প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ... ...
অনেক দিন বাদে কিছু লোক তাকে দেখতে পায় একটি গাছ তলায়। একটি বেলচা দিয়ে তলোয়ারের মত করে মূহুর্মূহ আক্রমণ শাণাচ্ছিল সে অনন্ত শূণ্যকে লক্ষ্য করে। সে কি মাছি মারছিল? না কি গল্প তাড়াচ্ছিল, প্রতি মুহূর্তে যারা তার মাথায় ভর করত? সে বলত তার গল্প-পাওয়া রোগের কথা, কেউ সে কথা বিশ্বাস করেনি। একটা সময় সে সবকিছুতেই গল্প পেত, সব গল্প মিলেমিশে এমন গল্পহীন হয়ে উঠতো, সে শেষ খুঁজে পেত না আর! ... ...
চব্বিশ ঘন্টায় টাকা ডবল করার সার্ভিসে - ১৮% জিএসটি-র কথাটা ভুলবেন না ... ... ...
এখানে আমি মূলত কথা বলব ইসলাম ধর্ম ও সংশ্লিষ্ট মৌলবাদ প্রসঙ্গে আমাদের সমাজের মূলস্রোত ধ্যানধারণা নিয়ে, এবং তার ঠিক-বেঠিক নিয়েও। এ নিয়ে কথা বলব কারণ, আমার ধারণা, ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে যাঁরা ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লড়তে চান, তাঁদের এ বিষয়টি এড়িয়ে যাবার কোনও উপায় নেই। ... ...
বলা হয়, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সূর্যাস্ত যেত না। সারা দুনিয়ায় ছিল এই সাম্রাজ্যবাদের নাগপাশ, উলম্ব জিহবা। কিন্তু শেখ-শাসিত দেশগুলো হাতে পায়ে ধরে ডেকে এনেছিল এই জিহবাকে, কোন ছল-বল-কৌশল করতে হয় সাপকে জিহবা বিস্তারে। কিন্তু কেন এই আহবান? কোন ভিক্ষার তরে অবনত মস্তক আর করজোর প্রার্থনা ভারতে অবস্থিত ব্রিটিশরাজের দরবারে? ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, তিন প্রকারের সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। প্রথমটি ছিল কুটনৈতিক, যেখানে পরষ্পর যুধ্যমান উপসাগরীয় শাসকদের মধ্যকার শান্তি আলোচনায় সালিসি করতে ব্রিটিশ প্রভুকে প্রয়োজন পড়েছিল। শুধু তাই নয়, আলোচনা থেকে কোন সন্ধি বা যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছুতে পারলে, তাতে জামানতকারী হওয়ার জন্য নিকটস্থ ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধিকেই সব থেকে উপযুক্ত মনে হত তাদের। দ্বিতীয় সাহায্যটি ছিল নৌ সম্বন্ধীয় যেখানে সামুদ্রিক চুক্তির শর্তগুলো মানতে বাধ্য করার জন্য ব্রিটিশ দন্ড কামনা করা হত। এছাড়া শেখসাম্রাজ্য ও তাদের অধীনস্ত প্রজাদের নৌ-শত্রুর আক্রমন থেকে প্রতিরক্ষার তরেও ব্রিটিশ হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করা হত। আর সর্বশেষ ও ৩য় প্রার্থিত সাহায্যটি ছিল সামরিক, অর্থাৎ, তাদের অধীনস্ত এলাকাগুলোকে স্থলপথে বহিঃশত্রুর আক্রমন থেকে রক্ষা করা। তবে এসব ছাড়াও আরো কিছু ভূমিকায় ব্রিটিশকুশীলবরা অবতীর্ণ হয়েছিলেন এবং বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতির গতিপথ চিরদিনের জন্য নির্ধারন করে দিয়েছিলেন, এঁকে দিয়েছিলেন অর্থনৈতিক ভুগোলের এক স্থায়ী মানচিত্র অনাগত কালের জন্য। ... ...
ডুবজলে যেটুকু প্রশ্বাস ... ...
এখনও মর্ম খোঁজা সম্পূর্ণ হয় নাই ... ...
গত ষাট বছরেও যাহা মর্মে প্রবেশ করিতে পারে নাই ... ...
অনেক পাণ্ডুলিপি জমে গেছে । প্রকাশক পাই না । ... ...
একটা মানুষ। একটা গানে গানে মোড়া শ্লোগান। হারিয়ে যাওয়া অল্পায়াসে। সহজ সীমাবদ্ধতায় ... ...
ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে অবশেষে, ইতালিতে একটি প্রধান স্থাপত্য কৌশল বলে সিঁড়ি স্বীকৃত হয়েছিল। ভাসারি তাঁর ‘লাইভ অফ আর্টিস্ট’ (১৫৬৮ সালের সংস্করণ) বইতে নিজে সিঁড়ির জন্য অনুপ্রাণিত হয়ে একটি বাড়ির শরীর হিসেবে সিঁড়িকে "বাহু ও পা" হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এবং ভিনসেঞ্জো স্কামোজি (Vincenzo Scamozzi) (১৫৫২-১৬১৬) লিখেছেন ‘মানুষের শরীরে যেমন শিরা, রক্তনালী, ধমনী প্রভৃতি রক্ত জোগান দেয় ঠিক তেমনি একটা সম্পূর্ণ বাড়ির যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য সিঁড়ি একটা প্রয়োজনীয় স্থাপত্য।’ ... ...
