কিন্তু চকোলেটের ‘আধুনিক’ যুগের সূচনা বলতে গেলে ১৮২৮ সালের পর। যখন কর্মাশিয়াল ভাবে চকোলেটের আরো বেশী করে উৎপাদন শুরু হল। এর এইখানেই ডাচ্-দের অবদান। কোয়েনার্ড ভ্যান হুটেন নামে এক ডাচ্ কেমিষ্ট উদভাবন করে ফেলল কোকো জগতে যুগান্ত কারী এক জিনিস। তিনি উদভাবন করলেন এক হাইড্রোলিক প্রেস যার মাধ্যমে প্রসেস করা কোকো বিনস্ থেকে কোকো বাটার-কে আলাদা করে ফেলা গেল খুব সহজে, আর পরে রইল চকোলেটের/কোকো-র গুঁড়ো। ব্যাস আর পায় কে! কিন্তু ভ্যান হুটেন এতেই থামলেন না, তিনি আরো গবেষণা করে সেই চকোলেটের পাওডারের সাথে ক্ষারক জাতীয় লবণ (অ্যালকালাইন সল্ট) মিশিয়ে এই পাওডার-কে এমন করে তুললেন যে সেই পাওডার এবার খুব সহজেই কোন তরলে মিশে যায়। এই প্রসেসটা তিনি পেটেন্ট করেছিলেন এবং তা কালক্রেমে পরিচিত হয় ‘ডাচিং’ পদ্ধতি নামে। বলতে গেলে এই ডাচিং প্রসেস ছাড়া হয়ত আজকের এই চকোলেট বিপ্লব সম্ভব হত না। ... ...
১৯৬০ এর পর থেকেই লাতিন আমেরিকা জুড়ে চালু হয়েছে, জনপ্রিয় হয়েছে একটা শব্দ –গেভারাইজম। গত পঞ্চাশ বছর জুড়ে,এমনকী এই একুশ শতকেও লাতিন আমেরিকায় এমন কোন বিপ্লবী বা প্রগতিশীল আন্দোলন হয় নি যা এই আর্জেন্টিনিয়-কিউবান চিকিৎসক-বিপ্লবীর দ্বারা অনুপ্রাণিত নয়। মার্কসবাদ বা লেনিনবাদ বা মাও চিন্তাধারার মত গেভারা বাদ/চিন্তাধারা-র মত শব্দ আমাদের এখানে খুব বেশি শোনা না গেলেও লাতিন আমেরিকার নিজস্ব বাস্তবতার কারণেই তা ওখানে বহু উচ্চারিত। জাপাতিস্তা আন্দোলন ‘গেভারিয়ান’ হিসেবে নিজেদের চিহ্নিত করেছিল। কলম্বিয়ায় ‘ই এল এম’ গেভারীয় আদর্শে এখনো গেরিলা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। অবশ্য শুধু গেরিলা যুদ্ধের দিক থেকেই নয়, ভূমিহীন কৃষক সহ সমাজের সব নিপীড়িত শাসিত শোষিতদের লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনেও চে প্রাসঙ্গিক ও অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন। ... ...
প্রায় মাধ্যমিক পর্যন্ত প্রফেশ্যনাল ম্যাসাজের বলতে আমার দৌড় ছিল ওই সিধু জ্যাঠা অবদিই। বাড়ির উঠোনে সেই সকাল থেকে বাড়ি শুদ্ধু পাবলিকের দাড়ি, চুল কাটা চলছে। প্রথমেই বাবার দিয়ে শুরু, বাবা দাড়ি কেটে নিমো ফটকগোড়ায় নারানের চায়ের দোকানে রোজকার প্রাতঃকালীন আড্ডায় চলে গেল। কাকা রবিবার ছূটির দিনে দাড়ি ইত্যাদি কেটে একবার গেল চাষের জমিতে রাউন্ড মারতে, সে রাউন্ড মারা অবশ্য সিম্বলিকই ছিল। কাজের কাজ বলতে কাকা মাঝে মাঝে জমি থেকে গোটা কতক মূলো তুলে এনে বলত, মূলো গুলো খাবার মত হয়ে গ্যাছে, মুড়ি দিয়ে খাব বলে নিয়ে এলা ... ...
