আমরা গত এক বছরে জেনেছি যে কোভিড শুধু থুতু শ্লেষ্মা কফ ইত্যাদির বড় কণা থেকেই ছড়ায় না, সে অতি সূক্ষ্ম কণাবাহিত হয়ে বাতাসে বিশেষ করে বদ্ধ ঘরে, প্রায় কিছু না হলেও ঘন্টাতিনেক কাটিয়ে দেয়। ওই সময়ের মধ্যে সে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে, এবং সেই ব্যক্তি যদি ভ্যাকসিনের মাধ্যমে বা পুরনো ইনফেকশনের প্রভাবে ইমিউন থাকেন তাহলে এক কথা, না হলে মানুষটি কোভিড পজিটিভ হবেন। অতএব বদ্ধ ঘর, ভিড় ঠাসা ঘর, যেখানে ঠিকমতন ভেন্টিলেশনের অভাব, জানলা দরজা বন্ধ, সেই রকম একটি জায়গায় কোভিড আক্রান্ত কোন মানুষ মাস্ক না পরে যদি চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে কথা বলেন, ঝেড়ে কাশেন, তাহলে তাঁর চারপাশের অনেকেই আক্রান্ত হবেন, ও শুধু তাঁরাই নন, কোভিড যেহেতু ঘরে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুদ্র কণাবাহিত হয়ে অবস্থান করতে পারে, সেই জন্য অন্যেরাও আক্রান্ত হবেন। এই ধরণের ঘটনাক্রম ও মানুষজনকে পরিভাষায় হাইপারস্প্রেডার বলে অভিহিত করা হয়। মূলত এঁদের মাধ্যমেই কোভিড দ্রুত ছড়ায়, কাজেই যে ভাবেই হোক, এই সুপারস্প্রেড ঘটনাগুলোকে যদি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তাহলে কোভিড নিয়ন্ত্রণ করা খুব সমস্যার নয়। এই নিয়ে এবারের আলোচনা। ... ...
আঁতুরঘরের শিউলি সংখ্যায় প্রকাশিত এই গল্পটি রইল আজ ঃদি গ্ল্যামার অফ বিজনেস ট্রাভেল সুইডেনে সুজি#############পিওন রবি এসে টেবিলে এপ্রুভাল এর কাগজ টা রাখতেই দিল টা খুশ খুশ হয়ে গ্যালো। ভিপি সাহেবের সই করা নোট। সুইডেনে ভলভোর ফ্যাক্টরি দেখতে যাওয়ার সাত দিনের অনুমতি সহ।কর্ণাটক এর হোসাকোটে তে ভলভো ট্রাক এর নতুন ফ্যাক্টরি হচ্ছে। সেখানে ট্রাক পেইন্ট শপ তৈরি করার অর্ডার টা ধরেছি মাস খানেক হল। ভলভোর দিক থেকে সমস্ত প্রযুক্তিগত কাজ কর্ম দেখছেন ভলভো সুইডেন থেক ... ...
হারান যেন এল হড়পা বানের মত। আগল ছিঁড়ে। বাঁধন উপড়ে। রসিক ভেসে গেল সে বানের জলে! বিজলিকে হারান কেশবতী নাচনির গল্প বলে। অত যে বিখ্যাত রসিক বাউরীবন্ধু মাহাত, তাকে ছেড়ে, তার দলকে ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল না কেশবতী। তবে? বার বার শুনে শুনে মনে বল আসে। তারপর একদিন দুজন মিলে বাসে চেপে কাশীপুর টাউন। পিছনে পড়ে রইল রসিকের পুঁজি হারানোর হাহাকার, আঙ্গুল মটকানি, অভিশাপ। ... ...
অই ননচ্যালান্স! বাংলার আদি ইমোশন। গনেশ জননী হোক বা সতীর দেহত্যাগ বা বটতলার হত্যাকাণ্ডের গপ্প -- পটের মুখাবয়ব জুড়ে সেই টানা টানা চোখ, শরীরে মন্থর রেখার আনাগোনা। যেন অবাক চোখে শুধু দেখে যাওয়া। তাতে ক্রোধ - দুঃখ - ভয় কিছুরই আধিক্য নেই। যেন সব চোখই শিশুর চোখ। তার সামনে কখনো দাদুর বুড়ো আঙুল কেটে নিয়ে যায় নেংটি ইঁদূর, কখনো ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হয়ে চিরঘুমের দেশে পাড়ি দেয় হাতির পাল, কখনো বা পুষি বেড়ালকে গিলে খায় পাড়ার হুমদো কুকুর। ... ...
