স্থাপত্য বিদ্যার ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় যে সিঁড়ি-ই হচ্ছে সবচেয়ে প্রাচীন স্থাপত্য। মানবতার ইতিহাসেও সিঁড়ির রয়েছে এক কেন্দ্রীয় ভূমিকা। যদিও ঐতিহাসিকভাবে সিঁড়ি-র জন্মদিনের কথা জানা এককথায় অসম্ভব, তাও এই বিষয়ের গবেষকদের ধারণায় যীশু জন্মানোর অন্তত ছ হাজার বছর আগেই মানুষ সিঁড়ি ব্যবহার করেছে। ... ...
জীবনে কতোরকমের ল্যাঙ খেতে হয় ! ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
প্রেমের কবিতায় শুধু প্রেমই থাকে ... ...
ভোজপুরি গান ... ...
আসন্ন ভূত-চতুর্দশী, মাকালীর আরাধনা ও দীপাবলির অগ্রিম প্রীতি, শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানাই সকলকে। ভূত-চতুর্দশীতে ভূতেরা সত্যিই কী চতুর হয়ে ওঠে? এবং সেই কারণে তাদের দোষী সাব্যস্ত করে তিথিটাকে ভূত-চতুর্দশী বলাটা ঠিক হয় কি? এই গল্পটি পড়ার পর আপনাদের এ বিষয়ে একটু ভেবে দেখতে অনুরোধ করবো। শব্দহীন হোন। আলোকময় হোন - খুব ভালো থাকবেন, প্লিজ। ... ...
জেমস জয়েসের প্রেমপত্র । কী বলব ? বিখ্যাত না কুখ্যাত ? ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
বাংলায় আভাঁগার্দ কবিতা লেখা হচ্ছে ... ...
চা-ওয়ালা ছেলেটা হো হো করে হাসল, তারপর বলল, “জমি কিনতে গেছিলাম।” আমার মুখ দেখে ছেলেটা কিছু একটা বুঝল। বলল, “বিশ্বাস হল না, না ?” আমি চুপ। সত্যিই বিশ্বাস হয়নি। “কিছু মনে করবেন না স্যার, আপনি কত মাইনে পান? পাঁচ হাজার? সাত হাজার? দশ হাজার?” আমি চুপ। ১৯৯৬ সালে দশ হাজার টাকা মানে বেশ ভাল মাইনে। আমি তার চেয়ে অনেক কম পাই। “আমার ডেইলি প্রফিট ৫০০ টাকা। সেল নয়, প্রফিট,” বলল ছেলেটা। ... ...
নতুন কেন্দ্রীয় সরকার আসার পর আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বিষয়টা। এখন শিল্প মুনাফা তো নয়ই, বরং ওইটাই দেশপ্রেম। আর কোনো প্রতিযোগিতার লেশমাত্রই নেই। ঠেকনা চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছেছে। ব্যবসার নতুন মডেল হল, শিল্পপতি ব্যাংক থেকে ধার নেবেন। সেই টাকায় শিল্প বানাবেন। তারপর সেই ধারের টাকা ব্যাংক মকুব করে দেব। অর্থাৎ দেশবাসীর টাকায় শিল্প হবে, মুনাফা করবেন শিল্পপতি। কিন্তু সে তো মুনাফা নয়, সেটাই হল দেশপ্রেম। এই নতুন মতাদর্শ এখন বছর দশেক চলছে। ওইটাই এখন ইনথিং। এখন চুপচাপ আস্ত বন্দর আদানির হাতে চলে যায়। কোথাও একটিও বিবাদী কণ্ঠস্বর শোনা যায়না। এখন টাটাকে কে তাড়িয়ে মহা অপরাধ করেছিল, এই নিয়ে তর্জা হয়। কারণ, শিল্পপতিরা মুনাফা নয়, তৈরি করেন কর্মসংস্থান, সমাজসেবার ঠিকাদারি তাঁদের। তাঁরা আমাদের স্বজন। তাই আমাদের কোনো মুক্ত অর্থনীতি নেই, আছে স্বজনপোষিত অর্থনীতি। ক্রোনি ক্যাপিটালিজম। পোষিত পুঁজিবাদ। ঠেকনা দেওয়া পুঁজিবাদ। স্বাধীন, স্বাবলম্বী মুক্তবাজার অর্থনীতি বলে কিছু নেই। স্বাধীন ভারতের উৎপত্তির আগে থেকেই। ভারতবর্ষের পুঁজির ইতিহাস মূলত স্বজনপোষণের ইতিহাস। ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
