আমার মতন অকিঞ্চিৎকর লোকের সিরিজ লিখতে বসা মানে আদতে সহনশীল পাঠকের সহ্যশক্তিকে অনবরত পরীক্ষা করা ।কোশ্চেনটা হল যে আপনি কাফিরনামা ক্যানো পড়বেন? আপনার এই দুনিয়াতে গুচ্ছের কাজ এবং অকাজ আছে। সব ছেড়ে কাফিরনামা পড়ার মতন বাজে সময় খুদাতলা আপনাকে দিয়েছেন কি? অবশ্যি,এই বিচ্ছিরি গরম, মোহনবাগানের ফেড কাপ ফাইনালে হার আর এত পার্সেন্ট ডিএ বকেয়া রেখেও যদি আপনি বহাল তবিয়তে বেঁচে থাকতে পারেন তাহলে আমার এই কাফিরনামা সেই তুলনায় এক্কেবারে ‘তুশ্চু’।আমার এক মাস্টারমশাই বলেছিলেন যে খুদাতলা দ্বীন দুনিয়ার আদমজাত ... ...
জ্যামিতির গোড়ার কথা : ইউক্লিড থেকে রীমান ( প্রথম পর্ব ) জ্যামিতি আমরা সকলেই কমবেশি ... ...
পরিবারে বিভিন্ন প্রজন্মের ছয়জন সচ্ছল ডাক্তারকে দেখে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম...। মেডিকাল কলেজে ঢোকার পর মেডিকাল কলেজ ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস’ অ্যাসোশিয়েসন নতুন স্বপ্ন দেখতে শেখালো...ডা নর্মান বেথুন, ডা দ্বারকানাথ কোটনিসের মতো ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন...। কিন্তু কোথায় যাব? কোথায় স্পেনের জনগণের ফ্রাংকো-বিরোধী আন্দোলন, কোথায় চীনের মুক্তিযুদ্ধ? নিকারাগুয়ায় সান্দিনিস্তা সরকারের এক প্রতিনিধির কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলাম নিকারাগুয়ায় কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করে, তার উত্তর এলো না। অবশেষে ডাক্তারী পাস ... ...
দিল্লির রাস্তা আজ লালে লাল।দিল্লি আজ লালঝান্ডার দখলে।মিছিলের ছবি আর ভিডিওগুলো দেখছি আর মনে মনে একটু আপশোষ হচ্ছে।ব্যক্তিগত কারনের জন্য এবার যেতে পারলাম না বলে।শ্রমিক কৃষক মহিলা কারা নেই সেই মিছিলে!বিশেষ করে মহিলারা! দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে আসা তাদের ছবি আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে গতবছরের এক দৃশ্যে।গতবছর নভেম্বরে ট্রেড ইউনিয়নগুলোর যৌথ প্ল্যাটফর্মের ডাকে তিনদিনের ধর্না দেওয়া হয়েছিল পার্লামেন্ট স্ট্রিটে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর দিনে।তো সেই ধর্নায় যোগ দেওয়ার জন্য আমাদের সংগঠনের ৪০ জনের একটা দল চেপে ... ...
বাংলায় শিক্ষা-টিক্ষা চালু করার কথা এলে, প্রথমেই দুটো তর্ক উঠে আসে, যা সেই রবীন্দ্রনাথের আমল থেকে চলছে। এক, বাংলার পরিভাষাগুলো অদ্ভুত। ছোটো থেকে শুনে আসছি, গতিজাড্য, ভরবেগ, জ্যা, ব্যাসার্ধ, কূটাভাষ, চলগতিবিদ্যা, বস্তুবাদ, যুক্তিবাদ, তাত্ত্বিক প্রস্থানবিন্দু, এইসব নাকি খুব কঠিন কথা। 'উদস্থৈতিক কূট'? হ্যাহ্যাহ্যা সেটা আবার কী? আমরা মফঃস্বলবাসীরা এ জিনিস শুনে-শুনে পচিয়ে ফেলেছি। অথচ, কথাটা একেবারেই ফালতু। ইংরিজি দারুণ-দারুণ সোজা পরিভাষার ডিপো, তা নয়। যা আছে, তার বহু কিছুই ইংরিজিভাষীদের পক্ষেও কঠিন। মায়ের পেট থেকে পড়েই 'হাইড্রোস্ট্যাটিক প্যারাডক্স' কাকে বলে কেউ বুঝে যায়না, আর অ-ইংরেজভাষীদের পক্ষে, খুব অভ্যাস না থাকলে, বলতে দাঁত খুলেও যেতে পারে। স্ট্যালাগটাইট, স্ট্যালাগমাইট, ইন্টারডিসিপ্লিনারি-ডিসকোর্স, এসবই কঠিন জিনিস। বৈজ্ঞানিক নামগুলো তো, ওরে বাবা। পেরিপ্ল্যানেটা আমেরিকানা, মানে নাকি আরশোলা, হোমো-স্যাপিয়েন্স মানে মানুষ। তার আগে ছিল নিয়েন্ডারথাল, হোমো-ইরেকটাস। প্রচুর মুখস্থ না করলে মনে রাখা সম্ভব না। আমাদের পন্ডিতদের যেমন তৎসমের উপর একটা ঝোঁক ছিল, পশ্চিমের পন্ডিতদের ছিল লাতিনের উপরে। সব একই রকম খটোমটো। অভ্যাস করলেই অভ্যাস হয়ে যায়। নইলে হয়না। ... ...
