প্রিয় কবিকে নিয়ে লেখা পুরনো কবিতা। ... ...
মফঃস্বলের প্রেমের গল্প - এখনকার সময়ে খুবই কাঁচা এবং অদরকারি, স্মার্ট নয়। মগ্নমৈনাকঅনির্বাণ দত্ত চৌধুরী--(১)মৈনাক আজ অনেক দিন পরে স্কুলের পাড়ায় এসেছেন। প্রায় বছর কুড়ি হয়ে গেল।তখন মৈনাকরা ভাড়া থাকতেন। একটা দোতলা হলুদ রঙচটা বাড়ির একতলায়। এই তো সেদিনকার কথা। টেস্ট দিয়ে হই হই করতে করতে বাড়ি গেলেন। টেস্টের পরে টানা তিনমাস ছুটি। বাড়ি বসে পড়তে হবে। তারপর মাধ্যমিক।তি--ন--মা--স।ভাবা যায়? গরমের সময় একমাস ছুটি ছাড়া স্কুল জীবনে এতোটা টানা ছুটি ... ...
বহুদিন ধরে জনৈক "হরিদাস পাল" হয়ে - "ধর্মাধর্ম" রচনা করেছিলাম এই গুরুচণ্ডা৯-তে - এখন গুরুচণ্ডা৯ প্রকাশন প্রকাশ করেছে "ধর্মাধর্ম" গ্রন্থ - লেখার সময় আপনাদের যেমন সহযোগিতা পেয়েছিলাম, আশা করব এখন গ্রন্থ হিসেবেও এটি একই রকম সাড়া পাবে। ... ...
কেন ক্রেদি সুইস বিক্রি হল তার সম্যক তথ্য খবরের কাগজ, ইন্টারনেট , টেলিভিশনের ডিবেট (যাকে নাকি বলে নুক্কড় বহস বা নেশন ওয়ানটস টু নো) এবং লোকমুখে চেনা শোনা জানা যায়। সেটা আমার আলোচ্য বিষয় নয়। আগের পর্বে বলেছি ক্রেদি সুইসের চারটে মূল কর্মধারা – আপনার আমার চির পরিচিত কমার্শিয়াল ব্যাঙ্কিঙ্গে তারা কখনো লোকসান করে নি, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ও প্রাইভেট ব্যাঙ্কিং লাভ জনক - দুনিয়ার ধনী ব্যক্তিরা তাঁদের টাকা ভরা সুটকেস ৭০ নম্বর পারাদেপ্লাতসে গচ্ছিত রেখেছেন। সুদ পেয়েছেন দবাকে। তাহলে সমস্যাটা কোথা হতে এলো? ব্যাঙ্কের অলিখিত মূলধনের নাম বিশ্বাস – সেটি যদি হারায়, দুনিয়ার কোন ব্যাঙ্ক নিরাপদ নয়। এক সময় রান অন দি ব্যাঙ্ক হতো মুখের কথায়, গুজবে, কথা হয়েছে কানে কানে। আজ সামাজিক মাধ্যমের দ্বারা সেই ব্যাঙ্ক রানের কাজ সুচারু রূপে সাধিত হয় - সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের পঞ্চত্ব প্রাপ্তির কাহিনি সকলে অবগত আছেন। ক্রেদি সুইস তার খদ্দেরের বিশ্বাস কবে হারাল? ব্যাঙ্কের প্রতি আস্থা একদিনে বিনষ্ট হয় না, একটি ঘটনায় হয়তো নয়। ঠিক কি কারণে ক্রেদি সুইস একদিন তার কাছে গচ্ছিত ধন হারাতে শুরু করল তার তালিকা শিগগির কোথাও দেখা যাবে। একদিন তা নিয়ে নিশ্চিত পুস্তক রচনা, এমবিএ ক্লাসে পড়ানো হবে। ইউটিউবে দেখা যাবে ঘণ্টা ব্যাপী ক্লিপ। সে বহু মনিষীর কাজ। ... ...
গঙ্গাপদ একজন সাধারণ নিয়মানুগ মানুষ। ইলেকট্রিকের কাজ করে পেট চালায়। প্রতিদিন সকাল আটটার ক্যানিং লোকাল ধরে কলকাতার দিকে যায়। কাজ সেরে ফিরতে ফিরতে কোনো কোনোদিন দশটা কুড়ির লাস্ট ডাউন ট্রেন। গঙ্গাপদ একটি অতিরিক্ত কাহিনির জন্ম দিয়েছে হঠাৎ করে। ইদানিং গঙ্গাপদ ভয় পাচ্ছে না কোনো কিছুতে। কবে থেকে ঠিক এটা শুরু হয়েছে, সে নিজে তো জানেই না, আমরাও জানি না। এই অতিরিক্ত কাহিনির দরুন গঙ্গাপদ ঠিক বিশিষ্ট কোনো চরিত্র হল বলা যাবে না, কিন্তু গঙ্গাপদ একদিন মার খেয়ে গেল। ... ...
