পাণ্ডুলিপি জমে উঠছে --- প্রকাশক নেই ... ...
বিদেশিনীর কলমে ... ...
ভারতের বৃহৎ বুর্জোয়াদের উৎস ও বিকাশের আসল রহস্য লুকিয়ে আছে বিদেশী সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলির হাতেই? নাকি এরা জাতীয় বুর্জোয়ার দল? ইতিহাসের পাতা কী বলছে? চলুন দেখেনি। কমিউনিস্টদের আন্তর্জাতিকের বিতর্ক ও তত্ত্ব অনুযায়ী। ... ...
এপারে বাপের ঘর ওপারে শ্বশুরঘর তার মধ্যিখানে চর, সেই চরে বাস করে যতেক মাইয়্যামানুষ। শ্বশুরঘরে আসতে বাপের ঘর ত্যাগ করা লাগে তাদের, কিন্তু সে ঘরেও তাদের একেবারে নিজস্ব জায়গা কতটুকু? তাদের মতামতের ধার তো বাড়ির পুরুষরা এমনিতে খুব একটা ধারেই না, বড়সড় রাষ্ট্রবিপ্লবেও তারা পালাবে কিনা, কোথায় পালাবে কীভাবে পালাবে সেও নির্ধারণ করে সেই পুরুষই। তবুও মেয়েমানুষ টুনিমুনি নিয়ে নাড়ে চাড়ে, খেলে, কেউ আবার যেখানে যতটুকু পারে ধরে রাখার, দখলদারির চেষ্টা করে যায়। জীবনে দুর্যোগ নেমে এসে সব ভেঙেচুরে তছনছ করে ভাসিয়ে নিয়ে গেলে মেয়েমানুষ দেখে হাতের ধুলিমুঠি সবই আঙুলের ফাঁক গলে পড়ে গেছে, সে দাঁড়িয়ে আছে ধু ধু চরে। তার নিজের দেশও নাই, ঘরও নাই। এই সত্য আরো একবার উপলব্ধি হল তৃষ্ণা বসাকের ‘চরের মানুষ’ পড়তে পড়তে। ... ...
এই পৃথিবীটা যেন একটি ছোট্র চায়ের দোকান, এখানে আমরা আসি জীবন নাট্যে অংশ নিতে। কেউ ভূমিকা নেয় প্রভুর, কেউ বা দীনহীন নিরীহ প্রজার। এখানে অভিনীত হয়ে চলে কত ঘটনা, দুর্ঘটনা জীবনের বিশাল ক্যানভাসে। একই সূর্যবংশে সৃষ্ট হলেও, পরষ্পরের আত্মীয় হলেও, সূর্যের লালা রক্ত দিয়ে বাঁধা থাকলেও, আলো- জল-উত্তাপ দিয়ে গড়াপেটা হলেও আমরাই কিনা সারাক্ষণ দ্বন্দ্বে মেতে থাকি, চলে ধ্বংসের হোলিখেলা, ধুলোর সাগরে নিমজ্জিত হয়ে ফের হই ধুলো, যা থেকে সৃষ্টি হয় মহাজাগতিক নক্ষত্রের, “চা খেতে খেতেই ছোট্র সে দোকানে লেগেছিল সে সে-যে কি চুলোচুলি-/মালিকে-চাকরে খিস্তি খেউর/উলুড়ি ধুলুরি কী ধুলোধুলি।“ ... ...
বলতে বলতে বলতে বলতে অনেক কিছু মনে পড়ে না ... ...
এর নাম রান অন দি ব্যাঙ্ক ? ব্রিটিশ করদাতার টাকাকে উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ বলে বিলিয়ে দিয়ে কিছু কাউবয় ব্যাঙ্কার এবং তাদের ব্যাঙ্ককে বাঁচাতে চান নি মারভিন কিং। শেষ পর্যন্ত অর্থনৈতিক বিবেচনার চেয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ বড়ো হয়ে উঠল । তবু মারভিন কিং লড়াই করেছিলেন তৎকালীন লেবার প্রধানমন্ত্রী গরডন ব্রাউনের সঙ্গে । বলেছিলেন আমি সরকারের আদেশে চলি না । আপনারাই ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন এই মাত্তর দশ বছর আগে । সেই সঙ্গে দেশের ব্যাঙ্কের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দিয়েছেন আলাদা দফতর , ফাইনানশিয়াল সার্ভিসেস অথরিটিকে । তারা এতদিন কি করছিল ? দেখেনি স্বল্প মেয়াদের ধার নিয়ে লম্বা মেয়াদে মর্টগেজ দিয়েছে এরা । ভাবে নি বাজারি জমার (হোলসেল ডিপোজিট ) স্রোত বাজারি গুজবেরই কারণে শুকিয়ে যেতে পারে ? এই দেখাশোনার কাজটা এককালে আমরা করেছি, সাফল্যের সঙ্গে । ... ...
জ্ঞানেন্দ্রর ধর্মত্যাগ, সম্পত্তি নিয়ে টানাপোড়েন সবই ইতিহাসের প্রভূত আলোচনার বিষয়। সবকটিই সেসময়ের ধর্ম তথা রাজনীতির সঙ্গে প্রবল ভাবে জড়িয়ে। জ্ঞানেন্দ্র পরবর্তী কালে স্ত্রীকে নিয়ে ইংল্যন্ডে যান। ইনিই কি তাহলে প্রথম বাঙ্গালী মহিলা যিনি বিদেশে যান? সেই দফার বিদেশ যাত্রাতেই ১৮৬২ সালের ২১ শে জুন জ্ঞানেন্দ্রমোহন লিঙ্কনস ইন থেকে ব্যারিস্টার হন। প্রথম ভারতীয় ব্যারিস্টার। পরে তিনি দুই কন্যাকে (বলেন্দ্রবালা ও সত্যেন্দ্রবালা) নিয়ে আবার ইংল্যন্ডে চলে যান আর সেখানেই মারা যান। জ্ঞানদানন্দিনী দেবী যখন একাকী বিলেত যান, তখন তিনি প্রথমে জ্ঞানেন্দ্র মোহনের আতিথ্যেই ছিলেন। তিনি বলেছেন, “স্ত্রী মারা যেতে তিনি খুব অস্থির হয়ে পড়েন, সেই সময় কৃষ্ণ বন্দ্যোঃ নামে এক পাদ্রী তাঁকে সান্ত্বনা দিতে দিতে খ্রিস্টান করে ফেললেন।” কী সরল ব্যাখ্যা! ... ...