ঘনাদা থুড়ি বেণুদা তখন বলছেন রিঙ্কুর সাথে তাঁর প্রেমের গল্প। ‘বুzলেন আমি তো মুসলমান আর ও হিন্দু, তা রেজেস্ট্রি করেসি, হিন্দুমতে আর মুসলমান মতেও বিয়ে করেসি। তিনবার বিয়ে করেসি। তা হিন্দু বিয়ায় জিগ্যাস করে গোত্র কী? আমি বলে দিসি হিমু গোত্র। পুরুতেও বিয়া পড়ায় দিসে।‘ ... ...
কেবল সিরিয়া ইরাক আফঘানিস্তান নয়, আপন দেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণে উৎপীড়িত অন্য অনেক দেশের মানুষজন ব্রিটেনে আশ্রয়ের আবেদন জানিয়েছেন। এঁদের মধ্যে কিছু এসেছেন এল সালভাদোর থেকে। বিগত তিরিশ বছর যাবত সেদেশে চলেছে গ্যাং ওয়ারফেয়ার, বিভিন্ন দলের মধ্যে সশস্ত্র লড়াই। শাসন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। সে দেশের সঙ্গিন আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সালভাদোরিয়ান শরণার্থীদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেবার কথা ব্রিটিশ সরকার বিবেচনা করছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের বসবাসের ব্যবস্থা হচ্ছে দেশের নানা জায়গায়। তাঁদের কেস খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। ... ...
ভুললে চলবে না ... ...
২০১৫ সালের সন্ত্রাসবাদী হামলার শিকার হবার পর, ফরাসী দেশের একটি সুবিখ্যাত কার্টুন উৎপাদক পত্রিকা শার্লি হেবদো (নাকি অন্য কোনো উচ্চারণ হবে কে জানে) এখন একটি অতি পরিচিত নাম। এদের অফিসে হামলার পর, আমি, আপনি সহ প্রায় গোটা দুনিয়া হাতে হাত মিলিয়ে মৌলবাদের বিরুদ্ধে এবং বাক-স্বাধীনতার পক্ষে থাকার শপথ নিয়েছিল। ফ্রান্সের নানা শহরে হয়েছিল বিরাট মিছিল। এবং জন্ম হয়েছিল একটি নতুন বাক্যাংশের। Je suis charlie। অর্থাৎ কিনা 'আমিই শার্লি'। ওই ঘটনার পর এই বাক্যাংশটিতে ক্রমশ বাক-স্বাধীনতার এবং সহমর্মিতা জ্ঞাপনের প্রত ... ...
ফার্স্ট ইয়ারে ফাইলের ওপরে লিখেছিলাম "ইউনিভার্সিটি অফ যাদবপুর"। এদিকে প্রতিবাদী বামপন্থী। কিন্তু বিক্ষুব্ধ। মানে কোন দলে নেই। ইন্ডিপেন্ডেন্ট। কী করে যেন তালেগোলে আমি ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ মানে সিআর ক্যান্ডিডেট হয়ে গেলাম। কাগজের ভাষায় ডিএসএফ সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দী এসএফয়াই-এর হয়ে দাঁড়ান আশিস দাস। অসম্ভব ম্যাড়ুম্যাড়ে ব্যাপার-স্যাপার। আমি আর আশিস গাছতলায় বসে কাউন্টার করে সিগারেট খাচ্ছিলাম আর জীবনের সুখ-দুঃখের গল্প করছিলাম। মেন বিল্ডিং-এ ব্যালট গোনা হচ্ছে। আমরা দুজন ... ...
বক্স অফিস চুরমার করে দিতে, জানা ইতিহাসকে ঘেঁটে ঘ করে দিতে, পাঠ্যবই নতুন করে লেখার দাবী তুলে, এপ্রিল ফুলের আগাম শুভেচ্ছা সহ আসছে মননশীল ঋদ্ধ তথ্যচিত্র বামৈস্লামিক। একটুও গ্যারান্টি না দিয়ে দিয়ে একথা নিশ্চিন্তে বলা যায়, যে, গোদারের পর এভাবে রিয়েলিটিকে কেউ পাছা ওল্টাতে বাধ্য করেননি, ফারেনহাইট ৯১১ ছাড়া আর কোনো তথ্যচিত্র এমন নাটকীয় হয়নি, পথের পাঁচা৯র পর আবহসঙ্গীতের এমন প্যাঁচ আর কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি। এ জিনিস দেখলে মানব চোখে সর্ষেফুল দেখবে, মানবীর গায়ে কাঁটা দেবে, শিশুর বাসযোগ্য হয়ে উঠবে পৃথিবী, আর ... ...