দীপেন ভট্টাচার্য’র লেখা নিয়ে সম্প্রতি গুরু’তে আলোচনা, চালাচালি পড়লাম। তার “মাউন্ট শাস্তা” গল্পটি আমি রিভিউ করেছিলাম, ২০১৬ নাগাদ। বিজ্ঞানী/লেখক দীপেন ভট্টাচার্য কে পড়া হয়েছে অবিশ্বাস্য কম। এটা দুর্ভাগ্য। আর সৌভাগ্য হচ্ছে, এতে দীপেন ভট্টাচার্য দ্বিগুণ স্থিতিশীলতায় নতুন নতুন ফর্মের সন্ধান করার অবকাশ পেয়েছেন, কোন বিপুল, চটুল জনপ্রিয়তার দায়ে একমুখী সফল সন্ধান নিয়ে ব্যস্ত থাকেননি। ... ...
জ্যোৎস্না নামের আলেকিত – সুরভিত সুষমায় মনে হয়েছে বরাভয়দানকারী আনন্দময় এক অস্তিত্ব আমাদের এই মরজগত ছাড়িয়ে ছড়িয়ে আছে হয়তো আকাশে আকাশে। আর গহন অন্ধকারের নিকষে নক্ষত্রখচিত আকাশ ও মাঠঘাটের ভেতর অন্ধকারের কায়ারূপী এক দেবি রয়েছেন বুঝি, যিনি কঠিন, তবে মাটি ফুঁড়ে যেভাবে ফল্গু উৎসারিত, সেভাবেই তার বুক ফুঁড়ে আলোর ঝরণা ঝরে পড়ছে নিরন্তর। ... ...
গদ গদ করে বৃষ্টি হচ্ছে । ব্যালকনির দরজা খোলা ।জল গড়িয়ে ঢুকছে ঘরে । প্রথমে রেখা তারপর একটা সাউথ আমেরিকার ম্যাপ তারপর লম্বা জিবেগজা হয়ে জলগুলো বুকসেলফের দিকে এগিয়ে যায় । একপাটি ওল্টানো জুতোকে ধরে ফ্যালে । পাশে ছাড়া মোজাটা ভিজে গ্যালো । তারপর চিৎ হয়ে পরে থাকা উৎপলকুমার । বইমেলা । শিঞ্জিনী এনে দিয়েছিলো । শিঞ্জিনী পিঙ্ক টপ পরেছিলো । এইতো সেদিনও । ওহ আবার চাপিয়ে দেওয়া হিংসা । না থাক । পারলপেটের জার থেকে মুড়ি নিয়ে মুখে ফেলে তুতুন। মিয়ে গ্যাছে । বৃষ্টি হচ্ছে গদ গদ করে । তেতো লাগে খুব ... ...
একটা দুষ্টু পরিবারের বাড়িতে পুঁটিরা ভাড়া থাকত। নেহাত স্কুল কাছে হবে বলে বাড়িটা বাছা হয়েছিল, নইলে খুবই সাদামাটা ছিল বাড়িটা। ২৭৫ টাকা ভাড়ায় কেজি টুতে ঐ বাড়িতে চলে আসে পুঁটিরা। ও বাড়ির লোকেরা কথায় কথায় নিজেদের মধ্যে বড্ড ঝগড়া করত, যার মধ্যে নাকি খারাপ খারাপ কথাও থাকত অনেক। পুঁটির মা-বাবা তাড়াতাড়ি জানলা, দরজা বন্ধ করে দিতেন তখন, রেডিওতে গান চালিয়ে দিতেন। ওদের দু'বোনের তাই ঝগড়ার স্মৃতি থাকলেও বাজে কথা শেখা হয় নি ওখানে।তবে বাড়িতে আরো তিনটে ছোট ছেলেমেয়ে ছিল, খুব জমিয়ে খেলত ওরা সবাই মিলে। ... ...
আজকাল দেখছি পাখিদের লাফালাফি বেড়ে গেছে চতুর্গুণ। সক্কাল সক্কাল, পাশবালিশটা চেপে ধরে তৃতীয় দফার ঘুম দেবার চেষ্টা করছি প্রাণপন, দেখি জানলায় ঠক্ ঠক্ করে টোকা দিচ্ছে কে যেন। এই লক করে দেওয়া জীবনে কার এত অনুপ্রবেশের উৎসাহ? বাধ্য হয়ে বাঁ চোখটা কোনরকমে খুলে দেখি এক ব্যাটা ছাতার পাখি দিব্যি গা ফুলিয়ে মোটাসোটা হয়ে ঠোঁট দিয়ে ঠুকে চলেছে কাঁচের জানলায়। ... ...
