এমন বেশ কিছু জায়গা ছিল যা আমাকে স্পর্শ করে গেছে। আমি আরও বেশি কিছু চাইছিলাম। ছবির নাম যখন ডাংকি তখন আমার চাওয়া তো অপরাধ না, তাই না? এই ছবির নাম অনায়াসে 'হার্ডি সিং কী প্রেম' কথা রাখা যাইত, রাখলেই পারতেন, আমিও কোন আগ্রহ দেখাইতাম না। কিন্তু নাম রাখলেন ডাংকি আর ডাংকিই আড়ালে থেকে গেল, এইটা কেমন কথা! ... ...
অনেকেই বলছে এইটা একটা নোংরা কাজ হয়েছে। খাওয়ানো তারপরে আবার ছবি তুলে ছেড়ে দেওয়া, খুব খারাপ কাজ হয়েছে। কোন সন্দেহ নাই, আসলেই ভাল কাজ হয়নি। কিন্তু আপনি কী চিন্তা করে এমন আন্দোলনের মধ্যে ডিবি পুলিশের সাথে খেতে বসে গেলেন? এর উত্তর কে দিবে? অনেকেই বলছে পুলিস হয়ত জোর করে খাইয়েছে! মানে পুলিশের ভয়ে তিনি খেতে বসেছেন। ধরেন এই আন্দোলনটা আওয়ামীলীগ করছে, মতিয়া চৌধুরী বা তোফায়েল আহমেদকে ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এদের কাওকে ডিবি পুলিশ সোনারগাঁ হোটেল থেকে খাবার এনে আপ্যায়ন করে খাওয়াত পারত? অসম্ভব! এখানেই রাজনীতিতে পরিপক্বতার প্রসঙ্গ এসে যায়। যা বিএনপির ক্ষেত্রে পাওয়া মুশকিল। ক্যান্টনমেন্ট থেকে জন্ম নেওয়া একটা দলের ক্ষেত্রে এর চেয়ে ভাল আর কিছু আশা করা যায় না। ... ...
কাজী নজরুল ইসলামের ("বিদ্রোহী কবি") ভাঙার গান শীর্ষক "কারার ঐ লৌহকপাট" গানটিকে সম্প্রতি আল্লারাখা রহমান সাহেব পিপা নামে একটি চলচ্চিত্রে নিজের মতন করে সুর দিয়ে ব্যবহার করেছেন। গানের কথা এক রেখেছেন কিন্তু সুরটি নিজের মতন করে অনেকটা বাংলার লোকসঙ্গীতের আঙ্গিকে (শুনে মনে হল, আমি সুরের সমঝদার নই, পাঠকদের কাছে নিবেদন, যদি ভুল মনে হয়, শুধরে ... ...
কালকের জয় শুধু মেসির শ্রেষ্ঠত্বের জন্য না, আর্জেন্টিনার সমর্থকদের জন্যও জরুরি ছিল। ৩৬ বছর কাপ পায় নাই একটা দল। এমন না যে দলটা উরুগুয়ের মত হারিয়ে যাওয়া দল। ভাল দল কিন্তু কই জানি গড়বড় করে ফেলে কাপ নেওয়া হয়। বিপক্ষের তীব্র বিদ্রূপের জবাবে গলার জোর ছিল প্রধান অস্ত্র। জন্মের পরে কাপ নিতে দেখছস? এই কথার উত্তর কী? আমার নিজের ৯৪ সালের খেলার কথা তেমন মনে নাই, ফাইনালে ব্যাজিও পোস্টের অনেক উঁচু দিয় মেরে ইতালিকে হারিয়ে দিছিল, এইটা ঠিক মনে আছে না পরবর্তীতে সিনেমা ডকুমেন্টারি, ভিডিও দেখে জানি তাও ঠিক মনে নাই। ৯৮ বিশ্বকাপের কথা হালকা পাতালা মনে আছে। পরিষ্কার মনে আছে ২০০২ সালের কথা। পরিবার থেকে বিদ্রোহ করে আমি তখন ইংল্যান্ডের সমর্থক, আমাদের বাড়ির চৌদ্দ গোষ্ঠী ব্রাজিলের সমর্থক! আমি তখনই সবাই যা করে তার থেকে বের হতে চাচ্ছিলাম। আর ছিল ব্যাকহাম নামের এক খেলোয়াড়, যে কারণেই হোক আমি তার মুগ্ধ ভক্ত হয়ে গেলাম। ব্রাজিল সমর্থকেরা সেবারও কাপ জিতার স্বাদ পেয়ে গেল! স্বভাবতই অন্তত আমাদের বয়সই আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা জন্মের পরে কাপ দেখছস প্রশ্নের সম্মুখীন হতে থাকল নিয়ম করে! এখন অবশ্য জন্মের পরে কাপ দেখছস কথা ব্রাজিল সমর্থকদেরও শুনতে হচ্ছে! তবুও আর্জেন্টিনার কষ্টের কাছে কিছুই না। আরও যন্ত্রণা ৩৬ বছর আগের যে কাপ তাও ম্যারাডোনার হাত দিয়ে দেওয়া গোলের কলঙ্ক লেগে আছে। সমর্থকদের জন্য, এমন অন্ধ ভাবে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার জন্য একটা কাপ জেতা খুব জরুরি ছিল। কালকে সমর্থকদের শ্রেষ্ঠ উপহার দিয়ে দিয়েছে মেসি ইতিহাসের সেরা ফাইনাল জিতে। ... ...
