কার্ল-হান্সের সঙ্গে পুতিনের প্রথম সাক্ষাতের দিন সে তার রাশিয়ান ফলাতে গিয়েছিল। তাকে রীতিমত চমকে দিয়ে পুতিন পরিষ্কার জার্মানে জবাব দিয়েছেন। কার্ল- হান্স অবশ্য তাঁর অ্যাকসেন্ট শুনে খুব মজা পায়। পুতিনের জার্মান জাখসেন প্রভাব দুষ্ট - যে উচ্চারণ আমি স্টাডরোডার হাইকে ও তার পরিবারের লোকজনের মুখে শুনেছি। ওই যে কয়েক বছর পুতিন ড্রেসডেনে ছিলেন, এটা সেই সংসর্গের ফল! কার্ল-হান্স খাঁটি প্রাশিয়ান - তার মতো পরিশীলিত জার্মান খুব কম লোককে বলতে শুনেছি। সভ্য সমাজে সোয়েবিশ হেসিশের মতন জাখসেন ডায়ালেকটকে একটু নিচু নজরে দেখা হয়। ... ...
কাঁসাইয়ের থেকে আনুমানিক একশো দেড়শো মিটার দূরে মাটির বাঁধ। কংসাবতী ব্রিজ আড়াআড়ি এই বাঁধকে দ্বিখন্ডিত করেছে। আশির দশকে সেই বাঁধ ধ'রে ক্যানালের দিকে হেঁটে যেত এক তরুণ। তাকে দেখলেই সদরঘাট ও গান্ধীঘাট অঞ্চলের ছেলেছোকরারা এই গান ধরত:'ওরে, ট্যাংরা তবু কাটন যায়,মাগুর মাছে ক্যাটক্যাটায়,আর, শিঙ্গি মাছটা মারল কাঁটা,পরাণ যায় জ্বলিয়া রে!কি মাছ ধরিছ বড়শি দিয়া?ও দরদী, কি মাছ ধরিছ বড়শি দিয়া?'যাকে উদ্দেশ্য করে এই গান, সেই দরদী, 'বামুণ ঘরের পিন্টা' , মিটমিট ক'রে হাসত, ... ...
"৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, এবছর মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিকের ...."একটা অটো বা ভ্যান রিক্শায় মাইক ফিট করে কেউ বলতে বলতে যাচ্ছে। সরু রাস্তার জন্য সেই স্বর কখনও থমকাচ্ছে, কখনও কেঁপে যাচ্ছে যান্ত্রিক এলোমেলোতায়। সাতানব্বই নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় প্রতি গলি এঁদোগলিতেই ঘুরবে এই গাড়ি অন্তত একবার। সেইসব বাড়ির বারান্দা জানলা আর রোয়াকে উৎকর্ণ কিছু কান, কিছু বুকে চিনচিনে ব্যথা, কোথাও বা সামান্য পুলক। পিঠগুলো অল্প ভিজে উঠছে গুমোটে আর উত্তেজনায়। হাওয়া বইছে কখনও যদিও, তবু। ... ...
ওই যে শাহরুখ খান তার কোনো একখানি ইমোশনাল টর্চার মূলক অভিনয়ে জানিয়েছিলেন যে পৃথিবীর কেউ না কেউ কারুর না কারুর জন্য অপেক্ষা করছে।যার মানে বোধহয় এরম যে দুনিয়ার প্রত্যেকটা লোক কারুর না কারুর কাছে ধার নিয়েছে কি বউ নিয়ে পালিয়েছে বা তার থেকেও খারাপ, কোনো ভালো বই পড়তে নিয়ে স্রেফ মেরে দিয়েছে।অতএব, ধার দেওয়া কি বউ পালানো বা বই হারানো লোকটা অপেক্ষাতেই থেকে যাবে। এটা ছাড়াও অন্য মানে থাকতে পারে, তবে আমার মাথা আমার ভুঁড়ির মাফিক মোটা, এর চেয়ে বেশি বুঝতে পারিনি।আমার এই কম বোঝা নিয়ে আরেকটা গপ্পো আছে। আমার ভাই অর ... ...
