হারিয়ে যাওয়া মানুষ। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের এক সেনানীর কথা। ভাষা আন্দোলনের এক মানুষের কথা। ফুটবলের কথা। প্রদীপের আলোর কথা। ... ...
শেরপুরে পাকিস্তান বাহিনী প্রবেশ করে ২৬ এপ্রিল। তুমুল গোলাগুলি করতে করতে তারা প্রবেশ করে। প্রবেশের পরেই ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করে তারা। সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় বিশেষ গুরুত্ব ছিল এই এলাকার। ঝিনাইগাতী উপজেলার আহমদনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘাঁটি করে পাকিস্তান বাহিনী। রাজাকারদের সহযোগিতায় চলে হত্যা লুট ধর্ষণ। নালিতাবাড়িতে তৈরি হয় বিধবা পল্লী। পুরো শেরপুরে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টি খণ্ড যুদ্ধ হয়েছিল যুদ্ধকালীন সময়ে। যুদ্ধ হয়েছে এমন জায়গা গুলোর মধ্যে কাটাখালি, রাঙামাটি গ্রাম, সূর্যদী, নালিতাবাড়ী ফরেস্ট ক্যাম্প, বারোমারী, নন্নী, ঝিনাইগাতী, নাচনমহুরী, নকশী, শ্রীবরদী, কর্ণঝোরা, কামালপুর, টিকারকান্দা, নারায়নখোলা, বড়ইতার, নকলার যুদ্ধ গুলোকে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য করা যায়। ... ...
বলতে গেলে যা বলতে হয় তা বলা যায় ... ...
কী বিষয় কী বিষয় ... ...
বড়রা সব বড্ড পন্ডিত বলে চিরকালই ছোটমানুষদের কাছ থেকে শিখি আমি। জ্ঞানবুদ্ধি হওয়া ইস্তক রুক্ষতম জীবনযুদ্ধের ঠিক মাঝখানে দাঁড়ানো শাহানারার সঙ্গে যখনই দেখা বা কথা হয়, ওর কাছ থেকে আমি আবারো নীরব ধৈর্য, প্রগাঢ় আত্মসম্মান, অপরিসীম ভদ্রতাবোধ আর এক অদ্ভুত প্রশান্তির পাঠ নিই। ... ...
রবীন্দ্রনাথের সারমর্ম ? হাসালেন ! ... ...
যেমন ইচ্ছা ভেবে নিন ... ...
এ বছরের গোড়ার দিকে মোদী এবং সুভাষ বসুকে নিয়ে আনন্দ পট্টবর্ধন যা লিখেছিলেন, বঙ্গানুবাদে তা এরকমঃ "মোদী এবং আরএসএস কেন সুভাষ বসুকে ভালোবাসে, ভালো করে বুঝে নিন! সুভাষ যখন হিটলারের সঙ্গে নীতিগত বোঝাপড়ায়, তখন আরএসএস আর হিন্দু মহাসভা তার সঙ্গে আদর্শগত বোঝাপড়া করে ফেলেছে। হিটলারের আশীর্বাদ নিয়ে সুভাষ আজাদ-হিন্দ-ফৌজে যাদের নিয়োগ করেন, তাদের বেশিরভাগটাই সেইসমস্ত ভারতীয় সেনাদের থেকে, যারা জার্মান, ইতালিয়ান, এবং জাপানিদের হাতে ধরা পড়েছিল। হ্যাঁ, তাদের অনেকেই নাৎসিদের পক্ষে যুদ্ধ করে মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু আরও, আরও অনেক বেশি ভারতীয় সৈন্য মারা যায় নাৎসিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।" এতে তথ্য এবং বোঝাপড়াগত কিছু ভুল আছে। কিন্তু তার চেয়েও বড় ব্যাপার হল, এই লাইনে বললে, তার ফলাফল কী হবে। আজাদ-হিন্দ-ফৌজ নাৎসিদের জন্য যুদ্ধ করে প্রাণ দিয়েছিল, সুভাষ-আরেসেসের একরকম করে বোঝাপড়া ছিল, এ কথা বললে, বঙ্গে ফ্যাসিবাদ-বিরোধিতা নিঃসন্দেহে লাটে উঠবে। ... ...
সব সময় গোমড়ামুখো গল্পের দরকার নেই ... ...
কুমিল্লা মশাই এক আশ্চর্য জায়গা। গেল শতাব্দীর দশ আর বিশের দশকে তিন বন্ধু গানে মশগুল থাকত। হিন্দি-উর্দুর বাগধারা ধার করে বলা যায় বলা যায় তিন বন্ধু একসঙ্গে হলে চার চাঁদ লেগে যেত। ... ...
নিজেকে উজাড় করার কৌম-প্রক্রিয়ায় ... ...
পাণ্ডুলিপি জমে উঠছে --- প্রকাশক নেই ... ...
