মৌসুমী বিলকিসমেয়েরা হাসছে। মেয়েরা কলকল করে কথা বলছে। মেয়েরা গায়ে গা ঘেঁষটে বসে আছে। তাদের গায়ে লেপ্টে আছে নিজস্ব শিশুরা, মেয়ে ও ছেলে শিশুরা। ওরা সবার কথা গিলছে, বুঝে বা না বুঝে। অপেক্ষাকৃত বড় শিশুরা কথা বলছে মাঝে মাঝে। ওদের এখন কাজ শেষ। ওদের এখন আড্ডা দেওয়ার সময়। সূর্য এখন ডুবু ডুবু। কয়েকজন মেয়ে আদিগন্ত মাঠের দিকেও তাকিয়েছে। আখার মধ্যে কাঠের আগুন ফিকে হয়ে যায় যেমন, আকাশটাকে তেমনই মনে হয়েছে কারো কারো। আ! কেমন জ্বলছে কিন্তু তাপ উত্তাপ নেই। মেয়েরাও কেমন আগুন পেতেছে। এক চিলতে মাটির বারান্ ... ...
এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত স্কুলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তৈরি হয় শ্যামবাজারে লিভারপুল স্কুল, এন্টালিতে সালেম স্কুল, চিৎপুরে বার্মিংহাম স্কুল ( ১৮২২ জানুয়ারি ) , কাশীপুরের গ্লাসগো স্কুল ( ১৮২২ ডিসেম্বর) , মেজ পন্ড স্কুল ( ১৮২৩ জানুয়ারি), ব্রডমীড স্কুল( ১৮২৩ অক্টোবর) ইত্যাদি। স্কুলের নাম পৃষ্ঠপোষকদের বাসস্থান অনুসারে। ১৮২৩ সালের রিপোর্টে পাওয়া যায়, সাতটি স্কুল আর সব মিলিয়ে ১৬০ জন ছাত্রীর দায়িত্বে ছিল সোসাইটি। পড়তে শেখা, লিখতে শেখার পাশাপাশি অভিভাবকদের অনুরোধে সেলাই শেখানোও শুরু হয়। প্রথম থেকেই রাজা রাধাকান্ত দেব প্রমুখেরা এই প্রয়াসের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন । রাজার অনুপ্রেরণায় গৌরমোহন বিদ্যালঙ্কার লিখলেন স্ত্রীশিক্ষাবিধায়ক, নারী শিক্ষার গুণ গেয়ে। ১৮২২ সালে সকলের সামনে দেশি ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষা নেওয়া হল। মেয়েদের বই পড়ে শোনানো আর বানানজ্ঞান দেখে রাজা রাধাকান্ত দেব এবং আরও উপস্থিত মান্যগণ্যরা খুব খুশিও হলেন। ... ...
১ আমি চারপাশ থেকে জড়ো করি চুল দড়িদাড়া ভিটভিটে আলো জ্বলা সন্ধে লাল ঝুটি চাওয়া পাখিরূপ দীর্ঘসুত্রতা। নিজের কাছ থেকে নিভে যেতে চাই আমি অনেক দূর থেকে মেল ট্রেনখানি আসে মাঝে মাঝে আমাদের কাছে, জানো? এমনিতে ঘাসফড়িং দেখি আমি ওড়াউড়ি করে। কখনো কখনো অন্য পোকামাকড় দেখে ভাবি এরাও ঘাসফড়িং হতে পারত। আমি দেখি সরু সরু নীল সুতো কখনো আড়াআড়ি কখনো বা লম্বালম্বি ভাবে সরে সরে যায়। বাক্স বাক্স ঘরে বাক্স জমা হতে হতে মানুষজন মহানন্দে বাক্স রহস্যের সিনেমা দেখে ফেলে। আমি সিনেমাটা দেখি না তবে নিজের বাক্স নজরে ... ...