আমার সাধনপুর স্কুলের তুহিনা পারভীন, গাঁ আর ধম্মের অনেক কুচ্ছিত গঞ্জনা সয়েও "হাঁটুর বের করা প্যান্ট" পরেই বহুদিন রেফারিগিরি করছে। কাল স্টেফানি ফ্র্যাপার্টকে দেখে তুহিনা বা ওর মতো অজস্র ভারতীয় মেয়ে রেফারির চোখভরা স্বপ্ন আরো অনেক চওড়া হয়েছে নিশ্চিত ... ...
আইডিয়া নং ৩] দরজা ভেজানো থাকবে। আমাদের যে প্লাস্টিকের বালতি ছিল তাতে অল্প জল ঢেলে তাই দিয়ে দরজা ভেতর থেকে চেপে দেওয়া হবে। বাইরের লোক টোকা না দিয়ে দরজায় হালকা করে ঠেলা দেবে, দরজা আস্তে আস্তে খুলে যাবে। ভেতরের জনের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে না। ফলঃ সুন্দর ব্যবস্থা, অসুবিধের বিষয় হল সিমেন্টের মেঝের ওপর দিয়ে ধীরে ধীরে বালতি সরে যাওয়ার শব্দ পুরো হিচককের ফিলিমের সাউন্ড এফেক্ট নিয়ে আসত। ঘুমন্ত লোক আঁৎকে জেগে উঠত। ... ...
এই লেখা রামকৃষ্ণ কথামৃতের ভক্তদের জন্য নয়। তাঁরা দয়া করে এই লেখাটি পড়বেন না। কারণ এই লেখা সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে উৎসারিত। সেই একই কারণে এই লেখা রামকৃষ্ণ দর্শনের প্রতি অকারণ বিদ্বেষবশত কোনো কুৎসামূলক লেখাও নয় । কারণ বর্তমান লেখক মনে করেন যে রামকৃষ্ণদেবের মত সরলহৃদয়, সুরসিক, তত্বজ্ঞানী এবং বিরাট ব্যক্তিত্বের অধিকারী ধর্মপ্রচারক বাংলায় চৈতন্যদেবের পর খুব বেশি আসেন নি। বিশেষত পরধর্ম সহিষ্ণুতার ক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্য বাংলার মাটি থেকে উঠে আসা ঔদার্যের পরাকাষ্ঠা। তবে রামকৃষ্ণদেবের ‘কামিনীকাঞ্চন ত্যাগ’ তত্ব নিয়ে আমার বহু প্রশ্ন চিরকাল ছিল। সময়ের সঙ্গে সেই সংশয়ের অবসান তো হয়ই নি, আরো বেড়েছে বরং। এখন ভক্তকুলের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর চাওয়া বৃথা। কারণ রে রে করে তেড়ে আসা ছাড়া বা অধিকারীভেদের কথা বলে প্রশ্নের পথ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া তাঁদের কাছে যুক্তিসমৃদ্ধ তর্ক কিছু পাই নি। তাই এক অর্থে এই লেখা শুধুমাত্র সেই মানুষদের জন্য, যাঁরা আমার মত সাধারণ, অতি সাধারণ জিজ্ঞাসু। ... ...
নিজের সংশয়গুলো ঝালিয়ে নিচ্ছি ... ...
এই তো মানুষের হাল ... ...
(আমার এ রচনা বিভিন্ন সিঁড়ি নিয়েই। হঠাৎ করেই একদিন অন্যমনায় ছিলাম। সে সময়ে মাথার মধ্যে ছোটবেলার আমাদের বাড়ির এক প্রাচীন আমলের সিঁড়ির নানান ঘটনা ভেসে উঠল অতর্কিতেই। ভাবলাম লিখেই ফেলি। এই নিয়ে গুগুল মামার শরণাপন্ন হতেই দেখলাম - ওরে বাবা, এই সিঁড়ি নিয়েই হয়তো একটা বিরাট রচনা নামিয়ে ফেলা যায়। সারা বিশ্বের নানান সিঁড়ি, সেগুলোর ইতিহাস, সবচেয়ে বড় কথা সেই আদিম যুগ থেকে কতই না পরিবর্তন হয়ে আজকের গতিমান লিফট থেকে এস্ক্যালেটর। আমারই চোখে দেখা কত কিছুই। স্মৃতির মননে ছোট বেলা থেকে কলেজ জীবন পেরিয়ে চাকরি জীবন। সব কিছুর সাথেই জড়িয়ে আছে এই সিঁড়ি।) ... ...
আত্মপ্রচারের রকমফের ... ...
বাঘ ? কিন্তু আমি তো সিংহ রাশিতে জন্মেছি ... ...
একাই লড়ে যেতে হয় ... ...
সেই একই জীবনরঙ্গ মরবার আগে ... ...
পাণ্ডুলিপি তো অনেকগুলো হয়ে গেল। পাবলিশার পাই না। ... ...