ভূমিকাবেশ ক'বছর আগে চেষ্টা করছিলাম উপন্যাস নিয়ে একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে। একটি শারদীয়ায় প্রকাশিত হয়েছিল তখন। বই করার কথা ছিল তাঁদের। সে সামর্থ্য নানা কারণে তাঁদের না থাকায় বই-এর চেহারা আর পায়নি। গুরুর তৃতীয় তরঙ্গ দেখে মনে হল একবার ঝালিয়ে নিই স্মৃতি। সুধীদের মতামতে সমৃদ্ধ হই। পূজো আবার আসছে। এখানের বন্ধুদের পড়া নয় সে জানি। তাই ভরসা করে দিয়ে দিলাম। অন্তত পুরোনো কাসুন্দি ঘাঁটছি বলে গাল খাবো না। ধারাবাহিক করেই দিচ্ছি। ... ...
তারার আলো নাকি স্নিগ্ধ হয়, কাল তাহলে কেন জ্বলে মরল বারো, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আরো সত্তর জন! তবু মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। আজও রাস্তায় পড়ে এক স্বাস্থ্যবান শ্যামলা যুবক, শেষবারের মতো ডানহাতটা একটু নড়ল। কিছু বলতে চাইল কি ? চারপাশ ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকা সশস্ত্র পুলিশের মধ্য থেকে কেউ বলে উঠল, যা ওঠ। আর নাটক করিস না।এই ভিডিও ভাইরাল। ভাইরাল ওটাও, যেখানে মস্ত গাড়ির ছাদের ওপর শুয়ে পুলিশ এসল্ট রাইফেল তাক করছে নিরস্ত্র জনতার ওপর। পেছন থেকে নির্দেশ ভেসে এল, অন্তত একটাকে মারতে হবেই।কল্যাণকাম ... ...
♦ রমজান নিয়ে - ১ ♦সেহেরীর সেকাল---------------------------------------------------------------সেহেরী শব্দটির নিয়ে আমার ভুল ধারণা ছিলো ছোটবেলায়। আমি ভাবতাম শব্দটি বোধহয় ‘শ্রীহরি’। বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়েই শ্রীহরি ভাবতাম। সত্যি বলতে সেহেরী শব্দটি ক্যালেন্ডারসুলভ রমজানের তালিকায় প্রথম যেবার পড়লাম শ্রীহরিটা শুধরে ‘সেহেরী’ হয়ে গেলো। সেদিন খুব বোকা লেগেছিলো নিজেকে।রোজার সময় হাওড়ার গ্রামের বাড়িতে ভোর ভোর উঠে পড়ার ব্যাপার ছিলো। কনকনে শীত হোক বা গরমের দিন মসজিদের মাইকে জালাল চ ... ...
৩.--‘হ্যালো’?--‘হ্যালো। পুঁটিরাম নার্সারী?’ওপ্রান্ত থেকে এমন একটা অদ্ভুত নাম শুনে ব্যায়ামবীর রাবন, তথা বাবন ঘাবড়ে গেল। পুঁটিরাম নার্সারী! এমন নামের কোনও নার্সারী আছে নাকি! সে আমতা আমতা করে বলে—‘না...এটা তো নার্সারী নয়। আপনার বোধহয় ভুল হচ্ছে’।--‘সে কি!’ ওপ্রান্ত থেকে ব্যথিত স্বর ভেসে আসে—‘এমন বলতে পারলেন আপনি? আমার ভুল হচ্ছে না! আপনারই ভুল হচ্ছে’।তার চোখ প্রায় চড়াৎ করে চাঁদিতে উঠে পড়েছে। অনেকটা চোখওয়ালা নারকোলগুলো যেমন হয়, তেমনই চাঁদি ছুঁয়ে পিট্পিট্ করে তাকিয়ে থেকে সে ক ... ...