রিহার্সাল দিতে দিতে একদিন নূপুর বললো, নাটক করতে গেলে তো গয়না কিনতে হবে - চলো চাঁদা তুলি। ক্লাসের মেয়েরা কতো আর চাঁদা দেবে, তবু কেউ কেউ দিল। সামান্য সেই টাকা নিয়ে নূপুর আমাদের কয়েকজনকে নিয়ে এলো শহরের বড় ইমিটেশন গয়নার দোকানে। মালিক খুব সস্নেহ ব্যবহার করছিলেন কিন্তু নিজে নিজে গয়না কেনার উত্তেজনায় আমরা কী করে যেন শোকেসের কাঁচ ভেঙে ফেললাম। উনি আর কী করেন, বললেন স্কুলে জানাবেন। উপায়ান্তর না পেয়ে যৎপরোনাস্তি ভীত সন্ত্রস্ত আমরা সবাই গিয়ে দিদিমণিকে বলতেই দিদিমণি ক্ষোভে দুঃখে অস্থির। নূপুর কি করেছো, উইদাউট পারমিশন সরকারি স্কুলে চাঁদা তুলেছো। আমার মানসম্মান জলে গেল, বেআইনি কাজ করেছো তোমরা ইত্যাদি ইত্যাদি। ঐসব নিয়ে একপ্রস্থ লাঞ্ছনা গঞ্জনা হলো। ... ...
প্রয়াত শিল্পী আসিফ কবির চৌধুরী রনির করা একটা কমিক। আঁকা এবং লেখা রনির। ঢাকা কমিক্স থেকে প্রকাশ হয়েছিল। ওর জামা জুতা, বেল্ট সোয়েটার জ্যাকেটের মত এই কাজের ফাইলটাও আমার কাছে রয়ে গেছে। ১৭ জানুয়ারি ওর জন্মদিন। সেই উপলক্ষে গুরুচণ্ডালীর পাঠকদের জন্য কমিকটা এখানে দিলাম। শুভ জন্মদিন রনি। ... ...
ইরমের আড়ালে কা তব কান্তা কস্তে পুত্র - কাফি কান্ড আছে মেড়া জানে সূত্র। পাঠান বা জওয়ান - কেবল ফাইটিং, ওড়াউড়িং, ল্যান্ডিং, কামানিং, ট্রাকিং, হেলিকপ্টিং - নতুন আমদানি মেট্রো হাইজ্যাকিং। ... ...
পরিচ্ছন্নতায় ভারত কোনোদিন সুইজারল্যান্ড বা সিঙ্গাপুরের ধারে কাছে আসবে এমন দুরাশা নেই তবে মানুষজন একটু সচেতন হলে ভারতও কিছুটা .... ... ...
সেবার দুর্গাষষ্ঠীর দিনটা বেশ কাটলো আমার। বিনা পয়সায় ভার্চুয়ালি করে এলাম দক্ষিণ আমেরিকার Transoceanica হাইওয়ে ধরে ৬৩০০ কিমির - ছদিনের - বিশ্বের দীর্ঘতম বাসযাত্রা। তা শুরু হয়েছিল পূবে অতলান্তিক উপকূলে ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনেরিও থেকে। দক্ষিণ আমেরিকার পেট চিরে - আমাজন বর্ষাবন পেরিয়ে - বিশ্বের দীর্ঘতম (৭৩০০ কিমি) আন্দিজ পর্বতমালার ১৫'৫০০ ফুট উচ্চতার একটি হাই-পাস টপকে সেই এপিক বাসযাত্রা শেষ হোলো পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে পেরুর রাজধানী লিমায়। সেই অনবদ্য অভিজ্ঞতার অভিঘাত বর্ণনার আগে প্রাককথন হিসেবে হ্যাজটা একটু বেশীই হয়ে গেল। বুড়ো বয়সে বাজে বকা রোগ আরকি। ... ...
