‘একাত্তরের কথা কেউ মনে রেখেছে না কি? আর তাছাড়া আমি তো যুদ্ধ শুরু করেছিলাম মাত্র, শেষ করতে পারি নি। আমার যুদ্ধ ভারতীয় সেনারাই তো শেষ করে দিল’!…কথোপকথনে প্রয়াত পপসম্রাট, ১৯৭১ এর গেরিলা কমান্ডার আজম খান। ... ...
চাকরি করার সময়, অফিসে ফ্ল্যাগ তুলে একটু সিঙ্গাড়া মিষ্টি খেয়েই প্রশাসক হিসেবে দেশভক্তির যথেষ্ট প্রমান দেওয়া যেত। চাকরির একটা নির্দিষ্ট ধাপের পর থেকে স্বাধীনতা দিবসে বিকেলে মাননীয় রাজ্যপাল চা পানের নিমন্ত্রণের একটা কার্ড পাঠাতেন, তবে ঐ অত আমলার ভীড়ে এক আধজন কে দেখা না গেলে বুঝতে পারবেন না বলে অনেক সময়েই…বুঝলেন না ……হে…… হে । বছর ষোল আগে হঠাৎ নেমন্তন্য করলেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শিক্ষকরা, ওঁদের আচার্য পল্লীর আবাসনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে। এটা এড়ানো মুশকিল, আমার পুত্র তখনো মিশ ... ...
চার বছরের শিশুর সহপাঠীর উপর ধর্ষণের অভিযোগ বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। খবরটা শুনে বারবার মনে হচ্ছিলো ক্লাস ফোর হলেও ব্যাপারটা কি বিশ্বাস করতে পারা যায়!ছোটবেলা থেকে প্রচুর অল্পবয়সে পেছোনপাকা ছেলে দেখেছি। কামড়ে দেওয়া, জামাকাপড় টেনে খুলে দেওয়া, অনুসন্ধিৎসু হয়ে বিপরীত লিঙ্গের প্রাইভেট পার্টে হাত দেওয়ার প্রবনতা বা দেখে অবাক হওয়ার ঘটনা অনেকসময় নজরে এসেছে। তাইবলে ধর্ষণ! ‘ধর্ষণ’ শব্দটা লিখতেই রুচিতে বাধছে। সুমনা আমার বান্ধবী। বাড়িতে টাকাপয়সার টানাটানি না থাকলেও নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশ ... ...
‘কেন? আমরা ভাষাটা, হেসে ছেড়ে দেবো?যে ভাষা চাপাবে, চাপে শিখে নেবো?আমি কি ময়না?যে ভাষা শেখাবে শিখে শোভা হবো পিঞ্জরের?’ — করুণারঞ্জন ভট্টাচার্যস্বাধীনতা-পূর্ব সরকারি লোকগণনা অনুযায়ী অসমের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাষাভাষী মানুষ ছিলেন বাঙালি। দেশভাগের পরেও অসমে বাঙালি ছিলেন মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ। স্বাভাবিক কারণেই সেই সময় অসমিয়া প্রধান সরকারি ভাষা ঘোষিত হলেও সমগ্র অসমে সরকারি স্তরে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে চালু ছিল বাংলা। কিন্তু তার পর শুরু হয় ঠান্ডা মাথায় ছক কষার কাজ। অসমের প্রথ ... ...
জোট থাকলে জটও থাকবে। জটগুলো খুলতে খুলতে যেতে হবে। জটের ভয়ে অনেকে জোটে আসতে চায় না। তবে আমি চিরকালই জোট বাঁধার পক্ষের লোক। আগেও সময়ে সময়ে বিভিন্নরকম জোটে ছিলাম । এতবড় জোটে অবশ্য প্রথমবার। তবে জোটটা বড় বলেই এখানে জটগুলোও জটিলতর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কেউ ফেসবুকে তেড়ে এসে গালাগাল করে গেলো, কি দেখে নেবে বলে শাসানি দিলো; এইধরণের উটকো ঝামেলাগুলোর কথা বলছি না। এগুলো থাকবেই। এড়ানো যাবে না। জোট না থাকলেও এগুলো হতো, তবে হ্যাঁ, জোট হয়েছে বলে হয়তো একটু বেশি সংখ্যায় হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে মূল কারণটা বুঝে সেই অনুয ... ...