ঘটি-বাঙাল, মাচা-লোটা, চিঙড়ি-ইলিশ। আজকের বিশ্বায়িত ভুবন-ডাঙায় এই বাইনারি অপোজিসন ঠিক কতোটা প্রাসঙ্গিক তা জানা নেই। বাইনারি শব্দটি মনে এলেই কেমন যেন মনে হয় ‘নারী কর্তৃক’। মানে ‘BY নারী’। সে যাই হোক, না হেঁজিয়ে মূল কথায় আসি। ওই তিনটি বাইনারি অপোজিসন বছরের বাকি দিনগুলোতে কতোটা প্রাসঙ্গিক তা জানা নেই। তবে বছরের তিন চারটে দিন এবং তার আশেপাশের দিনগুলিতে ওই শব্দগুলোই হয়ে ওঠে বাঙালির প্রধান পরিচিতি। ঠিকই ধরেছেন। ফুটবল ডার্বি ম্যাচ কিংবা বড় ম্যাচের দিনগুলোর কথাই বলছি। ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ম্যাচ মান ... ...
ব্রুনাই-এর মত এত বেশী ভূতের আশে পাশে আমি অন্য কোন দেশে থাকি নি। দেশটা ছোট বা চারিদিকে ঘন বন ইত্যাদি আছে কিনা বলতে পারব না, তবে ব্রুনাই-য়ে ভূতের ঘনত্ব অন্যদেশের থেকে অনেক বেশী। নিমো গ্রাম ছাড়ার পর দীর্ঘদিন দেশের বা বিদেশের বড় বড় শহরে বাস করেছি, তেমন ভাবে ভূত নিয়ে ভাবিত হই নি। >ব্রুনাই-য়ে এসে আবার অনেক দিন পরে ভূতেদের সাথে মেলামেশা শুরু করলাম। এদিকে ঠাকুমার শেখানো বাংলা ভূত তাড়ানো মন্ত্র সব ভুলে গেছি ... ...
মসজিদের বাহিরে গিয়ে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এরা মসজিদকে আমাদের মত পেট মোটা হুজুর পাঁচবার নামাজ পড়াবে আর বাকি সময় মসজিদের সৌন্দর্য বর্ধনে ব্যয় করবে এমন করে রাখে নাই। সুন্দর সবুজ ঘাসের একটা ছোট্ট উদ্যান। শিশুদের জন্য দোলনা, বাস্কেটবল কোর্ট, সবার বসার জন্য সুন্দর করে সাজানো চেয়ার টেবিল! এক পলকেই পুরো ধারনাটা আমার খুব পছন্দ হয়ে গেল! ... ...
এই বোরখা হিজাব নিয়ে নতুন তাণ্ডব ঠিক এখনই কেন? ... ...
পর্ব ১-------( লালগড় সম্প্রতি ফের খবরের শিরোনামে। শবর সম্প্রদায়ের সাতজন মানুষ সেখানে মারা গেছেন। মৃত্যু অনাহারে না রোগে, অপুষ্টিতে না মদের নেশায়, সেসব নিয়ে চাপান-উতোর অব্যাহত। কিন্তু একটি বিষয় নিয়ে বোধ হয় বিতর্কের অবকাশ নেই, প্রান্তিকেরও প্রান্তিক এইসব মানুষজনের বেঁচে-থাকার কিস্যা, খেতে পাওয়া- না পাওয়া, রোগ হওয়া-না হওয়া, রোগ হলে ওষুধ পাওয়া-না পাওয়া,নেশা করা-না করার কাহিনীতে আমাদের, মূলস্রোতের নগরবাসীদের তেমন কিছু এসে যায় না ; আমরা, নাগরিকেরা, প্রান্তের প্রতি,লালগড়-আমলাশোলের প্রতি ঠিক ... ...