এটা আসলে ট্রেনের গল্প। আমার বাবা নেশায় ছিলেন হোমিওপ্যাথ, পেশায় রেল-কর্মচারী - বছরে দু-দুটো পাশ পেতেন আর আমরা পুজোর ছুটি, শীতের ছুটি দেদার ঘুরে বেড়াতাম এদিক-ওদিক। প্রায়ই প্ল্যান শুরু হতো পুষ্কর লেক দিয়ে, শেষ হতো পাশের পাড়ায় পুরীর বীচে। কখনো আবার হঠাৎ করে দেখতাম একগাদা কিচিরমিচির করা ফ্যামিলি নিয়ে চলেছি পাহাড়ে বা সমুদ্রে। ইস্কুল থেকে কলেজে উঠে তো আরো মজা, ফি বচ্ছর শিক্ষামূলক ভ্রমণ হয়, একজন অসহায় টিচার, আর একগাদা উচ্ছৃঙ্খল জনতা। আমাদের সেই ছোটো আর মাঝারি-বেলার সব গরমের ছুটি যদি একটা আঁতেল আর্ট ফিলিম হয়, তার ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হবে শুধুই কু-ঝিক-ঝিক এবং ফাঁকে ফাঁকে 'চায়ে গ্রম চায়ে'। ... ...
এবার গ্রেফতার কৌস্তভ রায়। সেই সারদা কাণ্ড। কিন্তু এই পোস্ট সারদা ইত্যাদি নিয়ে নয়। গত দু তিন বছর ধরে কলকাতার অডিও ভিস্যুয়াল নিউজ মার্কেট ধরাশায়ী হচ্ছে। ক্রমাগত পতন। এটা ঘটনা যে বাংলা ভাষায় এতো বেশি সংখ্যায় নিউজ চ্যানেল, দর্শকরাও ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছিলেন, কারণ সব চ্যানেলেই খবর একই দেখানো হয়ে থাকে বা থাকত, শুধু নিজেদের ইন্টারপ্রিটেশনে বদল সহ। ইন্টারপ্রিটেশন বললে খুব ভারী টাইপ মনে হয়, আসলে যা হয়ে থাকে, বা থাকত, নিজেদের রাজনৈতিক মতামত, মোটা দাগে। সে যা হোক, প্রথমে, চ্যানেল টেন সহ, বেশ কয়েকটা খবর মাধ্যমে ... ...
ভীষ্ম পর্বপ্রাককথন********************ভীষ্মকে সেনাপতি করেই তো কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরু। তবে শুরুর আগেও কিছু শুরু থাকে। যেমন ভীষ্ম পর্বের আগে উদ্যোগ পর্ব। রাজনৈতিক অবস্থান কেমন ছিলো দুই যুযুধান শিবিরে সে নিয়ে আর বিশদে লিখছি না। তবে খুব গোদা ভাবে লিখতে গেলে সমস্ত পুর্ব, উত্তর,আর উত্তর পশ্চিম ভারত ছিলো কৌরব পক্ষে। আর মোটামুটি ভাবে মধ্য আর পশ্চিম ভারত ছিলো পান্ডব পক্ষে। মহাভারতের যুদ্ধে দক্ষিন ভারতের ভূমিকা খুব গুরুত্বপুর্ণ ছিলো না। এক পান্ড্য রাজ(বর্তমানের মাদুর ... ...