হ্যাঁ, মিছিল হাঁটার গপ্পো। আমি তো চিরদিনই রাজনীতি থেকে দূরে থাকা পাবলিক, মিছিলে কখনও হাঁটি নি, স্লোগানও দিই নি, তাই কে ভাই কে দুশমন - জানাটাও হয়ে ওঠে নি সময়মতো। যদিও সমসাময়িক রাজনীতির খবরাখবর ঠিকই রাখি-টাখি, এবং নিজের মত করে তার একটা ইন্টারপ্রিটেশনও করে থাকি। তো, সেই ইন্টারপ্রিটেশন আমাকে জোর করে ঠেলে দিল কালকের মিছিলে, জেএনইউ সলিডারিটি মার্চ। কবিতা কৃষ্ণণ জানিয়েছিলেন দুপুর দুটোয় জমায়েত, আর আড়াইটেয় মিছিল শুরু হবে। আমি সেইমত সাড়ে বারোটার সময় বেরিয়ে পড়লাম বাড়ি থেকে। যে হেতু মিছি ... ...
রিলায়েন্স জিও মার্কেটে আসার পর থেকেই চারদিকে সাড়া পড়ে গেছে। বহুদিন ধরে বদ্ধ জলার মত স্থির থাকা ইন্ডিয়ান টেলিকম মার্কেটে জিও-র আবির্ভাব প্রায় ছোটখাটো সুনামি বললে অত্যুক্তি হবে না। এখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রায় ৫০% কম রেটে কিভাবে রিলায়েন্স এত ডাটা এত মানুষকে প্রোভাইড করবে সেটা নিয়ে অনেকেরই কৌতুহল। তার উপর রয়েছে আনলিমিটেড ফ্রি ভয়েস কল! শুনতেও অবাস্তব লাগে। এরমধ্যে নরেন্দ্র মোদী জিও-এর প্রায় ব্র্যান্ড আইকন হয়ে গিয়ে এতে কিছু রাজনৈতিক মশলাও মিশিয়ে দিয়েছেন। তাই রাজনৈতিক লাভের জন্য বা নেহাতই ভারতীয় সুলভ সং ... ...
সিঙ্গুরের ঘটনাপুঞ্জ তার বৃত্ত সম্পূর্ণ করলো এই সপ্তাহে। এইখানে বৃত্ত লিখতে তবুও একটু বাঁধছে, কারণ, গত দশ বছর আগে কোনও ভাবেই ভাবতে পারিনি যে শেষটা এইখানে হবে। প্রথমে তো বেশ ভালোই লাগছিল, অফিসে কম্পিউটার আর প্রাথমিকে ইংরেজি বর্জনকারী সিপিএম অবশেষে রাজ্যে ইন্ডাস্ট্রি আনা নিয়ে সিরিয়াসলি কিছুটা এগোচ্ছে দেখে। চাকরি বাকরি বাড়বে, ক্যাশ ফ্লো বাড়বে, অর্গানাইজড লেবার ক্লাস তৈরি হবে--- ইত্যাদি মিলিয়ে সে বেশ ভালো ব্যাপার মনে হচ্ছিল। তারপর সেই ফোর্থ ইয়ার থেকে জেনেছি কোর জব করতে হলে বাড়ি ছাড়তে হবে, এই শিল্পা ... ...
