই তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু পাশাপাশি অন্য অনেক কাজের ফলে গ্রামীণ মানুষের কাছে তৃণমূলের গ্রহনযোগ্যতাও ছিলো সন্দেহাতীত। সেগুলো নিয়ে পরে আলোচনা করবো। ... ...
অথচ, প্রশ্ন ছিল অনেক। প্রশ্নগুলো যেভাবে এবং যতোখানি জোরের সাথে উঠে আসার কথা ছিল, সবই পটকার আওয়াজে ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে। যেমন, দেশে প্রথম করোনা রোগীর খোঁজ পাওয়ার পরেও সরকার হাত গুটিয়ে বসেছিলেন কেন? যেমন, প্রথমদিকের সব আক্রান্তই বিলেতফেরত জেনেও, আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি কেন? যেমন, খবর পাওয়ার পরেও আন্তর্জাতিক উড়ান থেকে যাঁরা নামলেন, তাঁদের নজরে রাখা এবং পরীক্ষার বন্দোবস্ত হল না কেন? যেমন, সারা বিশ্ব যখন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত, তখনও স্বাস্থ্যদপ্তর কোন আক্কেলে জানালেন, যে, করোনা কোনো এমার্জেন্সি পরিস্থিতি নয়? কিন্তু, সেসব এখন অতীত। যা ঘটে গিয়েছে, সে নিয়ে দোষারোপ করে গায়ের ঝাল মেটানো যেতে পারে - পরিস্থিতির মোকাবিলায় এগোনো যাবেনা তেমন। অতএব, মোমবাতি জ্বালানোর যুক্তি ছিল কি ছিল না, অত্যুৎসাহীর দল পটকা ফাটিয়ে বিপর্যয়ের মুখে অশ্লীল আমোদ প্রকাশ করেছে কি করেনি - এসব প্রশ্ন ছেড়ে আসল প্রশ্নগুলোর কথা বলা যাক। ... ...
ভারতবর্ষের দারিদ্রসীমার নিচে থাকা সেই বিপুল সংখ্যক জনতা যদি আদিম হুঙ্কারে গর্জন করে যে - ভাত চাই ! তবেই লক ডাউন মানব ! না হলে আমরা এমনিও মরি অমনিও মরি, করোনায় আমাদের কি যায় আসে হে? ... ...
প্রথমটি বেশ রমরমিয়ে হানা দিয়েছে আমার দেশে। প্রথম দুদিনেই দুজন করে মৃত। এদেরই ধরা পড়েছিল, ফলে হান্ড্রেড পার্সেন্ট ফেটাল। মারা যাবার আগে আরো কতোজন যে সংক্রামিত হয়েছে কে জানে ! ঘিঞ্জি শহর, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, সচেতনতা ও পরিকাঠামোর অভাবে হয়ত অদূর ভবিষ্যতে বিপুল সংখ্যায় এই মহামারীর শিকার হব আমরা। দ্বিতীয়টি, মানে দাঙ্গা এই উপমহাদেশেরই অন্যতম বৈশিষ্ট্য , একেবারে হাতে গরম হালে দেখিয়ে দিয়েছে আমার দেশবাসী। মৃতের সংখ্যা ৪৬ জন ছাড়িয়েছে, তবু এখনো দিল্লির নালানর্দমা থেকে এমন গলিত শব উদ্ধার হচ্ছে যে ডিএনএ টেস্ট ছাড়া তাদের পরিচয় বোঝা যাবে না, হিন্দু মুসলমান তো পরের কথা। ... ...
কালী : একটি অনার্য অডিসি তব রূপং মহাকালো জগৎসংসারকারকঃ । মহাসংহারসময়ে কালঃ সর্ব্বং গ্রসিষ্যতি ।। ... ...
রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের প্রায় ৮% এই কোমর্বিড ব্যক্তিসমূহ। মৃত্যুকালে তাঁদের প্রতিরোধক্ষমতা কম হওয়ায় তাঁরা সহজে সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন হয় তো, কিন্তু বীজাণুর বাহুল্য ব্যতিরকে এই সংক্রমণ সম্ভব হত না। সরকারি হাসপাতালগুলি অপরিচ্ছন্নতার জন্য ইতিহাসখ্যাত, এই রাজ্যের বেসরকারি স্বাস্থ্যব্যবসার আড়তগুলিও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসম্মত পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে খুব এগিয়ে নেই, তা এদের শৌচাগারে গেলেই টের পাওয়া যায়। আমরা বাড়িতে রোগির কাছে যেতে যতটুকু স্বাস্থ্যবিধি মানি তার অর্ধেকও সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে মানা হয় কী না সন্দেহ। ... ...