শেষ লাইনে বলা আছে ... ...
রোজিকে পালাতেই হত। চোদ্দ বছরের বিবাহিত জীবনে নর্মান তাকে শুধুই শারিরীক অত্যাচার করেনি। ধর্ষণ করা, কয়েকটা দাঁত ফেলে দেওয়া (যার একটা আবার রোজি গিলেও ফেলেছিল) অথবা কিডনি নষ্ট করে দেওয়া বা একবার লাথি মেরে গর্ভপাতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না নর্মানের অত্যাচার। নর্মান ধীরে ধীরে তাকে এটা বুঝিয়ে দিচ্ছিল যে এটাই রোজির নিয়তি। কারণ সে একটা মেয়ে। তার শক্তি নেই এই অত্যাচার কেটে বেরোবার। এই মানসিক নিষ্ক্রিয়তা পুরোপুরি চেপে বসবার আগেই রোজ ড্যানিয়েলসকে পালাতে হত। নাহলে সে একদিন শরীরে এবং মনে বিকলাংগ হয়ে যেত। ... ...
ডিপ্রেশনসরিৎ চট্টোপাধ্যায় । ললিতা শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ঠিক করল, তারও ডিপ্রেশন হবে। কেন হবে না? রাজাদার গতবছর হয়েছিল। মানসদার বউ মালতীও তো সেবার পুজোর পর বলেছিল, "মাত্র আটটা শাড়িতে কি লোকসমাজে বেরনো যায়! এত ডিপ্রেশন হচ্ছে জানিস? আজ দশদিন ওষুধ খাচ্ছি। মানসের মুখটা দেখলেই ইচ্ছে করছে ডাক ছেড়ে কাঁদি। দেখিস, একদিন ঠিক আমি সুইসাইড করব!"ললিতা অনিকেতকে ফোন করল। : এই শোনো না, আমার খুব ডিপ্রেশন হচ্ছে। : সেকী! কখন? কী করে? : আজ। এক্ষুনি। : আরে কী ... ...
সঙ্গের ছবিটা খুব ভালো করে দেখবেন। আজই তোলা। মে ডের ছবি। তবু মে ডে -র ছবি নয়। আসলে মে ডের দুটো ছবি। প্রথমটা এই।পাতার ফাঁকেফাঁকে দেখুন বিশাল একটা মোটর সাইকেলে অবহেলায় বসে আছে দুই সুপুরুষ শাহেনশা। সামনের চাকার কাছে গড়াগড়ি খাচ্ছে এক মাতাল। আর এপাশের রাস্তা দিয়ে হনহনাচ্ছেন এক শ্রমজীবী মহিলা।খুব প্রতীকী মনে হচ্ছে কি? শাসক শোষিত ইত্যাদির সহাবস্থান এক পরজীবীর মোবাইলে ?ব্যাপারটা তা নয়। নেমিং আর শেমিং কখনো কখনো ঠিক কিনা মনস্থির করে উঠতে পারিনি এখনো, তাই দূর থেকে তুললাম কথা কাটাকাটির পর ... ...
৫ই সেপ্টেম্বর। ট্রেকের আজ দ্বিতীয় দিন। বললে কেউ বিশ্বাস করবে, আমরা আলুর পরোটা উইথ সব্জি & মিক্সড-ফ্রুট-জ্যাম দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে গরম কফিতে তিন-চার রাউন্ড চুমুক মেরে তাপ্পর হাঁটতে শুরু করেছি! মোরওভার, আমাদের প্যাকড্ লাঞ্চে রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মোড়া এগ ফ্রায়েড রাইস! কিন্তু সেটাও বড় কথা নয়। বড় কথা হল, কুত্তার পেটে ঘি সইলে হয়! গতবছরই বোরাসু পাস থেকে নেমে এসে আবার হর-কি-দূন হয়ে বালি পাসের দিকে যাওয়ার পথে আলু ছাড়া আমাদের ব ... ...