বিদেশিনীর কলমে ... ...
ভারতের বৃহৎ বুর্জোয়াদের উৎস ও বিকাশের আসল রহস্য লুকিয়ে আছে বিদেশী সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলির হাতেই? নাকি এরা জাতীয় বুর্জোয়ার দল? ইতিহাসের পাতা কী বলছে? চলুন দেখেনি। কমিউনিস্টদের আন্তর্জাতিকের বিতর্ক ও তত্ত্ব অনুযায়ী। ... ...
এপারে বাপের ঘর ওপারে শ্বশুরঘর তার মধ্যিখানে চর, সেই চরে বাস করে যতেক মাইয়্যামানুষ। শ্বশুরঘরে আসতে বাপের ঘর ত্যাগ করা লাগে তাদের, কিন্তু সে ঘরেও তাদের একেবারে নিজস্ব জায়গা কতটুকু? তাদের মতামতের ধার তো বাড়ির পুরুষরা এমনিতে খুব একটা ধারেই না, বড়সড় রাষ্ট্রবিপ্লবেও তারা পালাবে কিনা, কোথায় পালাবে কীভাবে পালাবে সেও নির্ধারণ করে সেই পুরুষই। তবুও মেয়েমানুষ টুনিমুনি নিয়ে নাড়ে চাড়ে, খেলে, কেউ আবার যেখানে যতটুকু পারে ধরে রাখার, দখলদারির চেষ্টা করে যায়। জীবনে দুর্যোগ নেমে এসে সব ভেঙেচুরে তছনছ করে ভাসিয়ে নিয়ে গেলে মেয়েমানুষ দেখে হাতের ধুলিমুঠি সবই আঙুলের ফাঁক গলে পড়ে গেছে, সে দাঁড়িয়ে আছে ধু ধু চরে। তার নিজের দেশও নাই, ঘরও নাই। এই সত্য আরো একবার উপলব্ধি হল তৃষ্ণা বসাকের ‘চরের মানুষ’ পড়তে পড়তে। ... ...
এই পৃথিবীটা যেন একটি ছোট্র চায়ের দোকান, এখানে আমরা আসি জীবন নাট্যে অংশ নিতে। কেউ ভূমিকা নেয় প্রভুর, কেউ বা দীনহীন নিরীহ প্রজার। এখানে অভিনীত হয়ে চলে কত ঘটনা, দুর্ঘটনা জীবনের বিশাল ক্যানভাসে। একই সূর্যবংশে সৃষ্ট হলেও, পরষ্পরের আত্মীয় হলেও, সূর্যের লালা রক্ত দিয়ে বাঁধা থাকলেও, আলো- জল-উত্তাপ দিয়ে গড়াপেটা হলেও আমরাই কিনা সারাক্ষণ দ্বন্দ্বে মেতে থাকি, চলে ধ্বংসের হোলিখেলা, ধুলোর সাগরে নিমজ্জিত হয়ে ফের হই ধুলো, যা থেকে সৃষ্টি হয় মহাজাগতিক নক্ষত্রের, “চা খেতে খেতেই ছোট্র সে দোকানে লেগেছিল সে সে-যে কি চুলোচুলি-/মালিকে-চাকরে খিস্তি খেউর/উলুড়ি ধুলুরি কী ধুলোধুলি।“ ... ...
বলতে বলতে বলতে বলতে অনেক কিছু মনে পড়ে না ... ...
এর নাম রান অন দি ব্যাঙ্ক ? ব্রিটিশ করদাতার টাকাকে উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ বলে বিলিয়ে দিয়ে কিছু কাউবয় ব্যাঙ্কার এবং তাদের ব্যাঙ্ককে বাঁচাতে চান নি মারভিন কিং। শেষ পর্যন্ত অর্থনৈতিক বিবেচনার চেয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ বড়ো হয়ে উঠল । তবু মারভিন কিং লড়াই করেছিলেন তৎকালীন লেবার প্রধানমন্ত্রী গরডন ব্রাউনের সঙ্গে । বলেছিলেন আমি সরকারের আদেশে চলি না । আপনারাই ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন এই মাত্তর দশ বছর আগে । সেই সঙ্গে দেশের ব্যাঙ্কের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দিয়েছেন আলাদা দফতর , ফাইনানশিয়াল সার্ভিসেস অথরিটিকে । তারা এতদিন কি করছিল ? দেখেনি স্বল্প মেয়াদের ধার নিয়ে লম্বা মেয়াদে মর্টগেজ দিয়েছে এরা । ভাবে নি বাজারি জমার (হোলসেল ডিপোজিট ) স্রোত বাজারি গুজবেরই কারণে শুকিয়ে যেতে পারে ? এই দেখাশোনার কাজটা এককালে আমরা করেছি, সাফল্যের সঙ্গে । ... ...