আজ পিডিএফ, জিফ ফাইল - ফোল্ডারে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে গিয়ে জগজিৎ-জি কে পেলাম। কি করে উনি সবার ভেতরকার খবর ঠিক ধরে ফেলতেন, দ্যাখো... “বাত্ নিকলেগি তো ফির দূর তলক যায়েগি / লোগ বেবযহ উদাসী কা সবাব পুছেঙ্গে ইয়ে ভি পুছেঙ্গে কে তুম ইৎনা পরেশান কিউ হো...” কিউ হো? ?? এর উত্তর শুধু উনিই জানতেন...তাই শেষে বলেও দিলেন... “চাহে কুছ ভি হো সওয়ালাত ন করনা উনসে / মেরে বারে মেঁ কোই বাৎ ন করনা উনসে… ” ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
মামা শুধু গল্প বলত এমন না। মামা গল্প বলার সময় তা পরিবেশন করত। চোখ, মুখ, হাত পা, কণ্ঠস্বর সব মিলিয়ে গল্প বলত মামা। ক্লাইম্যাক্সে যাওয়ার আগে থামত চোদ্দবার, আরও কয়েক দিক থেকে গল্পটা বুঝাত, পরিস্থিতিটা বর্ণনা করতেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি পরিষ্কার না হচ্ছেন যে আমরা পুরোপুরি বুঝছি কী পরিস্থিতি ছিল সেই সময়, অন্ধকার কত গাঢ় ছিল, বাতাস কেমন ছিল, উনার ঠিক কত সামনে ঘন কালো পাহাড়ের মত কী জানি একটা দাঁড়িয়ে আছে, ওইটা দেখে উনি তাৎক্ষনিক কী চিন্তা করলেন, তারপর কী করলেন ইত্যাদি ইত্যাদি তিনি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বর্ণনা করে, হাত নেড়ে, গলার স্বর উঠিয়ে নামিয়ে আমাদেরকে পরিষ্কার বুঝিয়ে দেওয়ার পরে তিনি যেতেন পরের ধাপে। এরপরে কী হইল শোনো...! ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
দুই প্রার্থীর ভিতরে কে ভাল কে মন্দ সেই বিচার আমি করতে বসব না। করার যোগ্যতাও আমার নাই। আমি শুধু দেখলাম দুই প্রার্থীর ভিতরে একজন হচ্ছে হিন্দু আরেকজন মুসলিম। মুসলিম প্রার্থী ভূমিধ্বস জয় পেয়েছে। এই জয়ের পিছনে তিনি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন ধর্মকে! আমার কথা বলার জায়গা এখানেই। শুধু এই বার না, গতবারও এই দুইজনই প্রার্থী ছিলেন। গতবার আমি নিজে মাইকে শুনেছি বক্তা সরাসরি বলছে উনি হিন্দু মানুষ, তারে ভোট দিবেন? আমি হাঁটছিলাম, মাইকে এমন শুনে থমকে দাঁড়িয়ে গেছিলাম। এমন কথা কেউ বলতে পারে? ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
হাল আমলের দুজন বাঙালি ডাক্তার, এই গত পঞ্চাশ বছরের মধ্যেই, এই কলকাতা শহরেই থাকতেন তাঁরা, এমন কিছু কান্ড ঘটিয়েছিলেন, যা, অকল্পনীয়। একজন দিলীপ মহালনবিশ, যিনি ওআরএস এর আবিষ্কারক। খবরে দেখলাম, মারা গেছেন। মৃত্যুর খবরে নড়েচড়ে বসলাম। কারণ, বেঁচে যে ছিলেন, সেটা জানতামনা। নোবেল-টোবেল তো পাননি। যদিও পাওয়া উচিত ছিল। আর আমরা এমনই জাত, যে, বাইরে থেকে পুরষ্কার নিয়ে না এলে, কাউকে জাতে তুলিনা। ... ...
বাঙালি কি সত্যিই আত্মবিস্মৃত জাতি? গতকাল ভোরে ৮৭বছর বয়সে একদম নীরবে চলে গেছেন বিজ্ঞানী আদ্যন্ত প্রচারবিমুখ মানুষ, গবেষক-জনস্বাস্থ্যকর্মী-চিকিৎসক দিলীপ মহলানবীশ। তাঁর আজীবনের সমস্ত অবদান কেবল ছোট্ট একটা অবিচুয়ারি হয়েই থেমে গেছে আজকের সব সংবাদমাধ্যমের হেডলাইনে। কাল বা আজ খুব সংক্ষিপ্ত কিছু স্মৃতিচারণ ছাড়া কোথাও তাঁর কথা কোন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়নি..। গোটা পৃথিবী নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাথা ব্যথা হলেও, কোথাও নেই ডাক্তার দিলীপ মহলানবীশের একটুকরো ছবিও। বিজ্ঞানী হেমেন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি অনেক আগেই ডুবে গেছেন বিস্মৃতির ধুলোয়, ডাক্তার দিলীপ মহলানবীশকেও কি ভুলে যাব আমরা এভাবেই? ... ...