দুর্গোপূজো শেষ, বিজয়াদশমীর বিসর্জন সবে শুরু। বিকেল পাঁচটা নাগাদ অন্ধকার ঘনিয়ে আসার সময় দূর থেকে কোথাও অবাঙালী পাড়ায় রাবণ জ্বলছে, বাজি পুড়ছে। তার দূরাগত গুরুগুরু ধ্বনি মিলিয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ঘড়ি ধরে দরজায় কড়া নড়ে উঠত। বাচ্চারা টের পেতাম ঢাকুরিয়া থেকে দুই জোড়া পিসিমা-পিসেমশায়রা এসেছেন! যাঁদের পদবি ছিল মজুমদার, বাঙাল উচ্চারণে মন্দার!দরজা খুলতেই ধোপদুরস্ত ধুতিপাঞ্জাবি পরা বিপুলবপু... ... ...
যা কিছু বাড়তিযা কিছু বাড়তি তাই কি আসলে সুখ! আর না পাওয়াগুলো.... সেগুলো তবে কি দুঃখ! ঠিক সন্ধ্যের আগে আগে একটা পেটকাটি ভাসতে ভাসতে এসে ছাদের কিনারায় পড়ল! এবারে অংক করাতে বসে বিকাশদা সবার সামনে কানটা টেনে এনে দু আঙুলের ফাঁকে পেন্সিল ঢুকিয়ে জোরে চেপে দিল.... আর তার পর সবাইকে লুকিয়ে সায়নি যে ব্যাথায় হাত বুলিয়ে দিল সেটা.....? বাড়িশুদ্ধু লোকের জামাকাপড় বয়ে আনতে ইস্ত্রিখানায় গেলে আর ভাইদা একটা কোঁচকান একশ টাকার নোট হাতে দিয়ে বলল এই নে, প্যান্টের পকেটে ছিল!! শালা মূহুর্তে ভাইদার মুখটা কেমন ... ...
১৯৪৪ এর জুলাই মাসে গান্ধি জিন্নার সঙ্গে আলোচনায় বসবার প্রস্তাব দেন। আলোচনার ভিত্তি হবে রাজাগোপালাচারি-সূত্র ... ...
আজ থেকে মাত্র কয়েকশ’ বছর আগে (১৭৫৬-৫৭ সি.ই.), নবাব সিরাজদ্দৌলাকে সরিয়ে ক্লাইভ ও তাঁর অনুগত মিরজাফরকে সিংহাসনে বসাতে বণিক মহতাব চাঁদ ও স্বরূপ চাঁদের (ইতিহাসে যাঁরা “জগৎ শেঠ” (Banker of the World) উপাধিতে বিখ্যাত) ভূমিকা এবং তাঁদের বিপুল অর্থব্যয়ের হিসেব জানলে চমকে উঠতে হয়। অতএব রাজাকে রাজা বানিয়ে তুলতে (king-maker) বণিকসম্প্রদায়ের প্রভাব আজও যেমন আছে, সে সময়েও ছিল – এমন অনুমান করাই যায়। ... ...
বেশ কিছুদিন আগে গুরুচন্ডা৯ সাইটের একটা লেখার সূত্রে আলোচনা হচ্ছিল, সেনাবাহিনীর অত্যাচার নিয়ে আমরা এত কিছু বলি, কিন্তু তারা নিজেরা কী পরিবেশে থাকেন, কী সমস্যার সামনে দাঁড়ান, তা কখনোই তেমনভাবে আলোচিত হয় না। সেনাবাহিনীতে (পুলিশ, বি এস এফ বা বিভিন্ন আধা সেনাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য) মানবাধিকার যেভাবে লঙ্ঘিত হয় তা সম্ভবত: অন্য কোন ক্ষেত্রে হয় না। নিম্নস্তরের সেনাদের প্রায় বাধ্যতাম্যুলকভাবে উর্ধতন অফিসারের ব্যক্তিগত খিদমত খাটতে হয় – যা তাদের চাকরির শর্ত বলেই মেনে নিতে হয়, অথচ কোথাও তাদের নিয়োগপত্রে এর উ ... ...