সম্প্রতি 'পানি' ও 'দাওয়াত' শব্দদুটির ব্যবহার নিয়ে এপার বাংলায় অনাবশ্যক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই শব্দগুলি নিয়ে বর্ণহিন্দুর আপত্তি বা অস্বস্তি যে আজকের নয়, এর যে একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আছে- তার বিশ্লেষণ করাই এই লেখার মূল উপজীব্য। ... ...
বেগুন লাল দিশি************************************ধেৎ। বেগুন আবার কুকুরের নাম হয় না কি?কেনো হবে না শুনি? কবিতায় পড়ো নি "কোনো গুন নেই তার নামটি বেগুন"? পুরো নাম অবশ্য বেগুন লাল দিশি। ভালো নাম বেগুন কেনো সে তো কবিতাতেই পষ্টো বলে দেওয়া আছে। অন্য কুকুরেরা কতো জানে,প্রাজ্ঞ হয়। তোচনের বিরাট আইরীশ সেটার হ্যান্ডশেক করে, ঘনাইএর কুকুরটা তো ডোবারম্যান। খাবার সামনে থাকলে নাক উঁচু করে বসে থাকে। যতোক্ষন খাবার আদেশ না আসছে ততক্ষন খায় না। বড়জোর জুল জুল করে একটু তাকায়। ঘনাই "ইট' বল্লেই অ ... ...
অথচ বুড়বুড়ি ওঠে। ওঠে তো নিগঘাত, কিন্তু ঠিক কেমনটি ওঠে, কোথায় ওঠে ঠিক ঠাহর করতে পারিনে। ঠিকঠাক ঠাহর করার জিনিসও নয় বটে। বুড়ি চাঁদ বিড়বিড়িয়ে বলে যায়। সুর কি দেখা যায় ?অথচ দেখব বলেই কি বসে নেই সেই কবে থেকে? অপার ফপার হয়ে নয়। অপার হয়ে বসে থাকা কাকে বলে তাই বলে বুঝলুম না আজ অব্দি। না বুঝেই পার পেয়ে গেলে বোঝাবুঝির বোঝা আর কেই বা বয়। তবে পার দেখব বলে বসে থাকা, এটুকু বলা যেতেই পারে।গানের ওপারে যা কিছু দাঁড়িয়ে বা শুয়েবসে। রসেবশে।অথচ রসটাই বশ হলনা ঠিকঠাক। তো, সে ঠিকঠাক আর কোন কাজটাই বা ঠিক করতে ... ...
আমার সাবেক নকশালাইট বাবা আজিজ মেহেরের কাছে শুনেছি চিকা মারার (দেয়াল লিখন) ইতিকথা। ‘৭০ সালে কমরেড মনি সিং যখন পাকিস্তান সামরিক জান্তার কারাগার বন্দি হন, তখন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকার কালো রাজপথে সাদা চুন দিয়ে লিখেছিলেন: “কমরেড মনি সিং এর মুক্তি চাই!” তবে চিকা মারা নাকি শুরু হয়েছিলো ‘৬৯ এর গণ অভ্যূত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে সময় ছাত্ররা জিগা গাছের ডালের এক মাথা থেঁতো করে বানাতো ব্রাশ। আর আলকাতরা দিয়ে দেয়ালে লেখা হতো ... ...
বিচারবিচারক বল্লেন " তাহলে আপনার নিজের ছেলেও স্বীকার করলো? " তাঁর গলায় শ্লেষ ছিলো। আর আসন্ন বিজয়ের গৌরব।আমি চুপ করে থাকি। বলবার মতন কথা তো কতই রয়েছে। কোথার থেকে শুরু করবো। কোথায় শেষ। বড় ছেলে স্থির দাঁড়িয়ে। সে আমার চোখে চোখ রাখতে দ্বিধা করছে না। উন্নত শির। সা জোয়ান। মরদের বাচ্চা আমার ছেলে।বিচারক আমার বড় ছেলের দিকে তাকায়। " আর কিছু ? আর কিছু বলার আছে?"" না "। আমার দিকে ফিরে তাকায় বড় ছেলে। প্রত্যয়ী কন্ঠে বলে " বাবা, তুমি মেনে নেও। এতে তোমারই ভালো হব ... ...