মমতা ফেডারেল স্ট্রাকচার নিয়ে উচ্চকিত কিছু কথা বলেছেন। চারটি বাদে অন্যান্য কেন্দ্রীয় দপ্তর থাকার দরকার নেই বলেছেন। অনেকেই শুধু ফেডারালইজম এর এই নয়া ধাঁচাটা সমর্থন করছেন তাই নয়, বঙ্গে মাতরম বলে মমতাকে অগ্নিশ্রাবী বিপ্লবী হিসেবে দেখাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে কয়েকতা কথা বলা আবশ্যক। মার্কিন ধাঁচের ফেডারাল স্ট্রাকচার অনেকটাই এরকম। অর্থ, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, যোগাযোগ কেন্দ্রের, বাকীগুলো মূলত রাজ্যের। দেশজোড়া এ নিয়ে তর্ক বিতর্ক আবশ্যকতা অবশ্যই আছে। কিন্তু এই প্রসঙ্গে এটাও মাথায় রাখার মমতা ৮৪ থেকে ২০১১ একব ... ...
বন্ধুগুলোই জুটেছে সর্বনেশে! বছরে মিনিমাম বারতিনেক পাহাড় বা জঙ্গল। পাড়ার লোকেদের কানাকানি, ওরা না কি বাড়ি ফেরে জামা কাচার জন্যে! শুকিয়ে গেলেই ফের ফুড়ুৎ! পেটের দায়ে নানান শহরে আমি তো নিজেকেই গুঁজে রাখতে ব্যস্ত। অম্বল হাঁপানি ল্যাদচূড়ামণি আমি লোকাল ট্রেনে কোথাও যেতে হলে একসপ্তা ভাবি। তবে হ্যাঁ, হাঁটতে ভালবাসি। খানকতক হাইকিং করা আছে। যা জোটে, খেয়ে ফেলতে পারি। ও, টানা পাঁচদিন হেঁটে অমরনাথ মেরে দিয়েছিলাম বছরদেড়েক আগে। সুতরাং গর্বে আমার বাঙালি-খাঁচা ধকাসপকাস। ২০১২-য় বাপি যেদিন ফোনে বলল, এবারে সুন্দরডোঙ ... ...
পর্দা জুড়ে ফুটে ওঠে পরিত্যক্ত মন্দিরে এক বিশাল রামের মূর্তি। আধুনিক দর্শক আশা করি এই অনুষঙ্গ ভালোই বুঝতে পারবেন। রাম গেরুয়া ধুতি পরে রামের মূর্তি থেকে তীর ধনুক খুলে নেয়। জড়িবুটির ম্যাজিকে তার সমস্ত ক্ষত এতক্ষণে উধাও। সারাংশে রাম আর ভীম, সঙ্গে রয়েল বেঙ্গল বাঘ, কম্পজ্বর ভাল্লুক, চিড়বিড়ে চিতাবাঘ, চোখানাক নেকড়ে, দৌড়বাজ হরিণ, উপজাতির শিকারী ভায়েরা - সিনেমার গল্প জুড়ে সবার মিলিত প্রচেষ্টা বড়লাটের বাড়ি উড়িয়ে দিয়ে সব খারাপ ইংরেজ খতম করে। প্রথম দৃশ্যের নির্মম ফার্স্ট লেডির ময়ূর আঁকা নিথর হাতটি শূন্যে দোলে। কিন্তু এতো শুধু খোলসের বিবরণ। ভাবুক দর্শকের সামনে খুলে যায় বোধের দরজা। আর্য আর ফর্সা ইংরেজের সঙ্গে যুদ্ধ করে ভীম। পাঁচ নিষাদ পুত্রকে তাদের মায়ের সঙ্গে জতুগৃহে পুড়িয়ে মারার গ্লানি ধুয়ে আজ সে নিজেই নিষাদের কন্ঠস্বর, তাদের চেতনার প্রতিভূ। আর আবহ জুড়ে গান বাজে রাঘবম রাজসম। তীরধনু আর অক্ষয় তূনীর হাতে ভীমকে সুরক্ষা দেন রাম। পুলিশ অফিসার রামের অহল্যা মনোভূমি আজ ভারতের ঐতিহ্যধারী রামের স্পর্শে প্রাণ পায়। আজ সে সত্যিকারের শ্রীরামচন্দ্র হয়ে ওঠে। ... ...
তৈরী হয়ে বেরিয়ে পড়া গেল ঘন্টা খানেকের মধ্যেই। রুমের বাইরে পা রাখতেই বোঝা গেল, ইট'স কুল। কুল মানে একেবারে মহাকুল।বিশ্বকুল। বাপ্রে কুল। একে তো ছয় ডিগ্রি, তায় আবার কুয়াশা। কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। কয়েক মিনিটেই জ্যাকেট, সোয়েটার, উলিকটের গেঞ্জি ভেদ করে কাঁপিয়ে দিল একদম। ... ...
দেবযানী ভট্টাচার্য লিখিত কলিকাতার কসবি কিস্সা বইটির আলোচনা। ... ...