তেমনই আমরা জানতে পারব না এলেন কেন উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী হলেন। কেন আর দশটা ইউরেশিয়ান মেয়ের মত একটু পড়তে শেখা, একটু সেলাই-ফোঁড়াই , একটু নাচতে শেখা এই যা সব নিয়ে সাধারণ ইউরেশিয়ান মেয়েরা সন্তুষ্ট থাকত,এলেন কেন তার সীমানা ছাড়িয়ে বাইরে তাকাতে চাইলেন? তখনকার সাধারণ চাকুরিজীবি অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান বাড়িতে কি খুব পড়াশোনার চর্চা ছিল, বিশেষত মেয়েদের মধ্যে? ১৮৮২ সালের তথ্য থেকে পাই তার থেকে দেখা যায় যে ইউরোপিয়ান আর ইউরেশিয়ানদের মধ্যে, অন্তত কলকাতায়, প্রাইমারি বিভাগে মেয়েদের ভর্তির হার ছেলেদের প্রায় দ্বিগুণ। খুবই আশ্চর্য তথ্য। তবে মিডল স্কুলে গিয়েই এই অনুপাত উলটে যাচ্ছে। বিভিন্ন আংলো-ইন্ডিয়ান স্মৃতিকথার টুকরো-টাকরা যা হাতে এসেছে, তার থেকে এও ধারণা করা যায় যে ইউরেশিয়ান মেয়েদের অক্ষরজ্ঞান দরকার এই অবধি ঠিক আছে, তবে তার থেকে খুব বেশি শিক্ষার দরকার বলে কেউ ভাবেন নি সেই সময়। ওই প্রাইমারি স্কুলই ঢের। অবশ্য এই জনগোষ্ঠীর ছেলেরাও যে খুব বেশি দূর পড়াশোনা করতেন এমন তো নয়। আলাদা করে শ্রেণিবিভাগ করা থাকত না বলে একদম সঠিক করে বলা শক্ত, তবে এলেন যে বছর এন্ট্রান্স বা এফ এ পাস করেছেন সেই সেই বছরের তার সহপাঠীদের তালিকায় কিন্তু সাহেবি নামের ছাত্রের সংখ্যা নেহাতই হাতে গোণা। ... ...
সুন্দরবনের বাসিন্দা, বছর চল্লিশের এক ভদ্রমহিলা বুকের ব্যথায় ভুগছিলেন। স্থানীয় চিকিৎসকের চিকিৎসায় মন্দ ছিলেননা। তার দুশ্চিন্তাগ্রস্ত পরিবারবর্গ তাদের প্রিয় আত্মীয়ার রোগমুক্তির জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে বেশ কিছুটা সময় নিলো। মিডিয়া আর বিজ্ঞাপনের দৌলতে, আজকাল চিকিৎসা বিষয় উপদেশ কেবলমাত্র পারিবারিক চিকিৎসকের উপর নির্ভরশীল নয়। এঁরা কলকাতায় এলেন। কাগুজে বিজ্ঞাপনে আর রাস্তার মোড়ের হোর্ডিংয়ে রোগমুক্তির মূল্য দেওয়াই থাকে। বিজ্ঞাপনে এঁরা আরও জানতে পারলেন, দেরী মোটেই করা যাবেনা। নিজেদের এই প্র ... ...
"নাচতে না জানলে তো উঠান ব্যাঁকাই বলবে।" "না,না। তা নয়। কিন্তু এইসব টুলস ফুলস গুলো ভালো হলে রাঁধবার যে আনন্দ সেটা আরো জমে", আমি রমাকে বলি,"দ্যাখো না, ভালো সবজি বা মাছ হলে রান্না এম্নিতেই খুলে যায় । তারপর বাসোন কোসোন ছুরি কাঁচি - এগুলোও ঠিক হলে মজাটাই ইয়ে হয়"। রমার কোনো উৎসাহ নেই রান্নায়। একবার বলেছিল "এ সব ফালতু কথা, তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি। মনে নেই?" আমি তাও তর্ক করি"আরে, পেইন্টিংএও তো দরকার ভালো তুলি,ভালো রং, ঠিক ঠাক ক্যানভাস।"রমা মনে করিয়ে দেয় "আর এটাও তুমি বলেছিলে, আমার ... ...