বেতাল পঞ্চবিংশতি বর্ষে পড়ল। বেতালের তবলচী বাবা তার মাথায় চাঁটি মেরে বললেন, "পঁচিশ বছরের দামড়া। এখনও ষষ্ঠী আর নবতালের ফারাক শিখলি না। তোর নাম আজ থেকে বে-তাল। দূর হয়ে যা আমার চোখের সামনে থেকে। তোকে ত্যজ্যপুত্র করলাম।" বেতাল তখন ক্ষোভে-দুঃখে তার যে বেগুনি ফুলহাতা-গেঞ্জি আর প্যান্ট ছিল, সেই পরে এক বস্ত্রে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এল। খালি ক্ষোভের প্রকাশ হিসেবে প্যান্টের ওপর একটা কালো জাঙিয়া পরে নিল। লজ্জায় মুখ ঢাকতে বোনের হিজাবটা নিল আর বাবার শখের সানগ্লাসটা।বেতাল মনের দুঃখে এক জাহাজে চেপে বসল। জা ... ...
আজ পুঁটির নিজের আর নিজের চারিদিকের বন্ধুবান্ধবের ইংরেজী না বলতে পারার হীনমন্যতার কথা মনে পড়ল। সে পড়েছে এক মিশনারী স্কুলে, তাদের কেজি থেকেই ইংরেজি পড়তে হয়েছে, তবুও স্কুলটা তো শেষমেশ বাংলা মাধ্যমের! লেখায় কোনদিন সমস্যা হয়নি, শুধু গড়গড় করে বলতে পারত না। অবশ্য, কলেজ ছাড়ার সময় নাগাদ পুঁটি নিজেকে মোটামুটি চলনসই করে গড়েপিটে নিয়েছে, কোথাও আর তেমন অসুবিধে হত না। তবে হীনমন্যতায় যে তারা জাস্ট কিস্যু না, তা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে ছাড়লেন পুঁটিরানীর প্রাণেশ্বর!তিনি নাকি জয়েন্টে ইঞ্জিনীয়ারিং-এর জন্য ... ...
সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সিনেমা দেখার জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে। কোভিড জনিত লকডাউন পরিস্থিতিতে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ থাকায় ওটিটি গুলি লাভবান হয়েছে। আগামী দিনে সিনেমা হল খুললেও দর্শক কতটা ফিরে আসবেন তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। এর ফলাফল কী হবে, কারা লাভবান হবেন আর কাদের হবে ক্ষতি সেটা নিয়ে নানা ভাবনা মাথাচাড়া দিচ্ছে। এই লাভ ক্ষতির হিসেবটা সবসময়ই আপেক্ষিক। দর্শক হিসেবে আমাদের কি প্রাপ্তি, সিনেমার ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে আর আর্ট হিসেবে বিকাশের পথে এই পরিস্থিতি কতটা সহায়ক তা নিয়ে নানা ভাবনার সমাবেশ দরকার। তার প্রাথমিক সূত্রপাত এই লেখাটি। ... ...
রয়টার্স নাকি ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের পর্যটকদের মধ্যে একটা সার্ভে করেছিল, যেখানে তাদের বেছে নিতে বলা হয়েছিল স্ট্রিট ফুডের জন্য পৃথিবীরে বিখ্যাত শহরগুলিকে। তার মধ্যে মালয়েশিয়ার পেনাং আসে তৃতীয় স্থানে – এবং ইন্টারেষ্টিংলি প্রথম দুটি জায়গাও এই এশিয়ার শহরই দখল করেছে – প্রথম স্থানে থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্কক এবং দ্বিতীয় স্থানে সিঙ্গাপুর। ষষ্ঠ স্থানে আছে ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটি। সত্যি কথা বলতে কি এই র্যাঙ্কিং নিয়ে বিশেষ দ্বিমত হবার চান্স নেই – এশিয়ার যে শহরগুলির নাম করা হয়েছে, তাদের স্ট্রীট ফুড সত্যিই অসাধারণ। তবে আমাকে বললে, আমি হয়ত সিঙ্গাপুরের জায়গায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরকে রাখতাম। আর প্রথম দশটি স্থানে যেখানে ঠাঁই নিতে পেরেছে এশিয়ার চারটি শহর, তাই এই কথা মেনে নিতে কোন বাধা নেই যে, স্ট্রীট ফুডের স্বর্গ হল এই এশিয়ার নানা শহর। ... ...