বিস্থাপন ও আদিবাসীদের স্বাস্থ্যযেসব কারণে মানুষ নিজের বাসভূমি থেকে উৎখাত হন, সেগুলো হল শিল্পোদ্যোগ, বাঁধ, রাস্তা, খনি, বিদ্যুৎ প্রকল্প, নতুন নতুন শহর, ইত্যাদি। উন্নয়নের নামে ১৯৫৫ থেকে ১৯৯০ সময়কালে আমাদের দেশে বিস্থাপিত হয়েছেন প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ। ২০০৭-এর হিসেবে সে সময়ে মোট বিস্থাপিতের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ১৩ লক্ষ অর্থাৎ ’৫৫-’৯০ এই ৩৫ বছরে যতজন বিস্থাপিত ছিলেন তার চেয়ে বেশী বিস্থাপিত ২০০৭-এ। এই ২ কোটি ১৩ লক্ষ বিস্থাপিতের মধ্যে বাঁধের জন্য বিস্থাপিত ১ কোটি ৬৪ লক্ষ, খনির জন ... ...
কাল অনেক রাত পর্যন্ত ঘুম আসছিল না। ফেসবুকে ছিলাম অনেকক্ষন।তারপর মোবাইলে এফ এম এ পুরনো দিনের বাঙলা গান শুনছিলাম। একটি গান অনেক অনেকদিন পর শুনলাম। আমার মায়ের খুব প্রিয় গান সেটি। দ্বীপের নাম টিয়ারঙ ছবির গান। " সাত সাগরে পাড়ি দিয়া তরে নিয়া যাই / আমি চাঁন্দেরই সাম্পান যদি পাই। শ্যামল মিত্র গেয়েছিলেন। আহা কি সুন্দর গান! কি কন্ঠস্বর ছিল শ্যামল মিত্রের! শুনেছি সবকটি অক্টেভে অনায়াসে বিচরন করতো তার গলা। এক আশ্চর্য মাদকতা ছিল তার কন্ঠে। পাঠক, এই গানটির " যদি পাই" অংশটি বার বার শুনুন।আমি হলফ করে বলতে পারি, ... ...
বড়ি দেওয়ার কথা বলছি। এ রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলা মেদিনীপুর। অধুনা পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলাতে ঘরে ঘরে বড়ি দেওয়ার চল। বড়ির ডালের অনেক রকমফের। সে সব আপনারা আমার চেয়ে বহুগুণ বেশি জানেন। আপনাদের সঙ্গে সে ব্যাপারে পাঙ্গা নিতে গেলে আমি ভির্মি খাব। আমি অন্য কথা বলি বরং। শীত এল তো ঘরে ঘরে উসখুস মা কাকিমা জ্যেঠিমাদের মধ্যে। কেউ শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলেন। ... ...
জোলো বাতাসে কুয়াশার ঘেরাটোপকে আমার বাপের বাড়ির মশারির মতো লাগছিল, এই পথঘাট ফলত স্বপ্নের এবং অবাস্তব - মানুষজন যেন জোব্বা পরা মরুবাসী অথবা মেরুপ্রদেশের; কুয়াশার সর ক্রমশ এমন ঘন আর রহস্যময় হয়ে উঠছিল যে চেনা পাড়াকে অজানা দ্বীপ বোধ হচ্ছিল - কুয়াশা ফুঁড়ে যে কোনো মুহূর্তেই বেরিয়ে আসতে পারে প্রকাণ্ড কাছিম অথবা ক্ষুদে পেঙ্গুইনের দল, অ্যালবাট্রসের পাখার ঝাপট লাগতে পারে গায়ে। ... ...
শুধু প্রতিরক্ষাই নয়, নন্দরাজারা সেচ ব্যবস্থার জন্যেও বহু ক্যানাল এবং জলাধার নির্মাণ করিয়েছিলেন। রাজ্যের সমস্ত ভূমি এবং ভূসম্পদ ও জলসম্পদের অধিকারী যে রাষ্ট্র এবং সেই যাবতীয় সম্পদই যে করযোগ্য ভারতবর্ষে সে ধারণারও প্রথম প্রবর্তন করেছিলেন নন্দরাজারাই। ... ...
সারাদিনই বৃষ্টি ছিল, যেমন সংকল্প, ক্ষুদিরাম মেট্রোয় নেমে মালুর বাড়ি ভিজে-টিজে প্রকাশ্য দিবালোকে চেয়ারে গুছিয়ে বসি। ১৯৩৬ সালের সচিত্র শিশিরের একটি জাব্দা কালেকশন কোলের উপর নিয়ে শুরু করি দিন। পাতায় পাতায় ছবি। উল্টিয়ে দেখি, বোঝার চেস্টা করি কীটকাটিং এর আগে কেমন ছিল চেহারা। পুরোটা বুঝতে পারছিল না কেউই, বোঝার চেস্টাও খুব একটা করছিলাম না এটাও ঠিক। প্রসঙ্গ বদলাতে তার উপর মালুকে আমি উচ্চগ্রামে বই বাঁধানো নিয়ে জ্ঞান দিতে থাকি। চামড়া রেক্সিন, সেলাই ফোঁড় ইত্যাদি। মালুও দুই চারজন বাইন্ডারের লিঙ্কেডিং প্রোফা ... ...