প্রতিভা সরকার – ফেসবুক থেকেমা - কেন্দ্রিক গালাগালগুলি সব সময় যৌনগন্ধী হয়।ভারতব্যাপী সব ভাষাতেই। ফলে মাতা এবং মাতৃসমাদের প্রতি আমরা কত শ্রদ্ধালু সেটা সম্যক জানি বলেই হিরা বেন, মোদির মাকে লাইনে দাঁড়াতে দেখে ভালোই লাগলো। ছেলের কাজে সাহায্য করতে গিয়ে এত লোকের বাহবা পাচ্ছেন সেও বেশ ভালো কথা। ভক্তরা মোদী কত ন্যায় পরায়ণ সেটা বোঝানোর জন্য ঘন ঘন হীরা বেনের ছবি ব্যবহার করছেন। ভালো তো।কিন্তু তাতে তো আর lesser mortal দের হয়রানি মিথ্যে হয় না। এবারের লোক আদালতে এক বাবাকে দেখলাম য ... ...
খাওয়া-দাওয়া ছিল বটে স্বাধীনতার আগে। ভারতীয় খানার স্বর্ণযুগ বলতে মুঘল যুগ। শ্রীযুক্ত বাবর যখন ভারতের অধিপতি হয়েই পড়লেন, যে জিনিসটি তিনি সবথেকে বেশি আকাঙ্খা করতেন তা হল তার জন্মস্থানের খানা, বিশেষতঃ ফলমূল। মধ্য এশিয়ার খোবানি থেকে পারস্যের তরমুজের জন্যে তার প্রাণ কাঁদত। তাছাড়াও ভারতের মশলাদার খাবারও তাঁর বিশেষ পছন্দের ছিলনা। বাবর পছন্দ করতে মধ্য এশিয়ার ঝলসান মাংসর পদ। বাবরপুত্র হুমায়ুন কিন্তু ভক্ত ছিলে পারসিক পোলাও থেকে হালকা মশলাদার রান্নার। আকবরের সময়ে ভারতীয় রান্না, পারসিক রন্ধনপ্রণালী আর মধ্য এ ... ...
[মূল গল্প - Del rigor en la ciencia (স্প্যানিশ), ইংরিজি অনুবাদে কখনও ‘On Exactitude in Science’, কখনও বা ‘On Rigour in Science’ । লেখক Jorge Luis Borges (বাংলা বানানে ‘হোর্হে লুই বোর্হেস’) । প্রথম প্রকাশ – ১৯৪৬ । গল্পটি লেখা হয়েছে প্রাচীন কোনও গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি দেওয়ার ভাণ করে, এবং সেহেতু শেষে একটি ভুয়ো সূত্রনির্দেশও দেওয়া আছে । সেই প্রাচীনগন্ধী মেজাজটি অক্ষুণ্ণ রাখতে অনুবাদের গদ্যটিকে কিঞ্চিৎ ‘আর্কায়িক’ রূপ দিতে হল । এ গল্পটি সেই অর্থে কল্পবিজ্ঞান নয়, তবে, হয়ত বা বিজ্ঞান নিয়ে । বাস্তবতা, বৈজ্ ... ...