গত শতাব্দীর প্রথম দশকে ১৯০৯ সালে আমেরিকা আসেন। এর ষোলো বছর আগে বিবেকানন্দ শিকাগো এসেছেন, এর তিন বছর পরে রবীন্দ্রনাথের ইলিনয়-তে আরবানা-শ্যাম্পেন এ প্রথমবার আমেরিকা আসবেন - তখনও তিনি নোবেল প্রাইজ পান নি, তেমন নামডাকও হয় নি। তারও দুবছর বাদে শুরু হবে ইউরোপে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। এমন এক সময়ে, আজ থেকে প্রায় ১০৮ বছর আগে মেদিনীপুরের তমলুকের উনিশ বছরের ছেলে কিভাবে আনডকুমেন্টেড লেবার হিসেবে আমেরিকা এলেন, ক্যালিফোর্নিয়ায় পড়াশোনা করতে শুরু করলেন, ইংরেজিতে লেখালেখি শুরু করলেন, ইস্ট-কোস্টে বাসা বাঁধলেন, আমেরিকার শ্রেষ্ঠ শিশুসাহিত্যের পুরস্কার পেলেন, আগাগোড়া লেখালেখিকে সম্বল করে জীবিকা চালিয়ে গেলেন এবং ১৯৩৬ সালে আত্মহত্যা করে মারা গেলেন - সেই কাহিনী ... ...
লীলা মজুমদারের 'আমি নারী' সম্পর্কিত কিছু কথা। ... ...
কলকাতায় বেহালার কাছে যে আবাসনে আমাদের একটি ফ্ল্যাট আছে সেখানে আবাসিকদের হোয়া গ্ৰুপে জনৈক পিকেবাবুর সারমেয় ফোবিয়া বা সমস্যা প্রসঙ্গে একবার কিছু আলোচনা হয়েছিল। যেহেতু খেজুরে লেখায় আমি প্রভূত আনন্দ পাই তাই দিয়েছিলাম একটি বিশদে সাজেশন। এই হালকা রসের রচনাটি সেই প্রসঙ্গে ... ...
“যে ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করা সার্থক, তেমন কোনো ভবিষ্যতে যদি আমাদের পৌঁছাতে হয় তাহলে ন্যূনতম মানবাধিকারগুলির সংস্থান ও সুরক্ষা তার সর্বপ্রথম শর্ত।“ ... ...
পরিচালকের মতে আরবাইন শুধুই ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়। তার আবেগ মানবতার হৃদয়কে স্পর্শ করে যায়। ... ...
শুভ কেমন মুজিব? চলন সই। যতখানি খারাপ মনোভাব নিয়ে গেছিলাম ততখানি খারাপ না। আমার ধরনা, দেশের বাহিরের দর্শক, যারা শুভকে চিনে না, যারা তৃষা কে চিনে না তারা ভাল করে তাদের মূল্যায়ন করতে পারবে। আমাদের চোখে দুইটাই পরিচিত মুখ, মানে মুজিবের চেহারা যেমন আমাদের মুখস্থ তেমনই শুভর চেহারাও। তাই আমাদের জন্য একটু কষ্টকর মুজিব হিসেবে শুভকে মেনে নেওয়া বা তৃষাকে বেগম মুজিব হিসেবে। দীঘিকে ছোটবেলার রেণু মানে বেগম মুজিব হিসেবে ভাল লাগছে কারণ দুইটা চেহারাই অপরিচিত। এমনেও দীঘি ভাল করছে। শুভ পরিশ্রম করছে এইটা বুঝা গেছে। কিন্তু আমি বুঝি নাই যে এত পরিশ্রম করতে রাজি ছিল সে পরচুলা পরতে গেল কেন? গোঁফটা পর্যন্ত রাখতে পারত না? এই দিকটা খেয়াল করলে আরও ভাল হত। ... ...
কেতকী কুশারী ডাইসন এবং নোটন ... ...
'আমরা দিবসে' বাস্তবে কিছু করতে না পারার মর্মবেদনায় একান্তে মোবাইলের পর্দায় আঙুল চলে। বটের চারা বীজ ছাড়াই জন্মায় কাকের পটি থেকে - আমার বেশিরভাগ বাঁজা লেখাও তেমনি, বিশেষ বিষয়ে সুলিখিত নিবন্ধ নয়, সামান্য স্ফূলিঙ্গ থেকে বুশফায়ার। বটুদার জমি না হলেও চলে - পুরোনো বাড়ির প্যারাপেট, ভাঙা পাঁচিল থেকেই বটুছেনু মাথা তোলে - সাপের মতো ফাটল ধরে শেকড় চালিয়ে, ঝুরি নামিয়ে বাড়ে। আমার বেশিরভাগ লেখাই তেমনি - সম্পাদিত পত্রিকার উপযোগী নয়। তাই গুরুচণ্ডালিতে নামাচ্ছি এইসব হ্যাজ। এসব আসলে কিছু টুকরো উপাখ্যান, উপমা, পার্শ্বপ্রসঙ্গ সহযোগে তৈরী হাওয়াই মেঠাই বা Cotton candy. বট ফুল লাগে না পুজোয়, তার ফলও খায় কাক শালিখে। আমার এসব লেখাও তেমনি। ... ...