যত বেশি যুদ্ধ, তত বেশি এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স। যত বেশি জেল, তত বেশি সল্ট লেকে জমি। সে নোনা হ্রদ বা নিউ টাউন পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় হতে পারে। ... ...
জয় গোস্বামী ষাট বছরে পা দিলেন। প্রতিদিন, যেখানে তিনি এই মুহূর্তে চাকরিরত, ব্রাত্য বসুকে দিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখিয়েছে কদিন আগে। এর বেশি আর কিছু কোথাও দেখা যাচ্ছে না। দেখা যাওয়ার খুব বেশি কারণও নেই, কবির রাজনৈতিক পরিচিতি প্রবল হয়ে উঠেছে এবং কবিতা অনেকদিন আগেই তাঁকে ছেড়ে গেছে বলাই ভাল। এক কবিবন্ধু, যিনি একদা জয়ের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন, বলেছিলেন প্রায় একদশক আগেই যে জয় আর লিখতে পারছেন না এবং এক ধরনের অস্বস্তিতে ভুগছেন। ১৯৭৬ এ ক্রিসমাস ও শীতের সনেটগুচ্ছ বেরিয়েছিল, আলোকবর্ষ দূরত্বের মনে হয় এখন। জয়দের আগের প্র ... ...
একজন পশ্চিমা নাগরিক যখন অফিসের পথে হাঁটতে থাকেন, কখনো কি তার মাথায় প্রশ্ন উদ্রেক করে, কী অঢেল পানিসম্পদ ব্যয়িত হয় তার ট্রাউজারটি ধৌত ও রঙ করার কাজে? ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স কর্পোরেশান এর একটি সমীক্ষা বলছে, প্রতি বছর গার্মেন্টস শিল্পের সুতো ও কাপড় রঙ এবং ধৌত করার কাজে ১৫০০ বিলিয়ন লিটার পানি ব্যবহৃত হয় বাংলাদেশে – এটি সেই পরিমাণ তরল যা দিয়ে ৬,০০,০০০ অলিম্পিক সুইমিংপুলকে ভরে দেয়া যায়, বা, ৮,০০,০০০ মানুষের সারা বছরের পানির কাজ নির্বিঘ্নে চলে যায়! আমরা যে জিন্স প্রতিদিন পাদুটোর উপর চেপে রাখি, তার ওজন প্রায় ১ কেজি, আর এইটুকু পোশাককে ধৌতকরনে খোয়াতে হয় প্রায় ২৫০ লিটার পানি। আর এ হচ্ছে মিষ্টি পানি, ভূগর্ভস্থ চ্যানেল থেকে যা পাম্প করে বের করা হয়। পানির টেবিল কিন্তু অসীম নয়; প্রতিবছর ২.৫% নেমে যাচ্ছে। আমাদের ভূগর্ভস্থ পানির চ্যানেলগুলো এভাবে ক্রমেই রিক্ত হচ্ছে পোশাক দৈত্যের খাবার যোগন দিতে গিয়ে, আর পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দেবে যাওয়ার ঝুঁকিসম্পন্ন একটি ভূত্বক অবশিষ্ট রেখে যাচ্ছে! ... ...
অধ্যাপক ধীরেশ ভট্টাচার্য, বাবু কমলকুমার মজুমদার, খালাসিটোলার 'আইকন' কালী সাহা মশাই আর শিল্পী সুনীলমাধব সেন --- সবাইকে নিয়ে চলেছেন জন্মখ্যাপা শক্তি, যেন আতাচোরা পাখিটি। ... ...
সল্ট লেকে পূর্ত ভবনের পাশের রাস্তাটায় এমনিতেই আলো খুব কম। রাস্তাটাও খুব ছোট। তার মধ্যেই ব্যানার হাতে একটা মিছিল ভরাট আওয়াজে এ মোড় থেকে ও মোড় যাচ্ছে - আমাদের ন্যায্য দাবী মানতে হবে, প্রতিহিংসার ট্রান্সফার মানছি না, মানব না। এই শহরের উপকন্ঠে অভিনীত হয়ে যাচ্ছে প্রতিহিংসা এবং প্রতিরোধের এক কাহিনী, কিন্তু আমরা নাগরিকেরা আশ্চর্যভাবে কিছু না জেনেই সপ্তাহান্তে হস্তশিল্পমেলায় দৌড়চ্ছি, অথবা মাল্টিপ্লেক্সে। রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে অনশনরত প্রাথমিক শিক্ষকদের পাশে তেমনভাবে দাঁড়ায় ... ...