আমাদের শনিদেব তুল্য এ এক স্প্যানিশ দেবী - ঘোর কৃষ্ণবর্ণা, লোল বক্ষ,বীভৎস উজ্জ্বল চক্ষু - লা সান্তা মুয়ের্তো। শনির দৃষ্টিতে সব ছারেখারে যায়, আবার সুনজরে সর্বসুখ। লা সান্তা মুয়ের্রতোর সামনে নরবলি দেওয়া হয়, সদ্যচ্ছিন্ন রক্তমাখা আঙুল খেতে বাধ্য করা হয় গ্যাবিনো ইগলেসিয়াসের সাড়া জাগানো উপন্যাস জিরো সেইন্টসের নায়ক ফার্নান্দোকে।কিন্তু এই দেবীর বরাভয় প্রাপ্ত হয় প্রান্তিকতম মানুষজন, গরীবগুর্বো, অসহায় দিন আনি দিন খাই মুটেমজুররা। যতো ছোটখাটো ড্রাগ পেডলার, দোকানী, মুটে মজুর, তাদের সকলের আশ্রয় দেব ... ...
আমার দুই সন্তানেরই জীবন শুরু হয়েছিল দুটি নিজস্ব অমূল্য সম্পদের মালিক হিসেবে। মেয়েকে তার বড়দিদা, মানে আমার জ্যেঠিমা দিয়েছিলেন আর ছেলেকে দিয়েছিলেন আমার মা। মূল্যের বিচারে তারা তুচ্ছ হলেও আমাদের কাছে তারা অমূল্য। দুটি কাঁথা। রঙিন সুতোর সঙ্গে ভালবাসার বুননে তৈরী দুটি অসাধারণ বস্ত্র খন্ড। নিতান্তই তুচ্ছ, পুরোন কাপড়ের টুকরো দিয়ে তৈরী..... তবু সামান্যকে যেন যাদুস্পর্শে অসামান্য করে তোলা হয়েছে।মেয়েলি শিল্প। ঠিক যে টানে শিকেয় কড়ি গেঁথে সাজিয়ে তোলা হত, সেই একই টানে কাঁথা সেলাই। কাপড় গুলো কোনক্রম ... ...
খ্রীষ্টপূর্ব দেড় হাজার বছর আগে থেকে খ্রীষ্টের জন্মের পরে প্রায় আরো এক হাজার বছর পর্যন্ত ভারতের লোহা এবং তার বানানোর জ্ঞান-জন্মি একদম স্টেট অব্ দ্যা আর্ট ছিল। অনেক বিষয়ে ভারতে সেই সব পৃথিবীতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল। মিশরের পাবলিক যে সব মন্দির, পিরামিড এই সব বানিয়ে তাতে হেয়ারোগ্লিফিক্স নাকি কি সব দিয়ে ঢেকে দিয়েছিল, সেই সব বানাতে যে যন্ত্রপাতি ইত্যাদি লেগেছিল তা বানাতে নাকি ব্যবহার করা হয়েছিল ভারতীয় ইস্পাত। বলা হয়ে থাকে যে সেই সময়ে ভারত ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোন সভ্যতায় এমন লিখিত প্রমাণ পাওয়া যায় নি যে তারা ভারতের মতন এত উন্নত মানের ইস্পাত তৈরী করতে পারত। সেই সময়কার গ্রীক এবং ল্যাটিন লেখা লিখি পড়লে এটা বোঝা যায় যে এই লোহা-ইস্পাত ইত্যাদির ডিটেলস্ সম্পর্কে তারা বেশ অজ্ঞই ছিল। অবশ্যই তারা জানত কি ভাবে লোহা-ইস্পাত ব্যবহার করতে হয়, কিন্তু কি ভাবে লৌহ আকরিক থেকে লোহা নিষ্কাষণ করে তার থেকে ইস্পাত ইত্যাদি বানাতে হয় সেই সম্পর্কে তারা তেমন কিছু জানত না। ... ...