মানস চক্রবর্তীকবিতা কি বিনােদনসামগ্রী? তর্ক এ নিয়ে আপাতত নয়। কবিতা কি আদৌ কোনাে সামগ্রী? কোনাে কিছুকে পণ্য হয়ে উঠতে হলেও তার একটা যােগ্যতা দরকার হয়। আজকের দিনে কবিতা সে-অবস্থায় আদৌ আছে কি না সবার আগে স্পষ্ট হওয়া দরকার। কবিতা নামে একটা ব্যাপার আছে, এটুকু সাধারণভাবে স্বীকৃত। স্বীকৃত বলেই নিউইয়র্ক টাইমস-এর গত নভেম্বরের বেস্টসেলার লিস্টে তিন নম্বরে ছিল কানাডার পাঞ্জাবি বংশােদ্ভূত কবি রুপি কউর-এর অক্টোবর ২০১৭-য় প্রকাশিত দ্য সান অ্যান্ড হার ফ্লাওয়ারস কবিতার বইটি। অর্থাৎ, মানুষ কবিত ... ...
একটা অসমাপ্ত নকশা তৈরি হত, বদলেও যেত প্রতিদিন- এই সব হিসেব না মেলা সংখ্যাদের জ্যান্ত দেখাতো- আলাদা রং, আলাদা শেপ- যেন একটা বোর্ড গেমের ঘুঁটি সব- খেলার নিয়ম তৈরি হওয়ার অপেক্ষা করছে; মনে হত, আমাকেই এই গেমের রুল ঠিক করতে হবে- তার আগে নকশাটা চিনে নেওয়া খুব জরুরী । নকশা বা একটা গল্প -স্পাই বলেছিল। ... ...
নিউ ইয়র্কের জেএফকে এয়ারপোর্টে যখন নেবেছি তখন বেলা প্রায় দেড়টা। নাবার কথা ছিল সকাল নটায়। স্যান ফ্র্যান্সিসকো থেকে সোজা নিউ ইয়র্ক। বাজে আবহাওয়ার জন্যে প্লেন ঘুরে এল ডেনভার দিয়ে। ব্যস সাড়ে চার ঘন্টা মায়া। আমরা যাব নায়াগ্রা ফলস। এয়ারপোর্ট থেকে সময় লাগবে সাত ঘন্টা। নটায় নাবলে পথে থেমে-টেমেও ছটার মধ্যে হোটেলে ঢুকে যাবার কথা। হতচ্ছাড়া শীতকাল।অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল শীতের মাঝে একবার নায়াগ্রা ফলস দেখতে যাব। চতুর্দিক সাদা, নায়াগ্রারও অনেক অংশ জমে গেছে, তারই মাঝে সে ঝিরঝিরি বয়ে আচমকা দেড়শো ফুট ঝাঁপ দ ... ...
খুব গরম। দুপুরের ঘুম ডাকাতে নিয়ে গেছে। মনে পড়লো গতকাল অর্থাত্ হারবিষুর দিনে তেতো খাওয়া। আগের দিন বিকেলে আমার বিশালাক্ষী, চোপায় খোপায় সমান ঠাকুরমা আমাকে ভীষ্ম আর হারুকে নিয়ে সরজমিন তদন্তে নেমেছেন,--- গাঙ্গের তলে (চৈত্রের গরমে জল নেমে যাওয়া নদীর ঘাটে) দেখছিলাম রাইজ্যের গিমা শাক, চল্ কয়ডা তুইল্যা আনি। প্রাক্তন ডাকাত জব্বর আলি এখন আজ্ঞাবহ মুনিশ। জব্বর, বাপ্ যাওসেন সতু রুনুরার বাগানো গিয়া কয়ডা বন জামিরের পাতা ছিঁড়া আনসেন। ভীরু চোখে তাকায়, আমতা আমতা করে প্রাক্তন ডাকু, জেডিমা সকালে তিতা ন ... ...
গুরুচণ্ডালীতে একজন লিখেছিলেন হুমায়ুন আহমেদ মৃদু মানুষের ঈশ্বর। উপযুক্ত বিশেষণ। নারায়ণ সান্যালের অবশ্য সেরকম কোনো বিশেষণ নেই। ইনি হুমায়ুনের তুলনায় বেশ খানিকটা কম জনপ্রিয়। সম্ভবতঃ একটি বিশেষ প্রকাশনা গোষ্ঠীর কাছে মাথা নত না করতে পারায় তাঁর লেখার প্রাপ্য প্রচারে অনেকটা খামতি থেকে গেছে। ‘বিশ্বাসঘাতক’ এখনও প্রচুর বিক্রি হয়। কিন্তু ‘আনন্দে’ না থাকতে পারলে ‘টপ টেনে’ টিকে থাকা বড়োই মুশকিল। নারায়ণ সান্যালের অনেকগুলো স্টাইলের মধ্যে একটি অনবদ্য স্টাইল ছিল - যেটা কিছুটা ইতিহাস, কিছুটা কল্পনা। এই স্টাইলটাকে সঠিকভাবে ভাষায় বর্ণনা করা মুশকিল। চেষ্টা করছি। এককথায় বলতে পারেন ইতিহাসের শূন্যস্থান পূরণ। ইতিহাসের বিকৃতি বলবেন না, প্রেম আর যুদ্ধের থেকেও সাহিত্যে গণ্ডি বেঁধে দেয়া আরো বেশি কষ্টকর। এবারের লেখা নারায়ণ সান্যালের সেই স্টাইলে। স্টাইলের নাম? – ওই যে বললাম 'ইতিহাসের শূন্যস্থান পূরণ'। ... ...