সত্তরের দশকের উত্তর কলকাতার প্রান্তসীমায় তখনো মধ্যবিত্ততার ভরা জোয়ার. পুজোরা সব বারোয়ারি. তবু তখনো পুজোরা কর্পোরেট দুনিয়ার দাক্ষিণ্য পায় নি. পাড়ার লোকের অর্থ সাহায্যেই মা দুর্গা সেজে ওঠেন তখনো. প্যান্ডাল হপিং তখন শুরু হয়ে গেছে. পুজোর সময় তখনই মহঃ আলি পার্কের ঠাকুর বা সঙ্ঘশ্রী , সঙ্ঘমিত্র র ঠাকুর দেখাটা "পুজোয় চাই নতুন জুতো"র মতই মাস্ট. আর আবশ্যিক ছিল পুজোর অজ্ঞলি দেওয়া. অষ্টমীর সকালে নতুন জামা পড়ে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে ঠাকুরের পায়ে ফুল বেলপাতা ছুঁড়ে দেওয়া. মাইকে মন্ত্র বাজছে .... কিন্তু সে শোনার থ ... ...
সুভাষ বসুর মতো সেকুলার দেশপ্রেমিক নেতা ভারতবর্ষ খুব বেশি পায়নি। ... ...
রাতের আকাশে ক্ষণস্থায়ী এক উল্কার মতো বাংলার সমাজে জন্মগ্রহণ করেছিলেন হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও (১৮০৯-৩১), সূত্রপাত করেছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দের প্রথম পাদে এই পরিচিত বাংলাদেশ তথা ভারতবর্ষের মাটিতেই এক বিরাট সম্ভাবনাময় মুক্তবুদ্ধি আন্দোলনের। আর তার ঊর্মিমালা সেদিন সমসাময়িক ঐতিহ্যবাদী ও সনাতনপন্থী চিন্তাধারার মেদ-মেদুর শরীরে প্রবল আঘাত করেছিল। সেই অভিঘাতের কাহিনি স্মরণ করলে এটা খুব বিস্ময়ের যে আমরা একশ বছর যেতে না যেতে তাঁকে প্রায় ভুলেই গেছি। রাম মোহন রায় (১৭৭২-১৮৩৪) বা ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের (১৮২০- ... ...
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় লিজিয়ঁ দ্য-নর পাবার পরে কিছু বিদগ্ধ জনের আলোচনাতে প্রসঙ্গ হিসেবে এনার নামটিও উঠে এসেছে। কারণ ইনি ছিলেন আমাদের সেরিব্রাল ঐতিহ্যের অন্যতম প্রতিনিধি, যাঁর লেখা রবীন্দ্রনাথের পর সবথেকে বেশি ফরাসী ভাষায় অনুবাদ হয়েছে, এবং ইংরেজি ভাষাতে অনুবাদ না হবার দরুন অ্যাংলোসেন্ট্রিক বাঙালী তাঁকে মনে রাখেনি। অথচ তিনিও সৌমিত্র-র মতই ফরাসি সরকারের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। লোকনাথ ভট্টাচার্য্য (1927-2001) ছিলেন সেই বিরল হয়ে আসা সেরিব্রাল ধারাটির প্রতীক, যিনি বাংলা ভাষায় লিট ... ...
কর্ণসংহার***************************কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের ধারাবিবরনী একটা ফরম্যাটেই লেখা হতো। দিনের শেষে সঞ্জয় ,কুরুক্ষেত্রের অনতিদুরে হস্তিনাপুর যেতেন এবং সেখানে হততেজাঃ ধৃতরাষ্ট্রকে যুদ্ধের খবর জানাতেন। প্রথমে একেবারে হেডলাইন (যেমন "ভীষ্মের নিধন হইয়াছে"),তারপরে আরো ছোটো খাটো দুঃসংবাদ। ধৃতরাষ্ট্রের বিলাপ ও সঞ্জয়ের ভরৎসনা তারপর উদগ্রীব মহারাজাকে ডিটেইলসে সব জানানো।এদিনেও (পঞ্চদশ দিনের রাত্রে) তার ব্যাতিক্রম ঘটে নি, " মহামতি সঞ্জয় রজনীযোগে উদ্বিগ্নমনে বায়ুবেগগামীশ ... ...