#জলছবি-বাংলাদেশ ( সবার যেমন কিছু স্বপ্নের ভ্রমণ থাকে, আমারটা ছিল বাংলাদেশ। বাবা-পিতামো’র চরণধুলি যেখানে পড়েছিল সেই দেশ দেখব। এই ছিল স্বপ্ন। চূড়ান্ত পিতৃতান্ত্রিক ভাবনা। তবুও। গিয়েওছিলাম। অসম্ভব আনন্দ হয়েছিল। আজ প্রায় এক দশক পরে দেখছি স্মৃতিটা ঝাপসা হয়ে আসছে। কিন্তু এই স্মৃতিটা এমন, যাকে আমি একদম ফিকে হয়ে যেতে দিতে চাই না। সেই ধরে রাখার তাগিদে এই লেখা। তবে হয়তো একটু ভালবাসায় বায়াসড, কখনো বা পলিটিক্যালি ভুল লেখা হবে। যারা পড়বেন তাঁরা নিজ গুণে মার্জনা করবেন এই আশা। )দিন - ১ ... ...
এক জীবনে একজন মানুষের কি চাওয়া থাকতে পারে? যদি সে হয় একটু অভিযান প্রিয়, যদি সে হয় পুরো পৃথিবী ঘুরে দেখার ইচ্ছাসহ কোন মানুষ? কি চাইতে পারে সে? বিমল মুখার্জি নামক এক বাঙালি নিজের মনের ভিতরের দুনিয়া ঘুরে দেখার ইচ্ছাটা বাস্তবে রূপান্তর করতে পেরেছিলেন। সাথে পেয়েছিলেন একজন মানুষ এক জীবনে যা চাইতে পারে তার সব। তিনি ডেনমার্কের এক ধনাঢ্য পরিবারের সর্বোচ্চ স্নেহ ভালবাসা পেয়েছিলেন। তারা তাকে তাদের সম্পত্তির অংশীদার করে রেখে দিতে চেয়েছিলেন। জন্মদিনে বাড়ি, গাড়ি এমন কি বিমান পর্যন্ত উপহার দিয়েছিলেন।বিমান চালি ... ...
রাজা দেবপালের সহিত দ্বন্দ্বযুদ্ধে রানা রতন সিংয়ের পরাজয় ও মর্মান্তিক মৃত্যুর সংবাদ রাজপুরীতে পঁহুছানোমাত্র সমগ্র চিতোরনগরীতে যেন অন্ধকার নামিয়া আসিল। হায়, এক্ষণে কে চিতোরের গরিমা রক্ষা করিবে? কেই বা চিতোরমহিষী পদ্মাবতীকে শত্রুর কলুষ স্পর্শ হইতে বাঁচাইবে? গত দশদিবস যাবত আলাউদ্দিন চিতোরকে অবরুদ্ধ করিয়া রাখিয়াছেন। জনশ্রুতি এই যে চিতোর নহে, চিতোর রানীকে হস্তগত করাই তাহার মনোগত অভিপ্রায়। অবরোধের কারণে দূর্গনগরীতে ঘোর খাদ্যসংকট, শিশু বৃদ্ধেরা ক্রন্দনরত, নগরবাসীর মুখ শুষ্ক, সৈনিকগণ রনক্লান্ত ... ...
ক্রিকেট দেখা ছেড়ে দিয়েছি। অনেক কারনেই, সে সব কথা বিভিন্ন পরিসরে আলোচনা করি এবং করব। কিন্তু দেখা ছেড়ে দিলেও খেলাটা এককালে ভালোবাসতাম, নিজেও খেলেছি – কাজেই চোখের সামনে যখন অসাধারণ কোন পারফরম্যান্স চলে আসে, যেমন বিরাট কোহলির (আনন্দবাজার আবার ক’দিন হল “কোহালি” লিখছে দেখছি :D) রবিবারের ইনিংসটা, তখন আর মুখ ঘুরিয়ে থাকতে পারিনা। ক্লাস তো ক্লাসই। কাজেই এই ইনিংসের বিশ্লেষণ, প্রশংসা ইত্যাদির প্রক্রিয়ায় আমারও সামিল হতে ইচ্ছে করল। বিশেষ করে এখন তো ফেসবুক আছে, বক্তৃতাটা সাহস করে দিয়ে দিলেই হল – শ্রোতা কিছু জু ... ...