সামনের জলে সেই প্রতিফলনের ছবি সুস্পষ্ট! চৌখাম্বা, মন্দানি, সুমেরু, খর্চাকুন্ট আর কেদার – বাকি শৃঙ্গরা ঢাকা পড়েছে ওক, দেওদার, রডোডেনড্রনের বনানীর পেছনে, তার-ও ছায়া জলে। আমাদের দেখাদেখি আরও চার-পাঁচজন পর্যটক এসে জড়ো হন সেই জায়গায়। সকলেই আমরা নিস্তব্ধ প্রকৃতিতে সেই স্নিগ্ধ ভোরের অলৌকিক দৃশ্যটুকু শরীর-মনের অলিন্দে পূর্ণ করে নিতে থাকি। তবু এই পূর্ণতার কি সীমা আছে! না শেষ আছে! “অসীম কালসাগরে ভুবন ভেসে চলেছে। অমৃতভবন কোথা আছে তাহা কে জানে।। হেরো আপন হৃদয়মাঝে ডুবিয়ে, একি শোভা! অমৃতময় দেবতা সতত বিরাজে এই মন্দিরে, এই সুধানিকেতনে।।“ ... ...
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার হেফাজতে ইসলামের একের পর এক মৌলবাদি দাবীর সামনে ক্রমাগত আত্মসমর্পণ করছেন। গোটা উপমহাদেশ জুড়ে ধর্ম ও রাজনীতির সম্পর্ক শুধু তীব্রই হচ্ছে না, তা সংখ্যাগুরু আধিপত্যর দিকে এক বিপজ্জনক বাঁক নিচ্ছে। ভারতে মোদি সরকারের রাষ্ট্র সমর্থিত সংখ্যাগুরু সাম্প্রদায়িকতার নানা বিপজ্জনক প্রবণতা সামনে আসছে। বাংলাদেশে তারই এক অন্য ভয়াবহ সংস্করণ আমরা প্রত্যক্ষ করছি সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনাবলীর মধ্য দিয়ে। শাহবাগ আন্দোলনের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে ২০১৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ব্লগার মুক্তচিন্ ... ...
তখন আমি এফডি ব্লকে মুস্তাফির নেটে খেলতে যাই। আমার নিজের কোন ব্যাট ছিল না। ইংলিশ উইলো আর কোত্থেকে পাব! বাবা কাশ্মীরে কাজে গেছিল। একটা কাশ্মীর উইলোর ব্যাট এনে দিয়েছিল। সে ব্যাটে খেলা হয়নি। আসলে ব্যাটটা একেবারে কাঁচা, কারখানা থেকে কেনা। দেশের সব ভাল ব্যাট কাশ্মীরে তৈরি হয়। সেখান থেকে বম্বে-দিল্লি-কলকাতায় গিয়ে মহাজন কি সাইমন্ডস ব্র্যান্ডে বিক্কিরি হয়। বাবা জানত না যে ব্যাটে তখন অয়েলিং-ও হয়নি। অয়েলিং করে নকিং করে খেলব, এই ছিল বাসনা। সে সব আর করে ওঠা হয়নি। কাজেই একেবারে আনকোরা, নতুন অবস্থাতেই ওটা ছিল। ... ...
এবার এরা পড়েছে টিপু সুলতানের পিছনে। খুব স্বাভাবিক, যাদের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কোনো ইতিহাস নেই, যাদের জন্ম হয়েছিলো সাহেবদের দালালি করার জন্যে, সেই জগৎ শেঠদের রক্ত যারা ধমনীতে বয়ে নিয়ে চলেছে, তারা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করা টিপু সুলতানকে সম্মান করবে তা কল্পনাই করা উচিত না। এরপর বাহাদুর শাহ জাফরকে ধরে টানবে। তারপর আকবর, জাহাঙ্গীর, শাহ জাহান, কুতুবুদ্দিন - একে একে কবর থেকে টেনে বের করা হবে, ক্ষতবিক্ষত করা হবে। অস্বীকার করা হবে ভারতের সুবিশাল ঐতিহ্যকে, মুছে ফেলা হবে ৬০০-৭০০ বছর ... ...