নারী দিবস ... ...
দোল যাপন হোস্টেলের দিনগুলো ... ...
মেয়েদের দায়িত্ব মা হিসেবে, বোন হিসেবে এবং স্ত্রী হিসেবে পুরুষদের শারীরিক এবং মানসিক যত্নআত্তির দায়িত্ব নেওয়া। সমাজনির্দিষ্ট এই পুরুষতান্ত্রিক সুভাষিতাবলীকে চ্যালেঞ্জ করে আত্নপরিচয় খোঁজা নারী আন্দোলনের অন্যতম দায়িত্ব ছিলো, আজও আছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সমাজে যত্ন, পরিচর্যা এবং পরিষেবার প্রয়োজন ফুরিয়েছে বা ফুরাবে। তাই এই ধারণাগুলিকে পরিত্যাগ করার বদলে তাকে সমাজে সর্বব্যাপ্ত করার কথাও উঠে এসেছে নারী আন্দোলনের ভেতর থেকেই। শুধু তাকে পুঁজিবাদী ও পিতৃতান্ত্রিক নিগড় থেকে মুক্ত করার প্রয়োজনীয়তাকে সামনে রেখে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। ... ...
আমরা ছোটবেলায় পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতাম শবে বরাতে। আমাদের দুপুরের মধ্যেই খোঁজ খবর নেওয়া হয়ে যেত কোন মসজিদে কখন মিলাদ হবে, তবারক হিসেবে কী থাকছে ইত্যাদি! সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজাতাম। একই সময় দুই মসজিদে মিলাদ হলে প্রাধান্য পেত তবারকের উপরে। সারারাত বাহিরে থাকার লাইসেন্স পেয়ে আমরা সেদিন উড়ছি। এমন একদিন উড়তে উড়তে রাত পার করে আমি আর আমার বন্ধু রনি বাড়ির পথ ধরেছিলাম। ফজরের আজান হল। আমি বললাম, ফজর নামাজ পড়ে পরে বাড়ি যাব। রনি আমাকে বলল, ধুর, সারারাত নামাজের খবর নাই এখন ফজর পড়বে, বাড়িত যাও মিয়া! আমি শুনলাম না। রনি বাড়ি চলে গেল আর আমি মসজিদে। নামাজ শেষে বের হয়ে দেখি আমার নতুন কেনা জুতাটা নাই! শবে বরাতের রাত শেষ করে কেউ ওই ভোরে আমার জুতা চুরি করল? মানতেই পারছিলাম না। কিন্তু মেনে নিতে হল, খালি পায়ে বাড়ি ফিরে ছিলাম। এবং এরপরে আমার শবে বরাতে প্রতি দুর্বলতাও চলে গেল! ঘরে বসেও ইবাদত করা যায় ফর্মুলায় চলে আসলাম! যাই হোক, উৎসবটা খারাপ ছিল না, বিশেষ করে পারিবারিক ভাবে যে আয়োজন হত তা আজীবন মিস করব। ... ...
দু দশক বাদে বেড অ্যান্ড ব্রেকফাস্টের এক নতুন প্রয়োগের সঙ্গে পরিচিত হলাম । ব্যাঙ্কিং বাজারে স্বল্প মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের কেনা বেচা চলে, যার নাম সেকেন্ডারি ট্রেডিং । যেমন ধরুন সিটি ব্যাঙ্ক জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার কোম্পানিকে দু বছরের কড়ারে ধার দিয়েছে এবার সিটি তার স্বত্ব বিক্রি করে দিলো রাবো ব্যাঙ্ককে । দু বছর পার হলে রাবো ব্যাঙ্ক কভেন্ট্রিতে জাগুয়ারের দরোজায় সেই টাকা আদায়ের জন্য কড়া নাড়তে পারে অথবা ইতিমধ্যেই অন্য কাউকে বেচে দিয়ে থাকতে পারে । ঋণ শোধের দিন যার হাতে মালিকানা তাঁকে আমরা বলি হোল্ডার ইন ডিউ কোর্স যিনি সেদিন সেই টাকা পেলেন অথবা হাতে হ্যারিকেন ধরলেন ! এ ধরণের ট্রেডিং তুলকালাম হারে দেখা যায় স্বল্প মেয়াদি আমদানি রপ্তানির ব্যবসায় যাকে আমরা ট্রেড ফাইনান্স বলি। বি পি ( ব্রিটিশ পেট্রলিয়াম - ব্লাড প্রেশার নয় ) ছ মাসের কড়ারে জাহাজ ভর্তি তেল বেচল কেনিয়ার কোবিলকে। কোবিল একটি হুন্ডি লিখে জানাল ১৮০ দিন বাদে তারা দশ মিলিয়ন ডলার নিউ ইয়র্কে জমা করবে বি পির খাতায় । কেনিয়ান কোম্পানির ওপরে ভরসা নেই তাই বি পি সিটিব্যাঙ্কের গ্যারান্টি চাইল- অর্থাৎ কেনিয়া দাম না চুকোলে সিটি সে ডলার দেবে । আগামী কল্য সিটি এই হুন্ডি মেলন ব্যাঙ্ককে বেচে দিতে পারে – ছ মাসের ভেতরে এই কাগজটি মালিকানা বহুবার বদলে যায় এবং এইখানে শুরু হয় ট্রেডিঙের বেড অ্যান্ড ব্রেকফাস্টের খেলা। ... ...