মালপোয়াভোর থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। ঘুম ভেঙে গিয়েছিল তার অনেক আগেই। অন্ধকার ঘরটায় শুয়ে বৃষ্টির আওয়াজ শুনছিলেন ইন্দুবালা। অল্প অল্প বাতাসে দুলছিল জানলার হালকা পর্দা গুলো। তার ফাঁক দিয়ে উঁকি মারছিল একটু একটু করে ফর্সা হতে থাকা আকাশটা। একতলায় ভাতের হোটেলের ওপরে তাঁর ঘরটা ছোট্ট হলেও বেশ খোলামেলা। অন্তত এই বাড়ির অন্য ঘর গুলোর থেকে। ঘরের চারিদিক বরাবর বেশ কয়েকটা জানলা। সামনের দিকে এগিয়ে গেলে ছেনু মিত্তর লেন। হরেক মানুষ, গাড়ি ঘোড়ার যাতায়াত। আর পেছন দিকটা শাশুড়ির আমলের ছোট্ট বাগান। সিড় ... ...
বিষধর সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা আমি করতে পারি না। আমি পারি না, পারেন না আমার মতো বেশির ভাগ ডাক্তারই। কেন না, আমাদের শেখানো হয় না। ডাক্তারী পাঠ্যক্রমে সাপে কাটার স্থান ফরেনসিক এন্ড স্টেট মেডিসিনে। এই বিষয়ে অন্যান্য বিষক্রিয়ার সঙ্গে সাপের বিষ সম্পর্কে পড়ানো হয়। কিন্তু বিষধর সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা শেখানো হয় না। শেখানো যেতে পারত যে বিষয়টায় সেই মেডিসিনে সাপের কামড়ের চিকিৎসার স্থান নেই, অথচ এমন অনেক রোগের বিষয়ে পড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যয় করা হয়, সারা জীবনে ডাক্তার যে সব রোগের রোগী দেখতেই পাবেন না হয়তো। ... ...
বেশ্যাদ্বার (প্রথম পর্ব)প্রসেনজিৎ বসুরামচন্দ্র দুর্গাপুজো করছেন। রাবণবধের জন্য। বানরসেনা নানা জায়গা থেকে পুজোর বিপুল সামগ্রী জোগাড় করে এনেছে। রঘুবীর পুজো শুরু করেছেন। ষষ্ঠীর বোধন হয়ে গেছে। চলছে সপ্তমীর মহাস্নান। দেবীস্বরূপা সুসজ্জিতা নবপত্রিকাকে একেকটি মন্ত্রে একেকটি দ্রব্য দিয়ে স্নান করাচ্ছেন রাম। নদীজলে, শঙ্খজলে, গঙ্গাজলে স্নান হল। উষ্ণজলে, গন্ধজলে, শুদ্ধজলে স্নান হল। কুশজলে, পুষ্পজলে, ফলজলে স্নান হল। শিশিরজলে, সাগরজলে,ওষধিজলে স্নান হল। তীর্থজলে, বৃষ্টিজলে, ঝর্ণাজলে স্নান হল। ... ...
সোফায় পা গুটিয়ে বসে গুছিয়ে ভাট শুনবেন যাঁদের এমন বাঙালী আইকনিক আঁতেল এখন বিলুপ্তপ্রায়। কিন্তু আঁতেল আইকন সামনে না থাকলে কি নিয়ে দিন কাটবে সেই চিন্তা থেকে ঋতুদা চলে যাবার পর চন্দ্রিলের আশ্রয়ে ছিলাম। তবে সেবারে ‘ক্যালকাটা লিটারেরী ফেষ্টিভ্যাল’ না কিসে যেন একটা চন্দ্রিলের বক্তৃতায় গোদার, বার্তোলুচি, বেলা লুচি, ফালুদা, ভারমিচিলি কি সব ঢুকে যাবার পর বুঝতে পারলাম চন্দ্রিল-দা আমার নাগাল ছাড়িয়ে এগিয়ে গেল – মধ্যবিত্ত আঁতেল থেকে উচ্চবিত্ত আঁতেল পর্যায়ে উন্নিত হয়েছেন দাদা। ফলে আমি আবার মধ্যবিত্ত আইকন খুঁজতে বসলাম – মার্কেটের অবস্থা খুব খারাপ। শেষে স্মরণাপন্ন হতে হলে শান্তনু মৈত্র মানে আমাদের সবার প্রিয় জি বাংলা সা রে গা মা পা-র শান্তনু-দা। তো শান্তনু-দাকে ফলো করেই আমার সেই কনফারেন্স কাঁপানো - ... ...