ট্রান্সজন্ডার কমিউনিটি মোদী আমলে পাশ করা বিল নিয়ে এমনিতেই মহা খাপ্পা হয়ে আছে। কারণ নালসা জাজমেন্ট যা একজন রূপান্তরকামীর নিজের শরীর সম্বন্ধে শেষ কথা বলার অধিকার রূপান্তরকামীকেই দেয়, তার বিরুদ্ধে কথা বলে এই বিল, যাকে দ্রুত পাশ ক'রে আইনে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এক তো বিল পাশ করার সময় এই কমিউনিটির মানুষজনকে ডাকা হয়নি, এক্ট হবার পর জানা গেল তাদের জেন্ডার কী সেটা ঠিক করে দেবে নাকি সরকারি স্ক্রিনিং কমিটি। পিংকি প্রামাণিকের কেসটা আমরা কি ভুলে গেছি ? তার হেনস্থা, পুলিশ হেফাজতে তার 'অন্যরকম' শরীরের ... ...
হ্যালোউইন চলে গেল। আমাদের বাড়িতে হ্যালোউইনের রীতি হল মেয়েরা বন্ধুদের সঙ্গে ট্রিক-অর-ট্রিট করতে বেরোয় দল বেঁধে। পেছনে পেছনে চলে মায়েদের দল। আর আমি বাড়িতে থাকি ক্যান্ডি বিতরণ করব বলে। মুহূর্মুহূ কলিং বেল বাজে, আমি হাসি-হাসি মুখে ক্যান্ডির গামলা নিয়ে দরজা খুলি। নানা সাইজের বাচ্চা। তাদের ক্যান্ডি দিই। দেখেছি আমি নিজের হাতে না দিয়ে বাচ্চাদের গামলা থেকে ক্যান্ডি তুলে নিতে বললে তারা বেশি খুশি হয়। খুব ছোট মেয়েদের পরী সাজার চল বেশি। ছেলেদের মধ্যে ব্যাটম্যান-সুপারম্যান। একটু বড় হলেই ভ্যাম্পায়ার, ব্যাটম্যা ... ...
প্রাককথনযেমন আর পাঁচটা বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে হয়, কোথায় যাওয়া হবে, তারিখ, ফেরা কবে, কতদূর যাব এইসব টালবাহানা চলে, এবারেও ঠিক তাই ছিল। তা, সেই পর্ব মিটে যায় ভালোয় ভালোয়। আরও একটা বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা যেমন থাকে, তবু তার বাইরেও অনেকটা অনিশ্চয়তা থাকে, সংশয় থাকে, বিশেষত যে ব্যাপারটার একেবারে তল পর্যন্ত দেখে সে তো প্রায় হাঁড়িকাঠে মাথা দিয়ে বসে। কাজেই, পরিকল্পিত জায়গাগুলোর বুকিং আর রেল টিকিটের মাঝখানের সময়টা ঝড়ের আগের শান্তি।যাত্রা শুরুর কিছুদিন আগে ফের গা-ঝাড়া দিয়ে ব ... ...
রান্নাঘর পর্ব:ডিসেম্বরের চার তারিখ কলকাতা ছেড়েছিলাম , সেদিন উষ্ণতা ছিলো ২৭ ডিগ্রী, রৌদ্র করোজ্জ্বল একটা দিন। ফ্র্যাঙ্কফুর্টে নামলাম -২ ডিগ্রীতে। আগের দিনই প্রবল তুষারপাত হয়েছে।এক ধাক্কায় মাইনাসে... ২৭ থেকে -২ এর পার্থক্য -২৯ ডিগ্রী, যাকে বলে থার্মাল শক। ফ্রাঙ্কফুর্ট এয়ারপোর্ট মাটির উপরে...নীচে রেল স্টেশন। শীত তাপ নিয়ন্ত্রিত থাকার কারণে বুঝতেও পারিনি বাইরের অবস্থা!Mainz hauptbahnhof এ নামা মাত্রই জমে গেলাম! প্রধান ট্রেন স্টেশনকে এরা hauptbahnhof বলে। জার্মানরা বড্ডো জটিল ... ...