কালকের জয় শুধু মেসির শ্রেষ্ঠত্বের জন্য না, আর্জেন্টিনার সমর্থকদের জন্যও জরুরি ছিল। ৩৬ বছর কাপ পায় নাই একটা দল। এমন না যে দলটা উরুগুয়ের মত হারিয়ে যাওয়া দল। ভাল দল কিন্তু কই জানি গড়বড় করে ফেলে কাপ নেওয়া হয়। বিপক্ষের তীব্র বিদ্রূপের জবাবে গলার জোর ছিল প্রধান অস্ত্র। জন্মের পরে কাপ নিতে দেখছস? এই কথার উত্তর কী? আমার নিজের ৯৪ সালের খেলার কথা তেমন মনে নাই, ফাইনালে ব্যাজিও পোস্টের অনেক উঁচু দিয় মেরে ইতালিকে হারিয়ে দিছিল, এইটা ঠিক মনে আছে না পরবর্তীতে সিনেমা ডকুমেন্টারি, ভিডিও দেখে জানি তাও ঠিক মনে নাই। ৯৮ বিশ্বকাপের কথা হালকা পাতালা মনে আছে। পরিষ্কার মনে আছে ২০০২ সালের কথা। পরিবার থেকে বিদ্রোহ করে আমি তখন ইংল্যান্ডের সমর্থক, আমাদের বাড়ির চৌদ্দ গোষ্ঠী ব্রাজিলের সমর্থক! আমি তখনই সবাই যা করে তার থেকে বের হতে চাচ্ছিলাম। আর ছিল ব্যাকহাম নামের এক খেলোয়াড়, যে কারণেই হোক আমি তার মুগ্ধ ভক্ত হয়ে গেলাম। ব্রাজিল সমর্থকেরা সেবারও কাপ জিতার স্বাদ পেয়ে গেল! স্বভাবতই অন্তত আমাদের বয়সই আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা জন্মের পরে কাপ দেখছস প্রশ্নের সম্মুখীন হতে থাকল নিয়ম করে! এখন অবশ্য জন্মের পরে কাপ দেখছস কথা ব্রাজিল সমর্থকদেরও শুনতে হচ্ছে! তবুও আর্জেন্টিনার কষ্টের কাছে কিছুই না। আরও যন্ত্রণা ৩৬ বছর আগের যে কাপ তাও ম্যারাডোনার হাত দিয়ে দেওয়া গোলের কলঙ্ক লেগে আছে। সমর্থকদের জন্য, এমন অন্ধ ভাবে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার জন্য একটা কাপ জেতা খুব জরুরি ছিল। কালকে সমর্থকদের শ্রেষ্ঠ উপহার দিয়ে দিয়েছে মেসি ইতিহাসের সেরা ফাইনাল জিতে। ... ...
চব্বিশ ঘন্টায় টাকা ডবল করার সহজ উপায়, এক্কেরে হাতে হাতে ফল... ... ...
সাল ১৯৯৯ এর ২ জুলাই। সবার পরনে উজ্জ্বল হলুদ রঙের টি-শার্ট। টি শার্টের চৌকো নকশার বুকে গোলাপি রঙের একটি ত্রিভুজ যার পাশে লেখা ''ওয়াক অন রেইনবো''। চৌকোনার ওপরে লেখা "দ্য ফ্রেন্ডশিপ ওয়াক 99" আর নীচে "এলজিবিটি-ইন্ডিয়া" । পার্কসার্কাস ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড অভিমুখে হাঁটতে শুরু করলেন ওঁরা ১৫জন। ১৪ জন পুরুষ এবং একজন মহিলা সাংবাদিক। মাঝপথে শুরু হোলো প্রবল বৃষ্টি, কিন্তু সেই দুপুরে, সেই নির্ঝরের মধ্যেই ওই ৬ কিলোমিটার পথে গড়ে উঠলো শুধু ভারতেরই নয়, তামাম দক্ষিণ এশিয়ার এক অভূতপূর্ব ইতিহাস। শুরু হলো সেই দৃপ্ত পথ হাঁটা, যা আজ 'কলকাতা রেইনবো প্রাইড ওয়াক' নামে বিখ্যাত। কয়েকঘন্টা পর আজ কলকাতার রংধনু মিছিলে সমতা, বৈচিত্র, একতা, সম্মান এবং সমনাগরিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বুক চিতিয়ে হাঁটবেন হাজারো মানুষ। তার আগে ভারত তথা এশিয়ার সবচেয়ে পুরোনো প্রাইড মিছিলটিকে বরং একটু ফিরে দেখি আমরা ... ...
কখনো কখনো পকেটে হাত বাড়ায়। আজ এক চিলতে দেখে নিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিল। ফ্লাইওভারে অবস্থানকালে সে অনেক নীচের দিগন্ত ছাড়িয়ে যাওয়া সরু রেলপথখানি প্রতিদিন একবার হলেও দেখে নেয়, লাইনের বস্তিগুলোতে চলা জীবনপ্রবাহ তাকে বিষাদগ্রস্ত করে, সামাজিক বৈষম্য নিয়ে চিন্তার খোরাক দান করে। সেখান থেকে ফ্লাইওভারে উঠে আসা হাতই হয়ত তার চোখের সামনে প্রসারিত হয়। কিন্তু একই হাত বার বার এলে বিস্বাদ লাগে ব্যাপারটা। পাতা হাতের বাজারও একই অর্থনীতি চলে মনে হয়, পাতা হাতেও নতুনত্ব চাই, ভিন্ন গল্পের স্বাদ চাই হাতের বিবৃতিতে। ... ...
সাপ পুষলে ছোবল খেতে হয় ... ...
ভাগ্যিস পৃথিবীতে এতো রকমের রঙ রয়েছে ... ...
লিটল ম্যাগাজিন ... ...
রবীন্দ্রনাথ ... ...
খারাপও ভালো হয় ... ...