1সাফাইঃপ্রথমেই সাফাই গেয়ে রাখি রাজনীতি কখনোই আমার কাপের চা ছিল না। আজও নেই। আজ ১০ই ফেব্রুয়ারী ২০১৫ তে আম আদমী পার্টি ধরাশায়ী করেছে কাগজে কলমে তাদের প্রবলতর প্রতিপক্ষকে তখন কিছু বিষয়ের ওপর আলোকপাত করার তাড়না অনুভব করি, সেখান থেকেই এই প্রবন্ধ শুরু।রাজনীতি আমার কাপের চা নয় বলতে আমি বোঝাতে চেয়েছি যে আমি রাজনৈতিক দলের মিছিলে হাঁটিনি, ভোট চাইতে আসা দলের সবাইকেই দেঁতো হাসি দিয়ে আশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যারা রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ ভাবে আছেন বা থাকতে চাইছেন এই লেখার লক্ষ্য তাঁরাই। তাদের বল ... ...
আমার বাবা আজিজ মেহের (৮৬) সেদিন সকালে ঘুমের ভেতর হৃদরোগে মারা গেলেন।সকাল সাড়ে আটটার দিকে (১০ আগস্ট) যখন টেলিফোনে খবরটি পাই, তখন আমি পাতলা আটার রুটি দিয়ে আলু-বরবটি ভাজির নাস্তা খাচ্ছিলাম। মানে রুটি-ভাজি খাওয়া শেষ, রং চায়ে আয়েশ করে চুমুক দিয়ে বাবার কথাই ভাবছিলাম।আজ তাকে কাছেই সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। দুদিন আগে তিনি পর পর তিনবার বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন। ৮৬ বছর বয়সে এই প্রথম তার পা ফস্কে গেল। নইলে এতো বছর ধরে সব কাজ তিনি একাই করেছেন। অস্বাভাবিক প ... ...
“এই এক আশ্চর্য সময়।যখন আশ্চর্য বলে কোন কিছু নেই।যখন নদীতে জল আছে কি না আছেকেউ তা জানে না।পিতামহ, আমি এক আশ্চর্য সময়ে বেঁচে আছি।যখন আকাশে আলো নেই,যখন মাটিতে আলো নেই,যখন সন্দেহ জাগে, যাবতীয় আলোকিত ইচ্ছার উপরেরেখেছে নিষ্ঠুর হাত পৃথিবীর মৌলিক নিষাদ – এই ভয় ।”হ্যাঁ ভয়। আমার সন্ততির জন্য। আমার নিজের জন্য। প্রিয়জনদের জন্য। অপ্রিয়জনদের জন্যও। ভয় ছাড়া আর কী অনুভব করতে বা পারি? যখন আমার চারিদিকে পরিচিত অপরিচিত অসংখ্য মানুষ, বন্ধু-স্বজন সকলকে দেখি এক অদ্ভুত উন্ম ... ...
প্রতিটা জায়গায় বিভিন্ন তথ্য রোমানিয়ান, ইংরেজি আর হিব্রু ভাষায় দেওয়া আছে। একটা বিষয় আমার কাছে খুব ভাল লাগল যে রোমানিয়ানরা গণহত্যার জন্য কোন দলকে, মতাদর্শকে দায়ী করেনি। স্পট লেখা আছে, সারা ইউরোপ জুড়ে যখন ইহুদি নিধন শুরু হয় তখন রোমানিয়ান সরকারও ইহুদি নিধনে যোগ দেয়। ওরা ইচ্ছা করলে নাৎসিদের উপরে কিংবা কোন দলের কথা লিখতে পারত। আমরা জানি সে সময়ের সরকার নাৎসি সমর্থক ধরণের কিছু ছিল বলেই এমন একটা কাজে উৎসাহী হয়েছিল। কিন্তু তা না লিখে সরাসরি লেখটা আমাকে অবাক করেছে এবং মুগ্ধও করেছে। সত্যকে আড়াল করে লাভ নাই। ওরা এভাবে লিখেছে এবং পরবর্তী প্রজন্ম যেন জানে সে কথাও লিখেছে। অন্যদিকে পাকিস্তান আজ পর্যন্ত সত্যটা লিখতে পারেনি। পাঠ্যবইয়ে লেখা ভারত ষড়যন্ত্র করে দুই পাকিস্তান আলদা করেছে! আর পশ্চিম পাকিস্তান দুধে ধোয়া তুলসী পাতা! ... ...