রাজসভায় সম্রাট ষোড়শ লুই (১৭৫৪-১৭৯৩)-এর বসার জায়গাটা আসলে ছিল টু-ইন-ওয়ান – একাধারে সিংহাসন এবং কমোড। হ্যাঁ, যা পড়লেন ঠিক তাই। এই তথ্য সরবরাহ করেছিল সুলভ ইন্টারন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ টয়লেটস, দিল্লির পালাম এলাকায়। সেখানকার গাইড মহোদয় আমায় আর তথাকে জানিয়েছিলেন মহারাজ আহার করিতেন নিভৃতে, কিন্তু ইয়ে মানে পেট খালি করতেন প্রকাশ্যে – প্রমাণ হিসেবে রয়েছে তাঁর সিংহাসন যার রেপ্লিকা রাখা আছে ওই মিউজিয়ামে। ... ...
হল্যান্ড ওরফে নেদারল্যান্ডস এমন একটা দেশ যেখানে আবহাওয়া কখন ভালো হবে বা কখন চনমনে রোদ উঠবে, সেকথা ভেবে বসে থাকলে কোথাও ঘোরাই যাবে না। মানে রোদ-ঝলমল সকাল দেখে বেরিয়েও দশ মিনিটের মধ্যে বৃষ্টি এসে আপনাকে ভিজিয়ে দিতে পারে। হাওয়া তো আছেই সে-কথা আর আলাদা করে বলার নয়, তাপমাত্রা সব সময়েই পাঁচ ডিগ্রী কমিয়ে ধরতে হবে। প্রথম শনিবারটা সকালে উঠে ভেবে রাখলাম শহরের বাইরে কোথাও হাওয়া কল বা ট্র্যাডিশনাল উইন্ডমিল দেখতে যাব। সেইমত, চটপট প্রাতঃরাশ সেরে বেরিয়ে পড়লাম। এয়ারপোর্ট থেকে স্প্রিন্টার ধরে যাব স্লটারডিক, তারপর সেখান থেকে আবার অন্য এক স্প্রিন্টারে যাব 'জানডাইক - জ্যানসে স্ক্যানস' - হ্যাঁ স্টেশনের নাম ঠিক সেটাই। পুরো যাত্রাটাই একটা রিটার্ন টিকিটে সারা হয়ে যায়। জ্যানসে স্ক্যানস আদতে একটি গ্রামের গন্ধ-মাখা মফঃস্বল (কান্ট্রি-সাইড বলা চলে)। ... ...
গণতন্ত্রের ওপর আস্থাটা আরেকবার ঝালিয়ে নিন। ছত্তিসগড়ে শহীদ হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং প্রধান চিকিৎসক ডঃ শৈবাল জানা আপাতত গরাদের পেছনে। এইধরনের লোকগুলোকে যদি গারদের বাইরেই রেখে দেওয়া হবে, তবে জনগণের টাকার শ্রাদ্ধ করে জেলখানাগুলো বানানো কেন? যেসব গোঁয়ারগোবিন্দগুলো দেখতেই পাচ্ছে না যে আমরা এখন ভারতনির্মাণ করছি, আর তাতে অংশও নিচ্ছে না, তারা খামোখা গারদের বাইরে থাকবেই বা কেন? অবিশ্যি আমাদের মতো সুনাগরিকদের এতে চাপ নেওয়ার কোনও দরকার নেই। এই ভারতনির্মাণের সাথে স্লোগান দেওয়া বা র ... ...
একজোড়া চোখ!একজোড়া চোখ নিয়ে এখন তল্লাট সরগরম! শুধু চোখ নয়, রীতিমত অসভ্য চোখ!এই তো, কয়েকদিন আগেকার ঘটনা। মিত্তিরবাড়ির মায়াদিদি একেবারে বিদ্যা বালানের মত লাল গামছা পরে উ-লা-লা, উ-লা-লা করে গান গাইতে গাইতে ছান-টান করছিল। আর বেবো—স্টাইলে হেসে হেসে সাবান মাখছিল। এটাই এখনকার নিয়ম। সাবান মেখে ‘কি জিনিস বানিয়েছ গুরু’ হতে হলে সাবান কে সাবান নয়, এক টুকরো হৃত্বিক রোশন ভাবতে হবে! অতঃপর সাবানটাকে নিজের গায়ে না ঘষে সাবানের গায়ে লুটোপুটি খেতে হবে। তবেই ‘ফস্সা’ হওয়া যাবে!যথারীতি মায়াদিদিও সেটাই ক ... ...