দিনা বরাবরই জে’র খুব প্রিয়। অনেক পরে, একদিন এই দিনা জে’র চোখে চোখ রেখে বলবে সে তার ভালোবাসার মানুষটিকে বিয়ে করতে চায়। দিনাকে জে তাঁর বোনের হাতে সঁপে দিয়েছিলেন, সে সম্পূর্ণ মুসলিম ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত। কিন্তু তার পছন্দের মানুষটি ধর্মে পার্সি, নাম নেভিল ওয়াদিয়া। জে ক্ষুব্ধ হবেন, আর ইতিহাস ঘরের ইজিচেয়ারে বসে দোল খাবে আর মুচকি হাসবে। দিনার মা কে? সেটা কি সত্যিই ভুলে গেলেন নাকি জে? বার্ধক্যের ভ্রম না নিয়তি এড়িয়ে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টা? ... ...
বিকেলের চায়ে হবে মুচমুচে নিমকি চেবানো/পুরনো দিনের কথা বলবে না দেখো একজনও/হয়ত উত্তমকুমারের প্রসঙ্গ তুলে/পারমিতা দেবে হাত মাথার লুটিয়ে পড়া চুলে/তারপর শুরু হবে কার ছেলে ফিজিক্সে ভালো... সুমনের এই প্রায় বিস্মৃত গানটার কথা আমরা শুনেইছিলাম উত্তমকুমার পড়ার প্রক্রিয়ার মধ্যেই। উত্তমকুমার-সুচিত্রা সেনের ছবি, আমাদের পরিভাষায় পঞ্চাশের দশকের বাংলা সোশ্যাল, তখন এমএ স্তরে পড়তে হচ্ছে। আমি বড় হয়েছিলাম ফিল্ম সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে, বাড়িতে ফিল্ম দেখা বারণ ছিল অনেককাল। ফলে জনপ্রিয় ছবি একেবারে না দেখে ব ... ...
আমাকে যখন উদ্যোক্তারা নারায়ণ চৌবে স্মারক বক্তৃতা দিতে আমন্ত্রণ করলেন, আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম। আমি কীভাবে এই বক্তৃতা দেওয়ার যোগ্য বিবেচিত হলাম, তা আমি বুঝতে পারছিলাম না। বক্তৃতাটি যাঁর স্মৃতিতে তিনি শ্রমিক-উৎপাদক মানুষের মঙ্গলকামনায়, তাঁদের পাশে থেকে জীবন উৎসর্গ করেছেন। নারায়ণ চৌবে এরকম অসংখ্য মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন, যাঁরা আজীবন অশেষ আত্মত্য্যগ স্বীকার করছেন, যাতে আমাদের চারপাশ সুরক্ষিত থাকে, আমাদের সন্তান দুধেভাতে থাকে। আজকের মঞ্চে নারায়ণ চৌবে স্মারক পুরষ্কার পাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গ খেড়িয়া শবর কল্য ... ...
গত ১৬ ই ফেব্রুয়ারি রায়গঞ্জ মধ্য মোহনবাটি গ্রন্থাগারে ছিল গল্প পাঠের আসর। পঠিত গল্পগুলি নিয়ে আলোচনা করলেন আলোচক পুরুষোত্তম সিংহ ... ...
দুপুর থেকেই শরীরে একটা অস্বস্তি ছিল কুমার বাবুর। একবার ভাবলেন আজ আর হাঁটতে যাবেন না। কিন্তু যতই সময় এগিয়ে আসতে থাকলো মনের ভেতরটা কেমন যেন আনচান করে উঠল। আসলে চা খাওয়া, খবর শোনার মত এটাও একটা নেশাতে দাঁড়িয়েছে আজকাল। না হাঁটলেই কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। খাবার যেন হজম হতে চায় না। ঘুমের সমস্যা হয়। তবে তার কতটা সত্যিই শারীরিক আর কতটা মানসিক তা নিয়ে অবশ্য নিজেরও একটু ধন্দ আছে ওনার।পার্কে পৌঁছেই মনটা ভালো হয়ে যায়। কাল সন্ধেবেলা খবরটা শোনার পর থেকে এমনিতেই খুব ডিস্টার্বড হয়ে আছেন। নিউজ দেখছিলেন, তখনই ভেসে ওঠে খবরটা। ভোটযুদ্ধের রাজনৈতিক ঝগড়ায় কারা যেন বিদ্যাসাগরের মুর্তি ভেঙ্গে ফেলেছে। প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল নিশ্চয় কোথাও কোন ভুল হচ্ছে। তারপর যখন বুঝলেন ঘটনাটা নিদারুণ ভাবে সত্যি, মনটা একদম খারাপ হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত এরা বিদ্যাসাগরকেও ছাড়ল না। ... ...