তারপর যা হয়েছিল.................... ... ...
পথের শেষ কোথায়... কী আছে শেষে? ... ...
কোথায় যে আনন্দধারা বইছে কে জানে ... ...
পুস্তকেই তো বলা হয়েছে কেউ যদি অনাবাদী জমিন আবাদ করে, তার জন্য রয়েছে সওয়াব… এখন একদম মিম্বরের সামনেই রয়েছে সে…স্রষ্টার এত বড় জমিনে জায়গা পাওয়া বুঝি কি সবাইকে দিয়ে হয়? এর জন্য বুদ্ধি, ক্ষীপ্রতা, সজাগ দৃষ্টি দরকার হয় শক্তিমত্তার পাশাপাশি… বেশ একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়েন মুরব্বি… জায়গাটা এত মধুর লাগে তার কাছে! খোশবুর রোশনাই মনে হয় এখান থেকেই ছেটানো হয়! পবিত্র এক শিহরনে তার দুচোখ বয়ে নিদ নেমে আসতে চায়! ... ...
চাইবাসা চাইবাসা ... ...
জয়া মিত্রের লেখায় শৈব্যা ... ...
#বইমেলা_ম্যালা_বই ... ...
এইটুকু খালি জানা আছে, যে, শুদ্ধস্বরের সঙ্গে এবার লাগছিল কোমল ধা এবং নি। বেহালা এবং সেতার বাজছিল পরপর। বোঝা যাচ্ছিল, শুরুর স্বর স্রেফ চোখে-ধুলো-দেওয়া উদ্যোগপর্ব ছিল। আসলে সেই শুদ্ধস্বর ছিল প্রস্তুতি, আসলে যা হয়ে উঠবে চারুকেশী। বদলে যাচ্ছিল দৃশ্যায়ন। অনির্বাণ মাঝে-মাঝেই একটু-একটু সুজন হয়ে যাচ্ছিলেন, আর সুজন একটু-আধটু অনির্বাণ। আর নাটকের ঠিক মাঝখানে এসে, দেখা গেল, দুজন শারীরিক ভাবে জুড়ে গেলেন। পিছনে, যদ্দূর মনে করতে পারছি, সেই মুহূর্তেই বেহালা সিম্ফনী হয়ে গেল। সেও ভেঙে দেওয়া চারুকেশীতেই। পাশ্চাত্যে এই স্কেলটার নাম মেলডিক মাইনর। ঝপাঝপ মিলে গেল তারাও। ... ...
(আমার এ রচনা বিভিন্ন সিঁড়ি নিয়েই। হঠাৎ করেই একদিন অন্যমনায় ছিলাম। সে সময়ে মাথার মধ্যে ছোটবেলার আমাদের বাড়ির এক প্রাচীন আমলের সিঁড়ির নানান ঘটনা ভেসে উঠল অতর্কিতেই। ভাবলাম লিখেই ফেলি। এই নিয়ে গুগুল মামার শরণাপন্ন হতেই দেখলাম - ওরে বাবা, এই সিঁড়ি নিয়েই হয়তো একটা বিরাট রচনা নামিয়ে ফেলা যায়। সারা বিশ্বের নানান সিঁড়ি, সেগুলোর ইতিহাস, সবচেয়ে বড় কথা সেই আদিম যুগ থেকে কতই না পরিবর্তন হয়ে আজকের গতিমান লিফট থেকে এস্ক্যালেটর। আমারই চোখে দেখা কত কিছুই। স্মৃতির মননে ছোট বেলা থেকে কলেজ জীবন পেরিয়ে চাকরি জীবন। সব কিছুর সাথেই জড়িয়ে আছে এই সিঁড়ি।) ... ...