লোপামুদ্রা সরকারভদ্রলোক ব্যস্ত মানুষ। উচ্চপদস্থ। তাঁকে প্ল্যান্টে নিয়ে যেতে কোয়ার্টারের সামনে গাড়ি আসে। তিনি সকালে উঠে, চা খেয়ে, কিঞ্চিৎ স্বাস্থ্যচর্চা করে, ব্রেকফাস্ট সেরে, পোশাক পরিচ্ছদ পরে তৈরি হয়ে প্ল্যান্টের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেন। এই সময় তাঁর হাতে থাকে খবরের কাগজ। হেডলাইনে চোখ বোলাতে বোলাতে তিনি গিন্নির দিকে তাকিয়ে বলেন, “রুমাল টা নিতে ভুলে গেছি , দাও তো”। কণ্ঠস্বরের আদেশের ঝাঁজটি হজম করে গৃহবধূ গিন্নি দোতলায় দৌড়ান। রুমাল নিয়ে নিচে নামতে নামতে পিক-আপ গাড়ি এসে পড়ে। কোনরকমে খবরের ... ...
১।২০১৪ সালের মার্চ। টেক্সাসের অধিবাসী পঞ্চান্ন বছরের এক ব্যক্তি নিজের মেয়ের ঘরে একটি তরুণ যুবককে আবিষ্কার করে গুলি করে মেরে ফেললেন। ছেলেটির নাম জোহরান ম্যাককরমিক। বয়স ১৭। খবরে প্রকাশ, মেয়েটির ভাই মেয়েটির ঘরে শুভরাত্রি বলতে গিয়ে খাটের তলায় দুখানা পা আবিষ্কার করে। বাবাকে খবর দেবার পরে, তিনি মেয়ের কাছে জানতে চান, ছেলেটিকে সে চেনে কিনা। মেয়ে অস্বীকার করে। বাবা প্রথমে পুলিশে ফোন করেন। তারপর ঘরে ঢুকলে ছেলেটি তার হাত নাড়ায় (বিপজ্জনকভাবে)। বাবা ভয় পেয়ে গুলি চালিয়ে দেন। ছেলেটি প্রায় তৎক্ষণাৎ মা ... ...
আমার এক বন্ধু ওর একটা ভিজিটিং কার্ড আমাকে দিয়েছিল। আমি হাতে নেওয়ার সময় কার্ডটা দেখে বুঝতে পারলাম কার্ডটা গতানুগতিক কোন কার্ড না, বেশ দামি বলা চলে। আমি বাহ! বলে কাজ শেষ করে দিলাম। আমি আমার বন্ধুকে চিনি, ওর কার্ডের প্রতি এরচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখালে ও আমার মাথা নষ্ট করে দিবে এই কার্ডের আলাপ করেই। যা একশ তা হয়ত দু হাজার বলে বসে থাকবে। কিছু না বললেও হয়ত এই প্যাঁচাল আমাকে শুনতে হতে পারে, তাই আমি চুপ। কিন্তু আমি চুপ করলেও আমার পাশের জনের আর তর সইল না, জিজ্ঞাস করে বসল, দারুণ তো কার্ডটা, কত করে হাজার এই কার ... ...